Mahin al islam

Mahin al islam ভিডিও দেখতে চাইলে ফলো করো ফাস্ট ❤️
(1)

25/12/2023

ভালোবাসি হয়নি বলা লেখক এর পেজ, প্লিজ শেয়ার দেন সবাই

19/12/2023

শেষে মজা আছে

18/12/2023

চলো সবাই একটু support দেই

20/11/2023

😃😃😃😃

02/07/2023

#ভালোবাসি_হয়নি_বলা

27/06/2023

আমার একটা গার্লফ্রেন্ড লাগবে

কেউ যদি আমার মনের দায়িত্ব নিতে চান নিজ ইচ্ছায়
আমি রাজি দিতে কিন্তু শুধু আমাকে সময় দিতে হবে😃

25/06/2023

#ভালোবাসি_হয়নি_বলা

গল্পটি নিয়ে ২ লাইন করে বলেন যান
আমি দেখতে চাই ৩ বছর আগের কোনো পাঠক আছে কি না🤟

06/08/2022

মজাই মজা ৭ টার রুটি ১৩ টাকা | সবাই শেয়ার করো❤️

07/07/2022

Hey folks! Watch me play Garena Free Fire!

Thank you for watching my Garena Free Fire stream. And for all the support you are showing! 🔥,
If you liked my stream, please like and subscribe. It motivates me a lot. :)
And share my channel with your game friends. 🙂 See you on my next stream!!!,

Become a star streamer - https://get.turnip.gg/become-star-streamer

🎮 Streaming via Turnip



Today I am streaming garenafreefire. Other popular games:
PUBG Mobile
Garena Free Fire
Among Us
Call of Duty Mobile
Fall Guys
Call of Duty: Warzone
Grand Theft Auto V
Fortnite
Roblox
Minecraft

01/06/2022

Argentina vs Italy last goal moment 🥰🥰 goal by dibal🤟🤟👑

Send a message to learn more

01/06/2022

Argentina vs Italy live match,,, share places 🤟

14/05/2022

Hey folks! Watch me play Garena Free Fire!
Join my Club on Turnip Mahin's's Club: https://club.turnip.gg/81TSmqh4VtD6mHmS9

Thank you for watching my Garena Free Fire stream. And for all the support you are showing! 🔥,
If you liked my stream, please like and subscribe. It motivates me a lot. :)
And share my channel with your game friends. 🙂 See you on my next stream!!!,

Become a star streamer - https://get.turnip.gg/become-star-streamer

🎮 Streaming via Turnip



Today I am streaming garenafreefire. Other popular games:
PUBG Mobile
Garena Free Fire
Among Us
Call of Duty Mobile
Fall Guys
Call of Duty: Warzone
Grand Theft Auto V
Fortnite
Roblox
Minecraft

03/04/2022

romadan mobarak

01/04/2022

তোর শহরে মুড়ি খাইতে যামু😁

27/03/2022

#ভালোবাসা_হয়নি_বলা নিয়ে কিছু কথা সবাই চলে আসো

26/03/2022

Party

20/03/2022

এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বউ | পর্বঃ ০২ | Love story

19/03/2022

এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বউ | পর্বঃ ০১ | Love story ❤️

09/02/2022


 #পূর্ণিমাতিথি #লেখিকা-তাসনিম জাহান রিয়া #পর্ব-২মারে আমাকে ক্ষমা করে দিস। আমি তোর জন্য সঠিক পাত্র নির্বাচন করতে পারিনি।...
13/01/2022

#পূর্ণিমাতিথি
#লেখিকা-তাসনিম জাহান রিয়া
#পর্ব-২

মারে আমাকে ক্ষমা করে দিস। আমি তোর জন্য সঠিক পাত্র নির্বাচন করতে পারিনি। আমার কারণে আজকে তোকে অপমানিত হতে হলো। আমি চেয়েও কিছু করতে পারিনি। অনেক কিছুই তোর অজানা। সেই অজানা কারণে আজকে আমাকে চুপ করে থাকতে হলো।

আমি আব্বুকে মাঝে থামিয়ে দিয়ে বললাম, কী সেই কারণ? যার কারণে নিজের মেয়ের অপমানেও তোমাকে চুপ থাকতে হয়েছে। বল আব্বু আমি জানতে চাই।

সময় হলে আমিই তোমাকে বলবো। সবটা তোমাকে আর তোমার ভাইয়াকে বলার মতো সময় হইনি। তোমরা এখন ছোট এসব বলে তোমাকে মনটাকে আমি বিষিয়ে দিতে চাই না। মামুনি তোমার আব্বুকে একটা সুযোগ দিবে না নিজের ভুল সুধরে নেওয়ার? আমি তোমার বিয়ে রুদ্রের সাথে ঠিক করেছি। তুমি আপত্তি করো না। শেষ বারের মতো তোমার আব্বুকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখো। রুদ্রই তোমার জন্য বেস্ট।

রুদ্র ভাইয়ার কথা শুনে আমি ছিটকে আব্বুর কাছ থেকে সরে যাই। আব্বু পাগল হয়ে গেছে নাকি। রুদ্র ভাইয়ার মতো একটা জড় বস্তুর সাথে আমার বিয়ে দিতে চাইছে। অনুভূতিহীন একটা মানুষ। জীবনে কোনোদিন হাসতে দেখিনি। মুখটা সব সময় বিজ্ঞদের মতো গম্ভীর করে রাখে।

আব্বু তুমি এসব কী বলছো? আমার সাথে রুদ্র ভাইয়ার বিয়ে এটা সম্ভব। উনার সাথে আমার যায় না। উনার আর আমার মাঝে আকাশ পাতাল তফাৎ। উনি যদি হন দক্ষিণ মেরু তাহলে আমি হবো উত্তর মেরু।

তোমার আব্বুর ওপর তোমার ভরসা নেই? মানুষ জীবনে একবারই ভুল করে বার বার না। আমি একবার ভুল করেছি বলে বার বার করবো না। আমি জানি তুমি রুদ্রের সাথেই ভালো থাকবে। রুদ্র তোমাকে আগলে রাখবে এটা আমার বিশ্বাস। রুদ্রের মতো ছেলে হয় না। আমি তোমাকে জোড় করবো না। সবটাই তোমার ইচ্ছা উপর ডিপেন্ড করছে।

আব্বুর দিকে এক পলক তাকাই। আব্বু মনে প্রাণে চাইছে আমি যাতে হ্যাঁ বলি। আব্বু একটা কথা ঠিকই বলেছে রুদ্র ভাইয়ার মতো ছেলে হয় না। উনি অনেক দায়িত্ববান একজন মানুষ। কোনো কিছুর দায়িত্ব নিলে সেটা হেলাপেলা করেন না। তবু আমি আব্বুর কাছ থেকে সময় চেয়ে নিলাম ভাবার জন্য।

________________

আজকের দিনটা অনেক সুন্দর। আকাশটাও অনেক সুন্দর। চৈত্র মাসের ঝকঝকে নীল আকাশ। আকাশে তুলোর ন্যায় রাশি রাশি মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। আজকে আমার মন খারাপ। ভীষণ মন খারাপ। ভাইয়ার ফোন বন্ধ এখনো বাসায় ফিরেনি। এদিকে বিয়েতে হ্যাঁ বলে দিয়েছি তার জন্যও টেনশন হচ্ছে। উনার মতে তো আমার এখন ফিডার খাওয়ার বয়স।
সেখানে আমি উনাকে বিয়ে করার জন্য হয়ে গেলাম।

অন্য কাজিনদের সাথে আমার যেরকম সম্পর্ক উনার সাথে ঠিক তেমন না। উনি হই হুল্লোড় একদম পছন্দ করেন নাহ। সেদিকে আমার কাজিন জাতি হই হুল্লোড় প্রিয়। উনি আমাদের বাড়িতে তেমন আসেন নাহ। তাই উনার সাথে আমার তেমন সখ্যতা গড়ে ওঠেনি। অন্য কাজিনদের সাথে আমার সম্পর্ক তুই, তুমিতে থাকলেও উনার সাথে আমার সম্পর্কটা তুমি, আপনিতেই আটকে আছে।

আমার এসব ভাবনার মাঝেই আমার ফোনটা বেজে ওঠে। ফোনের স্কিনের নামটা দেখে আমি রেলিং থেকে পড়তে পড়তে বেঁচে যাই। ফোনের স্কিনে রুদ্র ভাইয়ার নামটা ঝল ঝল করছে। বিষ্ময়ে আমার মুখটা হা হয়ে যায়। রুদ্র নামের কোনো প্রাণীর নাম্বার যে আমার কল লিস্টে আছে সেটাই হয়তো আমার মনে ছিল না। বিষ্ময় কেটে গিয়ে এক রাশ ভয় আমাকে ঘিরে ধরেছে। আমি বিয়েতে হ্যাঁ বলেছি বলে কী উনি আমাকে বকা ঝকা বা থ্রেট করার জন্য ফোন দিয়েছেন? আমি ভাবা ভাবি বাধ দিয়ে কলটা রিসিভ করলাম। রিসিভ করতেই গম্ভীর পুরুষালি কন্ঠ স্বর কর্ণকুহর হলো।

হ্যালো।

আমি কিছু বলার আগেই মনে হলো উনি কলটা কেটে দিলেন। ফোনটা কান থেকে নামিয়ে দেখি আমার ফোনটাই বন্ধ হয়ে গেছে। দুই দিন ধরে তো ফোন চার্জই দেওয়া হয় না।

ফোনটা চার্জে দিয়ে মাথায় ভালো করে উড়না টেনে রুম থেকে বের হয়ে এলাম। ডাইনিং রুমে আসতেই প্রীলিয়া আপুর সাথে সাথে চোখা চোখি হয়ে গেলো। আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। একটা মানুষ কতোটা নির্লজ্জ হলে এখনো আমাদের বাসায় থাকতে পারে। আম্মু গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি প্রীলিয়া আপুকে যাস্ট পাত্তা না দিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লাম।

আম্মু আমার খাবার দাও খুব ক্ষুধা লাগছে।

কথাটা বলেই আমার ছোট মামার ছেলে জায়িনের সাথে ফাজলামো শুরু করলাম।
প্রীলিয়া আপুকে দেখে মনে হচ্ছে অামাকে এমন স্বাভাবিক আচারণ করতে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছে। গতকালের ঘটনার পর আমার যেখানে কেঁদে কেটে ভাসানোর কথা সেখানে আমি এতো হাসিখুসি। সে হয়তো ভেবেছিল আমি বিহানকে ভালোবাসি। কিন্তু বিহানের প্রতি আমার যেটা সেটা শুধুই ভালো লাগা। গতকাল তো লজ্জায়, অপমানে কান্না চলে এসেছিল।

রিয়া তুই এতক্ষণ কোথায ছিলি? গতকালের পর তো তোকে আর দেখলামই না।

আমি এতক্ষণ কোথায় ছিলাম সেটা তোমাকে কেনো বলতে যাব? আমি কী তোমার কর্মচারী যে মিনিটে মিনিটে তোমার সাথে দেখা করতে হবে। যত্তসব।

আমার কথা শুনে আপু চুপসে যায়। তবু নিজের মুখে হাসি হাসি ভাব নিয়ে এসে বলে,

রিয়া আজকে আমি আর বিহান শপিং করতে যাবো। তুই আমাদের সাথে যাবি?

আমি মাইনষের জামাইয়ের লগে শপিংয়ে যাই না। আমি আমার নিজের জামাইয়ের সাথে যাব। আর আমার হবু বরের যথেষ্ট টাকা আছে আমাকে শপিং করিয়ে দেওয়ার জন্য। কোনো বিহাইন্না টিহাইন্নার টাকা দিয়ে আমার শপিং করতে হবে না।

প্রীলিয়া আপু কড়া গলায় বলে, বিহান আমার উডবি হাজবেন্ড। ও তোর দুলাভাই হয় সম্মান দিয়ে কথা বল।

এতোকিছু করার পরেও তোমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছি বলেই এখনো এখানে বসে গিলতে পারছো। যদি সম্মান না করতাম তাহলে এতক্ষণে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতাম। আর তোমার ঐ সো কল্ড উডবিকে রেসপেক্ট হা হা হা। যাই হোক তোমাদের যাতে আর আমাদের বাসায় না দেখি। মানে তোমাকে আর তোমার মা-বাবাকে। খেয়ে দেয়ে বিদায় হও আমাদের বাসা থেকে। আর ভেবো না তোমার উডবিকে নিয়ে আমি জেলাস ফিল করছে। আমি যাকে নিজের লাইফ পার্টনার হিসেবে পেতে চলেছি তোমারটা তার নোকের সমানও না।

আর কোনো বাক্য ব্যয় না করে আমি নিজের রুমে চলে আসলাম। রুমে আসার আগে আম্মুর মুখের দিকে তাকাতে ভুলিনি। আম্মুর ঠোঁটের কোণে ছিল প্রাপ্তির হাসি।

______________

রুদ্র ভাইয়া আমার দিকে এক এক পা করে এগুচ্ছে আর আমি এক এক পা করে পিছনের দিকে যাচ্ছি। একসময় আমার পিঠ ঠেকে যায় রেলিংয়ের সাথে। কিন্তু রুদ্র ভাইয়ার মাঝে কোনো ভাবান্তর নেই। উনি আমার দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছেন। এক সময় উনি আমার খুব কাছে চলে আসলেন। উনার নিশ্বাসের শব্দও আমি শুনতে পাচ্ছি। রুদ্র ভাইয়া অন্য রকম একটা হাসি দিয়ে বলে,

তোর খুব সখ না আমাকে বিয়ে করার। তোর বিয়ে করার মতো সখ আমি জন্মের মতো গুছিয়ে দিব। না থাকবি তুই আর না থাকবে তোর সখ। আমি তোকে এখন এই ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিবো। জানিস তো তুই কত তলার ওপর দাঁড়িয়ে আছিস? না জানলে সমস্যা নেই আমি বলে দিচ্ছি। তুই ৮ তলার ওপর দাঁড়িয়ে আছিস। তোর যা শরীর এখান থেকে পড়লে তোর হাড্ডিও খোঁজে পাওয়া যাবে না।

কথাগুলো বলে রুদ্র ভাইয়া এক মিনিট সময় ব্যয় না করেও আমাকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেন।

চলবে...........

 #জানি_দেখা_হবে ❤Israt Jahan Tanni ✍ ..- দুদিন পর তোর বিয়ে। আর আজ তুই অফিসে গেলি। আমি এই বয়সে সব একা সামলাই কি করে বলতো?...
13/01/2022

#জানি_দেখা_হবে ❤
Israt Jahan Tanni ✍
..
- দুদিন পর তোর বিয়ে। আর আজ তুই অফিসে গেলি। আমি এই বয়সে সব একা সামলাই কি করে বলতো?
- ওহ sorry বাবা, আমি এখনই আসছি। তুমি কোনো চিন্তা করোনা।
- হুম তারাতা‌ড়ি আসিস।
- আচ্ছা বাবা।
ফোনটা রাখতেই তুরিনের কথা মনে হলো ধ্রুবর। তুরিনকে কল দিলো ও। তুরিন একটা ছেলের কাধে মাথা রেখে পার্কে বসে ছিলো। নানান ধরনের কথায় ব্যস্ত ছিলো ওরা। এমন সময় ধ্রুবর কল আশা করেনি ও। বেশ বিরক্তি নিয়ে ফোনের স্কীনের দিকে তাকিয়ে থাকলো ও। ছেলেটি বললো..
- কি হলো, ফোনটা ধরো..
- ভাললাগে না কিছু। এমন একটা মুহুর্তে প্যারা দিতে খুব ভালো লাগে ওর।
ছেলেটি এক হাত দিয়ে তুরিনকে জড়িয়ে ধরলো। বললো.
- টাকার মেশিনকে এভাবে দুরে ঠেলে দিতে নেই। সেধে সেধে ধরা দিতে চাইছে, তাহলে তোমার প্রব্লেম টা কোথায়?
- টাকা না ছাই, ওই ছেলে তো আমাকে বিয়ে করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। জানো, ওর মা বাবা এসে আমার সাথে ওর বিয়ে ঠিক করে গেছে।
- Really? wow .. এমন একটা সুযোগ ইতো চাইছিলাম।
তুরিন ব্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে বললো..
- তোমার মাথা ঠিক আছে তুষার? তোমার কথামত ওর সাথে রিলেশন করেছি যেনো ওর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারি.. কিন্তু বিয়ে করলে তো তোমার থেকে আলাদা হয়ে যাবো।
- Don't worry জানু, আমিতো আছি। তুমি ফোনটা ধরো।
তুরিন বেশ বিরক্ত নিয়ে কল রিসিভ করলো..
- হ্যাঁ বলো..
- কোথায় আছো? কখন থেকে কল করছি ধরছোনা কেন?
- আমি কি সবসময় ফোনের কাছে বসে থাকি নাকি ?
- এভাবে কথা বলছো কেন? যাইহোক, আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে আজ?
- তোমার মাথা ঠিক আছে? আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। দুদিন পর আমাদের বিয়ে। এখন বাসা থেকে কি বের হতে পারবো?
- ওহ তাইতো। আচ্ছা আমি তাহলে এখন রাখছি।
- হুম bye
ধ্রুবর বাসায় খুব আয়োজন চলছে। যদিও তেমন কোনো জমকালো আয়োজন হচ্ছেনা। শুধু নিজেদের সব আত্মীয়দের নিয়েই বিয়ের আয়োজন টা সাজানো হচ্ছে। যেটাকে ঘরোয়া আয়োজন বলে আরকি।
ধ্রুব আর ধ্রুবর বাবা সবটা সামাল দিচ্ছে। সাথে ধ্রুবর বন্ধুবান্ধব রা সবাই আছে। রবি, রাব্বি, রাফসান, পিয়াস সবাই নিজেদের মতো কাজ করে যাচ্ছে। যদিও ওরা বেশি একটা খুশি না এই বিয়ে নিয়ে। তবুও কেউ কিছু বলছেনা এ নিয়ে। কারণ সবাই জানে, ধ্রুবকে হাজার বলেও আর কোনো লাভ নেই।
ধ্রুব ডেকোরেশন টা ঠিকঠাক মতো হচ্ছে কিনা চেক করছিলো। কাজের একফাকে রবি ধ্রুবর হাত ধরে টেনে একপাশে নিয়ে গেলো। আচমকা টান দেওয়ায় কিছুটা অবাক হলো ধ্রুব। বলল..
- কিরে? কি হয়েছে? এভাবে টানছিস কেন?
- দেখ ধ্রুব, এই বিয়েটা তুই করিসনা।
- কেনো? কপাল বাকা করে বললো ধ্রুব..
- ওই মেয়ে ভালোনা রে, বাজে একটা মেয়ে। সাথে লোভীও।
ধ্রুব রবিকে সামান্য ধাক্কা দিয়ে দুরে সরিয়ে বললো..
- দেখ, ওকে নিয়ে যদি তোর কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেটা একান্তই তোর ব্যাপার। আমি যদি ওকে নিয়ে সুখে থাকি তাহলে তোদের সমস্যাটা কোথায়? আর তাছাড়া এইসব আজেবাজে কথা কোত্থেকে পেলি তুই?
- ভুলে যাস না তুরিস তোর ভাবির খালাতো বোন। আর খালাতো বোনের ব্যাপারে ও জানবে না তো কে জানবে?
- তোর বউ কি তুরিনের সাথেই থাকতো?
- সাথে থাকবে কেন? ও তো নিজের বাড়িতেই থাকতো।
- তাহলেই তুই বুঝ, নিজের বাড়ি থেকে আরেকটা শহরের মেয়ের সম্পর্কে কিভাবে কেউ সবটা জানতে পারে?.
ধ্রুবর কথায় হতাশ হলো রবি। তারপরও নিজেকে শান্ত করে বললো..
- দেখ ভাই, তোর জীবন, তুইই ভালো বুঝিস। তোকে আর কি বলবো। তবুও বলছি, যাই করিস, ভেবেচিন্তে করিস।
ও আরেকটা কথা, তোর বিয়েতে আমি থাকতে পারবো না রে,
- কেনো? ভ্রু কুঁচকে বললো ধ্রুব।
- তুই তো জানিসই, তোর ভাবী তুরিনের খালাতো বোন হয়। তাই খালাতো বোনের বিয়েতে ওকে দাওয়াত দিয়েছে। আর আমিতো এখন ওর বর। তাই আমাকেও দাওয়াত দিয়েছে। ভেবেছিলাম যাবোনা। তোর সাথেই থাকবো। কিন্তু আমিতো ওখানকার নতুন জামাই। আর ওর ও এখন একা যাওয়াটা শোভা পায়না। তবে চিন্তা করিস না। কনে নিয়ে ফেরার পথেই আমি তোর সাথে চলে আসবো। আর বিয়ের দিন তুই যাওয়ার পর থেকে আমি তোর সাথেই থাকবো সারাক্ষন।
- Ok ..
- All the best. Bye..
সারাদিন অনেক পরিশ্রমের পর ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় হেলিয়ে দিলো ধ্রুব।
দুচোখের পাতা শুধু এক হতে চাইছে। তবুও এক হতে দিচ্ছেনা ধ্রুব। জোর করে তাকিয়ে আছে ও। মনের মধ্যে রবির বলা কথাগুলো ঘোরপাক খাচ্ছে বারবার । ওরা সবাই কেন মানতে চাইছেনা এই সম্পর্কটা? আর রবি একি বলল? আসলে ও কোনো ভুল করছেনা তো? ভাবতে পারছেনা ধ্রুব। ফোন টা হাতে নিয়ে গ্যালারিতে গেলো। তুরিনের একটা পিক দেখতে লাগলো। কয়েকদিন আগেই অনেক বলার পির ইমুতে এই পিকটা দিয়েছিলো তুরিন। ছবিতে কতো কোমল দেখা যাচ্ছে ওকে। আসলে ও বাস্তবেও এতোটা কোমল। আর মনটাও অনেক কোমল। যে যাই বলুক, কারো কথাই আমি মানিনা।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে গেলো ধ্রুব।
পরেরদিন ছোটখাটো একটা আয়োজনের মধ্যে দিয়েই গায়ে হলুদ সম্পন্ন হলো ধ্রুবর।
শুক্রবার সকালে সাজিয়ে গুছিয়ে নিজেরা সবাই তৈরি হয়ে নিলো। বরযাত্রী বেরোবে আর কিছুক্ষন পর। ধ্রুবর মা খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। আর ধ্রুবর বাবা আয়নার সামনে দাড়িয়ে পায়জামা পাঞ্জাবি ঠিকঠাক আছে কিনা দেখছে। সবকিছু ঠিকঠাক হলে মাথায় সামান্য তেল দিয়ে চুলগুলো ঠিক করে আবারও পাঞ্জাবি ঠিক আছে কিনা দেখলো। তখনই কারো হাসির আওয়াজ পেয়ে পিছনে ফিরে তাকালো ধ্রুবর বাবা। ধ্রুবর মা হাসতে হাসতে সামনে এগিয়ে বললো..
- বাহ, তুমি কি ছেলেকে বিয়ে করাতে যাচ্ছো নাকি নিজে বিয়ে করতে যাচ্ছো?
- দেখি, আগে ছেলের বিয়ে করাই, তারপর নিজের কপালেও যদি একটা জোটে.. বলেই হাসিতে মেতে উঠল দুজনেই। তারপর ধ্রুবর বাবা বললো..
- তা হটাৎ এই কথা কেন বললে?
- যেভাবে সাজগোজ করছো, আমি কেন, সবাই বলবে।
- তাই নাকি?
- হ্যাঁ গো হ্যাঁ। তা বেরোবে কখন?
- এইতো এখনই।
- তাহলে ওখানে যাও। সবাই বসে আছে। দেখো কেউ বাদ পরেছে কিনা।
- আচ্ছা আসো নিচে।.
ধ্রুব বর সেজে বসে আছে নিজের ঘরে। বার বার তুরিনের নাম্বারে ডায়াল করছে ও। কিন্তু ফোনটা অফ পাচ্ছে। কপালে চিন্তার ভাজ পরেছে ওর। এমন সময় রাফসান ঢুকলো ঘরে।
- কিরে এখনো বসে আছিস। সবাই অপেক্ষা করছে, চল।
- হ্যাঁ আসছি। আনমনে বললো ধ্রুব।
- কিরে, কিছু হয়েছে? কিছু ভাবছিস তুই?
- না মানে, তুরিনের নাম্বার টা বন্ধ।
- ওহ এই কথা। কিছু ভাবিস না। বিয়ে বাড়ি, মানুষে ভর্তি। তাই হয়তো ফোনের দিকে খেয়াল নেই। কিংবা ফোনে চার্জ নেই।
- হতে পারে।
- হুম চল।
বেলা ২ টার দিকে বরযাত্রী গিয়ে পৌছেছে তুরিনদের গ্রামের বাড়ি। তুরিনদের সমস্ত আত্মীয় থাকে গ্রামের বাড়ি, তাই বিয়েটাও সেখানেই হচ্ছে। বিয়ে বাড়ি যতোটা হইচই থাকার কথা ততোটা হইচই নেই। কেমন যেনো থমথমে ভাব। যেটা সবাইকে ভাবাচ্ছে। স্টেজে নিয়ে বসানো হয়েছে ধ্রুবকে। ধ্রুবর বন্ধুরা ওর চারপাশে ঘিরে বসেছে। ধ্রুব অপেক্ষা করছে রবির। কিন্তু ওর কোনো খবর নেই। ধ্রুবর বাবাকে দেখা গেলো হাসিমুখে ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু বের হলো তুরিনের বাবার সাথে। তবে মুখে নেই কোনো আনন্দ, হাসি।
অনেক্ষন পর রবি এলো ধ্রুবর কাছে। রবির মুখটাও কেমন থমথমে। ধ্রুব কিছুটা অবাক হয়ে বললো..
- কিরে, কোথায় ছিলে এতোক্ষন?
- ভিতরেই ছিলাম। কাজ করছিলাম আরকি.
- বাহ, বাবু দেখছি খুব কাজের হয়েছে। পাশ থেকেই রাব্বি আর পিয়াশ বলে উঠলো।
- নিজের উপর পরলে তুইও কাজের হবি।
- রবি শোন.. (ধ্রুব)
- বল..
- কিছু হয়েছে কি? সব ঠিকঠাক আছেতো?
- ভয় হচ্ছে?
- না মানে, কেমন যেনো লাগছে সবকিছু।
- ভয়ের কিছুই নেই। সব কিছু ঠিকঠাক ই আছে।
রবির কথায় একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো ধ্রুব।.
বিয়ের কাজ শেষ হতে হতে সন্ধ্যে হয়ে গেছে। সন্ধ্যের দিকেই কনেকে নিয়ে রওনা করলো সবাই। কনের মুখে লম্বা করে ঘোমটা দেওয়া, তাই এখন পর্যন্ত নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে বধুবেশে দেখতে পারেনি ধ্রুব।.
রাত ১১:০০ টা,,
ধীরে ধীরে ঘরে ঢুকলো ধ্রুব। পুরো ঘরটা ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। খাটের মাঝখানে লম্বা করে ঘোমটা টেনে বসে আছে নববধূ। ধ্রুব রুমের দরজাটা ভালভাবে আটকে খাটের একপাশে গিয়ে বসলো। বললো.
- তুরিন, আজ আমাদের দুজনের স্বপ্নের রাত। আজ আমাদের দুজনের ভালোবাসা পূর্নতা পেয়েছে। জানো, আজ আমি খুব খুশি। খুব..
তুমি জানো , এই দিনটার জন্য আমি কতো অপেক্ষা করেছি?
- তুরিন, তুরিন কথা বলছো না কেন? তুরিন..
তুমি কি খুশি হওনি? ঘোমটা টা তুলো প্লিজ.. তুরিন।
বারবার ডাকার পরেও কোনো সাড়া পেলোনা ধ্রুব। তাই নিজেই এগিয়ে গেলো ওর কাছে। আস্তে আস্তে নিজের হাতে ঘোমটা টা টেনে তুললো ধ্রুব।
মুহুর্তেই থমকে গেলো ধ্রুব। আচমকাই যেনো ধ্রুবর মাথায় বাজ পরলো। একি দেখলো ও? এটা কি বাস্তব নাকি স্বপ্ন? ভাবতে পারছে না ধ্রুব। একটা ঘোরের মধ্যে চল গেলো ও.। গলা কাঁপছে। কন্ঠ দিয়ে কথা বের হচ্ছেনা।
আচমকাই একটা চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো..
- তুমি কে?
To be Continue..... #জানি_দেখা_হবে ❤
Israt Jahan Tanni ✍
..
- দুদিন পর তোর বিয়ে। আর আজ তুই অফিসে গেলি। আমি এই বয়সে সব একা সামলাই কি করে বলতো?
- ওহ sorry বাবা, আমি এখনই আসছি। তুমি কোনো চিন্তা করোনা।
- হুম তারাতা‌ড়ি আসিস।
- আচ্ছা বাবা।
ফোনটা রাখতেই তুরিনের কথা মনে হলো ধ্রুবর। তুরিনকে কল দিলো ও। তুরিন একটা ছেলের কাধে মাথা রেখে পার্কে বসে ছিলো। নানান ধরনের কথায় ব্যস্ত ছিলো ওরা। এমন সময় ধ্রুবর কল আশা করেনি ও। বেশ বিরক্তি নিয়ে ফোনের স্কীনের দিকে তাকিয়ে থাকলো ও। ছেলেটি বললো..
- কি হলো, ফোনটা ধরো..
- ভাললাগে না কিছু। এমন একটা মুহুর্তে প্যারা দিতে খুব ভালো লাগে ওর।
ছেলেটি এক হাত দিয়ে তুরিনকে জড়িয়ে ধরলো। বললো.
- টাকার মেশিনকে এভাবে দুরে ঠেলে দিতে নেই। সেধে সেধে ধরা দিতে চাইছে, তাহলে তোমার প্রব্লেম টা কোথায়?
- টাকা না ছাই, ওই ছেলে তো আমাকে বিয়ে করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। জানো, ওর মা বাবা এসে আমার সাথে ওর বিয়ে ঠিক করে গেছে।
- Really? wow .. এমন একটা সুযোগ ইতো চাইছিলাম।
তুরিন ব্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে বললো..
- তোমার মাথা ঠিক আছে তুষার? তোমার কথামত ওর সাথে রিলেশন করেছি যেনো ওর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারি.. কিন্তু বিয়ে করলে তো তোমার থেকে আলাদা হয়ে যাবো।
- Don't worry জানু, আমিতো আছি। তুমি ফোনটা ধরো।
তুরিন বেশ বিরক্ত নিয়ে কল রিসিভ করলো..
- হ্যাঁ বলো..
- কোথায় আছো? কখন থেকে কল করছি ধরছোনা কেন?
- আমি কি সবসময় ফোনের কাছে বসে থাকি নাকি ?
- এভাবে কথা বলছো কেন? যাইহোক, আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে আজ?
- তোমার মাথা ঠিক আছে? আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। দুদিন পর আমাদের বিয়ে। এখন বাসা থেকে কি বের হতে পারবো?
- ওহ তাইতো। আচ্ছা আমি তাহলে এখন রাখছি।
- হুম bye
ধ্রুবর বাসায় খুব আয়োজন চলছে। যদিও তেমন কোনো জমকালো আয়োজন হচ্ছেনা। শুধু নিজেদের সব আত্মীয়দের নিয়েই বিয়ের আয়োজন টা সাজানো হচ্ছে। যেটাকে ঘরোয়া আয়োজন বলে আরকি।
ধ্রুব আর ধ্রুবর বাবা সবটা সামাল দিচ্ছে। সাথে ধ্রুবর বন্ধুবান্ধব রা সবাই আছে। রবি, রাব্বি, রাফসান, পিয়াস সবাই নিজেদের মতো কাজ করে যাচ্ছে। যদিও ওরা বেশি একটা খুশি না এই বিয়ে নিয়ে। তবুও কেউ কিছু বলছেনা এ নিয়ে। কারণ সবাই জানে, ধ্রুবকে হাজার বলেও আর কোনো লাভ নেই।
ধ্রুব ডেকোরেশন টা ঠিকঠাক মতো হচ্ছে কিনা চেক করছিলো। কাজের একফাকে রবি ধ্রুবর হাত ধরে টেনে একপাশে নিয়ে গেলো। আচমকা টান দেওয়ায় কিছুটা অবাক হলো ধ্রুব। বলল..
- কিরে? কি হয়েছে? এভাবে টানছিস কেন?
- দেখ ধ্রুব, এই বিয়েটা তুই করিসনা।
- কেনো? কপাল বাকা করে বললো ধ্রুব..
- ওই মেয়ে ভালোনা রে, বাজে একটা মেয়ে। সাথে লোভীও।
ধ্রুব রবিকে সামান্য ধাক্কা দিয়ে দুরে সরিয়ে বললো..
- দেখ, ওকে নিয়ে যদি তোর কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেটা একান্তই তোর ব্যাপার। আমি যদি ওকে নিয়ে সুখে থাকি তাহলে তোদের সমস্যাটা কোথায়? আর তাছাড়া এইসব আজেবাজে কথা কোত্থেকে পেলি তুই?
- ভুলে যাস না তুরিস তোর ভাবির খালাতো বোন। আর খালাতো বোনের ব্যাপারে ও জানবে না তো কে জানবে?
- তোর বউ কি তুরিনের সাথেই থাকতো?
- সাথে থাকবে কেন? ও তো নিজের বাড়িতেই থাকতো।
- তাহলেই তুই বুঝ, নিজের বাড়ি থেকে আরেকটা শহরের মেয়ের সম্পর্কে কিভাবে কেউ সবটা জানতে পারে?.
ধ্রুবর কথায় হতাশ হলো রবি। তারপরও নিজেকে শান্ত করে বললো..
- দেখ ভাই, তোর জীবন, তুইই ভালো বুঝিস। তোকে আর কি বলবো। তবুও বলছি, যাই করিস, ভেবেচিন্তে করিস।
ও আরেকটা কথা, তোর বিয়েতে আমি থাকতে পারবো না রে,
- কেনো? ভ্রু কুঁচকে বললো ধ্রুব।
- তুই তো জানিসই, তোর ভাবী তুরিনের খালাতো বোন হয়। তাই খালাতো বোনের বিয়েতে ওকে দাওয়াত দিয়েছে। আর আমিতো এখন ওর বর। তাই আমাকেও দাওয়াত দিয়েছে। ভেবেছিলাম যাবোনা। তোর সাথেই থাকবো। কিন্তু আমিতো ওখানকার নতুন জামাই। আর ওর ও এখন একা যাওয়াটা শোভা পায়না। তবে চিন্তা করিস না। কনে নিয়ে ফেরার পথেই আমি তোর সাথে চলে আসবো। আর বিয়ের দিন তুই যাওয়ার পর থেকে আমি তোর সাথেই থাকবো সারাক্ষন।
- Ok ..
- All the best. Bye..
সারাদিন অনেক পরিশ্রমের পর ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় হেলিয়ে দিলো ধ্রুব।
দুচোখের পাতা শুধু এক হতে চাইছে। তবুও এক হতে দিচ্ছেনা ধ্রুব। জোর করে তাকিয়ে আছে ও। মনের মধ্যে রবির বলা কথাগুলো ঘোরপাক খাচ্ছে বারবার । ওরা সবাই কেন মানতে চাইছেনা এই সম্পর্কটা? আর রবি একি বলল? আসলে ও কোনো ভুল করছেনা তো? ভাবতে পারছেনা ধ্রুব। ফোন টা হাতে নিয়ে গ্যালারিতে গেলো। তুরিনের একটা পিক দেখতে লাগলো। কয়েকদিন আগেই অনেক বলার পির ইমুতে এই পিকটা দিয়েছিলো তুরিন। ছবিতে কতো কোমল দেখা যাচ্ছে ওকে। আসলে ও বাস্তবেও এতোটা কোমল। আর মনটাও অনেক কোমল। যে যাই বলুক, কারো কথাই আমি মানিনা।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে গেলো ধ্রুব।
পরেরদিন ছোটখাটো একটা আয়োজনের মধ্যে দিয়েই গায়ে হলুদ সম্পন্ন হলো ধ্রুবর।
শুক্রবার সকালে সাজিয়ে গুছিয়ে নিজেরা সবাই তৈরি হয়ে নিলো। বরযাত্রী বেরোবে আর কিছুক্ষন পর। ধ্রুবর মা খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। আর ধ্রুবর বাবা আয়নার সামনে দাড়িয়ে পায়জামা পাঞ্জাবি ঠিকঠাক আছে কিনা দেখছে। সবকিছু ঠিকঠাক হলে মাথায় সামান্য তেল দিয়ে চুলগুলো ঠিক করে আবারও পাঞ্জাবি ঠিক আছে কিনা দেখলো। তখনই কারো হাসির আওয়াজ পেয়ে পিছনে ফিরে তাকালো ধ্রুবর বাবা। ধ্রুবর মা হাসতে হাসতে সামনে এগিয়ে বললো..
- বাহ, তুমি কি ছেলেকে বিয়ে করাতে যাচ্ছো নাকি নিজে বিয়ে করতে যাচ্ছো?
- দেখি, আগে ছেলের বিয়ে করাই, তারপর নিজের কপালেও যদি একটা জোটে.. বলেই হাসিতে মেতে উঠল দুজনেই। তারপর ধ্রুবর বাবা বললো..
- তা হটাৎ এই কথা কেন বললে?
- যেভাবে সাজগোজ করছো, আমি কেন, সবাই বলবে।
- তাই নাকি?
- হ্যাঁ গো হ্যাঁ। তা বেরোবে কখন?
- এইতো এখনই।
- তাহলে ওখানে যাও। সবাই বসে আছে। দেখো কেউ বাদ পরেছে কিনা।
- আচ্ছা আসো নিচে।.
ধ্রুব বর সেজে বসে আছে নিজের ঘরে। বার বার তুরিনের নাম্বারে ডায়াল করছে ও। কিন্তু ফোনটা অফ পাচ্ছে। কপালে চিন্তার ভাজ পরেছে ওর। এমন সময় রাফসান ঢুকলো ঘরে।
- কিরে এখনো বসে আছিস। সবাই অপেক্ষা করছে, চল।
- হ্যাঁ আসছি। আনমনে বললো ধ্রুব।
- কিরে, কিছু হয়েছে? কিছু ভাবছিস তুই?
- না মানে, তুরিনের নাম্বার টা বন্ধ।
- ওহ এই কথা। কিছু ভাবিস না। বিয়ে বাড়ি, মানুষে ভর্তি। তাই হয়তো ফোনের দিকে খেয়াল নেই। কিংবা ফোনে চার্জ নেই।
- হতে পারে।
- হুম চল।
বেলা ২ টার দিকে বরযাত্রী গিয়ে পৌছেছে তুরিনদের গ্রামের বাড়ি। তুরিনদের সমস্ত আত্মীয় থাকে গ্রামের বাড়ি, তাই বিয়েটাও সেখানেই হচ্ছে। বিয়ে বাড়ি যতোটা হইচই থাকার কথা ততোটা হইচই নেই। কেমন যেনো থমথমে ভাব। যেটা সবাইকে ভাবাচ্ছে। স্টেজে নিয়ে বসানো হয়েছে ধ্রুবকে। ধ্রুবর বন্ধুরা ওর চারপাশে ঘিরে বসেছে। ধ্রুব অপেক্ষা করছে রবির। কিন্তু ওর কোনো খবর নেই। ধ্রুবর বাবাকে দেখা গেলো হাসিমুখে ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু বের হলো তুরিনের বাবার সাথে। তবে মুখে নেই কোনো আনন্দ, হাসি।
অনেক্ষন পর রবি এলো ধ্রুবর কাছে। রবির মুখটাও কেমন থমথমে। ধ্রুব কিছুটা অবাক হয়ে বললো..
- কিরে, কোথায় ছিলে এতোক্ষন?
- ভিতরেই ছিলাম। কাজ করছিলাম আরকি.
- বাহ, বাবু দেখছি খুব কাজের হয়েছে। পাশ থেকেই রাব্বি আর পিয়াশ বলে উঠলো।
- নিজের উপর পরলে তুইও কাজের হবি।
- রবি শোন.. (ধ্রুব)
- বল..
- কিছু হয়েছে কি? সব ঠিকঠাক আছেতো?
- ভয় হচ্ছে?
- না মানে, কেমন যেনো লাগছে সবকিছু।
- ভয়ের কিছুই নেই। সব কিছু ঠিকঠাক ই আছে।
রবির কথায় একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো ধ্রুব।.
বিয়ের কাজ শেষ হতে হতে সন্ধ্যে হয়ে গেছে। সন্ধ্যের দিকেই কনেকে নিয়ে রওনা করলো সবাই। কনের মুখে লম্বা করে ঘোমটা দেওয়া, তাই এখন পর্যন্ত নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে বধুবেশে দেখতে পারেনি ধ্রুব।.
রাত ১১:০০ টা,,
ধীরে ধীরে ঘরে ঢুকলো ধ্রুব। পুরো ঘরটা ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। খাটের মাঝখানে লম্বা করে ঘোমটা টেনে বসে আছে নববধূ। ধ্রুব রুমের দরজাটা ভালভাবে আটকে খাটের একপাশে গিয়ে বসলো। বললো.
- তুরিন, আজ আমাদের দুজনের স্বপ্নের রাত। আজ আমাদের দুজনের ভালোবাসা পূর্নতা পেয়েছে। জানো, আজ আমি খুব খুশি। খুব..
তুমি জানো , এই দিনটার জন্য আমি কতো অপেক্ষা করেছি?
- তুরিন, তুরিন কথা বলছো না কেন? তুরিন..
তুমি কি খুশি হওনি? ঘোমটা টা তুলো প্লিজ.. তুরিন।
বারবার ডাকার পরেও কোনো সাড়া পেলোনা ধ্রুব। তাই নিজেই এগিয়ে গেলো ওর কাছে। আস্তে আস্তে নিজের হাতে ঘোমটা টা টেনে তুললো ধ্রুব।
মুহুর্তেই থমকে গেলো ধ্রুব। আচমকাই যেনো ধ্রুবর মাথায় বাজ পরলো। একি দেখলো ও? এটা কি বাস্তব নাকি স্বপ্ন? ভাবতে পারছে না ধ্রুব। একটা ঘোরের মধ্যে চল গেলো ও.। গলা কাঁপছে। কন্ঠ দিয়ে কথা বের হচ্ছেনা।
আচমকাই একটা চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো..
- তুমি কে?
To be Continue.....

12/01/2022

শীতের দিনের বৃষ্টি🌧️ আহা কি ঠান্ডা 🔥

এ্যাংগেইজমেন্টের পার্টিতে আমার হবু বর আমাকে রেখে আমার মামাতো বোনকে রিং পড়িয়ে দেয়। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আমার কা...
12/01/2022

এ্যাংগেইজমেন্টের পার্টিতে আমার হবু বর আমাকে রেখে আমার মামাতো বোনকে রিং পড়িয়ে দেয়। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আমার কানে শুধু একটা কথায় বাঁজছে।

উইল ইউ মেরি মি প্রিলিয়া।

চোখ উপচে জল গড়িয়ে পড়ছে। অপমানে মাথা নিচু হয়ে গেছে। পার্টিতে লোকজন ভরপুর সবাই আমার দিকে অন্য রকম চোখে তাকাচ্ছে। অনেকের অনেক কটূক্তি কানে আসছে। অন্য সময় হলে হয়তো আমি প্রতিবাদ করতাম। কিন্তু এখন চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

কিছুক্ষণ আগে,

বেশ জাঁকজমক ভাবেই আমার এ্যাংগেইজমেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই ঠিক করা হয়েছিল। শুনেছিলাম বিহান (হবু বর) আমাকে অনেক ভালোবাসে। আব্বু এখন আমাকে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না। সেই নাকি অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে আব্বুকে রাজি করিয়েছে। আমি প্রথমে জেদ ধরে বসেছিলাম এখন বিয়ে করবো না। সবে মাত্র এইচ এসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এখন সময় চিল করার আর এখনি বিয়ে নামক প্যারা নিতে চাইনি।

কিন্তু বিহানের সাথে কথা বলার পর আমার বিহানকে ভালো লেগে যায়। তাই বিয়েতে রাজি হয়ে যাই। দুই পরিবার মিলেই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে আর বড়সড় করে একটা এ্যাংগেইজমেন্ট পার্টি আয়োজন করে।

(আমি তাসনিম জাহান রিয়া। এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমার বড় একজন ভাই আছে।)

এনাউসমেন্ট করার পর আমরা দুজনেই স্টেইজে ওঠি। আমাদের সাথে আমার মামাতো বোন প্রীলিয়াও স্টেইজে ওঠে। যখন রিং পড়ানোর সময় হয় তখন বিহান আমাকে রেখে আমার মামাতো বোনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে প্রোপোজ করে ফেলে।

উইল ইউ মেরি মি প্রীলিয়া।

প্রীলিয়া আপুও হাসি মুখে প্রোপোজেল এক্সসেপ্ট করে নেয়। তখনি আব্বু এগিয়ে আসে। আব্বু চিৎকার করে বলে,

এটা কোন ধরনের অসভ্যতামি। তুমি রিয়াকে রেখে প্রীলিয়াকে কেনো রিং পড়িয়েছো। আমার মেয়েকে সবার সামনে অপমান করার সাহস তোমাকে কে দিয়েছে?

আব্বু বিহানকে আরো কিছু বলার আগেই মামা এসে আব্বুকে টেনে নিয়ে চলে যায়। আমি নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলাম না। বিহানের কলার চেপে ধরলাম। আচমকা বিহানের কলার চেপে ধরায় বিহান অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। গলার স্বর নিচু করে বলে,

রিয়া কলার ছাড়ো।

না ছাড়বো না। আপনার লজ্জা করছে না। একজন কে রেখে আরেকজনকে রিং পড়িয়ে দিয়েছেন। তাও আবার যাকে রিং পড়ানোর কথা ছিল তার মামাতো বোনকে। আপনি আমার সাথে কেনো এমন করলেন? কী অন্যায় করেছিলাম আমি আপনার সাথে? যার জন্য আপনি এভাবে আমাকে সবার সামনে হাসির পাত্র বানালেন। চুপ করে আছেন কেনো? উত্তর দিন। উত্তর দিন আমার প্রশ্নের।

দেখো রিয়া তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হওয়াটা ছিল একটা মিসটেইক। আমি তোমাকে না তোমার মামাতো বোন প্রীলিয়াকে ভালোবাসতাম। তোমার সাথে যে ভুলটা হয়েছে তার জন্য আমি দুঃখিত। একচুয়ালি ভুলটা আমার ছিল না। ভুলটা করেছে আমার বন্ধু। ঐই ভুল ইনফরমেশন এনে দিয়েছিল। তবুও আমি তোমাকে সরি বলছি।

আপনি সরি বলে দিলেন আর সবকিছু সমাধান হয়ে গেলো। আপনি যে আমাকে সবার সামনে হাসির পাত্র বানালেন। আপনি সরি বললে কী সব মিটে যাবে? একটা মেয়ের বিয়ে ভেঙে গেলে সমাজের মানুষ তাকে কোনো চোখে দেখে আপনি জানেন? সবাই ভাববে আমার চরিত্রে সমস্যা তাই আপনি বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। আমার পরিবারের যে মান সম্মান গেছে তা কী আপনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন? পারবেন ফিরিয়ে দিতে আমার আগের জীবন? জানি পারবেন নাহ। আপনাদের মতো বড়লোকের ছেলেদের স্বভাব মেয়েদের নিয়ে খেলা। তারপর সরি বলে দেওয়া। আপনারা ভাবেন সরি বললেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায়। আপনাদের মতো ছেলেদের উচিত বিষ খেয়ে মরে যাওয়া। আমার জানেন এখন কী ইচ্ছে হচ্ছে? আপনার মুখে এক ধলা থুতু ছুঁড়ে মারতে। আফসোস আমি সেটা পারবো না। কিন্তু আমি আপনাকে জীবনেও ক্ষমা করবো না জীবনেও না।

আমি বিহানের কলার ছেড়ে দুই পা পিছিয়ে গেলাম। তখনি ভাইয়া এগিয়ে আসে। ভাইয়া রেগে অগ্নিমুর্তি হয়ে আছে।

তুই এই ডাফারকে ক্ষমা করবি কিনা সেটা আমি জানি না। কিন্তু আমি ওকে ক্ষমা করবো না। ওকে আমি পুলিশে দিবো। ওর নামে আমি মানহানির মামলা দিবো। ওকে আমি জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো।

ভাইয়া বিহানকে ঘুষি মারতে গেলেই আব্বু পিছন থেকে ভাইয়ার হাত ধরে ফেলে।

আব্বু তুমি আমার হাতটা ছাড়। আমি ওকে আজ খুন করে ফেলবো। ও আমার কলিজায় হাত দিয়েছে। আমার কলিজার হাত দেওয়ার ফল আমি ওকে বুঝিয়ে দিবো।

বিহানের সাথে প্রীলিয়ারই বিয়ে হবে। আমি আর কারো কোনো কথা শুনতে চাই না।

তুমি শুনতে না চাইলেও তোমাকে শুনতে হবে। তোমার হয়তো নিজের মেয়ের প্রতি দরদ নেই। তোমার কাছে তো প্রীলিয়াই সব। কিন্তু আমি আমার বোনকে ভালোবাসি। ওর সাথে এতো বড় অন্যায় হবে আর সেটা আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবো সেটা হতে পারে না।

তুমি চুপ করবে।

না আব্বু আজকে তুমি আমাকে চুপ করাতে পারবে না। তোমার এতো কীসের দরদ প্রীলিয়ার প্রতি? আমার মাঝে মাঝে তো মনে হয় তুমি আমাকে আর রিয়াকে কুড়িয়ে এনেছ আর প্রীলিয়াই তোমার মেয়ে।

শাওন।

আব্বু হাত ওঠাতে গিয়েও নামিয়ে ফেলে।

হাত নামিয়ে নিলে কেনো? মারো আমাকে মারো। আমি তো জানি তুমি আমাদের ভালোবাসা না। আমার বোনের সাথে যারা অন্যায় করেছে আমি তাদের কাউকে ছাড়বো না। আব্বু তুমি একদিন পস্তাবে।

কথাগুলো বলেই ভাইয়া লাথি দিয়ে চেয়ার ওল্ঠে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

বর্তমানে

ঘাড়ে কারো হাতের ছোঁয়া পেয়ে আমি পিছন ঘুরে তাকাই। আমার ঠিক পিছনেই ফুফি দাঁড়িয়ে আছে। আমি ফুফিকে দেখেই ঝাপটে জড়িয়ে ধরি। ফুফি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

একদম মন খারাপ করিস না রিয়া। আজকে তোকে যারা অপমান করেছে তারা তাদের পাপ্য শাস্তি পাবে। আমি তোকে বিহানের থেকেও ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দিব। তোকে আমার.......

থাক ফুফি তোমাদের আর আমার বিয়ের চিন্তা করতে হবে না। আমি আর মানুষের সামনে হাসির পাত্র হতে চাই না। আব্বুও তো আমার ভালো ছেলের সাথেই বিয়ে ঠিক করেছিল। এটা হলো ভালো ছেলের রূপ। তোমরা আমার বিয়ে নিয়ে ভাবা বন্ধ করো প্লিজ।

আমি ফুফির থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে এক পলক স্টেইজের দিকে তাকাই। স্টেইজে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে বিহান আর প্রীলিয়া আপু ছবি তুলছে। আমি এক দৌড়ে রুমে চলে আসি।
রুমে এসেই ফ্লোরে বসে পড়ি।

এর আগে কখনো আমাকে এতোটা অপমানিত হতে হয়নি। আমি জানতাম প্রীলিয়া আপু আমাকে সহ্য করতে পারে না। তাই বলে এভাবে সবার সামনে ছোট করবে।

মাথায় কারো হাতের আলতো স্পর্শ পেয়ে আমি মুখ তুলে তাকাই। আমার সামনেই বসে আছে আব্বু। আব্বুকে দেখেই আমি ঝাপটে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই।

আব্বু আমি তো এখন বিয়ে করতে চাইনি। তোমাদের কথায় আমি বিয়েতে রাজি হয়েছিলাম। তাহলে আমাকে কেনো এভাবে সবার সামনে অপমানিত হতে হলো।

মারে আমাকে ক্ষমা করে দিস। আমি তোর জন্য সঠিক পাত্র নির্বাচন করতে পারিনি। আমার কারণে আজকে তোকে অপমানিত হতে হলো। আমি চেয়েও কিছু করতে পারিনি। অনেক কিছুই তোর অজানা। সেই অজানা কারণে আজকে আমাকে চুপ করে থাকতে হলো। মামুনি তোমার আব্বুকে একটা সুযোগ দিবে না নিজের ভুল সুধরে নেওয়ার? আমি তোমার বিয়ে রু......

চলবে......

#পূর্ণিমাতিথি
#লেখিকা-তাসনিম জাহান রিয়া
#সূচনা_পর্ব

 #জানি_দেখা_হবে ❤Israt Jahan Tanni ✍ 01.- এই পিচ্চি, নাম কি তোমার?- What do you mean by পিচ্চি?? বেশ রেগে গিয়ে বললো তুরি...
12/01/2022

#জানি_দেখা_হবে ❤
Israt Jahan Tanni ✍

01.
- এই পিচ্চি, নাম কি তোমার?
- What do you mean by পিচ্চি?? বেশ রেগে গিয়ে বললো তুরিন।
- পিচ্চি means পিচ্চি। যাইহোক, নাম কি তোমার?
- জানিনা।
- বাহ, তোমার তো দেখছি বেশ রাগ। তা এভাবে ছুটাছুটি করছো কেন?
- ইচ্ছে, আপনার কোনো প্রব্লেমস??
- মোটেও না। জানতে চাইছি আরকি।
- বিয়েতে এসেছেন, আনন্দ করুন, খেয়ে দেয়ে চলে যান। বেশি বকবক করবেন নাহ হুহ..
কথাটা বলেই হনহন করে অন্যদিকে চলে গেলো তুরিন।
ধ্রুব ওর যাওয়া দেখছে আর হাসছে। শহর থেকে অনেকটা দুরে এক বন্ধুর বিয়েতে বরযাত্রী এসেছে ও। কিন্তু গ্রামীণ পরিবেশে এমন একজন স্মার্ট মেয়ে দেখে বেশ অবাকই হলো সে। বেশ সুন্দরী মেয়েটা। প্রথম দেখাতেই ধ্রুবর মনে গেঁথে গেছে সে। ধ্রুব কিছুক্ষন আপনমনে হেসে তারপর বন্ধুদের জটলায় গেলো।
- কিরে, কোথায় ছিলি এতোক্ষন? ( রাব্বি)
- হারিয়ে গিয়েছিলাম, অজানা সমুদ্রে..
- বাহ, কবি কবি লাগছে তোকে আজ। কাউকে মনে ধরেছে নাকি? (রবি) যার বিয়ে সে..
- তা তো ধরেছেই। এসেছিলাম তোর বিয়েতে, তোকে বিয়ে করাবো বলে। এখন দেখছি নিজের বিয়েটা ও ফাইনাল করতে হবে।
- Good Decision .. তা কে সেই মেয়েটা? (পিয়াস)
- জানিনা রে.. কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে। উদাসীন হয়ে বললো ধ্রুব।
- Ok চল, আমরা সবাই মিলে খোঁজে বের করবো মেয়েটাকে। পাশ থেকে রাফসান বলে উঠলো।
- মানে কি? আমাকে একা ফেলে কোথায় যাবি তোরা? (রবি)
- যখন প্রেম করেছিলি তখন আমাদেরকে সাথে নিয়ে করেছিলি শালা?
- মানে?
- একা প্রেম করেছিস, একাই বিয়ে কর। আর আমরা তো তোকে একা রেখে যাচ্ছিনা। চারিদিকে দেখ, কতো কতো সুন্দরী মেয়েরা ঘুরঘুর করছে। ওরাই তোর দেখাশোনা করবে। আমরা চলে আসবো কিছুক্ষনের মধ্যেই।
- এটা কিন্তু অন্যায়। দিন কিন্তু আমারও আসবে একদিন।
- দেখা যাবে।
ধ্রুব আর বাকিরা চলে গেলো মেয়েটার খোঁজে। রবির পাশে শুধু মুরুব্বিরাই থাকলো।

- কিরে, কোথায় আছে তোর প্রেমি? কখন থেকে খোজছি, কোনো খোজ খবর পাচ্ছিনা। (পিয়াস)
- মন দিয়ে খোজ, পেয়ে যাবি। (ধ্রুব)
- বাহ, তুই তো খুব মন দিয়ে খুজছিস, তাহলে তুই পাচ্ছিস না কেন?
- ওই তো, পেয়ে গেছি আমার রাজকন্যাকে.. সামনের দিকে তাকিয়ে বললো ধ্রুব। ধ্রুবর চোখ বরাবর বাকিরা ও তাকালো। কিছুটা অবাক হয়ে বললো..
- এই মেয়েকে তুই পছন্দ করেছিস?
- হ্যাঁ, প্রচুর..
- আর ইউ ম্যাড ধ্রুব??
- কেন? ভ্রু কুঁচকে বললো ধ্রুব।
- নাহ মানে, কিছুক্ষন আগে দেখলাম মেয়েটা ফোনে কার সাথে হাসাহাসি করে কথা বলছে। তারও কিছুক্ষন পর দেখলাম ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করছে।
- এই তোরা কি আমার বন্ধু নাকি শত্রু?
- কেন?
- কই ওর আর আমার মাঝে কানেকশন করে দিবি, তা না, আগেই পিন মারছিস..
- দেখ, এই মেয়েটাকে আমাদের কাছে বেশ সুবিধার মনে হচ্ছেনা। আর তাছাড়া মেয়েটা গ্রামের হয়েও কিসব মডার্ন ড্রেস পরেছে।।
- তো? সমস্যাটা কই? ফোনে কথা বলছিলো? হাসাহাসি করছিলো? তাতে কি হয়েছে? হয়তো কোনো আত্মীয়ের সাথে বা ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলছিলো। ঢলাঢলি করছিলো? হয়তো কাছের কেউ... তাই খুব ফ্রী। আর কি যেনো, মডার্ন ড্রেসের কথা বলছিস, এই যুগে মডার্ন ড্রেস পরাটা অস্বাভাবিক কিছু নাহ।
- সে যাইহোক, মেয়েটাকে আমার খুব ভালো ঠেকছে না। ওর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। (রাফসান)
- মোটেও না। ওকে আমার প্রচন্ড রকমের ভালো লেগেছে। ওকে আমি আমার Life Partner করতে চাই। তাই, ঝেড়ে ফেলা সম্ভব না।
- দেখ, কোনো মেয়েকে ভালো লাগতেই পারে। তাই বলে সেই ভালোলাগার বাহানায় জীবনসঙ্গী হিসেবে ভুলভাল কাউকে সিলেক্ট করা বোকামি। আর তাছাড়াও, ভালোবাসা আর ভালোলাগা কিন্তু এক নাহ। ভালোবাসা হচ্ছে সারাজীবনের একটা অংশ, আর ভালোলাগা, সেটাতো একটা সাময়িক মোহ। (রাফসান)
- ভালোবাসা আর ভালোলাগা যে একনা, সেটা আমি জানি। তবে ভুলে যাস না, ভালোলাগা থেকেই কিন্তু ভালোবাসার আবির্ভাব হয়। ভালোলাগা, ভালোবাসার প্রথম ধাপ.. মুচকি হেসে বললো ধ্রুব।
- তোর যা ইচ্ছা তাই কর। আমরা নেই এইসবে।
ধ্রুবকে একা রেখে সবাই চলে গেলো রবির কাছে। ধ্রুবর সেদিকে তোয়াক্কা নেই। ও তুরিনের দিকে এগিয়ে গেলো। তুরিন দাড়িয়ে ফোনে কি যেনো করছিলো।
ধ্রুব ওর পাশে গিয়ে দাড়িয়ে হালকা কাশি দিলো। তুরিন ওর দিকে তাকিয়ে হালকা বিরক্তভাব নিয়ে বললো..
- আপনি আবার এসেছেন আমার কাছে?
- আসতে মানা আছে নাকি?
- অবশ্যই .. আপনি কে না কে, আমার কাছে আপনার কি?
- তোমার কাছেই তো আমার সব।
- মানে?
- কিছুনা।
- আচ্ছা, আপনি কে বলুনতো? সেই কখন থেকে আমার পিছনে পরে আছেন..
- আমি রবির বন্ধু..
- রবি কে?
- এই বিয়ের বর তোমার কি হয় সম্পর্কে?
- খালাতো বোনের হাজবেন্ড। মানে দুলাভাই।
- বাহ, দুলাভাই এর নামটাও জানোনা দেখছি..
তুরিন ভ্রু কুঁচকে তাকালো ধ্রুবর দিকে। কিছু বললো না।
ধ্রুবই বললো..
- By the way.. আমি ধ্রুব, পড়াশোনা শেষ করেছি আরও তিন বছর আগে.. এখন বাবার বিজনেস দেখাশোনা করছি.. আর তুমি?
- আপনাদের বিজনেস আছে? অবাক হয়ে বললো তুরিন।
- হ্যাঁ। দেশেও আছে , আবার বিদেশেও আছে।
- wow, so sweet ..
- কি sweet?
- নাহ কিছুনা। যাইহোক, আমি তুরিন। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছি।
- Good ... বাসা কোথায় তোমার?
- এই তো, পাশের গ্রামেই। তবে আমরা গ্রামে থাকিনা। শহরেই থাকি।.
অনেক্ষণ কথা হলো ধ্রুব আর তুরিনের মাঝে। দুজনের মাঝে বেশ ভাব জমে গেছে এই কিছুক্ষনের মধ্যেই। সবশেষে দুজনের মাঝে ফোন নাম্বার আদান প্রদান করে বিদায় নিয়ে চলে গেলো দুইজন দুইদিকে।
বিয়ের কাজ শেষে সবাই চলে গেলো নিজ নিজ গন্তব্যে। যাত্রাকালে ধ্রুবর দুই চোখ শুধু তুরিনকেই খোজছিলো। কিন্তু পায়নি। .
দুইদিন পার হয়ে গেলো। এই দুইদিনে কেউ কাউকেই কল দেয়নি।
ধ্রুব অফিসে একটা ফাইল চেক করছিলো। ফাইল চেক করা শেষে সামনে থাকা গ্লাস থেকে কয়েক ঢুক পানি খেয়ে ফাইলটা বন্ধ করে মাথায় হাত দিয়ে ঝিমুতে লাগলো। হটাৎ ই তুরিনের কথা মনে হলো তার। তারাতাড়িই ফোনটা পকেট থেকে বের করে তুরিনের নাম্বারে কল দিলো সে। প্রথম বার কল বাজতেই কলটা রিসিভ করলো সে..
- হ্যালো..তুরিন..
- হ্যাঁ, কে বলছেন?
- আমি ধ্রুব।
- কোন ধ্রুব? কপাল ভাজ করে বললো তুরিন।
- বাহ, এই দুইদিনেই ভুলে গেলে? ওইযে, তোমার বোনের বিয়েতে দেখা হলো..। মনে নেই তোমার?
- ওহ Sorry ... একটু বিজি ছিলাম তো, তাই চিনতে পারিনি।
- It's Ok .. তা কেমন আছো? আর আমার নাম্বারটা কি সেদিন সেভ করোনি?
- কেন?
- সেভ করা থাকলে আমাকে সহজেই চিনতে পারতে।
- হুম। কি করছেন?
- অফিসে আছি। তুমি কি করছো?
- বসে আছি।
অনেক্ষণ কথা হলো ধ্রুব আর তুরিনের মধ্যে।.
দিন যেতে লাগলো।। ধ্রুব আর তুরিনের সম্পর্ক অনেকটা এগিয়ে গেলো। ধ্রুব যেনো তুরিনে পাগল। তুরিনের ও বেশ ইন্টারেস্ট আছে। তবে সেটা ধ্রুবর প্রতি নাকি ওর বিজনেসের প্রতি সেটা বুঝা দায়।
বেলকোনিতে বসে কফি খাচ্ছিলো ধ্রুব। এমন সময় মা এসে পাশে বসলো। ধ্রুব কফির মগটা সামনে রাখা টি টেবিলে রাখতে রাখতে বললো..
- মা তুমি, বসো না..
- কি করছিস এখনে বসে তুই? চেয়ারে বসতে বসতে বললো ধ্রুবর মা।
- এমনিতেই বসে আছি। সন্ধ্যার আবহাওয়াটা বেশ ভালো লাগছে। তোমার কিছু লাগবে মা??
- আমার কি লাগবে না লাগবে সেদিকে কি তোর কোনো খেয়াল আছে??
- কি যে বলো মা, সারাদিন অফিসে থাকি, কুলিয়ে উঠতে পারিনা। কি লাগবে বলো?
- একটা লক্ষি বউমা লাগবে..
- মানে? অবাক হয়ে বললো ধ্রুব...
- বুঝিস না? বুড়ো হয়ে গেছি, এই বয়সে নাতী - নাতনীর সাথে কথা বলবো, খেলবো .. তা না, এখনো একটা বউমাই জুটাতে পারলাম না। হ্যাঁ রে? কবে বিয়ে করবি? বুড়ো হলে পরে?? তখন কি কোনো মেয়ে আসবে আমার এই বুড়ো ছেলেকে বিয়ে করতে? সামান্য অভিমানের সুরে কথাগুলো বললো ধ্রুবর মা।"
মায়ের কথায় ধ্রুব হালকা হাসলো। বললো..
- খুব শীঘ্রই তুমি একটা লক্ষি আর মিষ্টি বউমা পাবে মা... .
To be Continue .....

#জানি_দেখা_হবে ❤
Israt Jahan Tanni ✍
.
মায়ের কথায় ধ্রুব হালকা হাসলো। বললো..
- খুব শীঘ্রই তুমি একটা লক্ষি আর মিষ্টি বউমা পাবে মা...
- সত্যি? কে মেয়েটা?
- আছে একজন। সময় হলেই জানতে পারবে মা।
- আমি আজই তোর বাবার সাথে কথা বলবো।
মায়ের কথা শুনে ধ্রুব মুচকি হাসি দিলো। সাথে মা ও হালকা হেসে চলে গেলো সেখান থেকে।
কফির মগটা হাতে নিয়ে একটা চুমুক দিলো সে। মায়ের কথা ভেবেই হাসি পেলো ওর। মগটা রেখে পকেট থেকে ফোন বের করে তুরিনের নাম্বারে ডায়াল করলো ধ্রুব। ফোন ওয়েটিং। আবারও কল দিলো.. কিন্তু উত্তর একটাই। ফোনটা পকেটে রেখে দিলো ধ্রুব। হয়তো কারো সাথে দরকারী কথা বলছে। .
রাতের খাবারের পর ধ্রুব নিজের রুমে বসে লেপটপে কাজ করছিলো। এমন সময় বাবা ডাকলো ওকে। লেপটপ টা বন্ধ করে বাবার কাছে গিয়ে বসলো ধ্রুব।
- হ্যাঁ বাবা, কিছু বলবে?
- তোকে একটা কথা বলতাম ধ্রুব..
- হ্যাঁ বাবা, বলো।
- তোর মা কিছুদিন ধরে বলছিলো তোর বিয়ের কথা। আজ তোর মা বললো তুই নাকি কাউকে পছন্দ করিস..
- না মানে, হ্যাঁ বাবা..
- মেয়েটা কে? বাড়ি কোথায়? ঠিকানা দে, আমরা দু একদিনের মধ্যে গিয়েই বিয়ের ব্যাপারে আলাপ করবো।
ধ্রুব কিছুটা লজ্জা পেলো বাবার কথায়। তারপরও তুরিনের বাড়ির ঠিকানা বাবাকে বললো।
রাত ১১ টার দিকে ধ্রুব ছাদে গেলো । ছাদের কর্নারে দাড়িয়ে তুরিনকে আবারও কল দিলো সে। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো ওর। কারণ, এখনো তুরিনকে ওয়েটিং এ পাচ্ছে সে। দ্বিতীয় বার আর কল করলোনা সে। মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে একমনে। কার সাথে এতো কথা বলে ও? যখন কল করি তখনই ওয়েটিং.. !! নাহ! ভালো লাগছেনা একদমই। শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। মনটা খারাপ থাকলেও এই হাওয়ায় প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো ধ্রুবর। এমন সময়ই কল বেজে উঠলো ধ্রুবর ফোনে। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো তুরিনের নাম্বার। মুচকি হেসে ফোনটা রিসিভ করলো ধ্রুব।
- হ্যালো তুরিন..
- হ্যাঁ বলো।
- কি করছো? কার সাথে কথা বলছিলে এতোক্ষন?
- এতোক্ষন কই কথা বললাম? একটা ফ্রেন্ডস কল করেছিলো কিছু নোটস এর জন্য।
- ওহ.. আর সন্ধ্যায় কার সাথে কথা বলছিলে?
- তখন তো মা কথা বলেছিলো ছোট মামার সাথে।
- তোমার মায়ের ফোন কোথায়?
- ওহ, এতো জেরা করছো কেন? মায়ের ফোনে চার্জ ছিলোনা তো..
- আচ্ছা ঠিকাছে। এখন কি করছো সেটা বলো?
- বসে আছি টেবিলের সামনে। তুমি??
- ছাদে বসে আছি আর তোমার কথা ভাবছি।
- তাই?
- হুম। জানো, তোমার জন্য একটা সুখবর আছে।
- আচ্ছা , কি সুখবর শুনি..
- আজ বাবা মায়ের কাছে তোমার কথা বলেছি। উনারা দু এক দিনের মধ্যে তোমার বাড়ি যাবে ..।
- কেন? অবাক হয়ে বললো তুরিন।
- কেন আবার, তোমাকে বন্দি করতে।
- মানে? কপাল কুঁচকে জিজ্ঞাসা করলো তুরিন।
- মানে, তোমাকে আমার মনের খাঁচায় পুরোপুরি বন্দি করতে। তোমার আমার বিয়ের কথা পাকা করতে .. । বেশ খুশিমনে কথাটা বললো ধ্রুব।
- ব বি বিয়ে মানে? কি বলছো তুমি? বিয়ের কথা পাকা করতে মানে?
- কি হলো? হটাৎ তুতলাতে লাগলে কেন? খুশি হওনি তুমি?
- কি যে বলো, খুশি হবোনা কেন। আচ্ছা আমি এখন রাখছি। ঘুম আসছে।
- এই কি হলো? হটাৎ ঘুম আসলো কি করে? এতোক্ষন তো ঠিক ঠাক ছিলে.. ।
এই যাহ.. ফোনটা কেটে দিলো। Ok.. আমিও গিয়ে ঘুমিয়ে পরি.. ।
-
২ দিন পরঃ
- তাহলে এই কথায় রইলো.. আগামী শুক্রবার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। (ধ্রুবর বাবা)
- আগামী শুক্রবার, তার মানে তো আর মাত্র তিনদিন (তুরিনের বাবা)
- হ্যাঁ, বিয়েটা আমি তারাতাড়িই সাড়তে চাই, যেহেতু ওরা দুজন দুজনকে পছন্দ করে। আর তাছাড়া, শুভ কাজ যতো তারাতা‌ড়ি করা সম্ভব, ততোই মঙ্গল। আপনাদের কোনো আপত্তি আছে?
- কি যে বলেন, আপত্তি থাকবে কেন? এটাতো আমাদের জন্য খুশির কথা (তুরিনের মা)
- আচ্ছা বেয়াইসাব, বিয়ের কথা পাকা করলাম, কিন্তু বিয়ের কনেকেই দেখলাম না এখনো। কোথায় আপনাদের মেয়ে? (ধ্রুবর মা)
- ইয়ে মানে, ও একটা ফ্রেন্ড এর বাসায় গেছে। কি নাকি পড়ার ব্যাপারে জানতে। ( তুরিনের মা)
- আজ আমরা আসবো, তাও গেলো?
- আসলে ওতো জানতো না আপনারা আজ আসবেন। (তুরিনের বাবা)
- আমরা তো সকালে জানালাম আজ আসবো। যাইহোক, বাদ দেন। ছেলে মেয়ের পছন্দ আছে, আমাদের না দেখলেও চলবে।
- এই তুরিনের মা, ওদের জন্য একটু চায়ের ব্যাবস্থা করো তো, যাও.. (তুরিনের বাবা)
- যাচ্ছি । তুরিনের মা চলে গেলো কিচেনে।
- শুনেছি, আপনার আরেকটা মেয়ে আছে, ও কোথায়? (ধ্রুবর বাবা)
- ও তো এখানে থাকেনা। মামার বাড়িতে থাকে।
- ওওওও.. ..
- কেমন দেখলে তুরিনকে মা?
- দেখলাম আর কই, ওতো বাসাতেই ছিলোনা।
- বাসাতে ছিলোনা? কোথায় ছিলো?
- বন্ধুর বাসায়। আচ্ছা এখন চল খাবি। রাত তো আর কম হলোনা।
বেলকোনি থেকে মা উঠে চলে গেলো ভিতরে। ধ্রুব বেশ চিন্তা নিয়ে মায়ের কথাটা ভাবছে। আজ বাবা মা গেলো ওকে দেখতে, আর ও বাসাতেই ছিলোনা। আমার মা বাবার চাইতে বন্ধুর বাসাতে যাওয়াটাই ওর কাছে বেশি হলো।
ধ্রুব ফোনটা বের করে তুরিনকে কল দিলো। দুবার রিং হতেই ফোনটা রিসিভ করলো তুরিন।
- হ্যলো ধ্রুব বলো..
- কোথায় ছিলে আজ?
- কেনো?
- আজ আমার মা বাবা গেছিলো তোমার বাসায়, সেটা তুমি জানতে না?
- হ্যাঁ জানতাম তো। কেন কি হয়েছে???
- জানতে তাও বাসায় থাকোনি। আমার বাবা মা তোমাকে দেখতে গিয়েছিলো। আর তুমি?
- ওহ, এইসব কথা বলতে আমাকে ফোন দিয়েছো? বাদ দাওনা। অন্য কথা বলো প্লিজ..
- Ok .. কি করো এখন?
- কিছুই করছিনা। বসে আছি।
- আজ বাবা মা আমাদের বিয়ে ঠিক করেছে, সামনের শুক্রবার। শুনেছো??
- What??? কি বলছো এইসব? বিয়ে মানে?
- বিয়ে মানে বিয়ে। তুমি এমন করছো কেন বিয়ের কথা শুনে? আমার কাছে সারাজীবনের জন্য আসবে তুমি। তুমি খুশি হওনি।
- হ্যাঁ হ্যাঁ , খুশি হয়েছি তো। খুব খুশি হয়েছি। জোরপূর্বক মুখে হাসির রেখা টেনে বললো তুরিন।
- জানতাম তো তুমি অনেক খুশি হবে। তাহলে প্রথমে এমন করছিলে কেন?
- না মানে, আমাকে কেউ কিছু বলেনি তো, তাই চমকে গিয়েছিলাম।
- কেন, তোমাকে তো আগেই বলেছিলাম মা বাবা বিয়ের ব্যাপারে আলাপ করতে যাবে। আর কেউ কিছু বলেনি তোমাকে?
- না..
- মনে হয় সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলো।
- হতে পারে, আচ্ছা এখন রাখছি।
- কেনো?
- ভালো লাগছেনা। এখন রাখছি। bye।
ফোন টা রেখে দিলো তুরিন। ধ্রুব ফোনটা হাতে নিয়ে বোবার মতো বসে আছে। মাথায় কিছু ঢুকছেনা ওর। হটাৎ এমন করলো কেন তুরিন।
চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখগুলো বুজে ভাবনার রাজ্যে পাড়ি জমালো ধ্রুব। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলো টেরই পেলনা ও।
সকালে নাস্তা সেড়ে তাড়াহুড়ো করে অফিসে চলে গেলো ধ্রুব। ধ্রুবর মা ডাইনিং ক্লিন করছিলো এমন সময় ধ্রুবর বাবা কুত্থেকে এসে বললো..
- ধ্রুব কোথায়?
- ও তো অফিসে গেছে।
- মানে? দুদিন পর ওর বিয়ে, আর ও আজ অফিসে গেছে? মানে কি, হ্যাঁ?
- সেটা আমি কি করে জানবো? এক কাজ করো, ধ্রুবকে ফোন দিয়ে বলো ম্যানেজারকে সব বুঝিয়ে চল আসতে।
- Ok, কল দিচ্ছি।
- স্যার আসবো?
- হ্যাঁ আসুন.. কিছু বলবেন ম্যানেজার সাহেব?
- স্যার, আপনার ফোন কি অফ করা?
- কেনো বলুনতো?
- না মানে, বড় সাহেব ফোন করেছিলেন। আপনার সাথে নাকি দরকারী কথা আছে। কিন্তু আপনার ফোন বন্ধ পাচ্ছে।
- কই দেখিতো,
পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখলো ফোনটা Airplane মুড হয়ে আছে। হয়তো চাপ লেগে কখন হয়ে গেছে। ফোনটা নরমাল মুড করে ম্যানেজার কে বললেন..
- আপনি এখন আসুন, আমি বাবার সাথে কথা বলে নিবো।
- আচ্ছা, বলেই যেতে নিয়ে আবারও ফিরে এলো ম্যানেজার। হাতের ফাইলটা ধ্রুবর সামনে এগিয়ে দিয়ে বললো..
- স্যার, এখানে আপনার সাইন লাগবে।
ধ্রুব ফাইলে সাইন করে দিলে ম্যানেজার চলে গেলো।.
ম্যানেজার যাওয়ার পর বাবার নাম্বারে ডায়াল করলো ধ্রুব। বাবা বাগানটা কর্মচারী দিয়ে পরিষ্কার করছিলো। রিং বাজতেই রিসিভ করলেন উনি।
- হ্যাঁ বাবা, ম্যানেজার বললো কল করেছিলে আমাকে, কি নাকি দরকার আছে?
- আচ্ছা তোর বুদ্ধি কবে হবে বলতো?
- কেন? কি হয়েছে বাবা?
- দুদিন পর তোর বিয়ে। আর আজ তুই অফিসে গেলি। আমি এই বয়সে সব একা সামলাই কি করে বলতো?
- ওহ sorry বাবা, আমি এখনই আসছি।
- হুম তারাতা‌ড়ি আসিস।
- আচ্ছা বাবা। .
To be Continued .....

এখন থেকে পেজে রেগুলার গল্প আসবে

Address

Rangpur
MAHINALISLAM

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahin al islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mahin al islam:

Videos

Share

Category