Hobaib Tarek

Hobaib Tarek Enjoy your life

24/07/2023

হাঁসভোজন,বনভোজন।

23/07/2023

রাজহাঁস

23/07/2023

Beautiful place,near in Bandarban.

ক্যারিয়ার উন্নয়নে তাহসানের ৫ পরামর্শ ❗ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নবীন বরণে একটি বক্তব্য দিয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনে...
14/07/2023

ক্যারিয়ার উন্নয়নে তাহসানের ৫ পরামর্শ ❗

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নবীন বরণে একটি বক্তব্য দিয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য ৫টি বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বাস্তবধর্মী দুক নির্দেশনামূলক এ বক্তব্যের জন্য ভক্ত- শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সব মহলের প্রশংসায় ভাসছেন তাহসান।

ইংরেজিতে দেওয়া তার বক্তব্যটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।

সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তাহসান বলেন, আমি বলব আপনারা ভাগ্যবান কারণ আপনারা একটু উত্তম যায়গায় জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। এটাকে আমি উত্তম যায়গায় বলছি কেননা, এটা এমন একটি জায়গা যেখানে আপনাকে কেউ বলবেনা তুমি পড়তে বসো কিংবা কোন শিক্ষক আপনাকে পড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে না।

আপনাকে নিজে নিজেই আপনার ক্যারিয়ার সম্পর্কে সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নিজের জীবন গড়ার জন্য। যারা সচেতন হবে, তারা সফল হবে। যারা সচেতন হবে না, তারা হয়তো বা সফল নাও হতে পারে। তবে সচেতন সবাই সফল হবে। আমি যখন এখানে গাড়ি চালিয়ে আসছিলাম তখন ভাবছিলাম, কি বলব সেখানে গিয়ে? আমি ভাবছিলাম আমি ক্লাসে কি কি করতাম? আমি ভাবছিলাম এমন কি বললে সবাই অনুপ্রাণিত হয়ে ভাল কিছু করতে পারবে।

আমি চিন্তা করলাম আমাকে এমনভাবে ক্লাস নিতে হবে, যেমন অন্য শিক্ষকরা নেন। সুতরাং এমন কিছু বলতে হবে যা সবার জন্য ভাল। উদাহরণ স্বরূপ, আমি স্টেজে উঠলাম ৮ মি। আমি চিন্তা করলাম আমি কি বলতে পারি? সুতরাং আমি এখানে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনের জন্য ৫ টি বিষয়ে পরামর্শ দিতে চাই।

১. পরিবর্তন: তাহসান বলেন, আমার ১ম পরামর্শ হলো পরিবর্তন। পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করতে হবে। বর্তমান যুগে এগিয়ে যেতে হলে পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, তিনি যখন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, তখন তার ব্যবসা অনুষদের শিক্ষকরা কোকাকোলাকে অন্যতম ব্রান্ড হিসেবে তাদের কাছে উপস্থাপন করত। তারা কোকাকোলা খাওয়াকে সাধারণ ব্যাপার মনে করত। কিন্তু বিশ্বখ্যাত ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন তার সাক্ষাৎকারের পূর্বে কোকাকোলার বোতল টেবিল থেকে সরিয়ে রাখলেন, ঠিক তখন মুহূর্তেই কোকাকোলা শেয়ারবাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হারালো। কেননা, তরুণ প্রজন্ম এখন বুঝতে পারছে যে, কোকাকোলার মতো পানীয় আসলে কোন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নয়।

সুতরাং কোন কিছুই স্থায়ী নয়, সব কিছুই পরিবর্তনশীল। সব কিছুকে পরিবর্তন হতে হয়। এই পরিবর্তনের মধ্যে নিয়েই আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি।

২. আবেগকে প্রধান্য না দেয়া: সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আবেগকে প্রধান্য দেয়া যাবে না। বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো বেশি বাস্তবিক ও প্রায়োগিক হতে হবে। নেতিবাচক আবেগকে কোন কারণ হিসেবে নিয়ে কখনোই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত হবে না। এগুলো থেকে অবশ্যই সবাইকে দূরে থাকার পাশাপাশি একজন পরিপক্ব ব্যক্তি হয়ে উঠার পরামর্শ দেন তিনি।

৩. খুব সহজে অন্যকে বিচার করার যে প্রবণতা সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা খুব সহজেই অন্যকে বিচার করে থাকি এবং এমনটাও মনে করে থাকি এটা যেন আমাদের কোন অধিকারের অংশ। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে এটা হওয়া উচিত নয়। কেননা, তার নিজেরও কোন গল্প থাকতে পারে যেটা অন্যের কাছে সঠিক বলে বিবেচিত নয়। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলিউডের একজন অভিনেতার এডভাইসম্যান্টের কথা তুলে ধরেন, সম্ভবত ১৯৯৫ সালের একটা টিভি এডভাইসে সঞ্চয়দত্ত অ্যালকাহলিক বেভারেজের টক্সিক ম্যাসকুলনিটি বা পুরুষত্বের বড়াই প্রকাশ করে এটাকে প্রমোট করেন। যেটা সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে সেই বড়াইটাকে সমালোচনা করে অনেকে মন্তব্য করছেন। এখন তারা মনে করছেন এটা এভাবে করা ঠিক হয় নি। তাহসান সেটাই বলেছেন যে, আমি এটাকে ডিফেন্ড করছি না, আমি এটা বুঝাতে চাই যে, এতো বছর আগে যে অবস্থায় এই এডাভার্টাইম্যান্ট হয়েছে, এখন বর্তমান সময়ে সেটাকে টেনে বিচার করা মোটেও যুক্তি সঙ্গত নয়। আমি এটাকে সমর্থন করছি না কিন্তু তখনকার প্রেক্ষাপট ও বর্তমান প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। সুতরাং এমন যেকোনো বিষয়কে বিচার করার আগে আরো গভীর ভাবে সে সম্পর্কে জেনে তারপর বিচার করা উচিত।

৪. আত্মদর্শন : তিনি চতুর্থ নম্বর পরামর্শে আত্মদর্শন সম্পন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। আমরা নিজে কি চাই, নিজের মানসিক ও আবেগিক বিষয়গুলো জানান মাধ্যমে নিজের সক্ষমতা ও লক্ষ্যকে স্থির করা। অন্যরা কি করল? তারা কি চায়? এ সবকিছু দূরে রেখে অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুতরাং নিজের লক্ষ্য অর্জনে আত্মমগ্ন হয়ে নিজেকে চিনতে ও জানতে হবে।

৫. সর্বশেষ পরামর্শে নিজে কিছু করার কথা বলেছেন তিনি। অন্যরা কি করল সেটার দিকে না তাকিয়ে বরং নিজের কর্মের মাধ্যমে নিজের একটা জায়গা তৈরি করতে হবে এবং আমাদের আশেপাশে যারা আছেন তাদেরও নিজেদের মূল্য তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে মাধ্যমে বিশ্বকে একটি উপযোগী স্থানে পরিণত করার পরামর্শ দেন অভিনেতা তাহসান খান।

-সংগৃহীত

12/07/2023

ভূমি বিষয়ক নিম্নের তথ্যাবলী প্রত্যেকেরই জানা উচিত! “পর্চা”, “দাগ”, “খতিয়ান”, “মৌজা”, “জমা খারিজ”, “নামজারি”, “তফসিল” ইত্যাদি বিষয়ের ডেফিনেশন এবং জেনে নিন ভূমি বিষয়ক জরুরী সব তথ্য।

১!“নামজারী” বা মিউটেশন কাকে বলে?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।

২!“জমা খারিজ”কাকে বলে?
যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

৩!“খতিয়ান” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান” বলে।
খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান…
ভূমি জরিপ: CS, RS, PS, BS কি?

৪!ভূমি বা Land কাকে বলে?
“ভূমি কাকে বলে?”- এর আইনী সংজ্ঞা রয়েছে। The State Acquisition and Tenancy Act, 1950- এর ২(১৬)- ধারা মতে, “ভূমি (land) বলতে আবাদি, অনাবাদি অথবা বছরের যেকোন সময় পানিতে ভরা থাকে এবং ভূমি হতে প্রাপ্ত সুফল, ঘরবাড়ি বা দালান কোঠা বা মাটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য দ্রব্য অথবা স্হায়ীভাবে সংযুক্ত দ্রব্য এর অন্তর্ভুক্ত বুঝাবে।”

৫! ভূমি জরিপ/রেকর্ড কাকে বলে? ভূমি জরিপ হচ্ছে ভূমির মালিকানা সম্বলিত ইতিহাসের সরেজমিন ইতিবৃত্ত।
আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরেজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ
এবং নকশা তৈরী করে তাই রেকর্ড বা জরিপ। অর্থাৎ রেকর্ড বা জরিপ হচ্ছে মালিকানার বিরবণ এবং নকশার সমন্বয়। একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়। এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তখ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত, এর খতিয়ান নাম্বার, ভূমির দাগ নাম্বার, মালিক ও দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে। রেকর্ড বা জরিপ
প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত। রেকর্ড বা জরিপের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানা সম্বলিত বিবরণ খতিয়ান হিসেবে পরিচিত। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান, ইত্যাদি। আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছে;
1. CS -Cadastral Survey
2. SA- State Acquisition Survey (1956)
3. RS -Revitionel Survey
4. PS – Pakistan Survey
5. BS- Bangladesh Survey (1990)

ক) সি.এস. জরিপ/রেকর্ড (Cadastral Survey)
“সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৯ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপে বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সমস্ত জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয়। প্রথম জরিপ হলেও এই জরিপ প্রায় নির্ভূল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।
খ) এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)
১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদের প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এবং রায়তের খাজনা নির্ধারনের জন্য এই জরিপ ছিল।
জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
গ) আর.এস. জরিপ ( Revisional Survey)
সি. এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমি, মলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। পূর্বেও ভুল ত্রুটি সংশোধনক্রমে আ. এস জরিপ এতই শুদ্ধ হয় যে এখনো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আর, এস জরিপের উপর নির্ভর করা হয়। এর খতিয়ান ও ম্যাপের উপর মানুষ এখনো অবিচল আস্থা পোষন করে।
ঘ) সিটি জরিপ (City Survey)
সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।

৬!“পর্চা” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হ তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।

৭!“মৌজা” কাকে বলে?
যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।
৮!“তফসিল” কাকে বলে?
জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।

৯!“দাগ” নাম্বার কাকে বলে? যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়।

১০!“ছুটা দাগ” কাকে বলে?
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাকে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।

১১!“খানাপুরি” কাকে বলে? জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

১২!“আমিন” কাকে বলে?
ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিযুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।

১৩!“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?
ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।

১৪!“খাজনা” ককে বলে?
সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।

১৫!“দাখিলা” কাকে বলে?
ভূমি কর/খাজনা আদায় করে যে নির্দিষ্ট ফর্মে ( ফর্ম নং১০৭৭) ভূমি কর/খাজনা আদায়ের প্রমান পত্র বা রশিদ দেওয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।

১৬!"DCR কাকে বলে?
ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।

১৭!“কবুলিয়ত” কাকে বলে?
সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।

১৮!“নাল জমি” কাকে বলে?
২/৩ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়।

১৯!“খাস জমি” কাকে বলে?
সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।

২০!“চান্দিনা ভিটি” কাকে বলে?
হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধদ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে।

২১!“ওয়াকফ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে।

২২!“মোতওয়াল্লী” কাকে বলে?
যিনি ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে। ওয়াকফ প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে না।

২৩!“দেবোত্তর” সম্পত্তি কাকে বলে?
হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।

২৪!“ফরায়েজ” কাকে বলে?
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফরায়েজ বলে।

২৫!“ওয়ারিশ” কাকে বলে?
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।
২৬! “সিকস্তি” কাকে বলে?
নদী ভাঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকস্তি বলে। সিকস্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকস্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

২৭!“পয়ন্তি” কাকে বলে?
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।

২৮!“দলিল” কাকে বলে?
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে।

ভূমির পরিমাপঃ

ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতকঃ
***************************
১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট
১ শতাংশ =১০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ
৫ শতাংশ = ৩ কাঠা = ২১৭৮ বর্গফুট
১০ শতাংশ = ৬ কাঠা = ৪৩৫৬ বর্গফুট
১০০ শতাংশ = ১ একর =৪৩৫৬০বর্গফুট

কাঠা পরিমাপঃ
****************
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট/৭২১.৪৬ বর্গফুট
১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ/৮০.১৬ বর্গগজ
১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ
২০ কাঠা = ১ বিঘা
৬০.৫ কাঠা =১ একর

একরের পরিমাপঃ
******************
১ একর = ১০০ শতক
১ একর = ৪৩,৫৬০ বর্গফুট
১ একর = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ৪,৮৪০ বর্গগজ
১ একর = ৬০.৫ কাঠা
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
১ একর = ১০ বর্গ চেইন = ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার
১ শতক = ০.৫ গন্ডা বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট

বিঘা পরিমাপঃ
*************
১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট /১৪৫২০বর্গফুট
১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক
১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ/১৬১৩ বর্গগজ
১ বিঘা = ২০ কাঠা
৩ বিঘা ৮ ছটাক = ১.০০ একর

লিঙ্ক পরিমাপঃ
****************
১লিঙ্ক = ৭.৯ ইঞ্চি /৭.৯২ ইঞ্চি
১লিঙ্ক =০.৬৬ ফুট
১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট
১০০ লিঙ্ক = ১ গান্টার শিকল
১০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ শতক
১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ একর

কানি একর শতকে ভূমির পরিমাপঃ
*******************************
১ কানি = ২০ গন্ডা
১ গন্ডা = ২ শতক
১ শতক =২ কড়া
১ কড়া = ৩ কন্ট ১ কন্ট = ২০ তিল

ফুট এর হিসাবঃ
*****************
১ কানি = ১৭২৮০ বগফুট
১ গন্ডা = ৮৬৪ বফু
১ শতক= ৪৩৫.৬০ বফু
১ কড়া = ২১৭.৮ বফু
১ কন্ট = ৭২ বফু
১ তিল= ৩.৬ বফু

বর্গগজ/বর্গফুট অনুযায়ী শতাংশ ও একরের পরিমাণঃ
*********************************
৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
৪৩৫৬০ বর্গফুট= ১ একর
১৬১৩ বর্গগজ= ১ বিঘা
১৪৫২০বর্গফুট = ১ বিঘা
৪৮.৪০ বর্গগজ = ০১ শতাংশ
৪৩৫.৬০ বর্গফুট= ০১ শতাংশ
৮০.১৬ বর্গগজ= ১ কাঠা
৭২১.৪৬ বর্গফুট = ১ কাঠা
৫.০১ বর্গগজ = ১ ছটাক
৪৫.০৯ বর্গফুট= ১ কাঠা
২০ বর্গহাত = ১ ছটাকা
১৮ ইঞ্চি ফুট= ১ হাত (প্রামাণ সাই)
শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন।

ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য সুখবর!
10/07/2023

ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য সুখবর!

নিলাদ্রী লেকতাহিরপুর, সুনামগঞ্জ
05/07/2023

নিলাদ্রী লেক
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ

04/07/2023
ডা. মরিচ বুকাইলি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে আছেন ফেরাউনের মমি করা লাশের দিকে। রাত গভীর হয়েছে। কিন্তু তিনি হিসেব মেলাতে পারছেন না...
03/07/2023

ডা. মরিচ বুকাইলি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে আছেন ফেরাউনের মমি করা লাশের দিকে। রাত গভীর হয়েছে। কিন্তু তিনি হিসেব মেলাতে পারছেন না৷ এ কী করে সম্ভব! কী এমন রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে এর পেছনে! শত শত বছর ধরে মেডিকেল সায়েন্সকে একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি লাশ কীভাবে টিকে থাকল! লাশের দেহে পাওয়া গেছে লবন, যা প্রমাণ করে—এটিকে সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কেন কার্যকর হলো না লাশের শরীরে!

বলছি প্যারিসের এক ল্যাবরেটরির কোনো এক মধ্যরাতের দৃশ্যপট নিয়ে। এই দৃশ্যপটটি যে সময় সংঘটিত হচ্ছিল, সে সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফ্রাঁসোয়া মিত্রা। তিনি মিসর সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন—তার দেশ ফেরাউনের মমিকে ফ্রান্সে নিতে চায়। উদ্দেশ্য মমিটি নিজেদের আয়ত্বের ভেতরে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা করা। সে সময়কার মিসর সরকার ফ্রান্সের এই অনুরোধ বিবেচনা করে সায় দিলো তাতে। মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ফেরাউনের মমি নিয়ে আকাশে ওড়া বিমানটির গন্তব্য প্যারিস।

বিমান যথারীতি পৌঁছে গেল প্যারিস এয়ারপোর্টে। ফেরাউনের মমি করা লাশ বিমান থেকে অবতরণ করল অনেকটা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। এককালের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মিশর শাসক বলে কথা! মমিকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে স্বয়ং উপস্থিত হয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। সাথে উজির নাজির অমাত্যবর্গ। বিমানের সিঁড়ি দিয়ে ফেরাউনের মমি নামানো হচ্ছে। সবার মধ্যেই টান টান উত্তেজনা। সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রীবর্গ এবং ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ। কুর্নিশ করে ফেরাউনকে স্বাগত জানালেন তারা।

জমকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেওয়া হলো এককালের মিশর অধিপতি ফেরাউনের মমি করা লাশকে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হলো মমি, যেখানে অপেক্ষমান ফ্রান্সের সবচেয়ে বড়ো সার্জনগণ। তারা ফেরাউনের মমির ময়নাতদন্ত করে সেটা নিয়ে স্টাডি করবেন। এই মমির টিকে থাকার পেছনের গোপনীয়তা আবিষ্কার করাই তাদের লক্ষ্য। উদঘাটন করবেন এর হাজার হাজার বছর ধরে অবিকল টিকে থাকার গভীর এবং জটিল রহস্য।

এই গবেষক দলের প্রধান ডা. মরিস বুকাইলি। গবেষক দলের মধ্যে যারা থেরাপিস্ট ছিলেন, তারা চাচ্ছিলেন—ক্ষত অংশগুলো ঠিক করে মমিটিকে পুনর্গঠন করবেন। কিন্তু ডা. মরিস বুকাইলির দৃষ্টি ছিল ভিন্ন দিকে। তিনি প্রথমেই ফেরাউনের মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করতে চাচ্ছিলেন। এ নিয়েই ভাবতে শুরু করলেন তিনি। অবশেষে দীর্ঘ গবেষণার একপর্যায়ে মৃত্যুরহস্য স্পষ্ট হয়ে উঠল তাঁর কাছে। পানিতে ডুবেই যে ফেরাউনের মৃত্যু হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হলেন তিনি। কিন্তু লাশটি টিকে থাকল কীভাবে, সেই রহস্যের কোনো কুল-কিনারা করতে পারলেন না। ব্যাকটেরিয়া এখানে অকার্যকর কেন?

অতঃপর ডা. মরিচ বুকাইলি রিপোর্ট তৈরি করলেন এবং বললেন, 'এটি এক নতুন আবিষ্কার, যা আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য সহায়ক হতে পারে।' এরমধ্যে তাঁর এক কলিগ জানালেন—ফেরাউনের ডুবে যাওয়া এবং তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে মুসলিমদের ধর্মীয় পুস্তক আল কুরআনে বলা হয়েছে। কথাটা বিস্মিত করল ডা. মরিসকে। তিনি পালটা প্রশ্ন করলেন, 'এটা কীভাবে সম্ভব? এই মমি পাওয়া গেছে সবেমাত্র সেদিন; ১৮৮১ সালে, আর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে! আরবের লোকজন প্রাচীন মিসরীয়দের মমি করার পদ্ধতি জানতোই না। আমরাই তো এটা জানলাম মাত্র কয়েক দশক আগে!'

ডা. মরিস বুকাইলি সেই রাতে ফেরাউনের লাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দীর্ঘসময় বসে রইলেন। গভীরভাবে ভাবতে লাগলেন তাঁর কলিগের কথাটি। বাড়তে থাকল তাঁর কৌতূহল। এ বিষয়ে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত তথ্যগুলোর খোঁজ নিতে লাগলেন। তিনি দেখলেন—বাইবেলে ফেরাউন কর্তৃক মুসা আলাইহিস সালামের পিছু নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষমেষ ফেরাউনের লাশের কী হয়েছিল, সে সম্পর্কে কিছুই বলা নেই। তিনি ভেবে পেলেন না—আরবের মরুভূমির এক নিরক্ষর মানুষের আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে এমন একটি তথ্য তাহলে কী করে জানবার কথা! এ তো অবিশ্বাস্য!

নাছোড়বান্দা ডা. বুকাইলি। তিনি মরিয়া হয়ে উঠলেন প্রশ্নগুলোর উত্তর জানবার জন্য। তিনি এ-ও বুঝতে পারলেন—এসব প্রশ্নের উত্তর হুবহু পেতে হলে তাঁকে ধর্মীয় গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করতে হবে। সেগুলোতে উপস্থাপিত তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে তাঁকে। সে রাতে নির্ঘুম রাত কাটালেন তিনি। এরপর তাওরাত (তোরাহ্) সংগ্রহ করলেন। দেখলেন—তাওরাতে লেখা রয়েছে, 'পানি এলো এবং ফেরাউনের সৈন্য ও তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিলো। যারা সমুদ্রে ঢুকল, তাদের কেউই বাঁচতে পারল না।' কিন্তু ফেরাউনের লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছুই বলা নেই তাওরাতে। তাহলে ইসলামের নবি মুহাম্মাদ এই তথ্য কী করে জানলেন!

এ পর্যায়ে ডা. মরিস কোনো একটি মুসলিম দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। উদ্দেশ্য—সেখানকার প্রখ্যাত অটোপসি বিশেষজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের সাক্ষাৎকার নেওয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলিম ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে তাঁর সমগ্র গবেষণার ফলাফল অবহিত করলেন এবং এ বিষয়ে কুরআনের কোনো বক্তব্য সত্যিই রয়েছে কি না জানতে চাইলেন। তখন মুসলিম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পবিত্র কুরআন খুললেন এবং সংশ্লিষ্ট আয়াতটি ডা. মরিসকে পড়ে শোনালেন। আয়াতটি এমন, 'সুতরাং আজ আমি তোমার দেহটি সংরক্ষণ করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে গাফেল।' [সূরা ইউনুস : ৯২]

কুরআনের এই আয়াতটি শোনার পর সত্যি সত্যিই হতভম্ব হয়ে পড়লেন ডা. মরিচ বুকাইলি। সেই মুহূর্তে তাঁর মনে হলো—এই গ্রন্থটি মানুষের রচিত হওয়া কোনোভাবেও বাস্তবসম্মত নয়৷ আরবের মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে শত শত বছর আগে মিশরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার এমন বিবরণ দেওয়া একজন নিরক্ষর মানুষের পক্ষে রীতিমতো অসম্ভব।
কুরআনের এই অভিনব সত্য দর্শনে সেই মুহূর্তেই তিনি জোর গলায় চিৎকার দিয়ে ঘোষণা দিলেন, 'আমি ইসলামে বিশ্বাস করি, আমি এই কুরআনে বিশ্বাস করি।'

এ ঘটনার পর ফ্রান্সে ফিরে গেলেন ডা. মরিস বুকাইলি। কিন্তু তখন তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মানুষ। বিশ্বাসের হিরণ্ময় জ্যোতিতে উদ্ভাসিত৷ পরবর্তী ১০ বছর পেশাগত ডাক্তারি প্রাকটিস বন্ধ রাখলেন এবং গভীর সাধনার মধ্য দিয়ে শিখে ফেললেন আরবি ভাষা। এরপর সমগ্র কুরআন আদ্যোপান্ত গবেষণা করলেন তিনি। সবকিছুই বিস্মিত করছিল তাঁকে। সেই অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে লিখে ফেললেন পৃথিবীবিখ্যাত বই, 'Bible Quran & Science.' এই বই পৃথিবীর অন্তত ৫০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটির একটি উক্তি হলো, 'The Quran does not contain a single statement that is assailable from a modern scientific point of view'. অর্থাৎ কুরআনে এমন একটি তথ্যও নেই, যা আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

'কুরআন সাধকদের গল্প-২'/ লাবিব আহসান

তথ্যসূত্র :
1. The story of Maurice Bucaille’s inspiring conversion to Islam-ARAB NEWS.

2. The men who never became Muslims : The cases of Dr. Keith Moore & Dr. Maurice Bucaille.

3. Maurice Bucaille Embraces Islam.

4. Professor Maurice Bucaille and Pharaoh Ramesses.

6. Lecture of Dr. Zakir Naik.

7. Dr. Maurice Bucaille Converted to islam after a deeper study about Pharaoh.

8. Somewhereinblog.

ছবির এই মহিলাটির নাম 'মায়া সান্দু', বয়স ৫০ বছর। পড়াশুনা করেছেন আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মহিলাটি ইর্স্টান ইউর...
23/06/2023

ছবির এই মহিলাটির নাম 'মায়া সান্দু', বয়স ৫০ বছর। পড়াশুনা করেছেন আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মহিলাটি ইর্স্টান ইউরোপের দেশ মলদোভার বর্তমান প্রেসিডেন্ট। উনি মাত্র ৫ জন সফরসঙ্গী নিয়ে যাচ্ছেন ব্রাসেলসে- ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিটিংয়ে যোগ দিতে।

ইউরোপের দেশ মলদোভার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতি মাসে বেতন পান ১২,৯৬০ এমডিএল যা বাংলা টাকায় মাত্র ৫৯,৬৭৭ টাকা। উনার বেতন আমাদের সরকারী একজন সচিবের বেতনের থেকেও কম।

ছবিতে দেখুন নিজের পার্সপোট, বোডিং পার্স, নিজের ব্যাগ নিজেই বহন করছেন দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মানুষ হয়েও।

মজার ব্যাপার টিকেট কেটেছেন সবচাইতে কমে পাওয়া যায় এমন বিমানে Wizz Air এর ইকনোমি ক্লাসের। বিজনেস ক্লাসের টিকিট কিন্তু না। এই বিমানে ইকনোমি ক্লাসে কম্পিলিমেন্টারী হিসাবে শুধু এক বোতল পানি দেওয়া হয় আর খাবার খেতে চাইলে তা কিনে খেতে হবে, একটা স্যান্ডইউজের দাম ৩ ইউরো তা ভেবে খাবেন না সাশ্রয় করবেন তা ধারনা করতে পারছি না।

আমাদের স্বঘোষিত রাজনৈতিক অভিভাবকের জ্বর আসলে সাঙ্গ পাংগ নিয়ে বিজনেস ক্লাসে সিংগাপুর ভ্রমণে বের হন।চিকিৎসার নামে চলে তার পকেট নেতাদের পকেট খালি করার অভিযান। আর তাদের শুধুই নেই দুর্নীতি আমাদের আছে দুর্নীতি আর তাইতো এতো দুর্গতি।।

দুবাই,সংযুক্ত আরব আমিরাত। চোখ জুড়ানো দৃষ্টি নন্দন ছবি।
19/06/2023

দুবাই,সংযুক্ত আরব আমিরাত। চোখ জুড়ানো দৃষ্টি নন্দন ছবি।

বৃষ্টিস্নাত প্রাণের মদিনা।
17/06/2023

বৃষ্টিস্নাত প্রাণের মদিনা।

কোরবান।
16/06/2023

কোরবান।

আমাদের মেয়েদের পড়ার অনুরোধ করছি।  #সময়টা১৯৮৩সাল। আম্মা তখন সবেমাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছেন। সেই বছরই পারিবারিক অসচ্ছলতায় বি...
14/06/2023

আমাদের মেয়েদের পড়ার অনুরোধ করছি।

#সময়টা১৯৮৩সাল।
আম্মা তখন সবেমাত্র মাধ্যমিক পাশ করেছেন।
সেই বছরই পারিবারিক অসচ্ছলতায় বিয়ে হয়ে যায় তার।
দাদার বাড়িতে এসে যৌথ পরিবারে কাজের চাপে আম্মার পড়াশোনা একবারে বন্ধ হয়ে যায়।
এরমধ্যে পরিবারের হাল ধরতে বাবা পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে। এক বছর বাদে জন্ম হয় আমার বড় আপার।
বছর দুয়েক পর আমার ছোট আপার (দ্বিতীয় মেয়ে) জন্ম হলে দাদাবাড়ি আম্মার জন্য হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়।
প্রতিনিয়ত আম্মাকে শুনতে হতো নানান বঞ্চনা।

পরিবারের ঘানি মুছতে মায়ের বিদেশ পাড়ি: পরিবারের খরচ সামাল দিতে না পারায় আমার বড় দুই বোনকে নিয়ে আম্মাও পাড়ি জমান বাবার কাছে ওমানে। বাবার চাকরির পাশাপাশি আম্মা হোমস্কুলিং শুরু করেন।
দুই জনের আয়ে ভালোই চলত আমাদের সংসার। এর মধ্যে আমি এবং তার দুই বছর বাদে আমার ছোট বোনের জন্ম হলে যেন আমার মায়ের জীবনে নরক নেমে এলো! প্রতিনিয়ত শুনতে হতো, ‘সব মাইয়্যা হলো, শেষ বয়সে দেখবে কে!’ বাড়ি থেকে আব্বার কাছে কল এলেই শুনতে হতো, ‘সবগুলো মেয়ে হলো, মরলে খাটিয়া ধরবে কে!’— এভাবে নানা টিপ্পনী আর কষ্টের মধ্যে আমাদের বড় করতে লাগলেন আম্মা।
ওমানে সে সময় আমাদের খরচ, আবার গ্রামে দাদা-দাদির জন্য খরচ পাঠানোর পর ভালো মানের স্কুলে আমাদের পড়ানোর অবস্থা দিনদিন কঠিন হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে আম্মা তখন সিদ্ধান্ত নেয় আমাদের নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসবেন।

চার কন্যাকে নিয়ে দেশে ফেরা: ১৯৯৫ সালে আম্মা তখন আমাদের চার বোনকে নিয়ে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে গন্তব্য অনিশ্চিত, কোথায় থাকব, কোথায় খাব! কোথাও আমাদের ঠাঁই হলো না।

শেষ পর্যন্ত আম্মা চট্টগ্রাম হলি শহরে ছোট্টা একটা বাসা নেন। সেখানে আবার শুরু হয় আমাদের জীবনযুদ্ধ। বাজার-সদাই থেকে শুরু করে আমাদের পড়াশোনার দেখভাল, সব কিছুই আম্মাকে একই করতে হতো। আমার নানা মাঝেমধ্যে এসে দেখে যেতেন। বড় আপুর বয়স তখন আট আর ছোট বোনের বয়স দুই, আমরা তখন কী যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে জীবন পার করেছি, তা কেবল আমরা জানি আর সৃষ্টিকর্তা জানেন।
দাদাবাড়ির লোকজন কখনো আমাদের খোঁজখবর নিতে আসতেন না। বরং তখন আমার আম্মাকে নানা রকম ভর্ত্সনা শুনতে হতো আত্মীয়স্বজনের। আম্মা মুখবুজে সব সহ্য করে যেতেন আমাদের ডাক্তার বানানোর স্বপ্নে।
তার স্বপ্ন আরো প্রবল হয়, যখন দেখতেন তার মেয়েরা পড়াশোনায় খুব ভালো করছে। স্কুলে সবার রোল ক্লাসের প্রথম দিকে। ‘মেয়েদের এত পড়িয়ে কী লাভ, এরা তোমার কিছুই করতে পারবে না’ এমন কথা প্রতিনিয়ত শুনতে শুনতে আব্বাও একসময় হাল ছেড়ে দেন।
আমাদের পড়ালেখা বাদ দিতে বলেন।
কিন্তু আম্মা হাল ছাড়েননি।
এদিকে আব্বার শোচনীয় অবস্থা। আমাদের খরচের পাশাপাশি বাড়িতে দাদা-দাদি, ফুপুদের খরচও চালাতে হিমশিম খেতে হতো।
নভেম্বর-ডিসেম্বর বার্ষিক পরীক্ষার পর সবাই যখন গ্রামে বেড়াতে যেত আমরা তখন খুঁজে খুঁজে বৃত্তির পরীক্ষাগুলো দিতাম।
আল্লাহর রহমতে যত জায়গায় পরীক্ষা দিতাম সব জায়গায় বৃত্তি পেতাম। এদিকে ২০০১ সালে পরিবারে পুরোপুরিভাবে বিপর্যয় নেমে আসে।
আব্বা তখন চাকরি হারিয়ে ঘরবন্দি হয়ে যান। একদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ঘরবন্দি, অন্যদিকে দাদুর পাকস্থলীতে জটিল ক্যান্সার ধরা পড়ে।
পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আম্মার স্বর্ণ-গয়নাসহ জমানো সব টাকা খরচ করতে থাকেন দাদুর চিকিৎসায়।
আমাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া উপক্রম।
আম্মা তখন বাবার ২০ বছরে জমানো টাকায় কেনা চট্টগ্রাম হলি শহরে আমাদের থাকার বাড়িটাও বিক্রি করে দেন। মানবেতর জীবনযাপনের মধ্যে আল্লাহর রহমতে চার বছরের মাথায় আব্বা আবার চাকরিটা ফিরে পান।
এভাবে টানাপড়েন আর কষ্টের মধ্যে কেটে গেল আমাদের উচ্চমাধ্যমিক জীবন।

অবশেষে স্বপ্নপূরণের পথে : ২০০৫ সালে বড় আপা দিনাজপুর সরকারি মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পান, তখন আত্মীয়-স্বজন নানা কটূক্তি করত, ‘দিনাজপুর মেডিক্যালে পড়ে কী হবে, কত ডাক্তার রাস্তাঘাটে ঘোরে।’ বড় আপা কারও কথা শোনেননি, নিজেই ভর্তি আবেদন থেকে শুরু করে ভর্তি—সব একাই করেছেন।
এরপর ২০০৮-২০০৯ সেশনে মেজো আপা কুমিল্লা মেডিক্যালে, পরের বছর কক্সবাজার মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেলাম আমি। সবশেষে আমার ছোট বোনও ২০১০-২০১১ সেশনে ভর্তির সুযোগ পেল ঢাকা মেডিক্যালে। বড় আপা, মেজো আপা বোর্ডে মেডিক্যাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করতেন অনার্স মার্কসহ। এখন এলাকায় আমাদের নাম-ডাক শুরু হয়ে গেল। একসময় যারা ভর্ত্সনা করত, এখন তারাই গর্ব করে বলে, মোমেনা-কামালের মেয়েরা ডাক্তার।

চার বোনের ঠিকানা এখন যেসব হাসপাতালে: বড় আপা ডা. কামরুন নাহার ২০১৩ সালে গাইনি অ্যান্ড অবস্ বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট-১ পাশ করেন। একই বিষয়ে ২০১৫ সালে এমএসে চান্স পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এরপর এপসিপিএস পার্ট-২-তে উচ্চতর ডিগ্রি নেন ফেটোমেটারন্যাল মেডিসিনের ওপর। মেজো আপা ডা. হুমায়রা তাবাসসুম ২০১৭ সালে বারডেম হাসপাতালে সুযোগ পান এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজমে।

সেখান থেকে ২০২১ এ আমার ছোট বোন ডা. নিগার সুলতানাও মেডিসিন বিষয়ে এফসিপিএস পার্ট-১ পাশ করেন। ২০২২ সালে আমি আর ছোট বোন ইন্টারন্যাল মেডিসিনে একসঙ্গে এমডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মেজো আপা, আমি এবং আমার ছোট বোন আমরা তিন জন একসঙ্গে ৩৯তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত হই।
আমাদের প্রথম পোস্টিং হয় আমাদের দাদা-নানার বাড়ি সন্দ্বীপে।

আমার মা সেখানে আমাদের ফেরত পাঠালেন যেখানে তাকে শুনতে হতো, ‘মেয়েরা পড়াশোনা করে কী হতে পারবে?
বর্তমানে বড় আপা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিক্যাল হাসপাতালে, মেজো আপা বারডেমে দায়িত্বরত আছেন।
আর আমি এবং ছোটবোন ঢাকা মেডিক্যালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণরত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
দৈনিক ইত্তেফাক

কমবে ঝামেলা,কমবে ব্রাঞ্চ,কমবে জনবল।
13/06/2023

কমবে ঝামেলা,কমবে ব্রাঞ্চ,কমবে জনবল।

মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড...
10/06/2023

মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।

তার মতে, মাত্র দুটি উপায় vঅনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-

১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।

২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।

মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।

৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।

চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।

উল্লেখ্য, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।

সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই তথ্যটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

তিনি বলেছেন, “আমি আমার কাজটি করেছি। এখন আপনি শেয়ার করে আপনার কাজটি করুন এবং আশেপাশের মানুষকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করুন।”
সূত্র :- রেড্ডি।
সংগ্রহ :- ভাস্কর।





09/06/2023

একবার ভেবে দেখেছেন কখনো আপনার মেধার ক্ষমতা কত?

নিজেকে প্রশ্ন করুন আর ভাবুন আপনি যা করছেন এর চেয়ে হাজার গুন বেশী চমৎকার দেখাতে পারেন আপনি নিজে। আপনার সেই মেধা ও সম্ভাবনা হয়তো ঘুমিয়ে আছে আপনার মাঝে। আমি আপনাদের সেই ঘুমন্ত প্রতিভা ও সম্ভাবনাকে জাগিয়ে দিতে এসেছি।

শুধু নিজের মেধা ও যোগ্যতার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে ও নেমে যেতে হবে কাজে। করতে হবে ব্যতিক্রমী কিছু। আপনি অন্যের বিস্ময় দেখে বাহবা দিচ্ছেন, একবার নিজেকে বাহবা দিতে শিখুন। দেখবেন আপনার বদলে যাওয়া শুরু হবে আজ থেকেই।

একটি নতুন স্বপ্ন আপনাকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না কিছুতেই, লেগে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত এবং নিজেকে বলতে হবে আমি পারবো…।

Iqbal Bahar

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস।
09/06/2023

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস।

09/06/2023

power of smile (হাসির শক্তি ):==
আমরা যখন হাসি মুখে থাকি তখন আমাদের ব্রেন থেকে একপ্রকার নিউরো পেপটাইড তৈরি হয় যা আমাদের স্ট্রেস প্রশমনে কাজ করে । এর পর অন্যান্য নিউরোট্রান্সামিটার ডোপামিন,সেরোটনিন এবং এন্ডোরফিনও আমাদের সুখঅনুভর তৈরি করে ম্যাসল রিল্যাক্স হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও নিরাময় ক্ষমতা আদর্শ পর্যায়ে থাকে । স্ট্রেস ,রক্তচাপ , ব্লাডসুগার কামাতে সাহায্য করে । কটিসল ও এন্ড্রেনালিন স্ড্রেস হরমন কমাতে সাহায্য করে ।
বেসবল খেলোয়াড়দের খেলোযাড়দের উপর এক স্টাডি করে দেখা গেছে – যারা হাসি মাখা মুখে ছবি তুলেছিলো এবং যারা গম্ভীর মুখে ছবি ছিলো তাদের মধ্যে হাসিমাখা মুখে থাকা খেলোয়াড়দের গড় আয়ু ছিলো ৮০ ছবি এবং হাসিছাড়া ছবি চিলো তাদের গড় আয়ু ছিলো ৭২ বছর ।
ব্রিটিশ গবেষকরা এক গবেষনায় দেখেছন ১৬,০০০ পাউন্ড পুরুস্কার পেলে মানুষ যেমন খুশি অনুভব করে একবার হাসি মুখে থাকলে একই পরিমার খুশি অনুভব হয় , ব্রিটিশ গবেষকরা বলেন দুই হাজার চকলেটবার পেলে চকলেট প্রেমিরা যতটা খুশি হন একবার হাসি মুখে থাকলে একই পরিমান খুশির অনুভব হয় ---
গবেষণায় দেখা গেছে, হাসির একটা সংক্রামক প্রবণতা আছে ; একটি হাসির চেহারা দেখলে আমাদের মস্তিষ্কে সিগন্যাল যায় তখন আমাদের মধ্যেও হাসির অনুভব তৈরি হয় , তাই হাসিখুশি মানুষের সাথে থাকলে, অন্যদের হাসতে দেখলে সেই হাসি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে ,সবাই ভালো বোধ করে ---
কোন হাসির ঘটনা বা সবাই হাসছে কিন্তু একজন হাসতে পারছেন না, কোন হাসির ঘটনাতেও তিনি হাসাতে পরছেন না, তাহলে কোনো মানসিক বিশেষজ্ঞ সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা উচিত---
হাসি মাখা মুখে থাকা মানে শরীর মনে ভালো থাকা ,রিলাক্স থাকা , টেনশন মুক্ত থাকার অন্যতম সহজ উপায় –
আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) বলেন, আমি এমন কাউকেই দেখিনি যিনি রাসূল (সাঃ) এর চাইতে অধিক বেশি হাসি মুখে থাকতেন ( তিরমিজি) –--
সুতরাং হাসিমুখ আমাদের সুস্থ রাখে , মন ভালো রাখে , উত্তম আচরণ করতে ,সুন্দর ভাবে কথা বলতে দারুন ভাবে কাজ করে ---
কথাগুলো বলছিলাম গতকাল INDEX Laboratories Ayu Ltd. সারাদেশ দেশে আগত শীর্ষ প্রতিনিধি সম্মেলনে --
সবার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ---
মো.আলমাসুর রহমান
০৮/০৬/২৩
Counsellor, Mind Gym
East West University

সোডিয়াম সাইক্লামেট নামের যৌগ যা 'ঘন চিনি' নামে পরিচিত বা‌লাদেশে। এই যৌগ চিনির চেয়ে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। অর্থাৎ, ১ কেজি ...
03/06/2023

সোডিয়াম সাইক্লামেট নামের যৌগ যা 'ঘন চিনি' নামে পরিচিত বা‌লাদেশে। এই যৌগ চিনির চেয়ে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। অর্থাৎ, ১ কেজি চিনি যতটা মিষ্টি স্বাদ আনতে পারে, মাত্র ২০ গ্রাম সোডিয়াম সাইক্লামেটের পক্ষেই খাবারকে ততটা মিষ্টি করে তোলা সম্ভব। কিন্তু এই সোডিয়াম সাইক্লামেট ভয়ঙ্কর বিষাক্ত।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাজারের বেশিরভাগ মিষ্টি জাতীয় খাবার এখন এই ঘনচিনি ব্যাবহার করে তৈরী হচ্ছে এবং আমরা মহা সুখে তা খেয়ে যাচ্ছি,সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো এই যে অধিকাংশ মানুষ এই ব্যাপারে প্রায় কিছুই জানেনা

Address

Satkania
3434

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hobaib Tarek posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category