Pother Golpo

Pother Golpo We the "Pother Golpo" team trying to discover local people, culture & lifestyle.

আনন্দ মিছিল থেকে কেউ মন্দির, প্যাগোডা, চার্চ, হিন্দুদের বাড়ি ভেঙ্গে বাংলাকে কলঙ্কিতি করকেন না।
05/08/2024

আনন্দ মিছিল থেকে কেউ মন্দির, প্যাগোডা, চার্চ, হিন্দুদের বাড়ি ভেঙ্গে বাংলাকে কলঙ্কিতি করকেন না।

সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা 🌿
10/04/2024

সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা 🌿

22/02/2024

অচিন গাছ I I সিঁন্দুরমতি দিঘি I I পথের গল্প

#অচিন_গাছ

অচিন গাছ মানুষের কাছে আজও অচেনাই রয়ে গেছে। কত বছর আগে গাছটি জন্মেছিল, গাছের নাম কি, তা কেউ ই জানেন না। অনেক উদ্ভিদ বিজ্ঞানী নমুনা হিসেবে এর ডাল, পাতা ইত্যাদি নিয়ে গেলেও এ গাছের আদি অন্ত বের করতে পারেননি। আর তাই এই গাছের নাম অচিন গাছ।

#সিঁন্দুরমতি_দিঘি

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক রহস্যময় ও বিখ্যাত পুকুর রয়েছে। এই পুকুরগুলোকে ঘিরে বিভিন্ন রকম উপকথা, পৌরাণিক কাহিনী এলাকায় প্রচলিত থাকে। সিঁন্দুরমতি দিঘিটিও তেমনি একটি পুকুর। এর প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন ঐতিহাসিক তারিখ পাওয়া যায়না। তবে পুকুরটি এই এলাকার জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

বলছিলাম লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরমতি মৌজায় সিন্দুরমতি দিঘির কথা। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার উত্তরে এই পুকুরটির অবস্থান। দিঘিটি হিন্দু ধর্মের মানুষদের কাছে একটি তীর্থ স্থান। দীঘির জমির পরিমান ১৬.৫ একর।

পুকুরটিকে ঘিরে একটি প্রাচীন কাহিনী এলাকার ভক্তিপ্রবণ মানুষেরা বংশ পরম্পরায় পরম শ্রদ্ধায় বহন করে আসছেন। জনশ্রুতি আছে যে শ্রীলংকা থেকে আগত জনৈক রাজনারায়ণ চক্রবর্তী সন্তান লাভের বাসনায় এই দিঘি খনন করেন । তাঁর দুই কন্যা সন্তান হলে তিনি তাদের নাম রাখেন সিন্দুর ও মতি । সিন্দুরমতি দিঘি খনন সমাপ্ত হওয়ার পর দেখাযায় পানি উঠছে না । স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে জমিদার নবমীর দিনে পূজার আয়োজন করেন । পূজার আয়োজন করা হয় খননকৃত দিঘির ঠিক মাঝখানে । এই সময় জমিদারের মনে পড়ে যায় তিনি তুলসী পাতা নিয়ে আসেননি। সিন্দুর ও মতিকে পুকুরের শুকনো তলদেশে রেখে ছুটলেন রাজপ্রাসাদে। এমন সময় বিকট শব্দ করে পুকুরের তলদেশ ভেদ করে তীব্রবেগে অজস্র জলরাশি বের হতে লাগল। মুহূর্তের মধ্যে সম্পূর্ণ পুকুর জলে ভর্তি হয়ে গেল এবং সিন্দুর ও মতি ঐ পানিতে ডুবে মারা যায় । সেই থেকে এই দিঘির নাম হয় সিন্দুরমতি । কালক্রমে ঐ স্থানের নামও হয়ে যায় সিন্দুরমতি ।

এর এক বৎসর পর চৈত্র মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে জমিদার এর এক পূত্র সন্তান জন্ম নেয়। জমিদার নবজাত পুত্রের নাম রাখেন ব্রহ্মদেব। ব্রহ্মদেবের বয়স যখন সাত বৎসর তখন জমিদার আবার এক নিদারুণ পরীক্ষার সম্মুখীন হন। তিনি দৈব আদেশ পেলেন চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বুধাষ্টমীতে চিলমারীর সন্নিকটে ব্রহ্মপুত্র নদের
ত্রি-ধারায়(ত্রিবেণীতে) ব্রহ্মদেবকে পূণ্য স্নান করতে হবে। সত্যনিষ্ঠ জমিদার নির্ধারিত দিনের এক দিন আগে হাতীর পিঠে চড়ে রওনা হলেন চিলমারীর দিকে। মহাষ্টমীর ব্রাহ্মমুহূর্তে তিন নদীর সঙ্গমে জমিদার পুত্রকে নিয়ে নামেন। প্রথমে জমিদার নিজে স্নান করেন, তারপর পুত্র। পুত্র ব্রহ্মদেব নম: বিষ্ণু: মন্ত্র পাঠ করে নদীতে ডুব দেয়। আর সে ভেসে ওঠেনি। সেই রাতেই জমিদার স্বপ্নে দেখেন তাঁর সন্তানদের পবিত্র জীবন উৎসর্গের স্থান দুটি সর্বযুগের সর্বমানবের মঙ্গলের জন্য নিবেদিত হবে। সেই থেকে চৈত্রমাসের অষ্টমী তিথিতে চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের ত্রিবেণীতে এবং নবমী তিথিতে সিন্দুরমতিতে স্নানোৎসব পালন করা হয়।

১৯৭৫ সালে পুকুরটি সরকারী তত্ত্বাবধানে আংশিকভাবে পুনঃখনন করা হয়। সেসময় প্রচুর পরিমাণে প্রাগৈতিহাসিক বিভিন্ন প্রকার পাথরের মূর্তি, অনেক সোনা-রূপা ও তামার মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল। এর সবই ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। এলাকার সংস্কৃতি সচেতন জনগণ মনে করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে এখানে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খননকার্য চালালে আমাদের অতীত ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় উন্মোচিত হবে; বাড়বে এলাকার পর্যটন গুরুত্ব। আবহমানকালের বাঙালির তৃষ্ণা মেটানো এই পুকুরের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব তাই খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই।

কিভাবে যাবেন:
দেশের যে কোন স্থান থেকে কুড়িগ্রাম শহরে আসতে পারবেন। কুড়িগ্রাম শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত রাজারহাট উপজেলা। এখানে আসতে বাস কিংবা অটোতে ১০ টাকা ভাড়ায় পৌছে যাবেন। এখান থেকে অটো কিংবা রিক্সায় ১৫ টাকা ভাড়ায় সরাসরি ঐতিহাসিক সিন্দুর মতির দিঘির পাড়ে যেতে পারবেন। সিন্দুরমতিতে থাকার কোন হোটেল পাবেন না। রাত্রি যাপন করতে হলে আপনাকে কুড়িগ্রাম শহরে আসতে হবে।


#পথের_গল্প
#অচিনগাছ
#সিঁন্দুরমতি

Coming Tomorrow !!
21/02/2024

Coming Tomorrow !!

15/02/2024

যন্তর মন্থর II Jontor Monthor II পথের গল্প II POTHER GOLPO

সকলকে স্বাগতম "পথের গল্প" র নতুন আরেকটি এপিসোড এ। .
আজকে আমরা রংপুর এর পথে প্রান্তরে ঘুরে জানবো এ এলাকার মানুষ, প্রকৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে। আশাকরি সকলের ভালো লাগবে।
ভালোলাগলে আমাদের পেজ এ লাইক ,কমেন্ট ,শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করুন।
আমাদের সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সকলকে। 💖


আরো ভালো picture কোয়ালিটির জন্যে
আমাদের Youtube চ্যানেল লিঙ্ক comment
এ দেখুন এবং সাবস্ক্রাইব করুন,

Follow

#যন্তরমন্থর

08/02/2024

কক্সবাজার ঝিনুক মার্কেট I পথের গল্প I Pother Golpo

06/02/2024

কক্সবাজারে বালু ঝড় II পথের গল্প II Pother Golpo II Travel

#কক্সবাজারে_বালু_ঝড়

03/09/2022

কখন আবার শুরু করব

অনেক অপেক্ষার পর আজ বিকেল ঠিক ৪:০০ টায় আমাদের YouTube পেইজে রিলিজ হয়েছে ,এপিসোড ৮ | আলোর পথযাত্রী | আশাকরি আপনাদের সকলের...
08/01/2022

অনেক অপেক্ষার পর আজ বিকেল ঠিক ৪:০০ টায়
আমাদের YouTube পেইজে রিলিজ হয়েছে ,

এপিসোড ৮ | আলোর পথযাত্রী |

আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে সাথে থাকুন। বেশী বেশী লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ।

সম্পূর্ণ পর্বটি দেখতে নিচ্ছে ক্লিক করুন,

👇

https://www.youtube.com/watch?v=xmy8T9itX7E

পথের গল্প | Pother Golpo | আলোর পথযাত্রী | Alor Pothojatri | Episode8 #বেগম_রোকেয়া_সাখাওয়াত_হোসেনবেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (৯ ডিসেম্বর ১...

অনেক অপেক্ষার পর আজ বিকেল ঠিক ৪:০০ টায় আমাদের youtube পেইজে রিলিজ হতে যাছে ,এপিসোড ৮। আলোর পথযাত্রী। আশাকরি আপনাদের সকলে...
07/01/2022

অনেক অপেক্ষার পর আজ বিকেল ঠিক ৪:০০ টায়
আমাদের youtube পেইজে রিলিজ হতে যাছে ,এপিসোড ৮। আলোর পথযাত্রী।

আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে সাথে থাকুন। বেশী বেশী লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ।

পথের গল্প | Pother Golpo | আলোর পথযাত্রী | Alor Pothojatri | Episode8 #বেগম_রোকেয়া_সাখাওয়াত_হোসেনবেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (৯ ডিসেম্বর ১...

24/07/2021

পথের গল্প | Pother Golpo | লাল ইটের হাহাকার | Lal Iter Hahakar | Eppisode 7 #কাকিনা_জমিদারবাড়িপ্রায় চারশত বছর আগে ১৬৮৭ সালে এই কাকিনা জমিদার .....

24/07/2021

পথের গল্প | Pother Golpo | লাল ইটের হাহাকার | Lal Iter Hahakar | Eppisode 7

সকলকে স্বাগতম "পথের গল্প" র এপিসোড- ৭ এ। .
আজকে আমরা জানবো লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে।
আশাকরি সকলের ভালো লাগবে।
ভালোলাগলে আমাদের পেজ এ লাইক ,কমেন্ট ,শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করুন।
আমাদের সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সকলকে। 💖
আরো ভালো picture কোয়ালিটির জন্যে
আমাদের Youtube চ্যানেল লিঙ্কটি সাবস্ক্রাইব করুন,
👇
Youtube Link: https://www.youtube.com/channel/UCNhBUBpy-27Z5_P_7l3dKCA

আজ যা যা দেখবো,

#কাকিনা_জমিদারবাড়ি

প্রায় চারশত বছর আগে ১৬৮৭ সালে এই কাকিনা জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কাকিনার এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে এটি ছিল একটি চাকলা। যা ছিল কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা মোদ নারায়ণের অধীনে। তখন এই কাকিনা চাকলার চাকলাদার ছিলেন ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী। ১৬৮৭ সালে ঘোড়াঘাটের ফৌজদার এবাদত খাঁ কোচবিহারের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তার পরীপ্রেক্ষীতে রঘু রামের দুই পুত্র রাঘবেন্দ্র নারায়ণ ও রাম নারায়ণ ফৌজদারের পক্ষে চলে যায়। রাঘবেন্দ্র নারায়ণ ও রাম নারায়ণ পিতা রঘু রাম ছিলেন চাকলাদার ইন্দ্র নারায়ণ চত্রুবর্তীর কাকিনা চাকলার সাধারণ কর্মচারী। মোগলদের এই অভিজানে কোচবিহাররা পরাজিত হয় এবং মোগলদের জয় হয়। তখন তারা চাকলাদার ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীকে চাকলাদার থেকে বহিষ্কার করেন। তারপরে রঘু রামের দুই পুত্র রাঘবেন্দ্র নারায়ণকে পরগনা বাষট্রি ও রাম নারায়ণকে পরগনা কাকিনার চৌধুরী নিযুক্ত করা হয়। আর এরই মধ্য দিয়ে ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী কাকিনার চাকলাদারী শেষ হয়ে রাম নারায়ণের মাধ্যমে কাকিনা জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এই কাকিনা জমিদার বাড়ির জমিদার বংশধররা দীর্ঘদিন জমিদারি করার পর এই জমিদার বাড়ির জমিদারির পতন হয় জমিদার মহেন্দ্র রঞ্জনের জমিদারির সময়। তার বিশাল ব্যয় ও বিলাসিতার কারণেই মূলত ধ্বংসের কারণ। মহাজন ও সরকারি রাজস্ব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯২৫ সালে তার জমিদারি নিলাম হয়ে যায়। তখন এটি ভারকোর্ট অব ওয়ার্ডসের অধীনস্থ হয়। আর জমিদার মহেন্দ্র রঞ্জন জমিদারি হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় পড়ে যান। তখন তিনি তার পরিবার নিয়ে ১৯৩৯ সালে কার্সিয়াং বা দার্জিলিংয়ে চলে যান এবং ঐ বছরেই সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঐ বছরেই সেখানে তার মৃত্যু হয়। জমিদার মহেন্দ্র রঞ্জন জমিদার এর অবশিষ্ট বংশধর পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সর্বশেষ হামিদা খাতুন গংগাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়ন, কামদেব শেখপাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়ীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হামিদা খাতুন এর বড় ছেলে মর্ণেয়া ইউনিয়ন এর বর্তমান চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক আলী আজাদ।

#তুষভান্ডার_জমিদারবাড়ি

প্রায় চারশত বৎসর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুরারিদেব ঘোষাল ভট্টাচার্য। তিনি ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ। মহারাজা প্রাণ নারায়ণের শাসনামলে তিনি চব্বিশ পরগনা জেলা হতে কোচবিহারে আসেন "রসিক রায় বিগ্রহ" নিয়ে (এটি একটি ধর্মীয় বিষয়)। তখনকার সময় ধর্মীয় কাজের জন্য ভূমি দান করার প্রথা ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজা তাকে "বিগ্রহ পূজা" করার জন্য ৯টি মৌজা দান করেন। কিন্তু তিনি তা ভোগ করতে অাপত্তি জানান কেননা তিনি ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ। পরে আবশ্যক রাজাকে সেই সম্পত্তি ভোগের উপর খাজনা নেওয়ার জন্য বলেন। রাজা রাজী হলেন, তবে খাজনা হিসেবে ধানের তুষ নেওয়ার জন্য। যার ফলে খাজনা স্বরূপ কোচবিহার রাজ্যকে ধানের তুষ দেওয়া লাগতো। এই তুষ সংগ্রহ করা হত পুরো জমিদারি এলাকা হতে এবং তা জমানো হতো জমিদার বাড়ির পূর্ব পাশে। এই কারণেই এই জমিদার বাড়ির নাম হয় তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়িটি যে থানায় অবস্থিত অর্থাৎ কালীগঞ্জ থানায়। এই কালীগঞ্জ থানাটির নামকরণ করা হয়েছে এই জমিদার বংশের এক জমিদারের নামে। তিনি ছিলেন জমিদার কালী প্রসাদ রায় চৌধুরী। কালী প্রসাদ রায় চৌধুরী ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ ও সমাজসংস্কারক। ১৬৩৪ সালে এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রায় চারশত বছর পর এই তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ির সমাপ্তি ঘটে জমিদার গীরিন্দ্র মোহন রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর ১৯৩৫ সালে।

#নিদারিয়া_মসজিদ

মসজিদটি লালমনিরহাট জেলার অন্যতম পুরাকীর্তি। নির্মাণ শৈলীর দিক থেকেও এটি অনেক উচুমানের। ভারী ভারী দেয়াল, উচুঁ গম্বুজ, কক্ষের ভেতরের সুন্দর পরিবেশ মসজিদটিকে আলাদা করে রেখেছে। সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কিশামত নগরবন্দ মৌজায় অবস্থিত।
নিদারিয়া মসজিদটি একটি প্রাচীন এক কক্ষের মসজিদ। এর অভ্যন্তরে একটি মাত্র কক্ষ আছে। উপরিভাগে তিনটি গম্বুজ রয়েছে। চার কোণায় চারটি পিলার আছে। স্মমুখে একটি প্রবেশদ্বার আছে।মসজিদের সামনেই এক বিরাট ঈদ্গাহ মাঠ আছে।মসজিদের বাম পাশে একটি কবর আছে।কবরটি সর্ম্পকে সঠিক ধারণা পাওয়া না গেলেও অনেকেই মনে করেন কবরটি মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা পীর এ কামেল সুবেদার মনসুর খা এর।এই মসজিদের ১০ একর ৫৬ শতক জমি আছে।
১১৭৬ হিজরী সনে সুবেদার মনসুর খা কর্তৃক মসজিদটি নির্মান করা হয়।মসজিদটির নাম নিয়ে একটা মজার কাহিনী প্রচলিত আছে।কথিত আছে মসজিদটির নির্মাতা সুবেদার মনসুর খার মুখে দাড়ি ছিল না।তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে,তার মুখে দাড়ি হলে তিনি একটি মসজিদ তৈরী করে দিবেন পরে দাড়ি হলেও তিনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি মসজিদ নির্মান করে দেন।

30/04/2021

স্বাগতম "পথের গল্প" র এপিসোড- ৫ এ।

আজ আমরা ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের ইতিহাস সম্পর্কে জানবো।

#কান্তজিউ_মন্দির

দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে, দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরবর্তী গ্রাম কান্তনগরে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির।

মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদীর শিলালিপি থেকে জানা যায়, তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তার শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর পরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। শুরুতে মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট।

কান্তজিউমন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে। উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সবগুলো খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার। নিচতলার সব প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান রয়েছে। দুটো ইটের স্তম্ভ দিয়ে খিলানগুলো আলাদা করা হয়েছে, স্তম্ভ দুটো খুবই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ অলংকরণযুক্ত। মন্দিরের পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। মন্দিরের নিচতলায় ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি দরজা-খিলান রয়েছে, তবে তৃতীয় তলায় রয়েছে মাত্র ৩টি করে।

#নয়াবাদ_মসজিদ

নয়াবাদ মসজিদ বাংলাদেশের দিনাজপুর শহর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটির পাশ দিয়ে চলে গেছে ঢেপা নদী। ১.১৫ বিঘা জমির উপর এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
মসজিদের প্রবেশের প্রধান দরজার উপর স্থাপিত ফলক হতে জানা যায় এটি সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্ব কালে ২ জৈষ্ঠ্য, ১২০০ বঙ্গাব্দে(ইংরেজি ১৭৯৩ সালে) নির্মাণ করা হয়। সেসময় জমিদার ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ। যিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজ পরিবারের সর্বশেষ বংশধর। এলাকার অধিবাসীদের থেকে জানা যায় যে, ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে কান্তনগর মন্দির তৈরির কাজে আগত মুসলমান স্থপতি ও কর্মীরা এই মসজিদটি তৈরি করেন। তারা পশ্চিমের কোন দেশ থেকে এসে নয়াবাদে বসবাস শুরু করে এবং তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই মসজিদটি তৈরি করে।
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনে ১২.৪৫মিটার x ৫.৫মিটার আকারের চারটি অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। দেয়ালগুলির পুরুত্ব ১.১০ মিটার। উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে একটি করে জানালা রয়েছে। পশ্চিম পাশের দেয়ালে মোট তিনটি মিম্বার রয়েছে যেগুলি মসজিদের তিনটি প্রবেশ দরজা বরাবর তৈরি করা হয়েছে। মাঝের মিম্বারটি আকারে বড়(উচ্চতা ২৩০ মিটার এবং প্রস্থ্য ১.০৮ মিটার) এবং অপর দুটি মিম্বার একই আকারের।[৩]
মসজিদটা তৈরির সময় যে সকল টেরাকেটা বা পোড়ামাটির কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছিল তার অধিকাশংই এখন নেই এবং যেগুলি রয়েছে সেগুলিও সম্পূর্ণ অক্ষত নেই। এখানে বর্তমান মোট ১০৪টি টেরাকোটা অবশিষ্ট রয়েছে। এগুলি আয়তক্ষেত্রাকার এবং আকার ০.৪০মিটার x০.৩০ মিটার।
মসজিদটির পাশে একটি কবর রয়েছে। কবর বা মসজিদে কোন অংশেই এটি সম্পর্কিত কোন তথ্য দেয়া নেই। তবে কথিত আছে যে এটি মসজিদের নির্মাণ শ্রমিকের কবর।

Google Map Link:
Kantajew Temple
5200
https://www.google.com/maps/place/Kantajew+Temple/@25.7904073,88.664553,17z/data=!3m1!4b1!4m5!3m4!1s0x39e4ae5124e7dcf9:0x863b12214bd6170b!8m2!3d25.7904142!4d88.6665689



#কান্তজিউমন্দির
#নয়াবাদমসজিদ



আরো ভালো picture কোয়ালিটির জন্যে
আমাদের Youtube চ্যানেল লিঙ্কটি সাবস্ক্রাইব করুন,

👇
Youtube Link: https://www.youtube.com/channel/UCNhBUBpy-27Z5_P_7l3dKCA

21/04/2021

সকলকে স্বাগতম "পথের গল্প" র এপিসোড- ৪ এ। .
আজকে আমরা দেখবো সিঁন্দুরমতি দিঘি ও অচিন গাছ। জানবো সেসব এলাকার মানুষ, প্রকৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে।

আশাকরি সকলের ভালো লাগবে।

অচিন গাছ মানুষের কাছে আজও অচেনাই রয়ে গেছে। কত বছর আগে গাছটি জন্মেছিল, গাছের নাম কি, তা কেউ ই জানেন না। অনেক উদ্ভিদ বিজ্ঞানী নমুনা হিসেবে এর ডাল, পাতা ইত্যাদি নিয়ে গেলেও এ গাছের আদি অন্ত বের করতে পারেননি। আর তাই এই গাছের নাম অচিন গাছ।

ভালোলাগলে আমাদের পেজ এ লাইক ,কমেন্ট ,শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করুন।
আমাদের সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সকলকে। 💖

আরো ভালো picture কোয়ালিটির জন্যে
আমাদের Youtube চ্যানেল লিঙ্কটি সাবস্ক্রাইব করুন,
👇
Youtube Link: https://www.youtube.com/channel/UCNhBUBpy-27Z5_P_7l3dKCA

16/04/2021

যন্তর মন্থর | পথের গল্প | এপিসোড ৩ | Jontor Monthor | Pother Golpo | Episode 3

সকলকে স্বাগতম "পথের গল্প" র এপিসোড- ৩ এ। .
আজকে আমরা শ্যামপুর চিনির কল , স্টেশন ও মোমিনপুর কুমারটুলির পথে পথে ঘুরে জানবো সেসব এলাকার মানুষ, প্রকৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে। আশাকরি সকলের ভালো লাগবে।

ভালোলাগলে আমাদের পেজ এ লাইক ,কমেন্ট ,শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করুন।
আমাদের সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সকলকে। 💖





আরো ভালো picture কোয়ালিটির জন্যে
আমাদের Youtube চ্যানেল লিঙ্ক সাবস্ক্রাইব করুন,
👇
Youtube Link: https://www.youtube.com/channel/UCNhBUBpy-27Z5_P_7l3dKCA

07/04/2021

স্বাগতম সকলকে "পথের গল্প" এর দ্বিতীয় পর্বে।
আমাদের Youtube ও Facebook পেইজ এ লাইক,কমেন্ট,শেয়ার,সাবসক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন।
সকলকে অনেক ধন্যবাদ ❤️❤️

Teesta River is a 315 km long river that rises in the eastern Himalayas, flows through the Indian states of Sikkim and West Bengal through Bangladesh and enters the Bay of Bengal. It drains an area of 12,540 km².

Find Us:
Youtube Link: https://www.youtube.com/channel/UCNhB...

31/03/2021

আমরা আসছি, পথে পথে
পথের গল্প নিয়ে। আশা রাখছি আমাদের সাথে থাকার। দেখা হচ্ছে খুব তারাতাড়ি।

31/03/2021

Address

Rangpur
5400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pother Golpo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Pother Golpo:

Videos

Share

Category

Nearby media companies