03/12/2024
লিটলম্যাগ নিয়ে আমার অনেক কিছুই বলবার আছে। পক্ষে-বিপক্ষে প্রশ্ন, অগ্রগতীর প্ল্যান, নতুন কিছু প্রস্তাবনা,পরামর্শ, ছোট-বড় সমালোচনা ইত্যাদি। এরই তাড়না থেকে গত বইমেলায় 'নয়া প্রভাতে'র লিটলম্যাগ আন্দোলনে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু মাইক্রোফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে অনর্গল বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বভাবজাত ভয়কে জয় করতে পারিনি। ২/৩ মিনিটের ছোট্ট যে ভিডিওটা তখন ফেইসবুকে এসেছিল—তার জন্য আমি লজ্জাই বেশি অনুভব করি।
এ বছর 'ফাউন্টেন পাবলিকেশন্স' আয়োজিত লিটলম্যাগ আন্দোলনে কিছু বলবো কি বলবো না, তা নিয়ে তুমুল দোদুল্যমানায় ভুগছিলাম। মাইক্রোফোনে কথা বলতে গিয়ে জড়তায় জড়িয়ে পরা, তালগোল পাকিয়ে ফেলা, কাজের কথা ভুলে গিয়ে আবোল তাবোল বলটা মূলত আমার অনভ্যাসজনিত ভয়ের কারণে ঘটে। তবুও আ. কাদির ফারুক ভাইকে এমন দ্বান্দিক পরিস্থিতির মধ্যে হাবুডুবু খেতে খেতেই বললাম, 'আমার নামটা জমা দিন'।
(*)
অনুষ্ঠান শুরু হলো। শেষ হলো স্বাগত বক্তব্য। এবার পর্যায়ক্রমে সম্পাদকদের নাম বক্তব্যের জন্য ঘোষনা করা হবে। আমি মাহমুদ হুজাইফা ভায়ের পাশে বসে
তখন ভাবছিলাম বক্তব্যের ভূমিকায় কী বলা যায়? বক্তব্যের মাঝে কোন পয়েন্টগুলো মূলে রাখবো এবং কীভাবে তা উপস্থাপন করবো —সে ভাবনা তখনো আরম্ভই করিনি। কেননা ভেবেছিলাম, পঞ্চাশোর্ধ্ব
পত্রিকার সম্পাদক মহোদয়দের মধ্যে আমার মতো ছোট-খাটো মানুষকে স্বাভাবিকভাবেই শেষ দিকে সিরিয়াল দেয়া হবে। এমন ভাবনার আরেকটি যৌক্তিক
কারণও ছিল। কিন্তু আমার পিলে চমকে দিয়ে উপস্থাপক সর্বপ্রথম আমার নামটিই ঘোষণা করলেন।
এরপর?
এরপরে চোখে সর্ষে ফুল দেখা, তলপেটে মোচড় দেয়া, মাথা ভনভন করা, সরেজমিনে উপস্থিত থেকেও ঘোরগ্রস্থ মহাশূণ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো যেসব লজ্জাস্কর বিষয় ঘটল তা কীভাবে বলি। সার্বিক পরিণতি গত বছরের চেয়ে ভালো হলো না। বরং গত বছরের মতো হলো কিনা তাতেই সন্দেহ।
ছবিতে— লিটলম্যাগ আন্দোলনের অতিথি লেখক,গবেষক,সম্পাদক মনযুর আহমাদ। তাঁর হাতে সরোবর তুলে দিলে তিনি মনযোগ সহকারে দেখতে থাকেন।
লিখেছেন: রিজওয়ান মুহাম্মাদ আবুজর
নির্বাহী সম্পাদক: সরোবর