27/07/2021
জানেন কি সুরা ইখলাস পড়লে কি কি পাবেন?
জলদি পড়ে নিন
(১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার ক্বুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাবেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন,
“নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।”
মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়লে জান্নাতে প্রাসাদ পাবেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।”
দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
(৩) বিশেষ করে রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়লে এটি মুস্তাহাব।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ ক্বুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)।
সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
(৪) সুরা ইখলাসকে ভালোবাসলে, এই ভালোবাসা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি”। তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”
বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪
আল্লাহ আমাদের অন্তর আর আমলগুলোতে ইখলাস এনে দিন।
আমিন।