11/08/2023
উত্তম কুমার - সুচিত্রা সেনের বিয়ে কেনো হলো না!
স্টার আনন্দ প্রতিবেদক : যুগের পর যুগ পেরোলেও বাঙালি চলচ্চিত্র দর্শকরা কিন্তু রোম্যান্টিসিজম প্রেমী। আর বাংলা চলচ্চিত্রে সব চাইতে রোম্যান্টিক জুটির খোঁজ করতে বসলে সবার আগে তাদের কাছে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের নামই উঠে আসবে। বাঙালি যতই আধুনিক হয়ে উঠুক না কেন, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ কিংবা ‘তুমি না হয় রহিতে কাছে’র মতো গান শুনলে আজো স্মৃতিপ্রবণ হয়ে ওঠে মন। সবাই তাই স্মৃতি রোমন্থনে মজেন। বিশেষ করে কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্রের অমর জুটি উত্তম - সুচিত্রাকে নিয়ে।
কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্র জগতে নিত্য নতুন অনেক ‘মহানায়ক’ ‘মহানায়িকা’ আসলেও চলচ্চিত্রপ্রেমী বাঙালির কাছে এই দুটো তকমা শুধুই যেনো উত্তম সুচিত্রার জন্যই বাঁধা রয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের দুই মহারথী ছিলেন এরা দু'জন। একসঙ্গে প্রায় ২২ বছর অভিনয় করেছিলেন উত্তম - সুচিত্রা জুটি। একসঙ্গে তারা ৩০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে গেছেন।
অনস্ক্রিন রসায়নের পাশাপাশি উত্তম - সুচিত্রার ব্যক্তিগত জীবনের রসায়ন নিয়েও একই রকম চর্চা হয়। এত বছর পরেও দু'জনের পর্দার পেছনের সম্পর্ক নিয়ে কৌতূহলী আমজনতা। তবে অন্য কোনো রকম সম্পর্কের আগে তারা খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। সুচিত্রার কাছে উত্তম কুমার ছিলেন ‘উতু’ আর মহানায়কের কাছে তিনি ছিলেন ‘রমা’।
এদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের কারণেই হাসি, ঠাট্টা তো ছিলই। তেমনি ছিল উত্তম - সুচিত্রার সম্পর্ক। শোনা যায়, একবার নাকি সুচিত্রাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন উত্তম কুমার! মহানায়িকার বাড়িতেই নাকি একথা তুলেছিলেন তিনি। “রমা, তোমার সঙ্গে যদি আমার বিয়ে হতো ?” উত্তম কুমারের প্রশ্নে সুচিত্রা সেন নাকি উত্তর দিয়েছিলেন, “একদিনও টিকতো না সেই বিয়ে। কারণ তোমার আর আমার ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত স্বতন্ত্র। সেখানে সংঘাত হতোই। তুমি চাইতে তোমার সাফল্য, আমি চাইতাম আমার। এমন দু'জন বিয়ে করলে খুব বাজেভাবে ভেঙে যেত।”
আবার দুজনের মধ্যে বিবাদও কম লাগতো না। দু'জনে মান অভিমানের পালায় শুটিংও নাকি বন্ধ হয়ে যেতো। শোনা যায়, উত্তম - সুচিত্রার মধ্যে বিবাদের কারণেই নাকি এই জুটির ‘সপ্তপদী’ ছবির শুটিং অনেকদিন আটকে ছিল।