Sumi Islam

Home
Bangladesh
Rangpur
Sumi Islam

Black Diamond 🖤💎
(39)

22/11/2023

ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে একটা লেখা পড়লাম, যেখানে লেখা ছিল,

-নারিদের ইজ্জত একজন পুরুষ ডাক্তার দেখবে কেন?
চিকিৎসার খাতিরে একজন নারিকে আজকে একটা পর পুরুষের সামনে অঙ্গ দেখাতে হচ্ছে, নারি রুগীর যেখানে সেখানে একজন পুরুষ ডাক্তার হাত দিচ্ছে, এতে কি নারির ইজ্জত এর মূল্য থাকছে? নারি ডাক্তার নারির এইরকম চিকিৎসা করবে। বেশী বেশী মহিলা ডাক্তার নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি ⁾⁾

এরকম একটা লেখা আরকি। পরে যেটা বোঝা যায়। আসলেই কথা টা ঠিক। সহমত জানিয়েছি।

কিন্তু --

বাংলাদেশে নারি ডাক্তার হবে কীভাবে?
নারি কে সুযোগ দেওয়া হলেই তো হবে!
হ্যা! নারিকে অনেক সুবিধা দিয়েছে সরকার, কিন্তু
কয়টা পরিবার নারিকে সুযোগ দিয়েছে?
হাতে গুনা কয়েকটা পরিবার ছাড়া বাকি সব ,
নারীকে এখনো বোঝাই ভেবে গেলো।
নারি কে কেউ আপন ভাবলো না।
পরিবার ভাবলো সে পরের বাড়ির সদস্য,
আর পরেরা ভাবলো সে অন্যের বাড়ির মেয়ে।
বাংলাদেশে নারী ডাক্তার হবে কীভাবে?
দেশের অভাব দূর হলেই তো হবে!
বাবা মা পড়াশুনা করালেই তো নারী ডাক্তার হবে?
কয়জন বাবা মায়ের অভাব দুর হয়েছে, যাতে
নারীকে বিনা চিন্তায় পড়াশুনা করাবে?
কিভাবে করাবে পড়াশুনা?
বাংলাদেশে কয়জন মেয়ের বাবা কোটিপতি আছে?
এরকম অভাবের দেশে ,
বিদ্যা অর্জন করতে যদি বাপের ভিটা মাটি বিক্রি করতে হয় ,
তবুও এত টাকার ভিড়ে চাপা পড়ে যায় সেই ভিটে মাটি বিক্রি করা বাপের টাকা । তবুও কত মেধাবী মেয়ে ভালো জায়গায় যেতে পারে না!
এত এত টাকা দিয়ে পড়াশুনা করে একটা চাকরির জন্য ,
কত শিক্ষিত বেকার গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে।
তাই তো নারীকে আর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না ডাক্তার হতে।
কেন জানেন?
বাংলাদেশে নারী একটু বয়স হতেই চেহারায় আর মাধুর্য থাকে না। এটা এই দেশের ভৌগলিক অবস্থান এর ফল।
শুরু হয়ে যায় পাড়ার লোকের সমালোচনা।
আত্মীয়দের গালমন্দ কথা।
বিয়ে দেন, বিয়ে দেন!
আর এদেশের পুরুষেরা কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করার প্রবণতা বেশি। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবী ব্যক্তিগণ।
আর যে বাবা এত কিছু সহ্য করে মেয়ে কে উচ্চশিক্ষা দেয়,
এত মানুষের সমালোচনার পিছনে ফেলে।
সেই বাবা - ই এখন আফসোস করে, কেন মেয়ে বিয়ে দিলাম না।
আর এদেশে যৌতুক হয়েছে এখন সম্মানের বিষয়!
যে যত বেশি ভালো চাকরি করে , তাকে তত বেশি যৌতুক দিতে হবে!
তবে কি নারি দের সম্মান বাড়ছে নাকি কমছে?
যে নারি না হলে পুরুষ জাতি অচল সেই নারি কেই কিনতে হচ্ছে একটা পুরুষকে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে!
সরকার কেন এই প্রথা কে আইনের আওতায় নিয়ে আসছে না।!

বাকি রইলো নারির সম্মান ~
নারির ইজ্জত কিভাবে থাকবে নারি ডাক্তার না হলে?
আর কিভাবে হবে নারি ডাক্তার?
এত সমস্যার সমাধান না হলে?

•আল্লাহ্ সবাইকে সঠিক বুঝার ক্ষমতা দিক•

[ কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না, ব্যাতিক্রম থাকে তবে খুব বেশি না ]

21/11/2023

•

আসসালামু আলাইকুম 🖤🌸
Assalamualaikum 🖤🌸

•
Please reply my Salam 💙

20/11/2023

ফ্যামিলির কারণে যাদের মন খারাপ হয়!
তাদের কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে অমূল্য স্বান্তনা'টাও যেনো তুচ্ছ।
স্বান্তনা দিয়ে তাদের মন ভালো করা যায়না।
দুনিয়ার কোনো স্বান্তনার'ই বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই তাদের মন ভালো করার। এই মন খারাপটা অনেক বেশিইই শক্তিশালী।
কিছু সময় পর চেহারায় মন খারাপি বুঝা না গেলেও মনের ভিতর থেকে ভিষণ মন খারাপ থাকে যেটা আসলে কারো সামনে প্রকাশ হয়না..! 🖤🌸

~বেলা

19/11/2023

ধরো, যদি আর না ফিরি,
যদি এই ঘাটে আর না ভীড়ে তরী!
তবে কি অপেক্ষা তুলে রাখবে কেউ?
দুয়ার আগলে দাঁড়িয়ে থাকবে -
তরী হীন তীরে আছড়ে পড়বে শূন্যতার ঢেউ? 🖤🌸

~সালমান হাবীব

19/11/2023

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

14/11/2023

জীবন 💔🖤
প্রত্যেক জিনিসেই, এক পক্ষ খুশি হয় আরেক পক্ষকে যন্ত্রণা দিয়ে, ধ্বংস করে দিয়ে, ছারখার করে দিয়ে 🖤🌸

👇👇👇👇

14/11/2023

যদি তোমাকে না পাবো আমি ••••••••
কেন এত ভালোবাসলে তুমি••••••••••
কেন এত কাছে আসলে তুমি•••••••••🖤🌸

🎙️ সুমি 🌸

13/11/2023

I've received 40,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

12/11/2023

Hello everyone 🥰

09/11/2023

- আমাকে একদিন চিঠি লিখবেন?
অনেক কথার চিঠি,
যেন সময় ফুরিয়ে গেলেও
শব্দেরা না ফুরায়।🖤🥀

~সালমান হাবিব

09/11/2023

তুমি জানো না রে প্রিয়,,
তোমায় কত ভালোবাসি গো,,,🥰🥀

🎙️•••• সুমি ••••

07/11/2023

-সবচেয়ে সেই মধুর শব্দ
আবার দেখা হবে,,,,!
হোক না হোক, ঘুরতে ঘুরতে;
যে যেখানেই যাই না।
মরুর দেশে পুড়তে থাকি
মেরুর দেশে লীন,,!
বুকের মধ্যে ছলকে ওঠে
আবার দেখা হবে,,,!!!💙🥀

~সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

07/11/2023

প্রিয় একটি গান!💙
গাইলাম খালি গলায়,,,,🖤

- তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে, আমায় ভীষণ পীড়া দিচ্ছে,
বলো কবে ছুঁতে দিবে, তুমি আবার আমার হবে,
বলো কোন তারিখে কবে???🖤🌸

🎙️সুমি

07/11/2023

Hello everyone 🥰
গানের আড্ডায় চলে আসুন,,,,,,,🥰

07/11/2023

Collecting cat's from Facebook 🥰
I love them very much😺🐈

🥰🥰🥰🥰

07/11/2023

Hello friends 🥰
আজকেও live আসছি ঠিক 12 টায়,,,,,ইনশাল্লাহ্ 🥰
আপনারা থাকবেন তো!!!

06/11/2023

খালি গলায় ,,,গান গাইলাম 🥰

- প্রেমহীন এ জীবন , মৃত্যুর চেয়েও আরও যন্ত্রণা ময়,
আমার মরণ হলেই ভালো হয়,,,,🖤🌸

🎙️ সুমি.

05/11/2023

-আজকাল মানুষের চেয়ে পশুরাই বেশি বিশ্বস্ত হয় ।
মানুষ তো কেবল নির্মম হতেই সেরা ।
পশু পাখি মানুষের মায়ায় পরে, মানুষকে ভালোবাসে ,
অথচ তাদের ভালোবাসে ক' জন???
তারা মানুষের কাছে একটু ভালোবাসা চায়, মমতা চায়।
তাদের আঘাত না করে ভালোবাসুন, তারা আপনাকে দ্বিগুণ ভালোবাসা ফেরত দেবে।
সামান্য অপরাধে তাদের আঘাত করবেন না ! তাদের যদি মাথায় আল্লাহ বিবেক দিতেন,তাহলে ওরা সামান্য অপরাধ টাও করতো না ।

-যাঁরা পশুপাখি কে ভালোবাসে না বরং আঘাত করে!!!
আমি তাদের মানুষ ভাবতে কষ্ট পাই 🙂

~সুমি~

05/11/2023

🌹🌹🌹
•
•
•

🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸

05/11/2023

Hello everyone 🥰
Join করুন গানের আড্ডায় 🌸

05/11/2023

Hello everyone 🥰
আজকে 12 টায়,,, মানে একটু পর লাইভ আসছি🥰।
সবাই যুক্ত থাকুন। 🍂

03/11/2023

Hello everyone 🥰🥰
Please join My live 🌸🌸🌸🌸

03/11/2023

Hello Everyone 👋
আজ বিকেল 3 টায় লাইভ আসবো ইনশআল্লাহ। সকলকে আমন্ত্রণ রইলো,আমার লাইভে।🥰🥰

02/11/2023

সাদা চামড়া যদি সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে,
তবে ধবল রোগী দেখলে এড়িয়ে যাও কেন?

কালো রং যদি এতোই কুৎসিত হয়,
তবে কালো চুলের মায়ায় কেন পড়ো?

মুখের দাগগুলোকে যদি তোমার জন্যে লুকোতে হয়,
তবে চোখের নিচের তিলটাকে ভালো কেন বাসো?

ওয়েস্টার্ন পোশাকের মেয়ে যদি এতোটাই ভালো লাগে,
তবে শাড়ি পরা মেয়ে দেখে মুগ্ধ কেন হও?

সাজগোজে যদি ভালো না লাগে,
তবে কপালের টিপ আর চোখের কাজল কেন ভালো লাগে?

চঞ্চলতা যদি ভালো লাগে,
তবে ভদ্রতা কেন খোঁজ করো?

বেসামাল ভালোবাসা যদি চাও,
পরিশেষে বেহায়া কেন বলো?🤨

~সংগৃহীত

02/11/2023

তোরা যা,,,,,🙂
আমাকে আমার আম্মু যেতে দিবে না 🥺
•
•
•
Friend circle এ এরকম একজন থাকবেই 🥱

01/11/2023

বুকের মধ্যে একটু আধটু দুঃখ পোষা-
কিন্তু খুবই ভালো আছি;
এইতো বেশ ঘুরছি ফিরছি-
লম্ফঝম্পে দিন পেরুচ্ছি;
একটু খোঁচা, একটু ব্যথার টনটনানি-
তবু বলবো দিব্যি আছি,,,! 🖤🌸

~সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

31/10/2023

Good bye October 💘And
Good night 🌉
everyone 💙❤️

31/10/2023

"যেখানেই যাও,যেভাবেই থাকো,
না থাকলেও দূর থেকে ধ্বনি তুলো,
ভালোবাসি,ভালোবাসি,ভালোবাসি ...

দূর থেকে শুনবো তোমার কন্ঠস্বর,
বুঝব তুমি আছো ,তুমি আছো
ভালোবাসি,ভালোবাসি ……..!" 💙❤️

~ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

#ভালোবাসিভালোবাসি

31/10/2023

কলেজে 'Yes Sir' এর পরিবর্তে 'Present sir' বলা স্টুডেন্টদের high level এ দেখতাম!🙂

31/10/2023

আমি পরিপূর্ণ নই। আমি সামান্য সাধারণ একজন।
তা সত্ত্বেও যারা আমাকে গুরুত্ব দেয়, মূল্য দেয়, পাশে থাকে;
তাদের আমি মন থেকে ভালোবাসি। 🖤🌸

~c~

31/10/2023

আমরা সবাই বন্ধু মানুষ 💙🌺

PO LI
SA K UR
Sesh Bikeler Pakhi

Maidul- https://www.facebook.com/profile.php?id=61552356151163

Kawsar- https://www.facebook.com/profile.php?id=100095557412582

31/10/2023

Good morning 🌄

- দিনটা শুরু হোক আল্লাহর শুকরিয়া দিয়ে। - আলহামদুলিল্লাহ..! 🖤🌸

30/10/2023

লাইফে খুব সাদামাটা একজন মানুষ দরকার!
যার খুব বেশি কিছুতেই এট্রাকশন নেই!
আমি বলতে শুধুই আমি,,,,,,,,!
প্রত্যেকটা সিদ্ধান্তে আমি,,,,,,!
প্রত্যেকটা প্রতিজ্ঞায় আমি,,!
প্রত্যেকটা ভালো ও খারাপ সময়ে আমি!
যার স্পর্শ কিংবা ছোয়ায় একান্ত আমি!
যার আবেগে আমি যার অনুভূতিতে আমি! 🌸🥀

~সংগৃহীত 🖤🌸

26/10/2023

"পুরনো বাড়িটা"
পর্ব : ০৫ ( শেষ পর্ব)

মাহিন আমাকে ঘুমাতে বলল। আমিও খুব ক্লান্ত তাই আমিও না করলাম না । ঘুমাতে যাওয়ার জন্য উদ্ধত হয়ে ভাবলাম মাহিন আমার রুমেই আছে ।
' তুমি ঘুমাবে না ? '
- না , তুমি ঘুমাও, আমি পাশেই বসে আছি।
' না তুমিও ঘুমাও। আমি মেঝেতে ঘুমাই। '
- আরে না। কি করছো। আমরা দুজনে বেড শেয়ার করে ঘুমাতে পারি সমস্যা নাই তো।
' কিন্তু, আমাদের এখনো বিয়ে হয় নী। বিয়ের আগেই বেড শেয়ার করবো? '
- আমাকে বিশ্বাস করো না ?
' হু! কিন্তু,,,,'
- ওকে , আমি ঘুমাবো না । তুমি ঘুমাও আমি বসে আছি।
' না , ঠিক আছে । তুমি ঘুমাও আমার বিছানায়। মাঝে আমি কোলবালিশ দিচ্ছি।

আমার এরকম কাণ্ড দেখ মাহিন মুখ টিপে হাসলো। কিছু বললো না আর।
আমি আর মাহিন ঘুমিয়ে পড়লাম। একটু অস্বস্থি লাগছে কিন্তু তাছাড়া উপায় নাই। দুজনে একে অপরের দিকে চেয়ে শুয়ে আছি। একেকজন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে শুয়ে আছি।আমার লজ্জা করছে এই অবস্থায়। মুহূর্তেই অন্য পাশ হয়ে কিছুক্ষন থাকার পর আবার ফিরলাম।
হঠাৎ করেই মনে হলো মাহিন কিছু খেয়ে এসেছে কি না ।

' তুমি কিছু খাবে না ?'
- না , খেয়ে এসেছিলাম।
' আচ্ছা।
- কি আচ্ছা ? আজকে গুড নাইট বলবে না ?
মাহিন এর কথায় আমার একটু হাসি আসলো। ঠোঁট টিপে একটা হাসি দিয়ে বললাম ।
' গুড নাইট, প্রিয়.
- গুড নাইট প্রিয়া!

আমি একটা কম্বল নিয়ে নিজের ঢেকে নিয়ে ওপর পাস হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

চারদিক পাখির কিচিরমিচির শব্দে মাহিন কখন যে জেগেছে ।
আমার ঘুম ভাঙলো সকাল ৯ টার পর। চোখ খুলে দেখি অনেক বেলা হয়ে গেছে। আজ এত ঘুম গেছিলাম।

উঠে এসেই দেখি বাইরে বারান্দায় বসে আছে মাহিন। আমাকে দেখেই বললো - " গুড মর্নিং" নুর।
' গুড মর্নিং' কখন উঠছ?
- এইত ভোরে, পাখির মিষ্টি কণ্ঠে জেগে গেলাম। এত সুন্দর গ্রামের পরিবেশ। আগে জানলে বারবার গ্রামে আসতাম।
' তাই বুঝি। থেকে যাও তবে একবারে।
- হুম ,তাই ভাবছি।

আমি ওকে আমাদের বাড়ির আশ পাশ টা , বাগান টা দেখাতে লাগলাম। একটু পর মা ডাক দিল। খেতে আয় তোরা।
'এইতো আসছি মা । '
এইভাবে মা বলে ডাকার পরপরই কাল রাতের কথা গুলো মনে পড়ে গেলো। বুকের ভিতরটা কষ্টে ভেঙে যেতে লাগলো। আমার আপন মা বাবা না এরা। সহ্য করতে না পেরে দুচোখ দিয়ে নিজের অনিচ্ছায় পানি ঝরতে লাগল।
মাহিন আমার কান্না দেখে সান্তনা দিতে শুরু করলো।
আর ঘুরলাম না । বাগান থেকে দ্রুত আমাকে নিয়ে এলো।

'- কষ্ট পাচ্ছো কেন নুর ? চলো আজ দুজন মিলে ঐ দুষ্ট অশুভ শক্তি কে বিনাশ করি।
" কিভাবে করব? "
- একজন শুভ শক্তি সম্পূর্ন আল্লাহর বান্দা কে এই কাজ করতে হবে। যে ওই অশুভ শক্তির শেষ করে দিবে। ওকে চিরদিনের জন্য বুঝিয়ে দিবো এত গুলো নিষ্পাপ মন কে কেন এত কষ্ট দিল। এত গুলো মানুষ , একটা সুন্দর পরিবার কে সে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর তাদের মৃত্যুর পরেও তাদের আত্মা এখনো শান্তি পাচ্ছে না শুধু মাত্র অপেক্ষায় আছে তাদের যে কষ্ট, যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করেছে, তাদের কলিজার টুকরা সন্তান এর থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে, তার শেষ দেখবে বলে তারা এখনো শান্তি পাচ্ছে না ।

" হুম ! আমরা কিভাবে ওর বিনাশ করবো,আমি আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করতে চাই না । আজকেই ধ্বংস চাই ওর।"

- হুম ঠিক আছে। খেয়ে নাও। বিনাশ করতে যাবো আজ।

মাহিন এর কথা মত আমরা খেয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। ওই বাড়িতে যাবো আজ। তার আগে মাহিন আমাকে বললো অপেক্ষা করতে, সে একজন কবিরাজ নিয়ে আসবে। আমি আপত্তি করে বললাম , না ,আমিও যাব।
সে আর না করলো না ।
আমরা একজন ভালো কবিরাজ এর কাছে গিয়ে তাকে বিষয়টা বললাম । আজ রাতে কাজ করতে হবে। তিনি আমাদের সাথে এলেন।
যা যা দরকারি জিনিস সব জোগাড় হয়ে গেছে। অপেক্ষায় আছি কখন রাত আসে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে রাত নেমে এলো । আমরা চললাম সেই বাড়িটার উদ্দেশে। সাথে মা বাবা , মাহিন। একটু পর পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে।
মেইন ফটক খুলে গেলো আমরা সবাই ভেতরে প্রবেশ করলাম। কালকের মত আর আজকে আলো নেই। কালকের মত আজ আর সেই ভয় গুলো নেই। আজ সব কিছু যেন শুভ শক্তির কাছে মাথা নত করেছে।

কবিরাজ শরীফুল আলম , তার কাজ শুরু করলেন । দোয়া দরুদ পড়তে লাগলেন আমরা সবাই চুপ করে পাশে বসে রইলাম।
একটু পর কবিরাজ একটা অদৃশ্য শক্তির সাথে তর্ক শুরু করলেন।_________________
' কে তুই! কেন এত গুলো জীবন নিয়ে খেলা করছিস? কি দোষ করেছিল ওরা। ওদের সুন্দর সংসার , সন্তান, পরিবারকে কেন ছারখার করে দিলি? উত্তর দে। '
তারপর কি যেন বললো সেটা কবিরাজ শুনছে। আমরা কিছুই শুনতে পারছি না । চারদিক শুধু কেমন হঠাৎ হঠাৎ বাতাস প্রবাহিত হতে দেখছি আমরা।

একটু পর কবিরাজ তাকে একটা বোতলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে ছিপি দিয়ে বোতল এর মুখ্ আটকে দিল। মুহূর্তেই বাড়িতে কিরকম একটু আওয়াজ হলো।
কবিরাজ শরীফুল আলম বললেন, মৃত আত্মারা আজ শান্তি পেলো। আর এই বোতল আমি এমন জায়গায় রাখবো আর কোনোদিন মুক্তি পাবে না । এবার এই দুষ্ট শক্তি বুঝবে মুক্তি পাওয়ার প্রতীক্ষা কতটা কষ্টের।

আমরা বাড়িতে ফিরে গেলাম । কবিরাজ শরীফুল আলম লোকটা অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। আল্লাহর খাঁটি বান্দা বটে। তিনি আমাদের সকল ঘটনা শুনে আমাদের কষ্টের ভাগীদার হলেন। তিনি সাধারণত কবিরাজি করেন না । এরকম দুষ্ঠ জ্বীন এর শায়েস্তা করেন মাঝে মাঝে।

বাড়িতে এসে কবিরাজ কে বিদায় দিলাম আমরা। আজকে মনে প্রশান্তি এসেছে। শাস্তি পেয়েছে সেই অশুভ শক্তি।
রাতে খেতে বসে বাবা মাহিন কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো আর দেরি করতে চাই না বাবা, আমি কালকেই তোমাদের দুজন কে বিয়ে করাতে চাচ্ছি। তোমার কি মত বাবা?
মাহিন আমার দিকে তাকালো। আমি লজ্জায় আর তাকাতে পারলাম না । মাহিন মাথা নেড়ে উত্তর দিলো আপনি যা মনে করেন । আমি মেনে নিবো।
আমি প্রস্তুত ছিলাম না কালকেই আমার বিয়ে হবে আমার ভালবাসার মানুষের সাথে। সবার খাওয়া দাওয়া শেষ হলো।
আজ আমি মায়ের সাথে ঘুমালাম। মাহিন আমার বাবার সাথে ঘুমাতে গেল।
রাতে সপ্ন এলো, মা বাবা , দাদা, দাদী , সবাই এলো। হাসি মুখে আমার কাছে এলো। বললো,
" আজ আমরা অনেক খুশি। আমাদের আত্মা আজ শান্তি পেয়েছে। তোমার জন্য দোয়া রইলো। নূর, তোমার বিবাহিত জীবন শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা সব সময় দোয়া করবো। "
আমি হুট করে জেগে গেলাম। দেখলাম কথাও নেই ওরা। হয়তো বিদায় নিল আমার থেকে।

আমি আবার কালকের দিনটা কেমন হবে না হবে ভাবতে ভাবতে চোখ বন্ধ করলাম। হঠাৎ ফোন এ মেসেজ আসার শব্দ হলো । দেখি মাহিন টেক্সট করলো। তবে কি সে ও এখন জেগে?

- এত রাতে জেগে কেন তুমি? ঘুম নেই?
_ তুমি জেগে কেন? তোমাকে দেখলাম জেগে আছো নাকি ঘুমাচ্ছো, টেক্সট করে পরীক্ষা করলাম।
- আমি তো এমনি জেগে। সপ্ন দেখলাম। মা বাবা সবাই বিদায় নিয়ে গেলো আমার থেকে।
_ আচ্ছা তাই বুঝি। আর আমি তোমার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমাবার সময় পেলাম না । ভাবলাম একবার দেখি জেগে আছে কি না ।
- ওহ আচ্ছা। হুমম জেগে আছি। তাতে কি ?
_ কাল আমাদের বিয়ে তাই না ?
- হুমম , বিয়ে তো।
_ কাল আমার সেই ছোট্টবেলার বউ টা কে পেয়ে যাবো। ইনশাল্লাহ্।
- হুমম ।ইনশাল্লাহ্।

এভাবে হাজারো মেসেজ কথা বলতে বলতে , খুনসুটিতে, হাসিতে ভরে উঠলো সেই রাত। হবু বর এর সাথে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে গেলাম।
গুড নাইট সবাইকে। মনে রাখবেন পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা,,,,কাল কিন্তু মাহিন আর আমার বিয়ে। তোমাদের সবাইকে দাওয়াত রইল।

------------------------ সমাপ্ত--------------------

Sumi Islam

[গল্পটা কেমন লাগলো কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না যেন 🌸]

26/10/2023

" পুরনো বাড়িটা"

পর্ব : ০৪

তাড়াতাড়ি করে জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করলাম । শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ধপ করে বিছানায় বসে পড়লাম। চারদিক ঠিক আছে কিনা খেয়াল করতেই দেখি পাশে ফোন এ ৫০ বার কল এসেছিল মাহিন এর। ইস কি মানুষ আমি, মাহিন এর কথা ভাবলাম ই না । ও'কে কি এখন কলদিবো? এখন ভোর হয় হয় অবস্থা, থাক ঘুমাচ্ছে হয়তো। ডিস্টার্ব হবে, আমি বরং টেক্সট দিয়ে রাখি।

এসব ভাবতে ভাবতে সামনে তাকিয়ে আমার মাথায় বাজ পড়লো। চেয়ার এ বসে আছে মাহিন!
আমি আকাশ থেকে পড়লাম যেন। একি দেখছি, মাহিন এত রাতে কোথা থেকে আসবে এখানে?

ভয়ে আমতা আমতা করে বললাম,
- আসলে আমি একটু বাইরে,,,,,
- বাইরে কোথায়? এত রাতে একটা মেয়ে কোথায় যাবে? ফোন এর দিকে দেখেছো? ৫০ বার কল করেছি তাও কয়েক মিনিট পর পর। আমার সন্দেহ হয়েছিল, ভেবেছি তুমি এভাবে কখনো ঘুমাও না। হয়তো তুমি অসুস্থ নয়তো কিছু হয়েছে। আর দেরি করলাম না । চলে আসলাম।
কিন্তু এসেও,,,

- আসলে আমি ওই বাড়িটা,,
- কোন বাড়ি?

মাহিন এর চেহারা দেখে বুঝতে পারছি সে আমার মুখে ওই বাড়িটা কোন বাড়ি এটা শোনার জন্য খুব উদগ্রীব হয়ে গেছে।
বললাম -
' না কিছু না । একটু বাতাস খেয়ে আসলাম , তাই ওই সামনে যে বাড়িটা ঐখানে গেছিলাম। '

- মিথ্যা বলছো তুমি! সত্যি করে বলো আমাকে। কি হয়েছে । আর তুমি কি মনে করো, আমি চুপ করে এসেছি? না , আমি তোমার বাবা মায়ের কাছে ফোন করে এসেছি। ওরাও জানে তুমি বাড়িতে ছিলে না আর ওরাও এখানে বসে থাকতো আমার সাথে। আমি ওদের ঘুমাতে যেতে বললাম তাই গেলো। আমি ভালো করেই বুঝতে পারছি তুমি ওই বাড়িতেই গেছো।আমি ও যেতে চাইলাম না জানি কি বিপদ হয়। একটু আগে আমি রাস্তায় তোমাকে দেখে আবার এলাম এখানে বসেই অপেক্ষা করছি। কিন্তু এত লেইট হলো কেন?

' আসলে পায়েকাটা লেগেছিল'
- দেখি!
মাহিন আমার পায়ে এরকম রক্ত দেখে রাগ হলো। দ্রুত ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে এলো। পরিষ্কার করে ওষুধ লাগিয়ে দিলো।

আমাকে বকতে বকতে বলতে শুরু করল, এভাবে কখনো আমাকে না জানিয়ে কোথাও যেতে পারবে না নয়তো তোমাকে মারবো আমি বলে দিলাম।

আমি থ হয়ে বসে রইলাম। দোষী বিড়ালের মত ওর দিকে তাকিয়ে আছি।

-আর কালকের সব ঘটনা আমার জানা।
বলো কেন গেছিলে ওই বাড়িতে? এত বিপদ হওয়া সত্বেও কিভাবে গেলে?

- জানতে চাও সব টা ?
- হুম বলো।

আমি মাহিন কে আমার সাথে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা বললাম।মনে হচ্ছে মাহিন বাড়িটা সম্পর্কে আগে থেকেই জানত। আমি জানতে চাইলাম আসলে কি সম্পর্ক আমাদের সাথে ঐ বাড়িটার?
আমার সেদিন স্বপ্নে কেন তোমার ওরকম বিভৎস চেহারা দেখলাম তারপর অজ্ঞান হলাম। বলো আমাকে সবটা।

এতক্ষণে মা বাবাও চলে এলো আমার রুম এ। ওরাও সব জানে । আমি মা বাবা, মাহিন এদের কাছে জানতে চাইলাম । কি সম্পর্ক ওই বাড়িটার সাথে আমার। কেন এমন হলো ।

মাহিন আমাকে বলতে লাগলো,
' হ্যা, ওই বাড়ির সাথে তোমার সম্পর্ক আছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে, তুমি ঐ বাড়ির একমাত্র মেয়ে ছিলে।তুমি ছিলে অনেক ছোট। আমি ছিলাম তোমার ছোট বেলার খেলার সাথী। আমার বাবা তোমার বাবার সাথে ব্যবসা করতেন। তাই দুই পরিবার ঠিক করেছিল তোমার সাথে আমার বিয়ে হবে যখন আমরা বড়ো হবো। তুমিও আমাকে খুব পছন্দ করতে । আমাকে ছাড়া খাবার খেতে না , মন খারাপ করে থাকতে। তাই বেশিরভাগ আমি তোমাদের বাড়িতেই ছিলাম। খুব সুন্দর করেই দিন যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন রাতে সেই বাড়ির উপর অশুভ ছায়া ভর করে। তোমার উপর বেশি ভর করতো। তুমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলে। তোমাকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় । শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলেও তোমার ব্রেইন এ আঘাত লাগে। তুমি স্মৃতি হারিয়ে ফেলো। তারপর আমাকে আমার বাবা তোমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। বাবা চায় নী আমার উপরেও এরকম হোক। তারপর তোমাকে আর খুঁজে পাই নী । আর এর বছর পর তোমাকে পেয়েছি স্বপ্নের মাধ্যমে। হয়তো সেদিনই তোমার বাবা মা তোমাকে এই আন্টির কাছে তোমাকে রেখে গেছে যাতে তুমি বেচেঁ থাকো। ঐ অশুভ ছায়া কাউকে ছার দেয় নী। তোমার বাবা মা পরিবার , আমার বাবা মা পরিবার কাউকে ছাড়ে নী। ওরা সবাই ওই অশুভ ছায়ার শিকার হয়েছিল। জানি না কি করেছে ওদের সাথে ওই ছায়া। আমি ছিলাম না । ভাগ্যক্রমে আমাকেও আমার বাবা আমার ফুফুর বাড়িতে রেখে দেন। এটাই ছিল আমার জীবনের আর তোমার জীবনের নির্মম পরিহাস। '

খেয়াল করলাম মাহিন কাদঁছে। পাশে মা বাবা ও ইমোশনাল হয়ে গেছে। আমি সবটা শুনে বুকের ভিতরটা অশান্ত হয়ে গেলো। আমি মা কে গিয়ে বললাম তোমরা আমাকে কোথায় পেলে , কেন বলো নী তোমরা আমার আপন বাবা মা নও। কেন বলো নী? আমি কাদতে লাগলাম।

মা বলতে লাগলো, নুর মা । তোর মা আমাকে আগে থেকেই চিনত। তিনি একদিন রাতে আমার কাছে এসে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলে গেলেন, বোন! আমার মেয়ে টাকে আপনার কাছে দিয়ে গেলাম। আমাদের আশা নেই। আমার মেয়ে টা কে আদর যত্ন করে বড়ো করিয়েন। কখনো বুঝতে দিবেন না , ওর নিজের বাবা মা নেই। তোমরাই ওর বাবা মা ।
কি করবো মা , তোমাকে কিভাবে এই যন্ত্রণার কথা টা জানাতাম।

মা গো,তোমরা কেন বললে না এসব মিত্থা কথা। তোমরাই আমার বাবা মা ,এটা কেন বললে না । আমার ভিতরটা ভেঙে যাচ্ছে। মেনে নিতে পারছি না তোমরা আমার আপন বাবা মা নও।
তোমরাই আমার বাবা মা , বলো এটাই সত্যি বলো মা ,বলো।

- কাদিস না মা । আমি তোর বাবা ,কখনোই ভাবিস না আমি তোর আপন বাবা না । তোকে আমরা জন্ম দেই নী এটা ঠিক। কিন্তু তোকে আমরা অনেক ভালোবাসি নুর মা । আর কাদিস না ।

আমি বাবার হাত দুইটা ধরে কাদতে লাগলাম। পরক্ষনেই ওরা নিজের ঘরে কাদতে কাদতে চলে গেলো।
আমি মাহিন এর কাছে এলাম। সে আমাকে শান্তনা দিয়ে তার বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো।
মাহিন কে বললাম, তুমি আমাকে কিভাবে চিনলে?
- তোমাকে অনেক খুঁজেছি আমি। তোমার সাথে দেখা হওয়ার আগে আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছি। কিন্তু তুমি আমার ছোট বেলায় চুক্তি করা বউ। তোমাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না ।
একদিন আল্লাহকে অনেক ডেকেছি,আমাকে যেন পাইয়ে দেয় তোমায়।
আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছেন । স্বপ্নে তোমার মুখ ভেসে উঠলো, অনেক স্মৃতি ভেসে উঠলো, স্বপ্নে তোমার আমার ছোট বেলার স্মৃতি গুলো দেখতে দেখতে তোমার বর্তমান ফেইস টা দেখলাম।
হঠাৎ জেগে উঠলাম ভোরের দিকে। আমি তোমাকে কলেজে দেখেছি অনেক। তার পর তো তোমার সাথে আলাপ হলো কথা হলো। এখন আমরা আবার দুজনকে ভালোবাসি সেই ছোট বেলার মত।

কিন্তু, আমি সেদিন তোমার চেহারা ওরকম দেখলাম কেন স্বপ্নে? তারপর আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
- ঐটা সেই অশুভ শক্তি। সেই আমার সাজে তোমাকে ওই বাড়ির সামনে নিয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারছি, ও এখন তোমাকে ছাড়বে না।

মাহিন বললো কেঁদো না। এই ছায়া তোমাকে জানাতে চেয়েছে তোমার আপন সজন রা ঐবারীতে বন্দী। যদিও তারা বেচেঁ নেই। তাদের আত্মা শান্তি না হওয়া পর্যন্ত ওরা বন্দী হয়েই আছে। তোমাকে ওই অশুভ ছায়া এসব করেছে। আমাদের বসে থাকলে চলবে না । ওই অশুভ শক্তির শেষ দেখেই ছাড়বো।
আমি মাথা নাড়িয়ে হুম বললাম।
মাহিন বললো এখন শুয়ে পরো। একা একা আর কোথাও যাবে না ।

চলবে,,,,,,,

Sumi Islam

25/10/2023

"পুরনো বাড়িটা"

পর্ব : ০৩

আমি ভাবনার দেয়াল পেরিয়ে পা বাড়ালাম বাড়ির দিকে। হঠাৎ বাড়িটা আলোয় ভরে উঠলো। যেন নতুন সাজে সজ্জিত কোনো এক রাজ প্রাসাদ যেটা আমাকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, আমাকে ভিতরের দিকে টানছে। আমি বাড়িতে প্রবেশ করবো সাথে সাথেই শরীরের ভেতর দিয়ে ঠাণ্ডা আবহাওয়া প্রবাহিত হলো।
বুঝতে পারলাম, ভয় এর কারণে এমনটা হলো।

আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম সাথে সাথেই মেইন ফটক ঝট করে বন্ধ হয়ে গেলো। ভয়ে আমার বুকের ভিতরটায় হাতুড়ি পেটা শুরু হয়ে গেলো।
আমি ঘুরে ঘুরে দেখছি , এত বড় বাড়ি, কোথাও কেউ নেই।
বেলকনিতে ছড়িয়ে থাকা ফুলের পাপড়ি। একটু দূর দুর ডিসটেন্স এ রাখা ফুলের টব। এত যত্ন করে রাখা , প্রত্যেকদিন মনে হয় কেউ এই গাছ গুলোর যত্ন করে।
মনে হচ্ছে আমি নিজেই এই রাজবাড়ির রাজকন্যা।

আমি একটা ফুল এর কাছে এসে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছি, খুব ভালো লাগছে । মনে হচ্ছে সপ্ন পুরীতে চলে এসেছি।
সবকিছু সপ্নের মত সুন্দর।

হঠাৎ একটা কক্ষ থেকে আওয়াজ কানে এলো আমার। এই নিস্তব্দ বাড়িতে কারা কথা বলছে! আমি খুঁজতে লাগলাম ।
যত খুজতেছি তত আওয়াজ ভেসে আসছে , একবার কারো চিৎকার, একবার কারো অট্যহাসি। আমি এদিক ওদিক খুঁজি।
এপাশ থেকে ওপাশে দৌড়াই কিন্তু খুঁজে পাচ্ছি না সেই কক্ষ।

খুঁজতে খুঁজতে হয়রান তবুও পেলাম না ।

ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লাম একটা আসনে। অনেকটা বিচলিত হয়ে গেছিলাম। নিজেকে সামলাতে পারছি না ,মাথাটা প্রচণ্ড ব্যাথায় ফেটে যাবে যাবে অবস্থা। আসনেই গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করলাম।
মুহূর্তেই চোখে ঘুমেরা এসে চেপে বসলো যেন নেশায় বিভোর হয়ে গেছি।
নাহ কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছি না । কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম আর বলতে পারলাম না ।

খেয়াল করলাম ,আমার পাশে একজন এসে দাড়ালো।
আমাকে বললো, "
এসেছ? তোমারই অপেক্ষায় আমরা । কত কাল তোমার অপেক্ষায় ছিলাম । এতদিন পর এসেছ? এতদিন কোথায় ছিলে? এতদিন পর আমাদের মনে পড়লো তোমার? জানো না ? আমরা কষ্টে আছি। প্রত্যেক মুহূর্তে আমরা কষ্টে ,যন্ত্রণায়, আর্তনাদ করতে করতে বিষণ্ণ হয়ে যাচ্ছি।আমাদের মুক্ত করো তুমি, খুব দ্রুত মুক্ত করো আমাদের!!"

কে ,,,, কে,,, করে চিৎকার করতে করতে জেগে উঠলাম।
কিন্তু জেগে দেখি সামনে কেউ নেই।
আমার বুকের ভিতরটা ধুক ধুক ,ঘন ঘন হচ্ছে। ভয়ে গা শিউরে উঠছে।
পাশেই দেখি গ্লাস এ পানি রাখা। আমি পানি খেয়ে আবার হাপাতে লাগলাম।

কে ছিলেন উনি? আমাকে কেন এসব বলে গেলেন? আমার সাথে ওদের কি সম্পর্ক?
না! আর এক মুহূর্ত এখানে দেরি করা চলবে না । আমার এখুনি এখান থেকে যাওয়া উচিত। আমি মেইন ফটক এর দিকে তাকিয়ে ভয়ে কান্না আসার জোগাড়। বন্ধ হয়ে আছে, কিভাবে এখন বের হবো।

আমি মেইন ফটক টার সামনে গিয়ে দাড়াতেই খুলে গেলো। অবাক হয়ে গেলাম কিন্তু এখন এসব চিন্তা করলে চলবে না । আমাকে এখুনি বের হতে হবে। দ্রুত বের হলাম , সাথে সাথেই আবার বন্ধ হয়ে গেলো।

কি অদ্ভুত, এতক্ষন বাড়িটা আলোতে পরিপূর্ণ ছিল,আর এখন সব আলো নিভে গেলো! পিছন না ফিরেই বুঝতে পারছি কিন্তু পিছনে ফিরে তাকাতে ভরসা পাচ্ছি না ।
আমি তাড়াহুড়ো করে বাইরে এলাম । ১০০ মিটারের রাস্তা পার হলাম। কিছুটা শান্ত হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর কোনো দিকে তাকানো ঠিক হবে না ।

বাড়ির রাস্তায় দৌড়াতে শুরু করলাম। নদীর পাড়ে আসতেই কিছু একটা পায়ে লেগে গেলো , পড়ে গেলাম । এমনিতেই ভয়ে মরে যাচ্ছি তার উপর যত বাধা এসে উপস্থিত। মিন মিন করে বলতে বলতে মাথা তুলে দেখি সামনে ৩ জন মানুষ হেঁটে হেঁটে আসছে। কিন্তু এভাবে ঢুলতে ঢুলতে আসছে কেন?
না না , এসব এখন ভাবার সময় নয়। দ্রুত লুকাতে হবে নয়তো চিনে ফেলতে পারে। এত রাতে এভাবে আমাকে কেউ দেখলে সমস্যা হবে।

আমি উঠতে যাবো কিন্তু পায়ের তলায় মারাত্মক যন্ত্রণা হচ্ছে। কাটা লেগেছে। উঃ খুব জ্বালাতন করছে। ওরাও কাছে চলে এলো এখন উপায়?

মাথায় একটা বুদ্ধি চলে এলো। মাথার কাকড়া টা খুলে চুল গুলো এলোমেলো করে মুখের এপাশে ওপাশে ছড়িয়ে দিয়ে আছি। ভাগ্যিস ওড়না টা সাদা পরে আসছি। এটা একটু জড়িয়ে দিলাম ।ওরা ভাববে ভুত। এটাই কাজে লাগাতে হবে।

- এই রনি, কি এটা রে রাস্তায় বসে? (রিয়াদ)
- ঠিক তো! কি এটা? (রনি)
-আচ্ছা মৃণাল, এইটা আবার ভুত না তো?(রিয়াদ)
- ধুর, কি যে বলিস, এতদিন এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করি কখনো কিছু দেখেছিস? (মৃণাল)

রিয়াদ হঠাৎ চিৎকার করে বলল পালা,,,,,,! দেখ দেখ এইটা ভুত। কিরকম সাদা সাড়ি, চুলগুলো এমন। এইটা ভুত। আমি পালাই তোরা থাক।

আমি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে উঠে দাড়ালাম। কষ্ট হচ্ছে পায়ে তবুও খোঁড়াতে লাগলাম আর সামনে এগোতে লাগলাম।
একটু পর ওরা চিৎকার করতে করতে পালিয়ে গেলো।

চলবে,,,,,,,,,,

Sumi Islam

[ সবাই পাশে থাকবেন। উৎসাহ পেলে লিখবো। ]

25/10/2023

"পুরনো বাড়িটা"

পর্ব: ০২

চোখ খুলতেই সকালের আলো দেখতে পেলাম। তার মানে সারা রাত আমি এই ভয়ংকর জায়গায় ছিলাম?
নাহ, আমি আর সেই পুরনো বাড়িটার সামনে নেই, আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি। চিন্তা মুক্ত হলাম। দীর্ঘ শ্বাস নিলাম। সপ্ন ছিল এসব। আমি কাল মাহিন এর সাথে ঝগড়াও করি নী, কোথাও গিয়ে পথ হারিয়েও ফেলি নী।
কিন্তু বিষয়টা কেমন জানি রহস্যময়। কোথায় ওই বাড়িটা,আর কেনই বা এরকম দেখলাম। ওই বাড়িতে কি আছে , কি সম্পর্ক ওই বাড়িটার সাথে আমাদের। মাহিন কেন এত ভয়ংকর রূপে বেরিয়ে এলো সেখান থেকে। আর আমি মাহিন কে বিষয়টা বলবো।

নাহ এসব স্বপ্ন, এটা নিয়ে এত দুশ্চিন্তা না করাই ব্যাটার।
কিন্তু মন মানছে না।
মাহিন কে প্রত্যেকদিনের ন্যায় , টেক্সট করে সালাম , গুড মর্নিং , এসব জানালাম।

সকালে উঠে ফ্রেশ হলাম। আমার মা আমাকে দেখতেই বলতে লাগলো,

' কীরে, এত তাড়াতাড়ি উঠলি কেন? তুই কাল যে কাণ্ড করেছিস, এত তাড়াতাড়ি উঠতে গেলি কেন? যদি আবার মাথা ঘুরে পড়ে যাস ? '

আমি কিছুটা অবাক হলাম। কি করেছি আমি। জিজ্ঞাস করলাম ,
' কি করেছি আমি?'
- তোর মনে নেই? কাল রাতে তুই একা একা ঘুম থেকে উঠে কোথায় গেছিলি? আমরা না দেখলে তো তুই কি যে করতিস! '

আমি আবারও অবাক, তার মানে আমি কাল সত্যি সত্যি ই কোথাও গেছিলাম?

' মা প্লিজ বলো না , কাল কি কি হয়েছে বলো। '

মা বলতে শুরু করলো -

" তুই হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দরজা খুললি, আমিও বাইরে বের হব এমন সময় দেখি তোর দরজা খোলার শব্দ। তুই সোজা হাঁটতে শুরু করলি, বাড়ি পার হয়ে ওই পিছনের রাস্তা দিয়ে নদীর ধারে ধারে হাটতেছিস।

আমিও তোর বাবা কে সব টা বলে দুজনেই তোকে অনুসরণ করতে লাগলাম। ভাবলাম দেখি মেয়ে কি করে। কিন্তু তুই সোজা ওই গ্রামের বিপরীতে পরিত্যাক্ত একটা পুরনো বাড়ি আছে ,ঐখানে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলি। আমরা পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে দেখি, তুই অজ্ঞান হয়ে আছিস।
ভাবলাম আজকে তোকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবো । তোর বাবা কে কাল বলেছি। উনি যেতে বলেছেন।"

আমি সব টা শুনে মাথায় যেন বাজ পড়ে গেলো। কি হচ্ছে আমার সাথে। আমি এইখানে মাহিন কে কোথায় পাবো সে তো রংপুর এ থাকে। আর আমি গ্রামে এসেছি মাত্র দু ' দিন হলো। ছোট বেলা থেকে শহরের পরিবেশে বড় হয়েছি। শুরুতে ফুফুর বাসায় ছিলাম। বাবার সাথে ফুফুর ঝামেলা হওয়াতে বাবা আমাকে ম্যাচ এ থাকার ব্যবস্থা করে দেন
। কখনো এসব কবিরাজ, ভয়, এসব বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু আজ আমার সাথে কি হলো এসব।

দ্রুত ঘরে গেলাম। মাহিন কে কল করলাম। সে ঘুম থেকে জেগে ফোন টা কেটে দিলো। আমার রাগ মাথায় চড়ে বসলো। এখুনি ওর কল টা ধরা উচিৎ ছিল। ইম্পর্ট্যান্ট বিষয়ে কথা বলবো।
সে আমাকে কল ব্যাক করলো। সে এমন টাই করে সবসময়।
আর আমি এসব এর মাঝে ভুলেই গেছিলাম । রাগ হচ্ছিলাম ।

_হ্যালো, প্রিয়া!
_ হুম মাহিন তুমি ঠিক আছো?
_ হুম , ঠিক আছি তো। চিন্তা হচ্ছিল বুঝি আমার জন্য?
_ হুমম একটু। আসলে কাল রাতে খারাপ সপ্ন দেখছি তো!
_ আচ্ছা। একদম চিন্তা করো না। আমি ঠিক আছি।
তুমি নিজের খেয়াল রেখো কিন্তু। আর তাড়াতাড়ি শহরে এসো।
_ হুম ।
ফোন রেখে দিলাম। মনে মনে ভাবলাম ওই বাড়িটা আমি আজ দেখে আসবো।
সকালের খাওয়া শেষ করে মা কে বায়না করলাম ,
' মা ,গ্রাম টা কখনো ঘুরে দেখিনি। চলো ঘুরে আসি। আর ওই বাড়িটা আমাকে দেখিয়ে আনবে আজ।

মা বিচলিত হয়ে বললো, না , ওই বাড়ি কখনো যাওয়ার কথা ভাববে না। কাল রাতে তুই কি ভাবে যে আমার কাছে ফিরে এসেছিস। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আর কখনো ঐ বাড়ির কথা বলবি না ।

নাহ, মা রাজী হলো না। কিন্তু আমাকে যেতেই হবে। আমি আজ যেভাবেই হোক ঐ বাড়িতে যাবো। দেখবো কি আছে ঐখানে। কেন আমাকে ওই বাড়িটা টানছে।

এখন রাত ১১ টা বাজে। সবাই ঘুমুতে গেলো। আমার ঘুম হবে না আজ। আমার মিশন ওই পুরনো বাড়ি।
আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। পিছনের জানালা দিয়ে ঘর থেকে বের হলাম। কেউ টের পাবে না আমি বাইরে গেছি।,কারণ ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো আছে।
আমি নদীর ধার দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। আশেপাশে কি কি যেন আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমার ভিতরটা শুকিয়ে যাচ্ছে আবার ধুক ধুক করছে। হঠাৎ সামনে দিয়ে একটা শেয়াল চলে গেলো। মুহূর্তেই গা শিউরে উঠলো।
নদীর পানি গুলো ঘুট ঘুটে কালো হয়ে আছে ,দেখলে মনে হয় একটা ভয়ংকর জন্তুর মাথা। কোথায় যেন দুইটা চোখ লুকানো সেই পানিতে থাকা জন্তুর মাঝে। যে চোখ দেখলে হয়তো আমার আর সামনে এগোনোর সাহস কুলোবে না।

এসব আমার ধারণা। মনটা কেমন জানি করছে। কিন্তু আমাকে থামলে চলবে না। আমি বেশ সাহসী। ছোটবেলা থেকে শহরে ছিলাম। গ্রামের এই ভুত ভয় দেখানোর কাউকে পাই নী। তাই এসব ভয় আমাকে কোনোভাবেই আটকাতে পারবে না।
আর সব চাইতে ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো আমি এখান থেকে গিয়ে, আমার বন্ধুদের এই গল্পঃ টা শোনাতে পারবো।

আমি চলে এসেছি বাড়িটার সামনে। ১০০ মিটারের একটা রাস্তা বাড়ীতে যাওয়ার জন্য। হয়তো যখন এই বাড়িতে মানুষ থাকতো খুব সুন্দর ছিল বাড়িটা । এখানে এখন কেউ থাকে না তাই এত ভয়ংকর দেখতে বাড়িটা। কিন্তু কি ইতিহাস লুকিয়ে আছে এই বাড়িতে!!,,,,?

চলবে,,,,,,,

Sumi Islam

[ সাড়া পেলে লিখবো । যারা গল্পঃ পড়ছেন ছোট্ট একটা কমেন্ট করবেন। নয়তো লিখতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি]

24/10/2023

শেষ বিকেলে মাহিন এর সাথে ঝগড়া করে বাড়িতে ফিরছিলাম। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না ও আমাকে এতদিন ওর প্রাক্তন এর কথা লুকিয়ে গেছে। আজ সব টা ওর মুখে শুনে সহ্য করতে পারলাম না । তাই ঝগড়া করে বাড়ি ফিরছিলাম।

(আমি নুর । আমার ভালোবাসার মানুষটার নাম আদল। আমি ওকে মাহীন বলে ডাকি। কারণ আমরা দুজন মিলে একটা ফেসবুক পেজ খুলবো বলে ভেবেছি, আর সেটার নাম হবে " মাহিনুর"। মহীন+ নূর! )

কিন্তু আমি বাড়িতে ফিরতে পারছি না কেন? আমি এটা কোথায় চলে আসলাম! খুব ভয় করছে। চারদিক শুন শান। সন্ধা নামবে নামবে অবস্থা। ফাঁকা রাস্তা , চারদিক ঘন জঙ্গল! মাঝে মাঝে ভয়ানক পাখির ডাক ভেসে আসছে পাশের ঝোপঝাড় থেকে।
ব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখি নেটওয়ার্ক কাজ করছে না । এখন কাকে ফোন করবো আমি, কিভাবে ফোন করবো। এই জায়গা আমার অচেনা । আর কি করেই বা এখানে চলে আসলাম আমি।

এসব ভাবতে ভাবতে পিছন থেকে কারো হাঁটার শব্দ পেলাম। আমাকে অনুসরণ করেই আসছে। কিন্তু ভয় করছে পিছনে তাকাতে। না জানি কি আছে পিছনে। আমার শরীর শীতল হয়ে গেল । বুক এর ভিতরটায় ধুকপুকানি বেড়ে গেছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। হাত পা শিউরে গেছে। মনে হচ্ছে গায়ে কাটা দিয়েছে কেউ। এই ভয়ংকর ফাঁকা জায়গায় কে আসবে এখানে। আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলাম।

মুহূর্তেই আমার কাঁধে কেউ একজন হাত রাখলো। আমি মরে যাওয়ার মত অবস্থা । চোখ মুখ খিচে নিলাম। চিৎকার করতে যাবো, মুহূর্তেই সে আমার মুখ চিপে ধরলো। আমার সামনে এসে গেছে। আমি চোখ খুলতে পারছি না । সে বলল চোখ খোলো,

আমি ভয়ে ভয়ে চোখ খুললাম । দেখলাম মাহিন দাড়িয়ে।
আমি যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম। জোরে জোরে শ্বাস নিলাম। কিন্তু আমি এখানে কি করে এলাম আর মাহিনই বা কিভাবে এখানে আসলো। খুব রহস্যময় ব্যাপারটা। জায়গাটাও অচেনা।

জিজ্ঞাস করলাম, তুমি এখানে কেন? আর আমি এখানে কিভাবে এলাম।আমি এই জায়গা চিনি না । তুমি চিনো কি?
- হ্যাঁ , চিনি। আর চিনি বলেই তো এসেছি সঙ্গে তোমাকেও নিয়ে এসেছি।

আমি অবাক হলাম। আমি তো ওর সাথে ঝগড়া করে একাই ফিরছিলাম। ওকে তো আসতে দেখলাম না ।আর আমি নিজেই হাঁটতে হাঁটতে পথ হারিয়ে গেলাম । ওকে তো দেখলাম না ,আমাকে কিভাবে নিয়ে এলো।

সে আমাকে ডাকলো, "এদিকে আসো, আমার পিছন পিছন।"
আমি কি করবো বুঝতে পারছি না । বললাম কোথায় যাবো?
" বলছি তো আসতে। এই জায়গা থেকে তুমি কোথাও যেতে পারবে না । যতোই চেষ্টা করো না কেন, তুমি ফিরতে পারবে না । তাই আমার সাথে চলো। "

আমি তার পিছন পিছন চলতে লাগলাম। তাছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু আমি পালানোর জন্য মনে মনে ঠিক করলাম । যেমন ভাবা তেমন কাজ। হুট করে রাস্তার বিপরীত দিকে দৌড় দিলাম। কিন্তু না , কোনো রাস্তা পেলাম না । যেদিকেই যাচ্ছি শুধু একই রাস্তা ।

ক্লান্ত হয়ে একটা গাছের নিচে বসে হাপাচ্ছি।
খেয়াল করলাম মাহিন আমার পাশে বসে হাসছে। হাসিটা আমার ভালো লাগলো না । রাগে কটমট করে বললাম, "কোথায় নিয়ে এসেছ? আমি বাড়ি যাবো। আমাকে বাড়িতে যেতে দাও"

" বললাম তো! আমার পিছন পিছন আসো। একবার ভুল করলে, মেনে নিলাম। দ্বিতীয়বার যেন পালানোর চেষ্টা না করো। চলো"

এবার চললাম তার পিছন পিছন। যেতে যেতে একটা পুরনো বাড়ীর সামনে পৌঁছলাম। আঁধার হয়ে গেছে এতক্ষণে চারদিক। ভয়ে ভিতরটা শেষ হচ্ছে কিন্তু একটু শান্ত আছি। কারণ সাথে মাহিন আছে।
যতোই ঝগড়া হোক, সে তো আমার চেনা ।

কিন্তু হায়! একি দেখলাম। বাড়িটার হঠাৎ আলো বন্ধ হয়ে গেলো। শেয়াল ডাকছে মাঝে মাঝে আশেপাশে।
আর আমার পাশে থাকা মাহিন কোথায় উধাও হয়ে গেলো?
আমি কোথায় চলে এলাম।
মাহিন,,,, মাহিন বলে চিৎকার করতে লাগলাম। কিন্তু কোথাও নেই সে।

একটু পর খেয়াল করলাম, বাড়ির ভিতর থেকে মাহিন বেরিয়ে আসছে।
কিন্তু তার চেহারা, স্টাইল, পোশাক সব ভিন্নরকম। কাছে আসতেই তার রূপ দেখে নিজেকে আর সাভাবিক রাখতে পারলাম না ।
অজ্ঞান হয়ে পড়ে রইলাম পুরনো বাড়িটার সামনে!!

চলবে,,,,,,,,

#পুরনো_বাড়িটা
#সুমি_ইসলাম
#পর্ব_০১

[গল্প লেখার চেষ্টা,,, সময় কাটাতে । সারা পেলে,, লিখবো। ]

👉পরবর্তী পর্ব পড়তে কমেন্ট চেক করুন 🌸

Address

Rangpur

Telephone

+8801918229502

Website

https://youtube.com/@stvmusic4045

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sumi Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sumi Islam:

Videos

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love. Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars! #StarsEverywhere

#reelsvideo #foryou #videos

তুমি কি জানো কেউ আড়ালে বসে,,, তোমাকে জিবন দিয়ে ভালো সে বাসে,,,,🌸🌸 🎙️ সুমি #reelsvideo #foryou #videos

Rangpur City chikli Park 🌸 #foryou #videos #reelsvideo

লাল লা লা লা লা,,,,,,,🥰 #foryou #cookingvideo #cooking #reels

যদি তোমাকে না পাবো আমি •••••••• কেন এত ভালোবাসলে তুমি•••••••••• কেন এত কাছে আসলে তুমি•••••••••🖤🌸 🎙️ সুমি 🌸

Hello everyone 🥰

One day you and me 🥰🥰 Winter night 🌉 #Reels #foryou #videos

তুমি জানো না রে প্রিয়,, তোমায় কত ভালোবাসি গো,,,🥰🥀 🎙️•••• সুমি ••••

প্রিয় একটি গান!💙 গাইলাম খালি গলায়,,,,🖤 - তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে, আমায় ভীষণ পীড়া দিচ্ছে, বলো কবে ছুঁতে দিবে, তুমি আবার আমার হবে, বলো কোন তারিখে কবে???🖤🌸 🎙️সুমি