27/07/2022
মৃত্যুর পরে মায়ের চিঠি,,,,,।
মা মারা জাবার কিছু দিন পরে,,, মায়ের ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মায়ের হাতের লেখা একটি চিঠি পায় তার ছেলে,,,,।। চিঠিতে লেখা থাকে,,, খোকা এই চিঠি যখন তোর হাতে পরবে তখন আমি তোর কাছ থেকে অনেক দুরে চলে যাবো,,, যেখান থেকে কেউ কোনো দিন ফিরে আসে না,,,,। খোকা তোর অনেক কথা মনে নেই,,, তাই এই চিঠিতে লিখে গেলাম তোর মনে না থাকা সেই কথা গুলি,,,,। তুই যখন ছোট ছিলি একবার তোর জ্বর এসেছিলো,,, আমি তিন রাত ঘুমাতে পারি নি তোকে বুকে নিয়ে বসে ছিলাম,,, কারন তোকে বিছানায় শোয়ালেই তুই কেঁদে উঠতি,,,তোর বাবা আমাকে বলেছিলো তোকে শুইয়ে রাখতে কিন্তু আমি পাড়িনি তোর বাবার কথা রাখতে,,, সে জন্য আমাকে অনেক গালাগাল দিয়ে ছিলো তোর বাবা,,,। তোকে যখন রাতে বিছানায় শোয়াতাম,,,, তুই প্রসাব করে বিছানা বিজিয়ে ফেলতি তখন আমি তোকে শুকনো জযায়গায় শোয়াইতাম,, আর আমি তোর প্রসাবের বিজানো সেই জায়গায় শুইয়ে থাকতাম,,, তোর বাবা যখন মারা গেলো,,, তখন অনেক কষ্টে আমাকে সংসারটা চালাতে হয়ে ছিলো,,, একটা ডিম বেজে দুই টুকরা করে তোকে দু বেলায় দিতাম,,, এমন দিন গেছে সুধু লবন দিয়ে খেয়ে উঠেছি আমি,,, তোকে বুঝতেও দিয় নাই আমি,,,। একদিন রান্না করার মতো কোনো চাল ছিলো না আমার কাছে,,, তখন কোনো উপায় না পেয়ে এক বাড়িতে কাজ করে কিছু চাল এনে ভাত রেধে খাইয়ে ছিলাম তোকে,,,। হয় তো তুই ভুলে গেছিস,,, যখন তোর এস এস সি পরিক্ষিার ফি দিতে পারছিলাম না তখন তোর বাবার দেওয়া শেষ স্মৃতি নাক ফুলটা বিক্রি করে দিয়ে ছিলাম,,, আরো অনেক কথা আছে যা লিখতে গেলে হয়তো খাতা শেষ হয়ে জাবে,,, কিন্তু লেখা শেষ হবে না,,,। ভাবছিস এতো কথা তোকে কেনো লিখে গেলাম,,, খোকা তুই যখন বড় হলি একটা ভালো চাকরি পেলি,,,, কিছু দিন পরে বিয়ে করলি,,, আমি তোদের নিয়ে ভালোই ছিলাম,,,। একদিন ঘর থেকে কিছু টাকা চুরি হলো,,, সেই দিন তুই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলি আমি তোর টাকার ব্যাপারে কিছু জানি কিনা,,, তুই আমাকে সরাসরি কিছু না বল্লেও আমি বুজতে পেরেছিলাম তুই আমাকে চোর ভেবে ছিলি,,,। কিছু দিন পর তুই আমাকে চোরের অপোবাদ দিয়ে অন্য একটি ঘরে রেখে দিলি,,,। খোকা আমার সেই ঘরটিতে থাকতে অনেক ভয় করতো,, কারন ঘরটি তোর থেকে অনেক দুড়ে ছিলো,,, খোকা তোকে একদিন বলে ছিলাম আমার একা একা থাকতে ভয় লাগে,,, তুই বলে ছিলি মরন আসলে যেকোনো যায়গায় আসবে,,,,। আমার হাটুর ব্যাথাটা বেড়ে ছিলো তোকে বলে ছিলাম খোকা আমাকে কিছু ঔষধ কিনে দিবি,, তুই বলেছিলি এই বয়সে ঔষধ খাওয়া লাগে না,,, এমনি এমনি ঠিক হয়ে যাবে,,,। খোকা বিছানা থেকে উটতে পারতাম না,, শরীরে ফোসকা পরে গিয়ে ছিলো,,, শরীর থেকে পচা গন্ধ আসতো,,, কতো দিন যে গোসল করিনি তা ঠিক বলতে পারবো না,,,খোকা তোর ঘরটা ছিলো আমার ঘরের থেকে অনেক দুড়ে,,, কখন আশিস কখন জাশ আমি কিছুই দেখতে পারতাম না,,, শুধু পথের দিকে তাকিয়ে থাকতাম,,, খোকা তুই যখন ছোট ছিলি আমি খেতে বসলে তোকে কোলে নিয়ে খেতে বসতাম,,, তখন তুই আমার কোলে পায়খানা করে দিতি,,, আমি তোর পায়খানা শরীরে নিয়ে খেয়ে উটতাম কেনো যেনো একটুও ঘৃনা লাকতো না আমার,,, কিন্তু তুই য়খন আমার কাছে আসতি তখন নাকে রুমাল দিয়ে আসতি,, কেনরে খোকা আমার শরীর দিয়ে গন্ধ আসতো বলে,,,। এক কাপরে আমাকে কতো মাস যে থাকতে হয়েছে তা আমি ঠিক বলতে পারবো নারে খোকা,,,।তুই যখন অনেক দিন পর একবার আমাকে দেখতে এসে ছিলি আমার খুব ইচ্ছে হয়েছিলো তোকে বুকে জরিয়ে ধরি কিন্তু খোকা পারিনি তোকে বুকে জরিয়ে ধরতে,,,কারন আমার শরীরে তো অনেক ময়লা ছিলো,,, যদি তোর দামি দামি শার্ট প্যান্ট নষ্ট হয়ে যায় এই ভয়তে তোকে বুকে নিতে পাড়িনি খোকা,,,,। খোকা কখনো আমাকে একবারও জিজ্ঞাসা করিস নি মা তোমার কিছু খেতে মন চায়,,,খাওয়ার কথা থাক,, কতো দিন যে তোর মুখে মা ডাক শুনিনি,, তাও ঠিক বলতে পারবো না,,,।খোকা তুই বল আমার কি অপরাধ ছিলো,,, আমাকে তোর থেকে অনেক দুরে রাখলি,,, খোকা তুই কি পারতি না আমাকে তোর কাছে রাখতে,,, খোকা তুই কি পারতি না,, আমাকে একটা কাপড় কিনে দিতে,,,, খোকা তুই কি পারতি না,, আমাকে একটা ডাক্তার দেখাতে,,,। আমাকে একটা ডাক্তার দেখালে হয়তো এই পৃথিবীতে আমি আরো কিছু দিন থাকতে পারতাম,,, খোকা কোনো মা তার সন্তানের কাছে পেট ভরে খেতে চায় না,,, সুধু মন ভরে মা ডাক শুনতে চায়,,, যা তোরা কখনো বুঝতে চাস না,,,। খোকা তোকে একটি শেষ অনুরোধ করছি,, আমার এই চিঠিটা তোর সন্তানদের পড়ে শুনাবি,,, কারন তুই বৃদ্ধ হলে তোর সাথে তোর সন্তানেরা যাতে এরকম টি না করে,,,, ভালো থাকিস খোকা,,,,,।।,,,,,,,,,,,,,,,,ইতি,,,,,,,,,,,,, তোর,,,,,,,,,হতভাগা,,,,,,,, মা,,,,
এই গল্পটি তাদের জন্য যারা বৌ পেয়ে মাকে ভুলে যায়।
কলমে : মোঃ রবিউল ইসলাম
মোবাইল:- ০১৭১৯৫৫২৪০১
দয়া করে আমাদের পেইজটি ফ্লো করুন