04/06/2021
আগেই ক্ষমা চেয়ে নিলাম লেখাটি জন্য,
সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরাই মুল উদ্দেশ্য।
🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳
বিবাহের ক্ষেত্রে আমাদের সিলেটী মেয়েদের ফার্স্ট চয়েস প্রবাসী পাত্র! যারা ইউরোপের সিটিজেন তাদের ডিমান্ড আকাশচুম্বী। বিলেতী পঞ্চাশোর্ধ কলপ নির্ভর প্রৌড়ের কাছে ১৯/২০ বছরের যুবতীকে নির্দ্বিধায় তুলে দেয় এখানকার মা বাবারা। আর যাই হোক মেয়ে সুখী থাকবে ত! যুবতীরও কোনো প্রতিবাদ থাকেনা। মাধ্যমিকে ২/১ ক্লাস পড়ে উচ্ছন্নে যাওয়া বখাটে ছেলে লন্ডনে ৩/৪ বছর রেস্টুরেন্টের থালা বাসন ধোয়ে বিয়ে করার জন্য যখন দেশে আসে তখন শত শত সুন্দরী, উচ্চশিক্ষিতা ললনার বুকের ধড়ফড়ানি বেড়ে যায়। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, অনিন্দ্যসুন্দরী মেয়ে (এবং মেয়ের অভিভাবক) ঐ লন্ডনী যুবককে আপন করে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। ইউরোপ/আমেরিকার free সোসাইটিতে টিনেজ অতিক্রম করা যুবকের চরিত্র, তার অতীত একবারও জানার প্রয়োজন বোধ করেনা লাল পাসপোর্টের মোহে আচ্ছন্ন অষ্টাদশী। ছেলের একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন না থাকলেও অসুবিধা নেই।'ইউরোপের অভিবাসী' এই একটি যোগ্যতাই সকল
অযোগ্যতাকে হারিয়ে দেয়। ব্যতিক্রম যে নেই এমন কথা নয়। তবে ৯৫ ভাগ সুন্দরী তন্বী মনে মনে ইউরোপীয়ান বর কামনা করে। ধিক্কার ঐসব মেয়েদের যারা উচ্চশিক্ষিতা হয়েও নিছক টাকার প্রাচুর্য্যের জন্যে এমন ছেলেকে জীবন সাথী বেছে নেয় যে তার নাম লিখতে কলম অর্ধেক ভেঙ্গে ফেলে। সিলেট অঞ্চলে চাকুরীজীবী বা ব্যাবসায়ী ছেলেদের খুব একটা ডিমান্ড নেই। উচ্চশিক্ষিত, স্মার্ট, ধার্মিক, ব্যক্তিত্ববান ছেলের কোনো
গুরুত্ব থাকবেনা, যদি পকেট অসুস্থ থাকে। তুমি একজন ব্যাংকার, কলেজের লেকচারার হলেও সুন্দরীদের কাছেপাত্তা পাবেনা। কারণ সুন্দরীদের মনপ্রাণ জুড়ে আছে ইউরোপের স্বপ্ন। ছোটবেলা থেকে প্রাচুর্য্যে বড় হওয়া মেয়ের ৪০/৪৫ হাজার টাকার ইনকাম মনঃপুত হবে কেন? তোমার M.Phill, Phd'র দুর্লভ সার্টিফিকেটের চেয়েও তার কাছে ডলার,
পাউন্ডের চকচকে নোট বেশিপ্রিয়। আমার স্বামী টিচার' কিংবা 'আমার স্বামী ব্যাংকার' অথবা আমার স্বামী ব্যাবসায়ী এই কথা বলার চেয়ে 'আমার স্বামী ইউরোপীয়ান' এই কথা বলতে এখানকার
মেয়েরা অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে!।।