GaurNitai TV

GaurNitai TV Haribol. Jay Prabhupada. Jay GuruMaharaj.Everybody likes and follow this page for spiritual content.

23/11/2024

Madhavika's Krishna Consciousness Celebration,

14/11/2024

Bhishma Panchaka Vrat TARPN & Ganga Snan, ISKCON Barishal

13/11/2024

মহিমান্বিত #ভীষ্মপঞ্চক ব্রতের দ্বিতীয় দিবস 🧘
#তর্পন, #গঙ্গাস্নান 🕚📿🙏❤️

হরিবোল 🙌 জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙌জয় গুরুমহারাজ 🙌১২ নভেম্বর ২০২৪ ইং মঙ্গলবার, উত্থান একাদশীর উপবাস ও ভীষ্মপক ব্রত আরম্ভ। পরদ...
10/11/2024

হরিবোল 🙌
জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙌
জয় গুরুমহারাজ 🙌
১২ নভেম্বর ২০২৪ ইং মঙ্গলবার, উত্থান একাদশীর উপবাস ও ভীষ্মপক ব্রত আরম্ভ। পরদিন একাদশী ব্রতের পারনের জন্য পঞ্চ রবিশষ্য এক দানা গ্রহণ করে একাদশীর পারণ করা যাবে। এবং ভীষ্মপঞ্চব্রত যথানিয়মে পালন করবেন। একাদশী পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৬:১২-০৯:৫২
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:৪৯-০৯:৩০

#উত্থান একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য:

কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী মাহাত্ম্য স্কন্দপুরাণে ব্রহ্মা নারদ সংবাদে বর্ণিত আছে।
মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন---হে পুরুষোত্তম! কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম আমার কাছে কৃপা করে বর্ণনা করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন---হে রাজন! কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী 'উত্থান' বা 'প্রবোধিনী' নামে পরিচিত। প্রজাপতি ব্রহ্মা পূর্বে নারদের কাছে এই একাদশীর মহিমা কীর্তন করেছিলেন। এখন তুমি আমার কাছে সেই কথা শ্রবণ কর।
দেবর্ষি নারদ প্রজাপতি ব্রহ্মাকে বললেন---হে মহাত্মা! যে একাদশীতে ভগবান শ্রী গোবিন্দ শয়ন থেকে জেগে ওঠেন, সেই একাদশীর মাহাত্ম্য আমার কাছে সবিস্তারে বর্ণনা করুন।
ব্রহ্মা বললেন---হে নারদ! উত্থান একাদশী যথার্থই পাপনাশিনী, পুণ্যকারী ও মুক্তি প্রদানকারী। এই ব্রত নিষ্ঠা সহকারে পালন করলে এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ ও শত শত রাজসূয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়। জগতের দুর্লভ বস্তুর প্রাপ্তির কথা কি আর বলব। এই একাদশী ভক্তি পরায়ন ব্যক্তিকে ঐশ্বর্য, প্রজ্ঞা, রাজ্য ও সুখ প্রদান করে। এই ব্রতের প্রভাবে পর্বত প্রমাণ পাপরাশি বিনষ্ট হয়। যারা একাদশীতে রাত্রি জাগরণ করেন, তাদের সমস্ত পাপ ভস্মীভূত হয়। শ্রেষ্ঠ মুনিগণ তপস্যার দ্বারা যে ফল লাভ করেন, এই ব্রতের উপবাসে তা পাওয়া যায়। যথাযথ ভাবে এই ব্রত পালনে আশাতীত ফল লাভ হয়। কিন্তু অবিধিতে উপবাস করলে স্বল্পমাত্র ফল লাভ হয়। যারা এই একাদশীর ধ্যান করেন, তাদের পূর্বপুরুষেরা স্বর্গে আনন্দে বাস করেন। এই একাদশী উপবাস ফলে ব্রহ্মহত্যা জনিত ভয়ঙ্কর নরক যাতনা থেকে নিস্তার পেয়ে বৈকুণ্ঠগতি লাভ হয়। অশ্বমেধ যজ্ঞ দ্বারাও যা সহজে লাভ হয় না, তীর্থে স্বর্ণ প্রভৃতি দান করলে যে পুণ্য অর্জিত হয়, এই উপবাসের রাত্রি জাগরণে সেই সকল অনায়াসে লাভ হয়।
যিনি সঠিক ভাবে উত্থান একাদশী অনুষ্ঠান করেন, তার গৃহে ত্রিভুবনের সমস্ত তীর্থ এসে উপস্থিত হয়। হে নারদ! বিষ্ণুর প্রিয়তমা এই একাদশী উপবাস ফলে সর্ব শাস্ত্রে জ্ঞান ও তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করে চরমে মুক্তি লাভ হয়। যিনি সমস্ত লৌকিক ধর্ম পরিত্যাগ করে ভক্তি সহকারে এই ব্রত পালন করেন তাকে আর পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না। এমনকি মন ও বাক্য দ্বারা অর্জিত পাপরাশিও শ্রী গোবিন্দের অর্চনে বিনষ্ট হয়।
হে বৎস! এই ব্রতে শ্রদ্ধা সহকারে শ্রী জনার্দনের উদ্দেশ্যে স্নান, দান, জপ, কীর্তন ও হোমাদি করলে অক্ষয় লাভ হয়। যারা উপবাস দিনে শ্রী হরির প্রতি ভক্তি সহকারে দিন যাপন করেন, তাদের পক্ষে জগতে দুর্লভ বলে আর কিছু নেই। চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণে স্নান করলে যে পুণ্য হয়, এই উপবাসে রাত্রি জাগরণ করলে তার সহস্র গুন সুকৃতি লাভ হয়। তীর্থে স্নান, দান, জপ, হোম ধ্যান আদির ফলে যে পুণ্য সঞ্চিত হয়, উত্থান একাদশী পালন না করলে সে সমস্ত নিষ্ফল হয়ে যায়। হে নারদ! শ্রী হরি বাসরে শ্রী জনার্দনের পূজা বিশেষ ভক্তি সহকারে করবে। তা না হলে শতজন্মার্জিত পুণ্য ও বিফল হয়।
হে বৎস! যিনি কার্তিক মাসে সর্বদা ভাগবত শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন করেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হয়ে সমস্ত যজ্ঞের ফল লাভ করেন। ভগবান হরি ভক্তি মূলক শাস্ত্রপাঠে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন। কিন্তু দান, জপ, যজ্ঞাদি দ্বারা তেমন প্রীত হন না। এই মাসে শ্রী বিষ্ণুর নাম, গুন, রূপ, লীলাদি শ্রবণ কীর্তন অথবা শ্রীমদ্ভাগবত আদি শাস্ত্র গ্রন্থ পাঠের ফলে শত শত গোদানের ফল লাভ করা যায়।
অতএব হে মুনিবর! কার্তিক মাসে সমস্ত গৌণধর্ম বর্জন করে শ্রী কেশবের সামনে হরি কথা শ্রবণ কীর্তন করা কর্তব্য। কোনো ব্যক্তি যদি ভক্তি সহকারে এই মাসে ভক্তসঙ্গে হরিকথা শ্রবণ কীর্তন করেন, তবে তার শতকুল উদ্ধার হন এবং হাজার হাজার দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে লাভ হয়। এই মাসে পবিত্র ভাবে শ্রীকৃষ্ণের রূপ গুনাদির শ্রবণ কীর্তনে দিন যাপন করলে তার আর পুনর্জন্ম হবে না। এই মাসে বহু ফলমূল, ফুল, অগুরু, কর্পূর ও চন্দন দিয়ে শ্রী হরির পূজা করা কর্তব্য।
সমস্ত তীর্থ ভ্রমণ করলে যে পুণ্য হয়, উত্থান একাদশীতে শ্রীকৃষ্ণ পাদপদ্মে অর্ঘ্য প্রদানে তার কোটি গুন সুকৃতি লাভ হয়। শ্রবণ কীর্তন, স্মরণ বন্দনাদি নববিধা ভক্তির সাথে তুলসীর সেবার জন্য যারা বীজ রোপণ, জল সেচন ইত্যাদি করেন, তারা মুক্তি লাভ করে বৈকুণ্ঠ বাসী হন।
হে নারদ! সহস্র সুগন্ধি পুষ্পে দেবতার অর্চনে বা সহস্র সহস্র যজ্ঞ ও দানে যে ফল লাভ হয়, এই মাসে হরি বাসরে একটি মাত্র তুলসী পাতা শ্রী ভগবানের চরণ কমলে অর্পণ করলে তার অনন্ত কোটি গুন লাভ করা যায়।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

#ভীষ্মপঞ্চক ব্রত কি, কখন ও কিভাবে করবেন ?

ভীষ্মপঞ্চক ব্রত কি ?

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অভিন্ন প্রকাশ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পার্ষদপ্রবর ও গৌড়ীয় আচার্যবর্গের অন্যতম শ্রীল সনাতন গোস্বামীপাদ শ্রীশ্রীহরিভক্তিবিলাস গ্রন্থে (১৬/৪৩৪) লিখেছেন-

আরভ্যৈকাদশীং পঞ্চ দিনানি ব্রতমাচরেৎ।
ভগবৎপ্রীতয়ে ভীষ্মপঞ্চকং যদি শক্নুয়াৎ।।

অর্থাৎ, "কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর হতে আরম্ভ করে (পূর্ণিমা পর্যন্ত) পাঁচদিন শ্রীভগবানের প্রীতির জন্য যদি সমর্থ হয়, ভীষ্মপঞ্চক ব্রত আচরণ করবেন।"

চাতুর্মাস্যের শেষ মাস অর্থাৎ কার্তিক তথা দামোদর মাসের বিশেষ খাদ্যতালিকা থাকে, যে অনুযায়ী কেউ পঞ্চগব্য অথবা ফলমূল অথবা হবিষ্যান্ন গ্রহণ করতে পারেন। এই ব্রত অনুষ্ঠানকারী ব্যক্তিকে ভগবৎপ্রেম প্রদান করে-

সর্বপাপবিনির্মুক্তঃ প্রাপ্তকামো হরিং ব্রজেৎ।।
(গরুরপুরাণ, পূর্ব খণ্ড ১২৩.২)।
বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ বা শ্রীবিষ্ণুর প্রীতিপ্রদ বলে একে বিষ্ণুপঞ্চকও বলা হয়। সর্বধিক ব্রতের মধ্যে চাতুর্মাস্য ব্রত প্রধান, আর চাতুর্মাস্য ব্রত অপেক্ষা ভীষ্মপঞ্চক ব্রত সর্বপ্রধান।

ভীষ্মপঞ্চক ব্রত কিভাবে এলো ?

ভীষ্মপঞ্চক ব্রত প্রসঙ্গে স্কন্দপুরাণের বিষ্ণুখণ্ডে, কার্তিকমাসমাহাত্ম্যে ৩২ তম অধ্যায়ের বর্ণনা অনুসারে- সত্যযুগের আদিতে ভৃগু, গর্গ ও বশিষ্ঠাদি ঋষিগণ এবং ত্রেতাযুগের প্রথমে অম্বরীষ ও ভোগ প্রভৃতি নৃপগণ চাতুর্মাস্যের শেষ মাস অর্থাৎ, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে এই ব্রতাচরণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে মহারাজ শান্তনু তনয় ভীষ্ম ভগবান বাসুদেবের নিকটে এই ব্রত প্রাপ্ত হন।

মহাত্মা ভীষ্ম শরশয্যায় শয়ণ করে পরপর রাজধর্ম, মোক্ষধর্ম ও দানধর্ম কীর্তন করেন, পাণ্ডবগণ ভীষ্মভাষিত সেই ধর্মতত্ত্ব শ্রবণ করেন, এমনকি কৃষ্ণও তা শ্রবণ করেন। তখন ভীষ্মভাষিত ধর্ম শ্রবণে মনে মনে প্রীত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ বলেন-"হে ভীষ্ম, তুমি ধন্য, তুমি ধন্য, কেননা, তুমি আজ আমাদের শ্রেষ্ঠ ধর্ম শ্রবণ করিয়েছ।

তুমি কার্তিক মাসের একাদশী দিবসে জল যাঞ্চা করেছিলে, অর্জুন বানবেগে গঙ্গাজল আনায়নপূর্বক তোমার শরীর শীতল করেছে। এতএব, তদবধি সকলেই কার্তিকের শুক্লা একাদশী হতে পূর্ণিমা পর্যন্ত অর্ঘ্যদানে তোমার সন্তোষ সাধন করবে। অতএব, সকলেই সর্ব প্রযত্নে আমার প্রীতিপ্রদ এই ভীষ্মপঞ্চক নামক ব্রত আচারণ করুক।

কার্তিক ব্রত করে যে নর এই ভীষ্মপঞ্চক ব্রত না করে, তার সমগ্র কার্তিক ব্রত বিফল হয়ে থাকে। মানব যদি কার্তিক ব্রত করতে অসমর্থ হয় তবে কেবল ভিষ্মপঞ্চক করে সমগ্র কার্তিকের ফল লাভ করতে পারে।"

পদ্মপুরাণের উত্তরখণ্ডে (১২৪/২৯-৩০) বলা হয়েছে-
ভীষ্মেণৈতদ্যতঃ প্রাপ্তং ব্রতং পঞ্চদিনাত্মকম্।।
সকাশাদ্বাসুদেবস্য তেনোক্তং ভীষ্মপঞ্চকম্।
"ভগবান বাসুদেবের নিকট থেকে ভীষ্মদেব এই পঞ্চদিনাত্মক ব্রত প্রাপ্ত হয়েছেন তাই তা ভীষ্মপঞ্চক ব্রত নামে অভিহিত।"

ব্রতানাং মুনিশার্দ্দূল প্রবরং বিষ্ণুপঞ্চকম্।
সমস্মিন যঃ পূজয়েদ্ভক্ত্যা শ্রীহরিং রাধয়া সহ।।
গন্ধপুষ্পের্ধূপদীপৈর্বস্ত্রৈর্নানাবিধৈঃ ফলৈঃ।
স যাতি বিষ্ণুসদনং সর্ববিবর্জিতঃ।।
(পদ্মপুরাণ, স্বর্গখণ্ড ৪৮/৩-৪)

অর্থাৎ, বিষ্ণুপঞ্চক ব্রত ব্রতসমূহের মধ্যে প্রবর। সেসময় যিনি ভক্তিসহকারে গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, বস্ত্র ও নানাবিধ ফল দ্বারা শ্রীরাধাসহ শ্রীহরিকে অর্চনা করেন, তিনি সর্বপাপ বিবর্জিত হয়ে বিষ্ণুসদনে গমন করেন।"

পত্র-পুষ্প অর্পণ বিধি :

আগেরদিন শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ ভগবানের অন্য যে কোন রূপের শ্রীবিগ্রহকে ঘৃত প্রদীপ পুষ্প নিবেদন করা উচিত। ভগবানের শ্রীবিগ্রহ প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পুষ্প নিবেদনের নিয়ম রয়েছে। এ প্রসঙ্গে গরুড়পুরাণ, পূর্ব খণ্ড ১২৩ অধ্যায়ে (৮-৯) বলা হয়েছে-

প্রথমেহহ্নি হরেঃ পাদৌ যজেৎ পদ্মৈর্দ্বিতীয়কে।
বিল্বপত্রৈর্জানুদেশেং নাভিং গন্ধেন চাপরে।।
সন্ধৌ বিল্বজবাভিশ্চ পঞ্চমেহহ্নি শিরোহর্চয়েৎ।
মালত্যা ভূমিশায়ী স্যদেগাময়ং প্রাশয়েৎ ক্রমাৎ।।

১ম দিনঃ- পদ্মফুল- চরণকমলে
২য় দিনঃ- বিল্বপত্র- জানুতে
৩য় দিনঃ- গন্ধদ্রব্য- নাভিকমলে
৪র্থ দিনঃ- বিল্বপত্র ও জবাফুল- স্কন্ধদেশে
৫ম দিনঃ- মালতীফুল- শিরোদেশে

যদি কখনো দুটো তিথি একদিন পড়ে, তবে ঐদিন দুদিনের উদ্দিষ্ট ফুলগুলো একই দিনে নিবেদন করতে পারেন। আর যদি কারো নিকট ফুলগুলো না থাকে তবে ভগবানের নির্ধারিত স্থানে নির্ধারিত ফুলগুলো কেউ মানসিকভাবে নিবেদন করতে পারেন।

আহার বিধিঃ

ব্রতকারী কতবার আহার গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে নির্ধারিত কোনো কিছু উল্লেখ নেই। ভীষ্মপঞ্চক ব্রত ব্যক্তির সামর্থ অনুসারে বিভিন্ন স্তরে উদযাপন করা যায়- কথা পদ্মপুরাণে (সর্গখণ্ড ৪৮/১৫) বলা হয়েছে-

এবং কর্ত্তুমশক্তে ষঃ ফলমূলঞ্চ ভোজনম্।
কুর্য্যাদ্ধবিষ্যং বা বিপ্র যথোক্তবিধিনা হ বৈ।।

সাধারণত একাদশীতে সম্পূর্ণ উপবাস এবং তার পরবর্তী চারদিন ফলমূল গ্রহণ করতে বলা হয় অথবা কেউ পাঁচদিনই ফলমূল গ্রহণ করতে পারেন। ভক্তরা তাদের সুবিধামতো নিম্নোক্ত স্তরগুলোর যেকোনটি অনুসরন করতে পারেন, যেন তাদের সাধারণ ভক্তিমূলক সেবা ও দৈনন্দিন সাধনায় বিঘ্ন সৃষ্টি না করে।

১ম স্তর-পঞ্চগব্য গ্রহণ :

পঞ্চগব্য একেকটি একেক দিনে গ্রহণ করা যেতে পারে (গ.পু. পূর্ব ১২৩/১০; প. পু. সর্গ ৪৮/১১-১৪; স্কন্দ. পু. কার্তিকমাসমাহাত্ম্য ৩২/৪৬, ৪৭, ৫০)।

১ম দিনঃ- গোময়
২য় দিনঃ- গোমূত্র
৩য় দিনঃ- দুধ
৪র্থ দিনঃ- দধি
৫ম দিনঃ- গোময়, গোমূত্র, দুগ্ধ, দধি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি পঞ্চগব্য।

২য় স্তর-ফলমূল গ্রহণ :

যদি কেউ ১ম স্তর অনুসরণ করতে না পারেন, তবে ফলমূল গ্রহণ করা যেতে পারে। অধিকাংশ ব্যক্তি ফলমূল গ্রহণ করেন। তাই আলু, মূল এবং ফল যেমন কলা, আপেল, কূল, পানিফল, বাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম, কিসমিস ও খেজুর খাওয়া যেতে পারে।

বিভিন্ন ফলের মতো এগুলো ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। আখের রস এবং ইক্ষুদ্রব্য যেমন মিছরি গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু গুঁড় অনুমোদিত নয়।
আলু, কাঁচকলা বা মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে গ্রহণ করা যেতে পারে। স্বাদের জন্য সৈন্ধব লবণ ব্যবহার অনুমোদিত। তবে দুধ বা দুগ্ধজাত কোন দ্রব্য গ্রহন করা যাবে না। নারকেল ও নারকেলের জল গ্রহণ করা যাবে।

৩য় স্তর-হবিষ্যান্ন গ্রহণ :

যদি কেউ ২য় স্তর পালনে অসমর্থ হন, তবে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করতে পারেন। গৌড়ীয় আশ্চর্যবর্গের অন্যতম শ্রীল সনাতন গোস্বামীকৃত শ্রীশ্রীহরিভক্তিবিলাস গ্রন্থের ১৩ অধ্যায় ১০-১৩ নং শ্লোকে হবিষ্যান্নের উপাদান উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নোক্ত উপাদানগুলো হবিষ্যান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে।

হবিষ্য সাধারণত আতপ চাল এবং মুগ ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়। যারা একাদশী থেকে একাদশী পর্যন্ত চাতুর্মাস্য পালন করেছেন, নিয়মানুযায়ী তাদের কার্তিক মাস একাদশী পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে, তাই তারা তাদের হবিষ্যে মুগ ডাল গ্রহণ করতে পারেন। তবে অধিকাংশ ভক্তগণ পূর্ণিমা থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত চাতুর্মাস্য ব্রত পালন করেন, তাই ভীষ্মপঞ্চক এর হবিষ্যে মুগ ডাল অনুমোদিত হবে না এবং সকল প্রকার তেল পরিত্যাজ্য।

আতপ চাল, ঘি, সৈন্দব লবন, পাকা কলা, কাল শাক, গম, বার্লি-এই উপাদানগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া নিম্নোক্ত ফলসমূহ গ্রহণ করা যেতে পারে।

ফল (স্কন্দপুরাণে নাগরখণ্ডে অবশ্যই একটি বীজের অথবা কম বীজপূর্ণ ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে) আম, কাঁঠাল, কেয়া ব্যাতীত সকল মূল, পিপলী, হরিতকি, আমলকি, নরাঙ্গ, ইক্ষুদ্রব্য (গুড় ব্যতীত) ননীপূর্ণ গোদুগ্ধ।

হবিষ্যান্নে বর্জনীয় দ্রব্যসমূহঃ

নিম্নবর্ণিত দ্রব্যগুলো হবিষ্যান্নের অন্তর্ভুক্ত হলেও তা কার্তিক মাসে বর্জন করতে বলা হয়েছে। যথা মুগ ডাল, তিল তেল, বেতো শাক, সাত্ত্বিক শাক, মূলা, জিরা, তেঁতুল।

তর্পণবিধি ও মন্ত্রাবলিঃ

এছাড়া প্রতিদিন গঙ্গার মত পবিত্র নদীতে স্নান ও তর্পণ করা উচিত। তর্পণ করার সময় উপবীতকে পেছনদিকে নিয়ে (যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) এবং উভয় হাতে জল নিতে হয়, মন্ত্র উচ্চারণ করা হয় এবং দুই হাত ডান দিকে ও নিচে কাত করে নিবেদন করা হয়, যাতে জল ডান বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এটি পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যের নৈবেদ্য নিবেদনের একটি উপায়।

তবে, ভীষ্মপঞ্চকে তা ভীষ্মদেবের উদ্দেশ্য করা হয়, যা স্কন্দপুরাণের বিষ্ণুখণ্ডে কার্তিকমাসমাহাত্ন্যে (৩২/৯) বলা হয়েছে-
ভীষ্মায়ৈতদ্দদাম্যর্ঘমাজন্মব্রহ্মচারিণে।
এই তর্পনে সকল বর্ণেরই সমান অধিকার-
তর্পণং সার্ববর্ণিকম্ (৩২/১০)।

নিম্নলিখিত মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে তিনবার ভীষ্মদেবের উদ্দেশ্যে তর্পন করা উচিত:

তর্পন মন্ত্র :
ওঁ বৈয়াগ্রপদ্য গোত্রায় সংস্কৃতি প্রবরায় চ।
অপুত্রায় দদাম্যেতৎ সলিলং ভীষ্মবর্মনে।।

অর্ঘ্য :
বসুনামাবতারায় শান্তনোরাত্মাজায় চ।
অর্ঘ্যং দদামি ভীষ্মায় অাজন্ম ব্রহ্মচারিণে।।

প্রণাম :
ওঁ ভীষ্ম শান্তনবো বীরঃ সত্যবাদী জিতেন্দিয়ঃ।
অভিরদ্ভিরবাপ্নোতু পুত্রপৌত্রচিতাং ক্রিয়াম্।।

কারো প্রশ্ন হতে পারে যে, যাদের পিতা জীবিত, তারাও কি তর্পন করতে পারবে?
এক্ষেত্রে বুঝতে হবে যেহেতু এই ব্রতের তর্পণ ভীষ্মদেবের উদ্দেশ্যে করা হয়, কারো পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে নয়, সুতরাং যে কেউ তর্পন করতে পারেন।
আর যদি কেউ গঙ্গা স্নান ও তর্পন করতে যেতে না পারেন, অর্থাৎ, যদি কারো কাছাকাছি কোনো পবিত্র নদী না থাকে, তবে তিনি "গঙ্গা গঙ্গা গঙ্গা উচ্চারণ করে তথা গঙ্গা নাম স্মরণ করে এই পবিত্র নদীতে স্নান করার সুফল লাভ করতে পারেন, যা যে কোন স্থানেই করা সম্ভব।

গঙ্গেতি নাম সংস্মৃত্য যস্তু কূপজলেহপি চ।
করোতি মানবং স্নানং গঙ্গাস্নানফলং লভেৎ।।
(পদ্মপুরাণ, ক্রিয়াযোগসার, ৬/১১)

এছাড়া ভগবানের শ্রী বিগ্রহের উদ্দেশ্য প্রতিদিন প্রদীপ নিবেদন করা উচিত। ভীষ্ম পঞ্চক গোবিন্দের নিকট বিশেষ প্রিয় এবং এর ফলে কেউ অতি সহজে কৃষ্ণভক্তি লাভ করতে পারেন।

পারণঃ
পূর্ণিমার দিন তথাগত শেষদিন সূর্যাস্তের পর এবং কর্ণদ্বয়ের সময় ব্রতের পারন করতে হবে। সেদিন বিকেলের প্রসাদ না পেলেই ভালো, কেননা কিছুক্ষণ পরেই ব্রত শেষ হবে এবং তখন মহাভোজ হবে। আগেরদিন প্রথমে পঞ্চগব্য পান করে তারপর আহার করবে।

ততো নক্তং সমশ্নীয়াৎ পঞ্চগব্যপুরঃসরম্।
স্কন্দপুরাণ বিষ্ণুখণ্ডে, কার্তিকমাসমাহাত্ম্য (৩২.৫০)।
কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, ভীষ্মপঞ্চক ব্রতকালে একাদশীর দিন উপবাস করার পর দিন কী খেয়ে পালন করা উচিত?

উত্তরে বলা যায় যে আমরা একটি সংকল্প করি যে আমরা ভীষ্মপঞ্চক পালন করছি। সংকল্প করার মাধ্যমে এই একাদশী পালনের দিনটিও স্বাভাবিকভাবেই ভীষ্মপঞ্চক ব্রতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। কেউ যদি হবিষ্যান্ন গ্রহণ করে প্রথম পালন করেন তবে একাদশীর পারন হিসেবে দ্বিতীয় দিন দানা গ্রহণ করতে পারেন। ১ম ও ২য় স্তরের ক্ষেত্রে যেহেতু পাঁচ দিন দানা গ্রহণ নিষিদ্ধ, সে ক্ষেত্রে ৫ম দিন ব্রতের পালন করবেন। তবে কেউ যদি সত্যিই এ ব্যাপারে চিন্তিত হন তবে তিনি একাদশীতে নির্জলা উপবাস করতে পারেন এবং জল গ্রহণ করে পারন করতে পারেন।

ভীষ্মপঞ্চক ব্রতের উদ্দেশ্যঃ

যেহেতু উদ্দেশ্যটি হলো আমাদের নিয়মিত ভগবদ্ভক্তি চালিয়ে যাওয়া, এমন নয় যে, আমি উপবাস করছি, তাই আমি কিছু করব না। যাদের ডায়াবেটিস আছে অথবা যারা সম্পূর্ণ উপবাস করতে পারবেন না তারা হবিষ্যান্ন পেতে পারেন। যে ব্যাপারটি চিত্তাকর্ষক তাহলো ভীষ্মদেব তার পিতার কারণে বিবাহ না করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।

এর পেছনে এক বৃহৎ কাহিনী রয়েছে। প্রার্থনা আছে, আজন্ম ব্রহ্মচারিণে, আমরা তার জন্য তর্পণ করছি তার কোন সন্তান নেই, তিনি কখনো বিবাহ করেননি। তাই এটি আশ্চর্যজনক যে, কিভাবে সারা ভারত এবং সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভীষ্মদেবের জন্য ভীষ্মপঞ্চক করছেন এবং তার তর্পণ করছেন।

কিন্তু তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনি গঙ্গা মাতার সন্তান। তাই যখন ভক্তরা গঙ্গায় যান, গঙ্গাদেবী প্রসন্ন হন যে তার পুত্র সম্মানপ্রাপ্ত হচ্ছেন। এভাবে এই ব্রথের ফলে মাতাগঙ্গা, মহাত্মা ভীষ্মদেব এবং সর্বোপরি পরমেশ্বর ভগবান প্রসন্ন হন। আর তাকে প্রসন্ন করাই সমস্ত যজ্ঞ, দান, ব্রত বা তপস্যার মুখ্য উদ্দেশ্য।

উৎসঃ পদ্মপুরাণ, উত্তরখণ্ড ১২৪ অধ্যায়; প.পু. সর্গখণ্ড ৪৮ অধ্যায়; স্কন্দপুরাণ, বিষ্ণুখণ্ড-কার্তিকমাসমাহাত্ন্য, ৩২ অধ্যায়, গরুরপুরাণ, পূর্ব খণ্ড ১২৩ অধ্যায়।

১২ নভেম্বর ২০২৪ ইং মঙ্গলবার, উত্থান একাদশীর উপবাস ও ভীষ্মপক ব্রত আরম্ভ। পরদিন একাদশী ব্রতের পারনের জন্য পঞ্চ রবিশষ্য এক দানা গ্রহণ করে একাদশীর পারণ করা যাবে। এবং ভীষ্মপঞ্চব্রত যথানিয়মে পালন করবেন।
-----------------------------------------------------------------------------
জয় শ্রীল প্রভুপাদ🙌🙌🙌
জয় শ্রীল গুরুদেব🙌🙌
#একাদশী #ভীষ্মপঞ্চক #ব্রত

শুভ গোপাষ্টমী, গোষ্ঠাষ্টমী 🥰🙏❤️ শ্রীমতী রাধারানীর দুর্লভ চরন দর্শন 🙇❤️
09/11/2024

শুভ গোপাষ্টমী, গোষ্ঠাষ্টমী 🥰🙏❤️
শ্রীমতী রাধারানীর দুর্লভ চরন দর্শন 🙇❤️

হরিবোল হরিবোল 🙌জয় শ্রী রাধে রাধে 🙌🥰জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙌আগামী ০৯ নভেম্বর ২০২৪ইং রোজ শনিবার ,শুভ গোপাষ্টমী।🥰 শ্রীমতি রাধা...
08/11/2024

হরিবোল হরিবোল 🙌
জয় শ্রী রাধে রাধে 🙌🥰
জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙌
আগামী ০৯ নভেম্বর ২০২৪ইং রোজ শনিবার ,শুভ গোপাষ্টমী।🥰 শ্রীমতি রাধারানীর দূর্লভ চরন দর্শন 🥰❤️🤗
*✦ গোপাষ্টমী মাহাত্ম্য ✦*
⊰᯽⊱┈──◑❊◑──┈⊰᯽⊱
🌷🍃 কার্তিক মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে শ্রীবলরাম ও পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৌগণ্ড(৫-১০) বয়স প্রাপ্ত হন। কৃষ্ণ নিজে গোচারণ করার জন্য বারবার নন্দ মহারাজের নিকট প্রার্থনা করছিলেন। কিন্তু মাতা যশোমতী এতে দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করতেন।

🌷🍃 অবশেষে গোপাষ্টমীর দিনে নন্দমহারাজ গ্রামবাসীদের ডেকে একটি উৎসব আয়োজন করেন। তখন একসাথে কৃষ্ণ-বলরামাদি গোপবালকদের শৃঙ্গ, বেত্র, বিষাণ, বাঁশী ও গো-বন্ধন রজ্জু প্রদান করেন ও পুরোহিতদের দ্বারা গাভীদের পূজা করেন। মাতা যশোদা কৃষ্ণের কপালে তিলক শোভিত করে দেন এবং কৃষ্ণকে গোষ্ঠে যেতে অনুমতি প্রদান করেন।এর আগে তাঁরা কেবল গো-বৎস চরাতেন। এই দিনে ভক্তগণ গো-পূজা করেন এবং গো-সেবা করেন।
🌷🍃 ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এদিন গোপ সোজেছিলেন তাই এদিনকে বলা হয় গোপাষ্টমী আর গোষ্ঠে গিয়েছিলেন বলে বলা হয় গোষ্ঠাষ্টমী।
🌷🍃 পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে যে সকল ভক্তবৃন্দ সখা-ভেবে আরাধনা করেন তাঁদের কাছে গোপাষ্টমী, পৌগন্ড লীলা বা গোষ্ঠ লীলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

·٠•●⊰🔴✦🔴⊱●•٠·
🌷🍃 একই দিনে অপর একটি লীলাও স্মরণ করা হয়। সেটি হলো -
মেয়েদের গোষ্ঠে যেতে নেই। কিন্তু কৃষ্ণচন্দ্র এদিন প্রথম গোষ্ঠে বেরিয়েছেন। তাই শ্রীমতি রাধারাণীও সুযোগ খুঁজছেন কিভাবে বের হওয়া যায়। গোপীকারা দেখলেন যে শ্রীমতি রাধারাণীকে দেখতে অনেকটা সুবলের মতো। তাঁরা রাধারাণীকে সুবলের মতো ধুতি-পোশাক পরিয়ে এবং নিজেরাও গোপবালকদের মতো সজ্জিত হয়ে কৃষ্ণের সাথে মিলিত হলেন। তাই এদিন শ্রীমতি রাধা ঠাকুরাণী ও অন্যান্য সখীরা তাদের শ্রীচরণ দর্শন দান করেন।পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথমে তাঁকে চিনতে পারেন নি। পরে চিনতে পেরে ভীষণ হ্লাদিত হন।

───এই দিন শ্রীমতি রাধারানীর চরণ দর্শন হয়। কেননা শ্রীদামের মতো গোপবেশে রাধারানী কৃষ্ণকে গোচারণরত অবস্থায় দেখতে এসেছিলেন।ভগবানে শরণাগতই প্রকৃত সুখ।

·٠•●⊰🔴✦🔴⊱●•٠·
*🌿🌹শ্রীমদ্ভাগবত এর ১০/১৫/১ শ্লোকে- “শ্রীল শুকদেব গোস্বামী বললেন-*
বৃন্দাবনে বসবাসকালে শ্রীবলরাম ও কৃষ্ণ যখন পৌগণ্ড বয়স(৬ থেকে ১০) প্রাপ্ত হলেন, তখন গোপগণ তাঁদের সখাদের সঙ্গে এভাবেই নিয়োজিত হয়ে বৃন্দাবনের ভূমিকে পাদপদ্ম চিহ্নের দ্বারা অতীব পবিত্র করে তুললেন।”
·٠•●⊰🔴✦🔴⊱●•٠·

04/11/2024
03/11/2024

ভক্তগৃহে জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

30/10/2024

দেখুন উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ মহাশ্মশান, বরিশাল মহাশ্মশান দীপাবলি ২০২৪ #উপমহাদেশের_সর্ববৃহৎ_মহাশ্মশান #বরিশালমহাশ্মশান #দীপাবলি

30/10/2024

শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর -এর নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, #ব্রহ্মোৎসব 2024
#অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, #মহাঅভিষেক, #বিজয়শোভাযাত্রা, #নৃত্য #কীর্তন
শ্রী শ্রী #রাধাশ্যামসুন্দর মন্দির (ইস্কন) বরিশাল...
The Glorious 9th of Sri Sri Radha

28/10/2024

রমা একাদশী ও ১১ দামোদর, শ্রী শ্রী রাধা-শ্যামসুন্দর মন্দির (ইসকন) বরিশাল

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ২৮-১০-২০২৪ ইং তারিখ রোজ সোমবার পবিত্র রমা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল(বাংলাদেশ...
26/10/2024

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ২৮-১০-২০২৪ ইং তারিখ রোজ সোমবার পবিত্র রমা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৬:০৩-০৯:৪৯
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:৪১-০৯:২৭
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে অাপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।

🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
এক সময় যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণ কে বললেন---হে জনার্দন! কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম কি এবং তার মহিমা কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে রাজন! মহাপাপ বিনষ্টকারী এই একাদশী 'রমা' নামে বিখ্যাত। আমি এখন সেই মাহাত্ম্য বর্ণনা করছি, আপনি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করুন।
পুরাকালে মুচুকুন্দ নামে এক সুপ্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র, যম, বরুন ও ধনপতি কুবেরের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল। ভক্ত শ্রেষ্ঠ বিভীষণের সাথেও তার অত্যন্ত সদ্ভাব ছিল। তিনি ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত ও সত্যপ্রতিজ্ঞ। এই রূপে তিনি ধর্ম অনুযায়ী রাজ্য শাসন করতেন l চন্দ্রভাগা নামে তার একটি কন্যা ছিল। চন্দসেনের পুত্র শোভনের সাথে তার বিবাহ হয়েছিল। শোভন এক সময় তার শ্বশুর বাড়িতে এসেছিল। দৈবক্রমে সেই দিন ছিল একাদশী তিথি। স্বামীকে দেখে পতি পরায়না চন্দ্রভাগা মনে মনে চিন্তা করতে লাগল---হে ভগবান! আমার স্বামী অত্যন্ত দুর্বল। তিনি ক্ষুধা সহ্য করতে পারেন না। এখানে আমার পিতার শাসন খুবই কঠোর। দশমীর দিন তিনি নাগরা বাজিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে একাদশীতে আহার নিষিদ্ধ। আমি এখন কি করি!
রাজার নিষেধাজ্ঞা শুনে শোভন তার প্রিয়তমা পত্নীকে বলল---হে প্রিয়ে, এখন আমার কি কর্তব্য তা আমাকে বলো। উত্তরে রাজকন্যা বলল---হে স্বামী! আজ এই গৃহে এমনকি রাজ্য মধ্যে কেউই আহার করবে না। মানুষের কথা তো দূরে থাকুক, পশুরা পর্যন্ত অন্ন জল মাত্র গ্রহণ করবে না। হে নাথ! যদি তুমি এ থেকে পরিত্রাণ চাও তবে নিজগৃহে প্রত্যাবর্তন করো। এখানে আহার করলে তুমি সকলের নিন্দা ভাজন হবে এবং আমার পিতাও ক্রুদ্ধ হবেন। এখন বিশেষ ভাবে বিচার করে যা ভালো হয়, তুমি তা ই করো। সাধ্বী স্ত্রীর এই কথা শুনে শোভন বলল---হে প্রিয়ে! তুমি ঠিক বলেছ। কিন্তু আমি গৃহে ফিরে যাব না। এখানে থেকে একাদশী ব্রত পালন করব। ভাগ্যে যা লেখা আছে তা অবশ্যই ঘটবে।
এই ভাবে শোভন ব্রত পালনে বদ্ধপরিকর হলেন।
সমস্ত দিন অতিক্রান্ত হয়ে রাত্রি শুরু হল। বৈষ্ণব দের কাছে এই রাত্রি সত্যি ই আনন্দকর। কিন্তু শোভনের পক্ষে তা ছিল বড়ই দুঃখদায়ক। কেননা ক্ষুধা তৃষ্ণায় সে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ল। এই ভাবে রাত্রি অতিবাহিত হলে সূর্যোদয় কালে তার মৃত্যু হল। রাজা মুচুকুন্দ সাড়ম্বরে তার শবদাহ কার্য সুসম্পন্ন করলেন। চন্দ্রভাগা স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপ্ত করে পিতার আদেশে পিতৃগৃহেই বাস লাগল।
কালক্রমে রমা ব্রত প্রভাবে শোভন মন্দরাচল শিখরে অনুপম সৌন্দর্যবিশিষ্ট এক রমনীয় দেবপুরী প্রাপ্ত হলেন। এক সময় মুচুকুন্দ পুরের সোমশর্ম্মা নামে এক ব্রাহ্মণ তীর্থভ্রমন করতে করতে সেখানে উপস্থিত হলেন।সেখানে রত্নমন্ডিত বিচিত্র স্ফটিক খচিত সিংহাসনে রত্নালংকারে ভূষিত রাজা শোভনকে তিনি দেখতে পেলেন। গন্ধর্ব ও অপ্সরাগণ দ্বারা নানা উপচারে সেখানে পূজিত হচ্ছিলেন। রাজা মুচুকুন্দের জামাতা রূপে ব্রাহ্মণ তাকে চিনতে পেরে তার কাছে গেলেন। শোভন সেই ব্রাহ্মণকে দেখে আসন থেকে উঠে এসে তার চরণ বন্দনা করলেন। শ্বশুর মুচুকুন্দ ও স্ত্রী চন্দ্রভাগা সহ নগরবাসী সকলের কুশলবার্তা জিজ্ঞাসা করলেন। ব্রাহ্মণ সকলের কুশল সংবাদ জানালেন। জিজ্ঞাসা করলেন---এমন বিচিত্র মনোরম স্থান কেউ কখনও দেখেনি। আপনি কিভাবে এই স্থান প্রাপ্ত হলেন, তা সবিস্তারে আমার কাছে বর্ণনা করুন। শোভন বললেন যে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া রমা একাদশী সর্ব ব্রতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আমি তা শ্রদ্ধা রহিত ভাবে পালন করলেও তার আশ্চর্যজনক এই ফল লাভ করেছি। আপনি কৃপা করে চন্দ্রভাগাকে সমস্ত ঘটনা জানাবেন।
সোমশর্ম্মা মুচুকুন্দ পুরে ফিরে এসে চন্দ্রভাগার কাছে সমস্ত ঘটনার কথা জানালেন। ব্রাহ্মণের কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত চন্দ্রভাগা বললেন---হে ব্রাহ্মণ! আপনার কথা আমার কাছে স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে। তখন সোমশর্ম্মা বললেন---হে পুত্রী, সেখানে তোমার স্বামীকে আমি স্বয়ং স্বচক্ষে দেখেছি। অগ্নিদেবের মতো দীপ্তিমান তার নগরও দর্শন করেছি। কিন্তু তার নগর স্থির নয়, তা যাতে স্থির হয়, সেই মতো কোনো উপায় কর। এসব কথা শুনে চন্দ্রভাগা বললেন, তাকে দেখতে আমার একান্ত ইচ্ছা হচ্ছে। আমাকে এখনি তার কাছে নিয়ে চলুন। আমি ব্রত পালনের পুণ্য প্রভাবে নগর স্থির করে দেব।
তখন সোমশর্ম্মা চন্দ্রভাগাকে নিয়ে মন্দার পর্বতে বামনদেবের আশ্রমে উপস্থিত হলেন। সেখানে ঋষির কৃপায় ও হরিবাসর ব্রত পালনের ফলে চন্দ্রভাগা দিব্য শরীর প্রাপ্ত হল। দিব্য গতি লাভ করে স্বামীর নিকট উপস্থিত হলেন। প্রিয় পত্নীকে দেখে শোভন অতীব আনন্দিত হলেন।
বহু দিন পর স্বামীর সঙ্গ লাভ করে চন্দ্রভাগা অকপটে নিজের পুণ্য কথা জানালেন। হে প্রিয়, আজ থেকে আট বছর আগে আমি যখন পিতৃগৃহে ছিলাম তখন থেকে রমা একাদশীর ব্রত নিষ্ঠা সহকারে পালন করতাম। ঐ পুণ্য প্রভাবে এই নগর স্থির হবে এবং মহাপ্রলয় পর্যন্ত থাকবে।
হে মহারাজ! মন্দরাচল পর্বতের শিখরে শোভন তার স্ত্রী চন্দ্রভাগা সহ দিব্যসুখ ভোগ করতে লাগলেন। পাপনাশিনী ও ভুক্তি মুক্তি প্রদায়িনী রমা একাদশীর মাহাত্ম্য আপনার কাছে বর্ণনা করলাম। যিনি এই একাদশী ব্রত শ্রবণ করবেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে পূজিত হবে।
Follow our page/YouTube/Instagram/Twitter: GaurNitaiTV

20/10/2024

দামোদর, ৪র্থ দিবস ❤️
শ্রী শ্রী রাধা-শ্যামসুন্দর মন্দির (ইসকন) বরিশাল 🥰

হরিবোল হরিবোল 🙌 জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙌১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং থেকে ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং পর্যন্ত দামোদর ব্রত। কৃপা করে সকলে পালন ক...
15/10/2024

হরিবোল হরিবোল 🙌 জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙌
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং থেকে ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং পর্যন্ত দামোদর ব্রত। কৃপা করে সকলে পালন করুন এবং শ্রী শ্রী রাধা দামোদরের অশেষ কৃপা লাভ করুন।
🙏হরে কৃষ্ণ🙏🏻
মহিমান্বিত #দামোদর মাসে আপনাকে স্বাগতম!🙏🏻
★ #দামোদর কে?
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম দামোদর। "দাম" শব্দের অর্থ রশি এবং "উদর" হচ্ছে কোমর। মা যশোদা কর্তৃক যাঁর উদরে দাম বা রশি বন্ধন রয়েছে, তিনিই দামোদর।

★দামোদর ব্রত কি?
বৈদিক সংস্কৃতিতে সুপ্রাচীন কাল হতে কার্তিক ব্রত বা দামোদর ব্রত পালিত হয়ে আসছে। দামোদর ব্রতের সময়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কর্পূর সমন্বিত ঘৃত বা তিল তেল দ্বারা প্রদীপ প্রজ্বলন করে ভগবানকে আরতি নিবেদন করতে হয় এবং দামোদর অষ্টকম পাঠ করতে হয়।

★প্রদীপ প্রজ্বলনের মাহাত্ম্য কি?
প্রজ্বলিত কর্পূর সমন্বিত দীপ দ্বারা আরতি করলে সপ্তকল্প যাবত ভগবদধামে বাস হয়। মনোহরদৃশ্য দ্বারা শ্রীহরির আরতি করলে কাম-ক্রোধাদি বিদূরিত হয় এবং পুনর্জন্ম হয় না। দীপের আলোতে ভগবানের মুখমণ্ডল দর্শন করলে ব্রহ্মহত্যাদি পাপ হতে মুক্ত হওয়া যায়। যে গৃহে দীপদান করা হয় তাঁর সর্বদা ধন, যশ, পুত্র লাভ হয় এবং পূর্বপুরুষগণ সন্তুষ্ট হয়।

★আরতি নিবেদনের নিয়ম কি?
ঘৃত বা তিলের তৈল যুক্ত কর্পূর মিশ্রিত প্রদীপ দ্বারা ভক্তি সহকারে ভগবানের চরণে চারবার, নাভি দেশে দুইবার, মুখমণ্ডলে তিনবার এবং সর্বাঙ্গে সাতবার প্রদীপ ঘুরিয়ে আরতি করতে হয়। মাটির প্রদীপ একবারই ব্যবহারযোগ্য।

আকাশ দীপ দান মন্ত্রঃ
»পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে,
দামোদরায় নভসি তুলায়াং লোলয়া সহ।
প্রদীপন্তে প্রযচ্ছামি নমো হনন্তায় বেধসে।।
কার্তিকে আকাশে শ্রীরাধিকার সাথে দামোদরকে প্রদীপ দান করছি। শ্রীঅনন্তকে ও ভগবান শ্রীবিষ্ণুকে নমস্কার করছি।
দামোদরায় বিশ্বায় বিশ্বরূপ ধরায়চ।
নমস্কৃত্যা প্রদাস্যামি ব্যোম দীপং হরিপ্রিয়ম।।
নমো পিতৃভ্য প্রেতেভ্যো নমো ধর্মায় বিষ্ণবে।
নমো যমায় রুদ্রায় কান্তারপতয়ে নমঃ।।
উপরিউক্ত ৩টি মন্ত্র ভগবান রাধা দামোদরকে দেখিয়ে তারপর গৃহ বা মন্দিরের বাইরের এসে প্রদীপটি আকাশের দিকে হাত তুলে ঐকান্তিক ভক্তি নিয়ে পাঠ করুন। অবশেষে হরিস্থান বা তুলসীতলাতে রেখে দিন।

#মাহাত্ম্য:
🌻👉স্কন্দপুরাণে কার্তিক মাহাত্ম্য,
কার্তিকে নিমেষার্দ্ধকাল দীপদান ফলে কোটিকল্প অর্জিত বহু পাপ বিলুপ্ত হয়। হে বিপ্রেন্দ্র! কার্তিকে কেশবপ্রিয় দীপদানের মাহাত্ম্য শ্রবণ কর, দীপদান দ্বারা পৃথিবীতে আর পুনর্জন্ম হয় না। 🌼
🌻👉কুরুক্ষেত্রে সূর্যগ্রহণে, চন্দ্রগ্রহণে নর্মদাতে যে ফল, কার্তিকে দীপদানে তার কোটিগুণ ফল হয়। কার্তিকে যার দ্বীপ, ঘৃত বা তিলতৈল দ্বারা প্রজ্জ্বলিত হয়, হে মুনিবর তার অশ্বমেধ যজ্ঞে কি ফল? কার্তিকে জনার্দনে দীপদান ফলে মন্ত্রহীন, ক্রিয়াহীন, শৌচহীন সকলই সম্পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়।🌼
🌻👉কার্তিকে কেশবের অগ্রে যিনি দীপ দান করেন, তার সর্বযজ্ঞ দ্বারা যজন ও সর্বতীর্থে স্নান হয়।কার্তিকে কেশবের যে পর্যন্ত দীপজ্যোতি প্রজ্জ্বলিত না হয়, সে পর্যন্ত পূণ্যসমূহ স্বর্গে, মর্ত্যে ও রসাতলে গর্জন করে। 🌼
🌻👉হে দ্বিজ ! পুরাকালীয় পিতৃগণগাথা কীর্তিত হতে শোনা যায় আমাদের কুলে পৃথিবীতে পিতৃভক্ত পুত্র জন্মগ্রহণ করবে, যে পুত্র কার্তিকে কেশবকে দীপদান দ্বারা প্রসন্ন করবে এবং চক্রপাণির প্রসাদে আমরা নিশ্চয়ই মুক্তি পাব।🌼
🌻👉মেরু ও মন্দর পর্বত সদৃশ অশেষ পাপসমূহ করলেও কার্তিকে দীপদান প্রভাবে সর্বপাপ দগ্ধ হয়- এতে কোন সন্দেহ নাই। কার্তিকে বাসুদেবের সম্মূখে গৃহে বা আয়তনে দীপদানে মহাফল বৈকুন্ঠলোক প্রাপ্ত হয়। যিনি কার্তিক মাসে মদূসুদনের অগ্রে দীপদান করেছেন, তিনিই মনুষ্যলোকে জন্ম সার্থক করেছেন। তিনি ধন্য, তিনি কীর্তিমান।🌼
🌻👉কার্তিকে অতি অল্পকাল মাত্র দীপদানের যে ফল, যজ্ঞশত দ্বারা বা তীর্থশত স্নান দ্বারা প্রাপ্য নয়। অগ্রে দীপদান করেছেন, তিনিই মনুষ্যলোকে জন্ম সার্থক করেছেন। তিনি ধন্য, তিনি কীর্তিমান। 🌼
🌻👉দামোদর ব্রতকালীন সময়ে কোন ভক্ত যদি ভগবান দামোদরের উদ্দেশ্যে একটি ঘৃত প্রদীপ দেখান তাহলে তার শত সহস্র পাপ রাশি চোঁখের এক পলকেই নষ্ট হয়ে যায়। 🌼
🌻👉কোনো ব্যক্তি যদি কার্তিক মাসে ভগবান দামোদরের উদ্দেশ্যে প্রদীপদান করে,তিনি ইতিমধ্যে সমস্ত যাগ-যজ্ঞ সম্পন্ন করেন,এবং সকল তীর্থস্থানের ফল প্রাপ্ত হন।🌼
🌻👉যিনি অন্যের নিবেদনের জন্য ঘৃত প্রদীপ প্রোজ্জ্বলন করেন ভগবান দামোদর তাকেও মহামান্বিত করেন।কার্তিক মাসে যারা শ্রদ্ধাভরে ভগবান দামোদরের অপ্রাকৃত লীলা শ্রবণ করেন তারা শত গো দানের ফল লাভ করেন।🌼
🌻👉যে ভক্ত কার্তিক মাসে ঐকান্তিক ভাবে কায়-মন বাক্যে ভগবান দামোদর অপ্রাকৃত লীলা শ্রবণ করেন, সে শত পূর্ব পুরুষকে অনায়াসে মক্ত করতে পারে।
------------------ ------ ------------------ --------
🌺চাতুর্মাস্যের চর্তুথ মাস অর্থাৎ কার্তিক মাসকে বলা হয় দামোদর মাস, কেননা এই মাসটি ভগবান দামোদর রূপের আরাধনার জন্য নির্দিষ্ট। মা যশোদা শিশু কৃষ্ণকে দাম বা রজ্জুর দ্বারা বন্ধন করেছিলেন--সেজন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি নাম হল দামোদর।
🌼দামোদর লীলায় শ্রীকৃষ্ণের বয়স ছিল ৩ বছর ৪ মাস।
🌼 #অন্যান্য_উৎসব : দামোদর মাসে দামবন্ধন লীলা ছাড়াও অন্নকূট মহোৎসব, রাধাকুন্ড ও শ্যামকুন্ডের আবির্ভাব তিথি (বহুলাষ্টমী), তুলসী-শালগ্রাম বিবাহ, গোপাষ্টমী, বলিদৈত্যরাজপূজা, ভীষ্মপঞ্চক, গিরি-গোবর্ধন পূজা ও দীপাবলি লীলাও সংগঠিত হয়েছিল।

💥💥💥💥💥💥💥💥
🔥ভগবান দামোদরের🔥 প্রদীপ দেখানোর নিয়মঃ
ঘি বা তিলের তৈল যুক্ত কর্পূর মিশ্রিত প্রদীপ দ্বারা ভক্তি সহকারে আরতি করবেন।
🙏 চরণে- ৪বার
🙏নাভীতে- ২বার,
🙏মুখমণ্ডলে- ৩বার
🙏সর্বাঙ্গে -৭বার

🔸ছেলে-মেয়ে- যুবতী- বৃদ্ধ সকলে ঘৃত প্রদীপ নিবেদন করতে পারবেন।
🔸সকাল সন্ধ্যায় অথবা উভয়ে ঘৃত প্রদীপ নিবেদন করতে পারবেন
🔸মাটির প্রদীপ একবারই ব্যবহারযোগ্য।

প্রকৃতপক্ষে স্কন্দ-পুরাণ ও অন্যান্য পুরাণ হতে আমরা জানতে পারি যে, যদি আমরা (দামোদর মাসে) শ্রীবিগ্রহগণকে প্রদীপ নিবেদন করি তাহলে ১০০০ গুণ সুফল লাভ করি এবং অন্যান্য কাজের জন্য ১০০ গুণ সুফল লাভ করি ||

সকলে ভগবান দামোদরের কৃপা লাভ করুন।
হরিবোল হরিবোল 🙏
জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙌

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

#দামোদর #দামোদরব্রত #কার্তিকমাসমাহাত্ম্য

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ১৪-১০-২০২৪ ইং তারিখ রোজ সোমবার পবিত্র পাশাঙ্কুশা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল(ব...
12/10/2024

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ১৪-১০-২০২৪ ইং তারিখ রোজ সোমবার পবিত্র পাশাঙ্কুশা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৫:৫৬-০৯:৪৮
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:৩৪-০৯:২৬
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে অাপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।

🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
আশ্বিন শুক্লপক্ষীয়া পাশাঙ্কুশা একাদশী মাহাত্ম্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে। যুধিষ্ঠির বললেন---হে মধুসূদন! আশ্বিন শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি?
তদুত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন---হে রাজেন্দ্র! আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী পাশাঙ্কুশা নামে প্রসিদ্ধা। কেউ কেউ একে পাপাঙ্কুশাও বলে থাকেন। এই একাদশীতে অভিষ্ট ফল লাভের জন্য মুক্তিদাতা পদ্মনাভের পূজা করবে। শ্রী হরির নাম সংকীর্তনের দ্বারা পৃথিবীর সব তীর্থের ফল লাভ হয়। বদ্ধ জীব মোহবশত বহু পাপকর্ম করেও ভগবান শ্রী হরির শরণাপন্ন হয়ে প্রণাম নিবেদনে নরক যাতনা থেকে রক্ষা পায়। এই একাদশীর মাহাত্ম্য শোনার ফলে নিদারুণ যমদন্ড থেকে মুক্তি লাভ হয়। শ্রী হরি বাসর ব্রতের মতো ত্রিভুবনে পবিত্রকারী আর কোন বস্তু নেই। হাজার হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ ও শত শত রাজসূয় যজ্ঞ এই ব্রতের শতভাগের একাংশের সমান হয় না। এই ব্রত পালনে স্বর্গ বাস হয়। মুক্তি, দীর্ঘায়ু, আরোগ্য, সুপত্নী, বন্ধু প্রভৃতি অনায়াসে লাভ করা যায়।
হে রাজন! গয়া, কাশী এমনকি কুরুক্ষেত্রও শ্রী হরি বাসর অপেক্ষা পুণ্য স্থান নয়। হে ভূপাল! একাদশী উপবাস ব্রত করে রাত্রি জাগরণ করলে অনায়াসে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই পাশাঙ্কুশা ব্রতের ফলে মানুষ সর্বপাপ মুক্ত হয়ে গোলোকে গমন করতে সমর্থ হয়।
এই পবিত্র দিনে যিনি স্বর্ণ, তিল, গাভী, অন্ন, বস্ত্র, জল, ছত্র, পাদুকা দান করেন, তাকে আর যমালয়ে যেতে হয় না। যারা এই সকল পুণ্য কার্য করে না, তাদের জীবন কামারশালার হাপরের মতো বিফল। নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালনে উচ্চ কুলে নিরোগ ও দীর্ঘায়ু শরীর লাভ হয়। অত্যন্ত পাপাচারীও যদি এই পুণ্য ব্রতের অনুষ্ঠান করে, তবে সেও রৌরব নামক মহা যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে বৈকুণ্ঠ সুখ লাভ করে। কৃষ্ণ ভক্তি লাভই শ্রী একাদশী ব্রতের মুখ্য ফল। তবে আনুষঙ্গিক রূপে স্বর্গ, ঐশ্বর্যাদি অনিত্য ফল লাভ হয়ে থাকে।
Follow our page/YouTube/Instagram/Twitter: GaurNitaiTV

Address

Barisal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GaurNitai TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to GaurNitai TV:

Videos

Share

Category