12/12/2024
সিরিয়ার যে শহরে ঈসা (আ.) আসবেন ও দাজ্জালকে হত্যা করবেন ।
শাম অঞ্চলকে বলা হয় নবী-রসুলদের ভূখণ্ড। এই ভূখণ্ডের সঙ্গে কেয়ামতপূর্ব অনেক ঘটনা জড়িয়ে আছে। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শামের ব্যাপারে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও পূর্ণ ফিলিস্তিন হচ্ছে ‘মুলকে শাম’।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসে আছে। তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, হিজরতের পর আরেকটি হিজরত শিগগিরই সংঘটিত হবে। তখন ভূপৃষ্ঠের সর্বোৎকৃষ্ট মানুষ হবে তারাই, যারা ইবরাহিম (আ.)-এর হিজরত ভূমিতে (শাম দেশে) অবস্থান করবে। আর গোটা পৃথিবীতে সর্বনিকৃষ্ট মানুষরাই বাকি থাকবে। তাদের ভূমিগুলো তাদের নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের অপছন্দ করবেন। তাদের ফিতনার আগুন বানর ও শূকরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখবে (তাদের দুশ্চরিত্রের কারণে তারা যেখানেই যাবে, সেখানেই ফিতনা লেগে থাকবে)।’ (আবু দাউদ ২৪৮২)
সিরিয়ায় ঈসা (আ.) এর আগমন ও দাজ্জালকে হত্যা
হজরত নাউওয়াস ইবনে সামআন (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাজ্জাল শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে। তার অনিষ্টতার পর আল্লাহ ঈসা (আ.)-কে দামেস্কের পূর্ব দিকের শুভ্র মিনারে অবতরণ করাবেন। ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন শামের বাবে লুদ নামক স্থানে। (মুসলিম: ২৯৩৭)
শামের কল্যাণের সঙ্গে উম্মতের কল্যাণ
হজরত মুয়াবিয়া ইবনে কুররা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন শামভূমি ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, তখন তোমাদের মধ্যেও কোনো কল্যাণ থাকবে না। আর আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে, তাদের যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তারা কেয়ামত পর্যন্ত তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। (তিরমিজি ২১৯২)