Science Bee

Science Bee Science Bee (সায়েন্স বী) is one of the largest science education platforms for youths nationwide. Sections:
1.
(2442)

Science Bee is one of the largest science-based education platforms for youths across the country including Bangladesh's largest science-based website, with 200,000 registered students and 40,000 daily learners. They have impacted more than 10 million Bengali-speaking students from over 30 countries and has received numerous awards for their contributions to community development and achieving sus

tainable development goals. The purpose of this platform is to transform the diversity and inclusivity of science & technology, to reach the under-served community, and increase the number of people who are actively engaged and involved in science & technology. Visit the Country's first Science News Portal:
https://www.sciencebee.com.bd/daily-science/
2. Visit the Country's largest Science-Based Q&A:
https://sciencebee.com.bd/qna/
3. Visit a dynamic Blog site and design your's:
https://blog.sciencebee.com.bd/
4. Download our Free Ebook on Rocket Science:
https://www.sciencebee.com.bd/ebook-2/
5. Watch our first-ever science-based Dramas:
https://www.youtube.com/c/sciencebee

Awards:
🏆 The Diana Award 2023 in memory of Diana, Princess of Wales, United Kingdom.

🏆 Winner- Funding For Bangladesh 1.0 by Volunteer Opportunities

🏆 Our Founder Mobin Sikder received IVD Volunteer Award 2021 by UNV Bangladesh and become one of the country’s best 20 volunteers through Science Bee Community voluntarism.

🏆 Our Founder Mobin Sikder received Young Global Changemaker Award 2021 by YEF for Contributing to Science Education Through Science Bee.

🏆 Winner- BYLC Volunteer Awards 2021

🏆 YSSE Global Education Award 2021


Features:
- Featured on Somoy TV: https://tinyurl.com/mrvzv37v
- Featured on The Daily Star: https://tinyurl.com/355ztunb
- Featured on News24 TV: https://tinyurl.com/4scp6sbn
- Featured on Prothom Alo: https://tinyurl.com/2sy2jxb8
- Featured on Kaler Kantho: https://tinyurl.com/3aumsmu3
- Featured on Daily Ittefaq: https://tinyurl.com/2zd5xy9w
- Featured on The Business Standard: https://tinyurl.com/yzzdbxlp
- Featured on Daily Samakal: https://tinyurl.com/f4yfkddk
- Featured on Jagonews: https://tinyurl.com/yhrbwtrr
- Featured on Portidiner Songbad: https://tinyurl.com/f3uhpudp
- Award featured on Daily Ittefaq: https://tinyurl.com/2hokwvtl
- Award featured on The Daily Star: https://tinyurl.com/ssehhx23
- Award featured on Dhaka Tribune: https://tinyurl.com/dm9r5s5n
- Award featured on Financial Express: https://tinyurl.com/pyncakdt
- Award featured on the Daily Star: https://tinyurl.com/3v6wye2d
- News published on NewAge: https://tinyurl.com/bdf99u2n
- Diana Award News on RTV News: https://tinyurl.com/2tsz7jk8
- Diana Award News on Financial Express:
https://tinyurl.com/23h7wr5h
- Diana Award News on Daily Star: https://tinyurl.com/2736v47t
- Diana Award News on Dhaka Tribune: https://tinyurl.com/39emrujj
- Diana Award News on Prothom Alo: https://tinyurl.com/52edrf66

Join Our Team: https://www.sciencebee.com.bd/join-us/

গুরুতর দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার নতুন আশার আলো হিসেবে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটে প্রথমবারের মতো চালু হলো স্কি...
18/02/2025

গুরুতর দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার নতুন আশার আলো হিসেবে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটে প্রথমবারের মতো চালু হলো স্কিন ব্যাংক। ইতোমধ্যে দুইজন দগ্ধ রোগীর দেহে চারজন দাতার চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

স্কিন ব্যাংক ব্লাড ব্যাংকের মতোই একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে দাতার শরীর থেকে চামড়া নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। একজন ব্যক্তি গুরুতর দগ্ধ হলে তার শরীর থেকে পানি, লবণ, প্রোটিন ও তাপ বের হয়ে যায়। বেশি পরিমাণে দগ্ধ হলে, রোগীর শরীরের অন্য অংশ থেকে চামড়া নেয়া সম্ভব না হলে, স্কিন ব্যাংকে দাতাদের দান করা সংরক্ষিত চামড়া দিয়ে রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ফলে, রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে এবং দ্রুত নতুন চামড়া তৈরি হয় বলে জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

ইতোমধ্যে, ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকা দুই বছরের একটি শিশুর দেহে ৩৫২.৫ সেন্টিমিটার চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শিশুটির দেহের ৪২% গরম পানিতে পুড়ে যায় এবং দগ্ধ চামড়ায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা দিয়েছিলো। আট বছর বয়সী আরেক শিশুর ৭৭৯ সেন্টিমিটার চামড়া প্রতিস্থাপিত হয়েছে স্কিন ব্যাংকে সংরক্ষিত চামড়া দিয়ে। গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে তার শরীরের ২২% দগ্ধ হয়েছিলো।
একজন সুস্থ মানুষ একাধিকবার চামড়া দান করতে পারেন। অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করে দাতার শরীর থেকে চামড়া সংগ্রহ করা হয় এবং দাতার দেহে ১৪ দিনের মধ্যেই নতুন চামড়া তৈরি হয়ে যায়। এজন্য দাতাকে হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয় না। সংরক্ষিত মৃতদেহ থেকেও ৬-১০ ঘন্টার মধ্যে চামড়া সংরক্ষণ করে স্কিন ব্যাংকে সংরক্ষণ করা সম্ভব।

দগ্ধ রোগীদের সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে স্কিন ব্যাংক একটি আশীর্বাদের চেয়েও বেশি। পর্যাপ্ত পরিমান দাতার অংশগ্রহণের মাধ্যমে দগ্ধ রোগীরা সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের একদম শুরু থেকেই একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, প্রকৃত বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। বেল...
17/02/2025

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের একদম শুরু থেকেই একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, প্রকৃত বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। বেলর ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা জানাচ্ছে, ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা মানুষের একাকীত্ব আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

গবেষণাটি ৯ বছর ধরে প্রায় ৭,০০০ ডাচ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করেছে, যা সম্প্রতি Personality and Social Psychology Bulletin জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সক্রিয় (ASMU) এবং নিষ্ক্রিয় (PSMU) উভয় ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারই একাকীত্ব বাড়ায়।

নিষ্ক্রিয় ব্যবহার, যেমন স্ক্রলিং বা কন্টেন্ট দেখা, একাকীত্বের অনুভূতি তীব্র করে। তবে বিস্ময়করভাবে, সক্রিয় ব্যবহার—যেমন পোস্ট করা, মন্তব্য করা বা লাইক দেওয়া—এটিও একাকীত্ব কমায় না; বরং দীর্ঘমেয়াদে একাকীত্ব আরও গভীর করে।

গবেষক জেমস এ. রবার্টস, ফিলিপ ইয়াং ও মেরেডিথ ডেভিড বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ততা মানেই সামাজিক সংযোগ নয়। বরং ডিজিটাল যোগাযোগ বাস্তব জীবনের সম্পর্কের শূন্যতা পূরণ করতে পারে না। একাকী ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করেন, কিন্তু এটি তাদের আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

এই গবেষণা আমাদের ডিজিটাল অভ্যাস পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যতই আকর্ষণীয় হোক, মানসিক সুস্থতার জন্য প্রকৃত মানবিক সম্পর্কের বিকল্প নেই।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রাচীন গানপাউডার সংরক্ষণাগারে Gabriella attenboroughii নতুন এক ধরনের ফাংগাসের খোঁজ মিলেছে, যা পোষকক...
17/02/2025

উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রাচীন গানপাউডার সংরক্ষণাগারে Gabriella attenboroughii নতুন এক ধরনের ফাংগাসের খোঁজ মিলেছে, যা পোষককে জম্বিতে রুপান্তর করতে পারে। ২০২১সাল থেকে পরিচালিত বিবিসির Winterwatch সিরিজের নির্মাণকালে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীদের নজরে আসে আক্রান্ত মাকড়সা। জম্বি-এন্ট-ফাংগাস এর মেকানিজমের মতো এই ছত্রাক ডোপামিন জাতীয় রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে মাকড়সাকে নিজেদের খোলস ছাড়তে প্রলুব্ধ করে। এরপর মাকড়সাকে মেরে, দেহাবশেষ ব্যবহার করে ছত্রাকরেণু তৈরি করে। Metellina marianae মাকড়সা এই ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয় বলে প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি Meta menardi নামক মাকড়সাকেও আক্রমণ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাকড়সা প্রজাতিগুলো সাধারণত গুহাবাসী হলেও ভূ-গর্ভস্থ বা পরিত্যক্ত স্টোররুমেও এদের পাওয়া যায়।

ছত্রাকরেণু মাকড়সার দেহে প্রবেশ করে হিমোসিলে সংক্রমণ ঘটায়। ফলশ্রুতিতে মাকড়সা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে, তখন G. attenboroughii বিষ নিঃসরণ করে পোষক মাকড়সাকে মেরে ফেলে এবং পরে এন্টি-বায়োটিক-এন্টিমাইক্রোবিয়াল রাসায়নিকের সাহায্যে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে মাকড়সার দেহাবশেষকে মমিতে পরিণত করে। ছত্রাক মাকড়সার দেহ থেকে পুষ্টি শোষণ করে এবং অনুকূল পরিবেশ ও আর্দ্রতা পেলে মাকড়সার দেহে বেড়ে ওঠে এবং পুনরায় স্পোর নিঃসৃত করে।

এই নতুন ধরনের ছত্রাকের সন্ধান মানব চিকিৎসায় বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক তৈরিতে একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হতে পারে। আয়ারল্যান্ড প্রথমবারের মতো পাওয়া গেলেও গবেষকরা ধারণা করছেন Wales এও থাকার সম্ভাবনা আছে। মজার ব্যাপার হলো গানপাউডার স্টোরের নামের সাথে মিলিয়ে ছত্রাকের নাম G.bangbangus রাখার কথা থাকলেও পরে Sir David Attenborough এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়।

আমরা প্রতিদিন প্রায় সকল কাজেই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে থাকি। রান্নাবান্না, যানবাহনে, কলকারখানায় ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্...
16/02/2025

আমরা প্রতিদিন প্রায় সকল কাজেই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে থাকি। রান্নাবান্না, যানবাহনে, কলকারখানায় ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানির উৎস খুবই সীমিত। তাই জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় উদ্ভাবন করা হয়েছে এমন কৃত্রিম পাতা যা কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে ইথেন ও ইথিনের মতো হাইড্রোকার্বন তৈরিতে সক্ষম!

উক্ত কৃত্রিম পাতা সূর্যের আলোকে সৌর কোষের মাধ্যমে এবং CO2 ব্যবহার করে ইথেন ও ইথিনের মতো মৌলিক হাইড্রোকার্বন তৈরি করতে পারে যা প্রকৃতিতে প্রাপ্ত জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাবে বলে ধারণা। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সৌর কোষ উপাদান 'Perovskite' এবং কপারের তৈরি ন্যানো ফ্লাওয়ার( যা সূর্যের আলো গ্রহণ করে) দিয়ে গঠিত যন্ত্রটির সাথে যুক্ত কৃত্রিম পাতা CO2 কে জ্বালানিতে রূপান্তর করে। উক্ত গবেষণা ভবিষ্যতের নিরাপদ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। যেখানে পেট্রোলিয়াম, অকটেন, মিথেনের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে CO2 এর আধিক্য দেখা যায় সেখানে উক্ত পদ্ধতি বায়ুমণ্ডল থেকে CO2 শুষে নিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতার কবল থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারবে। জিরো কার্বন ইমিশন তত্ত্বকে সফল করতে উক্ত উদ্ভাবন অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।

অনেক লোক আছে যারা বাইরে কিছু সময় কাটালে তাদের চারপাশে মশা জমে যায়। আর একদল লোক এক‌ই জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটালেও কামড় ...
16/02/2025

অনেক লোক আছে যারা বাইরে কিছু সময় কাটালে তাদের চারপাশে মশা জমে যায়। আর একদল লোক এক‌ই জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটালেও কামড় খায় না৷ কিছু কিছু মানুষের প্রতি মশার আকর্ষণ যেন একটু বেশিই৷ কিন্তু কেন? বিজ্ঞান বলে, ত্বকের মাইক্রোবায়োটা বা অণুজীব, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড, এমনকি পোশাকের রংও (বিশেষ করে লাল, কমলা ও কালো) মশাদের আকৃষ্ট করতে পারে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কারণ হলো শরীরের প্রাকৃতিক গন্ধ এবং জিনগত গঠন।

এ কথা নিশ্চয়ই জানেন শুধুমাত্র স্ত্রী মশারা মানুষের রক্ত খায়, কারণ তারা রক্ত থেকে প্রোটিন সংগ্রহ করে তাদের ডিম তৈরি করে। শিকার খুঁজতে তারা তাদের অ্যান্টেনা ও পালপ (অ্যান্টেনার মাঝে অবস্থিত সংবেদনশীল অঙ্গ) ব্যবহার করে কার্বন ডাই অক্সাইড ও গন্ধ শনাক্ত করে। গর্ভবতী নারী, বিপাক বা মেটাবলিজমের হার যেসব লোকের বেশি, যারা বেশি ব্যায়াম করে ও যারা অ্যালকোহল সেবন করে– তারাই সাধারণত বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে। ফলে মশারাও তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়৷ রক্তের গ্রুপের প্রতি মশার আকর্ষণ নিয়ে বিতর্ক আছে। ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা টাইপ ‘O’ রক্তের মানুষদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। তবে অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকের গন্ধ ও মাইক্রোবায়োটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০১৫ সালে PLOS One জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, কিছু কিছু মানুষের প্রতি মশার আকর্ষণের কারণ ৬৭% ক্ষেত্রে জেনেটিক হতে পারে। এর মানে হলো, মশার আকর্ষণের পেছনে আমাদের জিনগত গঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে যমজদের মধ্যে যারা অভিন্ন (আইডেন্টিক্যাল) তাদের প্রতি মশার আকর্ষণ প্রায় একই রকম হয়, কারণ তাদের জিনগত গঠনও একরকম। অন্যদিকে, যারা ভ্রাতৃযমজ (নন-আইডেন্টিক্যাল), তাদের ক্ষেত্রে আকর্ষণের মাত্রায় পার্থক্য দেখা যায়।

ত্বকের মাইক্রোবায়োটা বা অণুজীবের ক্ষেত্রেও গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে, আবার কিছু ব্যাকটেরিয়া মশা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ২০১১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ত্বকে বেশি সংখ্যক এবং বৈচিত্র্যময় ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাদের তুলনায় যাদের ত্বকে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে, তারা বেশি মশার কামড় খায়। এছাড়া, পোশাকের রঙও মশার আকর্ষণে ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, মশারা বিশেষ করে লাল, কমলা, নীল এবং কালো রঙের পোশাকের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, কারণ এই রঙগুলো তাদের জন্য বেশি দৃশ্যমান। উজ্জ্বল বা সাদা পোশাক পরলে মশার আকর্ষণ কিছুটা কম হতে পারে।

তাই, মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে শুধু প্রতিরোধমূলক স্প্রে বা জাল ব্যবহারের পাশাপাশি আমাদের ত্বকের পরিচর্যা, পোশাকের রং বাছাই এবং জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাসেও নজর দেওয়া দরকার।

২০১৪ সালে বাংলাদেশের “লাল তীর লাইভস্টক লিমিটেড” এবং চীনের “বেইজিং জিনোম ইনস্টিটিউট” (BGI) এর যৌথ উদ্যোগে মহিষের জিনোম সি...
15/02/2025

২০১৪ সালে বাংলাদেশের “লাল তীর লাইভস্টক লিমিটেড” এবং চীনের “বেইজিং জিনোম ইনস্টিটিউট” (BGI) এর যৌথ উদ্যোগে মহিষের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রাণীসম্পদ খাতে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল। পৃথিবী জুড়ে এই আবিষ্কার নিয়ে বেশ আলোড়নও সৃষ্টি হয়েছিল সেসময়। বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই জীবনরহস্যের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে উন্নত মহিষের জাত উদ্ভাবন সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা আশা করেছিলেন, উন্নত জাত তৈরি করা গেলে দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।

কিন্তু, প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেলেও মহিষের উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রযুক্তি ও গবেষণার অভাব, বিশেষজ্ঞ লোকবল এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ঘাটতি এসবের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।

একটি ফিমেল মহিষ বাচ্চা জন্ম দিয়ে আরেকটি বাচ্চা দিতে প্রায় সাড়ে ছয় বছর সময় নেয়। ফলে, জাত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় সমস্যাটি হলো প্রজনন প্রক্রিয়ার ধীরগতি। যা দ্রুত সমাধানের জন্য উন্নত জাতের মহিষ আমদানি প্রয়োজন। তবে প্রক্রিয়াটি সহজলভ্য নয় এবং যথেষ্ট ব্যয়বহুল।

প্রকল্প পরিচালকের মতে, মহিষের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলোর জন্য পূর্ববর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে গবেষণামূলক তথ্য প্রয়োজন, যা এখনও সংগ্রহ করা যায় নি। ফলে, এই জিনোম সিকোয়েন্সের জ্ঞান কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।

এদিকে দেশি-বিদেশি মহিষের খামারগুলোর বর্তমান অবস্থা থেকে বোঝা যায় যে, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই খাতে অগ্রগতি সম্ভব। মহিষের রোগব্যাধির ঝুঁকি কম এবং গরুর তুলনায় খাবার নিয়েও তেমন সমস্যা হয় না। ফলে, মহিষের ভবিষ্যতে একটি অন্যতম লাভজনক প্রাণীসম্পদে পরিণত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

০-৫ লক্ষ! যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত পেড়িয়ে অবশেষে আমরা এখানে পৌঁছেছি! আমাদের এই পুরো যাত্রা সম্ভব ...
15/02/2025

০-৫ লক্ষ! যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত পেড়িয়ে অবশেষে আমরা এখানে পৌঁছেছি! আমাদের এই পুরো যাত্রা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। আমাদের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলোতেও আপনারা ছিলেন আমাদের পাশে। সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি, একই সাথে আমাদের সকল টিম মেম্বার যারা কোনো না মুহূর্তে আমাদের সাথে কাজ করেছেন তাদের প্রতি৷ সবার হাত ধরেই সায়েন্স বী আজকের এই পর্যায়ে।

ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য। বাংলাদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিজ্ঞান শিক্ষা আনন্দদায়ক করার আমাদের এই যাত্রা চলতে থাকবে। ❤️

সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে বি গ্রুপের রক্তধারীদের বার্ধক্যের প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে ধীরগতির হতে পারে। স্ট্যানফো...
15/02/2025

সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে বি গ্রুপের রক্তধারীদের বার্ধক্যের প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে ধীরগতির হতে পারে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টনি উইস-কোর ও তার দলের কয়েক দশক ধরে বয়সের উপর রক্তের উপাদানগুলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন এবং তাদের গবেষণা থেকে জানা গেছে যে রক্ত শুধু অক্সিজেন পরিবহনের কাজই করে না, বরং এটি শরীরের বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গবেষণা অনুযায়ী, বি গ্রুপের রক্তধারীদের বিপাকক্রিয়া তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে, যা কোষ মেরামতের এবং নতুন কোষ সৃষ্টিতে বাড়াতে সহায়তা করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে দীর্ঘ সময় ধরে সুস্থ রাখে। এই কারণে, তাদের মধ্যে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কিছুটা কম হতে পারে।

তবে গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে বি গ্রুপের ব্যক্তিদের হৃদরোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকতে পারে। পাশাপাশি তারা মানসিক চাপ মোকাবেলায় দক্ষ নয়।

14/02/2025

"ডেডলি ক্রোনাস" ইবুক যারা প্রি-বুক করেছিলেন তাদেরকে সময়ের আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের কপি! পড়ে রিভিউ দিতে ভুলবেন না। 😃 এর বাইরে যারা নিতে চান দ্রুত কমেন্ট করুন! 😉

ভালোবাসা দিবসের বহিঃপ্রকাশ হোক বিজ্ঞানের ভাষায়! 😘
14/02/2025

ভালোবাসা দিবসের বহিঃপ্রকাশ হোক বিজ্ঞানের ভাষায়! 😘

ভালোবাসা দিবস তো অনেক হল, এবার আসুন পালন করি সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে "সায়েন্স বী" নিয়ে এসেছে "সুন্দরবন কুইজ...
14/02/2025

ভালোবাসা দিবস তো অনেক হল, এবার আসুন পালন করি সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে "সায়েন্স বী" নিয়ে এসেছে "সুন্দরবন কুইজ ও আইকিউ প্রতিযোগিতা" যা অনুষ্ঠিত হবে আজ রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত। সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে এই কুইজ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা যাচাই করা। এটি সুন্দরবন সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির একটি প্রচেষ্টা।

তাহলে আর দেরী কেন এখনই কমেন্ট থেকে বিনামূল্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিন! 😀

সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি ঘূ...
14/02/2025

সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের সময় এই বন তার ঘন বৃক্ষরাজি ও জটিল শিকড়ের কাঠামো দিয়ে ঝড়ের গতি ও জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কমিয়ে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে। কিন্তু প্রতিবারই ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুন্দরবন ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এটি শুধু একটি বন নয়, এটি আমাদের উপকূলের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ভোলা ঘূর্ণিঝড়, যা 'দ্য গ্রেট ভোলা সাইক্লোন' নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে, যার ফলে ১০ থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, বিশেষ করে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায়, যেখানে ১,৬৭,০০০ জন অধিবাসীর মধ্যে ৭৭,০০০ জনই (প্রায় ৪৬%) মৃত্যুবরণ করেন। জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় এলাকার গ্রাম, ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত এবং অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে। তবে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ঘন বৃক্ষরাজি ও জটিল শিকড়ের কাঠামো বাতাসের গতি কমিয়ে দেয় এবং জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা হ্রাস করে, ফলে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে। সুন্দরবন না থাকলে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি আরও ব্যাপক হতে পারত।
১৯৯১ সালের ২৯-৩০ এপ্রিলের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে প্রায় ২৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে আঘাত করে। এই দুর্যোগে প্রায় ১,৩৮,০০০ মানুষ প্রাণ হারায় এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষ করে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা ও নোয়াখালীতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়, যার ফলে আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। তবে, এই ভয়াবহতার মধ্যেও সুন্দরবন প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে দাঁড়ায়। সুন্দরবন সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও ঝোড়ো বাতাসের গতি অনেকটাই কমিয়ে দেয়, যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ধ্বংসের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, ঘূর্ণিঝড় সিডর বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে, যার ফলে কমপক্ষে ৩,৪৪৭ জন মানুষ প্রাণ হারান এবং গৃহহীন হয় ৮৯,৭৮৫টি পরিবার। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সিডরের কারণে মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, সুন্দরবন এবারও ঝড়ের গতি ও তীব্রতা কমিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলকে বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে। ম্যানগ্রোভের জটিল শিকড়ের কাঠামো ঢেউয়ের শক্তি শোষণ করে এবং ভূমিক্ষয় রোধ করে, যা জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব কমাতে সহায়তা করে। এ ঝড়ে সুন্দরবনের পশুর নদীতে বেশ কিছু হরিণের মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় এবং বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যু হয়।
২০০৯ সালের ২৫ মে, ঘূর্ণিঝড় আইলা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে, যার ফলে আনুমানিক ১৯৩ জন নিহত হন, কমপক্ষে ৭,০০০ জন আহত হয়েছেন, এবং প্রায় ৬,০০,০০০ খড়ের বাড়ি, ৮,৮০০ কি.মি. রাস্তা, ১,০০০ কি.মি. বাঁধ এবং ১,২৩,০০০ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। তবে সুন্দরবন বাংলাদেশের ঢাল হিসেবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম হয়েছে। প্রকৃতির এই ঢাল যে কেবল মানুষকে রক্ষা করে তা নয়, এটি অসংখ্য প্রাণীর আশ্রয়স্থল, যা ঝড়ের তাণ্ডবে প্রতিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে, যার ফলে প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ২২,৮৩৬ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়, এবং চার থেকে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে, সুন্দরবন তার ঘন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল দিয়ে ঝড়ের গতি ও তীব্রতা কমিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলকে আরও ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
২০২০ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ২৬ জেলার ১ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, ঝড়ের গতি ও শক্তি কমিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলকে আরও বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আম্পান প্রমাণ করে দিল, প্রকৃতি আমাদের জন্য লড়াই করছে, কিন্তু আমরা কি প্রকৃতির জন্য কিছু করছি? ২০২১ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় নয় জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বাতাসের কারণে সুন্দরবনের বিভিন্ন অবকাঠামো, যেমন জলযান, ওয়াচ টাওয়ার, গোলঘর এবং ফুটরেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুন্দরবন তার প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষা করে, তবে নিজেও ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল ২৬ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও মংলাসহ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে। ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছায়। সুন্দরবনের ঘন ম্যানগ্রোভ বন ঝড়ের তীব্রতা কমিয়ে দেয়, ফলে লোকালয়ে পৌঁছানোর আগে ঝড়ের গতি ও জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এতে উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যায়।
সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় নানা দুর্যোগ থেকে আমাদের সুরক্ষা দিয়ে আসছে। এর ঘন ম্যানগ্রোভ বনপ্রান্তর ঝড়ের গতি কমিয়ে এবং জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা হ্রাস করে উপকূলীয় অঞ্চলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তবে, প্রতিটি দুর্যোগের সময় সুন্দরবন নিজেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যা তার জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সুন্দরবনের এই অপরিসীম অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি 'সুন্দরবন দিবস' পালন করা হয়। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমাদের উচিত এই বিশেষ দিনে সুন্দরবনকে ভালোবাসা ও সুরক্ষার প্রতিজ্ঞা করা। সুন্দরবন কেবল গাছগাছালির বন নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের রক্ষাকবচ, আমাদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা।

সুন্দরবন, পৃথিবীর সব চেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের  অবস্থানও পৃথিবীর সব চেয়ে বড় ব-দ্বীপে অর্থাৎ আমাদের এ বাংলাদেশে। ম্...
14/02/2025

সুন্দরবন, পৃথিবীর সব চেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের অবস্থানও পৃথিবীর সব চেয়ে বড় ব-দ্বীপে অর্থাৎ আমাদের এ বাংলাদেশে। ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল হলো সে ধরনের বন যা সমুদ্র উপকূলবর্তী স্থানে সৃষ্ট হয় ,যেখানে জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি উঠে এবং ভাটার সময় পানি নেমে যায়। প্রাকৃতিক অপরূপ অনেক কিছু দিয়ে ঘেরা আছে আমাদের এই বনাঞ্চলটি। রয়েছে বিরল নানা প্রজাতির প্রাণী এবং উদ্ভিদ যার উপস্থিতি সারা বিশ্বের সামনে সুন্দরবনকে আরো রাঙইয়ে তুলে। তাই নয় ১৯৯৭ সালে ইউনেসকো সারা বিশ্বে ৭৯৮ তম ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান’ হিসেবে সুন্দরবনকে স্বীকৃতি দেয়।
সুন্দরবনের নামকরণ নিয়ে নানা মতবাদ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু মতবাদ হলো এমন অনেক বড় বড় "সুন্দরি" উদ্ভিদের উপস্থিতি, সংস্কৃত শব্দ "সমুদ্রবন" থেকে বিকৃত হয়ে সুন্দরবন, এই বনের অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য "সুন্দরবন", মুঘল আমলে এ অঞ্চলের বনাঞ্চলকে "সুধর-বন" বলা। এর মধ্যে লম্বা সুন্দরি উদ্ভিদের উপস্থিতির মতবাদকটি অধিকাংশের কাছে গ্রহণযোগ্য। মূলত সুন্দরবনে সুন্দরি উদ্ভিদ বিপুল পরিমাণে থাকায় এ সুন্দরি গাছের সাথে মিলিয়ে এই বনের নাম হয়েছে "সুন্দরবন" বলে ধারণা অনেকের।যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা বর্তমানে এর
বর্তমান সুন্দরবনের আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। সারা বিশ্বে এত বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল আর কোথাও নেই। যদিও অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ ছিল।(ধারণা করা হয় পলাশি যুদ্ধের পরেও এ বনের আয়তন ছিল ১৬ হাজার বর্গকিলোমিটার চেয়ে বেশি ছিল) এই ১০ হাজারের মধ্যে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশের সীমানায় । বাকি অংশটুকু ভারতের পশ্চিম বঙ্গের অংশ হিসেবে রয়েছে। কালে কালে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এবং মানবসৃষ্ট কিছু কারণে এর আয়তন ক্রমশ হ্রাস হচ্ছে।

এবার আসি সুন্দরবনের উদ্ভিদকুল নিয়ে। সুন্দরবন যেহেতু ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সেজন্য এতে নানা রকমের ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ থাকবে স্বাভাবিক। মূলত যে সকল উদ্ভিদ লবণাক্ত পানিতে/মাটিতে বাঁচতে পারে তারাই সাধারণত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ।প্রায় ৩৫-৩৭ প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের উপস্থিতি রয়েছে সুন্দরবনে। এদের মধ্যে রয়েছে সুন্দরি, গরান, গেওয়া, কেওড়া, বাইন, হেঁতাল, পশুর গাছ সহ প্রায় । এর মধ্যে গেওয়া গাছের কষ মানুষের চোখ এবং ত্বককে ক্ষতি করে। শুধু তাই না চোখে লাগলে অন্ধত্বের কারণও হতে পারে। এজন্য একে বিষগাছও বলা হয়।
সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ থাকলেও কেবল সুন্দরবনেই পাওয়া যায় এর প্রায় অর্ধেক সংখ্যক প্রজাতির।যা নির্দিষ্ট একটি বনের তুলনায় অনেক বেশি। এসব উদ্ভিদগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হলো এরা লবণাক্ত পরিবেশে বাঁচতে পারে, নদী ভাঙন রোধ করে, লবণাক্ত অঞ্চলেও বন্য প্রাণীর খাদ্য এবং আবাসস্থলের ব্যবস্থা,এবং সব চেয়ে বড় যে সুবিধাটি আমরা পাই তা হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অবাধ গাছ নিরধনের ফলে এর অনেক প্রজাতি এখন বিরলের পথে এগোচ্ছে। যা সংরক্ষণে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা জরুরি।

সুন্দরবনের প্রাণিকুলের মধ্যে সব চেয়ে আকর্ষিত অংশ যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার তা আমাদের সকলে জানা। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের বনাঞ্চলে বাঘের এই বিশেষ প্রজাতিটি পাওয়া গেলেও সুন্দরবন এটির জন্য খুব বিখ্যাত। সুন্দরবনের লবণাক্ত জলাভূমি ও ম্যানগ্রোভ বনে স্বচ্ছন্দে থাকতে পারে। ২০০৪ সালের হিসেব মতে, সুন্দরবন প্রায় ৪৫০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাঘের আবাসস্থল ছিল যা যেকোনো বাঘের জন্য একটি একক বৃহত্তম অংশ। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় এটির সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে।, তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য একটি কারণ অবৈধ বাঘ শিকার এবং পাচার। ২০১৫ সালে আধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপ করা হলে সে জরিপে সুন্দরবনে বাঘ পাওয়া যায় ১০৬টি। ২০১৮ সালে আবার এক বাঘ জরিপে ১১৪টি বাঘ পাওয়া গিয়েছিল সুন্দরবনে। তবে গত বছর সুন্দরবন বাঘ জরিপে নতুন জরিপে পাওয়া গেছে ১২৫টি বাঘ বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।তিনি জানা্ন সামনের দিন গুলোতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশাবাদী।
বিগত সরকার বাঘ শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করলেও বাংলাদেশ এখন রয়েল বেঙ্গল টাইগার শিকার ও পাচারের কেন্দ্র। সুন্দরবন থেকে শিকার করা বাঘের দেহাংশ অন্তত ১৫টি দেশে পাচার হয়।

বাঘের পর হরিণ কাঁকড়া এসব প্রাণীও বিপুল পরিমাণে অবৈধ শিকার হয়। বিশেষ করে এই জানুয়ারি ফেব্রুয়ারির মাসে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম এ সময় এর শিকার নিষিদ্ধ থাকলেও বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া শিকার অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশের দখলে সুন্দরবনের যে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে তার ৩১.১৫ শতাংশ জলভাগ। এই জলভাগে ২০০’র বেশি প্রজাতির সাদা মাছ, প্রায় ২৫ প্রজাতির চিংড়ি এবং ১৪-১৬ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এই মৎস্য সম্পদগুলো আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তা ছাড়া লোনা পানির কুমিড়ের অবস্থানও বর্তমানে আশংকাজনক। বাংলাদেশে সুন্দরবনের নদীগুলোর লোনা পানি এসব কুমিরের একমাত্র আবাসস্থল। বন বিভাগের ১৯৯৭ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে সুন্দরবনের ৪৫০টি ছোট-বড় নদী ও খালে ১৫০ থেকে ২০০টি কুমির ছিল।২০১৭ সালে পরিচালিত সবচেয়ে সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুমান করে, ১৫০ থেকে ২০৫টি কুমিরের উপস্থিতি রয়েছে।

সুন্দরবনে আরেকটি বিপন্ন প্রায় প্রাণীর মধ্যে নাম উঠে আসবে ডলফিনেরও। মোট ৬ প্রজাতির ডলফিন, ইরাবতিসহ আরও অনেক প্রজাতি রয়েছে যা বিলুপ্তির পথে।তবে একটি আনন্দের বিষয় হলো সারা বিশ্বে অন্যতম বিরল ডলফিন প্রজাতি গাঙ্গেয় ডলফিন ,ডলফিনের মহাবিপন্ন এ প্রজাতি সবচেয়ে বেশি টিকে আছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে এখনো প্রায় ২০০ গাঙ্গেয় ডলফিন আছে এত সংখ্যক সারা বিশ্বে আর কোথাও নেই।তাও কেবল সুন্দরবন ও আশপাশের নদীগুলো ছাড়া আর কোথাও এটি খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বে গাঙ্গেয় ও ইরাবতী—এই দুই প্রজাতির ডলফিনের প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশে রয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

এসবের মধ্যেও ভালো অবস্থানে আছে হরিণ। দৈনিক ইত্তেফাকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের আইইউসিএন জরিপের তথ্য মতে, বর্তমানে সুন্দরবনে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি হরিণ রয়েছে। এরআগে ২০০৪ সালে হরিণের সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজারটি। সেই হিসেবে ১৯ বছরের ব্যবধানে সুন্দরবনে হরিণ বেড়েছে ৫৩ হাজার ৬০৪টি।তবে নানা কারণে সুন্দরবন থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে সাম্বর হরিণের মত হরিণের কিছু প্রজাতি।

এসব আলোচনার শেষে আমরা অবশ্য অনুভব করতে পারছি যে প্রকৃত সুন্দরবন কি আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে? সুন্দরবনকে রক্ষা করা কি আমাদের জরুরি না? অবশ্যই জরুরি। এটি দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনজ সম্পদে দেশের একক বৃহত্তম উৎস এই সুন্দরবন। কাঠের উপর নির্ভরশীল শিল্পে কাঁচামাল জোগান দেয়। বনজ সম্পদের পাশাপাশি এ বন থেকে নিয়মিত ব্যাপকভাবে আহরণ করা হয় ঘর ছাওয়ার পাতা, মধু, মৌচাকের মোম, মাছ, কাঁকড়া এবং শামুক-ঝিনুক।

এটা সত্য যে প্রাকৃতিক হোক বা মানবসঋষ্ট কারণে হোক সুন্দরবনের আয়তন এবং জীব বিচিত্র ক্রমশ নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে। নির্বিচারে বৃক্ষনিধন থেকে শুরু করে বাঘ নিধন এবং হরিণ শিকার সুন্দরবে যেন থামছেই না।তা ছাড়া সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করলেও সেই এলাকার মধ্যে গড়ে উঠছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান যা অবশ্যই বনের উপর প্রভাব ফেলে। সরকারের উচিত এসব দিকে কড়া নজরদারি রাখা অত্যন্ত জরুরি। তা ছাড়া কালে কালে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের সরাসরি রক্ষা করেছে এই ম্যাঙ্গগ্রোভ বনটি। বাংলাদেশে আঘাত হানা প্রাকৃতুক দুরররযোগ সমূহ থেকে কীভাবে সুন্দরবন রক্ষা করেছে সেটি আমরা পরের পোস্টে দেখতে পাবো।
সব শেষে সারাবিশ্বে সব থেকে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, ইউনেস্কোর স্বীকৃত পাওয়া ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান’, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতি, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুন্দরবনের ভূমিকা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এর মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বাঁধ হয়ে দাঁড়ান, বিশ্বের অন্যতম বড় কার্বন সংগ্রহকারী হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখা এসব কিছুর জন্য সুন্দরবন দিবসে আমরা সুন্দরবনকে নিয়ে গর্ব করতেই পারি।

13/02/2025

ভালোবাসা দিবসে কেউ সঙ্গ দেওয়ার না থাকলে, সময় কাটাতে "ডেডলি ক্রোনাস" পড়ুন! 😴

আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায ছিলেন উপমহাদেশের এক প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক এবং সমাজসংস্কারক। ভারতীয় উপমহ...
13/02/2025

আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায ছিলেন উপমহাদেশের এক প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক এবং সমাজসংস্কারক। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান “বেঙ্গল কেমিক্যালস” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি ভারতের শিল্পায়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। তার অন্যতম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হলো মার্কারি (I) নাইট্রেট, যা তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। তার অবদান কেবল রসায়নে সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি শিক্ষা, শিল্পায়ন ও সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলার রাড়ুলি গ্রামে (বর্তমান বাংলাদেশের পাইকগাছা উপজেলার অন্তর্গত) এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হরিশচন্দ্র রায় ছিলেন একজন প্রভাবশালী জমিদার, তিনি নিজ গ্রামে একটি স্কুল ও একটি বিশাল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই লাইব্রেরিতে সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, ও ইতিহাস বিষয়ক বহু বইয়ের সংগ্রহ ছিল, যা প্রফুল্ল চন্দ্রের শৈশবকাল থেকেই জ্ঞানচর্চার প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করে।

ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও প্রখর বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় পিতার প্রতিষ্ঠিত নিজ গ্রামের স্কুল থেকে। পঞ্চম শ্রেণি পাশ করার পর তিনি কলকাতার বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তিনি রক্ত আমাশয়ে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হন এবং বাধ্য হয়ে তাকে গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে প্রায় দেড় বছর চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে আবার কলকাতায় ফিরে যান এবং অ্যালবার্ট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাশ করেন।

প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি বিদ্যাসাগর কলেজে এফ এ (Intermediate) কোর্সে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়ন বিভাগে বিএ পড়তে শুরু করেন। তবে এক বছরের মধ্যেই গিলক্রিস্ট বৃত্তি পেয়ে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ লাভ করেন প্রফুল্ল। সেখানে তিনি বিএসসি এবং পরে ডিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল কপার-ম্যাগনেসিয়াম শ্রেণির সম্মিলিত সংযুক্তি পর্যবেক্ষণ, যা তৎকালীন সময়ে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ গবেষণাপত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং তিনি ‘হোপ প্রাইজ’ অর্জন করেন।

১৮৮৮ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি নিজের ক্লাসে পাঠদান করতেন বাংলায়, যা সেই সময়ের শিক্ষাব্যবস্থায় বিরল ছিল। ছাত্রদের প্রতি তার ভালোবাসা ও উদ্ভাবনী শিক্ষাদানের পদ্ধতি তাকে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে খ্যাতি এনে দেয়। তার উদ্যোগেই ১৯০৩ সালে “রে কে বি কে হরিশ্চন্দ্র স্কুল” এবং ১৯১৮ সালে বাগেরহাটে “পি সি কলেজ” প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

১৮৯৫ সালে তিনি প্রথম মার্কারি (I) নাইট্রেট [Hg²(NO²)²] আবিষ্কার করেন, যা বৈজ্ঞানিক মহলে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। জীবদ্দশায় তিনি মোট ১২টি যৌগিক লবণ এবং ৫টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন। ফলে কেবল ভারতবর্ষ নয়, বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

প্রফুল্ল চন্দ্র রায় একজন বিজ্ঞানী ছাড়াও ভারতের প্রথম দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থপতি। ১৮৯২ সালে মাত্র ৭০০ টাকা পুঁজি নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতের শিল্পায়ন ও ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে। পরবর্তীতে তিনি খুলনায় একটি টেক্সটাইল মিল এবং ১৯০৯ সালে একটি কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, যা উপমহাদেশের সমবায় আন্দোলনের অন্যতম মাইলফলক।

প্রফুল্ল চন্দ্র বিপ্লবী কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় তিনি আন্দোলনকারীদের অর্থসহায়তা করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ গোয়েন্দা দপ্তরে তার নাম লেখা ছিল 'বিজ্ঞানী বেশে বিপ্লবী'। একবার লন্ডনের সাইমন কমিশন যখন কলকাতায় আসে, তখন আচার্য রায় গামছা পরে নিজের ঘরে ধুতি শুকাচ্ছিলেন, যা দেখে কমিশনের সদস্যরা বিস্মিত হন। এছাড়াও, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে বলেছিলেন, “সংসারে জ্ঞানী তপস্বী দুর্লভ নয়, কিন্তু মানুষের চরিত্রে প্রভাব রাখতে পারে এমন মনীষী সংসারে কদাচ দেখা যায়।”

আচার্য রায় তার জীবদ্দশায় বহু সম্মাননা এবং পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নরূপঃ

• সি আই ইঃ ১৯১১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তৃতীয়বারের মতো ইংল্যান্ড সফরে গেলে এই উপাধি প্রদান করা হয়।

• সম্মানসূচক ডক্টরেটঃ ১৯১১ সালে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মহীশুর এবং বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

• নাইট উপাধিঃ ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে।

আচার্য রায় বহু গবেষণাপত্র এবং গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার রচিত ১৪৫টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র ছাড়াও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলঃ

• India Before and After the Sepoy Mutiny
• সরল প্রাণিবিজ্ঞান
• বাঙ্গালী মস্তিষ্ক ও তার অপব্যবহার
• হিন্দু রসায়নী বিদ্যা
• Life and Experience of a Bengali Chemist

আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেবল একজন বিজ্ঞানীই ছিলেন না; তিনি ছিলেন ভারতীয় শিল্পায়নের অগ্রদূত, শিক্ষাবিদ এবং সমাজসংস্কারক। তার অসামান্য জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা। দেশপ্রেম, মানবপ্রেম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে তিনি ইতিহাসের পাতায় এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

সাল ১৯২৫। আলাস্কার ছোট্ট শহর নোমে যখন শীত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, পুরো শহর বরফে জমে গেছে তখনি শহরে ডিপথেরিয়া মহামারি আ...
13/02/2025

সাল ১৯২৫। আলাস্কার ছোট্ট শহর নোমে যখন শীত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, পুরো শহর বরফে জমে গেছে তখনি শহরে ডিপথেরিয়া মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়াবহ এই রোগে শহরের শিশুরা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছিলো। ঐ সময়ে নোমের একমাত্র ডাক্তার Dr. Curtis Welch জানান, একমাত্র অ্যাণ্টিটক্সিন-ই পারে শিশুদের জীবন বাঁচাতে। কিন্তু দুর্ভাগ্য! তার হাতে থাকা ওষুধ ফুরিয়ে গেছে, আর নতুন ওষুধ রয়ে গেছে নোম থেকে ১ হাজার মাইল দূরের অ্যাংকোরেজে।

কিন্তু বিপত্তি বাঁধলো অ্যাংকোরেজ থেকে নোমে ঔষধ পৌঁছানো নিয়ে। কেননা তীব্র ঠান্ডায় কোনো প্লেন উড়তে পারবে না, নদীগুলো বরফাচ্ছাদিত হয়ে যাওয়ায় জাহাজ ও চলছিলো না। তুষারঝড়ে আটকে আছে পুরো পথ। একমাত্র উপায় হিসেবে ছিল কুকুরের স্লেজ! একমাত্র অনুগত এবং সহনশীল কুকুরগুলোই পারে জীবন-মৃত্যুর এই যুদ্ধে এগিয়ে আসতে।

প্রায় বিশজন মাশার (স্লেজ চালক) রিলে পদ্ধতিতে ( একজনের পর একজন) একে একে ওষুধ বয়ে নিয়ে গিয়েছিল। প্রথম মাশার, ওয়াইল্ড বিল শ্যানন, বেরিয়ে পড়লেন মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে, তার স্লেজের প্রধান কুকুর ব্ল্যাকি সামনে পথ দেখাচ্ছিলো। ঠান্ডায় তার নিজের শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে, ফ্রস্টবাইট ধরে যাচ্ছে তার হাতে-পায়ে, কিন্তু তিনি থামেন নি। থামার উপায় নেই। তারা এ যাত্রায় ৫২ মাইল অতিক্রম করে অন্য মাশার এর কাছে অ্যাণ্টিটক্সিন হস্তান্তর করে।

এইভাবেই, এক মাশার থেকে আরেক মাশারের হাতে পৌঁছে যায় অ্যান্টিটক্সিন। কিন্তু পুরো পথচলায় সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দেন লিওনার্ড সেপ্পালা । এই পথ ছিল জোয়ারের পানির উপরে জমে থাকা বরফ, যে কোনো মুহূর্তে ফেটে যেতে পারতো। কিন্তু তিনি জানতেন তার পৌঁছাতে পারার উপর নির্ভর করছে অসংখ্য শিশুর জীবন; তাই জীবনের তোয়াক্কা না করে তিনি পিছু হটেননি। এই পথ পাড়ি দিতে তার সামনে ছিলো সবচেয়ে সাহসী কুকুর তোগো।

তোগো তখন ১২ বছরের বুড়ো কুকুর, সাধারণত এই বয়সে কুকুররা বিশ্রামে থাকে। কিন্তু তোগো ছিল এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সে শুধু দৌড়ায়নি, সে পুরো পথ চিনিয়ে দিয়েছে সেপ্পালাকে। তীব্র বাতাস, তুষারঝড়ের মধ্য দিয়ে বরফের উপর দিয়ে তারা এগিয়ে যায়। কেউ জানত না তারা ফিরতে পারবে কিনা, কিন্তু তোগো থামেনি, এগিয়ে যেতেই হবে। এবং ১৩৪ মাইল বরফাচ্ছাদিত পথ অতিক্রম করে তোগো।

সেপ্পালা আর তোগো অবশেষে তাদের দায়িত্ব শেষ করে ওষুধ পৌঁছে দেয় পরবর্তী মাশারের হাতে। এরপর গুনার কাসেন নামের এক মাশার শেষ ধাপে যাত্রা শুরু করেন, তার প্রধান কুকুর ছিল বাল্টো। প্রচণ্ড তুষারঝড়ের মধ্যে দিয়ে তারা এগিয়ে যায়, আর ২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫:৩০ মিনিটে নোমে পৌঁছে যায়।

এরপর নোম শহর যেন নতুন করে বেঁচে উঠল। ডাক্তার ওয়েলচ অ্যান্টিটক্সিন হাতে পেলেন, আর শিশুদের চিকিৎসা শুরু হলো। সারা বিশ্ব তখন শুনল এই অসাধারণ গল্প। স্বনামধন্য পত্রিকাগুলোতে লেখা হলো বাল্টোর বীরত্বের কথা, তার নামে নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে একটি মূর্তি পর্যন্ত তৈরি হলো।

কিন্তু এই অসাধ্য সাধনের সত্যিকারের বীর ছিল কুকুর তোগো, যা অনেকেরই অজানা। সে ছিল সেই কুকুর, যে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিয়েছিল, সবচেয়ে কঠিন লড়াই করেছিল, আর নিজের জীবন বাজি রেখে মনিবকে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ডিপথেরিয়া একটি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া-জনিত রোগ, যা Corynebacterium diphtheriae নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হয়। এটি মূলত গলা, টনসিল ও নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে সংক্রমণ ঘটায় এবং একটি বিষাক্ত প্রোটিন (টক্সিন) উৎপন্ন করে, যা দেহের কোষ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।

ডিপথেরিয়ার অ্যাণ্টিটক্সিন ১৮৯০ সালে এমিল ভন বেহরিং (Emil von Behring) এবং তার সহকারী শিবাশাবুরো কিটাসাতো (Shibasaburo Kitasato) আবিষ্কার করেন। তারা দেখান যে, ডিপথেরিয়া-প্রতিরোধী পশুর রক্ত থেকে সংগ্রহ করা প্লাজমা ব্যবহার করে সংক্রমিত প্রাণীদের সুস্থ করা সম্ভব। এই গবেষণার জন্য এমিল ফন বেহরিং ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার (ফিজিওলজি বা মেডিসিন) পান।

Address

Science Bee, Dhaka
Savar
1342

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Science Bee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Science Bee:

Videos

Share

SCIENCE+TECH+SYLLABUS+SKILL=BEST OF YOURSELF

CONNECT these magical keywords. IF you able to do that, you will found the best and successful way of your life.Mere bookish knowledge without acquiring soft skills,thinking out of box,thrust for outer universe may lead you to suffer in the long run.LEARN BY HEART. Stay with Science Bee. Explore more www.sciencebee.com.bd