20/08/2020
কাঠবাদাম বাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি খেতেও বেশ মজাদার। প্রতিদিন সকালের নাশতায় ৭/১০টি আলমন্ড বাদাম রাখুন। দেখবেন অনেক রোগ থেকেই মুক্তি মিলবে। কাঠবাদাম/ আলমন্ড স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়ার জন্য অত্যন্ত চমৎকার একটি খাবার। স্বাদের তুলনায় কাঠবাদাম পুষ্টিগুণেই বেশি সমৃদ্ধ। কাঠবাদামে মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। এই বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ই, ডি এবং উপকারী ফ্যাট। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে – এনার্জি ৫৭৮ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ২০ গ্রাম, আঁশ ১২ গ্রাম, ফ্যাট ৫১ গ্রাম, প্রোটিন ২২ গ্রাম, থায়ামিন ০.২৪ মিলিগ্রাম, রাইবোফ্লেভিন ০.৮ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ৪ মিলিগ্রাম, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ২৬.২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৪৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৭৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৪৭৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৭২৮ মিলিগ্রাম। এছাড়াও কাঠবাদামে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড অয়েল, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। কাঠ বাদামের উপকারিতা সীমাহীন। এটা কে ঠিক বাদাম বলা যাবে না, এটা এক ধরনের খাদ্য বীজ। ভালো মানের কাঠবাদাম পাওয়া যায় উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়াতে। কাঠ বাদাম ভিটামিন এবং মিনারেলে ভরপুর। তাছাড়া কাঠ বাদামে আছে ডায়েট ফাইবার।
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বাদাম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তস্বল্পতা দূর করে। এটি চুল ও ত্বকের জন্য ভালো। কাঠবাদামের রয়েছে অগণিত উপকারিতা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম খেলে এই উপকারগুলো পেতে সাহায্য করবে আপনাকে। চিকিৎসকরা বলেন, এক বাটি পানিতে কাঠবাদামকে রাতভর ভিজিয়ে রাখলে উপরের বাদামি খোসাটি খুব সহজে বেরিয়ে আসে। খোসা বেরিয়ে আসার পর সাদা বাদামটিকে এক সপ্তাহ রেখে খেতে পারবেন। খোসা ছাড়ানো অবস্থায় খেলে কাঠবাদাম অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে।
প্রতিদিন কেন কাঠবাদাম খাওয়া উপকারি সে কথা। আসুন জানি।
প্রয়োজনীয় উপাদান শোষণ: কাঠবাদাম শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাটের জোগান দেয়। ফলে ভিটামিন এ ও ই-এর মতো প্রয়োজনীয় ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন শোষিত হয় ও শরীরের পিএইচ মাত্রা বজায় থাকে।
বয়স বৃদ্ধি রোধ করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় ভেজা কাঠবাদাম ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং বয়স হওয়া প্রতিরোধ করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মূলত কাঠ বাদামের গায়ে যে খোসা থাকে, তা তৈরি হয় এক ধরণের উৎসেচক দিয়ে। তাই যখন কাঠ বাদাম ভেজানো হয়, তখন এর ভেতরের আদ্রতার জন্য বাদামের খোসা নরম হয়ে যায়। একইসঙ্গে মূল বাদামের অংশটিও বেশ নরম হয়ে যায়। এমন বাদাম খেলে খাবার খুব সহজে হজম হয়ে যায়। আসলে ভেজানো কাঠ বাদামে এক ধরণের উৎসেচক থাকে, যা লিপেস নামে পরিচিত। এটি খাবারে থাকা ফ্যাট এবং অন্যান্য জটিল উপাদান সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে: যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে খুব কষ্ট পান, তাদের পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। কারণ কাঠবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবারের মতো কাঠবাদামও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে কাঠবাদাম খাওয়ার সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। যেন বাদাম ভালোভাবে পরিপাক হতে পারে ও তার উপকারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। একবারে খুব বেশি কাঠবাদাম খাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন ৫-৬ টি কাঠবাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
সুত্র: ইন্টারনেট।