Ts Tahmina akter

Ts Tahmina akter tiktok kar

 #মায়াবতী অথৈয়ের থেকে এক ব্যাগ রক্ত নিয়েছে। অথৈ আরও দিতে চায়। কিন্তু ডাক্তার নিবে না। কারণ আরেক ব্যাগ নিলে অথৈ অসুস্থ হয়...
12/01/2024

#মায়াবতী

অথৈয়ের থেকে এক ব্যাগ রক্ত নিয়েছে। অথৈ আরও দিতে চায়। কিন্তু ডাক্তার নিবে না। কারণ আরেক ব্যাগ নিলে অথৈ অসুস্থ হয়ে যাবে। সাগরের বাবা সাদ্দাম আর মা সালমা কিছুক্ষন পরেই চলে আসে

সাদ্দাম রক্ত আনতে বেরিয়েছে। সালমা কান্না করছে। সকালেও ছেলেকে নিজে হাতে খাইয়ে দিয়েছে আর এখনই ছেলেটা হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে৷ বেচারি মেনে নিতে পারছে না।

অথৈ মাথা নিচু করে বসে আছে। এখনো তন্নির কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি। কোথায় গেলো মেয়েটা? কেনো গেলো?
কি হলো তার? তন্নি ঠিক আছে তো?
সাগরের টেনশন তন্নির টেনশন দুটোর চাপ নিতে পারছে না অথৈ। মাথা ঘুরে আসে তার। বসে থাকতে পারে না। টলে পড়ে যায় ফ্লোরে।
সালমা বেগমের পাশেই বসে ছিলো অথৈ। অথৈকে পড়ে যেতে দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে উনি। ডাক্তার এগিয়ে আসে। মুহুর্তেই নার্স চলে আসে। অথৈকে ধরে কেবিনে নিয়ে যায়।

আনোয়ারকে কল করে সালমা। এলাকার পরিচিত নাম্বার ছিলো তার কাছে।
আনোয়ার সবেই ভিডিওটা দেখতে যাবে তখনই ফোন বেজে ওঠে।
খানিকটা বিরক্তি নিয়েই কল রিসিভ করে তিনি।

"হ্যালো"

ওপাশ থেকে সালমা কাঁদতে কাঁদতে বলে

" অথৈয়ের কিছু হয়ে হয়েছে। হাসপাতালে চলে আসুন।

আনোয়ারের হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। তার ছোট মেয়ে তার জান। কি হয়েছে তার কলিজার?
চিৎকার করে আশাকে ডাকতে থাকে।
আশা নিধির সাথে পরামর্শ করতেছিলো কি করবে না করবে।
স্বামীর চিৎকার করা ডাকে সে দৌড়ে রুমে যায়।
আনোয়ার দরদর করে ঘামছে। হাত পা কাঁপছে তার। স্বামীর করুন পরিণতি দেখে আশা দৌড়ে স্বামীকে ধরে

"কি হয়েছে তোমার? এমন করছো কেনো?

আনোয়ার কাঁপা-কাঁপি গলায় বলে
" আমার অথৈ

"অথৈয়ের কি হয়েছে?

" হাসপাতালে ও।

আশা কেঁদে ফেলে। সে অর্ণবকে ডাকে। অর্ণব ততক্ষনে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে। আর্থি বাড়িতেই ছিলো। সে আসে। সবটা শুনে বাবা মাকে ধরে গাড়িতে বসায়। তারপর নিজে ড্রাইভ করে হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা হয়।

অথৈকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। সাথে ঘুমের ঔষধ। ঘুমের মধ্যেও সে বারবার তন্নি তন্নি করে উঠছে। আশা মেয়ের হাত ধরে বসে ছিলো। আনোয়ার পায়ের কাছে।
আর্থি আরেক হাত ধরে বসে আছে।

মেয়ের মুখ থেকে তন্নি নামটা শুনে আশা কেঁপে ওঠে। মনে পড়ে যায় তখনকার কথা।

তখন আনোয়ার বেরিয়ে যাওয়ার পরই আশা কল করেছিলো ইতি বেগমকে।
ইতি তন্নিকে ভালোবাসে না। সারাজীবন অনেক অত্যাচার করেছে মেয়েটার ওপর। ঠিক মতো খেতেও দেন নি। মেয়েটাকে অনেক কথা শুনিয়েছে।
কিন্তু যখন আশা তন্নিকে যা নয় তাই বলছিলো তখন কেনো জানি ইতির সহ্য হয় নি। খুব খারাপ লেগেছিলো।

ইতি বলেছিলো
"আমার মেয়ে আর আপনার ছেলে মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখবে না। আমি কথা দিচ্ছি। আর দয়া করে আমার স্বামীর কান ওবদি এই খবর পৌঁছাবেন না। সে খুব কষ্ট পাবে। মেয়েটা আমার ছোট। সে না বুঝেই ভুল করেছে। এই ভুল দ্বিতীয় বার হবে না।

বলেই ইতি কল কেটে দেয়। আশা থেমে থাকে নি। কল করেছিলো তারেক কে। যা নয় তাই বলে অপমান করেছে। তারেক বিদেশে যাওয়ার সময় আনোয়ারের থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলো সেটা নিয়েও খোঁটা দেয় আশা।
তন্নিকে বাজারি মেয়ে বলতেও সে দুবার ভাবে নি।

অপমান সহ্য করতে না পেরে তারেক কেঁদে ফেলেছিলো। হাত জোর করে আশাকে বলেছে

"ক্ষমা করে দিবেন আমার তন্নিকে। না বুঝে ভুল করেছে সে। দ্বিতীয় বার এই ভুল করবে না। আমার তন্নি আর কখনোই অর্ণব বাবার সাথে কথা বলবে না। আমি কথা দিচ্ছি আপনাকে।

" মনে থাকে যেনো।
এটা ভুলেও ভাববেন না আপনার মেয়েকে বড়লোক ছেলের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে তাদের টাকায় বড়লোক হবেন। আমি বেঁচে থাকতে আপনার এই ইচ্ছে পূরণ হবে না।

তারেক বলে

"এতোটা সাধ্য নেই আমার। আমার মেয়ে এমন না। আর আমাদের চিন্তাভাবনাও এমন না।

বলেই তারেক কল কেটে দেয়। নিধি আর আশা বিশ্ব জয়ের হাসি দেয়।

এসব কথা মনে পড়তেই আশা চুপসে যায়। তন্নি চলে গেছে বলে অথৈ অসুস্থ হয়ে গেছে? কি পেয়েছে ওই মেয়ের মধ্যে তার ছেলে মেয়ে।
অবশ্য আশারও তন্নির প্রতি দুর্বলতা আছে। মেয়েটা সত্যিই খুব ভালো।
কিন্তু তার ছেলের নখেরও যোগ্য না। কোথায় তার হিরের টুকরো ছেলে আর কোথায় কাঁচ তন্নি।
এটা সে কখনোই মেনে নিবে না।
নিধির সাথে ছেলেটার বিয়ে হয়ে গেলে সে ইতি আর তারেকের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেবে।
তন্নিকেও আবার আগের মতো ভালোবাসবে।

সাগর এখন বিপদ মুক্ত। রক্ত দেওয়ার পরে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মাথার আঘাতটা তার প্রবল। খুব বাজে ভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছে। বেঁচে তো থাকবে কিন্তু সুস্থ হবে কি?

__
জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে তন্নি। গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছে সে। ছোট্ট একটা বাসা নিয়েছে। সেখানে সবই আছে।
এই যে ছোট্ট রুমটাতে একটা বেলকানিও আছে। এই রুমটা খানিকটা অর্ণবের রুমের মতো কিন্তু অতোটা বিলাসবহুল না।
জানালা দিয়ে পশ্চিম আকাশটা দেখা যাচ্ছে। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে। লাল আভা ছড়িয়েছে সূর্যের চারপাশে।
একটুখানি দেখা যাচ্ছে সূর্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে এই টুকুও তলিয়ে যাবে। পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসবে।

গোধূলি দেখে মন খানিকটা ফ্রেশ হয়ে যায় তন্নির।
তখনই আবার মনে পড়ে যায় বাবার বলা কথা গুলো। হাসি মুখটা চুপসে যায়। চোখ দুটো ছলছল করে ওঠে। মনে মনে বলে

"আপনি আসবেন অর্ণব। আমাকে নিতে আপনাকে আসতেই হবে। আমিও যাবো আপনার সাথে। আপনাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আপনাকে ছাড়ার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।
কিন্তু আমার বাবা মাকে করা অপমানের প্রতিশোধ আমি নিয়েই ছাড়বো।
আপনার মা কে ক্ষমা চাইতেই হবে।
তন্নি তার বাবা মায়ের ব্যাপারে খুব প্রসেসিভ।
আর আপনাকেও সোজা করে ছাড়বো আমি।

__

তন্নিদের বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে অর্ণব। তন্নিকে না নিয়ে সে ফিরবেই না। বিয়ে করা বউ তন্নি তার। এতো সহজে সব কিছু মিটমাট হবে না। তন্নিকে জবাব দিতে হবে কেনো করলো এমনটা?

একজন লোক লাগিয়েছিলো অর্ণব তন্নিদের পেছনে। সেই অর্ণবকে জানিয়েছে তন্নি এখানে আছে।

আজকের দিনটা অর্ণব অন্য ভাবে শুরু করতে চেয়েছিলো। তন্নির মুখটা দেখে অফিসে যেতে চেয়েছিলো। তন্নি সবটা নষ্ট করে দিয়েছে।
এলোমেলো করে দিয়েছে অর্ণবের সমস্ত প্লান।

অর্ণব ঝাঁকড়া চুলে হাত বুলিয়ে দরজায়,টোকা দেয়।
ইতি বেগম এসে দরজা খুলে।

" কি চাই?

অর্ণব ভেতরে উঁকিঝুঁকি মারে

"আমি অর্ণব চৌধুরী। অনির পাপা।

" তো আমি কি করতে পারি?

অর্ণব হতাশ হয়। ভেবেছিলো বউটাই শুরু কর্কশ। এখন দেখছে শাশুড়ী কর্কশের চেয়েও বড় কিছু।

"অনির মাম্মামের সাথে কথা বলতে চাই আমি।

" এই নামে এখানে কেউ থাকে না।

"আরে থাকে তো। অথৈয়ের তন্নি।

" আমার মেয়ের থেকে দূরে থাকবা।

"আপনাকে যদি বলি আমার শশুড়ের থেকে দূরে থাকতে। আপনি পারবেন? কখনোই পারবেন না।
বিয়ের আগে যেমন তেমন। বিয়ের পরে বউ ছাড়া থাকাই যায় না। এটা ইতিহাসের বড়বড় কবিরা বলে গেছে।

ইতি বেগম লজ্জা পেয়ে যায়। এতো বেয়াদব ছেলে হয়?

"আজকে আমাদের বাসর শাশুড়ী মা। আমি বোনরা খাট সাজিয়ে অপেক্ষা করছে। কতো টাকার ফুল কিনেছি জানেন?

ইতি বেগম কথা বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছে না। সে দরজা আটকাতে যায়। তন্নি পেছন থেকে বলে

" ওনাকে আসতে দাও মা। এতো টাকার ফুল পঁচে গেলে ওনার লস হয়ে যাবে।

চলবে...

খুব করে চাওয়া কিছু না পাওয়ার খাতায় জমা হয়, তখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কিছু, হাতের মুঠোয় আসলেও পাওয়ার ইচ্ছেটা মরে যায়।💔🥀🥰
12/01/2024

খুব করে চাওয়া কিছু না পাওয়ার খাতায় জমা হয়, তখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কিছু, হাতের মুঠোয় আসলেও পাওয়ার ইচ্ছেটা মরে যায়।💔🥀🥰

 #মায়াবতী বিকেল বেলা সাগর চলে আসে অথৈয়ের বাড়িতে। অথৈ ঘুমচ্ছিলো। তন্নির বাড়িতে যাওয়ার কথা প্রায় ভুলে গেছিলো। কেউ বাড়িতে ন...
12/01/2024

#মায়াবতী

বিকেল বেলা সাগর চলে আসে অথৈয়ের বাড়িতে। অথৈ ঘুমচ্ছিলো। তন্নির বাড়িতে যাওয়ার কথা প্রায় ভুলে গেছিলো।
কেউ বাড়িতে নেই। আর্থি শশুড় বাড়ি গেছে।
আনোয়ার আর অর্ণব অফিসে। আশা বেগম শপিং করতে বেরিয়েছে।
বাড়িতে অথৈ একা। দারোয়ান গেইট খুলে দিয়েছে সাগরকে। সাগর অথৈয়ের রুমে আসে। এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে মেয়েটা। এই গরমেও কোমর ওবদি কম্বল টেনে দিয়েছে।
সাগর হাসে। কোমরে হাত দিয়ে খানিকক্ষণ দেখে অথৈকে। তারপর অথৈয়ের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে ধীরে সুস্থ ডাকতে থাকে। অথৈয়ের ঘুম পাতলা। কয়েক ডাকেই উঠে যায়। পিটপিট করে চোখ খুলে সাগরকে সামনে দেখে লাফিয়ে ওঠে।

"আরে আরে রিলাক্স। আমি এসেছি।

অথৈ বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস টেনে নিজেকে শান্ত করে। তারপর ধীর গলায় বলে
" আপনি এখানে?
"তন্নির বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো তো তোমার।
অথৈ মাথায় হাত দেয়। কি করে ভুললো সে? অথৈয়ের মনের কথা বুঝতে পেরে সাগর বলে
" এখনো সময় আছে। যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।

অথৈ মাথা নাড়িয়ে ফ্রেশ হতে যায়।
সাগর কম্বল ভাজ করে বিছানা চাদর টানটান করে বালিশ আর কম্বল সাজিয়ে রাখে।
অগোছালো তার পছন্দ না। তারপর খাটের এক কোণে বসে অথৈয়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

অথৈও তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে বের হয়।

_

সাগর আর অথৈকে দেখে তন্নি বেশ অবাক হয়। সাগর কখনো এই বাড়িতে আসবে ভাবতেই পারে নি তন্নি। তাছাড়া ঘরে কিছুই নেই। কি খেতে দেবে সাগরকে? অথৈ কতো বড় মুখ করে নিয়ে এসেছে। এখন খালি মুখে ফিরে যাবে?
তন্নিকে থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অথৈ এগিয়ে যায়। তন্নির কাঁধে হাত রাখে।
"তুই খুশি হস নি?

তন্নি হাসার চেষ্টা করে বলে
" খুব খুশি হয়েছি। সাগর ভাইয়া ভালো আছেন?

সাগর তন্নির মুখের দিকে না তাকিয়েই জবাব দেয়
"আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷
" অথৈ ভাইয়াকে নিয়ে বস
আমি আসছি
বলে তন্নি বের হতে যায়। অথৈ হাত টেনে ধরে
"তুই রেডি হয়ে নে। আমরা এক জায়গায় যাবো।
" আমাকে মা যেতে দেবে না রে।
"দেবে। তুই রেডি হ। আমি আন্টির সাথে কথা বলছি।
অথৈকে না করার সাধ্য তন্নির কখনোই ছিলে না। তাছাড়া ভীষণ মাথা ব্যাথা করছে। ইদানীং প্রায়ই করে। একটু ঘুরলে যদি ভালো হয়।
অথৈ ইতি বেগমের কাছে যায়। সে রান্না করছে। সাগর তন্নিদের উঠোনে বসে।

অথৈয়ের দিকে এক পলক তাকিয়ে ইতি বেগম আবার রান্নায় মন দেয়। অথৈ একটু হাসে
" আন্টি ভালো আছেন?

ইতি গম্ভীর মুখে বলে
"হুমম
" তন্নিকে নিয়ে একটু বেরুচ্ছি।
"ও যাবে না।
" ও যাবে। রেডি হচ্ছে। আপনি বোধহয় যেতে দিতে চাচ্ছেন না। কিন্তু আপনার কথা আমি শুনবো না। কজ আপনি তন্নির কেউ না।

ইতি চোখ পাকিয়ে তাকায় অথৈয়ের দিকে।
"আমি তন্নির মা
" মা কখনো সন্তানের গায়ে হাত তুলতে পারে না আন্টি। আপনি তো তামিমকে এতোটা টর্চার করেন না। কারণ সে আপনার সন্তান। তন্নি আপনার কেউ না।
বলেই অথৈ চলে যায়। ইতি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। সে তন্নিকে ভালোবাসে। কিন্তু সেই ভালোবাসাটা বেশিক্ষন স্থায়ী হয় না। কোনো না কোনো কারণে সেই ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায়। মনটা বিষিয়ে যায়।

তন্নি আর অথৈ রিকশায় যাচ্ছে সাগর বাইকে। তন্নি নিজের অসুবিধার কথা অথৈকে বলতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না। মৃ/ত্যুকে ভীষণ ভয় পায় তন্নি। জীবনে এতো এতো খারাপ সময় এসেছে কিন্তু কখনোই তন্নি মৃ/ত্যুর কথা মাথায় আনে নি৷ তন্নি বাঁচতে চায়। অনি তাতান ওদের দুনিয়াতে আনতে চায়। শান্তিতে সংসার করতে চায়।

তন্নি ঘামছে। অথৈ এক হাতে তন্নিকে জড়িয়ে ধরে।
তন্নি তাকায় অথৈয়ের দিকে
"কি হয়েছে তন্নি? আমায় কেনো বলিস নি তোর শরীর ভালো যাচ্ছে না?

তন্নির চোখে পানি চলে আসে। মেয়েটা বুঝে গেলো। অথচ অর্ণব বা তার মা বুঝলো না।
তন্নি অথৈয়ের হাত দুটো শক্ত করে ধরে বলে
" তুই বুঝে গেলি?
"তোর থেকেও বেশি তোকে চিনি আমি।
আর কিছু বলতে পারে না তন্নি। আল্লাহ অথৈকে পাঠিয়েছিলো তার জীবনে। মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় সবার ভালোবাসা পূরণ করেছে এই মেয়েটা। বন্ধুরা কখনো এমন হয়?

হাসপাতালের সামনে এসে রিকশা থামে। সাগর আগেই পৌঁছে গেছিলো। সে দাঁড়িয়ে আছে। অথৈ ভাড়া মিটিয়ে নামে। তারপর তন্নির হাত ধরে তন্নিকে নামতে সাহায্য করে।
তারপর তিনজন যায় হাসপাতালের ভেতরে।
ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছে অথৈ তন্নি আর অর্ণব। ডাক্তার তন্নিকে দেখছে ভালো করে। ডাক্তার নিজেও চিন্তিত।

অথৈ ধৈর্য রাখতে পারছে না। সে জিজ্ঞেস করে ফেলে
" কি হয়েছে আমার তন্নির?

ডাক্তার তন্নির চোখ আর জিহবা দেখে হতাশার সুর টেনে বলে
"কিছু টেস্ট দিচ্ছি। রিপোর্ট আসলেই বলতে পারবো।
বুকটা কেঁপে ওঠে অথৈয়ের। তন্নির বুকটা অশান্ত হয়ে ওঠে। নিশ্চয় বড় কিছু হয়েছে তার। নাহলে কেনো টেস্ট দিবে?
সাগর দু পা পিছিয়ে যায়। এতক্ষণে তাকিয়েছে সে তন্নির মুখটার দিকে। এটা যেনো তন্নি না। অন্য কেউ। মায়াবতী তন্নির চোখে মুখে অসুস্থতা।
এতোটা অসুস্থ সে?
অথৈ জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে ডাক্তারকে পূণরায় জিজ্ঞেস করে
" আমার তন্নি ভালো হয়ে যাবে তো?

ডাক্তার তন্নির দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন।বয়স কতো হবে? ১৮ কি ১৯ এই টুকু মেয়ের এতোবড় অসুখ? যদিও সে আন্দাজ করছে। শিওর না। তবে এতো বছরের ডাক্তারিতে এইটুকু ধারণা আছে তার।
মেয়েটার চোখ মুখ দেখে মায়ায় পড়ে যায় ডাক্তার। এতোটা মায়াবী কেউ হতে পারে? এক পলকে মন কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই মেয়ে।
"ওনার বাবা মা আসে নি?

তন্নি মাথা নিচু করে ফেলে।
সাগর এগিয়ে এসে বলে
" আমি ওর বড় ভাই। আমাকে বলতে পারেন।
অথৈ বলে
"আমি ওর হাসবেন্ডকে কল করছি।
ডাক্তার নার্সকে ডাকে। এবং নার্সের সাথে তন্নিকে যেতে বলে। তন্নি বাধ্য মেয়ের মতে চলে যায়। এখন ডাক্তারের চেম্বারের বসে আছে অথৈ আর সাগর। অর্ণবকে কল করেছে অথৈ। সে আসছে।
ডাক্তার দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে
" আমার যতদূর মনে হচ্ছে ওনার ক্যান্সার হয়েছে। এতো বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এটাই মনে হচ্ছে।

অথৈ চিৎকার করে ওঠে। সাগর দুই হাতে আগলে নেয় অথৈকে। মেয়েটা কাঁপছে। নিশ্বাসটাও নিতে পারছে না ঠিকভাবে।
ডাক্তার আবার বলে
"দুই একদিনে কখনে কেনো রোগ হয় না। অনেকদিন থেকেই হয়েছে ওনার এরকম। আমার মনে হচ্ছে ছোট বেলা থেকেই। বাকিটা রিপোর্ট আসার পরে বলছি।
__

গতকাল রিপোর্ট বের হবে। এখনো একটা টেস্ট বাকি। অর্ণব কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। অথৈ অর্ণবের কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে। সাগর তন্নির সাথে গেছে। কারণ মেয়েটা ভয় পাচ্ছে।
অর্ণব কি করবে, কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। তার পুরে পৃথিবী থমকে গেছে। নিজেকে থামাতে পারছে না সে। শান্তনা দিতে পারছে না।

" আচ্ছা অথৈ ক্যান্সার হলে তো অনেক মানুষই বেঁচে যায় তাই না?

হঠাৎ করে বলে ওঠে অর্ণব।
অথৈ ভাইয়ের মুখের দিকে তাকায়
"তাছাড়া ডাক্তার তো বলেছে শিওর না। ওনার এটা মনে হচ্ছে। অন্য কিছুও তো হতে পারে তাই না?
বলতে বলতে থেমে যায় অর্ণব। তার মনে পড়ে যায় হোক তার তন্নি অসুস্থ।
" অথৈ রে
ভালো কিছুই হবে বল? আমার আল্লাহ আমাকে হতাশ করবে না বল?
আমার আল্লাহ নিশ্চিত ভালো কিছু করবে। আমাদের ধৈর্যহারা হলে চলবে না বল।

অথৈ ভাইকে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে ফেলে। নিজেকে বোঝানোর বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে তার ভাই। তন্নির কিছু হয়ে গেছে দুই ভাই বোন বাঁচবে না। শেষ হয়ে যাবে তারা।

__
রাত দশটার দিকে হাসপাতালের সব কাজ শেষ হয়। অর্ণব তন্নিকে নিজের সাথে নিয়ে যাবে। তন্নিও যেতে চায়। অথৈ আর সাগর বাইকে চলে গেছে। অর্ণব আর তন্নি গাড়িতে। অর্ণব তন্নির সাথে একটাও কথা বলছে না। তন্নি তাকিয়েই আছে অর্ণবের দিকে। অন্ধকারে অর্ণবের মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে হেডলাইনের আলোতে একটু একটু দেখা যাচ্ছে।
ড্রাইভার ড্রাইভ করছে।
হঠাৎ করে তন্নি বলে ওঠে
"আপনি আমার যে চুলের ওপর ক্রাশ খেয়েছিলেন সেই চুল গুলো প্রায় উঠে গেছে। মাত্র সাত দিনে আমার চুল গুলো উঠেই গেলো।
কি হলো বলুন তো আমার? এমন কেনে হয়ে যাচ্ছি? মা বললো আমি না কি প্রেগন্যান্ট। কিন্তু এটা তে হওয়ার না।
কি করলে বলুন তো সুস্থ হবো?

অর্ণব তন্নির হাত টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।
" আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি মায়াবতী। তোমার চুল লাগবে না আমার। তোমার সৌন্দর্যও লাগবে না। অসুন্দর কুৎসিত হয়ে তুমি শুধু আমার সাথে সারাজীবন থেকে যেয়ো তাতেই হবে আমার।
আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি অনির মাম্মা। ভীষণ ভালোবাসি।

তন্নির মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় অর্ণব।
অর্ণবের বুকে মাথা রেখেও তন্নি শান্তি পায় না। মাথাটা ব্যাথা করতেই থাকে।
"অর্ণব ইদানীং আপনার বুকের মধ্যেও সুখ খুঁজে পাই না আমি।

চলবে

I've received 400 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
11/01/2024

I've received 400 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

হঠাৎ করে একদিন সব দোয়া কবুল হয়ে যাবে।🥰সেদিন দুনিয়ার সুখী মানুষের তালিকা'তে সবচেয়ে উপরে থাকবো ইন"শা"আল্লাহ!❤️🌸
28/12/2023

হঠাৎ করে একদিন সব দোয়া কবুল হয়ে যাবে।🥰
সেদিন দুনিয়ার সুখী মানুষের তালিকা'তে সবচেয়ে উপরে থাকবো ইন"শা"আল্লাহ!❤️🌸

28/12/2023

বাসর রাতে ঢুকে জানতে পারলাম যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে সে আমার প্রেমিকা নয়, তার জমজ বোন।
- মানে? আমিতো তিন্নির কোনো জমজ বোনকে চিনিনা। আর ও কোনোদিন বলেও নি তার কোনো বোন আছে আর তিন্নি কোথায়?
- কেনো বলেনি সেটা জানিনা আর সে বিয়ের আগে আরেকজনকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
- মানে কার সাথে পালাবে? ও তো আমাকে ভালোবাসতো।
- সেগুলা আমি জানিনা তবে বিয়েটা আপুর সাথে হয়নি আপনার।
- দাড়াও তিন্নির নাম্বারে কল দিচ্ছি দেখি কার সাথে পালাইছে সে।
- এসব করে কোনো লাভ নেই তার ফোন অফ পাবেন আপনি আমার ফোনের ছবিগুলা দেখুন বুঝতে পারবেন আমরা জমজ বোন।

আদিরা ফোনটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো।
আমি হাতে নিয়ে দেখলাম দুই বোনের অনেকগুলা ছবি।
মেয়েটা আমেরিকাতে বড় হয়েছে মামার কাছে।
সেগুলার ছবিসহ প্রমানও দিলো।
এবার আরো একটা শক্ত প্রমান পেলাম মেয়েটার ঠোঁটের নিচে তিলটা নেই যেটা তিন্নির ছিলো।

পৃথিবীতে এমন হতভাগা মানুষ কয়টা আছে কে জানে।
চার বছর প্রেম করলাম, বিয়েও ঠিক হলো তার সাথেই কিন্তু সে পালিয়ে গেলো বিয়ে করলাম তার জমজ বোনকে।
কেনো পালালে তিন্নি? আর যদি পালানোরই ছিলো তবে বলে দিতে আমি বিয়ে পর্যন্ত আসতামই না।
মনের ভিতর হাহাকার আর কষ্টের কারনটা না হলেও পারতে।
আজকের রাতটা নিয়ে কত স্বপ্ন দেখিয়েছিলে মনে আছে?
তুমিই যেনো পাশে বসে আছো, দেখতেও একিরকম শুধু মানুষ দুইটা।
কিভাবে মনকে বুঝাবো?

যত সহজে বলা হচ্ছে পরিস্থিতির কথা সত্যিই কি ততটাই সহজ?
সেই মানুষটার মতো একই রকম দেখতে একটা মেয়েকে নিয়েই কাটাতে হবে সারাজীবন অথচ তাকে কোনোদিন তিন্নি বলে ডাকতে পারবোনা।

মেয়েটার দিকে তাকালাম।
দুজনের মধ্যে একটু পার্থক্য তো আছেই।
এই মেয়েটার নাম আদিরা না হয়ে হতে পারতো মিন্নি।
আমি মিন্নি ডাকতে গিয়ে ভুল করে তিন্নি ডাকতে পারতাম কিন্তু আদিরাকে কিভাবে তিন্নি ডাকবো?
সেটা তো ইচ্ছাকৃত হয়ে যাবে।

আদিরা মেয়েটা তিন্নির চাইতে একটু ফর্সা, না একটু না বেশ অনেকটাই।
আমেরিকায় থাকার কারনে এই পরিবর্তন।

- আপনি কিছু ভাবছেন?(আদিরা)
- হ্যা ভাবছিলাম।(আমি)
- কি ভাবছেন?(আদিরা)
- আপনি রাজি এই বিয়েতে?(আমি)
- হ্যা।(আদিরা)
- কোনো বয়ফ্রেন্ড ছিলোনা আপনার?(আমি)
- ছিলো।(আদিরা)
- তার কি হয়েছে?(আমি)
- সে দুবছর আগেই আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে।(আদিরা)
- ওহ আচ্ছা।(আমি)
- হিহিহি। আমার বয়ফ্রেন্ড ছিলোনা।(আদিরা)
- আমেরিকাতে ছিলেন আর কোনো বয়ফ্রেন্ড ছিলোনা?
- কেনো আমেরিকা থাকলে বয়ফ্রেন্ড থাকা আবশ্যক নাকি?
- না তা নয় তবে না থাকাটা কিছুটা অস্বাভাবিক।
- আমি ওসবের টাইম পাইনি। পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
- লাভ কি হলো? সেইতো বিয়ে করে এখন বাড়িঘর সামলাতে হবে।
- একটা কথা আগেই বলে দেই?
- বলুন।
- আপু পালিয়েছে বলে কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না তুমি বিছানায় ঘুমাও আমি সোফায় ঘুমাবো।
আপনি আমার সাথেই ঘুমাবেন। সময় নিন। শারীরিক সম্পর্ক দরকার নেই তবে ভালোবাসতে মানা করবেন না।

মেয়েটার কথায় কিছুটা অবাক না হয়ে পারলাম না।
তবুও বললাম,
- আচ্ছা।

সে এখন আমার বউ। আমার যেমন তার ওপর অধিকার আছে তেমন তারও আমার ওপর পূর্ন অধিকার আছে।
তিন্নি তো আরেকজনকে নিয়ে পালাইছে আমি কেনো এই মেয়েটাকে কষ্ট দিবো?

মেয়েটার দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম মেয়েটা মেকআপ করেনি।
কৌতুহল হলো কেনো করেনি?

- আপনি সাঁজগোছ করেননি কেনো?
- সময় কই? আব্বু এসে বললো তোর বোন পালিয়ে গেছে মান সম্মান বাঁচাতে হলে আমাকে এই বিয়েটা করতে হবে। আর এমনিতেও আমার মেকআপ করতে ভালোলাগেনা। চামড়ার ওপর সাদা একটা আস্তরনে নিজের আসল সৌন্দর্য ঢেকে কেনো রাখবো? হই কালো বা ফর্সা।

- তা খারাপ বলেন নি।
- আপনি আমাকে তুমি করে বলতে পারেন।
- সময় লাগবে। আপনার বোনকেই আমি রিলেশন হবার ৬ মাস পর তুমি বলছি।
- আপনাদের প্রেম কাহিনিটা বলবেন? আমার খুব শুনতে ইচ্ছে করছে।

বাসর রাতে বউকে প্রেম কাহিনি শুনাতে হবে যেই কাহিনিতে নায়িকা তার আপন বোন।
কি আর করার প্রেম কাহিনি শুনিয়ে রাত শেষ করি।
আমি বলতে শুরু করলাম,
- লাস্ট ইয়ারে যখন পরিক্ষা দিলাম তখন আপনার বোনের সাথে দেখা।
পাশাপাশি সিট পড়েছিলো আমাদের।
ফার্স্ট আর লাস্ট দুই সেমিষ্টারের পরিক্ষা একসাথে।
সেই পরিক্ষায় আমি খারাপ করি কারন তিন্নি।
সেই যে তাকিয়েছিলাম তার দিকে।
আমি পাশ মার্ক তুলে আর কিছু লিখতে পারিনি।
পুরো তিনটা ঘন্টা তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

এরপর খোঁজখবর নিলাম।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রোপোস করলাম সে রাজি হলোনা।
এরপর সেমিষ্টারের শেষ দিন পর্যন্ত তার পিছু ঘুরেছি।
একদিন সে রিক্সা নিয়ে যাচ্ছিলো আমি রাস্তায় এক্সিডেন্ট করি।
কারনটা আপনার বোন।
সেদিন সে নীল শাড়ি পড়েছিলো।
কপালে টিপ, হাতে কাচের চুড়ি ঠোটে হালকা লিপস্টিক।
শুধু বাকি ছিলো খোঁপায় বেলিফুলের মালা।
আমি বেলিফুলের মালা আনতে গিয়েই বাইক এক্সিডেন্ট করি।
হাত পায়ে কেটে গেছিলো গুরুতর কিছু না হলেও আঘাত পেয়েছিলাম ভালোই। সাদা বেলিফুলগুলা রক্তে লাল হয়ে গেছিলো। ভালোই লাগছিলো দেখতে, অন্যরকম জিনিস সবারই ভালোলাগে।
আমি বেলিফুলের মালা নিয়ে সেই জায়গায় গিয়ে দেখলাম সে নেই।
জ্যাম ছুটেছে, রিক্সা চলে গেছে।
আমি আমার রুমে কোনোদিন একটা পুরাতন জিনিসও রাখিনি কিন্তু সেই রক্তমাখা বেলিফুলের মালাটা আমার কাছে এখনও বেশ যত্নেই আছে।
শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে, নিষ্প্রান, নির্জীব।
তবুও যত্নে রেখেছি আজ দেওয়ার কথা ছিলো।

এরপরও সে আমাকে ভালবাসি বলেনি।
সেদিন কাঁঠফাটা রোদ।
রোদের তাপে ঘেমে একাকার হয়ে গেছি।
মনে হচ্ছিলো গোসল করে এসেছি কেবল।
গরম পানি এখনো গায়ে লেগে আছে।

তিন্নিকে দেখলাম সেও ঘামছে।
শরিরের ভাজগুলা বুঝা যাচ্ছে। ঘামের কারনে ফুটে উঠেছে দেহের কিছু অংশ। সে আইসক্রিম খাচ্ছে।
আমি তাকে রিক্সা ডেকে দিলাম বললাম কোথাও নামবেন না বাসায় গিয়ে গোসল করে নিবেন আর একটু ঢিলেঢালা পোশাক পড়বেন।
তিন্নি চলে গেছিলো সেদিনও ভালবাসি বলেনি।
এরপর আরেকদিন দেখা হয়েছিলো,
সেদিন আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিলো,
সে আসলো এসে বললো,
- ভাইয়া অভিনন্দন। আপনাকে খুব মিস করবো চলে যাবেন আমাদের ছেড়ে।

আমি বোকার মতো বলেছিলাম তুমি বললেই থেকে যাবো।
ওগুলা নিয়ে সে কি হাসাহাসি।
এরপর দুমাস দেখা হয়নি। আমি ধরেই নিয়েছিলাম
আমার প্রেম অপূর্ন থেকে যাবে।
হঠাৎ করেই তিন্নির সাথে সেদিন দেখা হয়ে যায়।
রাস্তায় বাচ্চাদের সাথে ক্রিকেট খেলছিলাম আমি।
হঠাৎ সে ডাকে,
- এই বাচ্চা শুনেন।
আমি তাকিয়ে দেখি তিন্নি।
সে আমার হাতে একটা চিঠি গুঁজে দিয়ে বলেছিলো ভালবাসি।
সেদিনই প্রথমবার ভালবাসি বলে সে।
এরপর শুরু হয় প্রেম, প্রেমের সময় কি কি হয় সেগুলা নাহয় নাই বললাম আপনার অজানা নয় এগুলা তবে অনৈতিক কোনো দাবি কখনোই আমার ছিলোনা।
কথাগুলা বলতে বলতে চোখ ভিজে গেছে বুঝতে পারছি হয়তো আদিরাও বুঝতে পারছে।
- খুব ভালোবাসতেন আপুকে তাইনা?
খেয়াল করলাম তার চোখেও পানি।
আমি কি মানুষকে এত সহজেই কাঁদাতে পারি নাকি?

সে আবার বললো,
- বেলিফুলের মালাটা আমাকে দিবেন?
- কেনো?

এরপর সে যা বললো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না....?

চলবে...

গল্পঃ বেলিফুল
পর্ব০১

হাজার বার না হোক দিনে শেষে একটি বার ..!  😊🙏ভালোবাসি বলিও ..!  🖤❤️ আমি তাতে ই সন্তুষ্ট থাকবো ..!  🥰❤️
28/12/2023

হাজার বার না হোক দিনে শেষে একটি বার ..! 😊🙏
ভালোবাসি বলিও ..! 🖤❤️
আমি তাতে ই সন্তুষ্ট থাকবো ..! 🥰❤️

Big shout-out to my newest top fans! 💎 উম্মে হানি তানজিলা
28/12/2023

Big shout-out to my newest top fans! 💎 উম্মে হানি তানজিলা

17/12/2023

যার কাছে নিজেকে খুচরো পয়সার মতো
জমা রাখতে পারবেন,
তাকে হা'রা'তে দিয়েন না!
তার থেকে বেটার কাউকে পাবেন না!
এই শহরে শুধু বি'চ্ছে'দ হয়!
শুনা যায় হৃদয় ভা'ঙ্গা'র চি'ৎ'কার!
দিন শেষে কেউ থাকে না বুঝার জন্য!

17/12/2023

--------🌸•••༐༐যদি༐༐•••🌸--------
☘🌺❝তুমি ༐༐আগলে༐ ༐রেখো ༐༐আমায় ༐༐🍁
༐༐💮༐༐_তাহলে ༐༐আমি༐༐❞🌺💚
🌼❝সারা জীবন ༐༐ভালোবাসবো༐༐
🌸•༐༐তোমায়🍂🦋┇┇┇
┇┇┇┇┇🖤
┇┇┇┇❤️
┇┇┇💚
┇┇💙
┇💛
💜

17/12/2023

মন কে বুঝানোর মধ্যেই মনের শান্তি..

17/12/2023

সম্পর্কে মাঝে অর্থ নয় বিশ্বাসের প্রয়োজন!আর ভালোবাসার জন্য রুপ নয়,
একটা সুন্দর মনের প্রয়োজন❤️❤️

17/12/2023

ওয়ান সাইড লাভ গুলার ফিলিংস একটু বেশিই জোস!🦋

- দুঃখ প্রকাশ করা হয় না, অনুভূতি গুলো সব নিজের ই!🖤🙂

17/12/2023

নিউটনের চেয়ে বড় বিজ্ঞানী হতে চাই, কোন গাছের নিচে বসতে হবে। 😃পরামর্শ চাই সবার 🫣🫣🫣🫣

17/12/2023

যার ভেতরে অহংকার জিনিসটা থাকে,
সে কখনো সুখ জিনিসটা উপভোগ করতে পারে না !

17/12/2023

মাঝ রাতে যখন বউয়ের আদর পেতে মন চাইছে, বউ তখন ঘুমে বিভোর। কি করি ডাকবো? ওর ঘুমটা ভাঙাবো?
কিন্তু আমার যে খুব মন চাইছে, না ডেকে ওকে চুমু দিয়ে আমি হালকা আদর করতে লাগলাম, খেয়াল করলাম ও একটু নড়ে উঠছে মানে ওর ঘুমটাও পাতলা হয়ে গেছে,
আমি আদরের মাত্রা আর একটু বাড়ায় দিলাম, নতুন বিয়ে করেছি আদর ছাড়া কি থাকা যায়। বউ (শশী) ঘুম ঘুম চোখে, কি হয়েছে আমি ঘুমাচ্ছিতো।

আমার নামম নিরব, আমি বললাম পড়ে ঘুমিও আগে আদর দাও, আমার খুব মন চাইছে।

শশীঃ হুম।

নিরবঃ ও হুম বলাতে, আমি ওর গায়ের উপর উঠে পড়লাম।

শশীঃ আরে আরে কি করছেন?

নিরবঃ কি করছি মানে, তুমিই তো বললে হুম তাই তো করছি।

শশীঃ সব কিছুতেই আপনার তাড়াহুড়া বেশি।

নিরবঃ কি তারাহুড়া করলাম, আর শোন আমায় তুমি করে বলবা, তোমার মুখে মুখে আপনি ডাক ভালো লাগে না, পর পর মনে হয়।
আমি এখন কিছু শুনবো না, ঘুম ভেঙেছে আদর নেবো।

শশীঃ হুম বলেছি তো দেবো। আগে মাঝ রাতে ঘুম ভাঙলো একটু আল্লাহর শুকুর করি, সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবর, ইয়া আর হামার রাহিমিন।

নিরবঃ হয়েছে, শেষ, এবার আসো শুরু করি।

শশীঃ হুম কিন্তু তার আগে দোয়া পড়তে হবে, আমার সাথে পড়ো।

নিরবঃ আদর করবো তাতে আবার দোয়া, কি শুরু করলে মাঝ রাতে আদর চেয়েছি তাই এতো বাহানা করছো?

শশীঃ না বর মশাই। যে কোন কাজ আল্লাহর নামেই শুরু করতে হয়, সব কিছুরই আলাদা আলাদা দোয়া আছে তা না পারলে অন্তত বিসমিল্লাহ বলে সব করতে হয়।

তাছাড়া সহবাসের সময় দোয়া না পড়লে, দুজনার মাঝখানে শয়তান প্রবেশ করে মজা নেয়, আর সে মিলনটাকে অবিত্র করে দেয়, তখন যে সন্তান গর্ভে আসে সে সন্তান কখনও ঈমানদার হয় না।
জেনে শুনে এ ভূল কেন করবো?
যে সম্পর্কটা জান্নাত থেকে এসেছে, যে সম্পর্ক টা পবিত্র তাকে পবিত্র রাখাই তো উচিৎ।
আসুন আমার সাথে দোয়া পড়ুন তারপর শুরু করুনঃ
""বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তনা ওয়া জান্নিবিশ শায়তনা মা রাজাকতানা""

নিরবঃ কখন থেকে মন চাইছিলো, বিয়ে করেই যেন আদর পাগলা হয়ে গেছি, তোমার আদর না পেলে ঘুমই আসতে চায় না, কেমন লাগছে??

শশীঃ হুম ভালো,

নিরবঃ কষ্ট হচ্ছে নাতো।

শশীঃ একটু লজ্জা পেয়ে ধ্যাত, এতে আবার কষ্ট হয় নাকি।

নিরবঃ ওকে তাহলে গাড়ি চলতে থাক।

শশীঃ মানে কি হুম, সারারাত চলবে নাকি।

নিরবঃ তুমি চাইলে চলতেই পারে।
শশী কিছু না বলে হেসে দিয়ে, আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
কিছুক্ষন পর সেই তৃপ্তি মিললো, আহ শান্তি। আমি এখন ঘুমাই।

শশীঃ কি, কোন ঘুম চলবে না এখন।

নিরবঃ কেন আরও চাই? আর পারবো না এখন, তাইলে সকালে।

শশীঃ আদর ছাড়া আর কোন ভালো কথা নাই, আমি বলেছি যে আমার চাই।
যাও উঠে গোসল করো, দুজন তাহাজ্জুদ পড়বো।

নিরবঃ কি বলো তুমি, এখন গোসল করলে ঘুম পালিয়ে যাবে এ শাস্তি দিও না। তুমি যাও না তুমি পড়ো, আমি ঘুমাই।

শশীঃ আমার কথা না শুনলে আমি কিন্তু পানি এনে মাথায় ঠেলে দেবো!!!

নিরবঃ ধুর কি বউরে বাবা, ভালো লাগে না। মাঝ রাতে আদর চেয়ে যেন বিপদে পড়েছি বলে উঠে চলে গেলাম ওয়াসরুমে।
এসে তাহাজ্জুদ পড়লাম দুজনে, ঘুমাতে যাবো ওমনি ফজরের আজান। জানি ঘুমাতে দেবে না এখন তাই আজান শেষ করার অপেক্ষায় না থেকে, ফজর ও পড়া শুরু করলাম।
ঘুমাতে যাবো তখন বউ এখনই ঘুমাতে হবে ১০টা মিনিট তো একটু তেলাওয়াত করা যায়।

নিরবঃ দেখো সকালে আমাকে অফিস যেতে হবে এখন ঘুমাবো আর কিছু বলো না।

শশীঃ বেশ ফজরের নামাজের পর কিছু দোয়া ও আমল থাকে সেগুলো একটু পড়ো, আমি বলছি আমার সাথে পড়ো।
ওতো কিছু না হোক "আয়াতুল কুরসি" আর সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াতটা পড়ো।

নিরবঃ আমি ঘুম ৮ টার আগে আমার সাথে কোন কথা বলবা না।

শশীঃ হুম বুঝেছি এক সাথে হবে না, ধীরে ধীরে করাতে হবে। আমি ছোট ছোট দোয়া ও আমল গুলো করে সূরা ওয়াকিয়াহ ও আর রহমান পড়ে এবার আমিও ঘুমাতে গেলাম। ৭:৩০ টায় উঠে ওর জন্য ব্রেক ফাস্ট বানাতে গেলাম। ৮ টার এলার্ম বাজলে নিরবকে ডাকতে এলে ও আমায় টেনে বিছানায় নিয়ে গেলো, আমি কি হচ্ছে এটা সকাল সকাল।
ঘুম থেকে যে জাগতে পেরেছো তার শুকুর না করে দুষ্টুমি করছো।
ঘুম থেকে ওঠার দোয়া বলো?

নিরবঃ পারতাম চর্চা না করতে করতে ভূলে গেছি।

শশীঃ আমার সাথে বলো ""আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আহইয়ানা বা'দা মা আমাতানা ওয়া ইলায়হিন নুশুর""

যাও এবার ফ্রেশ হও খাবার দিচ্ছি
নিরব এসেই খেতে যাবে আমি হাত ধরে বসলাম

নিরবঃ কি হাত ধরলে যে খাওয়ায় দেবে?

শশীঃ জ্বী না। খাবার সামনে আসার দোয়া নাই পড়লে অনন্ত খাওয়ার আগে তো ""বিসমিল্লাহি আলা বরকাতুল্লাহ"" ও খাওয়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়বে।

নিরবঃ সরি শোনা, আসলে আমি সবই পারতাম চর্চা না করে করে সব দোয়া ভূলে গেছি। তুমি শিখিয়ে দিও আবার আমি শিখে নেবো।

শশীঃ হুম তাই তো দিতে হচ্ছে।

নিরবঃ আচ্ছা তাহলে আসি সাবধানে থেকো বলেই কপালে একটা চুমু দিয়ে চলে যাবো তখনই শশী হাত ধরে বসলো, আমি বললাম কি হয়েছে শোনা কিছু বলবে?

শশীঃ ঘর থেকে বের হবার সময় "আয়তুল কুরসি" ও "বের হবার দোয়া" পড়তে হয়, তাহলে বাইরে কোন বিপদ ঘটলে আল্লাহ তা থেকে হেফাজাত করেন।
পড়ো, ""বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ""।

নিরবঃ আচ্ছা আসি, আল্লাহ হাফেজ।

শশীঃ ফি আমান্নিল্লাহ। ২ টার দিকে নিরব ফোন দিলো।

নিরবঃ কি করো সুইট হার্ট, উম্মমমমমম

শশীঃ আসসালামু আলাইকুম, নামাজ পড়ে উঠলাম, তুমি পড়ছো?

নিরবঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। হুম পড়েছি।
আমাকে আবার সালাম দেওয়া লাগে নাকি।

শশীঃ কোথায় বলা আছে যে সব মানুষকে সালাম দিতে নাই। সালাম অর্থ শান্তি বর্ষিত হওয়া। যখন দুজন ব্যক্তি সালাম আদান প্রদান করে তখন তাদের মাঝে শান্তি বর্ষিত হয়। তাই সব সময় সালাম দিতে হয়ে ছোট বড় সবাইকেই।

নিরবঃ হুম, কি রান্না করছো। আমি আজ তাড়াতাড়ি চলে আসবো।

শশীঃ বলবো না কি রান্না করছি, আচ্ছা আসো সমস্যা নাই। গাড়িতে ওঠার আগে এই দোয়া টা পড়ো ""সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হা-জা ওয়ামা কুননা লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্ববালিবুন""

নৌ চলাচলের সময় ""বিসমিল্লাহি মাজরিহা ওয়া মুরসাহা ইন্না রাব্বী লা গাফূরুর রাহীম""
রাখছি আল্লাহ হাফেজ।

বিকাল ৫টায় নিরব এসে কনিঙ্বেল দিচ্ছে,

শশীঃ কে?

নিরবঃ প্রিয়তমা আমি গো।

শশীঃ আসসালামু আলাইকুম।
নিরব উত্তর দিয়ে ঘরে ঠুকবে। আমি দাড়াও

নিরবঃ কি হয়েছে, ঠুকতে দাও টায়ার্ড আমি।

শশীঃ ঘরে ঠোকার দোয়া পড়""আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাল মাউলাজি, ওয়া খাইরাল মাখরাজি বিসমিল্লাহি ওয়ালআজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়ালা রাব্বানা তাওয়াক্কালনা"" নিরব ঘরে ঠুকলো।

দরজায় নক করে প্রিয়তমা বলে ডাক না দিয়ে সালাম দিলেই তো হয়।

নিরবঃ হুম ঠিকাছে প্রিয়তমা যাই ফ্রেশ হয়ে আসি। বাথরুমে ঠুকতে যাবো শশী সামনে, দোয়া পড়ো ""আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবশি ওয়াল খাবাইস""।

আর বের হবার সময় পড়বা ""গুফরানাকা""

নিরবঃ ঠিকাছে, যাও কিছু খেতে দাও।
বাইরে এসে দেখি প্রিয়তমা খাবার রেডি করে রাখছে, খেতে যাবো তখনই

শশীঃ না নেবে না, আমার এখনো গুছানো হয় নি যাও আসরের নামাজ পড়ে নাও আমি বেলকুনিতে নিয়ে আসছি সব।

নিরবঃ আহ গরম গরম ভেলপুরি সে যে কি টেস্ট, সাথে সুজির রসভরি। কোনটা রেখে কোনটা খাই। দুজন মিলে খাচ্ছি আর মজা করছি। সন্ধা হয়ে এলো আজান দিচ্ছে আমি মসজিদে চলে গেলাম। বাসায় এসে শুনছি শশী তেলাওয়াত করছে, ও আসলে সুন্দর তেলাওয়াত করে। জীবনে হয়ত কোন এক ভালো কাজ করছিলাম যার জন্য আল্লাহ এতো ভালো একটা জীবন সঙ্গি পেলাম। পরকালেও যেন আল্লাহ ওকেই আমার জন্য রাখে।

আমি বসে আছি খাটে শশী তখন দোয়া পড়ছে যে সব আমল ও সব সময় করে সেসবই। সব শেষে মোনাজাত ধরলো, অনেকটা সময় পর মোনাজাত শেষ করে আমার পাশে এসে বসলো। আমার গায়ে একটা ফু দিয়ে আমায় জড়িয়ে ধরলো।

আমি কি ব্যাপার আমায় ফু দিলা কেন, বশ করার দোয়া টোয়া জানো নাকি আমায় বস করলে যাতে আর কোন বিয়ে না করি।

শশীঃ যাহ ফাজিল ছেলে একটা। বশ করবো কেন তুমি তো আর ছোট ছোট দোয়া গুলো আমল করো না, যে গুলো ফজর ও মাগরিব নামাজের পর পড়তে হয় তাই তোমায় ফু দিলাম যাতে আমার দোয়াতে তোমারও কাজ হয়।

নিরবঃ হুম বুঝলাম তা এতো সময় মোনাজাতে এতো কি দোয়া পড়ছিলে শুনি?

শশীঃ আল্লাহকে বলছিলাম, যাতে জান্নাতে দুজন দুজনার সাথী হতে পারি সেভাবে যেন দুজনকে আমলদার বানিয়ে দেন। আমার আগে তোমাকে যেন পৃথিবী থেকে না নিয়ে যান। যেন দুজনকেই এক সাথে নিয়ে যান বা আমাকে আগে, আর বাবা -মা, পরিবারের অন্য সবাই যেন ভালো থাকে সুস্থ থাকে, যত পরিজন কবরে শুয়ে সবার যেন কবরের আযাব মাফ হয়ে যায় এরকম সবার জন্য দোয়া করছিলাম।

নিরবঃ কথা গুলো যেন মন ছুয়ে গেলো, কত কিছু নিয়ে ভাবে ও। আমি তোমাকে জান্নাতে আমার পাশে চাই বলে জড়িয়ে ধরলাম শশীকে।

রাত হলো, এসার আজান হলো আমি মসজিদে চলে গেলাম নামাজ শেষে শশীর মতই বললাম। আরও বললাম আল্লাহ আমরা দুজন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারি না, আমাদের কখনও আলাদা করে দিও না, একা করে দিও না। মৃত্যু যখন দিবা দুজনকে এক সাথেই দিও। দুজনকে এক সাথে জান্নাতের সাথী করে দিও।

বাড়ি ফিরে দেখি শশী খাবার রেডি করে রাখছে, খেতে বসলাম শশীকে বললাম স্ত্রীকে খাওইয়ে দেওয়া নবীর সুন্নাত আজ তোমাকে আমি খাওইয়ে দেবো। শশী একটা মন জুড়ানো মিষ্টি হাসি দিলো।

খাওয়া শেষে ব্রাশ করে, ওযু করে দুজনে বিছানায় চলে গেলাম।
শশীঃ ঘুমাবার আগে কিছু আমল আছে, যেগুলো পড়ে ঘুমালে দুষ্টু জ্বীন বা শয়তান ঘুমের মধ্যে আক্রমন বা বিরক্ত করতে পারে না।

প্রথমে "আয়াতুল কুরসি" পড়ো, তারপর সূরা ফাতিহা একবার ও ইখলাস তিন বার পড়ো, সূরা নাস ও ফালাক পড়ো, দুরুদ পড়ো, তওবা পড়ো। মনে করে এ ঘুম থেকে তুমি আর কোনদিন জীবত হয়ে উঠবে না, সে ভাবে আর যেসব দোয়া পড়তে মন চায় সেগুলো পড়ো।
সাথে সূরা মূলক পড়ো নিয়মিত ঘুমানোর আগে এই সূরা পড়লে কবরে শাস্তি মওকুফ হয়।

সব শেষ ঘুমের দোয়া পড়ো ""আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আ'মুতু ওয়া আহ ইয়া""

এবার উত্তর দিকে মাথা দিয়ে, ডান কাত হয়ে হাতের নিচে মাথা রেখে, দু পা এক করে আরবি 'হা' ও 'মীম' এর মত আকার নিয়ে মুদ্দার এর মত ঘুমিয়ে যাও।

দুজনেই এভাবে ঘুমিয়ে গেলো, বেশ কিছুদিন পর এসব আমল দুজানার দৈনিক রুটিন হয়ে গেলো। দুজনেই অনেক আমলদার হয়ে গেলো।
ঠিক একইভাবে তারা আবারও ঘুমিয়ে গেলো কিন্তু সকাল বেলা আর ঘুম থেকে জাগলো না দুজনই।
কিছু পড়ে মাইকে ঘোষনা হলো তারা মৃত।

বাড়ি ভরে গেলো মানুষের কলরবে, কেঁদেই চলেছে প্রিয়জনরা সবে।

গোসল করানো হলো, জানাযা পড়ানো হলো, সবশেষে পাশাপাশি কবরে দুজনকে দাফন করা হলো। সবাই যে যার মত চলে গেলো।

অন্ধকার কবরে দুজন দু কক্ষে শুয়ে, হঠাৎ কবরে একটা সুড়ঙ্গ পথ তৈরি হলো, দুজনকে জাগ্রত করে সে পথ ধরে এক সাথে জান্নাতে পাঠানো হলো।

তাদের অধিক আমলে আল্লাহ খুশি হয়ে তাদের কবরের আযাব মাফ করে জান্নাতবাসি করে দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ

গল্পটা যদি নিজের জীবনে বাস্তবায়ন হতো কতো ভালোই না লাগতো, যদি মৃত্যু পরবর্তি জীবনে কোন শাস্তিই না হতো!!!

আল্লাহ তার সকল বান্দাকে আমলদার বানিয়ে দিক, সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন।

সমাপ্ত
গল্প: সংগৃহীত

গল্পটা ভালো লাগলে একটা শে য়া র করুন❤️

17/12/2023

ছোট বেলায় দেখতাম আলিফ লায়লা 🥰
আর বড় হয়ে দেখি মামুন লায়লা 😃

ভাইরে ভাই তারা খাই একসাথে থাকে এক বাড়ীতে কিন্তু ঝগড়া হলেও বলে আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড 😱😱

17/12/2023

এমন একটা মানুষ থাকুক, যে কখনোই আমার প্রতি বিরক্ত হবে না..✨️🩶🖇

17/12/2023

ধর্য্য মানুষকে, সুন্দর পথদেখায়।
এবং ঐ ব্যাক্তিকে ভয়ানক ভাবে পরিবর্তন করে, ইনশাআল্লাহ্।

17/12/2023

- সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কথা বলা টা জরুরি..!!🖤🥰🥀

17/12/2023

একজন নারী তখনই ভাগ্যবান, যখন তার পাশে ভরসা করার মতো একজন বিশ্বস্ত👌ও আদর্শবান✍️ স্বামী থাকে💘

17/12/2023

-পরীক্ষায় অংশ নিন।
মাত্র ৩০ পাইলেই A+আর ২০ পেলে পাশ।

১/ জীবনেও মানুষের গাছের ফল চু*রি করে খান নাই
= ১০মার্ক।

২/ বাবা মায়ের থেকে না বলে টাকা নেন নাই =১০

৩/ বন্ধু/বান্ধবির প্রেমে হেল্প করেন নাই =১০

৪/জীবনে একটাও প্রপোজ পান নাই= ১০

৫/ কখনো টয়লেটে বসে ফেইসবুক চালান নাই= ১০

৬/ শুয়ে শুয়ে চ্যাটিং করেন নাই =১০

৭/ জীবনেও বা***ল বলে গালি দেন নাই =১০

৮/ লাইফে কখনো স্কুলের ক্লাস ফা - কি দেন নাই =১০

৯/ পরীক্ষার হলে অন্যের খাতা দেখে লিখেন নাই =১০

বিঃদ্রঃ যারা পাস করছেন কতো নাম্বার সিরিয়ালে পাশ করেছেন বলে যাবেন।

Happy Exam....😊

17/12/2023

__আমরা সাথে কথা না বলে যদি কেউ ভালো থাকতে পারে••!😔💔
__তাহলে আমিও তার ভালো থাকাটা নষ্ট করতে চাই না••!🥹💔

17/12/2023

সুখি হওয়ার জন্য
একজন নারীর জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একজন"দায়িত্বশীল-যত্নবান পুরুষ!♥

17/12/2023

তোমারে ছাড়া আমার যাবার জায়গা নাই,
তোমারে ছাইড়া আমি কই যামু!
আমার দুই চোখের জলে তুমি আছো,
তুমি আছো আমার মিথ্যে হাসিতে,
আমার মন খারাপের একলা সময়ে তুমি আছো,
আছো আমার ভিতর বাহির সবখানেই
তোমারে কি ভুইলা যাওন যায়?

তুমি দুঃখ দিলেও,
আমি তা তুমি মনে করে জড়াইয়া ধইরা বাঁচি
তোমারে ছাড়া আমার ভাবনা নাই,
কোনো স্বপ্ন নাই - কোনো আশা নাই।
তোমারে ছাড়া আমি এক মুহূর্ত না পারি থাকতে
না পারি ভাবতে।

তোমারে ছাড়া আমার সত্যিই যাবার জায়গা নাই,
এই যে তুমি আমারে দুঃখের সাগরে ডোবাও
আমি ডুবে ডুবে তবু তোমার মাঝেই বেঁচে যাই।

লেখা :ts Tahmina Akhter

16/12/2023

বিয়ের পনেরো দিনের মাথায় বিদেশে চলে গিয়েছিল সামির। আজ সে ঘরে ফিরবে। সুমেহরার বুক কাঁপছে। অজানা এক ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রতিটা মুহূর্ত। রোমাঞ্চকর এক ভয়। ভয়টা কীসের, তা সে জানে না।

বিয়ের রাতে হুট করে শোবার ঘরে এসেছিল সামির৷ সুমেহরা তখন বিছানায় চুপ করে বসে আছে। বুকে উথাল পাথাল ঢেউ। কী হবে, কী হবে ভাবনা। আরো কত কী! কিন্তু সবকিছু মিথ্যে করে দিয়ে সামির সোজা এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। সুমেহরার দিকে একবার ফিরেও তাকাল না। একটা কথাও বলল না। সেদিন রাতে সুমেহরা নিঃশব্দে অনেক্ষণ কেঁদেছিল। সামিরের অমতে বিয়েটা হয়েছে বুঝি!

কিন্তু তার ভাবনা দ্বিতীয় দিনই মিথ্যে প্রমাণিত হলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে কী এক কাজে বেরিয়েছিল সামির। ফিরতে ফিরতে রাত হলো। সুমেহরা ভেবেই বসেছিল, সামির ঘর থেকে পালিয়েছে। কিন্তু সব ভাবনা মিথ্যে করে দিয়ে সামির এল। তার হাতে একগুচ্ছ কদম। আশ্চর্য! সুমেহরার কদম পছন্দ সেটা সে জানল কীভাবে!

'এভাবে বসে আছো কেন? সোজা হয়ে বোসো। তুমি আমাকে ভয় পাও নাকি?' এটাই ছিল সামিরের প্রথম কথা। প্রথম প্রশ্ন। কিন্তু সুমেহরা এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিল, মুখ ফুটে কিছু বলতে পারল না।

সামির সুমেহরার কাঁধে হাত রেখেছিল। এই প্রথম স্পর্শ। বলেছিল, 'ভয় নেই। আমিও তোমার মতোই একজন মানুষ।' বলে কদমগুচ্ছ এগিয়ে দিয়েছিল।

এইবার একটু ভরসা পেয়েছিল সে। কদমগুচ্ছ হাতে নিয়ে ধীর গলায় বলেছিল, 'আমাকে আপনার পছন্দ নয় বুঝি?'

কী জানি কেন, সেদিন সামির তার প্রশ্নের জবাব দেয়নি। উদভ্রান্তের মতো উঠে বেলকনিতে চলে গিয়েছিল। এক চিলতে বেলকনি। ওপাশে সরু রাস্তা। তারপর পাঁচ তলা ভবন। দ্বিতীয় তলায় দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে চুল শুকাচ্ছিল। সামির সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে সেই মেয়েটিকেই দেখছিল কি?

মেয়েটার গায়ের রং ধবধবে ফরসা। গায়ে ওড়না নেই। মাথার খোলা চুলে টাওয়েল পেঁচাচ্ছিল। সুমেহরার গা জ্বলে যাচ্ছিল যেন। এ মেয়ে অবেলায় এখানে এল কেন? কেন এল?

সুমেহরা বেলকনিতে গিয়ে সামিরের পাশাপাশি দাঁড়াতেই মেয়েটা হনহন করে ভেতরে চলে গিয়েছিল। তখনও উদাসীন ভঙ্গিদে ধোঁয়া ফুঁকছে সামির। দৃষ্টি তখনও ওপাশের ভবনের দোতলায়।

পরিবার বলতে সামিরের মা শুধু। বয়স্কা মহিলা। ঘরের কাজ-কাম তার দ্বারা সম্ভব না। আগে অবশ্য একজন মানুষ ছিল ঘরের সব কাজ করে দেবার জন্য। বিয়ের তৃতীয় দিনই তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব কাজ এখন সুমেহরা করবে। অথচ কেউ একবার জিজ্ঞেস করেনি, রান্নাবান্না পারো তো? ঘর পরিষ্কার করা, বাসনকোসন ধুয়ে দেবার অভ্যেস আছে তো?

আঠারো বছর পেরিয়ে সবে উনিশ বছরে পা রেখেছিল তখন। একরকম বাচ্চা মেয়ে। নিজেকেই ঠিকমতো সামলে রাখতে পারে না। সংসার সামলাবে কী! চুল বেনি করে দেওয়ার কাজটাও মা করে দিতেন। এখন হুট করে...

কষ্ট করে মানিয়ে নিতে হয়েছে। সারাদিন কাজকাম শেষ করে রাতের খাবারের পর এঁটো প্লেট ধুয়ে ঘর গুছিয়ে শোবার ঘরে গিয়ে দেখত, সামির নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এক পাশে কাঁচুমাচু হয়ে শুয়ে পড়ত। কিন্তু ঘুম চোখে আসে না। আসে জল। চোখের জল মুছতে মুছতে কখন গভীর ঘুমে তলিয়ে পড়ত, তা সে নিজেও জানে না। মাঝে মাঝে মনে হত, কেন সে এ সংসারে? ঘরের কাজকাম করে দেবার বিনিময়ে দু'মুঠো ভাত? তা তো সে বাপের বাড়িতেই পেত! তাহলে এখানে কেন? সে কি সত্যিই এ-বাড়ির বউ? না কি নামমাত্র কাজের লোক? এ-বাড়ির লোকেদের কাছে তার চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারে না? কিংবা, বাকি সব মেয়েদের মতো তারও কি বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না?

অবশ্য এতসব প্রশ্নের নামমাত্র জবাব পেয়েছিল সে। সামির চলে যাবার আগে বলে গেছে। সে কথায় পরে আসছি।

একদিন হলো কী, সুমেহরা ঘরের সব কাজ মিটিয়ে শোবার ঘরে এল। এসে দেখল বিছানায় সামির নেই। কী আশ্চর্য! এ-সময় মানুষটা গভীর ঘুমে থাকে। আজ ঘুমায়নি। বিশেষ কিছু ঘটতে চলেছে কি!

বিশেষ কিছু ঘটেছিল কি না সেটা কিছুক্ষণ পরেই জানা যাবে।
সুমেহরা একবার বেলকনিতে দৃষ্টি রাখার প্রয়োজন বোধ করল। হ্যাঁ, ঠিক তাই। সামির বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। সেদিনও আজকের মতো ভীত ছিল সে। রোমাঞ্চকর এক ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছিল তাকে। বুকে উথাল পাথাল ঢেউ। কী হবে কী হবে ভাবনা।

সুমেহরার পরনে ছিল গাঢ় বেগুনি শাড়ি। হাতে কাচের চুড়ি। কানে সোনার ঝুমকো। কেন জানি হুট করে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় নিজেকে দেখতে ইচ্ছে করল। চট করে গিয়ে দাঁড়াল সেখানে। পিটপিট করে তাকিয়ে দেখল নিজেকে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দেবে কি? না থাক!

ধীর পায়ে সামিরের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াল। অজান্তেই চোখ পড়ল ওপাশের বিল্ডিংয়ের দোতলায়। সেদিনও মেয়েটা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। সুমেহরার চোখাচোখি হতেই মেয়েটা ইতস্তত করে দ্রুত ভেতরে চলে গেল।

সুমেহরা রাগে, ঘৃণায়, অপমানবোধে বেলকনি থেকে প্রস্থান করবে ঠিক করল। তখনই সামির খপ করে তার হাত ধরে ফেলল। বলল, 'জোছনা দেখে যাও।'

সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত জোছনা দেখল তারা। একসময় সামির জিজ্ঞেস করল, 'ঘুম পেয়েছে?'

'হুঁ।'

'ঘুমিয়ে পড়ো গিয়ে।'

'আপনি ঘুমাবেন না?'

'ঘুম আসছে না।'

'কেন?'

'মাথা ধরেছে।'

'আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দেই?'

'দেবে? দাও!'

সামির শুয়ে পড়ল। সুমেহরা তার শিয়রে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো সারা রাত। কী প্রশান্তি, কী ভালো লাগছিল তখন! ঘুমঘুম চোখে বারবার সামিরের ঘুমন্ত মুখখানা চেয়ে দেখছিল সে। এতদিন লজ্জায় ভালো করে তাকায়নি।

সুমেহরা ভাবল, এবার ধীরে ধীরে দূরত্ব কমবে বুঝি। কিন্তু হলো উল্টো। সে রাতের পরে তাদের দূরত্ব আরো বেড়ে গেল। কোনো রকম প্রশ্ন করলে সামির ঠিকঠাক জবাব দিত না। সব সময় গম্ভীর ভাব নিয়ে বসে থাকত। সুমেহরা একটু কাছে ঘেঁষতে চাইলে সামির আরো দূরে সরে যেত। সামিরের মা সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। একদিন তিনি নিজে থেকে বললেন, 'কিগো, সামিরের সাথে ঝগড়া-টগড়া হইছে নাকি?'

সুমেহরা চুপ ছিল। কী বলবে? সে তো নিজেও জানে না, কী হয়েছে।

সামির বিদেশে চলে যাবার আগের দিন রাতে সুমেহরা বলে বসল, 'বিয়েটা আপনার অমতে হয়েছিল কি? অমতে হলে বলুন, আমি আপনার জীবন থেকে সরে যাব।'

সামির সেদিন হেসে কুটিকুটি হয়ে বলেছিল, 'অবশেষে রাগ এল তোমার? আমি তো ভাবলাম, তুমি রাগতেই জানো না!'

'আমি আপনার পছন্দ না, তাই না?'

'কে বলল পছন্দ না? পছন্দ না হলে বিয়ে করলাম কেন?'

'তাহলে, এত দূরত্ব। এত নির্লিপ্ততা। এসবের মানে কী?'

'আহাহা, রেগে যাচ্ছো কেন! চার বছরের কথা। চার বছর পর তো ফিরেই আসব! তখন থাকবে না কোনো দূরত্ব। থাকবে না নির্লিপ্ততা। হলো? এবার হাসো। তোমাকে এমন গোমড়ামুখো মানায় না।'

সেদিন অনেক কষ্টে একটু হেসেছিল সে। ভেতর থেকে খুব করে কান্না আসছিল। ইচ্ছে করছিল মানুষটাকে জোর করে রেখে দিতে। কেন যাবে সে এতদূর? কেন?

দেখতে দেখতে চার বছর কেটে গেছে। আজ সে ফিরবে। রওনা হবার আগে ফোন দিয়ে বলেছে, 'কী আনব তোমার জন্য?'

সুমেহরা লাজুক ভঙ্গিতে বলেছে, 'কিচ্ছু লাগবে না, শুধু আপনি চলে আসুন।'

চলবে...
পরের পর্ব গুলো পেতে ফলো দিয়ে রাখুন।

#সোনালি_রোদ
পর্ব ০১

Address

Tongi
Tongi
TONGI

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ts Tahmina akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ts Tahmina akter:

Videos

Share

Nearby media companies



You may also like