20/11/2023
বিশেষ রাষ্ট্রালাপ পাঠচক্র
তিস্তা টিভি । Teesta Tv হলো একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়া
বিশেষ রাষ্ট্রালাপ পাঠচক্র
বড় আল্লাদিয়া বউ তুই হামার
কান্দেন্ না আর কান্দেন্ না
চাউল চাবেয়া খাইম রে মুই
কষ্ট করি আন্দেন্ না... ।।
হেঁউতের ধান খাইচে বানে
তাতে হইছে কি
ঘরের পাটা এ্যালাও ব্যাচার
আছে রে বাকি ।
সেই- পাটা ব্যাচেয়া কিনিম নাল শাড়ি
টাম-টোপলা আর বান্দেন্ না... ।।
ভুট্টার আবাদ করচোং রে মুই
এবার কয়েক দোন
কয় ট্যাকা আর খাইবে সুদে
কয় ট্যাকা মহাজন ।
এবার- ভুট্টা ব্যাচেয়া ঘুরাইম চিলমারি
মুখটা একনা হা-সান না...।।
বাপ দাদার ধন ভিট্যা মাটি
যা আছিল্ মোর ক্যাশ
বছর বছর নদী ভাঙি
সউগে হইচে শ্যাষ ।
এবার- ট্যাকা জমেয়া বান্দিম নয়া ঘর
মোনটা গোসসা করেন না...।।
কথা ও সুর: সাজু বাঙ্গালী
অভিনন্দন শ্রদ্ধেয় Shafiq Ashraf স্যার 💝
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর কলা অনুষদের নতুন ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ স্যার।
তিস্তা রে--- নিদয়া নদী
তোর কি দয়া নাই
ভাংলু রে মোর বসত ভিটা
মাথা গোঁজার ঠাঁই ।।
জমি-জমা হালের গরু
সউগে নিলু বানে
মাথা গোঁজার রাখলু না ঠাঁই
যাইম্ এ্যালা কোনখানে ।
দ্যাশ বৈদ্যাশে ঘুরি এ্যালা
কামলা ব্যাচে খাই ।।
গেলো আষাঢ় ভাংলু জমি
ভাংলু বসতখানি
নষ্ট কল্লু হেঁউতের গোঁছা
চালত তুললু পানি ।
বাপ দাদার কবরখান এ্যালা
জলেতে অথাই ।।
কইসনা রে নিদয়া নদী
তোর মনোত কি আশা
আর কত কাঁন্দাইলে রে মোক
মিটবে তোর পিপাসা ।
পোড়ারে তুই আর কতবার
পুড়ি করবু ছাই ।।
ধরন: ভাওয়াইয়া গান
কথা: সাজু বাঙ্গালী
গাঁয়ত পড়িল মাঘের শীত
ঠান্ডায় আসেনা নিদ
ভাবী কং তোমাক খুলিয়া
কাম কাজ নাগেনা ভাল্
হেলি ঢুলি আর কতকাল
বেড়াইম্ মুই ঘুড়িয়া
এ্যালা- টারির লোকে দেখলে মোকে
চায়া থাকে ব্যাঁকা চোকে
ভাবি কয় হামাক বাউদিয়া...।।
ভাইয়োক একনা বুদ্ধি দিয়া
ঘর কোনা মোর দ্যান তুলিয়া
একা একা থাকিম্ কত আর
আইজ বাদে কাইল কয়া কয়া
বছর পচিঁশ গেল বয়া
সোনার নাওয়ে ঘুন ধরিল্ হামার ।
এ্যালা- টারির লোকে দেখলে মোকে...।।
না বুঝং তোর মতিগতি
না বুঝং মুই ভাব চালাকি
তোমার কিবা চোখের ভাষা
শুনলে হামার বিয়ার কথা
রাগে ক্যানে নাড়েন ঝাটা
ভাবি মুখটা করি গোসা ।
এ্যালা- টারির লোকে দেখলে মোকে...।।
দিন কাটে মোর আলে ভালে
ঘুম আইসে না আইতের কালে
কাক বা মুই দেইম্ অভিশাপ
যেইগলা আছিল মোর বগলে
ওউগলা আইজ গাঁয়ে সকলে
ভাবি দুইটা ছাওয়ার বাপ।
এ্যালা- টারির লোকে দেখলে মোকে...।।
ধরন: ভাওয়াইয়া গান
কথা: সাজু বাঙ্গালী
বাঁচাও আমার নদ-নদী-খাল
পশু-পাখী পুকুর বিলের মাছ
বাঁচাও আমার বন অরণ্য
হাওর বাওর, মাঠের সবুজ ঘাস
বাঁচাও আমার পাহাড় পর্বত
মুক্ত বায়ু, সুনীল ঐ আকাশ
তোমার সভ্যতার এই যাতাকলে
বঙ্গ আমার, হলো সর্বনাস ।।
বাঁচাও আমার শাপলা শালুক
জারি সারি পাখপাখালীর গান
বাঁচাও আমার কৃষক শ্রমিক
জেলে মাঝি গবাদির বাথান ।
বাঁচাও আমার মাতৃভাষা
স্বাধীনতা বাংলার ইতিহাস
তোমার যানবাহনের কালো ধোঁয়ায়
জীবন আমার হলো নাভিশ্বাস ।।
বাঁচাও আমার ঘাটে ঘাটে
রঙ বিরঙের পাল তোলা ঐ নাও
বাঁচাও আমার সবুজ শ্যামল
খেলারও মাঠ আমার সোনারগাঁও ।
বাঁচাও নদীর মুক্তধারা
পাগল করা বন-অরণ্যের গাছ
তোমার কলকারখানার বর্জ্য এসে
মরছে আমার নদী নালা মাছ ।।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার চর গতিয়াশামে তিস্তার ভাঙনের কবলে ঘরবাড়ি।
তিস্তা সমস্যা সমাধান আমাদের ন্যায্য দাবী।
তিস্তা আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়!
---------------------------------------------------
২ আগস্ট লাখো মানুষের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন," আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করবো।"
এই প্রতিশ্রুতি তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ধারাবাহিক সংগ্রাম আন্দোলনের ফসল।
এখন আমাদের দাবি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই একনেকে অর্থ বরাদ্দ করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করা হোক।ওই দাবিতে সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী তিস্তা পাড়ের জেলা,উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রচারপত্র
বিলি,পথযাত্রা,হাটসভা,ওঠান বৈঠক এবং সভা সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
তিস্তা চুক্তি সই এবং নিজের টাকায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে--
। সংবাদ সম্মেলন।
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সুমি কমিউনিটি সেন্টার, রংপুর, সকাল ১১ টা।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপনারা ইতোমধ্যেই জেনেছেন,ভারতের নয়দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি- ২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন।বৈঠকে তিস্তা ইস্যুসহ নানা দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এজেন্ডায় না থাকলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তিস্তা ইস্যুসহ অভিন্ন ৫৪ টি নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ বৈঠকে কথা তুলবেন- এ আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের আছে। কারণ,বঙ্গবন্ধুই তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে উচ্চকিত ছিলেন।১৯৭২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পানিবন্টন বিষয়ে বৈঠক করেছিলেন।পানি সংকট নিরসনে দুই দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠন করেছিলেন যৌথ নদী কমিশন।১৯৭২ সালে কমিশনের প্রথম বৈঠকের সিদ্ধান্ত ছিল,তিস্তার পানি বন্টনের সিদ্ধান্ত নেবেন দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিস্তার বিষয়টি ফলপ্রসু সমাধানের আগেই সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্রে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা তিস্তা নিয়ে শুরু করেছেন নতুন পথচলা।
২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং- এর মধ্যে একটা ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।শুধু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সই করলেই তিস্তাচুক্তির ফায়সালা হতো।ভারতের কেন্দ্রীয় ও প্রদেশিক সরকারের মধ্যে অনৈক্যের কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি ঝুলিয়ে রেখেছে।অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও তাদের নিজেদের রাজনৈতিক প্রয়োজনে কেউই
এ সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয়।উল্টো, পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলতি বছরের মার্চে তিস্তার পানি প্রত্যাহারে নতুন করে দুটি খাল খননের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।এর প্রতিবাদে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ প্রতিবাদমুখর হলে বাংলাদেশ সরকার নয়াদিল্লির কাছে কুটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এ বিষয়ে নয়াদিল্লির কোন সদুত্তর পাওয়া গেছে কিনা তা দেশবাসী জানেনা। সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন,এখনো কুটনৈতিক পত্রের জবাব পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক বন্ধুগণ
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে ৫৪টি অভিন্ন নদী।ওই ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে উত্তরাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৩৬টি নদী।রংপুর বিভাগে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ১৮টি।তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নতুন দুটি খাল খনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে তিস্তা ছাড়াও দুধকুমার,ধরলাসহ রংপুরের সব আন্ত: সীমান্ত নদী পানিশূন্যতায় বিরাণভূমিতে পরিণত হবে, হবে নর্দমা।খরাকালে হবে মরুভূমি, বর্ষাকালে নদীতীরবর্তী জনপদে শুরু হবে ভাঙনের তান্ডব।লাখো কোটি টাকার সরকারি, বেসরকারি সম্পদ,জমিজিরাত,ফসল
সবকিছুই তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পেটে চলে যাবে। সমস্যা সমাধানে অববাহিকাভিত্তিক নদী ও পানি ব্যাবস্থাপনা গড়ে তুলতে ভারত- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে চুক্তি হয়েছে।রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত মিললেও যৌথনদী কমিশন এব্যাপারে এখনো কার্যকর সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারছেনা।তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলির পানি বন্টনের বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দৃশ্যমান করা খুবই জরুরি।আন্তর্জাতিক নদী ও পরিবেশগত যে আইন-কানুন ও নিয়ম বিশ্বে স্বীকৃত আছে, তাতে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ঠিক রাখাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ নদীকে বাঁচিয়ে রেখে তারপর পানি ভাগাভাগি।ভারতের সুপ্রিমকোর্টের একটি রায় তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বাংলাদেশকে পথ দেখাতে পারে।ভারতের কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু রাজ্যের মধ্যে কৃষ্ণা ও কাবেরি নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে।রায়ে বলা হয়েছে, "ভাটির অংশের মানুষ ও প্রাণীজগৎকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজনে উজানে ইরিগেশন বন্ধ রেখে উজানের কৃষকদের পেশা পরিবর্তন করতে হবে।" এই ঐতিহাসিক রায়ে ভাটির অংশকে বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের উচ্চ আদালত।সবচেয়ে নিকট বড় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বিরোধে জড়ানোর বালখিল্য আচরণ কখনো করবে না বাংলাদেশ।আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যুক্তি,ভারতের সুপ্রিমকোর্ট -এর নির্দেশনা,ভারত-বাংলাদেশের প্রাধানমন্ত্রীদ্বয়ের স্বাক্ষরিত এগ্রিমেন্টের (২০১১)
আইনি ভিত্তির উপর অনড় থেকেই তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদী ও গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিস্তা ইস্যুটি অমীমাংসিতভাবে ঝুলিয়ে রাখার পাত্র নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এবারের ভারত সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই দিক থেকেই তিনি তিস্তার বিষয়টি খোলাসা করবেন।
তিস্তা পানিবন্টন চুক্তির পাশাপাশি নিজের টাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কেন জরুরি সে বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরবেন।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তিস্তা চুক্তি সইসহ ছয়দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।তিস্তা আন্দোলন বর্তমানে গণজাগরণে রূপ নিয়েছে।এ আন্দোলনে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক হিসেবে আপনাদের ভূমিকাও অগ্রণী, নজরকাড়া।সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি, রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকার তো নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তিস্তা মহাপরিকল্পনার জন্য।উৎসর্গীতপ্রাণ প্রয়াত রতন সরকার গোটা সাংবাদিক সমাজের গর্ব,আন্ত:প্রাণ।তিস্তা আন্দোলনের ব্যাপ্তির পেছনে সাংবাদিক সমাজ যে ভূমিকা রেখেছেন তা অতুলনীয়, অনন্য।
বন্ধুগন
তিস্তা আন্দোলনের লক্ষ্য দুইটি।এক; আন্ত:দেশীয় ব্যবস্থাপনায় তিস্তাচুক্তি সইসহ অববাহিকাভিত্তিক তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।দুই; দেশীয় ব্যবস্থাপনায় তিস্তা নদীর মূলপ্রবাহে ব্যাপক খনন,ভাঙন রোধে কার্যকর পরিকল্পনা প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন।এর একটিও বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাংলাদেশ অংশের ১১৫ কিলোমিটার ব্যাপী তিস্তা অববাহিকার ২ কোটি মানুষের জীবনে নেমে এসেছে মহাদুর্যোগ।খরার চেয়ে ভাঙনে সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়েছেন তিস্তাপারের মানুষ।ভাঙনে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার সরকারি বেসরকারি সম্পদ,জমিজিরাত ফসল তিস্তা খেয়ে ফেলছে।হুমকিতে পড়েছে গোটা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা।বাড়ছে জলবায়ু শরণার্থী উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা।বাড়ছে রংপুর বিভাগের গড় দারিদ্র্যের হার।বালু ও পলি জমে তিস্তার বুক ( মূলপ্রবাহ) সমতলভূমির চেয়েও উঁচু হয়ে গেছে।২৩৫ বছর বয়সী বাংলাদেশ অংশের তিস্তার পরিচর্যা করা হয়নি।করা হয়নি খনন।
একটু পানি বাড়লেই তিস্তা তার বুকে পানি ধরে রাখতে পারেনা।পানি দ্রুত নেমে যায় তিস্তাতীরবর্তী গ্রামের দিকে।তিস্তা সৃষ্টি করে নতুন নতুন চ্যুট চ্যানেল।বাড়ে ভাঙনের তান্ডব।ভাঙনে তিস্তা নদীর প্রস্থ হয়েছে কোথাও কোথাও ১০-১২ কিলোমিটার।জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি ক্রামাগত বেসামাল হয়ে ওঠেছে।তিস্তার মরণে তিস্তার শাখা-প্রশাখা ও উপনদীগুলো হয়েছে ভরাট,দখল এবং তিস্তার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় টান পড়েছে ভূগর্ভস্থ পানিতে।সাগরের লোনা পানি ঢুকে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলায়।সৃষ্টি হচ্ছে মিঠাপানির ভয়াবহ সংকট।কার্বন নি:স্বরণ কমাতে যে ঐক্যমত্য হয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্ব।ফলে জলনায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে গোটা দেশে গোটা পৃথিবীতে বাড়ছে খরা,বন্যা,জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়,
দাবানল।তিস্তা অববাহিকায় বাড়ছে হরকা বন্যা ও উপর্যুপরি নদী ভাঙন।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বর্তমান সরকার ও সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনার সমীক্ষা শেষ করেন।প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালেই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
২ আগস্ট ২০২৩ রংপুর জেলা স্কুল মাঠের লাখো মানুষের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতায় বলেন,আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করবো।"প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় তিস্তা পাড়ে নেমে আসে আনন্দের জোয়ার।প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে তিস্তা পাড়ের প্রতিটি মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার আমাদের সঙ্গে তিনদফা একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দার কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে গেলেও আমরা চুপ করে থাকবো না। পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।শুধু ঘোষণাই নয়,এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাস্তবায়ন করে দেখাবো। তিস্তার মূলধারাটি প্রবাহমান করে তুলতে ব্যাপক খননই হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার মূল কাজ।খননেরর ফলে যে পরিমান মাটি পাওয়া যাবে তা দিয়ে নদীর দুই ধারে ১৭৪ কিলোমিটার ভূমি গঠিত হবে।নদীপারের ১৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আমরা কৃষি,মৎস্য,পর্যটন, ইকোপার্ক,ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন করতে পারবো।জনবসতি, স্যাটালাইট টাউন গড়ে তুলতে পারবো।তিস্তা খননের ফলে ব্রম্মপুত্র দিয়ে যমুনার সঙ্গে সারা বছর তিস্তার নৌ- কানেক্টিভিটি সচল থাকবে।"
কোটি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই ফেইজ বাই ফেইজ আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পা কাজের শুভ উদ্বোধন দেখতে চাই।চাই একনেকে এ কাজের অর্থ বরাদ্দ।তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে নদী ভাঙনের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাবো সত্য।কিন্তু খরাকালে তিস্তার জীবন বাঁচিয়ে রাখতে চাই তিস্তা চুক্তি সই,চাই অববাহিকা ভিত্তিক তিস্তা নদীসহ ৫৪ টি নদীর ব্যবস্থাপনা।
স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজের শুভ উদ্বোধনসহ ছয়দফা
দাবিতে গোটা সেপ্টম্বর মাসব্যাপী তিস্তা তীরের ওয়ার্ড,ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা শহরে প্রচারপত্র বিলি,হাটসভা,পথসভা,সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
অভিনন্দনসহ-
নজরুল ইসলাম হক্কানী
সভাপতি
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
শফিয়ার রহমান
সাধারণ সম্পাদক
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
তিস্তা নদীতে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে পানি চেয়ে আজকের মানববন্ধন। রিভারাইন পিপল ক্লাব, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিভিন্ন নদী সংগঠক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আমি একটি ধ্বনি শুনি ভোরের পাখির কন্ঠে
আমি একটি ছবি দেখি বাংলার মাঠে প্রান্তে
বাংলার আকাশে বাতাসে শুনি একটাই সুর ---
শেখ মুজিবুর শেখ মুজিবুর
জাতির পিতা তুমি শেখ মুজিবুর ।।
এই পদ্মা মেঘনা তিস্তা যমুনায়
মিশে আছে তার অবদান
মাঠের ফসল থেকে ভোরের পাখি
তার নামে গেয়ে যায় গান।
এই বাংলার জল ধূলি কণা
তাঁর ছোঁয়ায় আজ মধুর।।
বায়ান্ন একাত্তরে বাজে ঐ নাম
মুক্ত স্বাধীনতায়
মিশে আছে বাংলা বর্ণমালা
লাল সবুজের পতাকায় ।
তাঁর ঐ বজ্র কন্ঠ আজও
বাজে দূর বহুদূর ।।
৫ আগস্ট,২৩ । বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির (২০২৩-২০২৫) প্রথম এবং বাপার ১৫৩ তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি জনাব ফরিদুল ইসলাম ফরিদ কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
অভিনন্দন ফরিদুল ইসলাম
শেখের বেটির কাছে এইবার মিনতি হামার
ওরে- শেখের বেটির কাছে এইবার
মিনতি হামার
বছর বছর বান ভাসিয়া
জীবন হইল সার
ওরে- এত দুঃখ কষ্ট বাহে
সয়না প্রাণে আর
হামাক তোমরা বান্দিয়া দ্যান
তিস্তা নদীর পাড় ।।
ওরে- গেল বানে ফসল গেল
ভাঙলো সুখের ঘর
সোনা ভূই মোর হইছে এ্যালা
শুকনা বালুর চর ।
ওরে- ট্যাকা পইসা চাইন্যা বাহে
চাইন্যা ইলিপ আর ।।
ওরে- নদী ভাঙা মানষি আজি
ঘর তোলে ভাই ঘাটায়
কায়য়ো ঢাকা গার্মেস খাটে
কায়য়ো ইটের ভাটায় ।
ওরে- কায়য়ো কুলি দিন মজুরে
করছে হাহাকার ।।
ওরে-প্যাটের দায়ে কত লোকে
দিছে বৈদ্যাশ পাড়ি
কায়য়ো মইলো শহরেতে
নিজের গেরাম ছাড়ি ।
ওরে- কাছের মানুষ কেবা কোথায়
নাইরে খবর তার ।।
শিল্পী : বাউল একরামুল হক মাইজভান্ডারী
কথা: সাজু বাঙ্গালী
শেখের বেটির কাছে এইবার মিনতি হামার
ওরে- শেখের বেটির কাছে এইবার
মিনতি হামার
বছর বছর বান ভাসিয়া
জীবন হইল সার
ওরে- এত দুঃখ কষ্ট বাহে
সয়না প্রাণে আর
হামাক তোমরা বান্দিয়া দ্যান
তিস্তা নদীর পাড় ।।
ওরে- গেল বানে ফসল গেল
ভাঙলো সুখের ঘর
সোনা ভূই মোর হইছে এ্যালা
শুকনা বালুর চর ।
ওরে- ট্যাকা পইসা চাইন্যা বাহে
চাইন্যা ইলিপ আর ।।
ওরে- নদী ভাঙা মানষি গুলা
ঘর তোলে ভাই ঘাটায়
কায়য়ো ঢাকা গার্মেস খাটে
কায়য়ো ইটের ভাটায় ।
ওরে- কায়য়ো কুলি দিন মজুরে
করছে হাহাকার ।।
ওরে-প্যাটের দায়ে কত লোকে
দিছে বৈদ্যাশ পাড়ি
কায়য়ো মইলো শহরেতে
নিজের গেরাম ছাড়ি ।
ওরে- কাছের মানুষ কেবা কোথায়
নাইরে খবর তার ।।
কথা: সাজু বাঙ্গালী
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবে একটি মৃত প্রকল্প!
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবে একটি মৃত প্রকল্প। গুটিকয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তিস্তা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা ও তিস্তার অধিকার আদায় থেকে তিস্তা পাড়ের মানুষকে সরিয়ে আনতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নামে একটি অতিরঞ্জিত হাইব্রিড প্রকল্প প্রচার করে যাচ্ছেন যার বাস্তবায়ন কখনও সম্ভব নয়।
এতে তারা একদিকে যেমন তিস্তা নদী ও দুইপাড়ের পরিবেশের ক্ষতি করে যাচ্ছেন অন্যদিকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছেন তিস্তা পাড়ের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে।
-- এডভোকেট রায়হান কবির।
ভবতরীর গানের আড্ডা
নির্বাচনের পূর্বে নেতাদের বক্তব্য ও প্রতিশ্রুতি গুলো অনেকটা দৈববাণীর মতো শোনায়।
আবিরের কন্ঠে পরিবেশের গান
প্লাস্টিকের বোতল জমা দিন, বই নিন
আষাঢ় মোরে ডাক দিয়েছে
বাদল ঝরঝর্
আমি কি আর থাকতে পারি
বল্ সখি আজ ঘর ।।
আকাশতে মেঘ যেন আজ
করছে হুকুম জারি
ঘাটের মাঝি নৌকা বেঁধে
ফিরছে তাড়াতাড়ি ।
মাঠে ঘাটে উঠল পানি
ডুবলো কাশের চর......
আমি কি আর থাকতে পারি
বল্ সখি আজ ঘর ।।
হাসগুলো সেই সকাল থেকে
আজকে বাড়ি ছাড়া
কোন বিলে কে হারিয়ে গেছে
নেইতো কোনো সাড়া ।
গাঙ্ জুড়ে ঐ ব্যাঙাচিরা
গাইছে নব স্বর.......
আমি কি আর থাকতে পারি
বল্ সখি আজ ঘর ।।
ধরন: পল্লীগীতি
কথা ও সুর: সাজু বাঙ্গালী
একজন নাগরিক কে ততক্ষণই ঐ দল বা ব্যক্তিকে সমর্থন করা উচিত যতক্ষণ ঐ দল বা ব্যক্তি দেশ, সমাজ ও মানুষের জন্য ভালো কাজ করেন। আর যখন ঐ দল বা ব্যক্তি খারাপ কর্মে লিপ্ত হোন তখন তাকে পরিত্যাগ করা একজন আদর্শ নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
পুরনো দিনের জনপ্রিয় বিয়ের গীত
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্যতা দাবিতে রংপুরে বিশাল সমাবেশ
গণ সমাবেশ সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি:
আগামীকাল ০৬ মে, রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বেলা ২ টায় তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ৬ দফা দাবিতে অনুষ্ঠিতব্য গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিভিন্ন এলাকার যানবাহন রাখার নির্দেশনা-
গণসমাবেশে আগত গাড়ি রাখার জন্য নির্ধারিত স্থানসমূহ নিম্নরুপ-
(১) সৈয়দপুর,জলঢাকা,ডিমলা,গংগাচড়া,পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারি উপজেলা ------
রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ
(২)
লালমনিরহাট সদর, রাজারহাট,উলিপুর - রংপুর পলিটেকনিক মাঠ( জুম্মাপাড়া)
(৩)
পীরগাছা,কাউনিয়া, সুন্দরগঞ্জ - লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ ( কামালকাছনা)
(৪)
মিঠাপুকুর উপজেলা শালমারা ও ঘাঘট শাখা - শাপলাচত্বর।
যোগাযোগ- বখতিয়ার হোসেন শিশির
সদস্য: স্ট্যান্ডিং কমিটি
মোবাইল নম্বর - ০১৭১৪৬৭৯৩৫৩
ধন্যবাদান্তে
শফিয়ার রহমান
০৫/৫/২৩
গণসমাবেশে যোগদানের শ্লোগান সমূহ;
১) তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও
কৃষকের জান বাঁচাও।
২) তিস্তাবাসীর কান্না,
আর না,আর না।
৩) রংপুর বিভাগের বৈষম্য কমাতে,
তিস্তা নদী খনন চাই।
৪) রিলিফ নয়, ত্রান নয়
নদী খনন চাই।
৫)রংপুর বিভাগের বৈষম্য
কমাতে হবে কমাতে হবে।
৬) ঢাকা, চট্টগ্রামে গার্মেন্টসের কর্মী নয়, রংপুরেই গার্মেন্টস চাই।
৭) অন্যের বাড়িতে কাজের বুয়া নয়,
নিজের বাড়িতেই কাজের সংস্থান চাই।
৮)খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে
তিস্তা নদীখনন কর।
১০) শাখা নদীর সংযোগ করো
নৌ-পথ চালু কর।
১১)চীন - ভারত বুঝি না
নিজের টাকায় খনন কর
১২) এবারের বাজেটে
তিস্তা মহাপরিকল্পনার বরাদ্দ চাই
১৩) তিস্তা নদী খনন কর
পরিবেশ রক্ষা কর
১৪) খরাকালে পানি প্রাপ্তি
নিশ্চিত কর নিশ্চিত কর।
১৫) তিস্তা পাড়ের জমি সুরক্ষা কর,- খাদ্য নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলো।
১৬)তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও
উত্তর বঙ্গের বৈষম্য কমাও
পীরগাছা উপজেলার আলিবাবা থিম পার্ক সংলগ্ন তিস্তা তীরবর্তী তারাবাজারে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আঞ্চলিক কমিটির সংগঠকদের মাঝে আগামী
৬ মে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের গণসমাবেশ
সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখছেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের বিপ্লবী সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি স্যার..
৩ মে ২০২৩.
চরমোনাই পীর সৈয়দ ফয়জুল করীমের দল ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ। বায়তুল মোকাররম মসজিদের গেট থেকে সরাসরি
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে উত্তর বঙ্গের উন্নয়ন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে আগামী ৬ মে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের গনসমাবেশে দলে দলে যোগ দিন..
Rangpur
5402
Be the first to know and let us send you an email when তিস্তা টিভি । Teesta Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to তিস্তা টিভি । Teesta Tv:
শেখের বেটির কাছে এইবার মিনতি হামার ওরে- শেখের বেটির কাছে এইবার মিনতি হামার বছর বছর বান ভাসিয়া জীবন হইল সার ওরে- এত দুঃখ কষ্ট বাহে সয়না প্রাণে আর হামাক তোমরা বান্দিয়া দ্যান তিস্তা নদীর পাড় ।। ওরে- গেল বানে ফসল গেল ভাঙলো সুখের ঘর সোনা ভূই মোর হইছে এ্যালা শুকনা বালুর চর । ওরে- ট্যাকা পইসা চাইন্যা বাহে চাইন্যা ইলিপ আর ।। ওরে- নদী ভাঙা মানষি আজি ঘর তোলে ভাই ঘাটায় কায়য়ো ঢাকা গার্মেস খাটে কায়য়ো ইটের ভাটায় । ওরে- কায়য়ো কুলি দিন মজুরে করছে হাহাকার ।। ওরে-প্যাটের দায়ে কত লোকে দিছে বৈদ্যাশ পাড়ি কায়য়ো মইলো শহরেতে নিজের গেরাম ছাড়ি । ওরে- কাছের মানুষ কেবা কোথায় নাইরে খবর তার ।। শিল্পী : বাউল একরামুল হক মাইজভান্ডারী কথা: সাজু বাঙ্গালী
চরমোনাই পীর সৈয়দ ফয়জুল করীমের দল ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ। বায়তুল মোকাররম মসজিদের গেট থেকে সরাসরি
ভারতের তিস্তা নদীর পানি একতরফা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উজানে দুটি ক্যানেল নির্মাণ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধন। স্থান - রংপুর সিটি কর্পোরেশন। ১১/০৩/২৩
ফিরাইয়া দেও হামাক তোমরা তিস্তা নদীর জল তিস্তা নদীর পানি নিয়ে রংপুর অঞ্চলের বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গান। গানটি রচিত হয়েছে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি আদায়ে গীতিকারঃ সাজু বাঙ্গালী পরিবেশনায়ঃ টঙ্গের গান শিল্পগোষ্ঠী সম্পাদনায়ঃ সাইফুল্লাহ আল হেলাল
গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ সহ ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুরে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল। গণতন্ত্র মঞ্চ, রংপুর জেলা।
যে গানে উঠে এসেছে বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতি বাড়ির শোভা বাগ-বাগিচা, ঘরের শোভা নারী বধূর শোভা শাঁখা সিঁদুর, পুরুষের শোভা দাড়ি গো---।। মা হলো সংসারের শোভা, দেহের শোভা বল বনের শোভা পাখ-পাখালী, মেঘের ঝড় বাদল ঘাটের শোভা হলো খেয়া, গাছের শোভা ফল নদীর শোভা পায়না সখী, না থাকিলে জল গো---।। ফুল হলো বাগানের শোভা, বংশের শোভা মান প্রেম হলো মানুষের শোভা, পশুর শোভা কাম সন্তান হলো মায়ের শোভা, বর্ষার শোভা বান ঢেঁকির শোভা পায়না সখী, না ভানিলে ধান গো--।। কর্ম হলো ধর্মের শোভা, দাদার শোভা নাতি মুখের শোভা সত্য বচন, গায়ের শোভা ধুতি সূর্য হলো দিনের শোভা, রাতের শোভা চাঁদ মুখের শোভা পায় না সখী, না থাকিলে দাঁত গো -।। যুক্তি হলো তর্কের শোভা, চোখের শোভা জ্যোতি সাধুর শোভা মন্ত্র সাধন, চোরের চৌর্যবৃত্তি শ্রবণ হলো কানের শোভা, বসন্তের শোভা ফুল মাথার শোভা পায় না সখী, না থাকিলে চুল গো---।। বিশ্বাসে বন্ধ