E Media Tech - EMTBD

E Media Tech - EMTBD Recent News post engege here.
(2)

স্বপ্নটা এখনো আগের মতই আছে। শুধু বদলে গেছে সময়। আর সময়ের সাথে তালমেলান টা এখন যেন। স্বপ্ন।
07/09/2022

স্বপ্নটা এখনো আগের মতই আছে। শুধু বদলে গেছে সময়। আর সময়ের সাথে তালমেলান টা এখন যেন। স্বপ্ন।

Hi! I am here..... Hurry...
30/09/2021

Hi! I am here..... Hurry...

জানলে ক্ষতি নেই...আজ বিশ্ব সাপ দিবসে সাপ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। আমার তোলা নিচের ছবিটি বিষধর রাসেলস্  ভাইপা...
18/07/2021

জানলে ক্ষতি নেই...

আজ বিশ্ব সাপ দিবসে সাপ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। আমার তোলা নিচের ছবিটি বিষধর রাসেলস্ ভাইপার সাপের । অনেকেই সাপটিকে নির্বিষ অজগর ভেবে তার কামড়ের শিকার হন। তবে রাতের ঘুম হারামের ভয় সরিয়ে লিখাটা পড়ুন, অনেক কিছু জানতে পারবেন হয়তো।

আমাদের দেশে মাত্র চারটি সাপের কামড়ে সাধারনত বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

১) গোখরা ( Spectacled cobra )
২) কেউটে (Monocled cobra )
৩) চন্দ্রবোড়া (Russell's viper )
৪) কালাচ (Common krait )

এছাড়া আছে মারাত্মক বিষধর শাঁখামুটি, কিন্তু তা নিয়ে আমাদের চিন্তার কিছু নেই। কারণ শাঁখামুটি এতোই শান্ত যে, ওর কামড়ে মৃত্যুর কোনো ইতিহাস নেই । বন্য এলাকাভেদে হাতে গোনা আরো কিছু বিষধর সাপ পাওয়া যায়। তবে সাধারনত আমাদের এলাকার বাকি আর কোনও সাপ থেকে মৃত্যুভয় নেই।

কামড় এড়াতে-

*বাড়ির চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

* রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে মশারি টাঙ্গিয়ে শোবেন। (মেঝেতে ঘুমালে মশারি বাধ্যতামূলক)

* মাটিতে বা খোলা উঠানে কোন মতেই ঘুমানো যাবে না।

* অন্ধকারে হাঁটাচলা করবেন না, একান্তই বাধ্য হলে হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা ঠুকে চলুন, হাততালি দিয়ে লাভ নেই, কারণ সাপের কান নেই।

* জুতো পরার আগে তা ঝেড়ে নিন।

* সম্ভব হলে ঝুকিপুর্ন স্থানে গামবুট ব্যবহার করুন।

* মাটির বাড়িতে কোনও ইঁদুর গর্ত থাকলে তা আজই বুজিয়ে ফেলুন।

জেনে রাখুন তাবিজ কবজ মাদুলি আংটি কোনও কাজের নয়। একমাত্র সাবধানতাই সাপের কামড় থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।

সাপের কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসাঃ Do R_I_G_H_T

R- Reassurance
রোগীকে আশ্বস্ত করুন। কারণ রোগী খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। আতঙ্কও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। রোগীকে বোঝান, সাপের কামড়ে আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিৎসায় বেঁচে উঠেছেন, আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।

I – Immobilization
যত কম নড়াচড়া হবে তত কম হারে বিষ সারা শরীরে ছড়াবে। স্কেল বা বাঁশের টুকরো সহ হাতে/ পায়ে (যে অংশে কামড়াবে) কাপড় দিয়ে হাল্কা করে বেঁধে দিন। হাত বা পা (কামড়ের নিকটতম স্থান) যাতে তিনি ভাঁজ করতে না পারেন তাই এই ব্যবস্থা ।

GH – Go To Hospital
ফোন করে জেনে নিন আপনার নিকটতম যে হাসপাতালে
১)A.V.S ,
২) নিওস্টিগমিন
৩) অ্যাট্রোপিন এবং
৪) অ্যাড্রিনালিন
আছে সেই হাসপাতালে চলুন। মাথায় রাখবেন সাপের কামড়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা একটি ব্লক প্রাইমারী হেলথ সেন্টারেই সম্ভব। সম্ভব হলে রোগীকে মোটর সাইকেলের মাঝে বসিয়ে রোগীর সাথে কথা বলতে বলতে চলুন। জেনে রাখবেন এখানে সময়ের ভূমিকা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

T- Tell Doctor for Treatment
হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকে সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে বলুন। কথা বলতে গিয়ে রোগীর কথার মধ্যে কোনও অসঙ্গতি (যেমন কথা জড়িয়ে আসা, নাকি সুরে কথা বলা খেয়াল করলে তা যথাযথ (কতক্ষন আগে শুরু হল) ভাবে চিকিৎসকে জানান।

RULE OF 100
সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ মিলিলিটার AVS শরীরে প্রবেশ করলে রোগীর বেঁচে যাবার সম্ভাবনা ১০০%।।

হাসপাতালে কোন পথে চলবে চিকিৎসা:
১)দু চোখের পাতা পড়ে আসা(সব সাপের কামড়ের মূল লক্ষণ
২)কামড়ের স্থানে অসম্ভব জ্বালা যন্ত্রণা(ফণাধর সাপের ক্ষেত্রে)
৩)ক্রমবর্ধমান ফোলা
৪)শরীরের নানা স্থান থেকে রক্ত বেরিয়ে আসবে(চন্দ্রবোড়ার ক্ষেত্রে)
৫)ঢোঁক গিলতে অসুবিধে
৬)ঝাপসা দেখা
৭)জিভ জড়িয়ে
৮)ঝিমিয়ে পড়া

চিকিৎসায় দেরি হলে শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাস ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু।

*এশিয়ার বিষাক্ততম সাপ কালাজ এর কামড়ে কোনও জ্বালা যন্ত্রণা থাকে না, দংশন স্থানে কোনও চিহ্ন পাওয়া প্রায় যায়ই না।পেটে ব্যাথা, গাঁটে গাঁটে ব্যাথা, খিঁচুনি কিংবা শুধুমাত্র দুর্বলতা অনুভব করার লক্ষনের সাথে দুচোখের পাতা পড়ে আসা নিশ্চিত কালাজের কামড়ের লক্ষণ।

চিকিৎসাঃ

বিষক্রিয়া নিশ্চিত হলে ডাক্তার
*কোন স্কীন টেস্ট ছাড়াই (যা ২০১০সালে WHO র নির্দেশিকায় বাতিল হয়ে গেছে) শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই ৪ ভাগের ১ভাগ অ্যাড্রিনালিন ইনজেকশন চামড়ার তলায় দিয়ে শিরা ফুঁড়ে স্যালাইনের সাথে ১০ভায়াল AVS এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে শরীরে প্রবেশ করাবেন।সাথে অবশ্যই দেবেন নিওস্টিগমিন এবং অ্যাট্রোপিন (ফণাধর নার্ভবিষ গোখরো ও কেউটের ক্ষেত্রে এই দুই ইঞ্জেকশন দিতেই হবে)

* কোনও অবস্থাতে রোগীকে রেফার করতে হলে ১০ ভায়াল AVS, নিওস্টিগমিন এবং অ্যাট্রোপিন না দিয়ে রেফার করা যাবে না ।

* AVS দিলে ৭০%ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া(শ্বাসকষ্ট, শরীরে আমবাতের মত দেখতে পাওয়া ইত্যাদি)হয় যাকে সাময়িক স্যালাইন বন্ধ করে ইনজেকশন সিরিঞ্জে ধরে রাখা ০.৫m.lআড্রিনালিন দিয়ে সফলভাবে মোকাবিলা সম্ভব।

*চন্দ্রবোড়ার কামড়ে চিকিৎসায় দেরী হলেই কেবল ডায়ালেসিস লাগে।

আসুন সকলে মিলে সাপের কামড় এড়াবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই, সাপে কামড়ালে রোগীকে সাপের কামড়ের চিকিৎসা হয় এমন নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে চলি এবং সাপের কামড় সহ সমস্ত সঠিক চিকিৎসা বিনামুল্যে মানুষ যাতে পায় তার দাবী জানাই।

পৃথিবীতে খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষায় প্রতিটি প্রানীরই প্রয়োজন রয়েছে তাই সাপ মারা থেকে বিরত থাকুন। লেখাটি শেয়ার করে এই বর্ষায় জনসচেতনতায় অংশ নিতে পারেন আপনিও।

সাপ বা বন্যপ্রানী সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে:
https://www.facebook.com/groups/NWCC.BD
সভাপতি, NWCC : 01711 316919
সা.সম্পাদক, NWCC: 01719 478023

ফুটনোট: এখানে অনেক বৈজ্ঞানিক ও মেডিক্যাল সাইন্সের কথা বলা হয়েছে যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য সুত্র থেকে পাওয়া। তাই ভুল ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে দিবেন দয়া করে।

* ছবির পেছনের গল্প আগের পোষ্টে।

প্রিয় বোন আমার,,,তোকে তোর মোহরানা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি।পাত্র পক্ষের কাছে কত টাকা মোহরানা ধার্য করবো তুই বলে দে,,...
16/07/2021

প্রিয় বোন আমার,,,
তোকে তোর মোহরানা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি।
পাত্র পক্ষের কাছে কত টাকা মোহরানা ধার্য করবো তুই বলে দে,,,
ভাইয়া: তাকে জিজ্ঞেস করবে, সে আমাকে বিয়ের দিনে কত টাকা মোহরানা হইলে সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে পারবে, সেটাই আমার জন্য মোহরানা ধার্য করবে।
আমিতো অবাক!
কি বলিস তুই, সে যদি বলে আমি 50000 টাকা?
তখন কি হবে?
ভাইয়া: তুমি আমাকে বিক্রী করছ না।
আমি তোমার নিরাপদ আশ্রয় স্থল থেকে আরেকটা নিরাপদ আশ্রয়স্থল যাচ্ছি, আমাকে সেখানে মৃত্যু পর্যন্ত অবস্থান করতে হবে, তুমি কেন ভয় পাচ্ছো। কি ভাবছ আমাকে ডিভোর্স দিলে মাত্র 50 হাজার টাকা দিয়ে কি করব?
ভাইয়া, মেয়েদের বাবার বাড়ির পরেই দ্বিতীয় আশ্রয়স্থল স্বামীর ঘর, সেই আশ্রয়স্থলে যেতে যদি প্রথমেই আমার মনের ভিতরে এ ধরনের মনোভাব ঘটে তবে আমার সেখানে না যাওয়াই উচিত।
শুধু তাই নয়, মোহরানা সম্পূর্ণ নিয়ে আমি একজন হালাল স্ত্রীর হিসেবে আমার সুখের সংসার গড়তে চাই।
যেখানে আল্লাহর রহমতে সব সময় বর্ষিত হবে।
ভাইয়া তুমি তাকে ভরসা করতে পারছ না বলেই তোমার আপত্তি মনে হচ্ছে,, তবে কেন তুমি আমাকে সেখানে বিয়ে দিতে চাচ্ছো।
ভাইয়া আমার মোহরানার লক্ষ্য কোটি টাকার দরকার নেই।
আমাকে একটি দ্বীনদার, ঈমানদার ,নিষ্ঠাবান এবং সত্যবাদী ছেলের হাতে তুলে দাও, যে কিনা হীরার খনির চেয়ে অনেক দামি।

সত্যি সেই বোনটি আমার 35 হাজার টাকা দেনমোহরে আজ 20 বছর পার হয়ে গেল,,,
আর আমার সেই বোনের জামাই 35 লাখ টাকার জমি আমার বোনকে দিয়েছে।
আমি আমার বোন জামাই কে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
তুমি কেন এটা করতে গেলে,,, উত্তর এসে বলেছিল।
ভাইয়া, বিশ্বাস স্থাপন সেই দিন থেকেই হয়,,, যেদিন সত্তিকারের মানুষটাকে চেনা যায়।
আমি আপনার বোনকে পেয়ে ধন্য।
আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া।
আল্লাহ আমাকে এরকম দ্বীনদার একজন জীবনসঙ্গী দেওয়ার জন্য।

এ লেখাটি কারও জন্য নয়, শুধু নিজের উপলদ্ধির জন্য এখানে দিলাম ।বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয় ৷ কালি ফুরিয়ে গেলে ক...
14/07/2021

এ লেখাটি কারও জন্য নয়, শুধু নিজের উপলদ্ধির জন্য এখানে দিলাম ।

বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয় ৷
কালি ফুরিয়ে গেলে কলমটাও আবর্জনার ঝুড়িতে জমা হয়। বাসি হয়ে গেলে প্রিয়জনের দেয়া ফুলটাও পরদিন ডাস্টবিনে পাওয়া যায়।

পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না। জীবনের সবচেয়ে নিদারুণ বাস্তবতা হলো, কার কাছে আপনি কতদিন প্রায়োরিটি পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সামর্থ্য আছে তার উপর।

এই বাস্তবতা আপনি মানলেও সত্যি, না মানলেও সত্যি। আজ সকালে যে পত্রিকার দাম ১০ টাকা, একদিন পর সে একই পত্রিকার ১ কেজির দাম ১০ টাকা। হাজার টাকা খরচ করে একাডেমিক লাইফে বছরের শুরুতে যে বইগুলো গুরুত্ব দিয়ে কিনেন, বছর শেষে সেই বইগুলোই কেজি মাপে বিক্রি করে দেন।

সময় ফুরিয়ে গেলে এভাবেই মূল্য কমতে থাকে সবার, সবকিছুর। আমরা আপাদমস্তক স্বার্থপর প্রাণী। ভিখারিকে ২ টাকা দেয়ার আগেও মানুষ চিন্তা করে কতটুকু পূণ্য অর্জন হবে। বিনা স্বার্থে কেউ ভিক্ষুককেও ভিক্ষা দেয় না৷

এতকিছুর পরও চলুন একটু হেসে কথা বলি।
রাগটাকে কমাই। অহংকারকে কবর দেই।
যদি সুখী হতে চান তবে প্রত্যাশা কমান।

আপনি কারো জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে যান। কারণ সেটা যতদিন আপনি মনে রাখবেন ততদিন সেটা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে।

আবার কেউ যদি আপনার জন্য খুব ছোট কিছুও করে থাকে, তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন। কারণ এটা আপনাকে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।

আমাদের দেহে যে DNA আছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০০০০০০০০ কি.মি.। পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত ৫০ বারেরও বেশি আসা যাওয়া করলে যে দূ...
12/07/2021

আমাদের দেহে যে DNA আছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০০০০০০০০ কি.মি.। পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত ৫০ বারেরও বেশি আসা যাওয়া করলে যে দূরত্ব অতিক্রান্ত হবে, তার সমান।

আর DNA তে যে ইনফরমেশন আছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, তবে তা হবে ৯০০ খণ্ডের বিশালাকার এনসাইক্লোপিডিয়ার সমান। যেখানে প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্ঠা সংখ্যা হবে ৫০০।

আমাদের দেহে মোট কোষের সংখ্যা হলো ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। সেন্সরি রিসেপ্টর আছে ১১০ মিলিয়ন। লৌহিত রক্ত কণিকা (RBC) আছে ৩০ ট্রিলিয়ন। শুধুমাত্র মস্তিষ্কেই নিউরন সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন।

ছবিটি ঠিক চামড়ার নিচের অংশ। এভাবেই যদি দুনিয়াতে পাঠাতেন, সুন্দর চামড়ার আবরণ না থাকতো কেমন হতো তখন? কাউকে দেখে মায়া ভালবাসা তৈরি হতো না। থাকতো না হাসি কান্নার এই অভিব্যক্তি।

দেহে মোট ব্লাড ভেসেল আছে ৪২ বিলিয়ন, যা ৯৭০০০ কি.মি. লম্বা।

একটু চিন্তা করুন তো! এক হাত লম্বা একটা হেডফোন অতি যত্ন করে রেখে দিলেও জট পাকিয়ে যায়। কিন্তু আপনার দেহের ৯৭০০০ কি.মি. ব্লাড ভেসেল কখনোই জট পাকিয়ে যায় নি।
দীর্ঘ এই ব্লাড ভেসেলগুলো কী অদ্ভুত সুক্ষ্মভাবে তৈরি। নেই কোন কম্প্লিকেশন বা জটিলতা।
সুবহানআল্লাহ ❤️

"এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করি ঐ সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা চিন্তাভাবনা করে।"
(সূরা ইউনুস, আয়াত : ২৪)

পৃথিবীর কোন কারখানা অন্ধকারে চলে না। কোন প্রোডাক্ট অন্ধকারে তৈরি হয় না। কিন্তু আমাদের সৃষ্টি যে কারখানায়, সেই মায়ের পেটে, তিন স্তর বিশিষ্ট অন্ধকারে ঘেরা। অথচ সেই সৃষ্টি কত নিখুঁত, কত অদ্ভুত সুন্দর!

আশেপাশের সব পুড়ে যাওয়ার পর মসজিদ বা কুরআন পুড়লো কিনা, আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ সেখানে খোঁজার প্রয়োজন নেই। পশু পাখির গায়ে তাঁর নাম অংকিত রয়েছে কিনা, মেঘের ভাঁজে তাঁর নাম ফুটে উঠেছে কিনা, প্রয়োজন নেই তা দেখার।

তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ আমরা নিজেরাই। তিনি আল্লাহ ❤️ আমাদের এই শরীরের নির্মাতা।

“আর তোমাদের মধ্যেই রয়েছে নিদর্শন, তোমরা কি দেখো না?”

(সূরা যারিয়াত,আয়াত : ২১)

এক টুকরো বাংলাদেশ✌🏼অক্সিজেনের অভাবে বাবাকে হারিয়েছে গতবছর। চারবার হেরেছে, জয় এসেছে পঞ্চমবারে। অসাধারণ আবিষ্কার!!!বাতাস গ...
07/07/2021

এক টুকরো বাংলাদেশ✌🏼

অক্সিজেনের অভাবে বাবাকে হারিয়েছে গতবছর। চারবার হেরেছে, জয় এসেছে পঞ্চমবারে।

অসাধারণ আবিষ্কার!!!

বাতাস গ্রহণ করে প্রতি মিনিটে ২৫ লিটার ৯২% বিশুদ্ধ অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম যন্ত্রটি দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করেছে ঈশ্বরদী, পাবনার দশম শ্রেণির ছাত্র তাহের মাহমুদ তারিফ। হীরার টুকরা ছেলে। বাংলাদেশ কি পারবে এমন সম্পদকে আরও সমৃদ্ধ করতে!!! বাংলাদেশের এমন সম্পদের প্রয়োজন তীব্রভাবে।

পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার গেমসের নেশার রাস্তায় না হেঁটে এই কিশোর-তরুণেরা বাংলাদেশকে পথ দেখায় এবং অনেক কিশোরের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে ভবিষ্যতে ।

শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইল বাংলাদেশের এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী এর জন্য ❤️ মাশাআল্লাহ ❤️

(Tawhid Azam)

একটা বেকার ছেলের জন্য সবচেয়ে কঠিন একটা প্রশ্ন হলো - তুমি কি করো.?ছেলেটা চাইলেও প্রশ্নের উওরটা এড়িয়ে যেতে পারে না। আবার চ...
05/07/2021

একটা বেকার ছেলের জন্য সবচেয়ে কঠিন একটা প্রশ্ন হলো - তুমি কি করো.?ছেলেটা চাইলেও প্রশ্নের উওরটা এড়িয়ে যেতে পারে না। আবার চাইলেও খুব স্বাভাবিক ভাবে ' কিছুই করি না ' এটা বলতে পারে না।

আমাদের চারপাশে এরকম অনেকেই আছে যারা আগে থেকেই জানে ছেলেটা বেকার, কিছুই করে না। তারপরও ছেলেটাকে জিঙ্গেস করবে - তুমি কি করো? সেই বেকার ছেলেটার বাবা মায়ের কাছে গিয়ে নিজের সন্তানের সাফল্যের গল্প শুনাবে। একটা বেকার ছেলের বাবা-মা নিজের সন্তান বেকার বলে যতটা দ্বিধাবোধ করে, যতটা কষ্ট পায়। তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি কষ্ট পায় অন্য কারও মুখে নিজের বেকার ছেলের বেকারত্বের গল্প শুনে।

তখন বেকার ছেলের বাবা-মা মনে করে তারা ঠিক মতো তার সন্তানকে মানুষ করতে পারেনি। এটা ভেবে বাবা-মায়েরা প্রচন্ড কষ্ট পায়। আর সেই কষ্টটা দেখে প্রতিষ্ঠিত সন্তানের বাবা-মায়েররা এক ধরনের শান্তি অনুভব করে। আজকাল আমাদের চারপাশের মানুষগুলো বরাবরের মতোই এরকম।

তাই তাদেরকে বলতে চাই যারা আজকে বেকার ছেলেটাকে যেখানে-সেখানে দেখলেই কি করো বলে তাকে লজ্জা দেন। সে বেকার বলে তার আগে-পিছে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্রা করেন। সেই ছেলেটা সারাজীবন বেকার থাকবে না। ছোট হোক কিংবা বড় হোক অবশ্যই সে জীবনে কিছু না কিছু একটা করবে। কারন সারাজীবন কেউ বেকার থাকে না। তবে বেকার সময়ে কিছু মানুষের ব্যবহার আর তাদের কথাগুলো হয়ত সারাজীবন মনে থেকে যায়। তাই কাউকে বেকার বলে তাকে নিয়ে হাসি- ঠাট্রা করবেন না। মনে রাখবেন সে হয়তো বেকার তবে অমানুষ নয়। তাই একজন মানুষ হিসাবে
তাকে তার যোগ্য সম্মানটুকো দিন। আপনার কাছে সে এতটুকোই চায় মানুষ হিসাবে একটু সম্মান।।❣️❣️❣️

"হঠাৎ করে দেখছিএই ছবিটা নিয়ে কিছু মানুষ সুন্দর সুন্দর Caption লিখে পোস্ট করছে,,,একজন বিশ্বাসী কালো মেয়ে 😊হাজারো রূপবতী ম...
05/07/2021

"হঠাৎ করে দেখছি
এই ছবিটা নিয়ে কিছু মানুষ সুন্দর সুন্দর Caption লিখে পোস্ট করছে
,
,
,
একজন বিশ্বাসী কালো মেয়ে 😊

হাজারো রূপবতী মেয়ে চেয়ে উত্তম 🤗
,
,
,
আসলে কি মানুষ এগুলো মন থেকে বলছে??
যদি তাই বলে তাহলে আজকের দিনে এসেও কালো মেয়েরা এত অবহেলিত কেন???
একটা কালো মেয়েকে বিয়ে করতে এত সমস্যা কেন??
এত আবদার কেন???
একটা কালো মেয়েকে বিয়ে করতে দামি বাইক সোনা টাকা পয়সা কেন লাগে??
কেন নিজের পরিবারের কাছেও ছোট হতে হয়??
পরিবারের কাছে কষ্টের কারন হতে হয়??
বাবা মার হতাশার কারন হতে হয়??
কেন প্রতিবেশির কাছে অন‍্যের ভালো খারাপ এর উদাহরণ হয়ে বাচঁতে হয়???

হ‍্যাঁ এই রকম হাজারো প্রশ্ন থেকেই যাবে
আসলে কালো মেয়েদের নিয়ে অনেক নীতির কথা বলা যায় তবে এসব সত্যি খুব একটা হয় না!!
কালো মেয়েদের নিয়ে শুধু সুন্দর সুন্দর কাপসন লিখে পোস্ট করা যায়
গল্প বা কোনো কাহিনি লিখা যায় 🙄
আর কিচ্ছু না
একটা কালো মেয়েই বুজতে পারে প্রতিটা ধাপে ধাপে তার জায়গাই সে কতটা অসহায়

NC pic....
05/07/2021

NC pic....

অমিতাভ বচ্চন তাঁর জীবনীতে লিখেছেন....."আমি তখন ক্যারিয়ারের তুঙ্গে। একদিন প্লেনে করে যাচ্ছিলাম । খুব সাধারণ শার্ট আর প্যা...
04/07/2021

অমিতাভ বচ্চন তাঁর জীবনীতে লিখেছেন.....
"আমি তখন ক্যারিয়ারের তুঙ্গে। একদিন প্লেনে করে যাচ্ছিলাম । খুব সাধারণ শার্ট আর প্যান্ট পরিহিত একজন ভদ্রলোক আমার পাশে বসেই যাচ্ছিলেন৷ দেখে উনাকে একজন শিক্ষিত এবং মার্জিত মধ্যবিত্ত মানুষ মনে হয়েছিল । অন্য সহযাত্রীরা আমায় চিনতে পেরে খুব উৎসাহিত হয়ে অটোগ্রাফ নিচ্ছে। কিন্তু পাশে বসা ভদ্রলোককে লক্ষ্য করলাম উনার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ।

উনি একমনে একটা খবরের কাগজ পড়ছিলেন আর মাঝে মাঝে জানালার বাইরে তাকিয়ে কি যেন ভাবছিলেন । চা পরিবেশন করা হলো, ঠোঁটের আগেই থ্যাঙ্কস লেগেই আছে। আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।

আমার উনার প্রতি কৌতূহল বেড়েই চলছিল । তাই উনার সাথে কথা বলার জন্য উনার দিকে তাকিয়ে হাসলাম । উনিও একটা সৌজন্যমূলক হাসি ফিরিয়ে দিয়ে বললেন,'হ্যালো', কিছু সৌজন্যমূলক কথোপকথন শুরু হলো ।"

"আমি নিজে থেকে সিনেমা প্রসঙ্গ উত্থাপন করলাম ।
জিজ্ঞাসা করলাম :' আপনি সিনেমা দেখেন ?'
উনি বললেন, 'কখনো-সখনো ।
শেষ যে সিনেমাটা দেখেছি...
হ্যাঁ...তাও প্রায় এক বছরের বেশি হয়ে গেছে ।'
বললাম: ' আমি ওই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই আছি ।'
উনি উৎসাহিত হয়ে বললেন ' দারুণ ব্যাপার!
তা আপনি কী করেন ?'
বললাম, ' আমি একজন অভিনেতা ।'
প্রত্যুত্তরে বললেন 'দারুণ! '
ব্যস! ওই পর্যন্তই...

প্লেন, ল্যান্ড করার পরে আমি ভদ্রলোকের দিকে করমর্দনের জন্য হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম:
'আমার নাম অমিতাভ বচ্চন'

উনি মাথা নত করে আমার হাতটা ঝাঁকিয়ে দিয়ে বললেন:'আপনার সাথে পরিচিত হয়ে দারুণ লাগল !
আমার নাম জে.আর.ডি. টাটা(Jehangir Ratanji Dadabhoy Tata, chairman of TATA Group)'

চমকে উঠলাম আমি !

ওই দিনের ঘটনা থেকে একটা বিষয় শিখলাম:
"যত বড়োই হই না কেন, আমার থেকেও বড়ো কেউ না কেউ আছে, কিন্ত তাঁর দৃষ্টিটা সর্বদাই মাটির দিকে !"

শিক্ষনীয়: গাছে যত ফল ধরবে, ততই মাটির দিকে ঝুঁকে যাবে।।

সংগৃহীত:

মৃদু মাত্রার কোভিড-১৯ সংক্রমনের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা যেতে পারে।
03/07/2021

মৃদু মাত্রার কোভিড-১৯ সংক্রমনের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা যেতে পারে।

03/07/2021

Moula2, Song is very nice. Everybody like this song and Subscribe this channel. Link in the bellow:

https://youtu.be/azUHXQDf3pA

ভার্সিটিতে প্রথম যেদিন ক্লাস করতে যাই সেদিন স্যার একে একে সবার সাথে পরিচিত হচ্ছিলো। আমি যখনদাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিবো তখন ...
27/06/2021

ভার্সিটিতে প্রথম যেদিন ক্লাস করতে যাই সেদিন স্যার একে একে সবার সাথে পরিচিত হচ্ছিলো। আমি যখন
দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিবো তখন স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,
- তুমি কি আই এসের সদস্য? এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছো জঙ্গি হামলা করার জন্য না কি?

স্যারের কথা শুনে ক্লাসের সবাই হাসতে লাগলো। আমি মাথাটা নিচু করে স্যারকে বললাম,
-- স্যার, আপনার কথাটা ঠিক বুঝলাম না।

স্যার আবারও হাসতে হাসতে বললো,
- তোমার মুখ ভর্তি দাড়ি দেখে তো এটাই মনে হলো।
সেদিনের পর কেউ আমাকে আবুল বাশার বলে ডাকে না। সবাই জঙ্গি বাশার বলেই ডাকে...

স্যারকে দেখতাম মাঝে মাঝেই মজার চলে আমাকে নানা রকম অপমান করতো। সেদিন স্যার আমাকে দেখিয়েসবাইকে বললো,
- বাশারের থেকে কিছু শিখো তোমরা। ৩ দিন পর পর সেভ করলে নাপিতকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে
হয়। কিন্তু বাশারের দিতে হয় না কারণ সে দাড়ি রেখে দিয়েছে৷ একটা ভালো জিন্স প্যান্ট কিনতে গেলে ২৫০০ টাকা লাগে একটা ভালো শার্ট কিনতে গেলে ১৫০০ টাকা লাগে কিন্তু বাশারের এইসব কিছুই লাগে না। সে ৫০০ টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি পায়জামা বানিয়ে ফেলতে পারে। তোমরা ছেলেরা সবাই খরচ কমাতে
বাশারকে ফলো করো।

স্যারের মুখ থেকে এইসব কথা শুনে ক্লাসের সবাই হাসতে লাগলো। আর আমিও সেদিন প্রথম স্যারের চোখে চোখ রেখে মুচকি হাসে স্যারকে বললাম,
-- স্যার, দুইদিন পর যখন মারা যাবেন তখন কিন্তু ক্লিন সেভ করা, উন্নত মানের জিন্স প্যান্ট আর শার্ট পরিহিত কেউ এসে আপনার জানাজার নামাজ পড়বে
না। তখন কিন্তু আমারি মত দাড়িওয়ালা ৫০০ টাকার পাঞ্জাবি পায়জামা পরিহিত কেউ এসে আপনার
জানাযার নামাজটা পড়বে।

এইবার স্যারকে দেখলাম মাথা নিচু করে আছে। ক্লাসের সবাই নিরব। আর আমি তখন মুচকি হেসে ক্লাস থেকে বের হয়ে আসলাম...

ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে সানজিদা নামের একটা মেয়েকে টিউশনি করাতাম। ১মাস পড়ানোর পর ছাত্রীর বাবা বেতনের টাকাটা আমার হাতে দিয়ে বললো,
- কাল থেকে তোমার আর আসতে হবে না।

আমি অবাক হয়ে বললাম,
-- আংকেল, কারণটা কি জানতে পারি?
আংকেল তখন রেগে গিয়ে বলতে লাগলো,
- তুমি আমার মেয়েকে সব সময় মরার ভয়
দেখাও কেন? পর্দা না করলে আখিরাতে এই হবে ঐ হবে এইসব বলে আমার মেয়ের মাথা নষ্ট করে দিয়েছো। আমার মেয়ে মাথায় ওড়না দিলো কি দিলো না তাতে তোমার কি? তোমার এইসব হুজুরগিরি অন্য
কোথাও গিয়ে দেখাও। মৃত্যুর ভয় আমার মেয়েকে দেখাতে এসো না।

একটু পর ছাত্রীর মা এসে বললো,
- নজর ঠিক তো সব ঠিক। নজর ঠিক থাকলে এইসব পর্দা করার কোন দরকার নেই।

আমি মুচকি হেসে ছাত্রীর বাবা মার দিকে তাকিয়ে বললাম,
-- সবচেয়ে বড় শিক্ষক হলো বাবা মা। যে ঘরে আপনাদের মত বাবা মা আছে সেই ঘরের মেয়েরা বেপর্দা হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনারা কত বড় ভুল
করেছেন সেটা এখন না কয়দিন পর হয়তো বুঝবেন...

৭ মাস পর খবরের কাগজে একটা ছবি দেখে চমকে উঠলাম। আমার ছাত্রী সানজিদার বাবা মার আর্তনাদের ছবি। ছবির উপরে লাল কালি দিয়ে বড়
বড় অক্ষরে লেখা, অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস হওয়ার জন্য তরুণীর আত্মহত্যা।

আমি খবরের কাগজটা বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবতে লাগলাম, এই মৃত্যুর জন্য মা বাবাও দায়ী। মেয়েকে সঠিক শিক্ষা দিলে হয়তো এমনটা হতো
না...

আমার বিয়ের ঠিক দুইদিন পর আমার স্ত্রী অহনা আমায় বললো, আমার সাথে আর একদিনও সংসার করতে পারবে না। ও স্বাধীনতা চায়, পর্দার আড়ালে
নিজেকে আবদ্ধ করতে পারবে না। অনেক বুঝানোর পরেও সে বুঝলো না।
তাই বাধ্য হয়ে অহনাকে ডিভোর্সদিলাম...

বছর দুয়েক পর.....
ফুলের দোকানের সামনে যখন আমি দাঁড়িয়ে আছি। তখন কে যেন আমায় পিছন থেকে ডাকলো। পিছন ফিরে দেখি অহনা। অহনা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
- কেমন আছেন?

আমি হেসে উত্তর দিলাম,
-- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি? আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে অহনা বলবো,
- ফুলের দোকানে কেন?

এমন সময় ফুলের দোকানের কর্মচারীছেলেটা কোথা থেকে যেন দৌড়ে আমার কাছে এসে বললো,
- হুজুর আজ তো বেলী ফুল পাই নি। আশে পাশের দোকানেও খুঁজে পেলাম না। তবে একজনকে ফোন দিয়েছি। ২০ মিনিট পর নিয়ে আসবে আপনি একটু
অপেক্ষা করেন...

আমি অহনাকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে বসলাম। অহনা অবাক হয়ে বললো,
- দোকানের ছেলেটা এত উতলা হয়ে আপনার জন্য বেলীফুল খুঁজছে কেন?

আমি মুচকি হেসে উত্তর দিলাম,
-- আমি প্রতিদিন বাসায় ফেরার সময় আমার স্ত্রী শ্রাবণীর জন্য এই দোকান থেকে বেলী ফুল কিনে নিয়ে যায়। শ্রাবণীর খুব পছন্দ বেলীফুল...

আমার আর অহনার জন্য যখন খাবার অর্ডার করলাম তখন আমি ওয়েটারকে বললাম, আমায় যে খাবারটা দিবে তার থেকে অর্ধেক যেন আমায় পার্সেল করে দেয়। অহনা অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- হঠাৎ পার্সেল কেন?

আমি মাথাটা নিচু করে হেসে বললাম,
-- আমি তোমার সাথে এইখাবারটা খাবো আর শ্রাবণী এই খাবারটা খাবে না সেটা হয় না। তাই ওর জন্য
আমার অর্ধেক খাবার নিয়ে যাবো...

খাওয়া শেষ করে যখন আমি পার্সেলটা হাতে নিয়ে বের হবো তখন অহনা বললো,
- আমি ভালো নেই।

আপনার সাথে ডিভোর্সের পর আমি খুব স্মার্ট আর
হ্যান্ডসাম ছেলে দেখে বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের পর দিন থেকে আমি একটুও সুখে নেই। স্বামীর চোখে আমি
শারিরীক ক্ষুধা মেটানোর যন্ত্রবাদে আর কিছুই না। আমি খুব বড় ভুল করে ফেলেছি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে...

আমি আর কিছু না বলে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসলাম। আমার একহাতে খাবারের প্যাকেট আরেক
হাতে বেলিফুল। আমি হেটে যাচ্ছি আর ভাবছি, জীবনের একটা সময় আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু যখন উপলব্ধি করতে পারি তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়...
Collected,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

14/06/2021
28/04/2021

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা শুধু খেতে চায়। কাউকে খাওয়াতে চায় না। কারণ, তারা জানে কাউকে খাওয়ালে নিজে খেতে পারবোনা।

হে যুবক/যুবতী তুমি এ কথা কোন সাহসে বল যে আমি প্রেম করে বিয়ে করতে চাই !!! বরং বল যে আমি যেনা করে বিয়ে করতে চাই ।কেননা  রা...
26/04/2021

হে যুবক/যুবতী
তুমি এ কথা কোন সাহসে বল যে আমি প্রেম করে বিয়ে করতে চাই !!! বরং বল যে আমি যেনা করে বিয়ে করতে চাই ।
কেননা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যেনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যেনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যেনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে
হেঁটে যাওয়া পায়ের যেনা, খারাপ কথা শোনা কানের যেনা আর যেনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যেনা । অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়।”
[ সহীহ আল- বুখারী,]

হযরত মুহাম্মদ (স) বলেছেন,কামনার দৃষ্টি নিয়ে যে পুরুষ কোন নারীকে দেখে এবং যে নারী পুরুষকে দেখে ।আল্লাহ তাদের উপর অভিশাপ দেন ।

আর তুমি বল আমার gf/bf এর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র !!
রাসূল (স) বলেছেন, মহিলাদের জন্য সমস্ত শরীর ঢেকে রাখার হুকুম,বেগানা পুরুষের সামনে শরীর খোলা রাখা যায়েজ নাই,এমনকি চুল ও খোলা রাখা নিষেধ ।চুল খোলা রাখলে ফেরেস্তাগন বদদোয়া করে।(শরহে তানভীর )
বিবাহ বহির্ভূত বেগানা পুরুষ নারীর সম্পর্ক প্রেম ইসলামে হারাম
এই gf/bf একদিন জাহান্নামে যাওয়ার কারন হবে!

তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা ফুরকান_৭০

হে পবিত্র সম্মানিত মুসলিম জাতি তোমার কি লজ্জা ও করে না??কে দিল অধিকার!!জানোয়ার এর চরিত্র কেন?? !সবার সামনে বিভিন্ন পার্কে রাস্তায় বসে যে যেনা করো।
কেউ কিছু বলে না বলা নাকি অপরাধ????
তুমি ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মিথ্যা মায়ায় পরে চিরস্থায়ী আখিরাত মৃত্যু কে ভুলে যেওনা।
মনে রেখ জীবন মহান আল্লাহর দান তাই তার সন্তুষ্টি সব কিছুর ঊর্ধে।

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَলা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জ...
22/04/2021

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জালিমীন।
আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৭
ফজিলতঃ
ক. এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, আমি নবী ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দু:খ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়া পড়বে আমি তাদেরও বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৮

খ. হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজরত ইউনুস (আ.)-এর ভাষায় দোয়া করবে, সে যে সমস্যায়ই থাকুক আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -তিরমিজি: ৩৫০৫

গ. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেছেন, আমার ভাই ইউনুসের দোয়াটি খুব সুন্দর। এর প্রথম অংশে আছে কালিমায়ে তায়্যিবা। মাঝের অংশে আছে তাসবিহ। আর শেষের অংশে আছে অপরাধের স্বীকারোক্তি। যে কোনো চিন্তিত, দু:খিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতি দিন এ দোয়া তিন বার পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -কানজুল উম্মাল: ৩৪২৮

ঘ. হজরত সা’দ ইবনে আবি ওক্কাস রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মরফু সূত্রে বর্ণনা করেন যে, মাছের পেটে থাকা অবস্থায় হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের দোয়া ছিল, লা-ইলাহা ইল্লা....। যে কোনো প্রয়োজনে কোনো মুসলমান যদি এই দোয়া পড়ে তার প্রতিপালককে ডাকে তাহলে অব্যশই আল্লাহ তায়ালা তার ডাকে সাড়া দেবেন। [তিরমিজি-৩৫০৫, সুনানে কাবুরা-১০৪৯২, মুসনাদে আহমদ-১৪২ ও রূহুল মাআনি-৮/১০৯]

ঙ. হজরত ইবনে আবি হাতেম রহ. নকল করেন যে কোনো ব্যক্তি দোয়ায়ে ইউনুস পড়ে দোয়া করলে সে দোয়া কবূল করা হয়। কারণ এ আয়াতের শেষে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, وكذلك ننجى المؤمنين অর্থাৎ এভাবেই আমি মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।

চ. ইবনে জারির তাবারি রহ. একটি মরফু হাদিসে নকল করেন, আল্লাহর একটি নাম আছে, যে নামটি নিয়ে কেউ দোয়া করলে তা কবূল করা হয়, এবং এই নামের উছিলায় কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়, তা হলো দোয়ায়ে ইউনুস।

ছ. হজরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রসূলাল্লাহ! এই দোয়াটি কি হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামেরই বৈশিষ্ঠ্য নাকি সব মুসলমানের জন্যই? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি পড়নি, ونجينه من الغم وكذلك ننجى المؤمنين (অর্থাৎ আমি তাকে চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছি আর আমি এভাবেই মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।) অতএব যে কোনো ব্যক্তিই এইভাবে দোয়া করবে আল্লাহ তায়ালা সে দোয়া কবূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জ. হজরত ইবনে আবি হাতিম রহ. হজরত কাসির ইবেন সা’দ থেকে নকল করেন, তিনি বলেন, আমি হাসান বসরি রহ. কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আল্লাহর ইসমে আযম কোনটি, যে নামের দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাইলে তা দেয়া হয়? উত্তরে তিনি বললেন, ভাতুষপুত্র! তুমি কি আল্লাহর এই বানীটি পড়নি? অতপর তিনি এই আয়াত দুটি তেলাওয়াত করে বললেন, এটাই হলো সে ইসমে আযম, যার দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়। [তাফসিরে ইবনে কাসির:৩/৩৯৫-৩৯৬]

ঝ. এক হাদিসে এসেছে, কোনো মুসলমান যদি অসুস্থ অবস্থায় এ আয়াতটি চল্লিশ বার পড়ে তাহলে ওই অসুখে সে মারা গেলে চল্লিশজন শহিদের সওয়াব পাবে। আর সুস্থ হয়ে গেলে তার যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [হিসনে হাসিন-২৪১]

আরবি দোআ : একবার পড়বে لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ বাংলা উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন। বাংলা অর্থ : তুমি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কোনো ইলাহ নেই। তুমি পুত-পবিত্র, অবশ্যই আমি জালেমদেরই একজন ছিলাম। [সুরা আম্বিয়া-৮৭]

05/04/2021

পিছনে বদনাম করে সামনে এসে আন্তরিকতা দেখানো মানুষগুলো থেকে দূরে থাকাই উত্তম।
-এরা প্রকাশ্য শত্রু থেকেও ভয়ঙ্কর।

একটি সুন্দর দৃশ্য। কৈডাঙ্গা বামুন জান ব্রিজের উপর চলমান ট্রেন। আপনাদের সবার জন্য আমার এই ছোট্ট উপহার। শেয়ার দিয়ে নিজের...
09/03/2021

একটি সুন্দর দৃশ্য। কৈডাঙ্গা বামুন জান ব্রিজের উপর চলমান ট্রেন। আপনাদের সবার জন্য আমার এই ছোট্ট উপহার। শেয়ার দিয়ে নিজের ওয়ালে রেখে দিন সবাইকে দেখার জন্য। ধন্যবাদ।

24/02/2021

ঘটনাটি দিলকে নাড়া দেয়!
মাওলানা তারিক জামিল(পাকিস্তানী)।
---------------------------------------------------
আমি পৃথিবীর অনেক গুলো রাষ্ট্রের মধ্যে,
কয়েকটি রাষ্ট্র সফর করেছি, এর মধ্যে
জর্ডান সফরের একটা অংশ তুলে ধরছি।

আমি আর আমার স্ত্রী যখন জর্ডানে পৌঁছে
গেলাম,তখন তাবলীগ জামাতের আমীর
সাহেব,আমাদেরকে তাদের বাসায় নিয়ে
গেলেন।আমরা দুজনেই ভীষণ অবাক হলাম,
মাত্র দু কক্ষ বিশিষ্ট একটা ঘর,ঘরের মধ্যে
এক পাশে কিছু থালা বাসন, তরকারির
ঝুড়ি,একটা কাঠের উপর জড়ো করা কয়েকটি
কাপড়,আর আরাম করার জন্য একটা মাদুর,ও
দুই খানা ইট।

আমার স্ত্রীকে নিয়ে এক কক্ষে আর আমাকে আরেক কক্ষে নিয়ে গেলেন।উনার মোট ছয়টি মেয়ে,যারা
সবাই পরিপূর্ণ পর্দা করে,আর একটা খুব
ছোট ছেলে বাচ্চা কোলে।

ছেলেটির বয়স যখন একদিন,তখনই তার মা,কালো একটা কাপড় দিয়ে বাচ্চার চোখ বেঁধে দুধ পান
করায়।এখন ওর বয়স এক বছর,ওর যখন দুধ
খাওয়ার নেশা চাপে,তখনই কালো কাপড়
টা মায়ের হাতে তুলে দেয়।বোনদের সাথে
কিতাবের উপর হাত দিয়ে পড়ার চেষ্টা
করে।

আমার স্ত্রীকে খাবার দেওয়ার পর,তিনি
এইসব দৃশ্য দেখে দোয়া না পড়েই খাবার
মুখে দিতে গেলেন।৪ বছরের পিচ্চি মেয়ে,
আমার স্ত্রীর হাত চেপে ধরলেন,আর
বললেন দোয়া না পড়লে খাবার খেতে দেবোনা।

এইসব দৃশ্য আমি খুব উপভোগ
করছিলাম আর জুতা পায়ে দিচ্ছিলাম,
পিচ্চি টা দৌঁড়ে এসে বললো,চাচা আপনি
তো বাম পায়ের জুতা আগে পায়ে দিছেন,
এখন খুলে আবার ভাল করে দোয়া পড়ে জুতা
পায়ে দিন।

আমি চিন্তায় বিভোর হয়ে গেলাম,এটা
কেমন মা,যার ৪ বছরের মেয়ে,আমার মতো
মাওলানার ভুল ধরিয়ে দেয়।আমি আমির
সাহেবের সাথে রাস্তায় বের হয়ে একটা
গাড়িতে উঠলাম,ড্রাইভার মাতাল থাকার
কারনে হঠাৎই এ্যাকসিডেন্ট করে গাড়িটি।
এবং আমার চোখের সামনেই আমির সাহেব
ইন্তেকাল করেন।

সবাই মিলে ধরাধরি করে লাশটা নিয়ে
এলাম,উনার স্ত্রী,কন্যা লাশ দেখে
দোয়া পড়লেন,যেখানে আমারই ইচ্ছা
করছে চিৎকার করে কান্না করতে,সেখানে
উনার পরিবারের কারোরই কান্নার
আওয়াজ শুনতে পেলাম না।

আমার স্ত্রী এসে হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে
বললেন,ভাবী ভাইয়ের দাফনের ব্যবস্থা
করতে বলেছে দ্রুত!

আমি সবকিছু এনে দেখি,আমার স্ত্রী
একা একা কান্না করছে,আমাকে দেখে
জড়িয়ে ধরে ভীষণ জোরে-জোরে কান্না
শুরু করে দিলো,আমি তার মুখ চেপে ধরে
আওয়াজ বন্ধ করলাম,বললাম কি হয়েছে?

আমাকে বললো,ওগো আমাকে ক্ষমা করো,
তোমার উপযুক্ত স্ত্রী আজও হতে পারিনি,
ঐ দেখো,ভাইয়ের পরিবারের সবাই
নামাজে দাঁড়িয়ে কান্না করছে,আল্লাহর
কাছে তার মাগফেরাত কামনা করছে।

ওগো এতো ধৈর্যশীলা পরিবার ও কি এখনো
আছে।আমি আমার স্ত্রীকে সান্ত্বনা
দিয়ে বাহিরে এসে,লাশের বাকিটুকু কাজ
সমাধান করলাম।

রাতের বেলায় হঠাৎই ঘুম ভেঙ্গে গেলো
কান্নার শব্দে।আস্তে-আস্তে উঠে গিয়ে দেখি,ভাবী সাহেবা তার ছয় মেয়েকে নিয়ে তাহাজ্জুদ সালাতে
কান্না করছে।

কি অবাক করা বিষয় এই ৪
বছরের বাচ্চা মেয়েও মায়ের সাথে সমানে
দোয়া করে যাচ্ছে,মনোযোগ দিয়ে দোয়া
করা শুনতে লাগলাম।এতো দারুণ দোয়া যে,
শুনতে শুনতে কখন যে,আমার চোখের পানি
দাড়ি ভিজে মাটিতে পড়ছিল,তা নিজেও জানিনা।

আল্লাহর কাছে বললেন,তার
বিয়ের উপযুক্ত মেয়েকে যেন আল্লাহ দ্রুতই
কোন ব্যবস্থা করে দেন,আর ও বললেন,
ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম রিযিক দান করো।

আমি ফজরের সালাতের পরে একটু ঘুমিয়ে
পড়লাম,ঘুম থেকে উঠে শুনি,শহরের নাম
করা তিন জন হুজুর প্রচুর পরিমাণে মোহরানা নিয়ে, তার তিন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে,উনি রাজি
হওয়ায়,দুপুরে বিয়ে।

আমার খুব কান্না চলে আসলো,উনি কেমন রমনী, যে কিনা রাতের বেলায় দোয়া করতেই ভোর বেলায় ফল পেয়ে যান!!

আল্লাহ তায়ালা এধরনের পরিবার
আমাদেরকেও দান করুন।
আমীন।

সূরা আল কাহাফে বেশ অনেকগুলো ঘটনার পরম্পরা আমরা দেখতে পাই। তবে, মুসা আলাইহিস সালামের মতো প্রসিদ্ধ নবি এবং খিযির আলাইহিস স...
06/02/2021

সূরা আল কাহাফে বেশ অনেকগুলো ঘটনার পরম্পরা আমরা দেখতে পাই। তবে, মুসা আলাইহিস সালামের মতো প্রসিদ্ধ নবি এবং খিযির আলাইহিস সালামের মতো প্রসিদ্ধ ব্যক্তির ঘটনা এই সূরায় থাকলেও, সূরাটা শুরু হয়েছে কতিপয় যুবকদের দ্বীনে অটল-অবিচল থাকবার ঘটনা দিয়েই।

কোন এক সুপ্রাচীন সময়ে, একটা অঞ্চলের সবাই যখন তাওহিদের রাস্তা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়লো, যখন তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে হরেক রকমের উপাস্যকে ডাকতে শুরু করলো, তখনও কিছু যুবক নিজেদের ঈমান-আমলকে সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়। যখন ভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা জনপদ, তখনও তারা স্রোতে মিশে না গিয়ে, নিজেদেরকে ধরে রাখতে পেরেছিলো একত্ববাদের বলয়ে।

কিন্তু, যুবকদলের জন্য ব্যাপারটা মোটেও সহজ ছিলো না। তারা জানতো— তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে এক ঘোর বিপদ। তাদের বিশ্বাসের কথা, সঠিক ধর্মে তাদের নিবিষ্ট থাকবার ঘটনা যদি জানাজানি হয়ে যায়, যদি তা জনপদের হর্তাকর্তাদের কানে পৌঁছে, তাহলেই তাদের জীবন সংশয়ে পড়ে যাবে। তাদের নিশ্চিহ্ন করা হবে চিরতরে।

জীবন এবং ঈমান রক্ষার এমন দূর্বোধ্য দো'টানায় পড়ে যুবকদল একত্র হলো একটা গুহার মধ্যে। সেখানে তারা আল্লাহর কাছে করজোড়ে দুয়া করলো। হৃদয়ের সকল আকুতি, সকল মিনতি সহকারে তারা আল্লাহকে বললো,

'হে আমাদের পালনকর্তা! আপনার অবারিত রহমত থেকে আমাদের রহমত দান করুন, এবং আমাদের কাজটাকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করে দিন'- সূরা আল-কাহাফ, আয়াত- ১০

যে ঘোরতর বিপদের মুখে তারা দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে তাদের বাঁচাবার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কারো নেই। এই দৃঢ় বিশ্বাস তাদের অন্তরে বদ্ধমূল ছিলো বলেই তারা সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় সাহায্য চেয়ে হাত উঠাতে পেরেছিলো।

চরম দুঃসময়ে, যখন চারদিকে অন্ধকার ছাড়া আর কোনকিছুই দৃশ্যমান নয়, যখন শত্রুর নিঃশ্বাস একেবারে ঘাঁড়ের ওপরে, যখন দ্বীনের ওপর অটল থাকাটা জীবন-মরণের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়— এমন অবস্থাতেও এক আল্লাহর ওপর ঈমান ধরে রেখে, দুনিয়ার কারো কাছে ধর্ণা না দিয়ে, কারো মতের সাথে 'কম্প্রোমাইজ' না করে কেবলমাত্র আল্লাহর ওপরেই ভরসা রাখতে পারাটা নিঃসন্দেহে খুবই উঁচু স্তরের তাওয়াক্কুলের পরিচয় বহন করে। তাওয়াক্কুলের এমন স্তরে উন্নীত হতে পেরেছিলো বলেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা তাদের দুয়া কবুল করেছিলেন। তাদেরকে দয়া করেছিলেন এবং হেফাযত করেছিলেন তাদের ঈমান।

তিনি তাদের এক সুদীর্ঘকালের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দেন। যখন তাদের ঘুম ভাঙলো, তারা অবাক বিস্ময়ে জানতে পারে— যে অত্যাচারী সম্প্রদায়ের হাত থেকে বাঁচতে তারা একদা গুহায় ঢুকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছিলো, সেই অত্যাচারী সম্প্রদায় বহু আগেই গত হয়েছে! দুনিয়ায় আর তাদের কোন চিহ্নই অবশিষ্ট নেই! ঈমান থেকে বিচ্যুত না হওয়ায় একদা যেভাবে তাদের প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দিয়েছিলো, সেই দুঃসময় এক ঝটিকা স্বপ্নের ভেতরেই অন্তর্হিত হয়েছে।

এই যুবকদলের ঘটনা কেনোই-বা সূরা কাহাফে আসবে, তা-ও আবার একেবারে শুরুতে? কেনো প্রতি জুমা'বারে সূরা কাহাফ তিলাওয়াতের জন্য নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীষণভাবে জোর দিয়েছেন?

কারণ, যুবকদল এখনও আমাদের জীবনে ভীষণরকম প্রাসঙ্গিক।

দ্বীন পালন করতে গিয়ে এখনও আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হই। চারপাশের এতো এতো বক্রতা, এতো বিদ্বেষ, এতো ভুল আর ভ্রান্তির ভেতর মাঝে মাঝে আমরা সত্যিই হাঁপিয়ে উঠি। মনে হয়— এই বুঝি হাল ছেড়ে দিতে হবে! এই বুঝি আর পারলাম না!

দাঁড়ি রাখতে গিয়ে ছেলেটা ক্যাম্পাসে জঙ্গি ট্যাগ খেলো। তাকে বলা হলো মৌলবাদী! ভয় আর ঘৃণায় সহপাঠীরা তার সাথে মিশতে চায় না।

যে মেয়েটা পর্দা আর হিজাবে আবৃত করে নিলো নিজেকে, ডিপার্টমেন্টের ভাইবা বোর্ডে তাকে করা হলো ভীষণরকম নাজেহাল! পশ্চাদপদ, ক্ষ্যাত সহ নানাবিধ তকমা এঁটে দেওয়া হলো তার গায়ে।

ঘুষের বিনিময়ে যে সৎ অফিসারটা এক দূর্নীতিবাজের কার্যসিদ্ধিতে সহযোগি হলো না, উপরের তলায় লবিং করে তাকে ছাটাই করে দেওয়া হলো রাতারাতি, কিংবা বদলি করে দেওয়া হলো অন্যত্র।

যে মা তার সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে দেওয়ার বদলে হিফয-খানায় ভর্তি করিয়েছে, যে মেয়েটাকে হারমোনিয়াম বাজিয়ে সকালে গান শেখানোর বদলে কুরআন শেখাচ্ছেন এক মা— তার জা, তার ননদ কিংবা প্রতিবেশিনীদের কাছে তিনি খুবই আহাম্মক ধরণের মহিলা! সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে তিনি একপ্রকার অবাঞ্চিত!

এতো গেলো বাইরের বাঁধার সাতকাহন। নিজের ভেতর থেকেও কি কম বাঁধার মুখোমুখি আমরা হই?

নিজের নফসের বিরুদ্ধে যে অনবরত সংগ্রামে লিপ্ত আমরা, পাপের দুনিয়ায় আমাদের যে বারংবার অনুপ্রবেশ, তা-ও কী বাইরের বাঁধার চাইতে কোনোদিকে কম?

অবশ্যই না। নিজের নফসের কাছে যেভাবে আমরা বারংবার পরাজিত হই, যেভাবে শয়তান রোজ আমাদের দাবার গুটি বানিয়ে খেলে, তাতে বাইরের বাঁধার চাইতে ভিতরের বাঁধা আরো বেশি ভয়ানক, আরো বেশি অনতিক্রম্য আমাদের জন্য। বাইরের বাঁধাকে তা-ও তো ধৈর্য ধরে উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ভিতরের বাঁধাকে আটকাতে যে সংযমের দরকার পড়ে— তা আমাদের অর্জন হলো কই?

দ্বীন পালনে এমন বিভিন্ন বাঁধা, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে ঘুরেফিরেই আসে। মাঝে মাঝে আমরা এসবে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়ি। হাল ছেড়ে দিই কিংবা ধুঁকতে থাকি।

কিন্তু, যদি আমরা আসহাবে কাহাফের সেই যুবকদের মতোন একটা গুহা খুঁজে নিতে পারি, যে গুহায় আমরা কাকুতি-মিনতি করে কেবল আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবো, যে গুহায় চোখের জলে বুক ভাসিয়ে আল্লাহকে বলবো,

'পরওয়ারদেগার! দ্বীন পালন করতে গিয়ে আজ তাদের কাছে আমি উপেক্ষিত। তারা আমাকে এড়িয়ে চলে। আপনি তো উত্তম বন্ধু আমাদের। এদের চাইতে উত্তম সঙ্গী আপনি আমাকে জুটিয়ে দিন'।

'হে আমার রব! আপনার সন্তুষ্টির তাগিদেই আমি নিজেকে হিজাবে আবৃত করেছি। ওদের অপবাদের দুঃখ আপনি ছাড়া আর কে আছে আমার যার সমীপে আমি তুলে ধরবো?'

'মাবুদ! আপনাকে ভালোবেসে ঘুষের মতো হারাম থেকে নিজেকে দূরে রেখেছি। আজ তারা আমাকে দূর্দশায় ফেললো। কিন্তু, উত্তম বিনিময় তো অবশ্যই আপনার কাছে। আপনিই আমার উত্তম বিনিময়দাতা'।

ভাবছেন, দ্বীনে অটল অবিচল থাকার তাগিদে, আল্লাহর কাছে এভাবে চাইতে হলে কোন গুহায় গিয়ে ঠাঁই নেবেন, তাই তো?

আমি খোঁজ দিচ্ছি। আপনার ঘরের কোণে, যে নিভৃত জায়গাটা আছে, মাঝরাতে সেখানটায় জায়নামাজটা পাতুন, এরপর দাঁড়িয়ে যান আল্লাহর সামনে। খুলে বলুন আপনার মনের সকল বাসনা, সকল দুঃখ-কষ্ট যা আপনাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আপনার সকল অপ্রাপ্তি, সকল মন খারাপের গল্প তাঁর সাথেই করে ফেলুন। দেখবেন, আসহাবে কাহাফের ওই যুবকদের মতোন তিনি ঠিক-ই আপনার জন্য একটা রাস্তা বের করে দেবেন যাতে করে আপনি আপনার সমস্যাকে সবরের সাথে উতরে যেতে পারবেন।

ভেঙে পড়বেন না। কেবল, আপনার গুহাটা খুঁজে নিন।

'আমার কাহাফ ভাবনা-০১'

Address

Tongi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when E Media Tech - EMTBD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to E Media Tech - EMTBD:

Videos

Share


Other Media/News Companies in Tongi

Show All