Amader kotha

Amader kotha ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও জনগণের পক্ষে ❝আম?

জাতীয় ছাত্রদলের পৃষ্টপোষক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনাসভাজাতীয় ছাত্রদলের প্রধান পৃষ্টপোষক মজলু...
18/11/2024

জাতীয় ছাত্রদলের পৃষ্টপোষক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনাসভা

জাতীয় ছাত্রদলের প্রধান পৃষ্টপোষক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ১৭ নভেম্বর’২৪ সন্ধ্যা ৬ টায় সুরমা মার্কেটস্থ এনডিএফ কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তুখোর আরেং এর সভাপতিত্বে ও শুভ আজাদ শান্ত’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক সায়মন কবির (বন্ধন), সদস্য সোলেমান ইসলাম, রুহেল আহমদ।

নেতৃবৃন্দ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি রাজনীতি করেছেন সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ তথা কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ঔপনিবেশিক শাসন শোষণ অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। গত ৫ আগস্ট দেশে একটি রক্তক্ষয়ী পরিস্তিতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতার হাতবদল হয়। সাম্রাজ্যবাদের এক দালালের পরিবর্তে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় আরেক দালাল। ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও স্বৈরাচারী রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার, সংবিধানসহ স্বৈরাচারের প্রতিটি প্রতিষ্টান এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের নামে ক্ষমতাসীন হয়েছে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের আরেক দালাল ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার উপদেষ্টা পরিষদ। দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী, চাকরি ছাঁটাই, বেকারত্ব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। শ্রমিকের কাজের নিশ্চয়তা নেই। কৃষকের কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয়নি। এসকল বিষয় থেকে দৃষ্টি সরাতে নেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের স্টান্টবাজি।

শিক্ষা শেষে চাকরি নেই, উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা যখন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া, ১৬ বছরের স্বৈরাচারী দমন-পীড়ন দুর্নীতি, লুটপাট এবং অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বে জন-জীবন যখন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তৈরি হয়েছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই তা থেকে মুক্তি পেতে সরকার পতনের আন্দোলনে জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীদের দিয়ে বলানো হয় অনেক চমকপ্রদ কথা! স্বৈরাচার থাকবে না, বৈষম্য থাকবে না, দুর্নীতি হবেনা, চাঁদাবাজি হবেনা ইত্যাদি ইত্যাদি বলা হলেও বাস্তবে দেশের শ্রমিক-কৃষক, ছাত্র জনতা যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। সেই লর্ড মেকেলের আমলের বৃটিশদের কেরানী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, শিক্ষা শেষে চাকুরীর নিশ্চয়তার পরিবর্তে বিভিন্ন এনজিও মার্কা ফর্মুলা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ন্যায় রাষ্ট্রীয় পেটুয়া বাহিনীর গুলির শিকার হচ্ছে শ্রমিকরা।
নেতৃবৃন্দ সাম্রাজ্যবাদের দালাল স্বৈরাচারী রাষ্ট্রযন্ত্রের বর্তমান উলঙ্গ প্রকাশের বিপরীতে জাতীয় মুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করে ছাত্র আন্দোলনকে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে ছাত্র সমাজের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান এবং শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ, শিক্ষাঙ্গনে শাসক-শোষকগোষ্ঠীর পরিকল্পিত সন্ত্রাস ও বিভেদ সৃষ্ঠিকারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে সচেতন করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অগ্রসর করা আহবান জানান।

17/11/2024

Hundreds of tea workers took to the streets of Sylhet on Friday, demanding the immediate payment of unpaid wages and rations.

17/11/2024

Workers alleged that they have been deprived of wages and rations for nearly three months, pushing their families to the brink of desperation

17/11/2024

Hundreds of tea workers took to the streets of Sylhet on Friday, demanding the immediate payment of unpaid wages and rations. Organised by the Sylhet District branch of the Bangladesh Trade Union Centre, the protest march highlighted the dire financial and humanitarian crisis faced by thousands of

17/11/2024

Hundreds of tea workers took to the streets of Sylhet on Friday, demanding immediate payment of unpaid wages and rations.The protest, organized by the Sylhet District branch of the Bangladesh Trade Union Centre, underscored the severe financial and humanitarian crisis facing thousands of tea estate....

17/11/2024

সিলেটে বকেয়া বেতন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চা শ্রমিকরা। সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা ব...

17/11/2024

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের দিনব্যাপী সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা শুক্রবার বিস্তারিত

17/11/2024

সিলেটে আজ শুক্রবার শত শত চা শ্রমিক বকেয়া বেতন ও রেশন পরিশোধের দাবিতে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। বাংলাদেশ ট্রেড ই.....

17/11/2024

Hundreds of tea workers took to the streets in Sylhet yesterday, demanding immediate payment of unpaid wages and rations.

17/11/2024

দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস ধরে সরকারি মালিকানাধীন এনটিসির ১২টি বাগানের প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক মজুরি-রেশন না পেয়ে মানবেতর জ.....

17/11/2024

সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানীর (এনটিসি) ১২ টি চা-বাগানসহ সকল চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-রেশন অবিলম্বে পর.....

17/11/2024

সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা-বাগানসহ সকল চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-রেশন অবিলম্বে পরি...

17/11/2024

সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা বাগানসহ সব চা শ্রমিকের বকেয়া মজুরি ও রেশন পরিশোধ এবং পি....

17/11/2024

সরকারি মালিকানার ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) ১২টি চা-বাগানসহ সকল চা-শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি-রেশন অবিলম্বে পরিশো...

গণস্বাক্ষরসহ শ্রম উপদেষ্টা বরাবর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি প্রদান অবিলম্বে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে হোটেল সে...
13/11/2024

গণস্বাক্ষরসহ শ্রম উপদেষ্টা বরাবর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের স্মারকলিপি প্রদান

অবিলম্বে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক, সাপ্তাহিক ছুটি প্রদানসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন, শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সকল কালো আইন বাতিল ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন এবং স্বল্পমূল্যে সর্বাত্মক রেশনিং চালুর দাবিতে ১৩ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের সময় জালালাবাদ পার্কের সামনে জমায়েত হয়ে সিলেট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর শ্রমিকদের গণস্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি প্রদান করে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং চট্ট-১৯৩৩)।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে জালালাবাদ পার্কে সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া এবং সভা পরিচালনা করেন সহ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমেদ ভূঁইয়া, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন, জিন্দাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সেহান, জালালাবাদ থানা কমিটির প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহিম।
স্মারলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট-মিষ্টি-বেকারী সেক্টর বাংলাদেশে অন্যতম একটি শ্রম সেক্টর। অথচ এ সেক্টরে বাংলাদেশ শ্রম আইন প্রতিপালিত হচ্ছে না। সিলেট জেলায় দীর্ঘদিন ধরে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সেক্টরে শ্রম আইন কার্যকর করার দাবি জানালেও মালিকরা তা বাস্তবায়ন করছে না। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৫-ধারায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬-ধারায় সার্ভিস বই, ২৬-ধারায় চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, ১০৩-ধারায় সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি, ১০৮-ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, ১১৫-ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬-ধারায় ১৪ দিন অসুস্থতাজনিত ছুটি, ১১৭-ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১৮-ধারায় ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও হোটেল শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ সকল আইনী অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নের জন্য হোটেল-রেঁস্তোরা মালিক সমিতি, সরকারের শ্রম দপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ইউনিয়নের পক্ষ হতে একাধিবার চিঠি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে বিগত সময়ের কোন সরকারই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। শ্রমিকদের কাছে প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র না থাকায় প্রায়সময়ই রাস্তাঘাটে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে শ্রমিকরা নিজেদের কর্ম পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারায় অনেককে মিথ্যা-মামলা ও জেলহাজত পর্যন্ত খাটতে হয়।
আরও উল্লেখ করেন, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে। প্রায় সহ¯্রাধিক ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-জনগণের লাশের বিনিময়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকারের কাছে সঙ্গতকারণেই শ্রমিকদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় দলীয় বিবেচনায় অন্যান্য মজুরি বোর্ডগুলির মত হোটেল সেক্টরের মজুরি বোর্ডও গঠন করা হয়। অথচ বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে যাকে মনোনীত করা হয়েছে তিনি হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের সমস্যা তুলে ধরতে যেমন কোনভাবেই যোগ্য নয়, একই সাথে মালিকদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে যোগ্যতম প্রতিনিধি নিয়ে মজুরিবোর্ড পুনর্গঠন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরপরই হোটেল সেক্টরের একমাত্র সক্রিয় ফেডারেশন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় বরাবর পত্র প্রেরণ করে। তথাপি দলীয় বিবেচনায় গঠিত পূর্বের বোর্ড অব্যাহত রেখে মজুরিবোর্ড কার্যক্রম অগ্রসর করছে। আমরা বর্তমান বাজারদরের সাথে সঙ্গতিরেখে হোটেল সেক্টরে নি¤œতম মজুরির দাবি জানানো হয়।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে হোটেল সেক্টরে নি¤œতম মজুরি ঘোষণা হলেও অদ্যাবধি আর কোন নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করা হয় নি। অথচ প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলেও সে অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি না হওয়ায় অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষের মত হোটেল শ্রমিকরা নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সেক্টরে প্রায় ৩০-৩৫ লাখ কর্মরত শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এদের উপর তাদের পরিবারসমূহের জীবন-জীবিকাও নির্বাহ করে। ফলে দেশের এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও জাতীয় জীবনে গভীর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাছাড়া সারা বিশে^ পণ্যখাতের চেয়ে সেবা খাতে বিনিয়োগ বেশি আকর্ষিত হওয়ায় বাংলাদেশের হোটেল রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন খাত বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এ প্রেক্ষিতে সিলেট অঞ্চল পর্যটন খাতের পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। অথচ এ অঞ্চলের হোটেল রেস্টুরেন্ট সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা শ্রম আইনের সুবিধা হতে বঞ্চিত হলে এবং এ সেক্টরে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ তৈরি করতে না পারলে এ সেক্টর বিনিয়োগের অগ্রাধিকার থেকে ছিটকে পড়ার আশংকা রয়েছে। তাই জাতীয় অর্থনীতি ও জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিবেচনা থেকেও হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদান তথা শ্রম আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করা অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষিতে শ্রম উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ ও উদ্যোগ প্রত্যাশা করে শ্রমআইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, সাপ্তাহিক ছুটি প্রদানসহ শ্রমআইন বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে নি¤েœাক্ত দাবি সমূহ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়।
(১) বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ৫ ধারা অনুযায়ী সকল হোটেল -রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে।
(২) বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ১০৩ ধারা অনুযায়ী সকল হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিককে সাপ্তাহিক দেড় দিন ছুটি প্রদান করতে হবে।
(৩) বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ১০০ ধারা অনুযায়ী সকল হোটেল-রেস্টুরেন্টে দৈনিক ৮ ঘন্টা কর্মদিবস এবং ১০৮ ধারা অনুযায়ী অতিরিক্ত কাজে দ্বিগুণ মজুরি নিশ্চিত করতে হবে
(৪) বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ২(২ক) ধারা অনুযায়ী সকল হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিককে প্রতিবছর দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবে উৎসব ভাতা প্রদান এবং ১১৮ ধারা অনুযায়ী বছরে ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদান করতে হবে।
(৫) বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ১১৫ ধারা অনুযায়ী সকল হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিককে বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬ ধারা অনুয়াযী ১৪ দিন অসুস্থ্যতাজনিত ছুটি এবং ১১৭ ধারা অনুযায়ী প্রতি ১৮ দিন কাজে ১ দিন বার্ষিক ছুটি প্রদান করতে হবে।

১০৭ তম মহান রুশ বিপ্লব বার্ষিকীতে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের লাল পতাকা র‌্যালিরুশ বিপ্লব দুনিয়ার শ্রমিকশ্রেণির সামনে মু...
08/11/2024

১০৭ তম মহান রুশ বিপ্লব বার্ষিকীতে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের লাল পতাকা র‌্যালি

রুশ বিপ্লব দুনিয়ার শ্রমিকশ্রেণির সামনে মুক্তির আলোকবার্তিকা

শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে পুজিঁবাদী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এবং বাংলাদেশের মত নয়াঔপনিবেশিক-আধাসামন্তবাদী দেশগুলোতে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব জয়যুক্ত করে বিশ্ববিপ্লব তথা সমাজতন্ত্র-কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার সু-মহান লক্ষ্যে আজ পৃথিবীর সকল শোষিত মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর’২৪) ১০৭ তম মহান রুশ বিপ্লব বার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিল করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা। বিকেল ৪টায় সুরমা পয়েন্ট থেকে শুরু হওয়া লাল পতাকা র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশ করে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজল, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত), সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স’মিল শ্রমিক সংঘ (রেজি নং চট্ট-২৮৫৩) সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, বিভাগীয় কমিটির অন্যতম নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট সদর উপজেলা স’মিল শ্রমিক সংঘ (রেজি নং চট্ট-২৮৭৪) এর সভাপতি হজর আলী, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন (রাজু) সহ প্রমুখ;

বক্তারা বলেন ৭ নভেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বহারা শ্রেণীর প্রকৃত মুক্তির প্রশ্নে শ্রমিক শ্রেণীর রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের কালজয়ী বিপ্লবী তাৎপর্যপূর্ণ দিবস। এই বিপ্লবী দিবসে শ্রমিক শ্রেণীর [রাশিয়ার কমিউনিস্ট(বলশেভিক)] পার্টির নেতৃত্বে, শ্রমিক-কৃষকের মৈত্রীর ভিত্তিতে শোষণমূলক বিশ্বব্যবস্থার বিপরীতে সর্বহারা শ্রেণীর তথা শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের স্বার্থে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রাম দুনিয়া কাপানো বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে শোষণহীন সমাজের কাল্পনিক চিন্তার বিপরীতে বাস্তব ভিত্তিক রূপ প্রতিষ্ঠিত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের বলশেভিক পার্টির গঠন প্রক্রিয়া থেকে সকল রূপের সংশোধনবাদ-সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে পার্টি গড়ে উঠেছিল। আজকে ও এদেশের সংশোধনবাদীদের তৎপরতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে, শ্রমিক শ্রেণির একনায়কতœ ও মহান কমরেড স্ট্যালিনের অবদান অস্বীকার করে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ পথে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের সাথে শ্রেণি সমন্বয় করে সুবিধা ভোগ করা। এদেশের শ্রমিক শ্রেণীর লড়াই-সংগ্রামে সাম্রাজ্যবাদ ও তাঁর এদেশীয় দালাল বুর্জোয়া শ্রেণীর হাতের পুতুল শ্রমিক সংগঠন ও নেতৃত্বের বিপরীতে শ্রমিকের স্বার্থে বিপ্লবী বিকল্প ধারার ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ শ্রমিক শ্রেনী শ্রেণীগত ও পদ্ধতিগত লড়াই-সংগ্রামে আপোসহীন, ধারাবাহিক ও নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

৭১ পরবর্তী সকল সরকারের আমলেই দেশের শ্রমিক কৃষক মেহণতী মানুষ শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। ধনী-গরীবের বৈষম্য উত্তরোত্তরভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলের ন্যায় বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলেও শ্রমিকদের ন্যায় সংগত আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে স্বৈরাচারী পন্থায় রাষ্ট্রীয় পেটুয়া বাহিনী দিয়ে গার্মেন্স, চা শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে ছাত্র জনতার পাশাপাশি দেশের শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষ স্বতঃস্ফুতভাবে অংশগ্রহণ করে। নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির কথা বললেও তা শ্রমিক-কৃষক জনগণের স্বার্থের সরকার নয়।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান পুজিঁবাদী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো এক বিভস যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। যা সম্প্রতি সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্থিনী নিরীহ জনগণের উপর হামলা তা নগ্নভাবে প্রকাশ পায়। ফিলিস্তিন, ইউক্রেন, ইয়েমেন, সুদানসহ বিশ্বের দেশে দেশে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষ, নারী-শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। এটাই সাম্রাজ্যবাদের আসল রূপ। এই আক্রণাভিযানের মধ্য দিয়ে প্যালেস্টানের সমস্যাকে সাম্রাজ্যবাদী উভয়পক্ষ স্ব স্ব লক্ষ্যে কাজে লাগাতে সচেষ্ট। সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের স্বার্থ হাসিলে নয়াউপনিবেশিক আধাসামন্তবাদী দেশগুলোতে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তাদের বাজার ও প্রভাব বলয়ের নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্যালেস্টাইনে আগ্রাসন, দখলদারিত্ব, ধারাবাহিক হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী মার্কিন নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদীরা এবং তাদের স্বার্থরক্ষাকারী ইসরাইল সরকার। বিশ্বের শ্রমিক শ্রেনী ও নিপীড়িত জনগণকে রুশ বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ন্যায় যুদ্ধ গড়ে তুলতে হবে।

Address

Sylhet

Telephone

+8801990169587

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Amader kotha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Amader kotha:

Videos

Share