17/11/2024
খাজা এনায়েতপুরীর (র.) তরিকায় পাঁচ ওয়াক্ত নামায কায়েম করার ওপর জোর তাগিদ যেমন আছে, তেমনি আল্লাহকে অধিকমাত্রায় স্মরণের উদ্দেশ্যে যিকরের কথা বলা হয়েছে। যিকর প্রধাণত
দু’প্রকার- যিকরে জলি আর যিকরে খফি। প্রথমটি সশব্দে যিকর, আর শেষেরটি মনে মনে বা নীরবে যিকর। যিকরে জলিকে চিশতিয়া ও কাদেরীয়া তরিকায় অনুশীলন করা হয়, আর যিকরে খফি নকশেবন্দিয়া তরিকায় পালন করা হয়। খাজা এনায়েতপুরীর তরিকা চার তরিকার সমন্বয় সাধন করেছে। খাজা এনায়েতপুরী (র.) স্পষ্টভাবে
বলেছেন যে, 'এই তরিকায় মৌখিক যিকর বা উচ্চস্বরে যিকরের নিয়ম নাই। তবে, অতিরিক্ত ফায়েজ নাজেল হওয়ার জন্য যদি বেএখইতয়ারীতে উচ্চস্বরে যিকর থাকে তাতে কোন দোষ নাই। কারণ, উহা বেএখতিয়ারী অবস্থায় হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ- শ্রদ্ধেয় ড. Golam Dastagir স্যার রচিত "বাংলাদেশে সুফিবাদ" গ্রন্থ