12/05/2023
জুমুআর দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ
ফজিলতপূর্ন হাদীস।
__________________________________________
💟1️⃣জুমআর নামায প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষের জন্য জামাআত সহকারে ফরয।
💟2️⃣হে ঈমানদারগণ! যখন জুমআর দিন নামাযের জন্য আহবান করা হবে(ডাকা হয়), তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর জিকিরের জন্য অর্থাৎ সালাত এবং খুতবার জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা চিন্তা ভাবনা কর। (সুরা জুমআ আয়াত ৯)
💟3️⃣“যে ব্যক্তি জুমআর দিন (মাথা) ধৌত করে ও যথা নিয়মে গোসল করে, সকাল-সকাল ও আগে-আগে (মসজিদে যাওয়ার জন্য) প্রস্তুত হয়, কোনো প্রোকার গাড়িতে না হয়ে পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যায়, ইমামের কাছাকাছি বসে মনোযোগ সহকারে (খোতবা) শ্রবণ করে, এবং কোন অসার ক্রিয়া-কলাপ অর্থাৎ অনর্থক কোনো কথা এবং কাজ যদি না করে এবং না বলে, সে ব্যক্তির প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বৎসরের সালাত পড়ার ও (সারা বছরের) সিয়াম(রোজা)রাখার নেকী লাভ হয়!” (আহমাদ, মুসনাদ, সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ ৩৪৫) তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্)
💟4️⃣“যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহ্ফ (১৮ নং সুরা) পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তীকাল জ্যোতিময় হবে।” (নাসাঈ, সুনান, বায়হাকী,হাকেম)
💟5️⃣“জুমআর রাতে ও দিনে তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরুদ পাঠ কর। আর যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির উপর আল্লাহ ১০ বার রহ্মত বর্ষণ করবেন।” (বায়হাকী, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৪০৭নং)
💟6️⃣ “আমি ইচ্ছা করেছি যে, এক ব্যক্তিকে লোকেদের ইমামতি করতে আদেশ করে ঐ শ্রেণীর লোকেদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিই, যারা জামাতে অর্থাৎ জুমআতে হাজির হয়না।” (মুসলিম ৬৫২নং,হাকেম)
💟7️⃣“যে ব্যক্তি বিনা ওজরে তিনটি জুমুআহ ত্যাগ করবে সে ব্যক্তি মুনাফিক।” (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ, সহিহ তারগিব ৭২৬নং)
💟8️⃣“যে ব্যক্তি পরপর ৩ টি জুমুআহ ত্যাগ করল, সে অবশ্যই ইসলামকে নিজের পিছনে ফেলে দিল।” (ঐ, সহিহ তারগিব৭৩২নং)
💟9️⃣কোন অমুসলিম দেশে পড়াশোনা বা চাকরী করতে গিয়ে সেখানে মসজিদ না থাকলে বা যথেষ্ট সংখ্যক মুসলিম না থাকলেও ৩ জনেই যে কোন রুমে জুমুআহ কায়েম হবে। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৫/৮৫)
💟🔟নামাযীর জন্য যথাসম্ভব ইমামের নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করা কর্তব্য। মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা আল্লাহর যিকরে অর্থাৎ সালাত এবং খুতবায় উপস্থিত হও এবং ইমামের নিকটবর্তী হও। আর মানুষ ঈমামের কাছ থেকে দূর হতে থাকলে জান্নাতে প্রবেশেও দেরী হবে তার; যদিও সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (আবূদাঊদ, সুনান ১১০৮নং)
💟1️⃣1️⃣খুতবা চলাকালে মসজিদে উপস্থিত ব্যক্তির জন্য নামায নিষিদ্ধ। কিন্তু এই সময়ে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে তার জন্য হালকা করে ২ রাকআত নামায পড়া বাধ্যতামূলক। যেমন কাউকে নামায না পড়ে বসতে দেখলে খতীবের উচিৎ তাকে ঐ নামায পড়তে আদেশ করা। খুতবা শোনা ওয়াজেব হলেও এ নামাযের গুরুত্ব দিয়েছেন মহানবী (সাঃ)। একদা খুতবা চলাকালে এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বসে পড়লে তিনি তাকে বললেন, “তুমি নামায পড়েছ কি?” লোকটা বলল, না। তিনি বললেন, “ওঠ এবং হাল্কা করে ২ রাকআত পড়ে নাও।” (বুখারী ৯৩০, মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান ১১১৫-১১১৬, তিরমিযী, সুনান ৫১০নং)
💟 1️⃣2️⃣অতঃপর তিনি সকলের জন্য চিরস্থায়ী একটি বিধান দেওয়ার উদ্দেশ্যে লোকেদেরকে সম্বোধন করে বললেন, “তোমাদের কেউ যখন ইমামের খুতবা দেওয়া কালীন সময়ে উপস্থিত হয়, সে যেন (সংক্ষেপে) ২ রাকআত নামায পড়ে নেয়।” (বুখারী, ১১৭০, মুসলিম, সহীহ ৮৭৫, আবূদাঊদ, সুনান ১১১৭নং)
💟1️⃣3️⃣“জুমআর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কথা বললে তুমি অনর্থ কর্ম করলে এবং (জুমুআহ) বাতিল করলে।” (ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, সহিহ তারগিব ৭১৬ নং)
💟1️⃣4️⃣“যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করল, তার স্ত্রীর সুগন্ধি (আতর) থাকলে তা ব্যবহার করল, উত্তম লেবাস পরিধান করল, অতঃপর (মসজিদে এসে) লোকেদের কাতার চিরে (আগে অতিক্রম) করল না এবং ইমামের উপদেশ দানকালে কোন বাজে কর্ম করল না, সে ব্যক্তির জন্য তা উভয় জুমআর মধ্যবর্তী কৃত পাপের কাফফারা হয়ে যাবে।
আর যে ব্যক্তি অনর্থক কর্ম করল এবং লোকদের কাতার চিরে সামনে অতিক্রম করল, সে ব্যক্তির জুমুআহ যোহরে পরিণত হয়ে যাবে।” (আবূদাঊদ, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্, সহীহ, সহিহ তারগিব ৭২০নং)
💟1️⃣5️⃣ “যে মুসলিম জুমআর দিন অথবা রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করেন।” (আহমাদ, মুসনাদ, তিরমিযী, সুনান, জামে ৫৭৭৩)
💟1️⃣6️⃣“যে ব্যক্তি জুমআর দিন নাপাকীর গোসলের মত গোসল করল। অতঃপর প্রথম সময়ে (মসজিদে গিয়ে) উপস্থিত হল, সে যেন এক উষ্ট্রী কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় সময়ে উপস্থিত হল, সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় সময়ে পৌঁছল, সে যেন একটি শিং-বিশিষ্ট মেষ কুরবানী করল। যে ব্যক্তি চতুর্থ সময়ে পৌঁছল, সে যেন একটি মুরগী দান করল। আর যে ব্যক্তি পঞ্চম সময়ে পৌঁছল, সে যেন একটি ডিম দান করল। অতঃপর যখন ইমাম (খুতবাদানের জন্য) বের হয়ে যান (মিম্বরে চড়েন), তখন ফিরিশ্তাগণ (হাজরী খাতা গুটিয়ে) যিক্র (খুতবা) শুনতে উপস্থিত হন।” (মালেক, মুঅত্তা, বুখারী ৮৮১, মুসলিম, সহীহ ৮৫০, আবূদাঊদ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, নাসাঈ, সুনান)
💟1️⃣7️⃣‘হে মুসলমানগণ! জুম‘আর দিনকে আল্লাহ তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন (جَعَلَهُ اللهُ عِيْدًا)। তোমরা এদিন মিসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি লাগাও’।
(মুওয়াত্ত্বা, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৯৮)
💟1️⃣8️⃣‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন গোসল করে সুগন্ধি মেখে মসজিদে এল ও সাধ্যমত নফল ছালাত আদায় করল। অতঃপর চুপচাপ ইমামের খুৎবা শ্রবণ করল ও জামা‘আতে ছালাত আদায় করল, তার পরবর্তী জুম‘আ পর্যন্ত এবং আরও তিনদিনের গোনাহ মাফ করা হয়’।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮১-৮২,)
💟1️⃣9️⃣খুৎবার সময় মুছল্লীদের তিনমাথা হয়ে (الْحَبْوَة) অর্থাৎ দু’পা উঁচু করে দু’হাটুতে মাথা রেখে বসা নিষেধ।
(তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৩)
💟2️⃣0️⃣পিছনে এসে সামনের মুছল্লীদের ডিঙিয়ে যাওয়া উচিৎ নয়। বরং সেখানেই বসে পড়বে।
(আবুদাঊদ হা/১১১৮)।
সংগৃহীত ______
জুমআর ব্যাপারে ফযিলতপুর্ন কিছু হাদিস।
"""""/ বিস্তারিত উপরে /"''""