Shaik Usman bin Rashid

Shaik Usman bin Rashid আকিদায় আশ'আরি, মাতুরিদী।
মাযহাব "ফিক্বহে হানাফি" অনুসারি।

ইমামে আ'যম আবূ হানীফা (রযীআল্লাহু আনহু) থেকে [হাসান সনদে] বর্ণিত। তিনি বলেন:আমি হিজরী ৯৬ সনে প্রথম হজে যাই, তখন আমার বয়...
25/12/2023

ইমামে আ'যম আবূ হানীফা (রযীআল্লাহু আনহু) থেকে [হাসান সনদে] বর্ণিত। তিনি বলেন:

আমি হিজরী ৯৬ সনে প্রথম হজে যাই, তখন আমার বয়স ১৬ বছর। সেখানে দেখলাম, একজন বুযুর্গ ব্যক্তিকে ঘিরে বহু লোক সমবেত হয়ে রয়েছেন।

আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, “এই বুযুর্গ লোকটি কে?” তিনি বললেন, “ইনি হযরত মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) এর সাহচর্য লাভ করেছেন। তার নাম আব্দুল্লাহ ইবনুল হারেছ আয-যুবায়দী।”

আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, “তাঁর কাছে কী আছে?” আমার পিতা বললেন, “তাঁর কাছে হাদীছ আছে, যা তিনি নবীজি থেকে শ্রবণ করেছেন।”

আমি আমার পিতাকে বললাম, “আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে চলুন, যাতে আমি তাঁর কাছ থেকে হাদীছ শুনতে পারি।” ফলে তিনি সামনে থেকে আমার যাওয়ার জন্য পথ করে দিতে লাগলেন। এভাবে আমি [অগ্ৰসর হয়ে] হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুল হারেছের নিকটবর্তী হলাম এবং তাঁকে বলতে শুনলাম

রসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর দীন সম্পর্কিত গভীর জ্ঞান অর্জনে আত্মনিয়োগ করে, তার সকল প্রয়োজনের জিম্মাদার স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা হয়ে যান এবং তাকে এমন সব‌ উৎস থেকে রিযিক পৌছাতে থাকেন, যা সে কখনো কল্পনাও করেনি।”

ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَلْمٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ أَبُو عَلِيٍّ مِنْ كِتَابِ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَمَاعَةَ، عَنْ أَبِي يُوسُفَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حَنِيفَةَ يَقُولُ: حَجَجْتُ مَعَ أَبِي سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ، وَلِي سِتَّةَ عَشَرَ سَنَةً، فَإِذَا أَنَا بِشَيْخٍ قَدِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ، فَقُلْتُ لِأَبِي: يَا أَبَهْ، مَنْ هَذَا الشَّيْخُ؟ قَالَ: هَذَا رَجُلٌ قَدْ صَحِبَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيُّ، فَقُلْتُ: فَأَيُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ؟ قَالَ: أَحَادِيثُ سَمِعَهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ لَهُ: قَدِّمْنِي إِلَيْهِ حَتَّى أَسْمَعَ مِنْهُ، فَتَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيَّ، فَجَعَلَ يَفُوحُ النَّاسَ حَتَّى دَنَا مِنْهُ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَفَقَّهَ فِي دِينِ اللَّهِ كَفَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ»

শায়খ যুবায়র আলী যায়ী লিখেছেনامام ابو حنیفہ رحمہ اللہ کے بارے میں یہ ثابت شدہ حقیقت ہے کہ وہ حدیثیں مانتے تھے=> ইমামে ...
25/12/2023

শায়খ যুবায়র আলী যায়ী লিখেছেন
امام ابو حنیفہ رحمہ اللہ کے بارے میں یہ ثابت شدہ حقیقت ہے کہ وہ حدیثیں مانتے تھے

=> ইমামে আ'যম আবূ হানীফা (রযীআল্লাহু আনহু) এর ব্যাপারে এটি প্রমাণিত সত্য যে, তিনি হাদীছ মানতেন।
(দীন মে তাকলীদ কা মাসয়ালা, পৃষ্ঠা নং ২১)

ইমাম, আল্লামা মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ আস-সালেহী লিখেছেনفقد ذكر الملك المعظم عيسى بن أيوب في الرد عليه في المسائل الفقهية ال...
23/12/2023

ইমাম, আল্লামা মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ আস-সালেহী লিখেছেন

فقد ذكر الملك المعظم عيسى بن أيوب في الرد عليه في المسائل الفقهية التي بني أبو حنيفة أقواله فيها على علم العربية ما إن وقفت عليه لرأيت العجب العجاب من تمكنه في هذا العلم وحسن استنباطه.

=> মালিকে মুয়াযযাম ঈসা ইবনে আইয়ুব (কাদ্দাসাল্লাহু সির্রাহু) আবূ হানীফা রহিমাহুল্লাহর শত্রুদের জবাব দিতে গিয়ে তাঁর ঐসকল ফিকহী মাসয়ালা উল্লেখ করেছেন, যেগুলোতে তিনি আরবী ভাষার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ঐ মাসয়ালাগুলো এমন যে, তুমি যদি সেগুলো দেখো, তাহলে এক অত্যাশ্চর্য বিষয় দেখতে পাবে যে, এই শাস্ত্রে তাঁর দৃঢ়তা কতটুকু এবং তাঁর উদ্ভাবন কত সুন্দর!

(উকূদুল জুমান, পৃষ্ঠা নং ১৬৭)

ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তায়ালা স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেননি। তারা গুনাহ করতে অক্ষম। তাদের নিজস্ব কোনো কৃতিত্ব নেই। ...
22/12/2023

ফেরেশতাদেরকে আল্লাহ তায়ালা স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেননি। তারা গুনাহ করতে অক্ষম। তাদের নিজস্ব কোনো কৃতিত্ব নেই।

পক্ষান্তরে মানুষকে আল্লাহ তায়ালা স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। তারা নিজেদের প্রবৃত্তির চাহিদাকে বিসর্জন দিয়ে নেক-আমলের মাধ্যমে অনন্য মর্যাদা লাভ করতে পারে। একারণেই তারা সৃষ্টির সেরা। অর্থাৎ, আসরাফুল-মাখলুক।

এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা বলেন-

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ اُولٰٓئِکَ هُمۡ خَیۡرُ الۡبَرِیَّۃِ ؕ

নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে তারাই সৃষ্টির সর্বোৎকৃষ্ট।
সূরা বায়্যিনাত আয়াত নং ৭ 📖

না দেখিয়া বিশ্বাস করাকে ঈমান বলা হয়। এক্ষেত্রে ফেরেশতারা আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক কিছুই দেখেছেন। ফেরেশতারা চাক্ষুশ বিশ্বাসের অধিকারী। সেটা বান্দার না দেখিয়া ঈমানের মর্যাদার সমতুল্য গণ্য হবেনা।

হাদিছ শরিফে বলা হয়েছে-

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ الْمُؤْمِنُ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ بَعْضِ مَلاَئِكَتِهِ ‏

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, মুমিন ব্যক্তি মহান আল্লাহর নিকট তাঁর কোন কোন ফেরেশতাদের চেয়েও অধিক মর্যাদাবান।

ইবনে মাজা হাদিস নং ৪৯৪৭ 📚

মানুষকে আল্লাহ তায়ালা শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন বলেই তো আদম (আঃ) মাটির সৃষ্টি জানার পরেও তার শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়ে ফেরেশতারা আল্লাহর হুকুমে সিজদা দিয়েছিলো। কেবলমাত্র ঈবলীস ব্যতীত।

যারা আল্লাহ ও পরকালে অবিশ্বাসী। পথহারা বেঈমান, তারা মানুষ হওয়ার পরেও সৃষ্টির সেরা গণ্য হবেনা। তারাই সৃষ্টির নিকৃষ্ট!
(সুরা বাইয়্যেনাহ)

অথচ, দুঃখ্যজনক! কথিত আহলে-হাদিছ দাবীদারদের একটা বদ-খাসলত হলো তারা তাদের শায়খদের প্রতিটি শরীয়ত বিরোধী কথাকে নির্ভুল প্রমাণের জন্য উঠে পরে লেগে যায়। তাদের শায়খরা যখন যা বলে তখন সেটাই যেন হয়ে যায় ওহীর সমতুল্য। আফসোস! এই লেবেলধারী ধোঁকাবাজদের জন্য।♨

আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ লিখেছেন, قال ابنُ حجر العسقلاني:مناقب الإمام أبي حنيفة كثيرة جداً، فرضي الله تعالى عنه وأ...
22/12/2023

আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ লিখেছেন,

قال ابنُ حجر العسقلاني:مناقب الإمام أبي حنيفة كثيرة جداً، فرضي الله تعالى عنه وأسكنه الفردوس آمين. (تهذيب التهذيب لابن حجر العسقلاني جـ5صـ631)

ইমাম আবু হানিফা রহঃ অনেক গুনে গুনান্বির ছিলেন। আল্লাহ পাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।আমিন ( তাহজিবুত তাহজীব- ৫/৬৩১)

বর্তমানে কিছু জাহিল বলে, হাদীসে নাকি টুপির কথা নেই....এটা নাকি ভারতীয়ও পোষাক।এখন দেখি ইসলামে টুপির কথা আছে কি না---টুপি ...
17/12/2023

বর্তমানে কিছু জাহিল বলে, হাদীসে নাকি টুপির কথা নেই....এটা নাকি ভারতীয়ও পোষাক।
এখন দেখি ইসলামে টুপির কথা আছে কি না---টুপি হলো মুসলিম উম্মাহর ‘শিআর’ জাতীয় নিদর্শন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনের যুগ থেকে প্রতি যুগে এর উপর ব্যাপকভাবে আমল ছিল। কিন্তু, যেমনটা আমি বিভিন্ন জায়গায় লিখেছি,
‘আমলে মুতাওয়ারাছে’র (উম্মাহর ও অবিচ্ছিন্ন কর্মের) সূত্রে বর্ণিত সুন্নাহ্র দলীল যখন সনদসহ বর্ণনারসূত্রে খোঁজ করা হয় তখন কখনো কখনো এমনও হয় যে, তা সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে পাওয়া যায় না যা পাওয়া যায় তার সনদ সহীহ হয় না।
এ কারণে যারা দু’ চার কিতাবের দু’ চার জায়গায় দেখেই কোনো বিষয়কে ভিত্তিহীন বলে দিতে অভ্যস্থ তারা খুব দ্রুত এ ধরণের সুন্নাহকে অস্বীকার করে বসেন। টুপির ক্ষেত্রেও এ ব্যাপার ঘটেছে।
আযীযম মাওলানা ইমদাদুল হক কুমিল্লায়ী এ বিষয়ে কিছু হাদীস-আছার একত্র করেছে। এ বিষয়ে আরো দলিল আছে এবং এমন রেওয়ায়েতও আছে, যার সনদ সব রকমের আপত্তির উর্ধ্বে।
এ প্রবন্ধ তার সংকলনের প্রথম ধাপ। অবশিষ্ট রেওয়ায়াত ইনশাআল্লাহ আগামী কোনো অবসরে পেশ করা হবে।-আব্দুল মালেক
‘‘টুপি পরা সুন্নত’’ কথাটি শৈশব থেকেই শুনে আসছি এবং সুন্নতের অনুসারী আলিম-উলামা ও দ্বীনদার মানুষকে তা পরতে দেখেছি।
এই ব্যাপক অনুসৃত সুন্নাহর বিষয়ে কখনোই মনে সংশয় জাগেনি। একসময় উচ্চস্তরের পড়াশোনার জন্য গ্রাম থেকে চলে এলাম দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বড় মাদরাসায়।
সেখানে গিয়েই ছাত্রভাইদের কাছে প্রথম শুনলাম টুপি নিয়ে ভিন্ন কথা, সংশয় সন্দেহ। টুৃপি নাকি হাদীসে নেই। তাই কোনো কোনো আলেম তা পরেন না। শুধু রুমাল ব্যবহার করেন।
এদিকে কিছু প্রবাসী ভাই যারা আরব দেশগুলোতে থাকেন তারা এসে বলেন, আরবে নাকি টুপির গুরুত্ব বা রেওয়াজ নেই। খালি মাথায়ই তারা নামায পড়ে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে সেই একই কথা-হাদীসের ভান্ডারে টুপির কথা নেই!
ইদানিং আবার আমাদের দেশে একটি মহল তৈরী হচ্ছে, যারা নির্দিষ্ট কিছু হাদীসের উপর আমল করে আর অন্যগুলোকে বিভিন্ন খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে এক প্রকার অস্বীকার করে।
দ্বীনের অনেক স্বতসিদ্ধ বিষয় এবং নবী-যুগ থেকে অবিচ্ছিন্ন কর্মধারায় সর্বযুগে বিদ্যমান অনেক বিষয়কে স্থুল ও মুখরোচক কিছু অজুহাত দেখিয়ে ভ্রান্ত বলে আর নিজেদের ছাড়া অন্য সকলকে বাতিল বলতে থাকে।
ওদের তরফ থেকেও ‘টুপি নেই’ জাতীয় কথা মিডিয়াতেও প্রচারিত হয়েছে। এ
সব কারণে এ বিষয়ে কিছু কিতাব ঘাঁটাঘাঁটি করলাম যা কিছু সংগ্রহ হল পাঠক মহলের নিকট পেশ করার ইচ্ছা করলাম।
টুপি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরেছেন, সাহাবায়ে কেরাম পরেছেন, তাবেয়ীন তাবে-তাবেয়ীন পরেছেন এবং পরবর্তীতে সব যুগেই মুসলিমগণ তা পরিধান করেছেন। টুপি, পাগড়ীর মতোই একটি ইসলামী লেবাস।
হাদীসে, আছারে ও ইতিহাসের কিতাবে এ বিষয়ে বহু তথ্য আছে এবং অনেক আলিম-মনীষীর বক্তব্য আছে।
এমন প্রতিষ্ঠিত একটি বিষয়কেও যারা ভিত্তিহীন মনে করেন তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপর সত্যিই করুণা হয়।
-------♥------- নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু দলীল পেশ করছি। প্রথমে হাদীস থেকে।
হাদীস-১
হাসান বিন মেহরান থেকে বর্ণিত-
ﻋﻦ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﺤﺎﺑﺔ : ﻗﺎﻝ : ﺃﻛﻠﺖ ﻣﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻭﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻴﻪ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺑﻴﻀﺎﺀ
একজন সাহাবী বলেছেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাঁর দস্তরখানে খেয়েছি এবং তাঁর মাথায় সাদা টুপি দেখেছি’ (আল ইসাবাহ ৪/৩৩৯)
এ হাদীসটি ইমাম ইবনুস সাকান তার কিতাবুস সাহাবায় সনদসহ বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর এ বর্ণনায় সাহাবীর নাম আসেনি। তা এসেছে তাঁর অন্য বর্ণনায় এবং ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতেমের বর্ণনায়। তাঁর নাম ফারকাদ। (দ্র. আততারীখুল কাবীর ৭/১৩১; কিতাবুল জারহি ওয়াত তা’দীল ৭/৮১)
উল্লেখ্য, ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা আবু নুআইম আল আসবাহানী রহ.এর এ দাবি খন্ডন করেছেন যে, ফারকাদ সাহাবী আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাননি। বরং হাসান ইবনে মেহরান খাবার খেয়েছেন সাহাবী ফারকাদের সাথে। (মারিফাতুস সাহাবা ৪/১০৪)
হাফেজ ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ বলেন, এ ক্ষেত্রে আবু নুআইমই ভুলের শিকার হয়েছেন। প্রমাণ হিসেবে তিনি ইমাম ইবনুস সাকানের উপরোক্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতে প্রমাণিত হয় এ বর্ণনা সহীহ। অন্যথায় প্রমাণ-গ্রহণ শুদ্ধ হতো না। এবং আবু নুআইম এর মত ইমাম এর কথাকে খন্ডন করা যেত না।
তাছাড়া সাহাবী ফারকাদ রা.এর আল্লাহর নবীর দস্তরখানে খাবার খাওয়ার কথা ইমাম বুখারী, ইমাম আবু হাতেম ও ইবনু আবদিল বারও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
হাদীস-২
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন
ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﻳﻠﺒﺲ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﻼﻧﺲ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﻔﺮ ﺫﻭﺍﺕ ﺍﻵﺫﺍﻥ، ﻭﻓﻲ ﺍﻟﺤﻀﺮ ﺍﻟﻤﺸﻤﺮﺓ ﻳﻌﻨﻲ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায় কান বিশিষ্ট টুপি পরতেন আর আবাসে শামী টুপি পরতেন। (আখলাকুন নুবুওয়্যাহ, আল জামে লি আখলাকির রাবী ওয়া আদাবিস সামে পৃ. ২০২)
এ হাদীসের সকল রাবী ‘‘ছিকা’’। উরওয়া ও হিশাম তো প্রসিদ্ধ ইমাম। আর মুফাদদাল ইবনে ফাদালা নামে দুইজন রাবী আছেন।
একজন মিসরী, তিনি অনেক বড় ইমাম ছিলেন। মিসরের কাযী ছিলেন। সর্বসম্মতিক্রমে তিনি ‘‘ছিকা’’। আসমাউর রিজালের কিতাবাদি থেকে প্রতীয়মান হয় সনদে উল্লেখিত ব্যক্তি ইনিই। কারণ তিনিই হিশাম ইবনে উরওয়া ও ইবনে জুরাইজ থেকে রেওয়ায়েত করেন যা আল্লামা ইবনে আদী ও আল্লামা মুহাম্মাদ বিন হাসান বিন কুতায়বা তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। (আল-কামিল ৭/৪০৯ ইকমালু তাহযীবিল কামাল ১১/৩৩৮)
অপর জন বসরী। তাঁর স্মৃতিশক্তির বিষয়ে কিছু আপত্তি থাকলেও ইবনে হিববান তাকে ছিকা রাবীদের মধ্যে গণ্য করেছেন।
আবু হাতেম বলেছেন ﻳﻜﺘﺐ ﺣﺪﻳﺜﻪ
আর ইমাম ইবনে আদী তার একটি বর্ণনাকে ‘মুনকার’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাকিগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন-
‘তার অন্য বর্ণনাগুলো সঠিক।’ সুতরাং সনদে উল্লেখিত রাবী যদি বসরীও হন তবুও তার এ বর্ণনা সঠিক।
হাদীস-৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন আনসারী সাহাবী তাঁর কাছে এলেন।
এবং তাঁকে সালাম দিলেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আনসারী! আমার ভাই সাদ ইবনে উবাদাহ কেমন আছে? আনসারী বললেন, ভাল আছে।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কে কে তাকে দেখতে যাবে? অতপর তিনি দাঁড়ালেন আমরাও দাঁড়ালাম। আমরা সংখ্যায় দশের অধিক হব। আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না। চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না, টুপিও না।
ঐ কংকরময় ভূমিতে আমরা চলছিলাম। অবশেষে আমরা সাদ এর নিকট পৌঁছলাম তখন তার পাশ থেকে মানুষজন সরে গেল। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীরা প্রবেশ করলেন।
এখানে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর বাক্য
‘‘আমাদের পায়ে মোজাও ছিল না, চপ্পলও না। গায়ে জামাও ছিল না টুপিও না’’ থেকে বোঝা যায়, ঐ যুগে টুপিও ছিল লিবাসের অংশ এবং কোথাও যাওয়ার জন্য সেগুলো রীতিমত আবশ্যকীয় এর ন্যয় ছিল। তাই এখানে এগুলো না থাকায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর তা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
বিষয়টি ঠিক এরকম যেমন ইমাম বুখারী রহ. সহীহ বুখারীতে বুরনুস প্রমাণ করেছেন। সহীহ বুখারীতে কিতাবুল লিবাসে ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺒﺮﺍﻧﺲ নামে শিরোনাম দাঁড় করেছেন আর দলীল হিসেবে উল্লেখ করেছেন হজের একটি হাদীস।
ﻻ ﻳﻠﺒﺲ ﺍﻟﻤﺤﺮﻡ ﺍﻟﻘﻤﻴﺺ ﻭﻻ ﺍﻟﻌﻤﺎﺋﻢ ﻭﻻ ﺍﻟﺒﺮﺍﻧﺲ
‘‘ইহরাম গ্রহণকারী জামাও পরবে না, পাগড়ীও না, বুরনুস (এক প্রকার টুপি)ও না।’’
আল্লামা আবু বকর ইবনুল আরাবী এ হাদীস থেকে পাগড়ী প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, এ হাদীস প্রমাণ করে যে, তৎকালে পাগড়ী পরিধানের রীতি ছিল। এ কারণে ইহরাম অবস্থায় তা পরিধান করা নিষেধ করেছেন।
একইভাবে আলোচিত হাদীস দ্বারাও টুপি ও তার প্রচলন প্রমাণে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।
হাদীস -৪
উমর ইবনে খাত্তাব রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-
ﺍﻟﺸﻬﺪﺍﺀ ﺛﻼﺛﺔ : ﺭﺟﻞ ﻣﺆﻣﻦ ... ﻭﺭﻓﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺭﺃﺳﻪ ﺣﺘﻰ ﻭﻗﻌﺖ ﻗﻠﻨﺴﻮﺗﻪ ﺃﻭ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﻋﻤﺮ.
শহীদ হল তিন শ্রেণীর লোক : এমন মুমিন ... এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা তুললেন। তখন তাঁর টুপি পড়ে গেল। অথবা বলেছেন উমরের টুপি পড়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৬ জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৬৪৪ ইত্যাদি)
হাদীসটির ক্ষেত্রে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, ‘হাসানুন গারীবুন।’
হাদীসটির সনদ এই,
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ ﻋﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﺑﻦ ﺩﻳﻨﺎﺭ ﺃﺑﻲ ﻳﺰﻳﺪ ﺍﻟﺨﻮﻻﻧﻲ ﻋﻦ ﻓﻀﺎﻟﺔ ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে লাহিয়া এর ক্ষেত্রে যদিও মুহাদ্দিসীনদের বিভিন্ন রকম বক্তব্য আছে, কিন্তু এ হাদীসটি তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক। আর এক্ষেত্রে ইমামগণ এক মত যে ইবনে লাহিয়া থেকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক কর্তৃক বর্ণনাকৃত হাদীসগুলো সঠিক।
উপরন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে লাহিয়ার একজন ‘মুতাবি’ও আছেন সায়ীদ ইবনে আবী আইয়ূব। যা ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতিম এর কথায় পাওয়া যায়।
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ : ﺳﻤﻌﺖ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺪ ﺭﻭﻯ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺃﻳﻮﺏ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻋﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﺑﻦ ﺩﻳﻨﺎﺭ ﻋﻦ ﺃﺷﻴﺎﺥ ﻣﻦ ﺧﻮﻻﻥ، ﻭﻟﻢ ﻳﺬﻛﺮ ﻓﻴﻪ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺯﻳﺪ .
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺣﺎﺗﻢ : ﻭﺭﻭﻯ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺃﻳﻮﺏ ﻋﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﺑﻦ ﺩﻳﻨﺎﺭ ﻋﻦ ﺃﺷﻴﺎﺥ ﻣﻦ ﺧﻮﻻﻥ ﻋﻦ ﻓﻀﺎﻟﺔ ﻋﻦ ﻋﻤﺮ .
আর এ সনদের আরেকজন রাবি, আবু ইয়াযিদ আল খাওলানী। মুতাআখখিরীনদের মাঝে কেউ কেউ তাকে মাজহুল বলেছেন।
এক্ষেত্রে প্রথম কথা এই যে, হাদীসটি শুধু তিনিই বর্ণনা করেননি; বরং খাওলান শহরের আরো অনেক মুহাদ্দিস তা বর্ণনা করেন, যা ইমাম বুখারী ও ইমাম আবু হাতেম এর উপরোক্ত কথায় পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় কথা এই যে, ইমাম বুখারী, ইমাম আবু হাতেম, ইমাম তিরমিযীসহ মুতাকাদ্দিমীন ইমামগণের কেউ তাকে মাজহুল বলেন নি; বরং সকলে তাঁর জীবনীতে তাঁর নাম উল্লেখ করে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। কেউ তাঁর সম্পর্কে ভালোও বলেননি মন্দও বলেননি।
এটাকে হাদীস শাস্ত্রের পরিভাষায় বলা হয় ﺳﻜﻮﺕ ﺍﻟﻤﺘﻜﻠﻤﻴﻦ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ অর্থাৎ ইমামগণের নীরব থাকা। এই কারণে রাবী মাজহুল হওয়া আবশ্যক নয় বরং এটাকে এক প্রকার তা’দীল হিসেবে ধরা হয়। বিশেষত রাবী যদি তাবেয়ী স্তরের হন। আর এখানেও তা ঘটেছে। সম্ভবত এ নিশ্চুপ থাকাকেই পরবর্তীদের কেউ মাজহুল বলে দিয়েছেন, যা ঠিক নয়।
থাকল এ বিষয় যে, উপরোক্ত হাদীসে কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর টুপি সম্পর্কে বলা হয়েছে না ওমর রা.এর টুপি সম্পর্কে......?
যদি ধরেও নেয়া হয় যে, ওমর রা. এর টুপি সম্পর্কে তাহলেও তো একজন খলীফায়ে রাশেদের টুপি পরা প্রমাণিত হচ্ছে। আর খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ তো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ্রই অংশ, বিশেষত যখন একাধিক হাদীসে স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এরও টুপি পরা প্রমাণিত হচ্ছে।
আপাতত এ চারটি হাদীস উল্লেখ করা হল। হাদীসের কিতাবসমূহে এ বিষয়ে আরো হাদীস আছে এবং টুপি নিয়ে আলাদা শিরোনামও আছে।
আসহাবুস সিয়ার তথা সীরাত প্রণেতা ইমামগণও আল্লাহর নবীর পোষাকের অধ্যায়ে তাঁর টুপির জন্যও আলাদা পরিচ্ছেদ কায়েম করেন।
যেমন করেছেন ইবনে হাইয়ান, ইবনুল কায়্যিম, ইবনে আসাকির, ইবনুল জাওযী, গাযালী, শায়খ ইউসুফ সালেহী, আল্লামা দিময়াতী, বালাযুরীসহ আরো অনেক ইমাম। সকলের বক্তব্য তুলে ধরলে আলোচনা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে তাই শুধু আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ. এর বক্তব্য তুলে ধরছি। তিনি তাঁর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘‘যাদুল মাআদে’’ লেখেন, তাঁর একটি পাগড়ি ছিল, যা তিনি আলী রা. কে পরিয়েছিলেন। তিনি পাগড়ি পরতেন এবং পাগড়ির নিচে টুপি পরতেন। তিনি কখনো পাগড়ি ছাড়া টুপি পরতেন। কখনো টুপি ছাড়াও পাগড়ি পরতেন।
(যাদুল মাআদ ১/১৩৫)
-----♥-----সাহাবায়ে কেরামের টুপি--♥------
জানা কথা যখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম টুপি পরেছেন তখন সাহাবায়ে কেরামও পরবেন। বরং কোনো হাদীসে আল্লাহর নবীর টুপির উল্লেখ না এলেও যদি সাহাবায়ে কেরামের টুপি পরা প্রমাণিত হয় তাহলে তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর টুপি পরিধানেরই প্রমাণ বহন করবে।
হাদীস ও আছারের কিতাবে সাহাবায়ে কেরামের টুপি পরার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে একটি পুস্তিকা হয়ে যাবে। এখানে সামান্য কিছু বর্ণনা উল্লেখ করা হল।
1. হাসান বসরী রাহ. বলেন,
ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻳﺴﺠﺪﻭﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻌﻤﺎﻣﺔ ﻭﺍﻟﻘﻠﻨﺴﻮﺓ
তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম গরমের দিনে) পাগড়ি বা টুপির উপর সিজদা করতেন।-সহীহ বুখারী, কিতাবুস সালাত ‘প্রচন্ড গরমের কারণে কাপরের উপর সিজদা করা’ অধ্যায়।
উল্লেখ্য, হাসান বসরী রাহ. অনেক বড় মনীষী তাবেয়ী, যিনি অনেক সাহাবীকে দেখেছেন এবং তাদের সাহচর্য গ্রহণ করেছেন।
2. সুলাইমান ইবনে আবি আবদিল্লাহ বলেন,
ﺃﺩﺭﻛﺖ ﺍﻟﻤﻬﺎﺟﺮﻳﻦ ﺍﻷﻭﻟﻴﻦ ﻳﻌﺘﻤﻮﻥ ﺑﻌﻤﺎﺋﻢ ﻛﺮﺍﺑﻴﺲ ﺳﻮﺩ ﻭﺑﻴﺾ ﻭﺣﻤﺮ ﻭﺧﻀﺮ ﻭﺻﻔﺮ، ﻳﻀﻊ ﺃﺣﺪﻫﻢ ﺍﻟﻌﻤﺎﻣﺔ ﻋﻠﻰ ﺭﺃﺳﻪ ﻭﻳﻀﻊ ﺍﻟﻘﻠﻨﺴﻮﺓ ﻓﻮﻗﻬﺎ، ﺛﻢ ﻳﺪﻳﺮ ﺍﻟﻌﻤﺎﺋﻢ ﻫﻜﺬﺍ ﻋﻠﻰ ﻛﻮﺭﻩ ﻻ ﻳﺨﺮﺟﻬﺎ ﻣﻦ ﺫﻗﻨﻪ
আমি প্রথম সারির মুহাজিরগণকে দেখেছি তাঁরা সুতির পাগড়ি পরিধান করতেন। কালো, সাদা, লাল, সবুজ, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের। তারা পাগড়ির কাপড় মাথায় রেখে তার উপর টুপি রাখতেন। অতপর তার উপর পাগড়ি ঘুরিয়ে পরতেন।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১২/৫৪৫
3. হেলাল ইবনে ইয়াসাফ বলেন,
ﻗﺪﻣﺖ ﺍﻟﺮﻗﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻲ ﺑﻌﺾ ﺃﺻﺤﺎﺑﻲ : ﻫﻞ ﻟﻚ ﻓﻲ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ؟ ﻓﻘﻠﺖ : ﻏﻨﻴﻤﺔ . ﻓﺪﻓﻌﻨﺎ ﺇﻟﻰ ﻭﺍﺑﺼﺔ، ﻓﻘﻠﺖ ﻟﺼﺎﺣﺒﻲ : ﻧﺒﺪﺃ ﻓﻨﻨﻈﺮ ﺇﻟﻰ ﺩﻟﻪ ﻓﺈﺫﺍ ﻋﻠﻴﻪ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﻻ ﻃﻴﺔ ﺫﺍﺕ ﺃﺫﻧﻴﻦ .
আমি রাক্কায় গিয়েছিলাম তখন আমার এক সাথী আমাকে বললেন, তুমি কি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাললাম-এর একজন সাহাবীর নিকট যেতে ইচ্ছুক? আমি বললাম, ‘এ তো গনীমত।’ তারপর আমরা ওয়াবেছা রা.-এর নিকট গেলাম। আমি আমার সাথীকে বললাম, দাঁড়াও, প্রথমে আমরা তাঁর আচার-আখলাক দেখব। তাঁর মাথায় দুই কান বিশিষ্ট টুপি ছিল, যা মাথার সঙ্গে মিশে ছিল।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৯৪৯
4. হিশাম বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ
আমি ইবনে যুবায়ের রা.-এর মাথায় টুপি দেখেছি।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৫৩৫৩
5. আশআছ রাহ. তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন-
ﺃﻥ ﺃﺑﺎ ﻣﻮﺳﻰ ﺧﺮﺝ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻼﺀ ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ،
আবু মুসা আশআরী রা. হাম্মাম থেকে বের হলেন। তার মাথায় টুপি ছিল।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১০/৫১০
6. আববাদ ইবনে আবী সুলাইমান বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺑﻴﻀﺎﺀ
আমি আনাস ইবনে মালেক রা.-এর মাথায় একটি সাদা টুপি দেখেছি।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৫/১২১
7. আবু হাইয়ান বলেন,
ﻛﺎﻧﺖ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﻋﻠﻲ ﻟﻄﻴﻔﺔ
হযরত আলী রা.-এর টুপি ছিল পাতলা।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৩/২৩
ইবনে সাদ আলী রা.-এর জীবনীতে তাঁর পোশাকের আলোচনায় তার টুপি সম্পর্কে আলাদা শিরোনাম এনেছেন।
8. আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. মাথা মাসাহর সময় টুপি উঠিয়ে নিতেন এবং অগ্রভাগ মাসাহ করতেন।-সুনানে দারা কুতনী, হাদীস : ৫৫; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস : ২৮৮
9. ফাযারী রাহ. বলেন,
10. ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﻋﻠﻲ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺑﻴﻀﺎﺀ ﻣﺼﺮﻳﺔ

আমি আলী রা.-এর মাথায় সাদা মিসরী টুপি দেখেছি।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৩/২৩
11. সায়ীদ ইবনে আবদুল্লাহ বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺃﺗﻰ ﺍﻟﺨﻼﺀ، ﺛﻢ ﺧﺮﺝ ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺑﻴﻀﺎﺀ ﻣﺰﺭﻭﺭﺓ
আমি আনাস ইবনে মালেক রা. কে দেখেছি, তিনি হাম্মাম থেকে বের হলেন। তার মাথায় বোতাম বিশিষ্ট সাদা টুপি ছিল।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ১/১৯০
12. আবদুল হামীদ বিন জাফর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. ইয়ারমূক যুদ্ধের দিন তার একটি টুপি হারিয়ে ফেললেন।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তা পাওয়া গেল। তা ছিল একটি পুরানো টুপি। খালেদ রা. বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরার পর মাথা মুন্ডন করলেন।
সাহাবীগণ তাঁর চুল নেওয়ার জন্য ছুটতে লাগলেন। আমি গিয়ে তাঁর মাথার অগ্রভাগের চুলগুলি পেলাম। তা এ টুপিতে লাগিয়ে রেখেছি। যে যুদ্ধেই এ টুপি আমার সাথে ছিল তাতেই আল্লাহর সাহায্য পেয়েছি।-
দালাইলুন নুবুওয়াহ ৬/২৪৯
সাহাবায়ে কেরামের টুপি ব্যবহারের প্রমাণ স্বরূপ আপাতত এ কয়টি আছার উল্লেখ করা হল।
প্রথম দুই বর্ণনা ব্যাপকভাবে সাহাবায়ে কেরামের টুপি ব্যবহারের প্রমাণ বহন করছে। আর পরবর্তী বর্ণনাগুলোতে অনেক সাহাবীর টুপি ব্যবহার উল্লেখিত হয়েছে।

টুপির শুধু ব্যবহার নয়, ব্যাপক প্রচলন এ বর্ণনাগুলো দ্বারা প্রমাণিত হয়। এ প্রসঙ্গে আরেকটি বর্ণনা উল্লেখ করে তাবেয়ী-যুগের বর্ণনায় যাব, যার পর অতি সংশয়গ্রস্ত লোকেরও সংশয় থাকা উচিত নয়।
দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর রা.-এর যুগে যখন ‘নাজরান’ শহরের খৃস্টানরা সন্ধিতে রাজি হল এবং কর দিতে সম্মত হল তখন তারা হযরত উমর রা.-এর সাথে একটি চুক্তিনামা করেছিল।
সেই চুক্তির অংশবিশেষ এই-
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ، ﻫﺬﺍ ﻛﺘﺎﺏ ﻟﻌﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻤﺮ ﺃﻣﻴﺮ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻣﻦ ﻧﺼﺎﺭﻯ ﻣﺪﻳﻨﺔ ﻛﺬﺍ ﻛﺬﺍ، ﻟﻤﺎ ﻗﺪﻣﺘﻢ ﺳﺄﻟﻨﺎﻛﻢ ﺍﻷﻣﺎﻥ ﻷﻧﻔﺴﻨﺎ ﻭﺫﺭﺍﺭﻳﻨﺎ ﻭﺃﻫﻞ ﻣﻠﺘﻨﺎ ﻭﺷﺮﻃﻨﺎ ﻟﻜﻢ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻔﺴﻨﺎ ﺃﻥ ﻻ ﻧﺤﺪﺙ ﻓﻲ ﻣﺪﻳﻨﺘﻨﺎ ﻭﻻ ﻓﻴﻤﺎ ﺣﻮﻟﻬﺎ ﺩﻳﺮﺍ ﻭﻻ ﻛﻨﻴﺴﺔ ... ﻭﻻ ﻧﺘﺸﺒﻪ ﺑﻬﻢ ‏( ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ‏) ﻓﻲ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﻟﺒﺎﺳﻬﻢ ﻣﻦ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﻭﻻ ﻋﻤﺎﻣﺔ .
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
এ অমুক শহরের নাসারাদের পক্ষ থেকে আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন উমরের সাথে লিখিত চুক্তি। যখন আপনারা (মুসলমানগণ) আমাদের শহরে এলেন তখন আমরা আপনাদের নিকট আমাদের, আমাদের সন্তান-সন্ততি ও স্বধর্মের লোকদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করেছি। আমরা নিজেদের উপর এ শর্ত গ্রহণ করছি যে, এ শহরে এবং এর আশপাশে আমরা কোনো গির্জা তৈরি করব না ... এবং আমরা মুসলমানদের পোশাক-টুপি, পাগড়ি ইত্যাদিতে সাদৃশ্য গ্রহণ করব না ...।-সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস : ১৯১৮৬
চুক্তিনামার এ অংশে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয় :
এক. টুপিকে মুসলমানদের পোশাক বলা হয়েছে।
যেমন পাগড়িকে বলা হয়েছে। একটি বস্ত্তর কতটুকু প্রচলন হলে তা একটি দল বা গোষ্ঠীর সাথে সম্বন্ধ করা হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুই. টুপিকে একটি রাষ্ট্রীয় চুক্তিনামায় উল্লেখ করা দ্বারা সহজেই অনুমান করা যায়, সে যুগে মুসলমানদের নিকট টুপির গুরুত্ব কেমন ছিল এবং তার প্রচলন কত ব্যাপক ছিল।
তিন. এ চুক্তিনামা যখন লেখা হয় তখন বহু সাহাবী জীবিত ছিলেন। ইতিহাসে এমন একটি বর্ণনাও নেই যে, তাদের কেউ এ বিষয়ে আপত্তি করেছেন; বরং পরবর্তী খলীফাগণও এ চুক্তি বলবৎ রেখেছেন। এমনকি হযরত আলী রা.-এর যুগে এ নাসারারা এ চুক্তির কোনো একটি বিষয়ে কথা বলতে এসেছিল। তখন তিনি তাদেরকে সাফ বলে দেন-
ﺇﻥ ﻋﻤﺮ ﻛﺎﻥ ﺭﺷﻴﺪ ﺍﻷﻣﺮ، ﻟﻦ ﺃﻏﻴﺮ ﺷﻴﺌﺎ ﺻﻨﻌﻪ ﻋﻤﺮ
নিশ্চয়ই উমর সঠিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি যা করেছেন আমি তার কিছুই কোনোরূপ পরিবর্তন করতে পারব না।
হযরত উমর রা.-এর এ চুক্তিনামাটিকে যিম্মীদের ক্ষেত্রে শরীয়তের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উসূল বা মানদন্ড হিসেবে ধরা হয়। পরবর্তী যুগের আলিম-মনীষী ও মুসলিম খলীফাগণ যিম্মিদের সাথে কোনো চুক্তিনামা করলে এর শর্তগুলোকে মানদন্ড হিসেবে সামনে রাখতেন।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহ. বলেন, এ শর্তগুলো এতই প্রসিদ্ধ যে, এগুলোর সনদ উল্লেখের প্রয়োজন নেই।
কেননা ইমামগণ তা সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন ও এগুলো দ্বারা প্রমাণ গ্রহণ করেছেন। আর হযরত উমর রা.-এর এসব শর্ত ছিল তাঁদের কিতাবে ও মুখে মুখে। পরবর্তী খলীফাগণ তা বলবৎ রেখেছেন এবং এর অনুসরণ করেছেন। -আহকামু আহলিয যিম্মাহ, পৃষ্ঠা : ৪৫৪
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহ. এ কিতাবটি শুধু হযরত উমর রা.-এর এ চুক্তিনামার শরহ বা ব্যাখ্যাতেই প্রণয়ন করেছেন।
যাহোক, উপরোক্ত উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যায়, সকল যুগেই টুপি মুসলমানদের পোশাক ছিল।
আশা করি, খিলাফতে রাশিদা-যুগের এ চুক্তিনামা দেখার পর কারো কোনো সংশয় থাকবে না। কোনো হাদীস বা আছারে টুপির কথা উল্লেখিত না হলেও এ দলীলটি আলোচ্য বিষয়ে যথেষ্ট হত।

----♥---তাবেয়ীগণের টুপি--♥------
যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম টুপি পরেছেন, সাহাবায়ে কেরাম পরেছেন এবং তা ছিল মুসলিমদের পোশাকের অংশ তখন জানা কথা, তাবেয়ীগণও তা পরেছেন।
উপরের আলোচনা থেকেই তাবেয়ীন-যুগও পরবর্তী যুগেও মুসলিম-সমাজে টুপির সুন্নাহ প্রতিষ্ঠিত থাকা প্রমাণিত হয়।
তাই আলাদাভাবে তাবেয়ীদের টুপি প্রমাণের আর প্রয়োজন থাকে না। এরপরও কিছু নমুনা পেশ করছি।
1. আবদুল্লাহ ইবনে আবি হিন্দ রাহ. বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺑﻴﻀﺎﺀ ﻻﻃﺌﺔ
আমি আলী ইবনে হুসাইন রাহ.-এর মাথায় একটি সাদা টুপি দেখেছি, যা মাথার সাথে মিলিত ছিল।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৩/২৪৩
2. আবুল গুছ্ন বলেন-
ﺭﺃﻳﺖ ﻧﺎﻓﻊ ﺑﻦ ﺟﺒﻴﺮ ﻳﻠﺒﺲ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺳﻤﺎﻃﺎ ﻭﻋﻤﺎﻣﺔ ﺑﻴﻀﺎﺀ
আমি নাফে ইবনে জুবাইরকে পুঁতিবিশিষ্ট টুপি ও সাদা পাগড়ি পরতে দেখেছি।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৫/২০৬ (শামেলা)
3. খালেদ ইবনে বকর বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﺳﺎﻟﻢ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺑﻴﻀﺎﺀ
আমি সালেম রাহ.-এর মাথায় সাদা টুপি দেখেছি। (সালেম হলেন সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-এর পুত্র)।-তবাকাতে ইবনে সাআদ ৫/১৯৭; সিয়ারু আলামিন নুবালা ৪/৪৬৪ (শামেলা)
4. আইয়ূব বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻘﺎﺳﻢ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﻣﻦ ﺧﺰ
আমি কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ রাহ.-এর মাথায় পশমের টুপি দেখেছি।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৫/১৮৯; হিলইয়াতুল আওলিয়া ২/১৮৫ (শামেলা)
5. মুহাম্মাদ ইবনে হিলাল বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﺴﻴﺐ ﻳﻌﺘﻢ ﻭﻋﻠﻴﻪ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﻟﻄﻴﻔﺔ ﺑﻌﻤﺎﻣﺔ ﺑﻴﻀﺎﺀ
আমি সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়িবকে একটি পাতলা টুপির উপর পাগড়ি বাঁধতে দেখেছি।-তবাকাতে ইবনে সাদ, ৫/১৩৮; সিয়ারু আলামিন নুবালা ৪/২৪২ (শামেলা)
6. কাসিম ইবনে মালিক এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন-
ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻀﺤﺎﻙ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺛﻌﺎﻟﺐ
অর্থ : আমি যাহহাক রাহ.-এর মাথায় একটি চামড়ার টুপি দেখেছি।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৬/৩০১ (শামেলা)
7. যুহাইর বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﺃﺑﺎ ﺇﺳﺤﺎﻕ ﺍﻟﺴﺒﻴﻌﻲ ﻭﻫﻮ ﻳﺼﻠﻲ ﺑﻨﺎ، ﻳﺄﺧﺬ ﻗﻠﻨﺴﻮﺗﻪ ﻣﻦ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﻴﻠﺒﺴﻬﺎ ﺃﻭ ﻳﺄﺧﺬﻫﺎ ﻋﻦ ﺭﺃﺳﻪ ﻓﻴﻀﻌﻬﺎ .
আমি আবু ইসহাক আসসাবীয়ীকে দেখেছি তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়েছেন। তিনি টুপি খুলে মাটিতে রাখছেন কিংবা তা উঠিয়ে মাথায় পরছেন।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৬/৩১৪ (শামেলা)
8. ইয়াযিদ ইবনে আবী যিয়াদ রাহ. বলেন,
ﺭﺃﻳﺖ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺍﻟﻨﺨﻌﻲ ﻳﻠﺒﺲ ﻗﻠﻨﺴﻮﺓ ﺛﻌﺎﻟﺐ
আমি ইবরাহীম নাখায়ী রাহ.-এর মাথায় চামড়ার টুপি দেখেছি।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৬/২৮০ (শামেলা)
9. আবুল হাইসাম আলকাসসাব বলেন, আমি ইবরাহীম নাখায়ীর মাথায় তায়লাসার টুপি দেখেছি, যার অগ্রভাগে চামড়া ছিল।-প্রাগুক্ত
10. বাক্কার ইবনে মুহাম্মাদ বলেন, আমি ইবনে আউস-এর মাথায় একটি টুপি দেখেছি, যা এক বিঘত উঁচু ছিল।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৭/২৬৭ (শামেলা)
11. ফযল ইবনে দুকাইন বলেন, আমি দাউদ আততায়ীকে দেখেছি। তাঁর টুপি আলিমগণের টুপির মতো ছিল না। তিনি কালো লম্বা টুপি পরতেন, যা ব্যবসায়ীরা পরে থাকে।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৬/৩৬৭ (শামেলা)
12. ইমাম মালেক বলেন, আমি রবীয়া ইবনে আবদুর রহমান আররায়ীর মাথায় একটি টুপি দেখেছি, যার বাইরে ও ভেতরে রেশমজাতীয় কাপড় ছিল।-তবাকাতে ইবনে সাদ (আলকিসমুল মুতাম্মিম) ১/৩২১ (শামেলা)
13. শুআইব ইবনে হাবহাব বলেন, প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আবুল আলিয়ার একটি টুপি ছিল, যার পাটের ভিতর চামড়া ছিল।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৭/১১৬ (শামেলা)
14. আফফান ইবনে মুসলিম বলেন, আবু আওয়ানা টুপি পরতেন।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৭/২৮৭ (শামেলা)
15. আফফান ইবনে মুসলিম বলেন, হাম্মাদ ইবনে যায়েদ একটি সাদা পাতলা লম্বা টুপি পরতেন।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৭/২৮৬ (শামেলা)
16. হযরত সায়ীদ ইবনে জুবাইর রাহ.-এর শাহাদতের ঘটনায় আছে, যখন হাজ্জাজ জল্লাদকে বলল, তার গর্দান উড়িয়ে দাও তখন সে তা করল (নাউযুবিল্লাহ)। সায়ীদ ইবনে জুবাইর এর শীর একদিকে ছিটকে পড়ল। তখন তার মাথার সাথে একটি সাদা টুপি মিলিত ছিল।-তবাকাতে ইবনে সাদ ৬/২৬৫ (শামেলা)
17. হযরত সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা বলোনি , শরীক ইবনে আবদুল্লাহ আমাদের নিয়ে জানাযার নামায পড়লেন এবং তার টুপিকে সুতরা হিসেবে সামনে রাখলেন।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৬৯১
উল্লেখ্য, কারো কারো ধারণা, ঐ যুগে টুপি এত লম্বা ছিল যে, তা দিয়ে সুতরাও দেওয়া যেত। আসলে তা নয়। সুতরার ক্ষেত্রে এ কথাও আছে যে, সুতরা দেওয়ার মতো কোনো কিছু পাওয়া না গেলে কমপক্ষে একটি রেখা হলেও যেন টেনে দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতেই তারা রেখা না টেনে কমপক্ষে টুপিটা হলেও রাখতেন। যেন কিছু একটা রাখা হয়। এটা টুপি লম্বা হওয়া বা ছোট হওয়া আবশ্যক করে না।
তাবেয়ীনের টুপি সম্পর্কে আপাতত এ কয়েকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা হল।
বিজ্ঞ পাঠক আমাদের বরাতগুলো দেখে সম্ভবত অনুমান করতে পেরেছেন যে, হাদীস ও তারীখের দু’ চারটি কিতাব থেকেই তা সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি হাদীস-আছার ও তারীখের কিতাবাদিতে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয় তাহলে এ বিষয়ে বিশাল সংগ্রহ প্রস্ত্তত হবে। কিন্তু আমরা এখানে এতটুকুই যথেষ্ট মনে করছি।
আমরা এখানে সতেরজন তাবেয়ীর বরাত উল্লেখ করেছি। এদের মধ্যে আছেন হুসাইন রা.-এর পুত্র, যিনি আহলে বাইতের একজন। আছেন সালেম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উমর, যিনি মক্কা নগরীর ফকীহদের একজন। আরো আছেন সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়্যিব ও সায়ীদ ইবনে জুবাইর এবং ইবরাহীম নাখায়ীর মতো অকুতোভয় ফকীহ ইমাম।
তাঁদের মতো মনীষী ব্যক্তিত্ব কোনো বিষয়ে একমত হবেন আর তা নবী ও সাহাবীদের যুগে থাকবে না তা কি চিন্তা করা যায়.....?
------♥----মুজতাহিদ ইমামগণের টুপি--♥-----
মুজতাহিদ ইমামগণ হলেন কুরআন-সুন্নাহর ভাষ্যকার এবং কুরআন-সুন্নাহর বিধানের সংকলক। গোটা মুসলিম জাহানের অধিকাংশ মুসলিম তাঁদের ব্যাখ্যা অনুসারেই কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেন। তাই তাদের টুপি ব্যবহারের বিষয়টিও উল্লেখ করছি।
(1) ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর টুপি
ইমাম আবু হানীফা উঁচু টুপি পরতেন।-আলইনতিকা, পৃষ্ঠা : ৩২৬; উকুদুল জুমান, পৃষ্ঠা : ৩০০-৩০১
(2) ইমাম মালিক রাহ.-এর টুপি
ﻛﺎﻥ ﻣﺎﻟﻚ ﺑﻦ ﺃﻧﺲ ﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﺨﺮﺝ ﻳﺤﺪﺙ ﺗﻮﺿﺄ ﻭﺿﻮﺀﻩ ﻟﻠﺼﻼﺓ ... ﻭﻟﺒﺲ ﻗﻠﻨﺴﻮﺗﻪ ﻭﻣﺸﻂ ﻟﺤﻴﺘﻪ ...
অর্থ : ইমাম মালেক রাহ. যখন হাদীস বর্ণনার জন্য বের হতেন তখন অযু করতেন, টুপি পরতেন ও দাঁড়ি আঁচড়ে নিতেন।-আলজামে, খতীব বাগদাদী ১/৩৮৮, বর্ণনা : ৯০৩
(3) ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-এর টুপি
ফযল ইবনে যিয়াদ বলেন-
ﺭﺃﻳﺖ ﻋﻠﻰ ﺃﺑﻲ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ‏( ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺃﺣﻤﺪ ‏) ... ﻋﻠﻴﻪ ﻋﻤﺎﻣﺔ ﻓﻮﻕ ﺍﻟﻘﻠﻨﺴﻮﺓ ... ﻭﺭﺑﻤﺎ ﻟﺒﺲ ﺍﻟﻘﻠﻨﺴﻮﺓ ﺑﻐﻴﺮ ﻋﻤﺎﻣﺔ .
অর্থ : আমি ইমাম আহমদকে টুপির উপর পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। ... তবে কখনো কখনো তিনি পাগড়ি ছাড়া টুপি পরেছেন।-সিয়ারু আলামিন নুবালা ১১/২২০ (শামেলা)
এ পর্যন্ত আমরা টুপির ক্ষেত্রে নবী-যুগ, সাহাবা-যুগ ও তাবেয়ী-যুগের ইতিহাস পেলাম। আল্লাহর রহমতে আমরা সংশয়হীনভাবে বুঝতে পারলাম যে, এসব যুগে টুপি ছিল এবং মুসলমানদের পোশাক হিসেবে অন্যান্য পোশাকের মতো টুপিরও ব্যাপক প্রচলন ছিল।
বলাবাহুল্য, প্রত্যেক প্রজন্ম তার পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকেই দ্বীন শেখে।
সুতরাং তাবেয়ীন থেকে তাবে তাবেয়ীন তাদের থেকে তাদের পরবর্তীগণ এভাবে নবী-যুগ, সাহাবা-যুগের এ সুন্নাহ আমাদের পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ের মতো এ বিষয়েও আমরা আমাদের স্বর্ণোজ্জ্বল অতীতের সাথে যুক্ত।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুক এবং সুন্নাতের ওপর চলার তৌফিক দান করুক। আমিন

পূর্বসূরিরা ইংরেজ খৃষ্টানদের দালালি করেছে আর উত্তরসূরিরা তেল আবিব ইহুদীদের দালালি করছে.....একদিকে যখন ইংরেজরা মুসলমানের ...
17/12/2023

পূর্বসূরিরা ইংরেজ খৃষ্টানদের দালালি করেছে আর উত্তরসূরিরা তেল আবিব ইহুদীদের দালালি করছে.....
একদিকে যখন ইংরেজরা মুসলমানের রক্ত নিয়ে খেলা করছিল তখন আরেকদিকে কথিত আহলে হাদীসের মৌলভী মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী লিখেন -

“اس گروہ اہل حدیث کے خیر خواہ وفادار، رعایا، برٹش گورنمنٹ ہونے پر ایک بڑی روشن اور قوی دلیل ہے کہ یہ لوگ برٹش گورنمنٹ کے زیر حمایت رہنے کو اسلامی سلطنتوں کے زیر سایہ رہنے سے بہتر سمجھتے ہیں”

“ঐ আহলে হাদীস দল বৃটিশ সরকারের কল্যাণ প্রত্যাশী, চুক্তি রক্ষাকারী ও অনুগত হওয়ার অত্যন্ত উজ্জ্বল ও বলিষ্ঠ প্রমান হলঃ তারা বৃটিশ সরকারের অধীনে থাকা কোন ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে থাকার চেয়ে উত্তম মনে করে।” { আল-হায়াত বা’দাল মামাত, পৃ.৯৩}

উল্লেখিত মৌলভী মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী ইংরেজের বিরুদ্ধে জিহাদ করার বিপক্ষে “আল-ইক্বতিছাদ -ফী মাসাইলিল জিহাদ” নামক গ্রন্থ রচনা করে। যাতে তিনি জিহাদ “মানছুখ” বা রহিত বলে ঘোষণা করেন। এর ফলশ্রুতিতে তিনি ইংরেজের বিশ্বস্ত ও ভাড়াটে গোলামে গণ্য হয়। আর লাভ করে টাকা-পয়সার বিরাট অংক।

{হিন্দুস্তান কী পহলী ইসলামী তাহরীক, পৃ.২১২, আহলে হাদীস আওর ইংরেজ পৃ.৮৭ }

তাইতো তারই বিশিষ্ট শিষ্য মৌলভী তালতাফ হুসাইন লিখেন-

“انگریز ی گورنمنٹ ہندوستان میں ہم مسلمانوں کیلئے خدا کی رحمت ہے”

“হিন্দুস্তানে ইংরেজ গভর্নমেন্ট আমরা মুসলমানদের জন্য খোদার রহমত।” { আল-হায়াত বা’দাল মামাত , পৃ.৯৩}
নাউযুবিল্লাহ! ঐ ফতোয়া দেয়ার পরে দেশের জনগণ তাদেরকে "ওয়াহাবী" বা দেশদ্রোহী বলে গালি দেয়া শুরু করে এবং তারই প্রেক্ষিতে তারা ইংরেজদের থেকে "আহলে হাদীস" নামকরণ করায়।

আহলে হাদীস নাম ইংরেজ কতৃক অনুমোদীত// একটি দরখাস্তের অনুবাদ!
----------------------------------------------------------------------------
ভারতবর্ষে ইংরেজ-বিরোধী ও ইংরেজ বিতাড়নে জিহাদে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদেরকে ইংরেজ সরকার ওহহাবী বলে আখ্যায়িত করেছিল, তখন গাইরে মুক্বাল্লিদরা ওহহাবী নামের আখ্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই তারা তখন নিজেদের জন্য “মুহাম্মদী” এবং পরবর্তীতে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করার সম্ভাব্য সকল অপতৎপরতা চালিয়ে গিয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে গাইরে মুক্বাল্লিদদের তৎকালীন মুখমাত্র মৌলভী মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী লাহোরী বৃটিশ সরকারের প্রধান কার্যালয় এবং পাঞ্জাব, সি-পি, ইউ-পি, বোম্বাই, মাদ্রাজ ও বাঙ্গালসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে ইংরেজ প্রশাসনের আনুগত্যতা ও বশ্যতা স্বীকার করত: তাদের জন্য “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ দেয়ার দরখাস্ত পেশ করেন। এ দরখাস্তগুলোর প্রতি উত্তর সহ তারই সম্পাদনায় প্রকাশিত তৎকালীন “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় (পৃ:২৪-২৬, সংখ্যা:২, খ:১১) প্রকাশ করা হয় যা পরে সাময়ীক নিবন্ধ আকারেও বাজারজাত করা হয়। তাদের মানসিকতা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কিছুটা আঁচ করার জন্য আপনাদের সমীপে সন্মধ্য হতে
একটি দরখাস্তের অনুবাদ নিম্নে পেশ করছি।
------------------------------------------------------------------
“বখেদমতে জনাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী,
আমি আপনার খেদমতে লাইন কয়েক লেখার অনুমতি এবং এর জন্য ক্ষমাও পার্থনা করছি। আমার সম্পাদিত মাসিক “এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় ১৮৮৬ ইংরেজিতে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওহহাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমক হারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার সমীচিন হবে না, যাদেরকে “আহলে হাদীস” বলা হয় এবং সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমক হালালী, আনুগত্যতা ও কল্যাণই প্রত্যাশা করে, যা বার বার প্রমাণও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি প্রত্রে এর স্বীকৃতিও রয়েছে।
অতএব, এ দলের প্রতি ওহহাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং সাথে সাথে গভার্মেন্টের বরাবর অত্যন্ত আদব ও বিনয়ের সাথে আবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এ ওহহাবী শব্দ রহতি করে আমাদের উপর এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক এবং এ শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” সম্বোধন করা হোক।
আপনার একান্ত অনুগত খাদেম
আবু সাঈদ মুহাম্মদ হুসাইন
সম্পাদক, এশায়াতুস সুন্নাহ . ******
দরখাস্ত মুতাবেক ইংরেজ সরকার তাদের জন্য “ওহহাব” শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করেছে। এবং সরকারী কাগজ-চিঠিপত্র ও সকল পর্যায়ে তদের “আহলে হাদীস” সম্বোধনের নোটিশ জারি করে নিয়মতান্তিকভাবে দরখাস্তকারীকেও লিখিতভাবে মঞ্জুরী নোটিশে অবহিত করা হয়।
সর্বপ্রথম পাঞ্জাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী মি: ডব্লউ, এম, এন (W.M.N) বাহাদুর চিঠি নং-১৭৫৮ এর মাধ্যমে ৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৬ ইংরেজিতে অনুমোদনপত্র প্রেরণ করেন। অতপর ১৪ই জুলাই ১৮৮৮ইং সি.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৪০৭ এর মাধ্যমে এবং ২০শে জুলাই ১৮৮৮ইং ইউ.পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৩৮৬ এর মাধমে এবং ১৪ই আগষ্ট ১৮৮৮ইং বোম্বাই গভার্মেন্ট চিঠি নং-৭৩২ এর মাধ্যমে এবং ১৫ই আগষ্ট ১৮৮৮মাদ্রাজ গভার্মেন্ট চিঠি নং ১২৭ এর মাধ্যমে এবং ৪ঠা মার্চ ১৮৯০ইং বাঙ্গাল গভার্মেন্ট চিঠি নং-১৫৫ এর মাধ্যমে দরখাস্তকারী মৌলভী আবু সাইদ মুহাম্মদ বাটালভীকে অবহিত করা হয়। (এশায়াতুস সুন্নাহ, পৃ:৩২-৩৯, সংখ্যা:২, খ:১১)

প্রিয় পাঠক:
কোন মুসলিম জামাতের নাম অমুসলিম, মুসলামানদের চিরশত্রু খৃষ্টান নাছারাদের মাধ্যমে বরাদ্দ করা ঘটনা ইসলামী ইতিহাসের পৃষ্ঠায় বিরল। যা কেবল হিন্দুস্তানী গাইরে মুক্বাল্লিদদেরই গৌরব ও সৌভাগ্যের বিষয় (!!!!!!!!) তাই তারা এ ইতিহাসটা অত্যন্ত গৌরবের সহিত নিজেরদের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করে তৃপ্তি লাভ করেছেন।

Mahfujur Rahman

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shaik Usman bin Rashid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category


Other Video Creators in Sylhet

Show All