03/03/2024
গল্প - বেস্ট ফ্রেন্ডের প্রেমে
Part - 1
writer -
শাপলাঃ- দোস্ত কই তুই?
সুমনঃ- বাসায়।
শাপলাঃ- শালা মেয়েদের মতো বাসায় বসে বসে
কি ডিম পারিস নাকি?
সুমনঃ- তোর আজাইরা পেঁচাল বাদ দিয়ে আসল
কথা বল।
শাপলাঃ- ভার্সিটি তে আয়
সুমনঃ- কেনো?
শাপলাঃ- আসার পরে বলবো
সুমনঃ- তাহলে কালকে দেখা হবে, বাই
শাপলাঃ- এই এই শোন
সুমনঃ- হুম আবার কি হয়েছে?
শাপলাঃ- কলেজে মারামারি হয়েছে
সুমনঃ- কিহহ আমি এখনি আসতেছি।
কতক্ষণ পরে সুমন ভার্সিটির ক্যাম্পাসে
এসে শাপলাকে ফোন দেয়।
সুমনঃ- কোথায় মারামারি লাগছে?
শাপলাঃ- ৩নম্বর গেইটের কাছে আয়।
সুমন যাওয়ার পরে....
সুমনঃ- কিরে কোথায় মারামারি হয়েছে?
শাপলাঃ- হি হি হি
সুমনঃ- ঐ রাক্ষসীর মতো বড় বড় দাত কেলিয়ে
হাসছিস কেনো?
শাপলাঃ- তুই এমন কেনো রে?
সুমনঃ- কেমন?
শাপলাঃ- আমি যখন এত করে বললাম তখন আসতে
চাইলিনা কিন্তু মারামারির কথা বলার
১০মিনিটের মধ্যে হাজির।
সুমনঃ- তার মানে তুই মিথ্যা বলছিস
শাপলাঃ- হুমম তোর ভালো মেধা আছে,বড় হলে
অনেক কিছু করতে পারবি।
তখন সুমন শাপলার চুলের মুঠি ধরার পরে....
শাপলাঃ- এই ছাড় বলছি নাহলে খুব খারাপ হবে!!
সুমনঃ- কি করবি তুই?
শাপলাঃ- তোরে দেখাচ্ছি মজা বলে শাপলা
পিছনের দিকে ঘুরে সুমনের হাত কামড়ে
ধরে..!
সুমনঃ- এই এই ছাড়
আলীমুনঃ- দোস্ত ছেড়ে দে।
তখন শাপলা কামড় ছেড়ে দেয়।
সুমনঃ- আল্লাহ তোর দাতগুলো খুব মজবুত করে
দিছে।
শাপলাঃ- জানি
সুমনঃ- আচ্ছা বল কিসের জন্য আমাকে ডাকলি?
শাপলাঃ- কাজিনের হলুদ সন্ধ্যা, তাই আমরা সবাই
যাবো।
সুমনঃ- দোস্ত তুই জানিস যে আমার এসব
ভাল্লাগেনা
শাপলাঃ- তাই তো মিথ্যা বলে বাসা থেকে বের
করছি
সুমনঃ- বিয়ে কি তোদের গ্রামের বাড়িতে?
শাপলাঃ- হুমমম
সুমনঃ- মা এতদূর যেতে দিবেনা
শাপলাঃ- আন্টিরে আমি ফোন করে বলবো
সুমনঃ- না গেলে হয় না?
শাপলাঃ- তুই না গেলে আমাদের হাসাবে কে?
সুমনঃ- আমি কি জোকার নাকি?
শাপলাঃ- তা না
সুমনঃ- এটা ই তো মিন করতেছিস
শাপলাঃ- আরে তুই না গেলে মজা ই হবে না, চল
সুমনঃ- এই ড্রেসে?
শাপলাঃ- হুমম আমরা সবাই যাওয়ার জন্য রেডি
সুমনঃ- বাসা থেকে ড্রেস চেন্জ করা লাগবে
সাথীঃ- তুই বাসায় গেলে আর আসবি না, দোকান
থেকে কাপড় কিনে নে।
শাপলাঃ- হুমম আয়।
বলে সুমনের হাত ধরে টেনে
দোকানে নিয়ে গিয়ে দোকান থেকে সুমনের জন্য পান্জাবির
সেট আর একটা জিন্স এবং টি-শার্ট নেয়।
সবাই গাড়ি করে হলুদ সন্ধ্যার উদ্দেশ্যে
রওনা দেয়।
শাপলা, সুমন, সাথী আর আলীমুন সেই ক্লাস
ওয়ান থেকে এখনো একসাথে, তাই তাদের
বন্ধুত্ব টা ও তেমন গাড়ো হয়ে গেছে।
একজন আরেকজনকে ছাড়া যেনো সময় ই
কাটে না।
সুমন মারামারিতে সবার আগে থাকে ,
সুমন রাজনীতি ও করে ।
সুমন যখন কোনো সভায় ভাষন দেয় তখন
মনে হয় যেনো বাংলায় আরেকটা শেখ
মুজিবের জন্ম হয়েছে। আর শাপলা বাবা-
মায়ের একমাত্র মেয়ে। শাপলা সুমনকে সেই
ক্লাস নাইন থেকে পছন্দ করে, আর এখন
অনার্স ৪র্থ বর্ষ।এতদিনের মধ্যে সুমনকে
বুঝতে দেয় নাই, কিন্তু শাপলা সুমনকে
সবসময় কেয়ার করে।
অপরদিকে আলীমুন আর সাথী একে অপরকে
ভালোবাসে ।
সবমিলিয়ে তাদের বন্ধুত্ব টা খুব ভালো।
সুমনঃ- শাপলা মা ফোন দিছে!!
শাপলাঃ- ফোনটা দে।
হাত বাড়িয়ে ফোনটা দেওয়ার পরে...
শাপলাঃ- হ্যালো আন্টি কেমন আছো?
সুমনের মাঃ- হুম ভালো শাপলা নাকি?
শাপলাঃ- হুমম
সুমনের মাঃ- তুই কেমন আছিস?
শাপলাঃ- হুমম ভালো
সুমনের মাঃ- আমাদের বাসায় আসা কি ভুলে গেলি?
শাপলাঃ- না তো আন্টি
সুমনের মাঃ- হুমম সময় করে আলীমুন আর সাথীকে নিয়ে
আসিস, তোদের পছন্দের পায়েস রান্না
করবো
শাপলাঃ- ওকে আন্টি
সুমনের মাঃ- হুমম সুমনের কাছে দে
শাপলাঃ- আন্টি একটা কথা ছিলো
সুমনের মাঃ- হুমম বল
শাপলাঃ- কথাটা বললে রাখবা তো?
সুমনের মাঃ- হুমম
শাপলাঃ- প্রমিজ
সুমনের মাঃ- ওকে প্রমিজ
শাপলাঃ- আমরা সবাই আমাদের গ্রামের বাড়ি
যাচ্ছি, সাথে সুমন ও
সুমনের মাঃ- সুমন না গেলে হয় না?
শাপলাঃ- আন্টি কথা দিছো কিন্তু, আর সুমনকে
তো দুই-তিনদিনের জন্য নিয়ে যাচ্ছি
সুমনের মাঃ- আচ্ছা, ওরে সাবধানে রাখিস,তোর সাথে
রাখবি নাহলে আবার ঝগড়া বাধিয়ে
আসবে
শাপলাঃ- ওকে।
বলেই ফোন কেটে দিল...
শাপলাঃ- এই নে তোর ফোন
সুমনঃ- মা কি বলল?
শাপলাঃ- বলছে তোরে আমার সাথে সাথে রাখতে
সুমনঃ- আমি তোর সাথে সাথে থাকবো কেনো?
শাপলাঃ- তুই তো মারামারিতে ভালো, তাই বলছে
সুমনঃ- (চুপ)
শাপলাঃ- হুমম, জোস খাবি?
সুমনঃ- নাহ্
শাপলাঃ- হুমম খাবারের সময় বেশি বেশি না বলবি
তাহলে অন্য সবার জন্য ভালো কারন ভাগ
টা একটু বেশিই পরবে। এই বলে শাপলা
অনেকটা শেষ করার পরে সুমন জোসের
বোতল টান দিয়ে বাকিটা খেয়ে নেয়।
তখন শাপলা হেসে দেয়।
বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরে সুমন আলীমুনের
সাথে বলতে লাগলো...
সুমনঃ- দোস্ত
আলীমুনঃ- হুমম বল
সুমনঃ- এসে লছ হয় নাই বরং দ্বিগুণ লাভবান
আলীমুনঃ- কেনো?
সুমনঃ- গ্রামটা অনেক সুন্দর,অনেক দিন হয়
প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক নাই
আলীমুনঃ- হুমমম
শাপলাঃ- কিরে তোরা আবার বির বির করে কি
বলছিস?
সুমনঃ- কিছু না সামনে হাঁট।
বাড়িতে যাওয়ার পরে শাপলা সবাইকে
পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিচয় করানোর পরে
শাপলার রুমে সবাইকে নিয়ে যায়।
রাত ১১টার দিকে
কনে সবার সামনে হলুদ শাড়ি পড়ে বসে
আছে।
সুমন সহ সবাই রুম থেকে বের হওয়ার পরে
দেখে কয়েকটা ছেলে মেয়ে গ্রুপ ড্যান্স
করতেছে।সবাই নাচ দেখতেছে।তখন
সুমনের পিছনের চেয়ারে একটি মেয়ে
এসে বসে সুমনের কাঁধে আঙ্গুল দিয়ে
খোঁচা দিলো....!!!
চলবে........................
।
।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন...