14/08/2023
আমার বিয়ের সাতদিন পরে যখন সমুদ্রে যাওয়ার প্ল্যানিং করছিলো আমার স্বামী,ঠিক তখন আমার কাকি শাশুড়ী বলেছিলো নতুন বউ নিয়ে সাগরে যাবি?তোর কি মাথা খারাপ?
তোর বউ তো শাড়ির কুঁচি,আঁচল ঠিক করে ধরতে জানে না।তাকে নিয়ে সাগরে গিয়ে অনাসৃষ্টি করবি নাকি বাপু!
এই ভয়ে শাশুড়ী আর আমাদের সাগরে যেতে দেয়নি তখন।
প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে বর কাউকে না বলে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য টিকেট কেটে আনে।
ঠিক সেই সময় আমার মেজ ভাসুরের মেয়ের জন্মদিনের গোটা চারদিন বাকি থাকা সত্ত্বেও বাড়ির কেউ আমাদের পাহাড়ে যাওয়া টাকেও সাপোর্ট করেনি।
সেটাও বাতিল হয়ে যায় সংসারের সকলের মতামতের উপর।
তার পরের বছর আমি মাতৃত্বের জার্নি শুরু করি।বাচ্চা ছোট ছোট বলে আর কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি।
তারপর একদিন পুরো পরিবার মিলে যখন ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং করে সেখান থেকে আমি সরে দাড়াই।আমার সাগর পাহাড়ে যাওয়ার ইচ্ছে মরে যায় ততদিনে।
লং জার্নি,দুটো মানুষকে চেনার সেই দৃশ্য আমার সংসারের চাপে পথভ্রষ্ট হয়।আমাদের তথাকথিত হানিমুন হওয়ার বয়স সময় পেরিয়ে যায়।
একটা সময় বয়স হয়ে যায়।হাঁটুর ব্যথা,ডায়বেটিসে শরীর বিকল হওয়ার সময় চলে আসে।প্রচন্ড ইচ্ছে শক্তি থাকা সত্ত্বেও সাগর-পাহাড় আর হাতছানি দিয়ে ডাকে না আমায়।
উপরের গল্পটা শুনে কি মনে হলো?
এমন টা হয় না এখন আর?
হয় অনেক পরিবারেই এমন কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যেকে তার নিজের অস্তিত্বকে ভুলতে শেখায়।শখ,আল্হাদ করার বয়সে বাস্তবতা দেখায়।
তবে বিশ্বাস করুন এসবকে তুড়ি মেরে নিজের জন্য বাঁচা উচিত।
দুটো মানুষ যখন একসাথে থাকার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি হয় তখন তাদের প্লিজ সাহায্য করুন।এটা হবে না,ওটা করা যায় না বলে থামিয়ে দিবেন না দয়া করে।
কারো শখকে মেরে ফেলার মতো অপরাধ করা থেকে বিরত থাকুন।অন্যের জীবনে নিজের মতামত চাপিয়ে দিয়ে সংসারে অশান্তি ডাকবেন না।
নিজে ভালো থাকুন,অন্যেকে ভালো রাখুন।
Collected