RNS24.net

RNS24.net সংবাদ এবং পরিমিতিবোধ

হজ্ব বাতিলের  ইতিহাসঃ-***********************প্রথমবার বাতিল হয়েছিল ৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে, আব্বাসীয়দের সময়, হাজ্জাজ  বিন ইউসুফ...
21/04/2020

হজ্ব বাতিলের ইতিহাসঃ-
***********************
প্রথমবার বাতিল হয়েছিল ৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে, আব্বাসীয়দের সময়, হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মক্কা আক্রমণের কারণে।

এরপর বন্ধ হয়েছিল ৯৩০ সালে। কট্টর শিয়া গ্রুপ কারমাতিদের আক্রমণে সে বছর ৩০,০০০ হাজি শহীদ হয়েছিল। তারা হাজিদেরকে হত্যা করে তাদের লাশ জমজম কুপে ফেলে দিয়েছিল। ফিরে যাওয়ার সময় তারা সাথে করে হাজরে আসওয়াদ বাহরাইনে নিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে হাজরে আসওয়াদ পুনরুদ্ধার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এক দশক হজ্ব বন্ধ ছিল।

৯৮৩ থেকে ৯৯০ সাল পর্যন্ত হজ্ব বাতিল হয়েছিল রাজনীতির কারণে। ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফত এবং মিসর ভিত্তিক ফাতেমীয় খিলাফতের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে সেবার ৮ বছর পর্যন্ত হজ্ব বন্ধ ছিল।

শুধু যুদ্ধ-বিগ্রহ না, মহামারীর কারণেও হজ্ব বাতিল হয়েছিল। প্রথমে ১৮১৪ সালে হেজাজ প্রদেশে প্লেগের কারণে ৮,০০০ মানুষ মারা যাওয়ায় হজ্ব বাতিল করা হয়।

এরপর ১৮৩১ সালে ভারত থেকে যাওয়া হজ্বযাত্রীদের মাধ্যমে মক্কায় প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং চারভাগের তিনভাগ হাজী মৃত্যুবরণ করে। ফলে সে বছর হজ্ব বাতিল করা হয়। এছাড়াও ১৮৩৭ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে প্লেগ এবং কলেরার কারণে তিন বারে মোট ৭ বছর হজ্ব বন্ধ ছিল।

ইসলাম অবাস্তব কোনো ধর্ম না, এলিয়েনদের জন্য আসা ধর্ম না। এটা মানুষের জন্য আসা ধর্ম। এবং মানুষের সাধ্যের বাইরে এখানে কিছু করতে বলা হয়নি।

তথ্যসূত্র: হারাম শরিফের ওয়েবসাইট, মিডল ইস্ট আই, টিআরটি, দ্য নিউ আরব।

20/04/2020

এক অজানা আশঙ্কা
একদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে বিজ্ঞানীরাও দিবারাত্র কাজ করে চলেছেন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের। এর সঙ্গে সঙ্গেই অন্য শঙ্কাও উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গবেষণা মহলে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর এই ভ্যাকসিন নিয়ে যে রাজনীতি শুরু হবে, তার মোকাবিলা কিভাবে হবে?
কোরোনার সংক্রমণ তুলে এনেছে অনেক অজানা আশঙ্কা। পৃথিবীর তাবৎ গবেষক থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষকর্তারা এখন ভেবে পাচ্ছেন না কোন পথে সমাধান সূত্র বেরোবে এই সব অজানা আশঙ্কার। প্রথম বিষয় হল, যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়, সেক্ষেত্রে অতি দ্রুত কি পদ্ধতিতে এই ভ্যাকসিন এর বাল্ক প্রোডাকশন করা সম্ভব। বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতিকরণের নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি আছে এবং সেই পদ্ধতিতেই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। এখন যে পদ্ধতিতে FLU বা অন্য মারাত্মক রোগের ভ্যাকসিন তৈরী করা হয়, সেই প্লান্ট ব্যবহার করেই কি এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে? তাতে কি সারা দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে অতি দ্রুত ওই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব? যদি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুধু করোনার ভ্যাকসিনই তৈরি করা হয়, তখন ইনফ্লুয়েঞ্জা, রুবেলা, MEASLES, মাম্পস্, বা অন্য রোগের ভ্যাকসিনের ঘাটতি হবে নাতো?
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে তারা চেষ্টা করছেন যাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তা সমানভাবে সব দেশে, সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে সেটা যে কি অসম্ভব একটা কাজ সেটা এই সংস্থার শীর্ষকর্তারা খুব ভাল করেই জানেন। তাদের আশঙ্কা যে পুঁজিবাদী দেশগুলো টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন তাদের জিম্মায় নেবার একটা চেষ্টা করবে। অতএব আবিষ্কারের আগেই তারা সব সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চায়। বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকের কথায়, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর কতগুলো পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিগুলোতেই গোল বেঁধে যেতে পারে। এক গোটা দুনিয়ার জন্য ভ্যাকসিন তৈরির টাকা কে দেবে? একমাত্র বিল গেটস ফাউন্ডেশন ছাড়া এখনো পর্যন্ত কেউ আগ্রহ দেখায়নি। যারা নিঃস্বার্থভাবে পুঁজির যোগান দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভ্যাকসিন কোন পদ্ধতিতে তৈরি হবে? এককভাবে কোনো জায়গায় এই পরিমাণ ভ্যাকসিন তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। অতএব এখানেই সরকারের থেকে সাহায্য এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সরকার তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে নাতো? রাজনীতির রং বাদ দিয়ে সব দেশের সব মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছবে তো? তৃতীয়, এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে গিয়ে যেভাবে প্রোডাকশন প্ল্যান এবং মানব সম্পদ ব্যবহার হবে তাতে অন্য জরুরি ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে ঘাটতি আসবে না তো? চতুর্থ, কোনো দেশ একক ভাবে এই ভ্যাকসিন এর সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে না তো? অর্থাৎ, তার মিত্র দেশ ভ্যাকসিন পাবে, শত্রু দেশের নাগরিকরা সেই ভ্যাকসিন পাবে না। সেক্ষত্রে সময় নষ্ট হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্য ইতিমধ্যেই তার সদস্যদের নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, কোনো ভ্যাকসিন কোনো সদস্য দেশ তৈরি করলে তার উৎপাদন কৌশল এবং সরবরাহ অন্য সমস্ত দেশের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত করোনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কি না তা নিয়ে সংস্থার মধ্যেই সংশয় আছে। কারণ ওই সিদ্ধান্ত হয়েছিল নির্দিষ্ট কিছু অসুখের ক্ষেত্রে। করোনা সেই লিস্টে নেই। পঞ্চম প্রশ্ন, কোনো বেসরকারি ওষুধ সংস্থা যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে, সেক্ষেত্রে সরকারের কি ভূমিকা হবে? যদি সরকার এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করতেও চায়, বেসরকারি সংস্থা কি সেক্ষত্রে সরকারি আদেশ শুনতে বাধ্য? এখনো পর্যন্ত এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর মেলেনি।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক শীর্ষকর্তার আশা আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যাবে। তার পরেই শুরু হবে করোনা নিয়ে আসল রাজনীতি। এবং সেই বিষম রাজনীতি সামলানোর ক্ষমতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেই। যদি তৃতীয় বিশ্বের কোনো দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে সেক্ষেত্রে একরকম রাজনীতি দেখা যাবে। ইউরোপ বা আমেরিকা যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে তখন আর এক রকম পরিস্থিতি তৈরি হবে। আর চিন যদি ভ্যাকসিন নিয়ে আসে তখন আর এক পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই আসর জমিয়ে দিয়েছে চিন এবং আমেরিকা। আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, চিন ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে। আর সুযোগ খুঁজছে তা বাজারে আনার। অন্যদিকে ট্রাম্পের কানে এসেছে যে কয়েকজন জার্মান গবেষক ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেকটাই এগিয়েছেন। অতএব ট্রাম্প দূত মারফত তাদের কাছে ১ বিলিয়ন ডলারের অফার পৌঁছে দিয়েছেন যাতে আমেরিকার হাতে তাঁরা ভ্যাকসিন তুলে দেন। ওদিকে কয়েকজন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, কিউবা অনেকটাই এগিয়ে গেছে ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায়। আর তারা আবিষ্কার করলে কোনো পেটেণ্ট এর দাবি করবে না। সেই ওষুধ হবে এই পৃথিবীর সবার জন্য সবসময়। অতএব ভ্যাকসিন এর জন্ম হোক একবার তারপর দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।

জেড,সেলিম

20/04/2020

আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ জন। এনিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা একশ

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ জন। এনিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা একশ ছাড়ালো।এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪৯২ জন। এনিয়ে মোট আক্রান্ত হলো ২৯৪৮ জন। মোট ২৭৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এই সংখ্যা পাওয়া যায়।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ আট জন। বাকি ২ জন নারী। এদের ৫ জন ঢাকায়, ৪ জন নারায়ণগঞ্জে এবং এক জন নরসিংদীতে মারা গেছে। বয়সের হিসাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে চার জনের বয়স ষাট বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪ জন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি দুই জন রয়েছেন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১০ জন। এনিয়ে মোট ৮৫ জন সুস্থ্য হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গাজীপুরে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সেখানে আক্রান্তের হার প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। আজকের তথ্য মতে গাজীপুরে আক্রান্তের হার ১৯.৫ শতাংশ। কিশোরগঞ্জে আক্রান্তের হার ১৫.৫ শতাংশ এবং নরসিংদীতে ৬ শতাংশ।

গতকালের চেয়ে আজ ১০ শতাংশ বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ বেশি।গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৭ জন। মোট আইসোলেশনে রয়েছেন ৭১৩ জন। এই সময়ে আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪০ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছে ৫৭৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩০৮০৯ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৭০ জন।

আড়াই হাজারের বেশি পরীক্ষা করে প্রায় ৫শ শনাক্ত
বাংলাদেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২৭৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯২ জন রোগী শনাক্ত হলো। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৪১ জন রোগী পাওয়া গিয়েছিলো। ফলে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হলো সর্বশেষ এই চব্বিশ ঘণ্টাতেই।

যেভাবে হটস্পট হয়ে উঠলো গাজীপুর?
জেলাটিতে এ পর্যন্ত ১৭৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।তবে গাজীপুর কিভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন হটস্পট হয়ে উঠলো সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। করোনাভাইরাস নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে অনুষ্ঠিত এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমন তথ্য দেন।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর অংশ হিসেবে জেলাটিতে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে মাঠ পর্যায়ে নানা ধরণের সমস্যার মুখে পড়ছেন তারা।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানাগুলো খোলা থাকার বিষয়টি।
প্রথম দিকে জেলাটি অনেক ভাল ছিল। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।কিন্তু পরের বার যখন গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলে গেলো আর শ্রমিকরা বেতনের আশায় ফিরতে শুরু করলো তখন থেকে অবস্থা পাল্টে যেতে শুরু করলো।
তিনি বলেন, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়ার দিকে ছোঁয়া এগ্রো ফার্ম নামে একটি কারখানায় প্রথম একজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।এর পর ওই কারখানার আরো শ্রমিকদের নমুনা পরীক্ষা করে আরো ২৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এই কারখানাটির ব্যবসা মূলত নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামভিত্তিক। সেখান থেকে শুরু হওয়ার পর সংক্রমণ পরে পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।এছাড়া সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের সাথেও জেলার যোগাযোগ চালু ছিল। তবে এখনো অন্য কারখানাগুলো তেমন সংক্রমিত হয়নি। আরেকটি কারখানায় একজনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সে এখন সেই কারখানাতেই অবস্থান করছেন।
এই অবস্থার মধ্যে যদি আবারো কারখানাগুলো খুলে যায়, আবার যদি শ্রমিক আসা-যাওয়া করে তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।করোনাভাইরাস সংক্রমণের সুযোগে অনেক ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে। তারা পিপিই বানানোর নাম করে শ্রমিকদের ডেকে এনে অন্য ধরণের পণ্য সামগ্রী বানাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কারখানাগুলো যেভাবে খোলা রয়েছে তাতে লকডাউন নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জরুরী।এখনো অনেক কারখানা মালিক আছেন যারা বেতন দেবেন বলে শ্রমিকদেরকে ডেকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারা বেতন দিতে পারছেন না। এটি লকডাউন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গাজীপুরে অনেক বড় অন্তরায়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার বাটলার বলছেন,তারা সহজপ্রাপ্য ওষুধগুলোর কথাই বিবেচনা করছেন :

করোনাভাইরাস সংক্রমিতদের মধ্যে গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয়া ঠেকাতে পারবে এমন কিছু ওষুধের পরীক্ষা শুরু করেছেন গবেষকরা।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরিকল্পনা করেছেন যে, রোগীদের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম লক্ষণগুলো দেখা গেলেই তাদের এমন কিছু ওষুধ দেয়া হবে, যা আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে।
বিবিসির বিজ্ঞান সংবাদদাতা পল্লব ঘোষ জানাচ্ছেন, এর উদ্দেশ্য হলো যে এতে রোগীদের হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন কমানো যায় কিনা, বা তার সেরে ওঠার প্রক্রিয়া দ্রুততর হয় কিনা - তা দেখা।এ গবেষণার প্রথম পর্বে ব্রিটেনের ডাক্তাররা ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কার্যকর হয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন।
অন্য আরেকটি ওষুধের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে - সেটি হলো এ্যাজিথ্রোমাইসিন নামে একটি এ্যান্টিবায়োটিক ।এ পরীক্ষার প্রধান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার বাটলার বলছেন, তারা সহজপ্রাপ্য ওষুধগুলোর কথাই বিবেচনা করছেন – যাতে এর কার্যকারিতা নিশ্চিত হলেই ডাক্তাররা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এগুলো ব্যবহার করা শুরু করতে পারেন।

নোভার্টিসের কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ঔষধ ব্যবহার
নোভার্টিস নামের একটি সুইস ঔষধ কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তি করেছে। যেখানে তারা পরীক্ষামূলকভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ৪৪০ জন রোগীর ওপর ম্যালেরিয়ার ঔষধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করবে।যুগ যুগ ধরে এই ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া চিকিৎসায়।সারা বিশ্বে এখন নানা পরীক্ষাগারে চলছে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা।
মুসলিমদের চিকিৎসায় অস্বীকৃতি, এই আয়োজনটি হয় মার্চ মাসে।
ভারতের একটি শহরে একটি হাসপাতাল সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছে তারা মুসলমানদের সেবা দেবে না। সেখানে লেখা ছিল, যদি না তারা কোভিড-১৯ এ নেগেটিভ প্রমাণ করতে পারেন তবেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে, নতুবা নয়।এই বিজ্ঞাপন ভারতব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এরপর রবিবার দু:খ প্রকাশ করে আরো একটি বিজ্ঞাপন দেয় তারা। এর আগে ভ্যালেন্টিস ক্যানসার হাসপাতাল একটি বিজ্ঞাপনে তাবলীগ জামাতের ওপর করোনাভাইরাস ছড়ানোর দায় দেয়।ভারতে মোট শনাক্তের ১৫ শতাংশ একটি তাবলীগ জামাতের সাথে সম্পৃক্ত, এই আয়োজনটি হয় মার্চ মাসে।

বিশ্বের নানা জায়গায় লকডাউন শিথিল হচ্ছে যেভাবে
·জার্মানিতে ছোট দোকান খুলে দেয়া হচ্ছে। ·জার্মানির যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক পরীক্ষা সামনে সেসব জায়গায় পাঠদান শুরু হবে। ·পোল্যান্ডে পার্ক খুলে দেয়া হচ্ছে। ·নরওয়েতে খুলছে নার্সারি স্কুল। ·চেক প্রজাতন্ত্রে বাণিজ্য চালু হয়েছে। ·আলবেনিয়ায় কয়লা ও তেল শিল্প চালু হচ্ছে। ·স্পেনে ও ফ্রান্সে শিথিল হওয়ার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলছে। ·নিউজিল্যান্ডে নানা প্রতিষ্ঠানে কর্মী আসা শুরু হয়েছে, স্কুল খুলছে কিছু জায়গায়। ·বেইজিং-য়ে গ্রেট ওয়ালের কিছু জায়গাসহ ৭৩টি বড় ট্যুরিস্ট স্পট খুলে দেয়া হচ্ছে।

২১ বছরে এই প্রথম তেলের দাম সর্বনিম্ন
তেলের চাহিদা কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে, একই সাথে কমেছে দাম। শেষবার এমন দরপতন হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সোমবার সকালের হিসেব অনুযায়ী ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারন্যাশনালের দাম কমেছে ১৪%। কারখানা বন্ধ থাকায় তেলের বাজারে বড় ধাক্কা লেগেছে।

রমজান মাসে জামাতে নামাজে অনুমতি
ধর্মীয় নেতাদের চাপের মুখে পাকিস্তানে জামাতে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে রমজানের প্রার্থনা। কিন্তু ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ, শিশু ও যাদের উপসর্গ আছে তারা মসজিদে আসতে পারবে না। মসজিদে নিয়মিত জীবাণুনাশক ছেটানো হবে। নামাজ পড়বেন যারা, তাদের মধ্যে একটা দূরত্বও বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।

১ লাখ কর্মীর বেতন বন্ধ
এই সপ্তাহ থেকে এক লাখ কর্মীকে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিবে ওয়াল্ট ডিজনি। ডিজনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপ। যারা থিম পার্ক ও হোটেলও চালায়। ১ লাখ কর্মীর বেতন দেয়া বন্ধ করে দিলে ডিজনি এখানে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাঁচাতে সক্ষম হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে: মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে
পৃথিবীতে করোনাভাইরাসে যত মানুষ মারা গেছেন তার প্রায় চার ভাগের এক ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন। আমেরিকায় লকডাউন থাকবে কি থাকবে না। এনিয়ে এক প্রকার স্নায়ুযুদ্ধ চলছে ট্রাম্প ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে।

গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে ৩১২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৫৬ জন।  মৃত্যুবরণ ক...
19/04/2020

গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে ৩১২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৫৬ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন আরো সাত জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৯১ জন। মোট ৭৫ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ২৬৩৪ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট ২৩৮২৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে এখন পর্যন্ত।

ইতালিতে ২ হাজার কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছে ৩২তম দিনে আর বাংলাদেশে হয়েছে ৪০তম দিনে। স্পেনে ২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৪১তম দিনে। ফ্রান্সে ও যুক্তরাজ্যে ৪৮ দিন সময় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর হারের দিক থেকে। এই দেশের সাত লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৩৭ হাজার মানুষ মারা গেছেন।

সরকারি হিসেবের চেয়ে বেশি মৃত্যু
ন্যাশনাল কেয়ার ফোরাম বলছে প্রায় ৪ হাজার বয়স্ক মানুষ মারা গেছেন ব্রিটেনজুড়ে। করোনাভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যায় হেরফের দেখা দিয়েছে ব্রিটেনে। কেয়ার ইংল্যান্ডের একটি রিপোর্টে ধারণা করা হচ্ছে, কেয়ার হোমে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সব ধরণের মৃত্যু মিলিয়ে সাড়ে সাত হাজার মানুষ বেশি মারা গেছে

কড়াকড়ি শিথিল করবে না যুক্তরাজ্য

জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী মাইকেল গোভ বলছেন, লকডাউন শিথিলের আলোচনাই হয়নি সরকারের মধ্যে। “আমরা এই ভুল করবো না। স্কুল, সামাজিক জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।”যুক্তরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন বলেছেন, স্কুল কবে খোলা হবে সে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। “বৈজ্ঞানিক পরামর্শ অনুযায়ী খুলবে স্কুল। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।”গত মাসে যুক্তরাজ্যে সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
লকডাউন অমান্য করলে মামলা
এখন পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ৩৪৪৫টি মামলা করেছে বলে ডিএমপির ওয়েবসাইটে জানা যায়। এই মামলা থেকে ৬৩ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এটা ২৬শে মার্চ থেকে ১৭ই এপ্রিল পর্যন্ত।

সামাজিক দূরত্ব

নেপালের কাঠমান্ডুতে ভাট ভাটেনি সুপারমার্কেটের সামনের চিত্র এটি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে আসলেও মানুষের মধ্যে যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে এজন্য দেড় মিটার দূরত্বে একেকটি বৃত্ত আঁকা হয়েছে, এর মধ্যেই লাইনে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন ক্রেতারা।

, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আটটি গ্রাম লকডাউন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ও তার আশেপাশের আটটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, সব মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ১১ই এপ্রিলই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর মাঝেই বাংলাদেশের সব জায়গায় সব ধরনের জনসমাগম - এমনকি ধর্মীয় জমায়েতও- নিষিদ্ধ করা করা হলেও শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ধর্মীয় বক্তার শেষকৃত্যে হাজার হাজার মানুষের জমায়েতের ঘটনা ঘটেছে গতকাল। এই জমায়েত নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার দায়ে সরাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।

জেরুজালেমে লকডাউনের মধ্যেই ইস্টার উদযাপন করেছে খ্রিস্টানরা
ইউরোপ, মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জমায়েত করতে নিষেধ করা হয়েছিল।স্থানীয় রিপোর্ট বলছে, জর্জিয়ায় জমায়েত হয়েছে মানুষ।জেরুজালেমে উদযাপন হয়েছে বটে, কিন্তু মানুষ সংখ্যায় কম ছিল।পাদ্রীরা মুখে কালো মাস্ক পরে আসেন।শনিবার কয়েকজনকে অনুমতি দেয়া হয় ইস্টার উদযাপনের।

শিশুদের ওপর কড়াকড়ি কমবে

১৪ই মার্চ থেকে স্পেনে শিশুরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। ২৭শে এপ্রিল থেকে তাদের ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর কড়াকড়ি তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ।

নেপালের একটি দৃশ্য

ভাইরাস কীভাবে বাইরে এভাবে ছড়ালো তা "গভীরভাবে অনুসন্ধান" করতে হবে :ফিনানসিয়াল টাইমস পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরাস...
17/04/2020

ভাইরাস কীভাবে বাইরে এভাবে ছড়ালো তা "গভীরভাবে অনুসন্ধান" করতে হবে :

ফিনানসিয়াল টাইমস পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন চীন এই সঙ্কট অন্যদের থেকে ভালভাবে মোকাবেলা করেছে এটা বলা "অজ্ঞতা" হবে। তিনি বলেছেন, "কী ঘটেছে তা আমরা আসলে জানি না।" চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়ালেও চীনের চেয়েও বেশি মানুষ মারা গেছে আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে।
চীনে মৃতের সংখ্যা নিয়ে এবং চীন কত দ্রুত তা মোকাবেলা করেছে বা অন্য দেশগুলোকে কত দ্রুত এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেনও। তবে চীনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব ব্যাপী এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বিশ লাখের বেশি মানুষের এবং মারা গেছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার।সবেচয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনের জনগণ।ফ্রান্সে কোভিড নাইনটিন আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার।
উহান শহরে শুক্রবার আরও ১,২৯০ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। ফলে চীনে এখন মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪,৬৩২ জন। উহানেই এই মহামারির শুরু এবং অতি সম্প্রতি সেখানে জারি করা কঠোর লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন তাদের পরিসংখ্যান আসতে সময় লেগেছে এবং আগের পরিসংখ্যান সঠিক ছিল না। মৃতের সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ক্ষোভের কারণ এই ভাইরাস মোকাবেলায় পশ্চিমা সরকারগুলোর ভূমিকা নিয়ে চীনের এক নিবন্ধ। চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক নিবন্ধে লেখা হয়েছে পশ্চিমের দেশগুলো বৃদ্ধ মানুষদের দেখাশোনার জন্য যে আবাসনগুলো রয়েছে সেখানে বয়স্কদের মৃত্যুর মুখে ফেলে রেখে দিচ্ছে - তাদের সেখানেই মরতে দিচ্ছে।
এই নিবন্ধ প্রকাশের পর প্যারিসে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এর প্রতিবাদ জানায়।ফ্রান্সে এইসব বৃদ্ধ নিবাস বা কেয়ার হোমে কোভিড নাইনটিনে যারা মারা গেছেন তাদের সংখ্যা বিশাল। দেশটিতে মোট মৃতের এক তৃতীয়াংশই কেয়ার হোমের বৃদ্ধ বাসিন্দা। ব্রিটেনেও কেয়ার হোমে বৃদ্ধ বয়সী যারা করোনাভাইরাসে মারা যাচ্ছেন তাদের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে অন্তর্ভূক্ত না করায় সরকারকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে।
চীন অবশ্য এই বিতর্ককে "ভুল বোঝাবুঝি" বলে নাকচ করে দিয়েছে। সরকারি মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন ফ্রান্স কীভাবে এই মহামারির মোকাবেলা করছে সে বিষয়ে চীন কখনই কোন নেতিবাচক মন্তব্য করেনি।
মি. ম্যাক্রোঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল চীন ভাইরাস ঠেকাতে যে কঠোর কর্তৃত্বমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল তা পশ্চিমা দেশগুলোর গণতন্ত্রের দুর্বলতাকে সামনে এনে দিয়েছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেছেন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা আর যে সমাজ ব্যবস্থায় সত্য চাপা দেয়া হয় -এ দুয়ের মধ্যে তুলনা চলে না।
"এই তফাতের কথা এবং চীনের বর্তমান অবস্থার কথা মাথায় রেখে বিষয়টা দেখা উচিত। চীন অন্যদের থেকে ভালভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে এটা বলার আগে ভাবা উচিত।""আমরা জানি না। স্পষ্টতই সেখানে কিছু ঘটেছে যে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।"
মি. ম্যাক্রোঁ বলেছেন মহামারি ঠেকাতে গিয়ে মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিলে পশ্চিমা গণতন্ত্র ঝুঁকিতে পড়বে।
পশ্চিমের দেশগুলোতে এই ভাইরাসে যে হারে মৃত্যু ঘটছে এবং কেয়ার হোম বা বৃদ্ধ নিবাসগুলোকে যেভাবে অবহেলা করা হচ্ছে তা নিয়ে এসব দেশে বহু কর্মকর্তাকে নানাধরনের জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। আর এসব দেশের জনসংখ্যা চীনের তুলনায় অনেক কম। আমেরিকা আর ব্রিটেন চীনের দেয়া পরিসংখ্যান ও তাদের ব্যাখ্যা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে দাবি তোলায় সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এই প্রাদুর্ভাব কীভাবে শুরু হল এবং "কেন তা আরও আগে থামানো গেল না" তা নিয়ে চীনকে "কঠিন প্রশ্নের" মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেছেন চীন থেকে এই ভাইরাস কীভাবে বাইরে এভাবে ছড়ালো তা "গভীরভাবে অনুসন্ধান" করতে হবে এবং এই সঙ্কটের পর "সব লেনদেন আগের মতই" চালানো যাবে না।
বুধবার মি. ট্রাম্পকে সংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, আমেরিকায় এত মানুষের মৃত্যুর কী ব্যাখ্যা তিনি দেবেন? তিনি উত্তরে চীনের নাম করে বলেন, "অন্য দেশের পরিসংখ্যান কি মানুষ আসলেই বিশ্বাস করে?"তিনি বলেন এই করোনাভাইরাস উহানের বাজার থেকে নয়, বরং শহরের একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে এমন একটি অসমর্থিত খবর আমেরিকা যাচাই করে দেখছে।
আমেরিকায় ফক্স নিউজ অজ্ঞাত কিছু সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে উহানের একটি গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই ভাইরাস দুর্ঘটনাবশত বাইরে বেরিয়ে গেছে, কারণ ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুর্বলতা ছিল ।
ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্র কূটনৈতিক তারবার্তা থেকে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে বলা যাচ্ছে ২০১৮ সালে আমেরিকার বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু কূটনীতিককে চীনের ওই গবেষণা কেন্দ্রে কয়েকবার সফরে পাঠানো হয়েছিল। ওই কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনকে দুবার হুঁশিয়ার করে দিয়েছিল যে ওই গবেষণাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহী ছিল বলে মঙ্গলবার জানান আমেরিকার যৌথ স্টাফ প্রধানদের একজন জেনারেল মার্ক মিলি।
"আমরা এ বিষয়ে অনেক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। আপাতত এটু্কুই বলতে চাই যে তার থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছন যায়নি। যদিও প্রাপ্ত তথ্য ইঙ্গিত দিয়েছিল সেখানে অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে না। কিন্তু নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না," তিনি বলেন।
বিবিসির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পল রিনকন বলছেন সার্স-কোভ-২ ভাইরাস দুর্ঘটনাবশত গবেষণাগারের বাইরে চলে এসেছিল বলে কোন তথ্যপ্রমাণ কিন্তু নেই।
অনলাইনের একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যেটি জানুয়ারি মাসে ভাইরাল হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল এই ভাইরাস জীবাণু অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য একটি গবেষণাগারে তৈরি করা হচ্ছিল। তবে বিজ্ঞানীরা বারবার এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নাকচ করে দিয়েছেন। তারা বলেছেন গবেষণায় দেখা গেছে এই ভাইরাসের সূত্রপাত প্রাণী থেকে - খুব সম্ভবত বাদুড় থেকে।

তথ্য: ফিনানসিয়াল টাইমস,বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট, ফক্স নিউজ
জেড,সেলিম

rns24.net is a web news portal that delivers news in Bengali. It runs in collaboration with SST TECH Limited www.ssttechbd.com

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। বৃদ্ধ নিবাসের বাসিন্দা।

যিনি প্রথম এই ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেনমানব শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব যে নারী প্রথমবার আবিষ্কার করেছিলেন, তিনি ছিলেন স...
17/04/2020

যিনি প্রথম এই ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন
মানব শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব যে নারী প্রথমবার আবিষ্কার করেছিলেন, তিনি ছিলেন স্কটল্যান্ডের একজন বাসচালকের কন্যা, যিনি ১৬ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন।
জুন আলমেইডা ভাইরাস ইমেজিংয়ের একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন, যার কাজ এখন আবার এই ভাইরাস মহামারির সময় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
কোভিড-১৯ একটি নতুন ধরণের ভাইরাস, তবে সেটি করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতি। ১৯৬৪ সালে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের গবেষণাগারে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছিলেন ড. আলমেইডা।১৯৩০ সালে জুন হার্টে জন্মগ্রহণ করেন এই ভাইরোলজিস্ট এবং গ্লাসগোর আলেজান্দ্রা পার্কের কাছাকাছি টেনেমেন্ট এলাকায় বড় হয়ে ওঠেন।
আনুষ্ঠানিক বিদ্যার ক্ষেত্রে তিনি সামান্য পড়াশোনা করেই স্কুল ছাড়েন। তবে গ্লাসগো রয়্যাল ইনফার্মারিতে হিস্টোপ্যাথলজিতে গবেষণাগার কর্মী হিসাবে তিনি কাজ শুরু করেন।পরবর্তীতে তিনি পেশা জীবনের উন্নতি করার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমান। ১৯৫৪ সালে তিনি এনরিক আলমেইডাকে বিয়ে করেন, যিনি ছিলেন একজন ভেনেজুয়েলান শিল্পী।
চিকিৎসা বিষয়ক লেখক জর্জ উইন্টারের তথ্য অনুযায়ী, এই দম্পতি ও তাদের মেয়ে কানাডার টরেন্টোতে পাড়ি জমান। সেখানে অন্টারিও ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে ড. আলমেইডা একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোস্কোপ নিয়ে তার অসামান্য দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। তিনি এমন একটি পদ্ধতির সূচনা করেছিলেন যা অ্যান্টিবডি সংহত করার মাধ্যমে ভাইরাসগুলি আরও পরিষ্কারভাবে দেখা সম্ভব হয়।
মি. উইন্টার বলেছেন, তার এই প্রতিভার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের মনোযোগ কাড়ে।১৯৬৪ সালে তাকে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে কাজ করার জন্য প্রলুব্ধ করে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর এই হাসপাতালেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল।
ফিরে আসার পর তিনি ডক্টর ডেভিড টাইরেলের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন, যিনি উল্টশ্যায়ারের সালসবিউরিতে সাধারণ ঠাণ্ডা নিয়ে গবেষণা করছিলেন।
মি. উইন্টার বলছেন, ডক্টর টাইরেল স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে অনুনাসিক ধোয়ার ওপর গবেষণা করছিলেন। তাদের দল দেখতে পায় যে, তারা বেশ কয়েকটি সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস বৃদ্ধি করতে পারছিলেন, কিন্তু সবগুলো নয়। তার মধ্যে একটি বিশেষভাবে নজরে আসে। সেটির নাম দেয়া হয়েছিল বি-৮১৪, যা এসেছিল ১৯৬০ সালে সারের একটি বোর্ডিং স্কুলের একজন ছাত্রের কাজ থেকে।
তারা দেখতে পান, তারা সাধারণ সর্দি-কাশির কয়েকটি লক্ষণ স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে তৈরি করতে পারলেও, সেগুলো তাদের নিয়মিত কোষের ভেতরে আর বেড়ে উঠতে পারে না। তবে স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে প্রত্যঙ্গের মধ্যে কিছু বৃদ্ধি দেখিয়েছিল। সেটা দেখে অবাক হয়ে ড. টাইরেল ভাবলেন, এটা কোন বৈদ্যুতিক মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
তারা সেসব নমুনা জুন আলমেইডাকে পাঠান, যিনি নমুনার মধ্যে ভাইরাস কণা দেখতে পান। সেগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, এগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো দেখতে হলেও পুরোপুরি তা নয়। তিনি যা শনাক্ত করেছিলেন, সেটি বিশ্বে করোনাভাইরাস হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
মি. উইন্টার বলছেন, ড. আলমেইডা ইঁদুরের মধ্যে হেপাটাইটিস এবং মুরগির সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস তদন্ত করার সময় এর আগে এ ধরণের কণাগুলি দেখেছিলেন। তা সত্ত্বেও, পিয়ার-রিভিউড জার্নালে পাঠানো তার নথিটি বাতিল করে দেয়া হয়েছিল। কারণ ''রেফারিরা বলেছিলেন, তিনি যেসব ছবি দিয়েছেন, সেগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কণার বাজে ধরণের চিত্র। ''
বি-৮১৪ আবিষ্কারের বিষয়ে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি করোনাভাইরাসের প্রথম যে চিত্র দেখেছিলেন, সেটি প্রকাশিত হয় দুই বছর পরে জেনারেল ভাইরোলজি জার্নালে।
মি. উইন্টারের তথ্য অনুসারে, ড. টাইরেল ও ড. আলমেইডার পাশাপাশি অধ্যাপক টনি ওয়াটারসন, যিনি সেন্ট থমাসের দায়িত্বে ছিলেন, তারা ওই ভাইরাসের নামকরণ করেন করোনাভাইরাস, কারণ ভাইরাসের চারপাশ জুড়ে অনেকটা মুকুটের মতো সাদৃশ্য ছিল। ড. আলমেইডা পরবর্তীতে লন্ডনের পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুলে কাজ করেন, যেখানে তিনি ডক্টরেট সম্মানে ভূষিত হন।
ওয়েলকাম ইন্সটিটিউটে তিনি তার পেশাজীবন শেষ করেন যেখানে বেশ ভাইরাস ইমেজিংয়ের এর ক্ষেত্রে তার নামে বেশ কয়েকটি স্বত্বাধিকার হয়। ওয়েলকাম ছেড়ে দেয়ার পর ড. আলমেইডা একজন ইয়োগা প্রশিক্ষক হন। তবে পরবর্তীতে ১৯৮০ এর দশকে তিনি এইচআইভি ভাইরাসের ইমেজিং এর ক্ষেত্রে একজন পরামর্শক হিসাবে কাজ করেন।
২০০৭ সালে, ৭৭ বছর বয়সে জুন আলমেইডা মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর তের বছর পরে তিনি তার সেই পথিকৃৎ কাজের জন্য অবশেষে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি সম্পর্কে বুঝতে সহায়তা করছে।

তথ্য:ইন্টারনেট

rns24.net is a web news portal that delivers news in Bengali. It runs in collaboration with SST TECH Limited www.ssttechbd.com

অন্টারিও ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ নিয়ে কাজ করছেন জুন আলমেইডা

14/04/2020

সাংবাদিকতার মূল্যবোধ:

সত্য এবং সঠিক তথ্য, নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা, জনস্বার্থ, দর্শকদের কাছে জবাবদিহিতা ।এখানে, নীতিমালার কিছু অংশের সারমর্ম তুলে ধরা হবে যেগুলো আপনার দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করবে। এই তালিকা একবারে পরিপূর্ণ নয়, এবং কোন কোন বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে নীতিমালা ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। যখনই কোন বিষয়ে সন্দেহ থাকবে, তখনই উপদেশ নেয়া উচিত।
আপনি কোন খবর প্রথম ‘ব্রেক’ করতে চান – কিন্তু আপনি খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে চান। সাংবাদিকদের জন্য দ্রুততার চেয়ে সত্যতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার উচিত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে নিজে তথ্য সংগ্রহ করা। কোন ‘ব্রেকিং স্টোরি’ শুধুমাত্র একটি সংবাদ সংস্থা বা সামাজিক মাধ্যম সাইটের খবরের উপর নির্ভর করে পরিবেশন করা গ্রহণযোগ্য নয়।
নিরপেক্ষতার জন্য সব তথ্য আপনাকে বস্তুনিষ্ঠ ভাবে, খোলা মন নিয়ে, সব দিককে সমানভাবে বিবেচনা করতে হবে। যখনই কোন খবর পরিবেশন করা হবে, তখন প্রত্যেক বার সব বক্তব্যকে সমান ভাবে দেবার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক অনুষ্ঠানে সব পক্ষের মতামতকে সমান সময় দেবারও প্রয়োজন নেই।
আপনি একটি সংবাদ সংস্থা জন্য কাজ করছেন এমন কেউ কোন পরিস্থিতিতেই বাইরের কোন সংগঠন বা সংবাদ সংস্থার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে এমন কারো কাছ থেকে কোন উপহার গ্রহণ করতে পারেন না। সাধারণত, পেশার স্বার্থে ভ্রমণ, থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যয় ভার সংবাদ সংস্থা বহন করবে।
সংবাদ সংস্থার একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনি যদি নিজস্ব ব্লগ শুরু করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার ম্যানেজারের সাথে আলাপ করবেন। আপনার ম্যানেজার অযৌক্তিকভাবে আপনাকে বাধা দেবেন না, কিন্তু ব্লগ লেখার সাথে ঝুঁকি এবং সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক হিসেবে আপনার স্বার্থের সাথে দ্বন্দ্ব হতে পারে কি না, সেটা তিনি আলোচনা করতে চাইবেন। আপনার যদি ব্লগ থাকে, তাহলে সেখানে আপনার রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করবেন না বা খোলা-খুলি পক্ষপাতিত্ব করবেন না – যেটা আপনার এবং সংবাদ সংস্থার নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।
আপনি সাধারণত সংবাদ সংস্থার কাজ করার জন্য কোন দেশে পর্যটন ভিসা নিয়ে প্রবেশ করবেন না। ভিসা জটিলতা এড়াতে পর্যটন ভিসা নিয়ে কোন দেশে যেতে হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন সম্পাদকের কাছে পাঠাতে হবে। এই সিদ্ধান্ত আপনি নিজে নিতে পারবেন না।
যে তথ্য জনস্বার্থে প্রচার করা উচিত সেটা মাঝে-মধ্যে শুধুমাত্র বেনামী সূত্র থেকে পাওয়া যায়। নাম না প্রকাশ করে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে একেবারে শেষ রাস্তা, এবং কোন সূত্রকে বেনামী থাকার অধিকার সহজে দেয়া যাবে না। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনি যখন কোন সূত্রের পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তখন আপনি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবেন। বেনামী সূত্রের দেয়া তথ্য যদি অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত হয়, তখন আপনার সম্পাদকের অধিকার আছে সেই সূত্রের পরিচয় জানার।
আপনি যদি শিশু বা কিশোরদের আপনার অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করতে চান, প্রথমে তাদের সম্মতি নিতে হবে। সাধারণত, আপনাকে শিশুর বাবা-মা-র সম্মতি নিতে হবে। অথবা শিশুর আইনগত অভিভাবক বা অন্য কোন ব্যক্তি যার শিশুর জন্য আইনগত দায়িত্ব রয়েছে যেমন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, তাদের অনুমতি নিতে হবে। শিশু বা কিশোরের বয়স যত কম হবে, অভিভাবকের সম্মতি ততই জরুরি হবে।
যখন দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জন অসন্তোষ, সহিংসতা, যুদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে খবর সংগ্রহ করবেন, তখন মানুষের সঠিক তথ্য জানার অধিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সমবেদনা – এই দুটি দিকের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। যখন দুর্ঘটনা বা বিপর্যয়ে আহত বা শোকাহত মানুষের সাক্ষাৎকার নেবার প্রয়োজন হবে, তখন তাদের বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা উচিত।
মাঝে-মধ্যে কোন কন্ট্রিবিউটর সাক্ষাৎকার দেবার আগে শর্ত আরোপ করার চেষ্টা করতে পারে। বেশির ভাগ সময়, সংবাদ সংস্থা সাক্ষাৎকারের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয় না। যদি কোন কন্ট্রিবিউটর আগে থেকে প্রশ্ন ঠিক না করা হলে বা কোন বিষয় সাক্ষাৎকার থেকে বাদ না দিলে সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করে, তখন আপনাকে সাবধানে বিবেচনা করতে হবে সেই সাক্ষাৎকার আপনি আদৌ নেবেন কি না। এ’ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন সম্পাদকের পরামর্শ নিলে ভাল হয়।

জেড,সেলিম

নববর্ষ ও উৎসবের ধারা জিয়াউদ্দীন চৌধুরী (জেড সেলিম) বিশেষ প্রতিনিধি টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা :একটি জাতির নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্...
14/04/2020

নববর্ষ ও উৎসবের ধারা
জিয়াউদ্দীন চৌধুরী (জেড সেলিম) বিশেষ প্রতিনিধি টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা :একটি জাতির নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, আচার অনুষ্ঠান, ধ্যান ধারণা, আশা আকাঙ্খার ভাষা থাকে যা সেই জাতির সংস্কৃতি গড়ে তোলে। সেই সংস্কৃতি জাতির দর্পন। সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে নববর্ষ একটি। আমাদের দেশে তিনটি নববর্ষ উলে­খ যোগ্য। পহেলা বৈশাখ বা ১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১ মুহররম আবির্ভূত হয় হিজরী নববর্ষ বা খৃষ্ট (ইংরেজী নববর্ষ), নববর্ষ আসে পহেলা জানুয়ারী । বাংলা নববর্ষে আনন্দ বৈভবে গ্রাম ও শহর উজ্জিবীত হয়ে ওঠে। খুশীর আমেজে প্রানবন্ত হয়ে উঠে মানুষ।
ইতিহাসের আলোকে পহেলা বৈশাখ-
বাংলা সনের প্রচলন ১৪১৬ বছর আগে। তিথিক্ষণ-দিন-মাস-বছর গণনার মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর বিকশিত হচ্ছে বাংলা বর্ষ বরণের উৎসব। বাংলা নববর্ষকে উপলক্ষ করে প্রকাশিত নানা তথ্য-উপাত্ত ও প্রবন্ধ-নিবন্ধে বাংলা সন বা বঙ্গাঁব্দের উদ্ভাস নিয়ে বেশ মতপার্থক্যও দেখা যায়। মানুষ তার প্রয়োজনে সময় ও কাল গণনার রীতি আবিস্কার করে নিয়েছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগে। এটি মানবজাতির আদিম কালের প্রবৃত্তি এবং মানুষের সহজাত সংস্কৃতির অংশ। পৃথিবীর দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে নানা সন গণনার যে ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে এর পিছনেও রয়েছে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার বিশ্বজনীন নিয়ম। আকাশ এবং পৃথিবীর সৃষ্টির প্রথম আলোকেই পৃথিবীর দেশে দেশে সন এবং বছর গণনার নানা পন্থা আবিস্কৃত হয়েছে। আর পৃথিবীতে যত দেশে যত সন আছে সবগুলোই ১২ মাসের বছর। অবশ্য সৌর মাস ভিত্তিক এবং চন্দ্রমাস ভিত্তিক গণনার ভিন্নতায় এসব সনের পরিধিগত বেশকমও রয়েছে। সন গণনার যে বিশ্ব প্রবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন শব্দ সনের পথ ধরে এখানে প্রবর্তিত হয়েছে সম্বত, সঘীসন, নেপাল সম্বত, ত্রিপুরাব্দ, লক্ষণ সম্বত, পরগনাতি সন, শাহুর সন, হিজরী সন, ঈসায়ী বা সৃষ্টির সন, জালালী সন বাংলা সন ইত্যাদি। এর কোন কোনটা সৌরবর্ষে আবার কোন কোনটা চন্দ্রাবর্ষে গণনা করা হয়ে থাকে। বাংলা সন প্রবর্তিত হয়েছে সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) আমলে। সম্রাট আকবরের সিংহাসনের আরোহনের বছর ৯৬৩ (১৫৫৬ ঈসায়ী) সনকে শুরুর বছর ধরে ফসলী সন নামে যে সন প্রবর্তন করা হয় কালে তা-ই বাংলাদেশে বাংলাসন নামে পরিচিত হয়ে উঠে। মূলত জমির খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে এসব প্রবর্তন করা হয়। এর আগে এ দেশের দেশীয় সন হিসেবে শকাব্দের প্রচলন থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে হিজরী সন চালু ছিল গোটা ভারত বর্ষে। আর এ কারনেই গোটা হিজরী সনকে ভিত্তি করে বছর ধরে এ বাংলা সনেরও প্রবর্তন করা হয়। অন্যদিকে এ সনের মাসের নামগুলো নেয়া হয় শকাব্দ থেকে। এভাবে দেখা যায় এ সনটি প্রবর্তনে এখানকার প্রধান দুটি ধর্ম অর্থাৎ মুসলমান এবং হিন্দু উভয় ধর্মের একটি প্রভাব সনটির উপর পড়েছে। এক্ষেত্রে হিজরী সনকে যদি আমরা বাংলা সনের মায়ের মর্যাদা দেই তাহলে শকাব্দকে দিতে হয় মাসীর মর্যাদা। বাংলা সন ছাড়াও প্রায় সকল সনের ক্ষেত্রেই এ ধর্মীয় প্রভাবের একটি দিক থাকে। বাংলা সনের ক্ষেত্র হিন্দু মুসলমানের এ মিলিত স্রোত সবটিকে একটি অসা¤প্রদায়িক অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে যা উদার ইসলামী সংস্কৃতির পাশাপাশি বাংলাদেশী সংস্কৃতির সাথেও পুরোপুরি সামঞ্জস্যশীল। কৃষকের জমির খাজনা আদায়ের সুবিধার্থেই এ সব প্রবর্তন করা হয়েছিল। ফলে সন প্রবর্তনের সময় থেকেই সাধারন মানুষের সাথে এ সনের পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে উঠে। আজও গ্রামের নিরক্ষর মানুষের কাছে আপনি যদি আজ কত তারিখ জানতে চান তাহলে তিনি হাতের আঙ্গুলে গুনে আপনাকে আজ বাংলা সনের কোন মাস, কত তারিখ তা বলে দেবে। গ্রামের মানুষের কাছে বাংলা সনের পর দ্বিতীয় গুরুত্ব হচ্ছে হিজরী সন বা চন্দ্র মাসের হিসাব। ইংরেজী সন আজও গ্রামের মানুষের মনে স্থান করে নিতে পারেনি। বাংলা সন প্রবর্তনের বছর থেকেই জমির খাজনা পরিশোধ করা হচ্ছে এ সনের হিসাব মতে এবং তা আজ পর্যন্ত এ নিয়মেই চলছে। উপমহাদেশে দীর্ঘদিন মোঘল শাসন থাকায় এখানেও নওরোজ উৎসব হতো। কিন্তু বাংলা সন প্রবর্তনের পর নওরোজ উৎসবের স্থলে স্থান করে নিয়েছে পহেলা বৈশাখের উৎসব।
বাংলা সনের প্রথম মাস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে শকাব্দের দ্বিতীয় মাস ও বিক্রমাব্দের সপ্তম মাস বৈশাখকে।এই বৈশাখ খৃষ্টীয় বছরে ৪র্থ মাস এপ্রিল থেকে। বাংলা সনের শেস দিন চৈত্র সংক্রান্তি এবং পরের দিনকে বছরের প্রথমদিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ডঃ মুসতাসির মামুনের মতে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নববর্ষ শুরু হয় একেক ঋতুতে। কিন্তু বাংল নববর্ষ শুরু হয় ঘোর গ্রীষ্ম ঋতুতে। যদিও অগ্রাহায়ণ ফসল কাটার মাস। কিন্তু নববর্ষ উদ্যাপিত হচ্ছে বৈশাখে। কিন্তু কেন বাংলা সন গণনা শুরু হলো বৈশাখের খর তপ্ত গ্রীষ্মের দাবদাহে। এর রহস্য আজও উম্মোচিত হয়নি নিশ্চিত তথ্যের মাধ্যমে।
বাংলা মাসের নামকরণঃ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলা মাসের নামগুলো বিভিন্ন তারকারাজির নাম থেকে নেয়া হয়েছে। যেমনঃ বিশাখা থেকে বৈশাখ, জেষ্ঠ্যা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদ থেকে ভাদ্র, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রইহনী থেকে অগ্রহায়ণ, পূষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনি থেকে ফাল্গুণ এবং চিত্রা থেকে চৈত্র। আগেকার দিনে অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হত বলে এই মাসকে বছরের প্রথম মাস ধরা হত। তাই এ মাসের নামই রাখা হয় অগ্রহায়ণ। অগ্র অর্থ প্রথম আর হায়ন অর্থ বর্ষ বা ধান। সম্রাট আকবরের সময়ে একটি বিষয় ছিল অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য, তা হল মাসের প্রত্যেকটি দিনের জন্য আলাদা আলাদা নাম ছিল। যা কিনা প্রজা সাধারণের মনে রাখা খুবই কষ্ট হত। তাই সম্রাট শাহজাহান ৭ দিনে সপ্তাহ ভিত্তিক বাংলায় দিনের নামকরণের কাজ শুরু করেন। ইংরেজী বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ইংরেজি ৭ দিনের নামের কিছুটা আদলে বাংলায় ৭ দিনের নামকরণ করা হয়। যেমন : সানডে- রবিবার। সান অর্থ রবি বা সূর্য আর ডে অর্থ দিন। এভাবে বর্ষ গণনার রীতিকে বাংলায় প্রবর্তনের সংস্কার শুরু হয় মোঘল আমলে।

দেশে দেশে বৈশাখী উৎসব
:
ব্রজিলিয়ানদের বিশ্বাস, মসুনদানা সম্পদ আর অর্থবিত্তের জন্য শুভ, এ বিশ্বাস থেকেই তারা বছরের প্রথম দিকে মসুরের স্যুপ খেয়ে থাকেন। নতুন বছর আসার আগের দিন রিওডি জেনিরোর বিখ্যাত ইপেনামা সৈকত থেকে ভাসানো হয় ফুল মোমবাতি আর গয়না-গাটি ভর্ত্তি আস্ত নৌকা। এই নৌকা ভাসানোর কাজটি হয় আদতে জলের দেবতা ইয়ামানজাকে তুষ্ট করার নিয়তে।
থ্যাইল্যান্ড নতুন বছরের প্রথম দিনে সৌভাগ্য লাভের আশায় খাঁচার পাখিদের মুক্ত করে দেয়া হয়। নদীতে ছেড়ে দিয়ে আশা হয় পাত্রে ভাসা জ্যান্ত মাছ। মায়া স¤প্রদায়ের লোকজন প্রতিটি নতুন বছর শুরু করতো তাঁদের হাড়ি পাতিল ভেঙে। প্রতিটি নতুন বছর একেক দেবতার নামে উৎসর্গ করতো তারা।
রাশিয়ায় নববর্ষের সবচেয়ে বড় ধরনের ধুম ধামটা হয় ক্রেমলিনে। এই উৎসবে যোগ দেয় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সান্তা ক্রজের মতোই রাশিয়ায় আছে গ্র্যান্ডফাদার ফ্রস্ট। বছরের শুরুর দিনে শান্তা ক্রজের মতো দেখতে ফাদার ফ্রস্ট বাচ্চাদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন। ফাদার ফ্রস্টের জামার রং থাকে নীল।
কাশ্মিরীর নতুন বছরের উৎসবকে বলে ‘নভরেহ’। এদিনে কাশ্মিরের একাংশের লোকজন পবিত্র ঝরনায় নেমে øান করেন। মনে করা হয় এতে তাদের পরানো বছরের সব পাপ আর অপকিতীর কালিমা ধুয়ে মুছে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নববর্ষের সবচেয়ে বড় ঝাক জমকটা হয় টাইমস স্কোয়ারে। রাত ১২টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কানে তালা লেগে যায় গাড়ির হর্নের শব্দে। বাজানো হয় বাঁশি, ছুড়ে ফেলা হয় পুরনো বছরের কাগজপ\ সবাই চুমু খায় একজন আরেকজনকে।
ভিনদেশী ভাষায় নববর্ষের শুভেচ্ছা ঃ (১) আরবী- কুল ইয়ামু আনতাম সালি মউ (২) হিন্দী - নিয়া সাল মুবারক, (৩) হিরু - ল শান্নাহ তোভাহতিকাতেভু (৪) ল্যাতিন - সাবাই ডি পি মেই (৫) ইতালীয় - বুয়োন কাপাদোনা (৬) চীনা - চু সেন তান (৭) রাশিয়ান - স নিভম গডম (৮) সুইডিশ - গটনিট আর (৯) উর্দু - খোশ আমাদেদ নয়া সাল (১০) ফরাসী - বোন্নে আন্নে, (১১) জাপানিজ - আকে মামিতে ওমে ডেতু গোজাই মাসু (১২) ডাচ - গলুমি¡গ নিউ জার (১৩) স্প্যানিশ -ফেলিজ আনো নুভো।১৪) ইরান- নওরোজ ১৫)তিব্বত - লোগসর ১৬)ভিয়েতনাম - তেত ১৭) ইহুদী – রাশ হুসানা ১৮)মুসলমান - আশুরা

(জেড সেলিম),

rns24.net is a web news portal that delivers news in Bengali. It runs in collaboration with SST TECH Limited www.ssttechbd.com

Address


Telephone

+8801716190643

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RNS24.net posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to RNS24.net:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share