06/03/2022
⭐ফ্রিল্যান্সিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
✔️ধারাবাহিকতার ০১পর্ব
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশই এখন তরুণ। আর তরুণরাই পারে একটি দেশের অর্থনীতির গতি পরিবর্তন করতে। মোট জনসংখ্যার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন বেশি, যা জনসংখ্যার প্রায় ৩২ শতাংশ ২০১৫ - ২০১৬ সালের মধ্যে এটা ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে। কোনো দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যখন আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি থাকে তখন তাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (Demographic Dividend) বা ডেমোগ্রাফিক বোনাস (Demographic Bonus) বলে। এ অবস্থাকে আবার উইন্ডোজ অব অপরচুনিটিও (Windows of Opportunity) বলা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কোনো দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনাময় দুয়ার খুলে যেতে পারে। আর যদি সঠিক সময়ে তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো না যায় তাহলে তা যেকোনো দেশের জন্য বোঝা ও মারাত্মক বিপদের কারণ হবে। বাংলাদেশের এই শিক্ষিত বিপুল কর্মক্ষম জনগণকে অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজের যোগ্য হিসেবে অথবা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তোলা অন্যতম ফলপ্রসু সমাধান হতে পারে।
আউটসোর্সিং (Outsourcing) হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে কোনো প্রকল্পের অংশ বিশেষ অথবা সমগ্র প্রকল্প। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাজ করে থাকেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার স্বীমাবদ্ধ নয়। কোম্পানিগুলো সাধারণত আউটসোর্সিং করে উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন - Web Development, Software Development, Writing & Content, Design, Multimedia & Architecture, SEO/SEM/SMM, Data Entry ইত্যাদি) আউটসোর্সিং করা হয়। যেসকল দেশ এই ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়েশিয়া, মিশর এবং আরো অনেক দেশ।