02/10/2024
পরি যখন দুষ্টু মিষ্টি বন্ধু
পর্ব : ৩
লেখক : রাকিব আহমেদ
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে
যাই হোক এটা নিয়ে করিরাজ কে সমস্যা করার কারণে রিফাত একটু ভালো ছিল ।
তখন করিরাজ আর চিকিৎসা করতে পারবে না বলে জানান,কারন চিকিৎসা করতে গিয়ে তিনি নিজেই এখন সমস্যার মধ্যে পরে যাচ্ছে। তখন কি করবে রিফাত এর পরিবার কিছু বুঝতে পারছি লো না । কারণ আর কিছু দিন পরেই রিফাত এর পিএসসি পরীক্ষা। অনেক দূরে আমাদের জেলার বাইরে পাবনাতে একজন হুজুর এর খোঁজ পাওয়া যায় এক রিলেটিভের মাধ্যমে তখন তার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি প্রথমেই রিফাত এর সাথে কথা বলতে চান তখন হুজুর রিফাত এর সাথে কথা বলেন।
হুজুর: কেমন আছ বাবা
রিফাত: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি
হুজুর: পড়াশোনা কেমন চলছে
রিফাত: ভালো
হুজুর:আচ্ছা রিফাত তোমার কোন ভয় নাই তোমার কি কি সমস্যা বা কি দেখ বল সমস্যা নাই,আর ঘরের সব বাইরে বের করে দেন রিফাত এর মা ,মামি সহ কাছের কিছু লোক জন বাদে। এখন বল
রিফাত: আমার তো কিছু হয় নাই কিন্তু মাঝে মাঝে শরীর খুব খারাপ লাগে আর মধ্যে মধ্যে আমি যখন একা থাকি তখন আমার মনে হয় আমার আশেপাশে কেউ আছে কিন্তু আমি তখন কেউকে দেখি না
হুজুর: সপ্নে কিছু দেখ না
রিফাত: না
হুজুর: ওর কয়দিন পর পর এমন হয় রিফাত এর মা কে জিজ্ঞেস করল
মা: ঠিক নাই সপ্তাহে দুই দিন তিন দিন আবার সাত দিন হয়ত ভালো থাকে ঠিক নাই হঠাৎ করে হয়
হুজুর: এখন তো যোহরের আযান দিবে সব নামাজ পড়ব আমি তোমরা সন্ধার পর আসো তখন দেখি কি করা যায়
তারপর সবাই চলে আসে এবং সন্ধ্যা বেলায় আবার চলে আসে তখন হুজুর বলে আমি পরি কে ডাকব এখন যদি আসে তাহলে এখনি কথা বলব দেখি কি বলে । তারপর হুজুর রিফাত কিছু দোয়া কালাম পড়ে ফুঁ দেন আর হাতে একটা চাটকি দেন (চাটকি টি দেখতে কিছুটা হাতে
তাঁত বোনার সময় একটা মোমের গোল চাটকি থাকে ওইকরম )এটা দেন যাতে পরি টা রিফাত এর শরীরে আসতে না পারে। তারপর তিনি পরি টিকে থাকেন তখন ওই তখন ওই ঘরে রিফাত, রিফাতের মা , বাবা,নানী ও এক মামী উপস্থিত ছিল।এবং পরিটি বেশ কিছুটা সময় পর আসে ।