27/10/2023
জাহান্নামের বর্ণনা (কুরআন)
فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا وَلَنْ تَفْعَلُوْا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِیْ وَقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَۃُ ۚۖ اُعِدَّتْ لِلْکٰفِرِیْنَ
১. যদি (এখন) তোমরা তা করতে না পার, অবশ্য তোমরা কখনোই তা করতে পারবে না; তাহলে ঐ আগুনকে ভয় কর, যার লাকড়ি হবে মানুষ ও পাথর এবং যা কাফিরদের জন্য তৈরি রাখা হয়েছে। (সূরা বাকারা-০২:২৪)
وَالَّذِیْنَ کَفَرُوْا وَکَذَّبُوْا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصْحٰبُ النَّارِ ۚ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ
২. আর যারা কুফরি করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারা জাহান্নামি। সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। (সূরা-বাকারা: ০২ঃ৩৯)
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا قُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ اَهْلِیْكُمْ نَارًا وَّ قُوْدُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَۃُ عَلَیْهَا مَلٰٓئِکَۃٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعْصُوْنَ اللهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ
৩. হে ঐসব লোক, যারা ঈমান এনেছ! নিজেদেরকে ও আপন পরিবার-পরিজনকে ঐ আগুন থেকে বাঁচাও, যার লাকড়ি হবে মানুষ ও পাথর। এবং যার উপর এমন সব ফেরেশতা নিয়োগ করা হবে, যারা খুবই কর্কশ ও কঠোর; যারা কখনো আল্লাহর নাফরমানি করে না এবং যে হুকুমই তাদেরকে দেয়া হয় তা তারা পালন করে। (সূরা তাহরিম ৬৬ : ৬)
وَسِیْقَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْۤا اِلٰی جَهَنَّمَ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوْهَا فُتِحَتْ اَبْوَابُهَا وَ قَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَاۤ اَلَمْ یَاْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنْكُمْ یَتْلُوْنَ عَلَیْكُمْ اٰیٰتِ رَبِّكُمْ وَ یُنْذِرُوْنَكُمْ لِقَآءَ یَوْمِكُمْ هٰذَا ؕ قَالُوْا بَلٰی وَلٰکِنْ حَقَّتْ کَلِمَۃُ الْعَذَابِ عَلَی الْکٰفِرِیْنَ
৪. (এ ফয়সালার পর) যারা কুফরি করেছিল তাদেরকে দলে দলে দোজখের দিকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। যখন তারা সেখানে পৌঁছবে তখন দোজখের দরজাগুলো খোলা হবে। দোজখের পাহারাদার তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্যে থেকে রাসূলগণ আসেননি, যারা তোমাদেরকে তোমাদের রবের আয়াতসমূহ শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, একদিন তোমাদেরকে এ দিনটি দেখতে হবে? তারা জবাবে বলবে, হ্যাঁ, তারা এসেছিল। কিন্তু আজাবের ফয়সালা কাফিরদের উপর জারি হয়ে গেছে।’ (সূরা যুমার-৩৯ঃ৭১)
وَمَنْ يَّعْصِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَتَعَدَّ حُدُوْدَهٗ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيْهَا- وَلَهٗ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ-
আর কেহ আল্লাহ্ ও তাহার রাসূলের অবাধ্য হইলে এবং তাঁহার নির্ধারিত সীমালংঘন করিলে তিনি তাহাকে দোজখে নিক্ষেপ করিবেন ; সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং তাহার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে।
(সূরা নিসা, আয়াত:- ১৪)
وَمَنْ يُّشَاقِقِ الرَّسُوْلَ مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَـهُ الْهُدٰى وَ يَـتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ نُوَلِّهٖ مَا تَوَلّٰى وَنُصْلِهٖ جَهَـنَّمَ ؕ وَسَآءَتْ مَصِيْرًا
কাহারও নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু'মিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরিয়া যায় সেদিকেই তাহাকে ফিরাইয়া দিব এবং জাহান্নামে তাহাকে দগ্ধ করিব, আর উহা কত মন্দ আবাস!
(সূরা: নিসা, আয়াতঃ ১১৫)
বিষয় সম্পর্কে জানতে আরও দেখুন সূরা বাকারা-৩৯,৫৬, সূরা নিসা-১৪,২৬,১১৫, সূরা আনয়াম-২৭-৩১, সূরা আরাফ-৩৬-৪১,৫০-৫১, সূরা কাহ্ফ-২৯, সূরা ত্বহা-৭৪, সূরা আহযাব-৬৪-৬৬, সূরা ফাতের-৩৬, সূরা মোমেন-৭১-৭২, সূরা যোখরুখ-৭৪-৭৬, সূরা মোহাম্মদ-১৫, সূরা মুলক-৬-১১, সূরা নাবা -২১-২৬, সূরা গশিয়াহ-৭,
♥️♥️ জাহান্নামের আলোচনা (হাদীস)
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ نَبِىَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لاَ تَزَالُ جَهَنَّمُ تَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَزِيْدٍ حَتّٰى يَضَعَ فِيْهَا رَبُّ الْعِزَّةِ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى قَدَمَهٗ فَتَقُوْلُ قَطْ قَطْ وَعِزَّتِكَ وَ يُزْوَى بَعْضُهَا اِلٰى بَعْضٍ ـ (مُسْلِمٌ : بَابُ فِىْ شِدَّةِ حَرِّ نَارِ جَهَنَّمَ وَ بُعْرِهَا )
১. হযরত আনাস ইবনে মালেক "থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাঃ বলেছেন, জাহান্নাম অনবরত বলতেই থাকবে আরো (অপরাধী) আছে কি ? এমনকি শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ তায়ালা তার পা দ্বারা তাকে চেপে ধরবেন। অতঃপর জাহান্নাম বলবে, যথেষ্ট, যথেষ্ট। তোমার ইজ্জতের কসম! একাংশ অপরাংশকে নিবিষ্ট করে দিচ্ছে।
(মুসলিম ৫০৮৪)
عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُفَّتِ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ وَ حُفَّتِ الْجَنَّةُ بِالْمَكَارِهِ ـ (اَحْمَدُ : مُسْنَدِ أَبِىْ هُرَيْرَةَ)
২. হযরত আবু হুরায়রা ” থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, জাহান্নামকে লোভনীয় বস্তু দ্বারা আবৃত করে রাখা হয়েছে, আর জান্নাতকে আবৃত রাখা হয়েছে কষ্টকর কার্যদ্বারা।
(আহমাদ: মুসনাদে আবি হুরাইরা, ৭২১৬)