Voiceofasia24.com

  • Home
  • Voiceofasia24.com

Voiceofasia24.com voiceofasia24.com (A Concern of BlueSky Multimedia.) is one of the country’s leading news portal D

পবিত্র ঈদ উল আযহার ত্যাগের মহিমা আমাদের সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দ। আমাদের  এই ত্যাগ মহান আল্লাহ ক...
28/06/2023

পবিত্র ঈদ উল আযহার ত্যাগের মহিমা আমাদের সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দ।
আমাদের এই ত্যাগ মহান আল্লাহ কবুল করুন।

সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা
ঈদ মোবারক

চলছে বিয়ের মওসুম 🎷বিয়ে বাড়ীতে খেতে বসেছি ! খাবার সামনে আসতেই মনে পড়লো গিফট এনেছি ১০০০/গাড়ি ভাড়া  দিয়েছি ১০০/সবমিলি...
25/12/2022

চলছে বিয়ের মওসুম 🎷
বিয়ে বাড়ীতে খেতে বসেছি ! খাবার সামনে আসতেই মনে পড়লো গিফট এনেছি ১০০০/গাড়ি ভাড়া দিয়েছি ১০০/সবমিলিয়ে এই বিয়েতে খরচ করেছি ১১০০/সুতরাং এই খরচ খাওয়ার টেবিলেই তুলতে হবে ⚠️
এমন মনোভাব নিয়ে চিন্তা নিয়ে কয়েক জনের খাবার একা খাবো ভেবে সব আইটেম প্লেটে নিলাম । খাওয়া শেষে দেখলাম প্লেটে ৬০ ভাগ খাবারই খেতে পারিনি । এতে আমার কোন আফসোস নেই, কারণ খরচের পয়সা তো উসুল করতে পেরেছি !!
এমনটা ভেবে হাসিমুখে বিজয়ীর বেশে যখন খাবার টেবিল ছেড়ে আসছি , তখন পেছনে একজন পিতার বহু বছরের শ্রমে তিল তিল করে জমানো টাকায় মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে আয়োজন করা খাবার ।
এখানে যখন আমি বিজয়ীর হাসি হাসছি , তখন হয়তো সেই পিতা হিসাব করছেন, দুশ্চিন্তা করছেন , এই খাবার আয়োজন করতে গিয়ে হওয়া দেনা নিয়ে।
যে মুহুর্তে আমি অপচয় করে সগৌরবে অট্টহাসি দিচ্ছি , সে মুহুর্তেই হয়তো বিশ্বের নানান প্রান্তে খাবারের অভাবে বুকফাটা আর্তনাদ করছে আমারই মতো রক্তমাংসের কোন অসহায় মানুষ ।
সুতরাং , সামর্থ্য থাকলে গিফট দেবেন , না থাকলে দেবেন না । কিন্ত গিফটের পয়সা উসুলের অজুহাতে বিয়ে বাড়িতে খাবার অপচয় করবেন না প্লিজ

974 স্টেডিয়াম যেন বাংলাদেশকে না দেয়!কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে নির্মিত 974 স্টেডিয়ামটি ১৮ ডিসেম্বরের পর আর স্টেডিয়াম ...
19/12/2022

974 স্টেডিয়াম যেন বাংলাদেশকে না দেয়!
কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে নির্মিত 974 স্টেডিয়ামটি ১৮ ডিসেম্বরের পর আর স্টেডিয়াম থাকবেনা।
৯৭৪ টি সিপিং কন্টেইনার (জাহাজে মালামাল পাঠানোর কাজে ব্যবহৃত স্টিলের বিশালাকৃতির বাক্স) দিয়ে বানানো হয় এই স্টেডিয়ামটি। কাতার প্রশাসন বিশ্বকাপ শেষ হলেই স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলবে এবং তারা চায় কোন দরিদ্র দেশকে এই স্টেডিয়ামটি দান করতে। নির্মাণের সময় কাতারের টেলিফোন ডায়ালিং কোড +974 এর সাথে মিল রেখে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কয়েকজন কর্তা ইতোমধ্যে এটা পাওয়ার জন্য কাতারে গিয়ে পৌছেছেন। তারা এটি পেতে আনুষ্ঠানিক আবেদনও করেছেন।
কিন্তু একজন বাংলাদেশী হিসেবে মনে প্রাণে চাই, কাতার যেন এটা বাংলাদেশকে না দিয়ে অন্য কোন দেশকে দান করে, অন্য কোন দেশ নিতে না চাইলে তারা যেন এগুলো গভীর সমুদ্রে ফেলে দেয়! তাও বাংলাদেশেকে না দেওয়া হোক।
কিন্তু কেন?
কারণ এটা বাংলাদেশেকে দান করলে চোরের দল এটা দেশে আনতে অন্তত ৯৭৪ কোটি টাকা খরচ করবে। অথচ ২০০-৩০০ কোটি টাকায় অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম তৈরি করা যায়।
★ স্টেডিয়াম দেখতে ও খুলে আনার পরিকল্পনা করতে ১০০ জনের দল যাবে সরকারি খরচে। খরচ দেখাবে ১০০ কোটি টাকা।
★ এক বছর লাগাবে খুলে আনতে, সেখানেও খোলার খরচ দেখাবে ২০০ কোটি টাকা।
★ জাহাজ ভাড়া দেখাবে ৫০০ কোটি টাকা।
★ কন্টেইনার গুলো এনে যেখানে রাখবে এক বছরে সেই স্থানের ভাড়া দেখাবে ১০০ কোটি!
★ এগুলো ঢেকে রাখার জন্য পলিথিন কেনার খরচ দেখাবে ৫০ কোটি।
★ পাহারা দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা প্রহরীর বেতন দেখাবে ২০ কোটি।
★ তেলাপোকা মারার ঔষধ ক্রয় ২ কোটি।
★ উনি এই বিশাল 'কর্মকান্ড' ভিডিও কনফারেন্সে দেখবেন, তার খরচ হবে ২ কোটি টাকা।
সুতরাং এই স্টেডিয়াম আমরা চাইনা। এদেশে বহু স্টেডিয়াম আছে, সেগুলোতেই গরু ছাগল চড়ে বেড়ায়, আর দরকার নাই।

পর্তুগাল কে হারিয়ে সেমিফাইনালে মরক্কো।জয়ের পর এভাবেই সেজদা করছেন মরক্কোর ফুটবলার রা।নিশ্চয়ই এটা আজকের দিনের সেরা ছবি
10/12/2022

পর্তুগাল কে হারিয়ে সেমিফাইনালে মরক্কো।
জয়ের পর এভাবেই সেজদা করছেন মরক্কোর ফুটবলার রা।

নিশ্চয়ই এটা আজকের দিনের সেরা ছবি

10/12/2022

ওরে মার্কেটিং রে:
ট্রেনের কামরায় গাদাগাদি ভিড়। এক ভদ্রলোক একটি অ্যাটাচি নিয়ে উঠলেন। তিনি হকার নন। অধ্যাপক টাইপ চেহারা।
প্রশ্ন করলেন -- আচ্ছা পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজদৌলার পরাজয়ের কারণ কি?
সকলেই চুপ করে শুনতে থাকলেন তার কথা। কেউ কোনও কথা বলছেন না দেখে তিনি আবার শুরু করলেন --
পলাশীর প্রান্তরে সেদিন নবাব সিরাজদৌলার সৈন্য ছিল অনেক। লর্ড ক্লাইভের সৈন্য অল্পসংখ্যক থাকা সত্বেও নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। আপনারা বলবেন যে জগৎ শেঠ, মীর জাফরদের গাদ্দারির কারণে নবাব পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই ইতিহাস সবটাই সত্য নয়। সত্য ইতিহাস জানতে হবে।
একজন কৌতূহলী যাত্রী জানতে চাইলেন -- তবে সত্য ইতিহাসটা কি?
সত্য ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। ক্লাইভ দূরবীন দিয়ে নবাবের সৈন্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করলেন। পলাশীর আমবাগান তখন শূন্য। মীর জাফর তার আয়ত্তাধীন সৈন্য নিয়ে কেটে পড়েছে। ক্লাইভ তো অবাক। নবাবের সৈন্যরা তবে গেলো কোথায়? নিশ্চয়ই কোনও চাল খেলেছে।
হঠাৎই নজর পড়লো আমগাছের দিকে। একটি ডাল নড়ে উঠল। ক্লাইভ এবার দেখল যে নবাবের সৈন্যরা আমগাছের ডালে ডালে বসে আছে। নিচ দিয়ে যেতে গেলেই তারা গেরিলা আক্রমণ করবে বলে প্রস্তুত।
ক্লাইভ কাছাকাছি না গিয়ে দূর থেকে কামান আর বন্দুক তাক করলো। ফলন্ত গাছ থেকে আমের সাথে সাথে টুপটুপ করে ঝরে পড়তে লাগল নবাবের সৈন্য। আহ!
ভদ্রলোকের বলার ভঙ্গিতে যাদু ছিল। সকলেই মন দিয়ে শুনছিলেন তার কথা। তিনি আবার বলে উঠলেন --
নবাবের সৈন্যরা সকলেই ইংরেজদের হাতে মারা পড়লেন, কিন্তু আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে। আমগাছের ডাল সেদিন নড়ে উঠল কেন? কি ছিল ষড়যন্ত্র?
যাত্রীদের সকলের মনে প্রশ্ন জেগে উঠল। তাই তো, আমগাছের ডাল নড়ে উঠল কেন? গাছের ডাল না নড়লে তো ক্লাইভের নজরে আসত না সৈন্যদের অবস্থান!
ভদ্রলোক বললেন --
কেন নড়ে উঠেছিল গাছের ডাল? কে বলতে পারবেন?
যথারীতি সকলেই চুপ করে থাকলেন। ভাবগতিক এমন যে; আমরা জানি না, আপনিই বরং বলে দিন।
তিনি তখন এটাচি খুললেন। একটি জিনিস বার করে সকলকে দেখিয়ে বললেন --
ডাল নড়ে ওঠার কারণ ছিল -- চুলকানি। দাদ। চর্মরোগ। বড় মারাত্মক এই রোগ, বুঝলেন? নবাবের এক সৈন্যের ছিল চুলকানি। এই চুলকানির জন্যই সেদিন ডাল নড়ে উঠেছিল। ডাল না নড়লে ক্লাইভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
আমি এনেছি চুলকানির মলম। মাত্র ত্রিশ টাকা দাম।
🤣🤣🤣🤣🤣

10/12/2022
https://www.youtube.com/watch?v=ruoXdZSDm-c
08/07/2022

https://www.youtube.com/watch?v=ruoXdZSDm-c

আলহামদুলিল্লাহ, আরাফাতের ময়দানে বাংলায় খুতবালাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইক আলা..শারিকালাকা লাব্বাইক...

https://www.youtube.com/watch?v=BQxC9b7k6-k&t=31sমালয়শিয়া বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভ্রমন
08/07/2022

https://www.youtube.com/watch?v=BQxC9b7k6-k&t=31s
মালয়শিয়া বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভ্রমন

মালেয়শিয়া বোটানিক্যাল গার্ডেন ভ্রমন

09/05/2022

বর্তমান যুগের প্রেম যদি সম্রাট শাহজাহান দেখতো🙈 তাহলে তাজমহল ভেঙে .. তাজ আবাসিক হোটেল বানাইতো
🤪🤪🤪

লেখাটা পড়তে গিয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে : জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে। দর...
25/04/2022

লেখাটা পড়তে গিয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে :
জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে। দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে । তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালার সাথে দেখা করে আসি।
তিনি তখন খুবই উল্লসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত । বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো ।
জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে । এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো । তারপর আরো আলো ।
জান্নাতীরা তখন উল্লসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহকে দেখেছি ?’
না, আমরা সে পথেই ছুটছি । ফেরেস্তা বলবেন ।
হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ -
* আস সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ *
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের ।
খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!!
আল্লাহু আকবার ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন,
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী ।
তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা জিজ্ঞেস করবেন,
তোমরা কি খুশী ? তোমরা কি সন্তুষ্ট ?
ও আল্লাহ, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন ! আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে !
জান্নাতীরা জবাব দিবেন ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন,
তোমাদের আর কি চাই ?
তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ) বলবেন- আর কিছু চাই না ।
না না । আজ তো দেয়ার দিন । আমি আরও দিব । বলো কি চাই ।
তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ) সমস্বরে বলে উঠবেন-
ও আল্লাহ, আমরা আপনাকে দেখতে চাই ।
আপনাকে দেখি নি কখনও । আপনাকে আমরা ভালবাসি ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন ।
সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি । চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন । সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন । যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছেন । কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন । খুব বিপদে কেউ নেই পাশে, কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন।
পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্হা যিনি করেছেন । কত চাওয়া, মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন ।
কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি । একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন । বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন । মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ...
সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে নবীজী বলেছেন , পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি , আমরা আল্লাহ সুবহানুওতায়ালাকে তেমনি দেখব । ইনশাআল্লাহ ।
এ যে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামাহ্ !
💕ইয়া আল্লাহ - স্বল্প সংখ্যক সেই মহা সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আমাদের নামটা যোগ করে দিন ।আমিন👏
সংগৃহীত

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রাপ্ত একজন কয়েদি আর তাঁর প্রার্থণার শক্তিঃ খাবার দিতে গিয়ে দেখি উনি সেলের এক কোনে জায়নামাজে বসে আছেন...
15/04/2022

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রাপ্ত একজন কয়েদি আর তাঁর প্রার্থণার শক্তিঃ
খাবার দিতে গিয়ে দেখি উনি সেলের এক কোনে জায়নামাজে বসে আছেন। পায়ের শব্দে চোখ উপরে তোলেন। অশ্রুসজল চোখ। শান্ত স্বভাব। ধীর স্থির।
মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের এই সেলে নিয়ে আসা হয়। আর আমার মতো যাদের হৃদয় পাথরের মতো শক্ত- তাদেরকেই এই সেলে পাহারায় নিযুক্ত করা হয়। উনার বিরুদ্ধে মামলা খুবই শক্ত। খুনের আসামী। নিম্ন আদালতে মৃত্যদণ্ডের আদেশ হয়েছে। এখন উচ্চ আদালতে রায় বহাল থাকলেই উনার ফাঁসি কার্যকর হবে।
আসামীর প্রতি আমার আচরণ যত কঠোর। উনার আচরণ ঠিক ততোই কোমল। আমার সুদীর্ঘ ত্রিশ বছরের কারারক্ষী জীবনে অনেক খুনিকে দেখেছি। খুনির চোখ দেখে চেনা যায়। কিন্তু উনার চোখ দুটো বড়ই নিষ্পাপ।
উনি আমাকে সালাম দেন। অশ্রুসজল চোখেও একটু স্মিথ হাসেন। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়- এমন নরম স্বভাবের একজন মানুষ এরকম ভয়ঙ্কর খুনি হতে পারে।
আমি সরাসরি জিজ্ঞাসা করি -খুনটা আপনি কেন করলেন?
তিনি কোরআন শরীফ থেকে সুরা মায়েদার একটা আয়াত আরবিতে পাঠ করে বলেন- নিরাপরাধ কোনো ব্যক্তিকে কেউ হত্যা করলো- মানে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলো মানে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রাণ রক্ষা করল। এরপর তিনি বলেন- তিরমিজিতে একটা হাদিস আছে- ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ তাই মানুষ খুনের মতো এমন নৃশংস, জঘন্য অপরাধ আমি কেমন করে করতে পারি। উনার কন্ঠ ভারাক্রান্ত হয়।
জীবনের বায়ান্ন বছর বয়সে এই প্রথম বুঝতে পারি- আমার মতো পাথর হৃদয়ের মানুষের মনও নরম হয়।
আচ্ছা- তাহলে এই খুনের মামলায় প্রধান আসামি হিসাবে আপনি জড়িয়ে পড়লেন কেমন করে?
ঘটনা সত্য - একজন প্রভাবশালী মানুষ খুন হয়েছে এবং কাকতালীয়ভাবে এই খুনের ঘটনা থেকে আমি মাত্র কয়েক কদম দূরে ছিলাম। যারা খুন করেছে- তারা আরো প্রভাবশালী। আর আমার মতো এক দূর্বল মানুষকে ফাঁসিয়ে দিয়ে ওরা বেঁচে গেছে আর নিয়তি আমাকে এই নির্জন সেলে নিয়ে এসেছে।
আপনার আত্মীয় স্বজনরা কোনো চেষ্টা করেনি। উকিলরা আপনার পক্ষে দাঁড়ায়নি।
ওরা যে যেভাবে পারে চেষ্টা করছে। আমাকে বাঁচাতে একটুকরো ভিটে ছিলো- সেটা বিক্রি হয়েছে। বউ ছোট দুই সন্তান নিয়ে গৃহহীন হয়েছে। বৃদ্ধা মা আগে থেকেও কম দেখতেন। আমার জন্য কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধ মায়ের চোখ দুটো এখন আর আলো দেখে না। কিন্তু বিচার, কোর্ট, আদালত, সমাজ, সংবাদ এসবতো আমার মতো দূর্বলের পক্ষে না। তাই, আমার যত দ্রুত ফাঁসি হবে- ওরা সবাই তত দ্রুত বেঁচে যাবে। কিন্তু আমি জানি আমি নির্দোষ। তাই উচ্চ আদালতে আমি পিটিশন দায়ের করেছি। আমার উচ্চ আদালত হলো- আমার আল্লাহ। উনি সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী। আমার নিয়তিতে যদি ফাঁসি লেখা থাকে সেটা হবে। আর যদি আমার মুক্তি লেখা থাকে তবে সেটাও হবে। আমার জীবন মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। সবকিছুই আমি আমার রবের উপর ছেড়ে দিয়েছি।
পরদিন উনার স্ত্রী দুই পুত্র সহ উনার মাকে নিয়ে দেখা করতে আসেন। সবাই অনবরত কাঁদছে। বৃদ্ধা মায়ের হাত দুটো ছেলের মুখের উপর হাতড়ে বেড়াচ্ছে। মা ছেলের মুখে, ঠোঁটে, গালে, মাথায় চুমু খাচ্ছেন। পিতা চুমু দিচ্ছে তার নিষ্পাপ দুটো সন্তানের মুখে। সুদীর্ঘ সময়ের কারারক্ষী জীবনে এই প্রথম আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ে। বুকের ভিতরটা মোচড়ে ওঠে।
তিনি মাকে বলেন- মা পিটিশনতো দিয়ে রেখেছি। উচ্চ আদালতে। আল্লাহর আরশে। এই যে আমার মুখের সাথে তোমার লেগে থাকা হাত দুটো যত কাছে । উনি তার চেয়েও কাছে মা। উনি খুব কাছে। উনি সব দেখছেন মা। কোনো কিছুই তার পরিকল্পনার বাইরে না। আমি আমার দুটো অবুঝ সন্তানের মতো নির্দোষ আর নিষ্পাপ মা।
আল্লাহর উপর বিশ্বাস আমি অনেক পড়েছি, অনেক গল্প শুনেছি। কিন্তু এমন দৃঢ় বিশ্বাস জীবনে এই প্রথম দেখলাম। কয়েকদিন কেটে গেলো। যখনই খাবার দিতে যাই। দেখি উনি জায়নামাজে আছেন। অথবা সিজদায় পড়ে রয়েছেন। হাইকোর্টে চূড়ান্ত রায় নিষ্পত্তির আগে এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।
যে লোক এই নিরাপরাধ মানুষটিকে খুনের মামলায় জড়িয়েছিলো- তার গাড়ী এক মারাত্মক দূর্ঘটনায় পড়ে। ঘটনাস্থলেই স্ত্রী, পুত্র মারা যায়। অজ্ঞান অবস্থায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কয়েক ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে আসলে সে জানতে পারে- দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী-পুত্র মারা গেছে। এটা শুনার পর তার অবস্থায় আরো অবনতি ঘটে। সে বুঝতে পারে- জীবনের সব কিছু দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ধন, দৌলত, ঘর বাড়ি, ক্ষমতা কোনো কিছুই তার আর কাজে লাগবেনা। যে কোনো সময় সে মারা যাবে। তাই, নিজে খুন করে আরেকজনকে খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে সে আল্লাহর কাছে এতো বড় পাপ নিয়ে যাবে কেমন করে। সেখানেতো আর কোনো কোর্ট, হাইকোর্ট নেই। হয়তোবা জীবনে সে এমন কোনো কল্যাণ করেছে যার জন্য আল্লাহ তাকে একটা শেষ সুযোগ করে দিয়েছেন। মৃত্যু শয্যায় শুয়ে সে চীৎকার করে বলতে থাকে - সব মিথ্যা, সব মিথ্যা। সত্য হলো- আব্দুল বাতিন নির্দোষ। আর আমিই সেই খুনি।
কোর্টে আব্দুল বাতিনকে বেখুসুর খালাস দেয়া হয়। কোর্টে দাঁড়িয়ে বুঝলাম- যারা নির্দোষ আর যারা গভীরভাবে আল্লাহকে বিশ্বাস করে- আল্লাহ তাদের এভাবেই রক্ষা করেন। উনাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আমি বলি - কারারক্ষি হিসাবে আমার চাকরিরও শেষ দিন গনিয়ে আসছে। আমাকে আপনি এমন কিছু বলুন যা আমি সারাজীবন মনে রাখতে পারি। উনার কথাগুলো হুবুহু নীচে তোলে ধরলামঃ
আল্লাহর চেয়ে আপনজন আর কেউ নেই। জীবনের কঠোর সংকটময় দুঃসময়ে শুধু না যে কোনো সময় তার কাছে চান এবং হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করুন -তিনি আপনার ডাক শুনছেন। আল্লাহ শুধু একটা নাম বা ইমাজিনারি সত্তা না। তিনি এক জীবন্ত বাস্তবতা। ঘাড়ের শিরার চেয়ে তিনি মানুষের সন্নিকটে। আর , আল্লাহ এমন ভাবে মানুষকে সাহায্য করেন পৃথিবীর কোনো উইসডম দিয়ে তার ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।
আব্দুল বাতিন দু হাতে তার দু সন্তানকে ধরে হাঁটেন। পিছনে স্ত্রী আর মা। আমি বিস্ময়ভরা চোখে যেন আল্লাহর এক অলৌকিক নিদর্শন দেখি। খার্তুম কোর্টে সেদিন আমি শুধু আব্দুল বাতিনের ঈমান দেখিনি। আমি শুধু তাঁর দোয়ার শক্তি দেখিনি। একজন নিরাপরাধ মানুষের অলৌকিক মুক্তি দেখি। এই দিন আমি নতুন করে মুসলমান হয়েছি । এই দিন আমি আমার আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছি।
(আরিফ মাহমুদ)

বাতাস লেগে গর্ভবতী  ? একজন ডাক্তারের স্ট্যাটাসআজকে চেম্বারের শেষ রোগী দেখলাম,15  বৎসরের একটা মেয়ে.... অবিবাহিত।রোগী'র ক...
24/03/2022

বাতাস লেগে গর্ভবতী ?
একজন ডাক্তারের স্ট্যাটাস
আজকে চেম্বারের শেষ রোগী দেখলাম,15 বৎসরের একটা মেয়ে.... অবিবাহিত।
রোগী'র কমপ্লেইন হলো,গত ৩মাস যাবত তার পিরিয়ড বন্ধ এবং সাথে এক ডাক্তারের ৩মাস পূর্বের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে অভিযোগ করলো, ঐ ডাক্তারের ঔষুধ খেয়েই তার এই সমস্যা হইছে!
পেসক্রিপসনে দেখলাম UTI-এর চিকিৎসা দেওয়া।রুগী ও তার মা'কে বুজানো'র চেষ্টা করলাম যে, ঐ ঔষুধ গুলোতে এই রকম হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই। ব্যার্থ হলাম... তারা তাদের অভিযোগেই অটল। যা হোক,কথা না বাড়িয়ে একটা তলপেটের USG ও প্রস্রাবের রুটিন পরিক্ষা করতে বললাম।
USG করতে গিয়ে দেখি ..১২সপ্তাহের Pregnancy ....আমি অবাক হলাম না, এই রকম অনেক দেখেছি! মেয়ে এবং তার মা'কে বলার সাথে সাথে মেয়ে লাফ দিয়ে উঠলো USG বেড থেকে,'কি বলেন এইসব? আম্মা গো, আম্মা এই ডাক্তার এই সব কি বলে! কি ভাবে সম্ভব!!
আম্মা বিশ্বাস করো...ডাক্তার সাব বিশ্বাস করেন,আমার এই রকম কোন কিছুই ছিলো না।আল্লাহ্ গো আল্লাহ্ ..তুমি আমারে একি শুনাইলা....' কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার দশা।
মা'র দিকে তাকালাম দৃষ্টি দেখে মনে হলো,দুনিয়াতে নাই। বললাম, 'মেশিনে যা দেখা যাচ্ছে, যা সত্যি, তাই আমি বলছি...এতে কোন ভূল নেই।
এইবার আমার অবাক হবার পালা...
মা বলছেন,' ঐ তুই কাঁদিসনা..কাঁদিসনা, বাতাসে এই রকম হইছে ...আলগা বাতাস.. খারাপ বাতাসে, কাঁদিসনা... এইবার মেয়ে সুযোগ পেয়ে গেলো,'হ..আম্মা ..হ, আমি তোমারে ৩মাস আগে একবার বলছিলাম না?
আমি ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় একটা কি রকম জানি বাতাস আমার গায়ে লাগছিলো,তখন থেকেইতো আমার শরীর অসুস্থ হইতে শুরু করলো..না..আম্মা?
ডাক্তার সাব, এখন এইটা কি করা যাইবো...আল্লাহ্ গো তুমি আমারে মাইরা ফালাও.. উঠাইয়া নাও.... আমি দেখলাম বিপদ.. এতো চেম্বারই উঠাইয়া ফেলতেছে, "শুনেন বাতাসে হইছে না কিসে হইছে এটা আমার জানার দরকার নাই..আপনার পেটে বাচ্চা আছে এটাই এখন সত্যি..আর MR করানোর সময়ও পার হয়ে গেছে।
আরও কিছুক্ষন কান্নাকাটি - রোনাজারি'র পর চেম্বার থেকে তারা বের হয়ে যাওয়ার সময়, মেয়ের মা'কে ডেকে বল্লাম,'শুনেন এইসব আলগা বাতাস-টাতাস বাদ দিয়ে.. কার বাতাসে হইছে, মেয়ের থেকে বের করেন ও পারলে ওই বাতাসের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। মা,'হ..বুজছি ..' বলে হন হন করে হাটা দিলেন। আমি বসে বসে কিছুক্ষন ভাবলাম,'হায়রে বাতাস।
এ কেমন বাতাস।।।
(কার্টেসি) Collected.

এর থেকে পবিত্র দৃশ্য আর কি হতে পারে। 🌼🤍
20/03/2022

এর থেকে পবিত্র দৃশ্য আর কি হতে পারে। 🌼🤍

26/02/2022

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
দেশের স্বনাম ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান BlueSky Communications, Dhaka এর কর্পোরেট ইভেন্টে কাজ করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক উদ্যামী তরুন তরুনীকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই ঢাকাতে থাকতে হবে।
যোগ্যতাঃ
১. কমপক্ষে যে কোন বিষয়ে অনার্স কম্পিলিট থাকতে হবে।
২. প্রার্থীকে স্মার্ট আধুনীক ও রুচীশীল হতে হবে।
৩. কর্পোরেট ইভেন্টে কাজ করার অভিজ্ঞদের অগ্রধিকার দেওয়া হবে।
৪. নিজস্ব ল্যাপটপ থাকতে হবে।
৫. কর্পোরেট কাস্টোমারদের সাখে মিটিং ও তাদেরকে ম্যানেজ করার কার্য ক্ষমতা থাকতে হবে।
৬. বেতন ভাতা আলোচনা সাপেক্ষে
আগ্রহীদের অতিসত্তর নিন্মোক্ত ইমেলে সিভি প্রেরণ করার জন্য বলা হলো e-mail: [email protected]

26/12/2021
1. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-যে ব্যক্তি আমার চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতের কাছে পৌঁছাবে, তার জন্য আমি কিয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে...
06/11/2021

1. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-
যে ব্যক্তি আমার চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতের কাছে পৌঁছাবে, তার জন্য আমি কিয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে সুপারিশ করব।"
2. মানুষের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করে এবং উহার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। "
🌸
3. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হচ্ছে রোজা।"🌸
4. যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।"🌸
5. যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠা বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।"🌸
6. তুমি যত সিজদা দিবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দিবেন।"🌸
7. সুরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ঔষধ"
🌸
8. হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ইমান রাখতে।"🌸
9. রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।"🌸
10. রাসুল (সাঃ) বলেছেন:
কিয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে, এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।"
(সহীহ মুসলিম :১৯৬)🌸
11. যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে, কেয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার সাওয়াব দান করবেন।" 🌸
12. যে ব্যাক্তি ফযরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেলো। "🌸
13. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন__🌸
রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।"
(মুসনাদে আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬)🌸
14. নবীজি বলেছেন__🌸
রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
15. যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।🌸
16. রাসূল (সাঃ) বলেন--
যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যর্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।
(তিরমীজি-৫/৫০২)🌸
17. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন-
একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করে জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।"
(বুখারীঃ৬০২৩)🌸
18. যদি ভালো হতে চাও তবে সর্ব প্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।"
🌸
19. তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরের দিন ঐ রাস্তা তোমার নামে সাক্ষি দিবে।
🌸
20. তোমরা সবসময় ওযু করো কারণ কিয়ামতের দিন, যারা ওযু কারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।
🌸
21. যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।"
🌸
22. যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।🌸
23. যে মহিলা গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে তার গর্ভের ঐ সন্তান এক জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।"
🌸
24. চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম🌸
25. রাসূল (সাঃ) বলেছেন,_______
"জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল
হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।"
(সহীহ মুসলিম -- ২৬০)🌸
26. যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়!🌸
27. তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করো না।🌸
28. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন🌸
- তোমরা বিপদে পরে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ" যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন🌸
29. সূরা ইয়াসিন কে কোরআনের হৃদয় বলা হয়।
__হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)🌸🌸
30. মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান🌸
31. যে অন্যের‍ বাবা- মা কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা মাকেই গালি দিলো।
🌸
32. রাসূল (সাঃ) বলেছেন🌸
- আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে...!🌸
33. মানুষ যদি মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো তাহলে মানুষ মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত..!
🌸
34. মহানবী (সাঃ) বলেছেন : সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।,🌸
(মুসলিম-৯১০)🌸
35. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।🌸
(আবু দাউদঃ-৪১০১)
36. কবরের ভিতরের প্রথম চাপ
পৃথিবীর সকল কষ্টকে হার মানিয়ে দিবে।
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)🌸
37. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
- সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ৯১🌸
38. কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।"
🌸
39. নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।"🌸
(আবু দাউদ-৪৮০৭, সহীহ) 🌸
40. কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্বরন করে।"🌸
আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সঠিক জ্ঞান এবং বুঝার তৌফিক দান করুন এবং আমাদেরকে এই সমস্ত হাদিসসমূহর উপর আমল করতে সাহায্য করুন I🌸
🌸(আমিন) آمين।🌸

25/10/2021

'এই সমস্ত লোকদেরকে এড়িয়ে চলুন'

১.ভাবী, আপনি বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না। দেখে মনে হয়, মাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছেন! সিরিয়াসলি!

২. ভাবী, একটা কথা বলবো অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু ঠোঁটের উপর তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়ে দিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!

৩. মন খারাপ কেন ভাবী, ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!

৪. একটা কথা বলি আপু, কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলে যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!

৫. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানায়! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি!

৭. জন্মদিনে এবার কী কী করলেন আপনারা?
আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!

কী যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!

বাস্তবতার চরম সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ, পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ, পরিচিত বিবাহিত মেয়েদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য" বলে মনে হয়।

কিন্তু এর গভীরে যে কত বড় লম্পট, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে থাকে, খেয়াল না করলে বুঝতেই পারবেন না। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!

যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তু নিজের স্বামীকে অনেক ভালোবাসে।

পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা, "আমি হলে আপনার পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবে, আমার স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো পুরুষ পাইতাম!

যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছে, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করে না, সে মহিলাও যখন পরপুরুষ কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনে তখন সে মহিলা আবেগে প্ররোচিত হয়ে পরপুরুষ কুলাঙ্গারটিকে আপন ভেবে ভূল করতে শুরু করে!"

আর বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখে আর ভাবতে থাকে, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর আমার স্বামী আমার সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো না!

এভাবেই শুরু হয়, পৃথিবীর ঘৃণতম, ধিকৃত, নিকৃষ্টতম সম্পর্ক। এই নিকৃষ্টতম সম্পর্ক ধ্বংস করে দিতে পারে একটা হাসিখুশি সুখী পরিবারকে! নষ্ট করে দিতে পারে অবুঝ নিষ্পাপ কোমলমতি আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ!

যদি জীবনে সুখী হতে চান, এ সমস্ত কুলাঙ্গারদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল্লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। যার পরিণতি ‍শুধু তখনই বোঝা যায় যখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়, আর ফাঁদে ফেলা কুলাঙ্গারটি সুকৌশলে সঁটকে পড়ে...

আল্লাহু আকবার!আযানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অলৌকিক গনিতের খেলা!এই আযানের এই তথ্যগুলো পড়ার পর   আপনি বাকরুদ্ধ হবেন আর আল্লাহ...
23/10/2021

আল্লাহু আকবার!
আযানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অলৌকিক গনিতের খেলা!
এই আযানের এই তথ্যগুলো পড়ার পর আপনি বাকরুদ্ধ হবেন আর আল্লাহর উপর আপনার ঈমান বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ!

১। আযানের ১ম শব্দ হল আল্লাহ এবং শেষ শব্দ ও হল আল্লাহ, এর মানে আল্লাহই শুরু এবং আল্লহই শেষ!

২। আযান শব্দটি পবিত্র কুরআনে সর্বমোট রয়েছে ৫ বার! আর আমাদের প্রতিদিন নামাজ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি!

৩। আযানের মধ্যে সর্বমোট শব্দ হল ৫০ টি! আর আল্লাহ মিরাজের সময় হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে সর্বপ্রথম ৫০ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ দিয়েছিলেন!
পরে তা কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত করা হয়! আর সহীহ হাদিস বলে একজন ব্যাক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাকে ৫০ ওয়াক্তের সাওয়াব দিবেন!

৪। আযানের মধ্যে সর্বমোট ১৭ টি ভিন্ন অক্ষর রয়েছে!
আর আমাদের প্রতিদিন ফরজ নামাজ হল ১৭ রাকাত!

ফজর ২ + জোহর ৪ + আসর ৪ + মাগরিব ৩ + এশা ৪
মোট ১৭ রাকাত!

৫। আযানের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাবহৃত শব্দ হল ( আল্লাহ)
আল্লাহ শব্দের আলিফ অক্ষরটি সম্পূর্ণ আযানে আছে মোট ৪৭ বার, লাম অক্ষরটি ৪৫ বার এবং হা অক্ষরটি ২০ বার!

সুতরাং ৪৭+ ৪৫ + ২০ = ১১২
আর পবিত্র কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা হল সূরা ইখলাস! যে সূরায় আল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়েছেন!

আমরা আজানের প্রতিটি লাইনের উত্তর দিব এবং আজানের শেষে দুয়া পড়বো।
পরবর্তীতে আমরা নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিব।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন।
(আমিন)

19/10/2021

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (আরবি: مَوْلِدُ النَبِيِّ‎‎ মাওলিদু এন-নাবীয়ী, আরবি: مولد النبي মাওলিদ আন-নাবী, কখনো কখনো সহজভাবে বলা হয় مولد মাওলিদ, মেভলিদ, মেভলিট, মুলুদ আরো অসংখ্য উচ্চারণ; কখনো কখনো: ميلاد মিলাদ) হচ্ছে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের পালিত একটি উৎসব। হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর বারো তারিখে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশি মুসলমানরা এই দিনকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী বলে অভিহিত করি। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কাছে এই দিন নবী দিবস নামে পরিচিত।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট বা আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। ৮ই জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে রবিবারে বা ১১ হিজরি সালের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সন্ধ্যায় তিনি মদিনায় আয়িশার গৃহে মৃত্যুবরণ করেন।

হিজরী ৪র্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে মিলাদুন্নবীর প্রচলন শুরু হয়। রাসূল (সাঃ) এর জন্মদিন পালনের মূল প্রর্বতক ছিল খলীফা আল মুয়িজ্জু লি-দীনিল্লাহ। এখানে উল্লেখ্য যে, মিশরের এইসব অনুষ্ঠানাদি তখনো মুসলিম বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েনি। পরবর্তীতে যিনি ঈদ-ঈ-মিলাদুন্নবীকে মুসলিমবিশ্বের অন্যতম উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি হলেন, ইরাক অঞ্চলের ইরবিল প্রদেশের আবু সাঈদ কুকবুরী । সে হিসেবে জানা যায়, ৭ম হিজরী থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মিলাদ (ঈদ-ঈ-মিলাদুন্নবী) উদ্যাপন শুরু হয়। মিলাদের উপর সর্বপ্রথম গ্রন্থ রচনা করে আবুল খাত্তাব ওমর ইবনে হাসান ইবনে দেহিয়া আল কালবী ।

মহানবী হজরত মুহম্মাদ (সা.) ছিলেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য এক অনুপম আদর্শ। তিনি ছিলেন শিশুর আদর্শ, যুবকের আদর্শ, সৈনিকের আদর্শ, সেনাপতির আদর্শ, স্বামীর আদর্শ, পিতার আদর্শ, নানার আদর্শ, ব্যবসায়ীর আদর্শ, শিক্ষকের আদর্শ ও রাষ্ট্রনায়কের আদর্শ। পৃথিবীর অন্যকোনো মহামানবের ভেতরে এমন অপুর্ব দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না, যার সমাহার ও সংমিশ্রণ শুধু এই মহামানবের জীনাদর্শেই বিদ্যমান। তাঁর অনুসরণ-অনুকরণ করার মধ্যে মানব জীবনের ঐকান্তিক সফলতা নিহিত। রাসুল (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছেন সচ্চরিত্রের বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তই প্রেরণ করা হয়েছে।’ (জামেউল আহাদিস : ৬৭২৯)
মানব জাতির আদর্শ রাসুল (সা.) ছিলেন সৃষ্টির সেরা মানুষ। নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকরাও অকপটে স্বীকার করেছেন যে মুহাম্মাদ (সা.) সর্ব কালের, সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব। রাসুল (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা কালাম, আয়াত : ৪)। অর্থাৎ নৈতিক চরিত্রের সর্বোচ্চ মানের ওপর আপনি অধিষ্ঠিত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নৈতিক চরিত্রের মান নিয়ে মক্কার মুশরিকদেরও অভিযোগ ছিল না। তাঁর বিশ্বস্ততা ও উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের ছিল না কোনো দ্বিমত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা দিয়ে হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘কোরআনই ছিলো তাঁর চরিত্র।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) দুনিয়ার তাবৎ মানুষের সামনে শুধু কোরআনের শিক্ষাই পেশ করেননি। বরং তিনি নিজেকে কোরআনের জীবন্ত নমুনা হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। কুরআন মজিদে যে নৈতিক গুণাবলীকে উৎকৃষ্ট কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব গুণে তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ গুণান্বিত।

প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি চরম শত্রুকেও ক্ষমা করে দিতেন। মক্কা বিজয়ের দিনে রাসুল (সা.) মক্কার লোকদের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘হে কুরাইশরা! তোমরা আমার কাছ থেকে আজ কেমন ব্যবহার আশা করো?’ তারা বলল, সম্মানিত ভাই ও ভ্রাতুষ্পুত্রের মতো! তিনি বললেন, ‘তোমরা চলে যাও! আজ তোমরা মুক্ত!’ যারা একসময় তাঁকে অনেক অত্যাচার-নির্যাতন, সামাজিকভাবে বয়কট করা এমনকি হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল, অথচ তিনি তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন! এভাবেই সহনশীলতা তাঁর চরিত্রকে নিয়ে গিয়েছিল এক অনন্য উচ্চতায়। রাসুল (সা.) একবার সাহাবিদের সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলেন। এমন সময় একজন বেদুঈন এসে সেখানে পেশাব করা শুরু করলে সাহাবিরা তাকে ধমক দিয়ে থামতে বললেন। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে ছেড়ে দাও; বাধার সৃষ্টি করো না।’ তারপর তিনি লোকটিকে ডেকে বললেন, ‘এটা মসজিদ, এ স্থান অপবিত্রতা কিংবা পেশাব পায়খানার জন্য উপযুক্ত নয়।’ অতঃপর রাসুল (সা.) একজনকে বললেন, তুমি পানি ভর্তি একটা বালতি নিয়ে আসো। এরপর এর ওপর ঢেলে দাও। তিনি বালতিতে পানি এনে তার ওপর ঢেলে দিলেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১২৯৮৪)
পেশাব আটকে রাখলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে, এই চিন্তা থেকে রাসুল (সা.) লেকটিকে পেশাবের মাঝে বাঁধা দিতে নিষেধ করেন। এবং মসজিদে পেশাব করার সাময়িক অনুমতি দেন। যারা উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন, তাদের জন্য এটি একটি শিক্ষণীয় ঘটনা। ভিন্নমতাবলম্বী মানুষের সঙ্গে ইসলাম কী ধরনের ব্যবহার করতে বলেছে, তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এখানে বিদ্যমান।

রাসুলে করিম (সা.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে সবার জন্য অনুসরণীয় ও মুক্তির কান্ডারী হিসেবে। আল্লাহর ভালবাসা প্রাপ্তি মহানবীর পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের ওপর নির্ভরশীল। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘হে রাসুল! তুমি লোকদের বলে দাও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো। তাহলে আল্লাহও তোমাদের ভালবাসবেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩১)। রাসুলকে ভালোবাসার নিদর্শন হচ্ছে তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সব লোকই জান্নাতি হবে অস্বীকারকারী ছাড়া। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! অস্বীকারকারী কে? রাসুল (সা.) বললেন, যে আমার অনুসরণ করবে, সে জান্নতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার নাফরমানি করবে, সেই অস্বীকারকারী।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৮৫১)

আজ এই পবিত্র দিনে আমাদের অঙগীকার হোক “ধর্ম নিয়ে নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি, নবী (সঃ) এর দেখানো পথে জীবন গড়ি ।”

লাভ কিরে ভাই....? বাইকে চড়িয়ে ফুচকা খাইয়ে, বাবর পকেটের টাকা চুরি করে নিজের পকেট করবা ফাঁকা!ট্রফি নিয়ে চলে যাবে, পাশের বা...
19/10/2021

লাভ কিরে ভাই....?
বাইকে চড়িয়ে ফুচকা খাইয়ে, বাবর পকেটের টাকা চুরি করে নিজের পকেট করবা ফাঁকা!
ট্রফি নিয়ে চলে যাবে, পাশের বাড়ির কাকা 🤣😂

কোন এক গ্রামে অনেক বানর ছিল। একদিন সেখানে এক দরবেশ বাবার আবির্ভাব ঘটলো। তিনি তার বিশাল শাগরেদ দল নিয়ে গ্রামে আস্তানা গাড়...
18/10/2021

কোন এক গ্রামে অনেক বানর ছিল। একদিন সেখানে এক দরবেশ বাবার আবির্ভাব ঘটলো। তিনি তার বিশাল শাগরেদ দল নিয়ে গ্রামে আস্তানা গাড়লেন। প্রথমদিনেই দরবেশের শাগরেদগণ ঘোষণা দিলেন যে, বাবা বানর কিনবেন। প্রতিটি বানর ১০ টাকা করে।
১০ টাকার জন্য কে আর বানরের পিছনে দৌড়াবে? তারপরও যাদের কিছু করার নেই, তারা কিছু বানর ধরে এনে বাবাকে দিলেন। কিছুদিন পরে বাবা ঘোষণা দিলেন তিনি বানর ১০০ টাকা করে কিনবেন। এবার অনেকেই নড়ে বসলেন। অনেকেই বানর ধরলেন এবং বাবার কাছে বিক্রি করলেন।
আরও কিছুদিন পর বাবা ঘোষণা করলেন তিনি এখন বানর ৫০০ টাকা করে কিনবেন। পুরো গ্রামে হুলুস্থুল পড়ে গেল। কৃষক মাঠ ফেলে, বাচ্চারা স্কুল ফাকি দিয়ে, গৃহিণী চুলোর আগুণ নিভিয়ে, সবাই বানর ধরতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। বাবা বানরের দাম আরও বাড়িয়ে দিলেন।
এখন ১০০০ টাকা! গ্রামের লোকেরা এখন আর কিছু করে না। তারা শুধুই বানর ধরে আর বাবার কাছে বিক্রি করে।
এভাবে ভালই চলছিলো কিন্তু গ্রামে বানর শেষ! সব বানর বাবার খাঁচায়। গ্রামের লোক পাগলের মত চারিদিকে বানর খুঁজে বেড়ায়।। কিন্তু বানর আর পায়না।
এর মাঝে বাবার কিছু চালাক শাগরেদ চুপি চুপি লোকদের বলল, তারা বাবার খাঁচা থেকে বানর বের করে দিতে পারবে। বিনিময় মাত্র ৯০০ টাকা।
সবাই আবার হুড়মুড় করে পড়ল শাগরেদ দের থেকে বানর কেনবার জন্য। কোন পরিশ্রম ছাড়াই, ঘরে বসে এত লাভ! এর চেয়ে ভাল ব্যবসা আর হয় নাকি। তারা শাগরেদদের থেকে বানর কেনে আর বাবাকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করে। নগদে ১০০ টাকা লাভ।
কিছুদিন পর বাবা ঘোষণা দিলেন তিনি এখন বানর ২০০০ টাকা করে কিনবেন। শাগরেদরাও দাম বাড়িয়ে দিল। তারা এখন প্রতি বানর ১৮০০ টাকা করে বেচে। তারপরও লোকের চাহিদা মেটাতে পারেনা। এবার বাবা দাম বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করলেন। লোকেতো এখন পাগল প্রায়।
শাগরেদরা এখন বানর ৪০০০ টাকা করেছে...
শাগরেদরা এখন লোককে বলতে লাগল, যে বানর কিনে নিয়ে যাও, তবে এখনই বিক্রি করে দিয়োনা। আর কিছুদিন পরেই বাবা ১০০০০ টাকা দিয়ে বানর কিনবে। এবং তাদের কাছে গোপন সংবাদ আছে যে বাবা বানর সর্বোচ্চ ৫০০০০ টাকা দিয়ে কিনবেন।
আর পায় কে! সবাই তাদের জমানো টাকা ভেঙ্গে, মহিলারা তাদের গহনা বিক্রি করে, বয়স্করা তাদের পেনশনের টাকা তুলে, যুবকেরা পড়া লেখা বাদ দিয়ে, ব্যবসায়িরা ব্যবসার মূলধন ভেঙ্গে ৪০০০ টাকা করে বানর কিনে স্টক করলো। অনেকে জমিজমাও বিক্রি করে দিলেন। সবাই বানর কিনছেই আর কিনছে। বিক্রি করেনা।
এদিকে বাবাও দাম বাড়িয়ে চলছেন । ১০০০০, ১৫০০০, ২০০০০ … । কিন্তু কেউ এখন বিক্রি করবেনা। সবাই অপেক্ষা করছে কখন ৫০০০০ টাকার কাছকাছি যাবে। পুরো গ্রামে উত্তেজনা। এই বুঝি বড়লোক হয়ে গেলাম।
যারা বানর কিনেনি তাদের নিয়ে লোকজন হাসাহাসি করে, ঈশ কত বোকা!
একদিন সকালে তারা দেখল বাবার আস্তানা খালি। বাবা আর তার শাগরেদরা তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে গায়েব। পুরো গ্রাম এখন শুধুই বানরময়।
একেই বলে মাংকি বিজনেস।
যুবক, Evaly, ডেসটিনি, e -Orange, SPC, ring id, এহছান, আলিশা mLM এর হোতারা ঘুরে ফিরে আসবে, ভিন্ন ভিন্ন ফাঁদ নিয়ে। আর লোভে পড়ে ঠকতে থাকবে লোভী, অলস ও নির্বোধরা !

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voiceofasia24.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Voiceofasia24.com:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share