25/12/2024
ইউটিউব ফেইসবুক স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় অপপ্রচারে আত্মপক্ষ সমর্থন করার আগে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কারণ জানতে হবে
২০০৭ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর উখিয়া টেকনাফের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ দুই পরিবারের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। দেশের প্রধান তিনটি দলের উখিয়া-টেকনাফের নেতৃত্ব ওই দুই পরিবারের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। যেই দলই ক্ষমতায় আসুক ওই দুই পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতা ভোগ করবে। এই দুই পরিবার তিনটি দলের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দুই পরিবারের বাইরের কোন নেতৃত্ব গড়ে উঠতে দেবে না। টেকনাফকে নেতৃত্ব শূন্য রাখা তাদের মূল উদ্দেশ্য।
আমি সেই দুই পরিবারের কেউ নই। আমি পারিবারিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে অবদান রাখার মধ্য দিয়ে দলের কর্মী সমর্থকরা আমাকে বর্তমান অবস্থায় এনেছে। আমার পিতা আমৃত্যু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। আমরা তিন ভাই একই রাজনীতিঅতে বিশ্বাসী। দলের সু-দিন কিংবা দুর্দিনে শতশত মামলা- মোকাদ্দমা, জেল-জুলুম সহ্য করে আমরা কখনোই দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি, দল বদলাইনি, কারো সাথে আপোষ করিনি হাজারও প্রতিকূলতার মাঝে।
২০০৯ ও ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ওই দুই পরিবারের ষড়যন্ত্রে আমি হেরে গেলে ও আমার প্রাণপ্রিয় দলকে হারতে দেইনি। দলের আপামর কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রতিবাদের ধারা অদ্যাবধি অব্যাহত রেখেছি। ১৭ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামে আমি আমার সবচেয়ে বড় অর্জন আমি আমার সাত বছরের শিশু পুত্রকে হারিয়েছি। আমার ৭০ উর্ধ্ব পিতাকে নির্যাতন করে ষ্টোক করে পঙ্গু অবসহায় মৃত্যু বরণ করে। বদি ও জাফর গং আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়ি ঘরে বারংবার হামলা করেছে যা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর সারা দেশের আওয়ামীলীগ পালিয়ে গেলেও কিন্তু টেকনাফের আওয়ামী লীগ দুই পরিবারের নেতৃত্বাধীন দুটি দলে মিশে গেছে। আমরা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। যার প্রমাণ সংবাদ সম্মেলন, প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিলসহ যা স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আমার বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক মিথ্যা মামলা হয়েছে। ৩০টি মামলায় আইনি প্রতিদ্বন্দিতা করে খালাস পেয়েছি। বাকি মামলাগুলো এখনো বিচারাধীন। তথাকথিত সাংবাদিক নামধারী ইউটিউবার পেইসবুকার স্থানীয় সাংবাদিক ভায়েরা এসব তথ্য যাচাই-বাছাই না করে আমাকে বদির সাথে তুলনা করে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি করে। যে বদির বিরুদ্ধে আমি ১৬বছর সংগ্রাম করে একদিনের জন্য ও টেকনাফ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। সে বদি জাফর ও তার দূসরদের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদেরকে জেলে পাঠিয়েছি অথচ, যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার কারী তারা থানায়, আদালতে ও প্রশাসনে একটি পক্ষ। তাদের অবৈধ ব্যাবসা বাণিজ্য টাকার পয়সার লোভে আত্মীয়তার সম্পর্ক দেখিয়ে দলে পদ পদবি দিয়ে টেকনাফ বিএনপিতে বিভক্তি সৃষ্টি করে ফ্যাসিস্টদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার শত্রু পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ ও প্রতিবেদনটি ছড়িয়ে দেয়। মূল মামলা চলাকালীন তত্ত্ব গোপন করে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা আদালত অবমাননার শামিল।
ইসমাইল ভাইয়ের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন বিরোধ নেই। প্রতিবেদনে যে জমির কথা বলা হয়েছে তা ইসমাইল ভাইয়ের মা ও বাবার নামে কেনা। উনারা জমি কিনেছেন ১৯৮৪ সালে। আর আমি জমি কিনেছি ২০১১ সালে।
তাদের দলিলের দাতা, জমির দাগ ও খতিয়ান সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি তাদের কাছ থেকে জমি কিনি নাই। আমার দলিলের দাতা, দাগ ও খতিয়ান আলাদা। তারা তাদের দলিল মতে দিয়ারা খতিয়ান না করে আমার দখলের জমি নিয়ে দিয়ারা খতিয়ান করে। বিষয়টি জানার সাথে সাথেই আমি বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে মামলা করেছি। দেওয়ানী আদালতে হাজির হয়ে ইসমাইল ভাইয়েরা জবাব দেয়। সে মামলায় উনারা পরাজিত হবেন বুঝতে পেরেই আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করেন। এই ফৌজদারী মামলার বিরুদ্ধে আমি মহামান্য হাইকোর্টে দরখাস্ত করলে তাদের ফৌজদারী মামলার কার্যক্রম স্টে হয়ে যায়।
সাংবাদিক নূর হোসেন এর বসত গৃহে ভাঙচুরের কথা বলা হয়েছে। এই ভাঙচুরের সাথে আমি কিভাবে সম্পৃক্ত তা আমি বুঝতে পারিনি। প্রতিবেদক তাঁর বক্তব্য নেন নি। বক্তব্যে সে আমি ও আমার পরিবার জড়িত নাই মর্মে স্ট্যাটমেন্ট দেয় এখানে ওসমানের কথা বলা হয়েছে ওসমান সেই বিষয়ে মিথ্যা সংবাদ মর্মে স্ট্যাটমেন্ট দেয়। আমার বাবা আলহাজ্ব আলী আহমদ সাবেক চেয়ারম্যান অবিভক্ত টেকনাফ পৌরসভা ও সদরের চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার ছোট ভাই জিয়াউর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। উখিয়া টেকনাফের রাজনৈতিক দস্যু পরিবার জিয়াউর রহমানকে পরাজিত করার জন্য দলে তাদের সমর্থিত নেতা কর্মীদের ব্যবহার করে বিয়াই ও আত্মিয়তার ছেলে টেকনাফ উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতিকে সেই নির্বাচনে মাত্র ৩৪ ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে বহু নাটকীয়তায় গভীর রাতে জিয়াকে হারানো হয়। পরবর্তী নির্বাচনে দলীয়ভাবে মার্কা না দিলেও সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেই শ্রমিক লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী ২জনকেই প্রথম ধাপের নির্বাচনে পরাজিত করে।
৫ আগস্টের পর টেকনাফ স্টেশন থেকে মুক্তিকামী জনতা চাঁদাবাজদের বিতাড়িত করেছে। চাঁদাবাজরা আর কখনো ফিরে আসতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। আমার নামে কেউ চাঁদাবাজি করে থাকলে সাথে সাথে তাকে ধরুন। চাঁদাবাজ যেই নামেই আসুক তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দিন।
আমি একজন নির্যাতিত জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতিক কর্মী। উখিয়া টেকনাফের মাটি-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ঘাটি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ঘাটি, দেশ নায়ক তারেক রহমানের ঘাটি। উখিয়া-টেকনাফের রাজনৈতিক দস্যু দুই পরিবারের ষড়যন্ত্রে আমরা পিছপা হবো না; বিভ্রান্ত হবো না।
আল্লাহ হাফেজ।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
কোষাধ্যক্ষ
কক্সবাজার জেলা বিএনপি