31/03/2023
ব্যাকগ্রাউন্ড ঘোলা করে ছবি তোলার জন্যই প্রথম ডিএসএলআর কিনেছিলাম।
শুরু থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল যে আমি বিবিএ-তে পড়াশুনা করবো। ফার্স্ট সেমিস্টারে থাকতে সবাই যখন নীলক্ষেত থেকে বই কেনে আমি তখন সবগুলা বই অরিজিনাল কিনেছিলাম নিউমার্কেট থেকে। যখন সেই বইগুলা আমি পড়তাম মনে হতো যেন ম্যাগাজিন পড়ছি। অথচ পড়াশুনার ব্যাপারে এত আগ্রহ যে শুরু থেকেই ছিল ব্যাপারটা কিন্তু তেমন না।
আমার জন্ম এবং বেড়ে উঠা টাংগাইলেই। অল্প সময়ের প্রস্তুতিতেই ক্লাস সিক্সে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় চান্স পেয়ে আমার কনফিডেন্স উঠে যায় অন্য লেভেলে, আমি তো না পড়েই পারি। ফলাফল স্বরূপ প্রথম সাময়িকে ৫ সাবজেক্ট, দ্বিতীয় সাময়িকে ৩ সাবজেক্ট আর ফাইনালে ২ সাবজেক্টে ফেল। অগত্যা, নট প্রমোটেড হয়ে আবার থেকে গেলাম ক্লাস সিক্সে। যদিও তারপর থেকে পড়াশুনায় ভালোভাবেই ফিরি। আমার স্কুল জিবনে সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত ছিল স্কাউটিং করা। স্কাউটিং করতে যেয়ে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে, শেখার সুযোগ হয়েছে অনেক। প্রেসিডেন্ট স্কাউট এওয়ার্ডের শেষ ধাপে এসে মৌচাক ক্যাম্পে অংশ নিয়েও অধরা রয়ে গেছে সেই কাঙ্ক্ষিত এওয়ার্ড। আক্ষেপ নেই তবে স্কুলের পরে জিবনের প্রতিটা ধাপে আমি মনে করি আমার স্কাউটিং সময়টাকে।
ক্যাম্পাসের শুরুর দিকে, সময়টা তখন ২০১১-১২, ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপের তখন ফটোগ্রাফির বেশ ভালো চর্চা হয়। কেউ হয়তো বিশ্বাস করবে না, শুধুমাত্র ব্যাকগ্রাউন্ড ঘোলা করে ছবি তোলার জন্যই আমি ডিএসএলআর কিনেছিলাম। ক্যামেরা তো কেনা হল এরপর কতই চেষ্টা করি ব্যাকগ্রাউন্ড আর ঘোলা করতে পারি না। এরপর টাংগাইলেই দিনব্যাপী ওয়ার্কশপে অংশ নেই আর সেখান থেকেই ফটোগ্রাফির বেসিক হাতেখড়ি। ইউনিভার্সিটির শেষ সেমিস্টারে এসে আমাদের ইন্টার্নশীপ করতে হয়। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, একটা ভুগিচুগি ইন্টার্নশীপ রিপোর্ট করে জমা দিয়ে দিব আর এই সময়ে ভর্তি হই পাঠাশালায় ফটোগ্রাফির ফান্ডামেন্টাল কোর্সে। কোর্স শেষ করলাম এরমধ্যে ইন্টার্নশীপ এর সময়ও শেষ। রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে, ওয়ান ফাইন মর্নিং আমার মনে হলো আমি নিজের সাথেই নিজে প্রতারনা করতেছি। বিবিএ করবো এইটা আমার স্বপ্ন ছিল অথচ আমার পুরো ডিগ্রীটা একটা ফেইক রিপোর্টের উপর থাকবে তা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিপার্ট্মেন্টে চেয়ারম্যানের কাছে সরল স্বীকারোক্তি দিলাম। শেষমেশ, আমাকে এখানেও আবার নতুন করে ইন্টার্ন করে, রিপোর্ট লিখে পরের ব্যাচের সাথে পাশ করতে হলো। এজন্যই আমি নিজের ব্যাচের সাথে দ্বিতীয় কনভোকেশনে অংশ নিতে পারিনি। অবশ্য, এবছর কনভোকেশনে অংশ নিয়েছি বউ-ছেলে সহ।
যখন থেকেই ক্যামেরা কিনেছি তখন থেকেই অনলাইনে নামকরা ফটোগ্রাফারদের ফলো করি, ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখি। ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার পারসেপসন বদলে দেয় শামীম শরীফ সুষম নামে এয়ারফোর্সের অফিসার। কখোনো হেলিকপ্টার কখনো ড্রোনে তোলা ছবি তিনি প্রতিনিয়তই শেয়ার করতেন। উপর থেকে দেখতে দেশটা এত সুন্দর সেটা তখনই বুঝলাম। আমার কাছে ফটোগ্রাফির নতুন একটা পয়েন্ট অফ ভিউ তৈরী হয় তখন। সেই শুরু করলাম এরিয়েল ফটোগ্রাফি।
ড্রোন হাতে বেশ কিছু কমার্শিয়াল প্রজেক্টে কাজ করেছি, সাথে বেশ কিছু ভাই-ব্রাদারদের প্রজেক্টও করেছি। টাংগাইল আমার জন্মস্থান হওয়ায় এর প্রতি টান সবসময়ই বেশি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা থাকে আরও নতুন করে এই শহরকে তুলে আনা। আর এই শহরেই আমার স্কুল আর ইউনিভার্সিটি। যখনই সুযোগ পাই এই দুই প্রতিষ্ঠানের ছবি তোলার চেষ্টা করি নতুন উপায়ে। ক্যাম্পাসটাকে আমি প্রায়ই নতুন দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করি, দেখাতে চেষ্টা করছি। ক্যাম্পাসের ক্যালেন্ডার, ওয়েবসাইট সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় আমার তোলা ছবি স্থান পায় এটা আমার জন্য সম্মানের, আবেগের।
ব্যবসা আমার প্রফেশন আর ফটোগ্রাফি আমার প্যাশন। এখনো আমি সারাদিনের কাজ শেষ করে এসে রাতে অন্তত ১ ঘন্টা অনলাইনে পড়াশুনা করি ফটোগ্রাফি নিয়ে। তামাকের ব্যাবসা করি বলে বন্ধু-বান্ধব ভাই-ব্রাদার অনেকেই আমাকে জর্দা জাকির বলে ডাকে তবে ফটোগ্রাফি উৎসাহী হিসেবেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
I bought a DSLR just for blurring the background
My dream was to study BBA. In the first semester when everyone used to buy books from Nilkhet, I bought all the original books from Newmarket. When I read those books, it was like reading a magazine. However, there was so much interest in studies that it was from the beginning, but it was not like that.
I was born and brought up in Tangail. In a short time of preparation, my confidence rose to another level when I got a chance in the admission test of Bindubasini Government Boys High School in class six, I could not fail. As a result, 5 subjects failed in the first period, 3 subjects in the second period and 2 subjects in the final. Of course, I was not promoted and remained in class six again. However, since then I have returned to study well.
Scouting was the best decision I made in my school life. There have been many new experiences and opportunities to learn while scouting. Coming to the final stage of the Presidential Scout Award, the coveted award remains elusive even after participating in the Mouchak Camp. No regrets but I think back to my scouting time at every step of life after school.
In the early days of the campus, around 2011-12, photography was well practiced in various groups on Facebook. No one would believe it, I bought a DSLR just for blurring the background. After buying the camera, no matter how hard I try, I couldn't blur the background. Then attended a day-long workshop in Tangail and learn the basics of photography from there and I continued. In the last semester of university, we have to do internship. I decided to submit a Bhugichugi (fake ) internship report and at this time enrolled in the Fundamentals of Photography course at Pathashala. I finished the course and the internship period is also over. Before submitting the report, one fine morning I felt like I was cheating on myself. It was my dream to do BBA but I couldn't accept that my entire degree would be based on a fake report. At that time, I made a decision and made a simple confession to the chairman of the department. Finally, I had to intern here again, write the report and pass with the next batch. That is why I could not attend the second convocation with my batch. However, this year I participated in the convocation with my wife and son.
Ever since I bought the camera, I follow famous photographers online, watch tutorials on YouTube. An Air Force officer named Shamim Sharif Sushomo changed my perception about photography. Sometimes he used to share pictures taken by helicopter or drone. I realized that the country is so beautiful from above. A new point of view of photography was created for me. I started aerial photography.
I worked on several commercial projects with drones, along with several brother projects. Tangail, being my birthplace has always had a strong attraction towards it. There is a constant effort to bring this city up again. And my school and university are in this city. Whenever I get a chance, I try to photograph these two institutions in new ways. I often try to see the campus in a new way, trying to show it. It is an honor and a passion for me to have my photos featured in campus calendars, websites and many more.
Business is my profession and photography is my passion. Even now, I study photography online for at least 1 hour at night after finishing my day's work. Many of my friends and brothers call me Jorda Jakir because I do to***co business, but I feel more comfortable as a photography enthusiast.
Khandakar Jakir Hossain
Department of Business Administration
2010-11