Shaik Usman bin Rashid

Shaik Usman bin Rashid আকিদায় আশ'আরি, মাতুরিদী।
মাযহাব "ফিক্বহে হানাফি" অনুসারি।

ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,অলিদের কারামাত বিষয়ে আহলুস সুন্নাহর মতাদর্শ(قول أهل السنة والجماعة في كرامات الأولياء)ومن أصول أه...
28/12/2024

ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
অলিদের কারামাত বিষয়ে আহলুস সুন্নাহর মতাদর্শ
(قول أهل السنة والجماعة في كرامات الأولياء)
ومن أصول أهل السنة والجماعة التصديق بكرامات الأولياء، وما يجري الله على أيديهم من خوارق العادات في أنواع العلوم والمكاشفات، وأنواع القدرة والتأثيرات - كالكشوف في سابقة العمر في سورة الكهف، وغير ذلك من أنواع الكرامات التي تقع بيدهم.

অনুবাদ: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'তের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে—(আল্লাহর) অলিদের কারামাতের সত্যতা স্বীকার করা। মহান আল্লাহ তাঁদের (অলিদের) হাতের মাধ্যমে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা, ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন প্রকার জ্ঞান, ঘটনা প্রকাশ এবং বিভিন্ন প্রভাব ও ক্ষমতা দেখিয়ে থাকেন। যেমন পূর্ববর্তী জাতিগুলোর মধ্যে সংক্ষিপ্ত কারামাত সূরা কাহফে ও অন্যান্য স্থানে বর্ণিত হয়েছে। এভাবে এই উম্মতের প্রথম যুগের সাহাবি, তাবিঈন এবং পরবর্তীতে জামানাসমূহে উম্মতের সকল যুগের মধ্যে কারামাত প্রকাশিত হয়েছে (যা বর্ণিত হয়েছে বিশুদ্ধ সূত্রে)। কেয়ামত পর্যন্ত এই উম্মতের মধ্যে উক্ত কারামাত অবশিষ্ট থাকবে। (আকিদা ওয়াসিতিয়্যা- ৩০৮ পৃষ্টা)

28/12/2024

কথিত সালাফিদের দলেই এমন জেনারেল ফালতু বক্তা থাকে।

ইবনে হাজার আসকালানী রহ. একটি হাদিসের ব্যাখ্যাই বলেন,قال الحافظ ابن حجر العسقلاني رحمه الله: قوله صلى الله عليه وسلم:  «إ...
26/12/2024

ইবনে হাজার আসকালানী রহ. একটি হাদিসের ব্যাখ্যাই বলেন,
قال الحافظ ابن حجر العسقلاني رحمه الله: قوله صلى الله عليه وسلم: «إذا اتيت مضجعك فتوضأ وضوءك للصلاة » له فوائد: منها: أن يبيت على طهارة لئلا يبغته الموت فيكون على هيئة كاملة, ويؤخذ منه الندب إلى الاستعداد للموت بطهارة القلب لأنه أولى من طهارة البدن. طرق لذكر الموت

رابط المادة: http://iswy.co/e2e1q

অর্থ: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: "যখন তুমি তোমার শয্যায় যাবে, তখন তোমার নামাজের জন্য যে ওযু করো, সেই ওযু করো।"

ফায়দা ও শিক্ষা:

১. পবিত্র অবস্থায় ঘুমানোর গুরুত্ব:

রাতে পবিত্র অবস্থায় ঘুমানো সুন্নত। কারণ, যদি হঠাৎ মৃত্যু আসে, তবে সে পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে পারবে।

২. আত্মার প্রস্তুতি:

শুধু বাহ্যিক পবিত্রতা নয়, হৃদয়েরও পবিত্রতা বজায় রাখা জরুরি। কারণ, আত্মার পবিত্রতা শারীরিক পবিত্রতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।

৩. মৃত্যুর স্মরণ:

ঘুমকে ছোট্ট একটি মৃত্যু বলা হয় (আল-মাউত আস-সুঘরা)। তাই শোবার আগে ওযু করা এবং দোয়া পড়া মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি ও আত্মশুদ্ধির অংশ।

মৃত্যুর স্মরণে উপায়:

১. প্রতিদিন হিসাব করা:

সারাদিনের কাজের হিসাব নেওয়া এবং তওবা করা।

২. অন্তর পরিষ্কার রাখা:

হিংসা, অহংকার ও বিদ্বেষ মুক্ত থাকা।

৩. নিয়মিত দোয়া ও ইস্তিগফার:

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য আমল করা।

৪. দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কমানো:

মৃত্যুর পরের জীবনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।

উপসংহার: এই হাদিস আমাদের শেখায় যে, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা বজায় রাখা এবং মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা মুমিনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য একটি মূল্যবান নির্দেশনা।

সহিহ মুসলিমের হাদিস থেকেই তিন রাকাত বিতরের দুই রাকাতে তাশাহহুদের বৈঠক প্রমাণিত!!1719 - أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْي...
25/12/2024

সহিহ মুসলিমের হাদিস থেকেই তিন রাকাত বিতরের দুই রাকাতে তাশাহহুদের বৈঠক প্রমাণিত!!

1719 - أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي : عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِذَا أَوْتَرَ بِتِسْعِ رَكَعَاتٍ لَمْ يَقْعُدْ إِلَّا فِي الثَّامِنَةِ، فَيَحْمَدُ اللهَ وَيَذْكُرُهُ وَيَدْعُو، ثُمَّ يَنْهَضُ وَلَا يُسَلِّمُ، ثُمَّ يُصَلِّي التَّاسِعَةَ فَيَجْلِسُ، فَيَذْكُرُ اللهَ وَيَدْعُو، ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً يُسْمِعُنَا، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، فَلَمَّا كَبِرَ وَضَعُفَ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ، لَا يَقْعُدُ إِلَّا فِي السَّادِسَةِ، ثُمَّ يَنْهَضُ، وَلَا يُسَلِّمُ فَيُصَلِّي السَّابِعَةَ، ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ».سنن النسائي - ٣ ‏/ ٢٤٠ ,صحيح مسلم - ط التركية - ٢ ‏/ ١٦٨
সনদ: হিশাম>কাতাদাহ>যুরাআহ্>সাদ ইবনে হিশাম>আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ যখন নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করতেন কেবলমাত্র অষ্টম রাকআতেই বসতেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা,যিকির ও দোয়া করতেন (তাশাহ্হুদ পড়তেন)। তারপর উঠে যেতেন এবং সালাম ফিরাতেন না। অতঃপর নবম রাকআত আদায় করতেন এবং বসে যেতেন ও আল্লাহ তাআলার যিকির ও দোয়া করতেন (তাশাহহুদ,দরুদ ও দোয়া পড়তেন) তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমারা শুনতে পেতাম। অতঃপর বসা অবস্থায় আরো দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। যখন তাঁর বয়স বেড়ে গেল এবং দুর্বলতা এসে গেল তখন সাত রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিতেন, শুধুমাত্র ষষ্ঠ রাকআতেই বসতেন। তারপর (তাশাহহুদ পড়ে) উঠে যেতেন এবং সালাম ফিরাতেন না। অতঃপর সপ্তম রাকআত আদায় করতেন তারপর (তাশাহহুদ,দরুদ ও দোয়া পড়ে) সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। [সুনানে আন-নাসায়ী হাদিস নং ১৭১৯, সহীহ মুসলিম হা/৭৪৬]

দলিল গ্রহণের দিক :

উক্ত হাদিসটি বাহ্যিক দিক থেকে এক সালামে একটানা ৭/৯ রাকাতের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও উক্ত হাদীসটি আরো অন্যান্য শাখায় যেগুলো বর্ণিত হয়েছে সেগুলো সামনে আনলে সেখানে সুস্পষ্টভাবে তিন রাকাত বিতির এবং তাহাজ্জুদের নামাজ দু দু রাকাত ছিল, এটা প্রতিয়মান হয়। নিম্নে একই হাদিসের শাখা সনদের তিনটা হাদিস দৃষ্টব্য যেখানে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু বিতিরের অংশ উল্লেখ আছে।

١١٤٠ - مَا أَخْبَرْنَاهُ أَبُو نَصْرٍ أَحْمَدُ بْنُ سَهْلٍ الْفَقِيهُ بِبُخَارَى، ثنا صَالِحُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَبِيبٍ الْحَافِظُ، ثنا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، ثنا أَبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يُوتِرُ بِثَلَاثٍ لَا يُسَلِّمُ إِلَّا فِي آخِرِهِنَّ» المستدرك على الصحيحين للحاكم - ط العلمية - ١ ‏/ ٤٤٦
১. সনদ: আবান>কাতাদাহ>যুরাআহ্>সাদ ইবনে হিশাম>আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুল সাঃ তিন রাকাত বিতির পড়তেন,এতে সর্বশেষ রাকাত ছাড়া সালাম ফিরাতেন না।[আল মুসতাদরাক লিল হাকিম,হা/১১৪০] সনদ সহিহ

١٦٩٨ - أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ «كَانَ لَا يُسَلِّمُ فِي رَكْعَتَيِ الْوِتْرِ» سنن النسائي - ٣ ‏/ ٢٣٤
২. সনদ: সায়ীদ>কাতাদাহ>যুরাআহ্>সাদ ইবনে হিশাম>আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুল সাঃ বিতিরের দুই রাকাতে সালাম ফিরাতেন না। [সুনানে নাসায়ী, হা/১৬৯৮] সনদ সহিহ

٢٥٢٢٣ - حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَعْفُرَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ: «أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ........ ثُمَّ أَوْتَرَ بِثَلَاثٍ لَا يَفْصِلُ فِيهِنَّ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، يَرْكَعُ وَهُوَ جَالِسٌ، وَيَسْجُدُ وَهُوَ قَاعِدٌ جَالِسٌ» مسند أحمد - ط الرسالة - ٤٢ ‏/ ١٢٥
قال الدارقطني : (يَزِيدَ بْنِ يَعْفُرَ) قال البرقاني عنه : بصري ، معروف ، يعتبر به .سؤالات البرقاني للدارقطني
قال ابن حبان: ذكره في طبقة أتباع التابعين من كتابه (الثقات) .

৩. সনদ: হাসান>সাদ ইবনে হিশাম> আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, অতঃপর রাসুল সাঃ তিন রাকাত বিতির পড়তেন, (এতে দু রাকাতে) সালাম ফিরিয়ে পার্থক্য করতেন না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২২৩] সনদ হাসান।

উপরের তিনটা হাদিস থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় সর্বপ্রথম হাদিসে রাসুল সাঃ সাত বা নয় রাকাত দিয়ে বিতির করতেন,এখানে শেষের তিনটা রাকাত ছিল বিতির বিষয়ক।অর্থাৎ, সাত রাকাতের ভিতর পাঁচ,ছয় ও সাত রাকাত হচ্ছে বিতিরের তিন রাকাত।

সুতরাং সহীহ মুসলিমের হাদিসটি ব্যাখ্যা করলে এমনটি আসে,

➡️ ষষ্ঠ রাকাতে বসতেন এখানে সালাম ফিরতেন না_ এর অর্থ হচ্ছে বিতিরের দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদের জন্যে বসতেন এতে সালাম ফিরতেন না।
➡️ এরপর সপ্তম রাকাত আদায় করে বসে এখানেই সালাম ফিরাতেন_ এর অর্থ হচ্ছে বিতিরের তৃতীয় রাকাতে বসে এখানেই সালাম ফিরাতেন।

ঠিক একইভাবে নয় রাকাতের বিষয়টিও এভাবে- সাত, আট ও নয় রাকাত হচ্ছে বিতির এর তিনটি রাকাত।

➡️ অষ্টম রাকাতে বসতেন এতে সালাম ফিরাতেন না_এর অর্থ হচ্ছে বিতির এর দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদের জন্যে বসতেন এতে সালাম ফিরাতেন না।
➡️ এরপর উঠে নবম রাকাত আদায় করে বসতেন এখানেই সালাম ফিরাতেন_ এর অর্থ হচ্ছে বিতির এর তৃতীয় রাকাতে বসতেন এখানেই সালাম ফিরাতেন। যেমনটা হানাফী মাজহাবের বিতির এর নিয়ম। অতএব সহিহ মুসলিম এর হাদিস থেকেই হানাফীদের বিতির এর দলিল প্রমাণিত হলো।

এবং সেই সাথে এটাও প্রমাণিত হলো যে,সাত রাকাতের মধ্যে চার রাকাত তাহাজ্জুদ এবং নয় রাকাতের মধ্যে ছয় রাকাত তাহাজ্জুদ।আর এ তাহাজ্জুদের নামাজে দু দু রাকাত করে ছিল। যার দলিল উক্ত একই হাদীস ভিন্ন কয়েকটি শাখায় বর্ণিত হয়েছে।নিম্নে দুইটি শাখা তুলে ধরছি।

٢٥٢٢٣ - حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَعْفُرَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ: «أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ إِذَا صَلَّى الْعِشَاءَ دَخَلَ الْمَنْزِلَ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَهُمَا رَكْعَتَيْنِ أَطْوَلَ مِنْهُمَا، ثُمَّ أَوْتَرَ بِثَلَاثٍ لَا يَفْصِلُ فِيهِنَّ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ، يَرْكَعُ وَهُوَ جَالِسٌ، وَيَسْجُدُ وَهُوَ قَاعِدٌ جَالِسٌ» مسند أحمد - ط الرسالة - ٤٢ ‏/ ١٢٥.
قال الدارقطني : (يَزِيدَ بْنِ يَعْفُرَ) قال البرقاني عنه : بصري ، معروف ، يعتبر به .سؤالات البرقاني للدارقطني (صـ 145).
قال ابن حبان: ذكره في طبقة أتباع التابعين من كتابه (الثقات) .الثقات (7/630).

১. হাসান>সাদ ইবনে হিশাম>আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুল সাঃ এশার নামাজ আদায় করে বাসায় গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন অতঃপর আবার আগের থেকে একটু লম্বা করে দু রাকাত পড়তেন অতঃপর তিন রাকাত বিতির পড়তেন, মাঝে সালাম দিয়ে পার্থক্য করতেন না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২২৩] সনদ হাসান

١٦٧٤ - حَدَّثَنَا بَكَّارٌ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو حُرَّةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ ﷺ بِاللَّيْلِ، فَقَالَتْ: «كَانَ يُصَلِّي الْعِشَاءَ ثُمَّ يَتَجَوَّزُ بِرَكْعَتَيْنِ، وَقَدْ أَعَدَّ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللهُ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ، فَيَتَسَوَّكُ، وَيَتَوَضَّأُ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ، ثُمَّ يُوتِرُ بِالتَّاسِعَةِ. فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَأَخَذَهُ اللَّحْمُ، جَعَلَ تِلْكَ الثَّمَانِيَ سِتًّا، ثُمَّ يُوتِرُ بِالسَّابِعَةِ، ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ»
فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الثَّمَانِي الَّتِي يُوتِرُ بِتَاسِعَتِهِنَّ أَرْبَعًا فَجَمِيعُ ذَلِكَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنْهَا الْوِتْرُ الَّذِي فَسَّرَهُ زُرَارَةُ، عَنْ سَعْدٍ، عَنْ عَائِشَةَ وَهُوَ ثَلَاثُ رَكَعَاتٍ لَا يُسَلِّمُ إِلَّا فِي آخِرِهِنَّ فَقَدْ صَحَّتْ رِوَايَةُ سَعْدٍ عَنْ عَائِشَةَ وَثَابِتٌ عَلَى مَا ذَكَرْنَا. شرح معاني الآثار ١/‏٢٨٠ — الطحاوي
الألباني، صلاة التراويح (١٠٠) • إسنادهم صحيح, والشطر الأول من اللفظ الأول أخرجه مسـلم
২. সনদ: হাসান>সাদ ইবনে হিশাম>আয়েশা (রা.) বলেন:"রাসুল সাঃ এশার নামাজ পড়তেন এবং এর পরে দুই রাকাত হালকা নামাজ আদায় করতেন। তিনি মিসওয়াক এবং ওজুর প্রস্তুতি নিতেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা যখন তাকে রাতের নামাজের জন্য জাগাতেন, তিনি মিসওয়াক করতেন এবং ওজু করতেন। এরপর তিনি দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে আট রাকাত নামাজ আদায় করতেন, যার মধ্যে তিলাওয়াতে সমতা বজায় রাখতেন। এরপর নবম রাকাতে বিতর আদায় করতেন। যখন রাসুল সাঃ বার্ধক্যে উপনীত হন এবং শারীরিক ভার অনুভব করেন, তখন আট রাকাত নামাজ কমিয়ে ছয় রাকাত করেন এবং সপ্তম রাকাতে বিতর আদায় করতেন। এরপর তিনি বসে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন।" [শরহু মাআনিল আছার, হা/১৬৭৪. সনদ সহিহ]

এই দুই হাদিস প্রমাণ করছে রাকাতগুলো দুই দুই রাকাতে পড়া হত। এজন্য আমরা সর্বপ্রথমে সহীহ মুসলিমের উক্ত হাদিসে সাত রাকাত কিংবা নয় রাকাত নামাজ দুই দুই রাকাত ছিল এবং শেষের তিন রাকাত বিতির ছিল এটাই ব্যাখ্যা করি। আর এই ব্যাখ্যাটা একই হাদিসের অন্যান্য শাখাগুলি সামনে আনলে এটাই প্রস্ফুটিত হয়।এই হল হাদিসগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন যেটা কোনোটা আরেকটার বিরুদ্ধে না। আহনাফরা হাদিসগুলো মাঝে এমনটাই সমন্বয় করেছেন।

23/12/2024

এই সেই রক্তাক্ত জুলাই আগষ্ট যা আগে দেখানো হয়নি #জুলাই #আগস্ট #গণহত্যা

ইমাম ইবনুল ইমাদ হাম্বলী রহঃ লিখেছেন,فيجب على كل شافعي إلى يوم القيامة أن يعرف هذا لمحمّد بن الحسن ويدعو له بالمغفرة.কিয়...
23/12/2024

ইমাম ইবনুল ইমাদ হাম্বলী রহঃ লিখেছেন,
فيجب على كل شافعي إلى يوم القيامة أن يعرف هذا لمحمّد بن الحسن ويدعو له بالمغفرة.
কিয়ামত পর্যন্ত শাফেঈ মাযহাবের প্রত্যেক অনুসারীর উপর ইমামে কাবীর মুহাম্মাদ ইবনুল হাসানের জন্য মাগফিরাতের দু'আ করা ওয়াজিব। (শাযারাতুয যাহাব, ২/৪১২)

আরেকটি ভুল তাহকিক: বুকে হাত বাঁধার হুলোব আত তায়ী রাজি. এর হাদিস ,যেটা সাজ (পরিত্যক্ত হাদিসের অন্তর্ভুক্ত) সেটাকে হাসান ...
22/12/2024

আরেকটি ভুল তাহকিক:
বুকে হাত বাঁধার হুলোব আত তায়ী রাজি. এর হাদিস ,যেটা সাজ (পরিত্যক্ত হাদিসের অন্তর্ভুক্ত) সেটাকে হাসান হাদিস বলা হয়েছে। যেটা স্পষ্টত ভুল তাহকিক। অথচ এটাকে হাসান হাদিস বলা হচ্ছে আলবানী রাহ এর তাহকিক থেকে।

হাদিসটি এই...
সুফইয়ান সাওরী থেকে ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ:
٢١٩٦٧ - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي سِمَاكٌ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَنْصَرِفُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ، وَرَأَيْتُهُ، قَالَ، يَضَعُ هَذِهِ عَلَى صَدْرِهِ» وَصَفَّ يَحْيَى الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى، فَوْقَ الْمَفْصِلِ. مسند أحمد - ط الرسالة ٣٦/‏٢٩٩ —
ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ > সুফইয়ান সাওরী > সিমাক > কবিসাহ ইবনে হুলব > হুলোব আত তায়ী রাজি. বলেন আমি দেখেছি রাসুল সাঃ ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রেখে বুকের উপর রেখেছেন। মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৯৬৭_[হাদিসের মান : বুকের উপর অংশটুকু সাজ যা পরিত্যক্ত।]

মুহাক্কিকদের তাহকিক :
শুয়ায়েব আল আরনাউত, ইয়াসির ফাতহি,আল-দুবইয়ান রাহ বলেছেন على صدره বুকের উপর অংশটুকু সহীহ নয়,সাজ।
• قال شعيب الارنؤوط: صحيح لغيره دون قوله: «يضع هذه على صدره» مسند أحمد - ط الرسالة ٣٦/‏٢٩٩
• قال ياسر فتحي : فهاتان الزيادتان: «على صدره»، و«فوق المفصل» في هذا الحديث زيادتان ش*ذتان، غير محفوظتين. فضل الرحيم الودود تخريج سنن أبي داود ٨/‏٣٥١ —
• قال الدبيان: زيادة (يضع هذه على صدره) وقوله: (فوق المفصل) ليست محفوظة. الجامع في أحكام صفة الصلاة - الدبيان - ١ ‏/ ٦١٨ _________

হাদিসটির "يضع هذه على صدره/ বুকের উপর রাখলেন" এই অংশটুকু যে কারণে সাজ :

প্রথমত :

সুফইয়ান সাওরী থেকে কেবল ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ'ই বর্ণনা করেছেন এতে বুকের উপর কথাটি আছে কিন্তু এই হাদীসই আরেক বর্ণনায় সুফইয়ান সাওরী থেকে ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ বর্ণনা করেছেন সেখানে বুকের উপর কথাটি নেই। নিম্নের হাদিস দ্রষ্টব্য
সুফইয়ান সাওরী থেকে ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ:

١٠٢ - / ٢٣٤ ...حدثنَا يَحْيَى وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ الْهُلْبِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَنْصَرِفُ عَنْ شِقَّيْهِ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ وَيَضَعُ يَده الْيُمْنَى على الْيُسْرَى. مختصر الأحكام = مستخرج الطوسي على جامع الترمذي - ٢ ‏/ ٩٦

দ্বিতীয়ত :

এছাড়াও সুফয়ান সাউরী থেকে আরো অন্যান্য ছয় জন বর্ণনাকারী (ওয়াকি,আব্দুর রাজ্জাক,আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী,মুহাম্মদ ইবনে কাছীর,আব্দুস সামাদ ইবনে হাসসান,আল- হুসাইন ইবনে হাফস) রেওয়ায়েত করেছেন তাতে বুকের উপর কথাটি নেই। এ থেকে বোঝা যায় বুকের উপর এই কথাটি সাজ এবং এটা হাদিসের অংশ না সুতরাং যে হাদিস সাজ বা দলবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে সেটা কোনোভাবেই হাসান হাদিস হতে পারে না।

একই সনদে বর্ণিত নিম্নে ৬ টি হাদিস দেখুন যেখানে বুকের উপর অংশটি নেই।

১. সুফইয়ান সাউরী থেকে ওয়াকি
٣٩٣٤ - حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ» المصنف - ابن أبي شيبة - ت الحوت - ١ ‏/ ٣٤٢

২. সুফইয়ান সাউরী থেকে আব্দুর রাজ্জাক
٣٢٠٧ - عبد الرزاق عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يَنْصَرِفُ مَرَّةً عَنْ يَمِينِهِ، وَمَرَّةً عَنْ شِمَالِهِ، وَكَانَ يُمْسِكُ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ»
المصنف - عبد الرزاق - ت الأعظمي - ٢ ‏/ ٢٤٠

৩. সুফইয়ান সাউরী থেকে আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী
١١٠٠ - ...حَدَّثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ، نا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَسَّانِيُّ، ثنا وَكِيعٌ، ثنا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ وَاضِعًا يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ». سنن الدارقطني - ٢ ‏/ ٣٢

৪. সুফইয়ান সাউরী থেকে মুহাম্মদ ইবনে কাছীর
٤٢١ - ...حَدَّثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، ثنا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ يُمْسِكُ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ» المعجم الكبير للطبراني - ٢٢ ‏/ ١٦٤

৫. সুফইয়ান সাউরী থেকে আব্দুস সামাদ ইবনে হাসসান
٦٥٦٤ - ...حَدَّثنا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ حَسَّانَ، ثنا سُفْيَانُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يَنْصَرِفُ مَرَّةً عَنْ يَمِينِهِ، وَمَرَّةً عَنْ يَسَارِهِ، وَيَضَعُ إِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى فِي الصَّلَاةِ» رَوَاهُ شُعْبَةُ، وَإِسْرَائِيلُ، وَأَبُو الْأَحْوَصِ، وَشَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ نَحْوَهُ. معرفة الصحابة لأبي نعيم - ٥ ‏/ ٢٧٦٢

৬. সুফইয়ান সাউরী থেকে আল- হুসাইন ইবনে হাফস
٣٦٥٧ -...حدَّثَنا الحسينُ بنُ حَفصٍ قال: قال سُفيانُ: وحَدَّثَنا سِماكُ بنُ حَربٍ، عن قَبيصةَ بنِ هُلْبٍ، عن أبيه قال: كان النبىُّ ﷺ يَنصَرِفُ مَرَّةً عن يَمينِه، ومَرَّةً عن يَسارِه، ويَضَعُ إحدَى يَدَيه على الأُخرَى. السنن الكبرى - البيهقي - ت التركي - ٤ ‏/ ٤٠٩

তৃতীয়ত :

এই হাদিস যেমনটি সুফইয়ান সাওরী, সীমাক ইবনে হারব থেকে বর্ণনা করেছেন ঠিক একইভাবে সীমাক ইবনে হারব থেকে সু'বা, ইসরাইল,আবুল আহওয়াস,শারীক প্রমূখরা বর্ণনা করেছেন তাদের কারোরই রেওয়ায়েতে "বুকের উপর" অংশটুকু নেই। যেমনটা বলেছেন আবু নুয়ায়েম (রাহ) তাঁর মা'রিফাতুস সাহাবা গ্রন্থে ৫/২৭৬২।
رَوَاهُ شُعْبَةُ، وَإِسْرَائِيلُ، وَأَبُو الْأَحْوَصِ، وَشَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ نَحْوَهُ. معرفة الصحابة لأبي نعيم - ٥ ‏/ ٢٧٦٢

সুতরাং প্রমাণিত হলো উক্ত হাদীসে "বুকের উপর" অংশটুকু সহীহ নয় বরং সাজ।

— একটি হাদিছের তাহক্বীক।তালাকে ছালাছা সম্পর্কিত একটি ফতোয়া তে আত-তাহরীক্ব (আহলে-হাদিছ আন্দোলন বাংলাদেশ পরিচালিত) একটি হ...
22/12/2024

— একটি হাদিছের তাহক্বীক।

তালাকে ছালাছা সম্পর্কিত একটি ফতোয়া তে আত-তাহরীক্ব (আহলে-হাদিছ আন্দোলন বাংলাদেশ পরিচালিত) একটি হাদিছ দ্বারা দলিল দিয়ে বলেছেন এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে তা এক তালাক হিসেবে গণ্য হবে।

তারা এখানে নিজে তাহক্বীক করেন নাই, বরং শায়েখ নাসিরুদ্দীন আলবানীর তাক্বলীদ করার মাধ্যমে এই হাদিছকে হাসান বলেছেন, যা সঠিক নয়। আল্লাহ আমাদের দ্ব'ঈফ হাদিছ ও অন্ধ তাক্বলীদের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে সহীহ সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীন অনুসরণ করার তাওফীক দান করুক।

যাইহোক, শায়েখ আলবানী তার কিতাব সহীহ সুনান আবু দাউদ এ এই হাদিছকে হাসান বলেছেন। ইমাম হাকেম এটিকে মুসতাদরাক এ সহীহ বলেছেন কিন্তু যাহাবী তার সাথে একমত নন, এবং আমরা জানি যাহাবীর তাসদিক্ব ছারা হাকেমের একার হুকুম গ্রহনযোগ্য নয়।

قلت: حديث حسن في الباب، وصححه الحاكم، وردَّه الذهبي قائلًا: "الخبر خطأ، عبد يزيد لم يدرك الإسلام"، وقال: "المعروف أن صاحب القصة ركانة.

[ সহীহ সুনান আবু দাউদ, আলবানী ৬/৩৯৯ ]

এই হাদিছ সম্পর্কে শায়েখ শোআইব আরনাউত বলেছেন, সনদ টি দ্ব'ঈফ (إسناده ضعيف)। দেখুন সুনান আবু দাউদ, শোআইব আরনাউত এর তাহক্বীক ৩/৫১৮, হাদিছ নম্বর ২১৯৬।

এই হাদিছ দ্ব'ঈফ হবার কারণ —

ইবনে জুরাইজ এর রেওয়ায়েতে ইবহাম, আর মুবহাম হাদিছ দ্ব'ঈফ কারণ মুবহাম রাবি সিক্বাহ না গায়রে সিক্বাহ তা জানা নেই। এ তা ছারাও মুহাম্মদ ইবনে সাওর সান'আনীর বর্ণনায় তাঁর নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি হচ্ছেন মুহাম্মদ ইবনু উবাইদুল্লাহ ইবনে রাফি' যিনি গ্রহনযোগ্য নন।

ইমাম শামসুদ্দীন আয-যাহাবী (৭৪৮ হি.) বলেছেন : মুহাম্মাদ দুর্বল। তিনি আরো বলেন : এই রেওয়ায়েত ভুল, আবদু ইয়াযীদ ইসলাম গ্রহণ করেননি।

فيه محمد بن عبد الله بن أبي رافع وهو واه، والخبر خطأ عبد يزيد لم يدرك الإِسلام.

[ মুখতাসারুস সিদরাক, ইবনুল মুলাক্বিন ২/৯৬১ ]

এটি ইমাম আবদুর রাজ্জাক সান'আনী তাঁর মুসান্নাফ এ ইবনে সুরাইজ থেকে বর্ণনা করেছেন, এবং তার মাধ্যমে ইমাম আবু বকর বাইহাক্বী তাঁর সুনানুল কুবরা ৭/৩৩৯-এ বর্ণনা করেছেন।

ইমাম হাকেম নিশাপুরী তার মুসতাদরাক ২/৪৯১ এ মুহাম্মদ ইবনে সাও্য থেকে, ইবনে জুরাইজ থেকে, মুহাম্মদ ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে আবি রাফি থেকে, ইকরিমা থেকে, ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন।

ইমাম খাত্তাবী (৩৮৮ হি.) বলেন :

في إسناد هذا الحديث مقال، لأن ابن جريج إنما رواه عن بعض بني أبي رافع، ولم يسمه، والمجهول لا تقوم به الحجة. وحكي أيضًا أن الإمام أحمد بن حنبل كان يضعف طرق هذا الحديث كلها.

এই হাদীসের সানাদে কালাম (সমালোচনা) রয়েছে, কারণ ইবনু জুরাইজ এটি আবি রাফির বংশের সদস্য থেকে রেওয়ায়েত করেছেন, তবে তার নাম উল্লেখ করেননি, এবং মাজহুল ব্যক্তি দ্বারা বর্ণিত খাবার দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়াও, এটি থেকেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল এই হাদিছের সকল সনদই দুর্বল মনে করতেন।

— [ মা'আলিমুস সুনান, খাত্তাবী ৩/২৩৬ ]


হাফিজ ইবনু হাজার আসক্বালানী (৮৫২ হি.) বলেন :

إن أبا داود رجح أن ركانة إنما طلق امرأته البتة كما أخرجه هو من طريق آل بيت ركانة وهو تعليل قوي، لجواز أن يكون بعض رواته حمل البتة على الثلاث، فقال: طلقها ثلاثا، فبهذه النكتة يقف الاستدلال بحديث ابن عباس.

আবু দাউদ বলেছেন যে রুকানাহ তার স্ত্রীকৈ একবার তালাক দিয়েছিলেন, যেমনটি তার পরিবারের বর্ণনায় পাওয়া যায়। কারণ এটি সম্ভবত যে রাবী কেউ البتة (আল-বাত্তা, চুড়ান্ত) শব্দটিকে তিন তালাক হিসেবে বুঝেছিলেন এবং তাই বলেছিলেন, 'তিনি তাকে তিন তালাক দিয়েছেন'। সুতরাং এই সূক্ষ্ম বিষয়টির কারণে ইবন আব্বাস রা. এর হাদিছ দ্বারা দলীল প্রদান গ্রহনযোগ্য নয়।

— [ ফাতহুল বারী, ইবনু হাজার ৯/৩৬৩ ]

এই হাদিছ দ্ব'ঈফ হবার বিষয়ে আরো একটি কারণ, যেমনটি শায়েখ মুহাদ্দিছ আব্দুর রহমান মুআল্লিমি বর্ণনা বলেন :


معارضته بفتوى ابن عباس بوقوع الثلاث كما تقدم من رواية مجاهد وغيره؛ فلا يُظنُّ بابن عباس أنه كان عنده هذا الحكم عن النبي - صلى الله عليه وآله وسلم - ثم يفتي بخلافه إلا بمرجِّح ظهر له.

(এই হাদিছ) ইবনু আব্বাসের ফতোয়ার বিপরীত যে তিন তালাক একসাথে দেয়া যায়, যেমনটি (তার ছাত্র) মুজাহিদ এবং অন্যান্যরা রিওয়ায়াত করেছেন। তাই ইবনু আব্বাসের ব্যাপারে এমন ধারণা করা উচিত নয় যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একটি রায় পেয়েছিলেন কিন্তু নিজে তার বিপরীত ফতোয়া দিয়েছেন, যদি না কোনো স্পষ্ট দলিল পাওয়া যায়।

[ আল-ফাওয়াইদুল হাদিছ, মুআল্লিমি (পৃষ্ঠা ২১৬) ]

এই ফতোয়া (৩ তালাক দিলে ১ তালাক হয়) সম্পর্কে শায়েখ মুআল্লিমি আরো বলেন, "এটি একটি শায মাযহাব/রায়, তাই এর উপর আমল করা উচিত নয়।"
أنه مذهب ش*ذ فلا يعمل به.

[ আল-ফাওয়াইদুল হাদিছ, মুআল্লিমি (পৃষ্ঠা ২১৭) ]

এই হাদিছ সম্পর্কে শায়েখ শো'আইব আরনাউত বিস্তারিত আলোচনা করেন ইমাম আহমাদের মুসনাদ এর ২৩৮৭ নম্বর হাদিছের টিকায় যার দ্বারা এই হাদিছের দ্ব'ঈফ হওয়া সূর্যের আলোর মতো স্পষ্ট। তাই আমাদের উচিত নয় স্পষ্ট দলিলের বিপরীতে শায়েখ আলবানীর তাক্বলিদ করা।

21/12/2024

‘আব্বাদ তাম্মার বলেন,

আমি আবূ হানীফা (রহ.) কে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনার অবস্থা কী?” তিনি বললেন, “আল্লাহর অসীম রহমাতের ছায়ায় আছি।” আমি বললাম, “‘ইলমের কারণে?” তিনি বললেন, “আরে না! ‘ইলমের তো অনেক শর্ত-শারায়েত ও বিপদ রয়েছে, যা থেকে কম লোকই রক্ষা পায়!” আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তাহলে কীসের কারণে আপনার এ মর্যাদা?” তিনি বললেন, “লোকদের আমার এমন দোষচর্চার কারণে, যা আমার মাঝে ছিল না।”

حدثني أبي قال: حدثني أبي قال: حدثني محمد بن أحمد بن حماد قال: وحدثني محمد بن حماد قال: ثنا محمد بن إبراهيم الليثي قال: ثنا حسين ابن علي الجعفي قال: ثنا عباد التمار قال: رأيت أبا حنيفة في النوم فقلت: يا أبا حنيفة إلى ما صرت؟ قال: إلى سعة رحمته، قلت: بالعلم؟ قال: هيهات! للعلم شروط وآفات قل من ينجو، قلت: فبم ذلك؟ قال: لقول الناس في ما لم أكن عليه.
(ফাযাইলু আবী হানীফা, পৃ. ১৩৭)

17/12/2024

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (৭২৮ হি.) কে প্রশ্ন করা হলো, মৃত ব্যক্তির জন্য তার পরিবার কর্তৃক তিলাওয়াত করা কুরআন কি তার কাছে পৌঁছায়? এবং যখন তারা তার জন্য তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর পাঠ করে, তা কি তার কাছে পৌঁছায় এবং তার প্রতিদান পায়?

তিনি জবাবে বলেন : মাইয়্যাতের কাছে তার পরিবারের তিলাওয়াত করা কুরআন, তাসবীহ, তাকবীর এবং তাদের দ্বারা আল্লাহ তা'আলার যিকির সবই পৌঁছে যায় যদি তারা তা মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে। ওয়াল্লাহু আ'লাম।

عَنْ قِرَاءَةِ أَهْلِ الْمَيِّتِ تَصِلُ إلَيْهِ؟ وَالتَّسْبِيحُ وَالتَّحْمِيدُ وَالتَّهْلِيلُ وَالتَّكْبِيرُ إذَا أَهْدَاهُ إلَى الْمَيِّتِ يَصِلُ إلَيْهِ ثَوَابُهَا أَمْ لَا؟ . يَصِلُ إلَى الْمَيِّتِ قِرَاءَةُ أَهْلِهِ وَتَسْبِيحُهُمْ وَتَكْبِيرُهُمْ وَسَائِرُ ذِكْرِهِمْ لِلَّهِ تَعَالَى إذَا أَهْدَوْهُ إلَى الْمَيِّتِ وَصَلَ إلَيْهِ وَاَللَّهُ أَعْلَمُ.

—[ মাজমু' আল-ফাতওয়া, ইবনু তাইমিয়্যাহ ২৪/৩২৪ ]

আত্মশুদ্ধি (তাসফিয়া বা তাজকিয়া) হলো নিজেকে আধ্যাত্মিক ও নৈতিকভাবে পরিশুদ্ধ করা। এটি একজন ব্যক্তির আত্মা, মন এবং আচরণকে...
16/12/2024

আত্মশুদ্ধি (তাসফিয়া বা তাজকিয়া) হলো নিজেকে আধ্যাত্মিক ও নৈতিকভাবে পরিশুদ্ধ করা। এটি একজন ব্যক্তির আত্মা, মন এবং আচরণকে খারাপ প্রবণতা থেকে মুক্ত করে ভালো গুণাবলীতে সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া। আত্মশুদ্ধি অর্জনের কিছু ধাপ নিম্নরূপ:

১. নিজের ভুল ও দুর্বলতা স্বীকার করা

প্রথম ধাপ হলো আত্মসমীক্ষা করা। নিজের ভুল-ত্রুটি, খারাপ অভ্যাস এবং পাপের চর্চা সনাক্ত করা।

নিয়মিত আত্ম-জিজ্ঞাসা (মুহাসাবা) করা প্রয়োজন—"আজ আমি কোথায় ভুল করেছি?"

২. ইখলাস বা খাঁটি নিয়ত

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের শুদ্ধি অর্জনের ইচ্ছা রাখা।

নিজের ভালো কাজগুলো লোক দেখানোর জন্য না করে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য করা।

৩. জিকির ও দোয়ার চর্চা

আল্লাহর নাম স্মরণ (জিকির) এবং নিয়মিত দোয়া আত্মার শুদ্ধি আনে।

কুরআন তিলাওয়াত এবং হাদিস অধ্যয়ন আত্মশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

৪. পাপ থেকে বিরত থাকা

বড় পাপ যেমন—মিথ্যা বলা, গীবত করা, অহংকার করা, এবং হিংসা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

নফসের (আত্মার) খারাপ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা (জিহাদুন নফস)।

৫. ভালো গুণাবলী অর্জন করা

ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, উদারতা, এবং আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল (নির্ভরতা) বৃদ্ধি করা।

সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখার চর্চা করা।

৬. নিয়মিত ইবাদত

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো পড়া।

রোজা রাখা এবং দান-সদকা করা।

তাহাজ্জুদ নামাজ এবং অতিরিক্ত ইবাদত আত্মার শক্তি বৃদ্ধি করে।

৭. সৎ পরিবেশে থাকা

ভালো সঙ্গী এবং পরিবেশ বেছে নেওয়া, যা ঈমান এবং নৈতিকতার উন্নতিতে সাহায্য করে।

খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করা।

৮. ধৈর্য এবং আল্লাহর উপর ভরসা

আত্মশুদ্ধি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।

জীবনের পরীক্ষাগুলোকে আল্লাহর পক্ষ থেকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করা।

৯. মৃত্যু ও পরকালের কথা স্মরণ করা

নিজের কর্মের হিসাব দেওয়ার দিন সম্পর্কে সচেতন থাকা।

মৃত্যুর প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিদিন নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা করা।

১০. সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা

মানুষকে সাহায্য করা, দান করা, এবং তাদের প্রতি সদয় হওয়া—এগুলো আত্মাকে শুদ্ধ করে।

আত্মশুদ্ধি কোনো একদিনের কাজ নয়, এটি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সাধনার মাধ্যমে অর্জিত হয়। আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে এবং নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়েই এটি সম্ভব।

হানাফি মাজহাবে সাহু সিজদা পদ্ধতির দিলীলসমূহ ✅ তাশাহ্হুদের পর সালাম ফিরানোর দলিল:١٧٤ - مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُ...
14/12/2024

হানাফি মাজহাবে সাহু সিজদা পদ্ধতির দিলীলসমূহ

✅ তাশাহ্হুদের পর সালাম ফিরানোর দলিল:

١٧٤ - مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ، فَلَمْ يَدْرِ أَثْلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا، فَلْيَتَحَرَّ فَلْيَنْظُرْ أَفْضَلَ ظَنِّهِ، فَإِنْ كَانَ أَكْبَرُ ظَنِّهِ أَنَّهَا ثَلَاثًا قَامَ فَأَضَافَ إِلَيْهَا الرَّابِعَةَ، ثُمَّ تَشَهَّدَ، فَسَلَّمَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ، وَإِنْ كَانَ أَفْضَلُ ظَنِّهِ أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعًا تَشَهَّدَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ» الآثار لمحمد بن الحسن - ١ ‏/ ٤٥٤ - صحيح
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন: "তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নামাজে সন্দেহ করে, এবং বুঝতে না পারে যে সে তিন রাকাত পড়েছে নাকি চার রাকাত, তাহলে সে যেন সর্বোত্তম ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যদি তার বড় ধারণা হয় যে সে তিন রাকাত পড়েছে, তবে সে দাঁড়িয়ে চতুর্থ রাকাত সম্পন্ন করবে। এরপর তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরাবে এবং ভুলের জন্য দু’টি সিজদা (সিজদায়ে সাহু) করবে। আর যদি তার বড় ধারণা হয় যে সে চার রাকাত পড়েছে, তাহলে সে তাশাহুদ পড়ে সালাম ফিরাবে এবং তারপর সিজদায়ে সাহু করবে। উৎস: আল-আছার মুহাম্মদ ইবনে হাসান, হা/১৭৪, হাদিসের মান: সহীহ।

✅ সালাম একদিকে ফিরানোর দলিল:

সাহু সিজদায়ে তাশাহুদ শেষে ডান দিকে শুধু একবার সালাম ফিরিয়ে দুইটি সিজদা দিয়ে অতঃপর তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা শেষে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা।
সাভাবিক নামাজে ডানে বামে সালাম ফিরানোর কথা যেমন হাদীসে এসেছে ঠিক তেমনিভাবে শুধু একদিকে (ডানে) সালাম ফিরানোর বিষয়টিও এসেছে।

٢٩٦ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ «كَانَ يُسَلِّمُ فِي الصَّلَاةِ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً» تِلْقَاءَ وَجْهِهِ، ثُمَّ يَمِيلُ إِلَى الشِّقِّ الْأَيْمَنِ شَيْئًا.
سنن الترمذي - ت بشار ١/‏٣٢٧ —
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ সা: নামাযে এক সালামই ফিরাতেন, প্রথমে সামনের দিকে (শুরু করে) তারপর ডান দিকে কিছুটা মুখ ঘুরাতেন। সুনানে তিরমিযী, হা/২৯৬ হাদিসের মান: সহিহ।
٩٢٠ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ الْمِصْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ يَزِيدَ مَوْلَى سَلَمَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ صَلَّى، فَسَلَّمَ مَرَّةً وَاحِدَةً» سنن ابن ماجه - ت عبد الباقي ١/‏٢٩٧ —
সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সা.) কে সলাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি একবার সালাম বলেছেন। সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৯২০, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

এই হাদিসগুলো প্রমাণ করে সালাম একদিকে ফিরালেই যথেষ্ট তবে দুইদিকে ফিরানোও যায়। যেহেতু একদিকে ফিরালেই যথেষ্ট সেহেতু সাহু সেজদায় একদিকে সালাম ফিরানোও সুন্নাত হবে।

ইমাম শাফেয়ী রাহ বলেন,
قَالَ الشَّافِعِيُّ إِنْ شَاءَ سَلَّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَإِنْ شَاءَ سَلَّمَ تَسْلِيمَتَيْنِ. سنن الترمذي - ت بشار ١/‏٣٢٧ —
"যদি সে ইচ্ছা করেন, তবে একবার সালাম ফিরাবে, আর যদি ইচ্ছা করে, তবে দুইবার সালাম ফিরাবে।"
সুনানে তিরমিযী,১/৩২৭

✅ সালাম ফিরিয়ে আবার তাশাহহুদ পাঠের দলিল:

٣٩٥ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَشْعَثُ، عَنْ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ صَلَّى بِهِمْ فَسَهَا، فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ تَشَهَّدَ، ثُمَّ سَلَّمَ»، «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ» " سنن الترمذي - ت شاكر - ٢ ‏/ ٢٤٠
ইমরান ইবনে হুসাইন রাজি. মারফু হাদিস - ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়ে নামায পড়েন এবং এতে তাঁর ভুল হয়। অতপর তিনি দুটি সেজদা করেন। তারপর তাশাহহুদ পড়েন। তারপর সালাম ফিরান। সুনানে তিরমিযী, হাদীস ৩৯৫। হাদিসের মান:হাসান গরীব।

٤٤٥٩ - حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، حُصَيْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «فِيهِمَا تَشَهُّدٌ» المصنف - ابن أبي شيبة - ت الحوت - ١ ‏/ ٣٨٨ - صحيح
ইবনে মাসউদ রাজি. থেকে মাউকুফ হাদিস - ইবরাহীম নাখায়ী থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) রা. বলেছেন, সেজদা সাহুতে তাশাহহুদ হবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হা/ ৪৪৫৯। হাদিসের মান: সহিহ।

লা-মাযহাবীদের মস্তিষ্কবিহীন ঈলমের আস্ফালন: মাযহাব বিদ্বেষের নামে বিভ্রান্তির বাজার 🛒ইসলামের শৃঙ্খলাবদ্ধ মাযহাবী ব্যবস্থা...
13/12/2024

লা-মাযহাবীদের মস্তিষ্কবিহীন ঈলমের আস্ফালন: মাযহাব বিদ্বেষের নামে বিভ্রান্তির বাজার 🛒

ইসলামের শৃঙ্খলাবদ্ধ মাযহাবী ব্যবস্থাকে নিয়ে লা-মাযহাবী উগ্রবাদীদের অপপ্রচার এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা না শুধুই হাস্যকর, বরং দুঃখজনকও। এই তথাকথিত "কুরআন-হাদীসের একমাত্র অনুসারীরা" নিজেদের মনগড়া ফতোয়া ও যুক্তির নামে ইসলামের ভিত্তিকে অপমান করছে। আবু দাউদের হাদীসের একটি আরবী খণ্ডিত শব্দ ("মাযহাব") থেকে পায়খানার রাস্তা আবিষ্কার করে তারা নিজেদের "মহাজ্ঞানী" প্রমাণ করার এক মজার নাটক মঞ্চস্থ করেছে।

মাযহাব মানে পায়খানা? নিজের মূর্খতা ঢাকতে এতো বড় হাস্যকর যুক্তি! 😆

মাযহাবের অর্থ হলো "চলার পথ।" এটি ইসলামি শরীয়তের একটি গভীর ও পবিত্র পরিভাষা। কিন্তু এই লা-মাযহাবীরা নিজেদের অপব্যাখ্যা দিয়ে এমন হাস্যকর দাবিতে লিপ্ত যে মনে হয়, তাদের জন্য কুরআন-হাদীস শুধু নিজের ইচ্ছামতো খেলাচ্ছলে ব্যবহার করার বস্তু।

তাদের দাবি অনুযায়ী, মাযহাবের শাব্দিক অর্থ যেহেতু রাস্তা বা পথ, আর পায়খানায় যাওয়ার পথকেও রাস্তা বলা হয়, তাই মাযহাব মানে নাকি পায়খানার রাস্তা! এদের এই অদ্ভুত ব্যাখ্যা শুনে মনে হয়, এরা আসলে নিজেদের অজ্ঞতায় এতটাই নিমজ্জিত যে "মাযহাব" বলতে কী বোঝায় তা বুঝতে অক্ষম।

তাদের ফতোয়া: দ্বীনের নাম নিয়ে কমেডি শো?🙉

আসলে, এরা কুরআন-হাদীসের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা তো দূরে থাক, আরবী ভাষার মৌলিক জ্ঞানটুকুও এদের মধ্যে নেই। মাযহাববিদ্বেষী লা-মাযহাবীরা নিজেরা কুরআন-হাদীস বোঝার যোগ্যতা রাখে না, অথচ চার মাযহাবের ফকীহদের শতাব্দীর শ্রম ও গবেষণাকে "পায়খানার পথ" বলে তুচ্ছ করে। মূর্খতার এত বড় উদাহরণ খুঁজতে হলে, বর্বরতার অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে হবে।

যারা আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ)-এর নামে মিথ্যারোপ করে তাদের দুঃসাহস এখানেই শেষ নয়। নিজেরা আলেমদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র হাদীসকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করে মিথ্যারোপ করছে। তাফসিরে কুরতুবীর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই ধরনের লোকদেরকে "উম্মাহর বিভক্তির কারণ এবং দ্বীনের শত্রু" বলা হয়েছে। আসলে এরা নিজেরাই বুঝতে পারে না যে, ইসলামের চলার সঠিক পথ মানেই মাযহাব। যারা মাযহাবকে পায়খানার রাস্তা বলে, তাদের নিজেদের পথই আসলে সেই অন্ধকার পঙ্কিল গর্তের দিকে নিয়ে যায়।

তাদের গন্তব্য: বিভ্রান্তির চূড়ান্ত সীমা 🤷‍♂️

এদের বক্তব্যগুলো শুনলে মনে হয়, এরা যেন দ্বীনকে খেলাধুলার বস্তু বানিয়ে ফেলেছে। নিজেদের অহংকার, অজ্ঞতা, এবং গোঁড়ামির পাহাড়ে দাঁড়িয়ে তারা অন্যদেরকে "মূর্খ" বলছে। কিন্তু এদের পুরো কর্মকাণ্ডই মূর্খতার জ্বলন্ত উদাহরণ ছাড়া আর কিছু নয়।

এই মাযহাববিদ্বেষীদের জন্য একটাই বার্তা:
"তাদের জ্ঞান যদি এতটাই গভীর, তাহলে তারা কেন নিজেদের বিভ্রান্তি থেকে বের হতে পারছো না? কেন তারা নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে উম্মাহকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছো?"

বাস্তবতা: মাযহাব ছাড়া দ্বীন অসম্ভব 🌀

ইসলামি শরীয়ত একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই কাঠামোই হলো মাযহাব। লা-মাযহাবীরা নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে এই কাঠামো ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। এদের থেকে সতর্ক থাকা জরুরি।

মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান 📮

এই বিভ্রান্তি থেকে বাঁচতে হলে আলেমদের অনুসরণ করুন, মাযহাব মানুন এবং এই তথাকথিত লা-মাযহাবীদের মতো বিভ্রান্ত পথ ছেড়ে ইসলামের সঠিক পথে ফিরে আসুন।

জাহিদুল ইসলাম জনি (হানাফী ফিক্বহ)

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shaik Usman bin Rashid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category