Jannatul Bushra

Jannatul Bushra Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Jannatul Bushra, Digital creator, Satkhira.

09/08/2023
06/05/2023

#তোমাকে_বুঝিনা_প্রিয়
তোহফা ইবনাত ইনসিয়া

(কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)
০৪-১ম অংশ

হাতছানি আলাদা শান্তির জায়গা। কিছু নিরবতা কারণে-অকারণে হয় নাহ,যন্ত্রণাটাই এমন হয় যে আওয়াজটাও কেড়ে নিয়ে যায়। মন খারাপের সময় একজন সঙ্গী থাকা অবশ্যই দরকার,নাহলে সব কিছুই বিরক্ত লাগে। কিন্তু আকাশের চাঁদটা আজও তার একাকিত্বে খুশি,ভীষণ খুশি। যেন একাকিত্ব তার জন্যই সৃ*ষ্টি। তবে ভালো লাগছে চাঁদের ঝলমলে রূপ সাথে মিটিমিটি তারা। যেন আলাদাই জগৎ,গা শিরশির করা ঠান্ডা বাতাস। রজনীর এই অপরূপ সৌন্দর্য সাথে নীরবের রাঙা একাকিত্ব,বাতাসে তালে দুলিয়োমান গাছের ডাল-পাতার মড়মড় শব্দ। দূর থেকে ভেসে আসা ঝিঁঝিপোকার ডাক প্রকৃতির রহস্যময় এক খেলা খেলে চলেছে যেন। রূপালি রজনীর এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে দূর থেকে যে কেউ ইনসুকে গি*লে খাচ্ছে সেই দিকে তার ধ্যান নাই। প্রকৃতি প্রীতি কন্যা প্রকৃতির রহস্য অনুভব করতে করতে ডুব দিল অতীতে৷

আম্মা,ছোট মা যাচ্ছি আমি। আজ অনেক দেরি হয়ে গেল।

ইনসু কিছু খেয়ে যাহ মা,মেহসানের পারমিশন ছাড়া ১ম বার টুরে যাচ্ছিস। আমার কিন্তু অনেক ভ*য় হচ্ছে, তবুও তোর আর বৃষ্টির জে*দ মেনে নিয়ে রাজি হয়েছি। যেভাবে যাচ্ছিস সেইভাবে ফিরে আসবি।

ওকে আম্মা,চিন্তা করো নাহ আমি চলে আসবো।

সবাইকে বিদায় দিয়ে আদিত্য ইসলাম (ছোট বাবা) কে নিয়ে স্কুলে থেকে রওনা হওয়ার বাসে উঠলাম( তখন নিউ ১০ এ)। ছোট বাবাই,পরিচিত কয়েকজন শিক্ষক সাথে কথা বলে রাখছিল যেন আমার ওপর নজর রাখে। কিন্তু, যার সামনে স্বয়ং বি*প*দ হেঁ*টে আসছে তাকে কিভাবে বাঁ*চা*বে। যথাযথ সময়ে,নির্দিষ্ট পিকনিক স্প টে পৌঁছালাম। বেলা দুপুর ৩টা। দুপুরের লান্স করে সবাই এক হয়ে আড্ডা দিতে বসছি হঠাৎ শুনলাম আশপাশে কোথাও নকশি ফোঁড়ের মেলা হচ্ছে। শোনার সাথে সাথেই খুব উৎসাহিত হয়ে মেলার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম তবে কে জানত নিজে থেকেই বিপদের আ*স্তা*না*য় পা*ড়ি দিচ্ছি। নকশি ফোঁড়ের তৈরী কাপড় মুনতাসীর ভাইয়ার অনেক পছন্দ ছিল,এজন্য কিছু কাপড় দেখতে দেখতে হঠাৎ পেছন থেকে কেউ ডাকল.....

ইনসুসুসুসু....

হ্যাঁ,জারা আপুনি।

কি হয়েছে তোর,সেই কখন থেকে ডাকছি। দুপুর হতে চলল,ঘুম থেকে ওঠ।

জারাপি,আমি এখানে কিভাবে আসলাম।

মানে?

নাহ,আমি তো ছাঁদে প্রকৃতিবিলাস করতেছিলাম দোলনায় বসে। তারপর তো, কিন্তু বিছানায় আসলাম কি করে মিনমিন স্বরে বলে উঠল।

কি মিনমিন করছিস,ওঠ না মেহসান ভাইয়া ডাকছে তো।

কিছু না আপু,তুমি যাও আমি এখুনি আসছি।

নিচে নেমে দেখি অপরিচিত মুখ এমন ৬-৭ জনের মতো বসে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে। অনেকগুলা মাস নাহ নাহ বছরই হবে। চোখ ছলছল করে উঠল,কতদিন পর পরিবারের মানুষদের চোখ ভর্তি অশ্রু নিয়েও হাসিতে একাএকার সব। কাছে যেতেই ভাইয়া বলল।

মেহসান: ইনসু দেখ তো কাউকে চিনতে পারিস কিনা,মুচকি হেসে বলে উঠল।

অশ্রু নয়নে তাদের দেখলাম। এ..এ..ভালো মা মা তু..তুমি।

কেন মেডাম,দেখে তো মনে হচ্ছে আমাদের দেখে অনেক ভয়ে আছেন। মনে হচ্ছে অনেক বছর লুকানো কিছু সামনে আসতে চলেছে।

ম..ম..মা..মা..মানে!

ক্রমশ প্রকাশ্য,টিক টক টিক টক...
একটু সাবধানে থাকবেন কিন্তু, কখন কিভাবে শ*কু*নে*র চোখে পড়ে যান আপনি- লো ভয়েসে বলে উঠল।

আলফিয়া ইসলাম(বড় মা): আহ আরনিভ,মেয়েটাকে ভয় দেখাচ্ছিস কেন। ইনসু মা তুই আমার পাশে এসে বসতো। কত বছর পর তোদের সবাইকে দেখতে পাচ্ছি। আমি তো ভেবে নিছিলাম তোদের স..স..সাথে আমার কান্নার স্বরে বলল।

জাহানারা বেগম: আহা,বড় আপা। এমন করে কান্না করে কিছু হবে। পুরাতন কথা সব বাদ। আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে নাহ তুমি, অভি(আরনিভ),মুন সবাই ফিরে এসেছো। যদি ভাইজান আর বড় বাবাটা থাকত- বিষন্ন ভগ্নহৃদয় বলল।

মেহসানঃ তোমরা সবাই কি শুরু করলে, কই আমার বিয়ের ডেট ঠিক করবা। ছুটি শেষ হওয়ার আগে হানিমুনে করে আসব। কিন্তু যা শুরু করছো,বিয়ে হবে কি না সেই চিন্তায় আছি।

মেহসানের কথা শুনেই বৃষ্টি লজ্জায় লাল হয়ে গেল।
এই লোককে এতদিন নি*রা*মি*ষ ভাবতাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড়দের সামনে। ছি.. ছি এই ছিল ক'পা'লে।

নিম্নস্বরে ইনসু বলল, কি রে তোর মেজর জি নাকি খুব আ...ন...রো...মা..ন্টি...ক। এর থেকেও বেশি আ'মি'ষ লাগলে হাসপাতালের বিল দিতে দিতে তো রাস্তায় বসব আমরা।

মেহসানের কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়েও মাথা নিচু করে বসে ছিল,কিন্তু ইনসুর কথা শুনেই উঠে চলে আসল।

আরনিভঃ দেখে ভাবছিলাম পিচ্চি মানুষ, এখন দেখি পে*কে গুড় হয়ে গিয়েছ। তাড়াতাড়ি মুড়ি না দিলে যে কে*স জ*ন্ডি*স হয়ে যাবে।

ইনসিয়াঃ কি সব বলছেন,আর কে পিচ্চি। আমার বয়সে আমার বান্ধবীর বিয়ে হচ্ছে এটা মাথায় রেখেন-মুখ ভ্যাং*চা*নো দিয়ে বলল।

বৃষ্টিঃ কি লজ্জা, কি লজ্জা। সবার সামনে দাঁড়াবো কিভাবে। ভাই-বোন দুইটা গি*র*গি*টি*র মতো রঙ বদলানো শুরু করছে। হু..হু..হু..হু আমি এই বিয়ে করব নাহ,এরা আমায় লজ্জা দিয়ে মে*রে ফেলবে একদম।

ভালোবাসা আমার কাছে কিছুই না আহামরি, শুধু বুকের পাঁজরে ঐ ছোট্ট একটা ম*হা*মা*রী প্রিয়, ভালোবাসি ভালোবাসতাম,ভালোবেসেই না হয় যাবো। তুমি না হয় মিষ্টি হেসে পাড়ি দিও অন্যের ঘরে যেখানে অন্যের বাস সেখানে আমার বসত গড়ব কি করে হায়!

চলবে

নোটবার্তা : অতিরিক্ত গরম সাথে কারেন্ট না থাকায় রোজা থেকে গল্পের পর্ব ছোট হয়ে গিয়েছে। কাল বড় করে দেবো। ভুল-ভ্রান্তি হলে ধরিয়ে দেবেন এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের পর্ব কেমন হয়েছে মতামত জানাবেন। আপনাদের একটা রিয়েক্ট ও কমেন্ট আমাকে কতোখানি উৎসাহ দেয়, সেটা কোনোভাবেই পরিমাপ করা সম্ভব না। একটুখানি অনুরোধ, আপনাদের এই উৎসাহটা যেনো আমার সাথে সবসময় থাকে। আপনাদের প্রতি অসংখ্য ভালোবাসা রইল🌻

06/05/2023

#তোমাকে_বুঝিনা_প্রিয়
তোহফা ইবনাত ইনসিয়া

(কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)
০৩.

ইনসিয়াঃ উঁহু,জারাপি মাথায় মারো কেন জানো তো তোমার ইনসু কত ব্যাথা পাই ছলছল চোখে বলল।

জারাঃ জান এতো ঢং করো কেন তুমি,তোমারে আমি
চিনি না বুঝি। ইনসু জানিসস,আমার সিক্স সেন্স বলছে খুব তাড়াতাড়ি ভালো কিছু হতে চলছে। নিখোঁজ মানুষ খোঁজ মিলল মনে হয় এইবার।
এই মেয়ে,মন কোনদিকে এতক্ষণ আমি কাকে কি বলছি।

ইনসিয়াঃ জারাপি,কিছু শুনতে পাচ্ছো।

জারাঃ কী??

ইনসিয়াঃ নিষ্প্রাণ নগরীতে আজ ঝিঁঝি পোকার মেলা। খুব তাড়াতাড়ি কিছু হবে অথবা হচ্ছে আমাদের আড়ালে।

জারাঃ চিন্তা করিস নাহ,মেহসান ভাইয়া ঠিকঠাক ভাবেই আবার ফিরে আসবে। চল ঘুমিয়ে পড়ি,কাল হয়ত বড় ফুফুর বাসায় যেতে হবে আর মেহসান ভাইয়ার অনুপস্থিতিতে তোকে রেখে যাওয়া যাবে নাহ। আয় বাবুই,চোখ দুইটা খুব ক্লান্ত একটুখানি ক্লান্তি দূর কর তোর সে ফিরবে দেখিস।

ইনসিয়াঃ মনে মনে বি'ষ'ন্ন ভ'গ্ন'হৃ'দ'য় বলে উঠল-কমান্ডার সাহেব বিরল বসন্তে দুরুদুরু বুকে, সে অগাধ গভীরতায় আমি আপনাকে একটু ছুঁতে চাই। আপনার শ্যামাবতী খুব তৃষ্ণাত্ব,তার তৃষ্ণা নিবারনের সময় কি এখনও আপনার হয় নি!

ইনসিয়াঃ কি রে মু*খ ফু*লি*য়ে রাখছিস কেন,সক্কাল সক্কাল কি হয়েছে। ব্যা*কা হয়ে গিয়েছিস ছ্যাঁ*কা খে*য়ে।

জাহানারা বেগমঃ ইনসু,আমার বৃষ্টি মামুনিকে কি সব বলছিস, দেখছিস তো মেয়েটা না খেয়ে কি অবস্থা করেছে নিজের। তুই চিন্তা করিস না মা,মেহসান একবার বাড়ি ফিরুক,ওর একটা ব্যবস্থা করব।

ছোট মাঃ বৃষ্টি মা,ইনসু,জারা,আফিয়া চল সবাই নাস্তা করে নে। নাস্তার পর পরই বের হবো।

ইনসিয়াঃ জারাপি শোন নাহহহহহ।

জারাঃ বলো জান,আপনার জন্য এই বান্দা কি করতে পারে।

ইনসিয়াঃ মুচকি হেসে বলল, কোনদিন কি দেখেছো। বাড়ির মেয়ের থেকে বউয়ের কদর বেশি। মেয়েকে দূ*র ছা*ই করে কিন্তু দেখো বউকে সোনা,মা ছাড়া ডাকে নাহ মুখ ভে*ঙ*চি দিয়ে বলে উঠল।

জারাঃ হাহাহা,আর ইউ জেইলাস বাবুই? তাও নিজের ভাবি থুরি বেস্ট ফ্রেন্ডকে। আর,ইউ নো এই মোল্লা বাড়িতে সবকিছু উল্টোই হয়।

ছোট মাঃ মেজ আপা,দেখো একটু একটু করে আগের মতো হতে চলেছে। এখন শুধু অপেক্ষা, আর কিছুদিন তারপর সকল রহস্যের সমাধান হবে।

জাহানারা বেগমঃ তাই যেন হয় ছোট। এই ভাঙা সংসারের ভাড় নিতে নিতে ক্লা*ন্ত।

-----------
আফিয়াঃ বড় ফুফু,মেয়ের পরিবার থেকে কিছু কি আর বলছে। কি সিদ্ধান্ত নিল ওরা।

তাসফিয়া জাহান(বড় ফুফু): নাহ রে মা,ওরা বিয়ে ভে*ঙে দেওয়ার পর আর কিছু বলল নাহ। চারদিকে সবাই জানত,আজ বাদে দুইদিন পর ছেলের বিয়ে। হলুদ,বিয়ের জন্য বুকিং শেষ, অর্ধেকের বেশী মানুষ নিমন্ত্রণ করা শেষ। আল্লাহ ভরসা,ওনার পর ছেড়ে দিয়েছি এতো চা*প আর নিয়ে পারছি না রে।

জাহানারা বেগমঃ বড়বুবু,একে প্রেসার হাই তোমার। তার মাঝে এতো চা*প নিও নাহ। ছেলে আমাদের কম কিসে,ডাক্তার ছেলে,২-৩মাস হল লন্ডন থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসল,রঙে হাসা ফরসা,লম্বায় ৬ফুট এমন ছেলেকে নিয়ে কেউ টেনশন করে। চলতো,আজ সবাই ঘুরতে যাবো।

বৃষ্টিঃ কোথায় যাবা আন্টি? আগে থেকে কি তুমি সব প্লানিং করে এসেছো!

ছোট মাঃ মুচকি হেসে,আরে নাহ। এই তো শহরের শেষ দিকে নতুন একটা রিসোর্ট হয়েছে মেহসান কল দিয়ে বলল,ওখানে ও বুকিং দিয়ে রাখছে। ২-১ দিনের জন্য ঘুরে আসতেও বলল । সবার মন রিফ্রেশও হবে আবার একসাথে সময় কাটানোও যাবে কিTazin সব।

__________
Yours about the case, feel free to contact me if you have any suggestion or information, I expect your presence in Hatirjheel by 5 pm tomorrow.
Maj. Tazin...

বিকালঃ৪টা
মেজর তাযিন,আপনি কি গাড়ি করে হোটেল যাবেন।

নো,অভিরাজ। কিছু ইনফরমেশান নেওয়ার আছে রুমে যাওয়ার আগে শেষ করতে হবে।
তুমি বাকিদের নিয়ে বুকিং করা হোটেলে যাও,রাতে দেখা হবে।

ইয়েস স্যার! বলেই সবাই চলে গেল।

মেহসানঃ আমাকে হঠাৎ হাতিরঝিলে ডাকলি যে,বাসায় চল। কতদিন পর দেশে ফিরলি,সবাই কত অপেক্ষায় আছে তোর। চল বাসায় চল।

তাযিনঃ কেইস সম্পর্কে এ টু জেট সকল ইনফরমেশন চাই আমার,কেইস সলভ হলেই আমি ফিল্ডে ব্যাক করব। নো ম্যাটার হোয়াট,আই ওয়ানটু গো।

হঠাৎ কিছু বলার আগেই মেহসান চুপ হয়ে গেল,এখন বুঝে শুনে কো'প দিতে হবে একটু উনিশ বিশ হলেই আগুনে ঘি ঢালার মতো ভ*য়ং*ক*র অবস্থা হবে। কি মনে করে অপ্রসন্ন কন্ঠে বলল,বলার সাথে সাথেই সব ইনফরমেশন পাবি নাহ। এখানে অনেক রহস্য চা*পা পড়ে আছে,একটার সাথে আরেকটা লিংক যুক্ত। জ*ট ছাড়াতে সময় লাগবে। বাকিরা কই বাড়িতে চল আমার কলিগের পরিচয় হয়ে নাহয়। এদিকটাও গুছিয়ে নিতে হবে তো। জ*ট*লা কিন্তু ভালোই বেঁধে আছে।
........???

মেহসানঃ আর ইউ আউট অফ মাইন্ড? অল্পদিনের ছুটি এর মাঝে এতকিছু। কি কি প্লানিং করলি!

তাযিন কড়া দৃষ্টিতে নত হয়ে ঝিলের পানিতে তাকিয়ে রইল উত্তর না পেয়ে মেহসান নরম সুরে বলল,প্লানে আমাকে ব'লি'র পা*ঠা বানাবি আর আমাকে কিছু বলবি নাহ ভালো!ভালো!
এখন,ওঠ। বাকিদের নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। তোর কল পেয়ে ২দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে হেড অফিস থেকে ফাইল নিয়ে এদিক সেদিক দৌড়াচ্ছি। বাসায়ও ঠিকভাবে যোগাযোগ হয় নি,কি হল চল।

তাযিনঃ হোটেলে উঠছি আমি,তুই ব্যাক কর। সময় হলে কল করে ডেকে নেবো তোরে।

মানে কি! তুই বাড়ি ফিরবি না তবে। ওকে ব্রো,নট অ্যা বিগ ডিল। তোর আমানতের দায়িত্ব আমার শেষ। বাকিটা তুই বুঝে নে।
এই তাযিন,তুই কিছু হাইড করছিস আমার কাছে।
এয়ারপোর্টে নামছিস বিকাল ৪টা এখানে ৪ঃ৫৫ এসেছিস,মানে এই ৫৩-৫৪মিনিট কিছু হয়েছে।

মেহসানের সন্দেহ দৃষ্টি দেখে শান্ত সরে তাযিন বলল,এখন মোল্লা বাড়ি যাওয়া মানে অনেকগুলো শু*ক*নের চোখ সাথে করে নিয়ে যাওয়া। কিছুটা কাজ ক্লোজ করে না হয় তোর বিয়েতে এটেন্ড করব। এখন ব্যাক করতে হবে। আই হ্যাভ টু গো রাইট নাও।
আর,আমানত সময় মতো বুঝে নেবো। তুই থাকতে তার যে কিছু হবে নাহ সেটা আমার থেকে ভালো কে জানে।

ঢং করো মি*য়া। এক মা*ঘে শীত যায় নাহ আমারও সময় আসবে। তখন দেখে নেবো।

তাযিনঃ ভাবিজির কি খবর,প্রপোজ কবে করলি।

-----------
বৃষ্টিঃ আর প্রপোজ। ছোট থেকে শুনছিলাম আর্মিরা অনেক রোমান্টিক হয় কিন্তু দেখো লাইফে আসল এক বোরিং নিরামিষ মানুষ। প্রপোজ তো দূরে কথা ৫মিনিটের বেশি কোনদিন কথাও বলি নাই।

বৃষ্টির কথা শুনেই সবাই হাসতে লাগল। এভাবেই, ঝিঁঝিপোকার ডাক সাথে ঠান্ডা বাতাসের কোলাহল রাতভর আড্ডা চলল।

নিষ্প্রান নগরী সাথে ঝিঁঝিপোকার ডাক অন্ধকারের হাতছানি আলাদা শান্তির জায়গা। কিছু নিরবতা কারণে-অকারণে হয় নাহ,যন্ত্রণাটাই এমন হয় যে আওয়াজটাও কেড়ে নিয়ে যায়। মন খারাপের সময় একজন সঙ্গী থাকা অবশ্যই দরকার,নাহলে সব কিছুই বিরক্ত লাগে। কিন্তু আকাশের চাঁদটা আজও তার একাকিত্বে খুশি,ভীষণ খুশি। যেন একাকিত্ব তার জন্যই সৃ*ষ্টি। তবে ভালো লাগছে চাঁদের ঝলমলে রূপ সাথে মিটিমিটি তারা। যেন আলাদাই জগৎ,গা শিরশির করা ঠান্ডা বাতাস। রজনীর এই অপরূপ সৌন্দর্য সাথে নীরবের রাঙা একাকিত্ব,বাতাসে তালে দুলিয়োমান গাছের ডাল-পাতার মড়মড় শব্দ। দূর থেকে ভেসে আসা ঝিঁঝিপোকার ডাক প্রকৃতির রহস্যময় এক খেলা খেলে চলেছে যেন। রূপালি রজনীর এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে দূর থেকে যে কেউ ইনসুকে গি*লে খাচ্ছে সেই দিকে তার ধ্যান নাই। প্রকৃতি প্রেমীকন্যা বিভর তার কল্পনার সংসার সাজাতে।

চলবে..

(নোটবার্তা : আপনাদের ভালোবাসা দেখে সত্যিই আপ্লুত আমি। আপনাদের এই ছোট ছোট মন্তব্য কতটুকু ভালোবাসা জড়িয়ে আছে, আপনাদের একটা রিয়েক্ট ও কমেন্ট আমাকে কতোখানি উৎসাহ দেয়, সেটা কোনোভাবেই পরিমাপ করা সম্ভব না। একটুখানি অনুরোধ, আপনাদের এই উৎসাহটা যেনো আমার সাথে সবসময় থাকে। আপনাদের প্রতি ভালোবাসা রইল🌻)

06/05/2023

#তোমাকে_বুঝিনা_প্রিয়
তোহফা ইবনাত ইনসিয়া

(কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)
০২.

'মেজর তাযিন,আপনাকে এখুনি হেড অফিসে যেতে ছুটি গ্রা*ন*টে*ড করতে'।

ওকে স্যার।
মিস্টার অভিরাজ।

'ইয়েস স্যার'।

আভি মেরে লিয়ে B.D টিকিট কানফার্ম কারিয়ে।

'ইয়েস স্যার'।

'মেহসান এইভাবে বসে আছিস কেন,বাবা'।

কিছু না আম্মা,তোমরা কি কোথাও যাচ্ছো।

'হ্যাঁ, দেখনা। বড়বুবুর ছেলের বিয়েতে যাব খালি হাতে তো আর যাওয়া যায় নাহ। এজন্য শপিংমলে যাচ্ছি। আমি,তোর বড় আপা আফিয়া আর ছোট মা। আর ইনসুর কলেজ শেষ অনেকক্ষণ হল। এখনও বাড়ি ফিরল না কেন একটু খোঁজ নিস তো আমরা বরং বের হই নাহলে আরও দেরি হয়ে যাবে'।

'মেজ আপা,আফিয়া কই সব। তাড়াতাড়ি আসো,দেরি হতে চলল। এই,মেহসান তোর কি হয়েছে রে। এমন করে মাটিতে পড়ে আছিস কেন'।

কিছু না,আচ্ছা তোমরা কোন শপিংমলে যাচ্ছো।

'কেন,ঐ যে বসুন্ধরা সিটি থেকে কিছুদূর সামনে A.N shopping complex আছে ওখানে যাব ভাবছি। হঠাৎ শুনলি যে,তুই কি যাবি আমাদের সাথে'।

নাহ,আজ শপিং করতে হবে নাহ। বড় ফুফির বাসায় কুমিল্লায় যাওয়ার সময় কিছু নিয়ে নিও। আমি একটু বের হবো,ইনসুকে নিয়ে বাড়ি ফিরব। বেশি চিন্তা করো নাহ।

'রাগান্বিত হয়ে আফিয়া বলল- কেন রে সবসময় তোর কথা মতো চলতে হবে। নাকি A.N ব্যান্ড শপিং কমপ্লেক্সে যাব তোর টাকা খরচ হবে এজন্য নিষেধ করছিস। আরে ভাই, চিন্তা করিস নাহ। তোর আপার শ্বশুর বাড়ি এতটাও ছোট লোক নাহ। টাকা-পয়সা দেওয়ার মতো যথেষ্ট মন-মানসিকতা রয়েছে। আরে উত্তর শুনে বুঝি গায়ে ফোস্কা পড়ল,যে চোখ-কান লাল করে চলে গেলি'।

'আফিয়া, কি ধরনের অ*ভ*দ্র*তা। নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে নাহলে মেহসান নিষেধ করত নাহ। চল,মেজ আপা রাতের খাবার জোগাড় করি। কাল না হয় শপিং করে নেবো।

'হ্যাঁ,ছোট চল। দাঁড়াতো,দেখি এই সময়ে আবার কে ফোন দিল'।

কে ফোন দিল,মেজ আপা এই অসময়ে।

বড়বুবুর বাড়ি থেকে ফোন আসল,দাঁড়া কথা বলে দেখি।

_______________

ইনসু,এই অসময়ে বাসায় না ফিরে নদীর ধারে কি করিস।

মেহসান ভাইয়া,তুমি জানলে কিভাবে আমি এ..এ..
খ..খা..ন..নে।

আমার প্রশ্ন এটা নয় ইনসিয়া,তোকে কিছু বলি নাহ তার মানে এই নয়। যখন যা মন চাইবে করবি। তোর ভাই, কোন রোবট নয় সেও র*ক্ত-মাং*সে গড়া এক মানুষ। উঠ,বাড়ি ফিরব। কোন কথা নয়।

ইনসু কোথায় ছিলি বলতো। সেই মেজ আপার কথা শুনে সকালে বের হয়ে চলে গেলি আর এখন সময় দেখছিস কয়টা বাজে। দ্রুত রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।

ছোট মা,এখন কিছু বলো নাহ। ইনসিয়া ওপরে যাও ফ্রেশ হয়ে কফি খেয়ে তারপর ঘুমাবে পরে কথা হবে।

অপরাহ্নের আবছা আলোয় ধীরেধীরে রাঙায়িত হচ্ছে পশ্চিমাকাশ। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারপাশ। দিনশেষে তারাও হয়ত যার যার নীড়ে ফিরছে আনন্দে উল্লাসধ্বনিতে মত্ত হয়ে। ছোট্ট ছোট্ট পাখিগুলা কত সুন্দর করে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে আনন্দ উল্লাস ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।
প্রকৃতির এ স্নিগ্ধ সাধারণ রূপ দেখতে দেখতে কফির মগে চুমুক বসিয়ে ডুব দিলাম ঝলমলে অতীতে৷
বর্তমানে এত সুখ,স্মৃতি থাকলেও অতীতের মতো মিষ্টি নয় এসব। অতীত যদি বর্তমান হতো, ভবিষ্যৎ কত সুন্দর না হতো। বাবাইরা চার ভাই,তিন বোন ছিলেন। সবার মাঝে এতো মিল যে তাদের চাচা না বলে বাবা বলেই ডাকতে হতো। বড় বাবা-বড় মা কে ভালো বাবা-মা বলেই ডাকতাম। দাদু-দিদা, বড় বাবা-বড় মা,মুনতাসীর ভাইয়া,অভি ভাইয়া,মুনমুনপি, বাবাই-আম্মা,ভাইয়া,আফিয়া আপা,সেজ বাবা-সেজ মা,তানুপি,ছোট বাবা-ছোট মা জারাপি ব্যস এই মানুষগুলা নিয়েই সুখ ভরা সংসার ছিল এই মোল্লা বাড়ি আমাদের।

মুনতাসীর ভাইয়া মুনমুনপি ও অভি ভাইয়ার বড়। ওদিকে মুনতাসীর ভাইয়া আর আফিয়া আপা সমবয়সী। অভি ভাইয়া ও মেহসান ভাইয়া সমবয়সী। তানুপি,জারাপি,মুনমুনপি মেহসান ভাইয়া ও অভি ভাইয়ার থেকে ২বছরের ছোট। আর এই তিনবোনের মাঝে সবচেয়ে ছোট আমি। এজন্য আদরের ভা*গ ও আমার ক্ষেত্রে একটু বেশি। তবে জারাপির সাথে আবার আমার মাখো মাখো ভাব।

ছোট মা'র কাছে শুনেছিলাম,অভি ভাইয়া আর মুনমুনপির সামনেই নাকি ভালো বাবা-ভালো মাকে খু*ন করা হয়েছিল। এই ধা*ক্কা তারা নিতে না পারায় ধীরে ধীরে অবনতি হলে মুনতাসীর ভাইয়া তাদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তবুও আমাদের জীবন সুখেই চলছিলো। কিন্তু আমার বয়স যখন প্রায় চার বছর, তখন বাবাই আর দাদু মা*রা যায়। তাদের চলে যাওয়ার ধা*ক্কা নিতে না পারায় দিদাও চলে যায়। অর্থের সংকট দেখা দিতেই আফিয়া আপা তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে যায়। সেজ বাবার পরিবার কোথাও চলে যায়। আম্মা,ছোট বাবা-ছোট মা জারাপি,ভাইয়া ব্যস এ'কয়জনের নিয়েই আমাদের পরিবার। বাবাই আর্মি অফিসার ছিলেন,তার সন্তান হিসাবে মেহসান ভাইয়া ক্যাডার হিসাবে জয়েন হয়,কয়েকবছর পর মেজর পদে। তারপর যখন সুখের মুখ দেখতে শুরু করলাম তখনই বড় আপা আফিয়া আবার আম্মা,ভাইয়ের হাতে-পায়ে পড়ে সম্পর্ক ঠিক করে নেই। তবে চলে যাওয়া বাকি অর্ধেক পরিবারের খোঁজ আজও জানি নাহ।

ইনসু! এই ইনসু! কোথায় তুই।

আরে জারাপি যে,কখন ফিরলে। তোমার তো বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সব ভালোই ভালোই হয়ে গিয়েছে।

ফিরছি তো অনেকক্ষণ হল। এখন নিচে চল তো। অনেক ক্ষুধা পাইছে। তারপর দুই বোন মিলে মেহসান ভাইয়া ওপর হা*ম*লা করব। কতদিন পর ফিরল এখনও আমাদের গিফটগুলা দিল নাহ।

তুমি আর মেহসান ভাইয়ার ওপর হা*ম*লা। হাসালে কিন্তু।

মা*র*ব টে*নে এক চ*ড়। বড় বোন হই আমি তোর। এই রে,ভাইয়া সেই কখন ডেকে গিয়েছে এখনও পর্যন্ত ওপরে। চল, চল আজ মনে হয় মেহসান ভাইয়ার মাথার ওপর বাতাস খুব গরম।

মেজ আপা কি বলছো এসব। এখন কি হবে।

কি হয়েছে ছোট মা।

আর বলিস নাহ আফিয়া,আজ বিকালে বড়বুবু ফোন দিছিল। সোহানের যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তারা নাকি বিয়ে ক্যান্সেল করে দিছে। মেয়ের বড় ভাই কাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ বিকালে তার ডে*ড ব*ডি পেয়েছে। এজন্য তারা মে*ন্টা*লি ডি*স্টা*র্ব অনেক।

এটা কোন কথা,তাই বলে বিয়ে ক্যা*ন্সে*ল করে দেবে। আরে বিয়ে তো আরও ৫-৬মাস আগে থেকে ঠিক করা। কত আয়োজন,নিমন্ত্রণ, কত টাকা-পয়সার ব্যাপার আর এখুনি। আর যাই বলো, ছোট মা সোহান ভাইয়ার যাদের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাদের কিন্তু মন-মানসিকতা ভালো নাহ। নাহলে এসব করে,দেখো গিয়ে মেয়ের কোথাও কোন সমস্যা আছে এজন্য।

ইনাফ ইস ইনাফ আপা!!
বড় বোন হয়েছিস বলে মুখে যা আসবে তাই বলে যাবি,পরিস্থিতি না দেখেই। A.N shopping complex এর মালিক তারা, মন -মানসিকতা এতই খারাপ হলে এতো বড় ব্যান্ড এই বাজারে দাঁড়াতে পারত নাহ। আর হ্যাঁ,তাদের জানের প্রিয় একজন মা*রা গিয়েছে সেই সব বাদ দিয়ে এখন নাচতে নাচতে বিয়ে করতে যাবে। সত্যিই হাসালি আপা।

মেহসান দেখ ভাই,আমি সেইভাবে বলতে চাই নি। আমার কথা একটু বোঝার চেষ্টা কর ভাই।

1মিনিট, জুরুরি কলঃ

Hello! Yes sir, I take care of everything.
I'm leaving now. YES SIR...

মেহসান কিছু কি হয়েছে, বাবা। আজ সারাদিন অনেক ডি*স্টা*র্ব ছিলি। আবার এতো তাড়াহুড়ো করে বাইরে যাচ্ছিস।

ছোট মা,আম্মা তুমি বাকিদের খেয়াল রেখো। একটা জুরুরি কে*ই*স এসে গিয়েছে, আমাকে এক্ষুণি রওনা দিতে হবে। মাঝে মাঝে হয়ত নেটওয়ার্কে পাবা না আমাকে,কেউ চিন্তা করো নাহ। আমি তাড়াতাড়ি ফিরে আসব।


চলবে কি...

(আপনাদের ছোট্ট ছোট্ট মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করে লিখতে। অনুগ্রহ করে বলবেন কেমন হয়েছে। পর্বটি ছোট হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সারাদিন রোজা+ পড়াশোনা একটু উনিশ-বিশ হয়ে যাচ্ছে সময় নিয়ে। কোন প্রকারের ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর পুরা গল্পটি কাল্পনিক।)

06/05/2023

"বিয়ের পর কি কেউ পড়াশোনা করছে নাহ,সংসার সামাল নিয়েও মানুষ বিসিএস দিচ্ছে। তবে বিয়ে করতে সমস্যা কোথায় ' বিরক্ত ভঙ্গিতে জাহানারা বেগম বলে উঠলেন।

আম্মা আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি নাহ,যে এখনি বিয়ে দিতে হবে আর আমি আপার দেওরকে বিয়ে করব নাহ বলেই চোখের পানি মুছতে মুছতে ভিতরের ঘরে চলে গেল।

গু*মো*ট পরিস্থিতিতে আফিয়া বলে উঠল- 'আম্মা,সময় থাকতে ছোট মেয়ের ডানা কাটাও নাহলে কিন্তু এই মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবা নাহ। এতটুকু বয়সে এই তে*জ,ওর ভবিষ্যৎ কি হবে বুঝা শেষ আমার'।

'হয়েছে তোমাদের, সারাটা দিন কেউ কারোর খোঁজ রাখো নাহ। যেই খাওয়ার সময় সবাই এক হয় তখনই তোমরা শুরু করে দাও। মেয়েটার আর ১-২মাস পর পরীক্ষা এর মাঝেই বিয়ে বিয়ে করছো। আর আপা,ছোট বোনকে বসে খাওয়ানোর মতো যথেষ্ট টাকা আমার আছে। আমার বোন যখন বলবে তখনই তার বিয়ে হবে এই টপিক যেন বাড়িতে দ্বিতীয়বার না ওঠে-বলেই রাগান্বিত হয়ে টেবিল ছেড়ে উঠে চলে গেল।

টাকার গ*র*ম তো দেখাবেই,কি এমন খারাপ বলছি তুমি বলো আম্মা। আমার দেওর কি কম খারাপ। বয়স এই ৩০হল। দেখতে শুনতে ভালো, সরকারি চাকরি করে। ইনসিয়াকে চাইছে এটাই কপালের জোর। বোনের রূপের গ*র*ম দেখানো হচ্ছে যখন মেয়ে সবার মানসম্মান ন*ষ্ট করবে ভালো ঘর খুঁজে পাবে নাহ তখন এই আফিয়ার কথা মনে হবে-বলেই টেবিল ছেড়ে চলে গেল।

জেলির বোইম আর ছু*রি হাতে নিয়ে জাহানারা বেগম ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে রইল ছেলে-মেয়েদের যাওয়ার দিকে। এক এময় জান্নাতের খুশবে ভরপুর ছিল মোল্লা বাড়ি। আর এখন, এই জা*হা*ন্না*ম থেকে মু*ক্তি পেলেই শান্তি। খারাপ বছর শেষ হক,কিন্তু সম্পর্কের নয়।

'মেহসান,তুই কি ঘরে আছিস বাবা'।

জি ছোটমা,ভিতরে আসেন।

'কি করছিস,বাবা। কতদিন পর বাড়ি আসলি একটু এলাকায় ঘুরবি আড্ডা দিবি,তা বাদ দিয়ে ঘরে বসে আছিস। তোর কি মন খারাপ'।

আজ টেবিলে একটু বেশি রিয়াক্ত করে ফেলছি।

'তোদের বংশে এই এক জ্বা*লা কারোর রাগ উঠলে মাথায় ঠিক থাকে নাহ,আবার ঠান্ডা হলে অনুতপ্তে ম*রে যাস'।

ছোট চাচী,তুমি তো জানো ইনসু ওর রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি। যদি কোনদিন ফিরে এসে,তার আমানত চাই তখন যদি না দিতে পারি।

'তাই ইনসুর ব্যাপারে এতো রিয়াক্ত করিস,আচ্ছা মন খারাপ করিস নাহ। একবার আমার ছেলে ফিরে আসুক,এই মোল্লা বাড়ি আবার আগের মতো হয়ে যাবে দেখিস। বড় আপা-বড় ভাইয়ের মৃ*ত্যু*র পর ছেলেটা যে ঘরমুখো হলো নাহ। বলি আমরা কি তার কেউ নাহ।

ছোট মা,কান্না করো কেন। তোমার ছেলেকে তো চেনো তার ওপর কেউ কথা বলতে পেরেছে। তবুও,বলব পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে আসতে।
আর, ইনসু কই। আম্মার কথায় তো না খেয়ে সকালে চলে গেল। তুমিই বলো,বিয়ের কথা বললেই কি ওর বিয়ে দিয়ে দেবো আমি।

'ছোট মানুষ তো এজন্য বিয়ের কথা শুনতেই ভ*য় পেয়েছে। আর মেয়ে কি ঘরে থাকে,বৃষ্টির সাথে কলেজে গিয়েছে। আর শোন যার জন্য আসা,তোর বড় ফুফুর ছেলে সোহানের তো বিয়ে আমরা ভাবছিলাম বিকালে রওনা হবো। তুই কি আমাদের সাথে যাবি বাবা '।

সোহানের বিয়ে বলো কি,২-৩বছরে কত কিছু চেঞ্জ।
আমারও এইদিকে কিছু কাজ আছে,সেগুলা শেষ না করে দ*ম নিতে পারব নাহ গো। আর ইনসুকে রেখে যাও,ওকে চোখের আড়াল করতে ভ*য় হয়। আমি বিয়ের আগে ওকে নিয়ে যাবো।

'মুচকি হেসে ছোটমা বলল,তুই ইনসুকে পাঠাবি নাহ জানতাম। শুধু ইনসুকে নিয়ে ভাবলে চলবে। আরও একজন আছে তার একটা ব্যবস্থা কর। পাখি উড়াল দিতে কতক্ষণ। আর এমনিও ফি*ল্ডে ব্যাক করলে বাড়ির খোঁজ নিতে পারিস নাহ। এখন,একটু বাড়ি আসতে না আসতেই কাজ কাজ। এগুলার জন্য কি ছুটি নেওয়া'।

তোমার ছেলেরা কাজ না করলে, তোমাদের মতো হাজার হাজার পরিবারের নিরাপত্তা কে দিবে। আর
আমার অপেক্ষায় আছো কেন,পছন্দের কথা জানতে চেয়েছ বলেছি এখন বাকি কাজ তোমাদের,কি করবা দেখো। তবে যাওয়ার আগে কাবিন করে যাবো,কি বলো।

'আলহামদুলিল্লাহ,একটা ব্যবস্থা না করলে কখন কি হয়ে যায়। আমি আপাদের সাথে কথা বলে সব ব্যবস্থা করব। বাড়ি ফিরে এই ব্যাপারে বাকি কথা হবে তবে।

________________
২.
বেঞ্চে পা ঝুলিয়ে বসে ভীষণ দুঃখিনীর মতো মুখ করে বৃষ্টি বলল,
" আর্মি, ও আর্মি ডাক পারি
আর্মি মোর কোথায় গেলি,আর্মি,ওও আর্মি....
মোর বাড়ি আয়।

বৃষ্টি কি শুরু করছিস,তোর মা কে বলব তোর পাগল মাথায় আবার আর্মি ভু*ত ঢুকে পড়েছে।

'আহ,আমার মাথায় আর্মির ভু*ত। আর নিজে যে এক আর্মির জ্যাকেট পেয়ে সারাদিন তারে নিয়ে কল্পনা জল্পনা করে সংসার করছ সেই খবর তাদের দেই কি বলো বেইব।
আর জানু আমার,এসব কথায় রাগ করতে হয় নাকি। তো...

তো,ওয়াটটট...

'ইনসু বেইব আমার জান থুরি মেজর সাহেব কয়দিনের ছুটিতে আসল'।

উ*ষ্ঠা খা*ই*তে মন চাই বুঝি।

'মন-মেজাজ অনেক খারাপ দেখি,আমার ছোট শাশুড়ি আম্মা বলল,বরের শো*কে তুই না খাওয়ার শপথ নিয়েছিস। চল,ক্যানটিন থেকে কিছু নিয়ে আসি একটু পর ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। ভাবি থাকতে ননদীর এতো চিন্তা কিসের। উঠ তো'।

বৃষ্টি আমাকে একটু একা ছেড়ে দে,তুই বিদায় হো এখন।

'মুখ ভা*ঙি*য়ে মনে মনে-এক অচেনা ছেলের জন্য আর কত কি দেখতে হবে। ভাই চিনিস না জানিস না মন দিয়ে আসলি তাকে আর সব রাগ আমায় এসে দেখাবে। যত্তসব বলেই ক্যানটিনে চলে আসল।

'মামা,দুইটা পিস কেক দেন তো'।

ও বৃষ্টি ফু*ল*টু*সি দিনদিন দুই বান্ধবী দেখি ঝা*ক্কা*স হচ্ছো। এখন শুধু চে*কে দেখার পালা। কি বলিস সব-বলেই হা,হো করে হাসতে লাগল।

আরে আসিফ ভাই,শুধু রূপ ঝা*ক্কা*স দেখে এই আর কয়দিন পর দেখো না কি হয়।

মা-নে,আর এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেন।

আসিফ ভাই, মেজর সাহেব বাড়ি ফিরছে এবার আমার বিয়ে হয়ে যাবে,তারপর বাচ্চা হবে, তারপর বাচ্চার বিয়ে হবে তারপর...

'ম..ম..মে..জ..জ..র মানে মেহসান স্যার ফিরছে নাকি,কাল এই পাড়ায় ছিলাম না এর মাঝে। বৃষ্টি আপু এগুলা মেহসান ভাইয়ের কানে দিও নাহ। আর তোমাদের কেউ ডিস্টার্ব করলে আমারে বলবে এখন আসি নিজেদের খেয়াল রেখো'-ভয়ে ভয়ে তাড়াহুড়া করে চলে গেল।

'আ*উ*চ,ইনসু মাথায় মারছিস কেন'।

আসিফ ভাই এখানে কি করছিল,তোকে কি আবার কিছু বলছে।

'আরে নাহ,একটু লাইন কা*ট*তে আসছিল। কিন্তু আমি সামলিয়ে নিছি'।

তাহলে নিশ্চয়ই কিছু উল্টো বুঝিয়েছিস,আচ্ছা বাদ দে। জানিস রাকিব ভাইয়ার বিয়ে কিছুদিন পর,চাচীমাদের সাথে ফুফিদের বাসায় চলে যাব।

'নাহহহ,একটুও নাহ। কই এতোদিন পরে তোর ভাই বাড়ি ফিরল বান্ধবী থেকে ভাবি বানানোর ব্যবস্থা করবি সেটা না করে উনি যাচ্ছে ঘুরতে'।

খুব শখ না বিয়ে করার,আগে আমার উনি আসুক তারপর দুই বেস্টু একসাথে বিয়ে করব।

তার আগে যদি আমি মা-রা যায়,আগে আমায় ভাবি কর তারপর বাকি স..বব।

বৃষ্টিইই-জোরে ডেকে উঠল।
আমায় তোরা কেউ ভালোবাসিস না,এজন্য সবাই আমাকে রেখে চলে যাওয়ার কথা বলিছ । লাগবে নাহ কাউকে। প্রথমে ভালো মা-বাবা চলে গেল,তারপর দাদুবা,তারপর বাবাই এখন তুইওও - আস্তে আস্তে পিছাতে পিছাতে বৃষ্টির দৃ*ষ্টি*র বাইরে চলে গেল।

'ইনসু,ইনসু আমার কথা শোন। ইনসুর পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বৃষ্টি ডেকে উঠল। যেতে যেতে কাউকে ইনসুর কথা জানিয়ে দিল।

একটা "আপনি" খুঁজতে গিয়ে আমরা কত কিছু না হারাই প্রিয়! এই তৃ*ষ্ণা নিবারনের জন্য হলেও আমার
আপনাকে প্রয়োজন। আপনি যে আমার দূরে থাকা ভীষণ কাছের কেউ!

তোমাকে বুঝিনা প্রিয়
তোহফা ইবনাত ইনসিয়া
(কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)
০১.

চলবে কি..

(একটু বেশি অগোছালো, প্রথম পর্ব কেমন হয়েছে জানাবেন। আর প্রথম পর্বে পরিচয় তেমন বলা হয়নি। এগুলো ২/১ পর্বের মধ্যেই জেনে যাবেন। ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমা স্বরূপ দৃষ্টিতে দেখবেন)

Address

Satkhira

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jannatul Bushra posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jannatul Bushra:

Share