রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips

রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু, সহজ রান্নার পদ্ধতি এবং বিবরণ উপস্হাপন করে আপনার ও পরিবারের বন্ধু হতে� চা

আজকে শনিবার। অফিসের এডমিন ডে। খবর পরছিলাম ১৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ হয়েছে রিজার্ভে হাত না দিয়েই। হঠাৎ করে হাজেরা খালা...
20/10/2024

আজকে শনিবার। অফিসের এডমিন ডে। খবর পরছিলাম ১৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ হয়েছে রিজার্ভে হাত না দিয়েই। হঠাৎ করে হাজেরা খালা ঢুকলো হিসাব পত্র নিয়ে কিচেনের। পাউডার দুধ আর চিনিতে অনেক সাশ্রয় করেছে সে। বলা যায় প্রায় ৯০%। ব্যাপারটা মিলাতে না পেরে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসা হয়েছে।

আমি জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে এত বড় সাশ্রয় হল। যেখানে গত সপ্তাহে ভালোই মেহমান এসেছিল। তার উত্তর হলো সে অনেক বুঝে শুনে চালিয়েছে তাই এ শাস্ত্রয়। এবার বাকিরা মিলে কমপ্লেন করল উনি উঠতে বসতে মিথ্যে কথা বলেন - দিনে যেখানে দুইবার দুধ চা দেয়ার কথা ছিল সেখানে কোন রকমে একবার চালিয়ে দিতেন। চায়ে চিনি দিতেন না বললেই চলে। এইভাবে উনি ওদেরকে কষ্ট দিয়ে শাস্ত্রয় করেছেন। তাকে জিজ্ঞেস করাতে তার উত্তর হল - প্রতিবারই সে বকা খায় ঠিকভাবে চালাতে পারে না বলে, এই জন্য এইবার এই চালাকি করেছে। আমি বললাম এতেও তো এত সাশ্রয় হওয়ার কথা না। এবার সে গোমর ফাঁস করল বলল আমার যে আরেকটা অফিস আছে সেই অফিসে যেহেতু লোকজন গত সপ্তাহে আসেইনি তাই ওই অফিসের দুধ চিনি নিয়ে এসেছিল।

আমি বললাম ঠিক আছে সরকারই যখন ভুং ভাং হিসাব দেয় এক স্টেশনের জিনিসপত্র দিয়ে আরেক স্টেশন মেরামত করে বাহবা নেয় সেখানে তুমি দিলে আর দোষ কি। তুমি ঠিক তাদের উল্টো কাজ করেছো - রেমিটেন্সে হাত দাওনি রিজার্ভে হাত দিয়েছো। কিন্তু ওই অফিসের টা তো ওই অফিসে ফেরত দিতে হবে। যেমন ঋণের টাকা! এক ঋণের টাকা অন্য জায়গায় খরচ করলেও ফেরত দিতে হয়।

বন্ধুরা,,
জিনিসপত্রের যে দাম,, এ অবস্হায় রেসিপি দিয়ে আপনাদের মনের কষ্ট বাড়ালাম না,,
আপাততঃ লতাপাতা খেয়ে জীবন বাঁচান,, 🚫🇧🇩

★১. মেজবানি  মাংসউপকরণ : গরুর মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ ও লাল মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ...
18/06/2024

★১. মেজবানি মাংস

উপকরণ : গরুর মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ ও লাল মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ, টক দই ১ কাপ, কাঁচামরিচ ১০/১২টি, গোলমরিচ ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৫/৬টি, জয়ফল ও জয়ত্রী আধা চা চামচ, মেথি গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি : গরুর মাংস মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, তেল, টক দই, হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লবণ সহ সব মসলা নিয়ে ঘণ্টা খানিক মেরিনেট করে রাখুন। অর্ধেক পেঁয়াজ তেলে ভেজে বেরেস্তা করে নিন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে মেরিনেট করা মাংস কষিয়ে নিন। হাঁড়িতে ২ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষাতে হবে। মাংস থেকে পানি ঝরে গেলে মৃদু আঁচে মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, ধনে, জিরা গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে তারপর পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু গরুর মেজবানি মাংস।মেজবান মাংস রান্নার জন্য দোকানে লাল মরিচের গুঁড়া পাওয়া যায় যেটা খেতে খুব একটা ঝাল না কিন্তু মাংসের লালা রং করার জন্য এই ঝালের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়।

★২. গরুর কালা ভুনা

উপকরণ : ২ কেজি হাড় ছাড়া গরুর মাংস মাংস, ১/২ চামচ বা মরিচ গুড়া, ১ চামচ হলুদ গুড়া, ১/২ চামচ জিরা গুড়া, ১/২ চামচ ধনিয়া গুড়া, ১ চা চামুচ পেঁয়াজ বাটা, ২ চামচ রসুন বাটা, ১/২ চামচ আদা বাটা, সামান্য গরম মশলা (দারুচিনি, এলাচি), ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি, কয়েকটা কাঁচা মরিচ, পরিমান মত লবন, সরিষার তেল।

প্রণালি: গরুর মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর লবন, তেল ও বাকি সব মশলা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে (পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ বাদে)। মাখানো মাংসটি এবার চুলায় হালকা আঁচ রেখে জ্বাল দিতে হবে। এবার দুই কাপ পানি দিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হতে সময় লাগবে। যদি মাংস সেদ্ধ না হয় তবে আবারো গরম পানি এবং জাল বাড়িয়ে নিন । ঝোল শুকিয়ে , মাংস নরম হয়ে গেলে রান্নার পাত্রটি সরিয়ে রাখুন। এবার অন্য একটি কড়াই নিয়ে, তাতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ ভাঁজতে থাকুন। সোনালী রং হয়ে আসলো সেই কড়াইতে গরুর মাংস দিয়ে , হালকা আঁচে ভাজতে হবে। মাংস কাল হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন, খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাংস পুড়ে না যায়। সবশেষে রান্নাটি নামানোর আগে লবণটি চেখে নিন। কালা ভুনার স্বাদ আরো বাড়াতে খাঁটি সরিষার তেল ব্যাবহার করুন।

★৩. গরুর কড়াই গোস্ত

উপকরণ : গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, হলুদ ও গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মাংসের মসলা ১ চা চামচ, দারচিনি ও এলাচ ৩/৪ টুকরো, জয়ফল, জয়ত্রী বাটা ১ চা চামচ, টক দই ১ কাপ, টমেটো কিউব ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, তেল ১ কাপ, রসুন কোয়া ২/৩টি, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : গরুর মাংস মাংস ধুয়ে নিয়ে একটি চালুনি পাত্রে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস, টক দই, লবণ সহ সব মসলা একসঙ্গে ভালো করে মেখে ২০/২৫ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। হাঁড়িতে তেল গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা হালকা বাদামী করে ভেজে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে নেড়ে কষাতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। কিছু সময় পর মাংস সেদ্ধ হল কিনা দেখে নিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে ও মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে রাখতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের কোয়া, টমেটো কুচি হালকা বাদামী করে ভেজে মাংস কড়াইএ দিয়ে ২/৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে গরুর মাংসের মাংসের কড়াই গোস্ত।

★৪. কাটা মসলায় বিফ ভুনা

উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ১ টেবিল চাচমচ, রসুন বাটা আধা টেবিল চামচ, জয়ফল ও জয়ত্রী আধা টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ১/২ টি, শুকনো মরিচ কাটা ১৫/২০টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, টক দই আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি : টক দই দিয়ে মাংস আধা ঘণ্টা ভালো করে মেরিনেট করে রেখে দিতে হবে। চুলায় তেল গরম হলে মাংস ছেড়ে দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। ভাজা হলে পেঁয়াজ কুচি ও শুকনো মরিচ দিতে হবে। এবার সব মসলা মাংসে দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে একটু পানি দিয়ে দমে বসিয়ে রাখতে হবে। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কাটা মসলায় বিফ ভুনা।

★৫. ঝুরি মাংস

উপকরণ : গরুর মাস ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি দেড় কাপ, ১ চা-চামচ আদা বাটা , ১ চা-চামচ রসুন বাটা , লবণ স্বাদমতো, চা-চামচ গোলমরিচ বাটা, ১ চা-চামচ জিরা বাটা, ধনে বাটা ১ চা-চামচ, বাদাম বাটা ১/২ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সরষে বাটা ১/২ চা-চামচ, এলাচি-দারুচিনি-লবঙ্গ কয়েকটা, তেজপাতা ৩-৪টা, তেল ১ কাপ, গরম মসলা গুঁড়া ১/২ চা-চামচ।

প্রণালি: পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ তেলে বাদামি করে ভেজে নিয়ে সব মসলা কষিয়ে নিয়ে মাংস দিয়ে দিতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে। অনেকক্ষণ জ্বাল দিয়ে মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। এবার মাংস নেড়েচেড়ে ঝুরা করে নিতে হবে। অল্প তেলে ১ কাপ পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঝুরা মাংস দিয়ে নাড়তে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে গরম মসলা ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মাংস নামিয়ে নিতে হবে । এভাবেই ঝুরা মাংস রান্না হয়ে গেল। এর পর খাওয়ার আগে গরম করে পরিবেশন করতে হবে।

★৬. গোশত-ভর্তা

উপকরণ: হাড় চর্বি ছাড়া গরু বা খাসির গোশত, ৪ থেকে ৫টা শুকনো মরিচ (বোটাসহ শুকনো মরিচ ভাজতে হবে), ২ থেকে ৩টি কাঁচা মরিচ বোটা ছাড়িয়ে, দুইটি পেঁয়াজ কুচি (পাতলা পাতলা পেঁয়াজ কুচি), লবণ পরিমাণ মতো, রসুন কুচি (পাতলা করে কেটে নিতে হবে) , ১ / ৪ ভাগ গরম মসলা গুঁড়ো, হাফ চা চামচ ভাজা জিরার (জিরা টেলে নিয়ে গুঁড়ো করতে হবে) গুঁড়ো, সরিষার তেল পরিমাণ মতো।

প্রণালি: গোশত রান্না করার পরে হাড় ও চর্বি ছাড়া যে গোশতগুলো থাকে সেগুলো নিয়ে নিতে হবে। ৮ থেকে ১০ পিস গোশত কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে বা চাকু দিয়ে নরম করে নিতে হবে। এবার একটি প্যানে তেল নিয়ে ৪ থেকে ৫টি শুকনো মরিচ ( শুকনো মরিচের বোটা সঙ্গে রেখে ভাজতে হবে, বোটা ফেলে দিলে মরিচে তেল ঢুকবে তবে ভাজার পর আর মচমচে থাকবে না), আর ২ থেকে ৩টি কাঁচা মরিচ (কাঁচা মরিচের পেছন থেকে কেটে ফেলে দিতে হবে, নাহলে তেল ছিটবে) দিয়ে দিবেন। মরিচ ভাজা হলে তুলে নিয়ে দুইটি পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে আর মরিচগুলো লবণ দিয়ে ভেঙ্গে নিতে হবে। মরিচে লবণের পরিমাণ কম দিতে হবে কারণ রান্না করা গোশত লবণ দেওয়া থাকে। পেঁয়াজও হাত দিয়ে ভালো করে চটকে নিতে হবে। পাতলা পাতলা করে রসুন কুচি করে কেটে নিতে হবে আর আদাও পাতলা করে কেটে নিতে হবে। এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ গরম মসলা, হাফ চা চামচ টেলে নেওয়া জিরার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার কুচি করা গোশতগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এর সঙ্গে আরো দিতে হবে সরিষার তেল। তারপর গোশতর সঙ্গে এগুলো খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এভাবে তৈরি হয়ে যাবে গরুর গোশতর মজাদার ভর্তা। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার। এই ভর্তা দিয়ে একবারে অনেক গরম ভাত খাওয়া যায়।

★৭. আচার-ই-মাংস

উপকরণ: গরু বা খাসির মাংস দুই কাপ, আদা বাটা এক চা চামচ. রসুন বাটা এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়ো এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো এক চিমটি, তেজপাতা দুইটা, পাঁচ ফোঁড়ন এক চা চামচ, সরিষা বাটা এক চা চামচ, ভিনেগার এক চা চামচ, গোটা রসুন আধা কাপ, গরম মসলা গুঁড়ো আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ পাঁচ-ছয়টা, সরিষার তেল দুই কাপ, লবণ স্বাদমত।

প্রণালি : একটি প্যানে মাংস নিয়ে তাতে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস সিদ্ধ করে নিতে হবে। এখন অন্য একটি প্যানে দুই কাপ সরিষার তেল গরম করে এতে তেজপাতা শুকনা মরিচ ও পাঁচ ফোঁড়ন দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার সরিষা বাটা, ভিনেগার ও গোটা রসুন দিয়ে নাড়তে থাকুন দুই মিনিটের মতো। এরপর, এর মধ্যে মাংস দিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন। এখন এতে গরম মসলা গুঁড়ো দিন। এভাবে নাড়তে নাড়তে যখন মাংস ভাজা ভাজা হবে ও রসুনগুলো সিদ্ধ হবে তখন নামিয়ে নিন। এবার আচার ঠান্ডা করে যে কোন কাচের পাত্রে রেখে দিতে পারেন তিন চার মাসের জন্য।

★৮. খাসির গ্লাসি কারি

উপকরণ: খাসির মাংস ৭৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ, আস্ত গরম মশলা (দারচিনি, ২ টি, এলাচ ২ টি, লবঙ্গ ৩ টি, গোলমরিচ ৫ টি, তেজপাতা ১ টি)আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১/২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ১ ১/২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, নারিকেল বাটা ১ ১/২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ, গরম মশলা বাটা (দারচিনি ২ টুকরা, এলাচ ২ টি, লবঙ্গ ৩ টি, তেজপাতা ১ টি সব একসাথে বেটে নেয়া), জয়ফল গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, জয়িত্রী গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১/২ চা চামচ, টালা জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবন স্বাদমত, আলুবোখারা ৫ টি, তেল+ঘি মিলিয়ে ৪ টেবিল চামচ

প্রণালি: প্রথমে পাত্রে তেল গরম হতে নিন। এরপর গরম তেলে একে একে পেঁয়াজ কুঁচি এবং আস্ত গরম মশলা দিয়ে দিন। পেঁয়াজের কালার ব্রাউন হয়ে গেলে এর মধ্যে খাসির মাংস ঢেলে দিয়ে তিন চার মিনিট মাংস ভেঁজে নিন। এরপর মাংসে পরিমানমত লবন দিন। মাংস ভাঁজার এই সময় সব বাটা মশলা এবং গুঁড়া মশলা একসাথে মিশিয়ে একটা পেস্টের মত বানিয়ে নিন। এরপর ভাঁজা মাংসের মধ্যে এই মশলার পেস্টটি দিয়ে দিন। এখন সব একসাথে নেড়ে মাংস এবং মশলা একসাথে মিশিয়ে নিন।মাংস বেশ সময় নিয়ে কষিয়ে রান্না করুন। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে গরম পানি যোগ করুন। পাত্র ঢেকে দিয়ে রান্না করুন। মাঝে মাঝে সব নেড়ে দিন যাতে পাত্রের নিচে না লেগে যায়। মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হয়ে এলে আলুবোখারাগুলো দিয়ে দিন। এরপর চুলা বন্ধ করে দিয়ে মাংস চুলার উপর ঢেকে রেখে দিন পরিবেশনের আগ পর্যন্ত। রুটি, পরোটা বা পোলাওর সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

★৯. আফগানি পোলাও-গোশত

উপকরণ : মাংস ১ কেজি, টমেটো ৩টি (ব্লেন্ড করা), পোলাওয়ের চাল ৩ কাপ, রসুন ৪-৫ কোয়া কুঁচি, পেঁয়াজ ৩টি (কুঁচি করা), আদা ১ চা চামচ (কুঁচি করা), ছোট এলাচ ৮টি, গোটা ধনে ১ চা চামচ, জিরা ১ চা চামট, লবঙ্গ ১/২ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, দারুচিনি ৩টি ছোট টুকরো, কাঁচা মরিচ ২-৩টি (কুঁচি করা), গরম পানি ৭ কাপ, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১৫-২০টি, গাজর ১/৪ কাপ জুলিয়ান কাট।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন আদা, রসুন, গোটা গরম মসলা, পেঁয়াজ, ধনে, জিরা ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে ৭ কাপ পানিতে ৩০ মিনিট ধরে মাংস সিদ্ধ করে নিন। এবার মাংসের টুকরোগুলো আলাদা করে রেখে দিন। একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে সোনালি করে ভাজুন। এতে টমোটো কাঁচা মরিচ, লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষান। মসলা কষানো হয়ে এলে তাতে মাংসের টুকরোগুলো যোগ করুন। এর মধ্যে আগে থেকে বানিয়ে রাখা চিকেন স্টক ভালো করে ছেঁকে ঢেলে দিন। এতে চাল মিশিয়ে ফুটতে দিন। যতক্ষণ না চাল সমস্ত স্টক শুষে নিয়ে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে কিশমিশ ছড়িয়ে আরও ২-৩ মিনিট হালকা আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। অল্প ঘিয়ে গাজর ভেজে নিন নরম হওয়া পর্যন্ত। পোলাওয়ের উপর ছড়িয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল আফগানি পোলাও।

★১০. বিফ স্টেক

উপকরণ: বিফ স্টেক- ২ পিস (২ কেজি/ ৯০০ গ্রাম), রসুন বাটা- ১.৫ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা- ২ টেবিল চামচ, অলিভ অয়েল- ২ টেবিল চামচ, ভিনেগার- ২ টেবিল চামচ, সয়া সস- ৩ টেবিল চামচ, লবণ- ১/৪ চা চামচ, মধু- ১ চা চামচ, তেঁতুল- ২ টেবিল চামচ, লালমরিচ গুঁড়ো- ১.৫ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১.৫ চা চামচ।

প্রণালি : একটি বোলে রসুন বাটা, ভিনেগার, সয়া সস, অলিভ অয়েল, সরিষা বাটা, লালমরিচ গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, মধু ও লবণ একসাথে ভালো করে মেশাতে হবে। এবার তাতে তেঁতুল ঢেলে দিতে হবে। আবার ঠিক মতো মিশিয়ে নিয়ে মিক্সচারটি একটি জীপলকড ব্যাগে ঢেলে দিতে হবে। তার মধ্যে বিফ স্টেকের টুকরো দুটি দিয়ে লক আটকে ভালোভাবে নেড়ে মাংসের গায়ে মিক্সচারটি লাগিয়ে নিতে হবে। এবারে ব্যাগটি ফ্রিজে ৮-১২ ঘণ্টা মেরিনেট হতে রেখে দিতে হবে। এখন একটি গ্রিল প্যানে কুকিং স্প্রে দিয়ে তার উপর স্টেক দিয়ে দিতে হবে। দুই পাশ ঠিক মতো উল্টে পাল্টে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে বিফের দুই পাশই রান্না হয়। হয়ে গেলে স্টেক।

শ্রদ্ধেয় পাঠক ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।
ঈদকে আনন্দময় করে তোলার জন্য কষ্ট করে এই মজাদার রেসিপি দিলাম।
ঈদের মহব্বতে সকলে দেখার ও শিখার সুযোগ করে দিতে বেশি করে শেয়ার করুন এবং আপনার মন্তব্য লিখুন।
আপনার প্রয়োজনে টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিন।



রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips

দীর্ঘদিন কোরবানির মাংস সংরক্ষণের সহজ উপায়,,স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কোরবানির মাংস সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করা উচিত। কেননা কোরবানি...
18/06/2024

দীর্ঘদিন কোরবানির মাংস সংরক্ষণের সহজ উপায়,,

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কোরবানির মাংস সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করা উচিত। কেননা কোরবানি ঈদে জবাই করা পশুর মাংস ফ্রিজে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করেন বেশির ভাগ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক উপায়ে মাংস সংরক্ষণ না করা হলে মাংসে জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং পচনের ঝুঁকি তৈরি হয়।
এসব মাংস রান্না করার পর খেতে বিষাদ অনুভূতির হয়। পাশাপাশি পেটের নানা পীড়া এমনকি ডায়রিয়ারও কারণ হয়ে ওঠে। তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে আসুন জেনে নিই, দীর্ঘ সময় মাংস সংরক্ষণের সঠিক উপায়গুলো-

১। কোরবানির মাংস দীর্ঘ সময় ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রথমে মাংসগুলো ছোট ছোট টুকরো করে নিন।

২। টুকরো করা ছোট মাংসে চর্বি লেগে থাকলে সে চর্বি ফেলে দিন।

৩। টুকরো মাংস ভালো করে পানি দিয়ে ২ থেকে ৩ বার ধুয়ে নিন। এরপর ধোয়া মাংসে চাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কিছুক্ষণ বাতাসে মাংস শুকাতে দিন।

৪। মাংসে থাকা পানি ঝরে গেলে ফুড গ্রেডের এয়ার টাইট বক্সে তা সংরক্ষণ করুন।

৫। দীর্ঘ সময় মাংসের গুণগত মান ভালো রাখতে মাংসে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে নিতে পারেন।

৬। এবার ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে পয়েন্ট ৪ অথবা ৫ ডিগ্রি দিয়ে দিন।

৭। রান্নার জন্য মাংস ফ্রিজ থেকে বের করার পর বরফ ভাব ছাড়াতে কখনই পানি দেবেন না। বরং রান্নার ২ ঘণ্টা আগে তা বের করে বাতাসে বক্সের ঢাকনা খুলে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর টুকরো মাংসগুলো স্বাভাবিক অবস্থাতে ফিরে আসবে। এভাবে মাংস রান্নায় সঠিক স্বাদ পাবেন। নয়তো পানি দিয়ে বরফ ভাব ছাড়িয়ে রান্না করলে মাংসের প্রকৃত স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন।

এভাবে মাংস দীর্ঘ সময় ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে মাংসে জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং পচনের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে। সেই সঙ্গে মাংসের গুণগত মানও থাকে অটুট।।



রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips

গরমের এই সময়ে সবাই আরাম দায়ক খাবারের সন্ধান খোঁজে। পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এমন খাবারগুলোই গরমের সময় খাবারের তালিকায়...
30/05/2024

গরমের এই সময়ে সবাই আরাম দায়ক খাবারের সন্ধান খোঁজে।
পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এমন খাবারগুলোই গরমের সময় খাবারের তালিকায় রাখা উচিত। আর গরমে আদর্শ খাবার বলা যায় লাউ। পুষ্টিগুণে ঠাসা সবজি হচ্ছে লাউ। লাউ পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, বি এবং ডি মেলে এতে। লাউ ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট, আয়রন এবং পটাশিয়াম চমৎকার উৎস। নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে উপকারী লাউ খাওয়ার বিকল্প নেই। আর এই উপকারী সবজি খাওয়া যায় নানারকমভাবে রান্না করে।
যেমন লাউয়ের ডাল, লাউ ভাজি, লাউ চিংড়ি আরও অনেক ধরনের রান্না করা যায় লাউ দিয়ে। তেমনি আরেকটি সুস্বাদু খাবার হলো লাউ দিয়ে মুরগির মাংস। কি শুনেই খেতে ইচ্ছে হচ্ছে, তাহলে রেসিপি জেনে ঝটপট রান্না করে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন লাউ-মুরগি।

যা যা লাগবে—

বড় বড় করে কাটা লাউ, হাড়-সহ মুরগির মাংস, তেল, পেঁয়াজ কুচি, লবণ, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, ভাজা জিরের গুঁড়ো, তেজপাতা, গরম মশলা, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ।

পদ্ধতি: প্রথমেই লাউ কিউব করে কেটে নিতে হবে। মাংসের সঙ্গে যখন দিচ্ছেন, একটু বড় টুকরো করে কাটতে হবে। কেউ খোসাসহ লাউ পছন্দ করেন, কারও আবার খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া লাউ পছন্দ। আপনার যেমন ভালো লাগে সেভাবে কেটে ধুয়ে এক পাশেই রেখে দিন। এবার একটি কড়াই নিয়ে তাতে তেল গরম করতে দিয়ে দিতে হবে। এরপর দিতে হবে কুচি করে কাটা পেঁয়াজ। দুটো তেজপাতাও দিতে হবে। এবারে আদা বাটা, রসুন বাটা, গরম মসলা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো আর লবণ দিয়ে কষাতে থাকুন। স্বাদ সমন্বয় করতে খুবই সামান্য চিনি দিতে পারেন।

একটা সময় কষা মশলা থেকে তেল বেরিয়ে আসতে থাকবে। আগে থেকে ধুয়ে রাখা মাংস দিয়ে দিতে হবে। একটু একটু করে ঢাকা দিয়ে কষাতে হবে। প্রয়োজনে একটু জলও দিতে পারেন। মাংস খুব বেশি শুকোতে শুরু করলে লাউয়ের টুকরোগুলো ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে। এবারে মিনিট ১০-১৫ ঢাকনা দিয়ে রাখুন। লাউ সিদ্ধ হবে আবার পানিও ছাড়বে। এবার তরকারির অবস্থা বুঝে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিন। ফুটতে দিন প্রায় ১৫ মিনিট। নামানোর ঠিক আগে বা আঁচ বন্ধ করে ফুটন্ত তরকারির ওপর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে হবে।

বন্ধুরা ভাল লাগলে শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন।
কমেন্ট করে মতামত জানান।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips



মূল্যবোধ
25/05/2024

মূল্যবোধ

25/05/2024

কাঁঠালের এই অংশ টা ভুলেও ফেলে দিবেন না।
এটা দিয়ে দুর্দান্ত স্বাদের এই রেসিপি বানিয়ে সবাইকে চমকিয়ে দিন।



রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips

24/05/2024

গরমের মৌসুমে বাহারী ফলের সম্ভার
এসময়ে বাসায় পরিবারের সকলকে নিয়ে খেতে পারেন নানান রসালো ফলে ও ফলের ভর্তা। তৈরী করে রাখতে পারেন লোভনীয় আচার।

কাঁচা আমের ( Mango ) ভর্তা - শুকনো মরিচ দিয়ে
কেমন আছেন প্রিয় ভিউয়ার ? আশা করি সবাই শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।
ঘরে বসে সবাই হইত একটু অলস হয়ে যাচ্ছেন, আমি কিন্তু নানান রকম খাবার তৈরি করে সময় কাটাচ্ছি।

আজকে আপনাদের বলব কিভাবে শুকনো মরিচের গুড়ো দিয়ে কাঁচা আমের ভর্তা তৈরি করতে হয়, এটা খুব সহজ এবং দক্ষিন এশিয়ায় খুব জনপ্রিয়।

তার আগে আসুন একটু জেনে নিব এই "আম" সম্পর্কেঃ
আম (ইংরেজি- Mango), দক্ষিণ এশিয়ায় এক প্রকারের সুস্বাদু ফল। কাঁচা অবস্থায় রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ এবং কমলা রং হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে আমকে ফলের রাজা ভলা হয় ।

বাংলাদেশে যে প্রজাতির আম চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica। এটি Anacardiaceae পরিবারের সদস্য।
তবে পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে। আমের বিভিন্ন জাত আছে, যেমন ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাঙ্গা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি।
ভারতের মালদহ , মুর্শিদাবাদ-এ প্রচুর পরিমাণে আম চাষ হয়ে থাকে। আম গাছকে বাংলাদেশের জাতীয় গাছের প্রতীক হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষ বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। পাকা আমাএর স্বাদ মধুর মত, অনেকে টক মিষ্টি পছন্দ করে আব্র অনেকে শুধু মিষ্টি, আর সবাই বলে ‘ফলের রাজা’। এবং বাংলাদেশে আম গাছকে বলা হয় জাতীয় গাছ।

এখন আসুন এই সুস্বাদু ফলের ভর্তা তৈরি করার নিয়ম জেনে নেই...
আমের ভর্তা তৈরি এর জন্য আপনার লাগবে পরিমাণ মত আম, শুকনো মরিচ, চিনি, লবণ এবং পেঁয়াজ।

১) প্রথমে আমগুলো ভালভাবে দুয়ে নিবেন তারপর চামড়া ছিলে নিতে হবে পাতলা করে।

২) তারপর একই নিয়মে চাইলে আম গুলোকে পাতলা পাতলা স্লাইস করে নিতে পারেন।
৩) শুকনো মরিচ গুলো চুলাই ভাল করে শুকিয়ে ব্যেলেন্ডার এ ব্লেন্ড করে পাউডার করে নিতে পারেন অথবা হাতে কচলিয়েও নিতে পারেন।

৪) তারপর সব উপকরণ পেঁয়াজ, শুকনো মরিচের গুড়ো, লবণ, চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
(আমি আখের চিনি ব্যাবহার করি)
তবে পেঁয়াজ ছাড়াও বানাতে পারেন। এটাও একটা ভিন্ন স্বাদের হবে।

৫) ভাল করে মিশিয়ে নিলেই আসল স্বাদ পাওয়া যাবে, হালকা ঠান্ডা করে খেতে পারেন।

বিঃদ্রঃ খাওয়ার পর বুক জ্বালাপোড়া করলে একটি গেস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন
যারা ভর্তা পছন্দ করেন এবং টক ঝাল মিষ্টি খেতে ভালবাসেন তাদের ভাল লাগবে।
আর কোন ফলের ভর্তা অথবা কোন খাবার এর রান্না পক্রিয়া জানতে চাইলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন।
রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips

24/05/2024
গরমে বাড়িতে বানান আম পোড়া শরবত, রইল সহজ রেসিপি…উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গরমকালের জন্য আদর্শ কাঁচা আম পোড়ার শরবত। গ...
19/05/2024

গরমে বাড়িতে বানান আম পোড়া শরবত, রইল সহজ রেসিপি…

উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গরমকালের জন্য আদর্শ কাঁচা আম পোড়ার শরবত। গরম যতই অসহনীয় হোক, শুধু আমের স্বাদ নেওয়ার জন্য সহ্য করে নেওয়া যায়। অনেকের কাছে গ্রীষ্মকাল প্রিয় হওয়ার একটাই কারণ আম। কীভাবে বানাবেন আম পোড়া শরবত? জেনে নিন সহজ রেসিপি…

উপকরণ:

২টি কাঁচা আম

৫ টেবিল চামচ চিনি

১ টেবিল চামচ ভাজা জিরে গুঁড়ো

আধ চা চামচ বিটনুন

২ কাপ জল

প্রয়োজন মতো বরফের টুকরো

প্রণালী:

গ্যাসের আগুনে দুটো কাঁচা আম প্রথমে ভাল করে পুড়িয়ে নিতে হবে। নরম হয়ে এলে খোসা ছাড়িয়ে আমের ক্বাথ বার করে অন্য একটি পাত্রে রাখুন। এ বার মিক্সিতে সেদ্ধ করা আমের ক্বাথ, ভাজা জিরে গুঁড়ো, বিটনুন এবং জল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি তরল মিশ্রণ বানিয়ে নিলেই আমপোড়া শরবত তৈরি। তরল মিশ্রণ মিক্সি থেকে নামিয়ে গ্লাসে উপর থেকে ভাজা জিরে গুঁড়ো এবং বরফকুচি ছড়িয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

জান্নাতুল নাঈম,,,
Jannatul Naem

প্রয়োজনে
আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিন।

বন্ধুরা নিয়মিত লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips



গরমে খেতে পারেন ডালবাহার, জেনে নিন রেসিপিউপকরণ: মটরের ডাল ২০০ গ্রাম, মিষ্টিকুমড়া ১ ফালি, ডগাসহ মিষ্টিকুমড়ার শাক ১ আঁটি, ...
19/05/2024

গরমে খেতে পারেন ডালবাহার, জেনে নিন রেসিপি

উপকরণ: মটরের ডাল ২০০ গ্রাম, মিষ্টিকুমড়া ১ ফালি, ডগাসহ মিষ্টিকুমড়ার শাক ১ আঁটি, পটোল ৩টি, কাঁকরোল ২টি, ঝিঙে ১টি, মুলা ২টি, মিষ্টি আলু ২টি, কাঁচা মরিচ ১০–১২টি, শুকনা মরিচ ২–৩টি, তেজপাতা ২–৩টা, পাঁচফোড়ন ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ ১ চা-চামচ।

প্রণালি: মটর ডাল সিদ্ধ করে নিন। ওপরের সব সবজি ও শাক পরিষ্কার করে মাপমতো কেটে নিন। সিদ্ধ ডালে পরিমাণমতো পানি দিন। এবার কড়াইয়ে লবণ, হলুদ ও কাঁচা মরিচ ঢেলে দিয়ে ডালটাকে আগুনের আঁচে ফুটতে দিন। তারপর একে একে সবজিগুলো পাত্রে ঢালুন। সবজি আধা সিদ্ধ হয়ে এলে কড়াইয়ে কুমড়ার শাক ঢেলে দিন। এরপর পরিমাণমতো চিনি মেশান। সবজি ও শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে ডালটা নামিয়ে রাখুন। এবার অন্য একটা কড়াই চুলায় দিন। কড়াইতে ঘি ঢেলে আগুনের আঁচ দিন। ঘি গরম হয়ে গেলে তাতে শুকনা মরিচ, তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিন। গন্ধ বের হলে আগে তুলে রাখা ডাল, শাক ও সবজি পরের পাত্রটিতে ঢালুন এবং নাড়ুন। ৩ থেকে ৪ মিনিট ধরে ফোটার সময় দিন। তারপর আগুন নিভিয়ে দিয়ে আরও ৩ থেকে ৪ মিনিট পাত্রটি ঢেকে রাখুন।

জান্নাতুল নাঈম,,,
Jannatul Naem

প্রয়োজনে
আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিন।

বন্ধুরা নিয়মিত লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips



15/04/2024

তীব্র গরমের তীব্রতা মোকাবেলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

তাপমাত্রা বৃদ্ধি:
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ অনেক দেশে তীব্র গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৪০° থেকে ৫০° সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

সতর্কতা অবলম্বন:
প্রচন্ড গরমে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

চিকিৎসকদের মতামত:
৪০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খুব ঠান্ডা পানি পান করা নিষিদ্ধ।
এটি রক্তনালী সংকুচিত করে হঠাৎ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

করণীয়:
ঘরে থাকা:
যখন তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াসের বেশি হয়, ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় থাকুন।

শরীর ঠান্ডা রাখা:
ঠান্ডা পানি পান এড়িয়ে যান।
স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি অথবা ঈষদুষ্ণ পানি ধীরে ধীরে পান করুন।

গোসল:
ঘরে এসে হাত-পা-মুখ ধোয়ার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
দেহকে ঘরের তাপমাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে দিন।
হাত-মুখ ধোয়া বা গোসলের আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

হাইড্রেটেড থাকা:
অল্প অল্প করে বারবার স্বাভাবিক পানি পান করুন।
জ্যুস বা অন্যান্য পানীয় এড়িয়ে চলুন।
স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত (যদি অন্য কোন কারণে নিষিদ্ধ না হয়) পান করতে পারেন।
তবে পরিমাণে সীমাবদ্ধ রাখুন।

খাবার:
হালকা খাবার খান।
তেল-মাখা খাবার এড়িয়ে চলুন।
প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান।

পোশাক:
হালকা, সুতির পোশাক পরুন।
গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলুন।

বাইরে যাওয়া:
প্রয়োজনেই বাইরে যান।
বাইরে গেলে মাথায় টুপি, চোখে রোদচশমা এবং হাতে ছাতা ব্যবহার করুন।

শিশু ও বয়স্ক:
শিশু ও বয়স্কদের বিশেষভাবে নজর রাখুন।
তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে উৎসাহিত করুন।

অসুস্থতা:
তীব্র গরমে অসুস্থতা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন।

বর্জনীয়:
ঠান্ডা পানি:
প্রচন্ড গরমে বা অত্যধিক ক্লান্ত অবস্থায় বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজ এর পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

তথ্যসূত্র: বিশেষজ্ঞদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য।

ইফতারে মজাদার ক্যাশুনাট সালাদসালাদ একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। ইফতারে তাজা সবজিতে তৈরি সবজি যেমন পেট ভরতে সাহায্য করে তেম...
17/03/2024

ইফতারে মজাদার ক্যাশুনাট সালাদ

সালাদ একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। ইফতারে তাজা সবজিতে তৈরি সবজি যেমন পেট ভরতে সাহায্য করে তেমন শরীরে ভিটামিন, খনিজ সহ নানারকম প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। কাজু বাদাম অত্যন্ত উপকারী এক খনিজ খাদ্য। যা নিউট্রেশন এবং উপকারী চর্বিতে পরিপূর্ণ। ক্যাশুনাট সালাদ এমন এক খাদ্য যা’তে পেটও ভরে এবং পুষ্টিও সরবরাহ করে। তাই ঝটপট ইফতারে বানিয়ে ফেলুন মজাদার এই রেসিপিটি।

উপকরণ:
১. কাজু বাদাম- ১ কাপ
২. গাজর- বড় ১ টি
৩. শসা- ১ টি
৪. ঘি- ১ চা চামচ
৫. মেয়োনিজ- ১/২ কাপ
৬. মুরগি – বুকের এক পাশ ( কুচি ১ কাপ)
৭. টমেটো সস- ১ টেবিল চামচ
৮. টমেটো-১টি
৯. বাঁধাকপি কুচি-১/২ কাপ
১০. রঙিন ক্যাপসিকাম- ছোট ১ টি বা বড় ১/২ টি
১১. তেল- পরিমাণ মতো
১২. লবণ- স্বাদমতো
১৩. চিনি- সামান্য
১৪. হলুদ গুড়া- ১/২ চা চামচ
১৫. মরিচ গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৬. ধনিয়া গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৭.গরম মশলা গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৮. জিরা গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৯. আদা বাটা- ১/৪ চা চামচ
২০. রসুন বাটা- ১/৪ চা চামচ
২১. পেঁয়াজ বাটা- ১ চা চামচ
২২. সয়া সস- ১.৫ চা চামচ
২৩. সুইট চিলি সস- ১ টেবিল চামচ
২৪. লেবুর রস- ১ টেবিল চামচ
২৫. পুদিনা কুচি-১ টেবিল চামচ
২৬. ধনিয়া পাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ
২৭. কাঁচা মরিচ- স্বাদমতো
২৮. পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
২৯. ডিম-১টি
৩০. বিট লবণ- স্বাদমতো

১. মুরগিকে ছোট ছোট করে কেটে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ ছেঁকে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

২. একটি পাত্রে মুরগির সাথে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া, গরম মশলা গুড়া, হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, ১ চা চামচ তেল, সামান্য চিনি এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজে কমপক্ষে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে।

৩. এবার টমেটো, ক্যাপসিকাম, গাজর ও শসা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। সবগুলো সবজি মিহি কুচি করে এক সমান আকারে কেটে নিতে হবে। কাটার পর একটি বড় পাত্রে বাঁধাকপি ও অন্যান্য সবজিগুলোকে একত্রিত করে নিতে হবে। সালাদের সবজি কুচি করার পর খালি হাতে ধরা যাবে না।

এরপর থেকে সব কাজ চামচের সাহায্যে করতে হবে।

৪. ফ্রিজ থেকে বের করে সয়া সস এবং একটি ডিম ফেটিয়ে মাংসের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি ফ্রায়িংপ্যানে ৩ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হলে লো টু মিডিয়াম আঁচে একে একে মাংসের টুকরো গুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

৫. মাংস তুলে সেই তেলে ঘে ঢেলে দিন। গরম হলে তাতে পরিষ্কার কাজু বাদামগুলো ভেজে নিন। হালকা বাদামি রঙ হলে নামিয়ে নিন।

৬. সবজির বাটিতে কাজু মিশিয়ে দিন। তাতে একে একে মেয়োনিজ, টমেটো সস, সুইট চিলি সস, বিট লবণ, পেঁয়াজ কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একটি বড় চামচ বা স্প্যাচুলা দিয়ে ভালো করে সব কিছু মিশিয়ে নিন।

পরিবশেন করুন আমিষ, খনিজ এবং নিউট্রেশনে ভরা মজাদার ক্যাশুনাট সালাদ।

Jannatul Naem
প্রয়োজনে
আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিন।

বন্ধুরা নিয়মিত লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips



গরমে রোজা রেখে ইফতারের সময় প্রশান্তির জন্য তৃপ্তিদায়ক কিছু খেতে হবে। তা না হলে দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এবার জেন...
17/03/2024

গরমে রোজা রেখে ইফতারের সময় প্রশান্তির জন্য তৃপ্তিদায়ক কিছু খেতে হবে। তা না হলে দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এবার জেনে নিন এই গরমে ইফতারে যেসব শরবত প্রশান্তি এনে দেবে।

লেবুর শরবতঃ

গরমের সময় এই শরবতটি খুবই তৃপ্তিদায়ক। লেবুর শরবতে পরিমাণ মতো চিনি দিন। এতে স্বাব বাড়বে। সঙ্গে দু-একটা পুদিনা পাতাও দিতে পারেন।

আমের শরবতঃ

আমের আমাদের সবারই প্রিয়। এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। এই আম লবণ, চিনি, জিরা, পুদিনা পাতা আর বরফ কিউব দিলেই কাঁচা আমের শরবত।

পুদিনার শরবতঃ

গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে দুর্দান্ত কাজ করে পুদিনা। পুদিনার শরবত বানাতে পুদিনা পাতা আর লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর তাতে পরিমাণ মতো পানি ঢালুন, বিট লবণ ও অল্প চিনিও দিতে পারেন। শেষে বরফ দিয়ে খেয়ে নিন।

ঘোলঃ

ঘোলও ইফতারের তৃপ্তি এনে দেবে। টক দই গুলিয়ে তার মধ্যে একটু লবণ আর মিষ্টি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

তরমুজের শরবতঃ

তরমুজে পানির পরিমাণ থাকে প্রচুর। তাই গরমে এই ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তরমুজ ব্লেন্ড করে তাতে বরফ, লবণ,চিনি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ব্লেন্ড করে নিন।

বেলের শরবতঃ

গরমে পেট ঠান্ডা করতে বেলের শরবতের জুড়ি নেই। চিনি, পানি আর অল্প লবণ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন। কিছুক্ষণ ফ্রিজে ঠান্ডা করুন। হয়ে যাবে তৃপ্তির শরবত।

Jannatul Naem

 #প্রয়োজনিয় কিছু টিপসজেনে রাখা ভালো 🍀পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পত্রিকা দিয়ে মুড়ে রাখুন।ভাল...
17/03/2024

#প্রয়োজনিয় কিছু টিপস
জেনে রাখা ভালো
🍀পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পত্রিকা দিয়ে মুড়ে রাখুন।ভালো থাকবে।
🍀সেমাই রান্নার আগে তেল অথবা ঘি তে ভেজে নিন। তাহলে রান্নার সময় সহজেগলে যাবে না।
🍀কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে পানি শুকিয়ে কাপড়ে বা কাগজের প্যাকেটে সংরক্ষণ করলে বেশিদিন ভালো থাকবে।
🍀কাচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে অনেক সময় ফেটে যায়। তাই গরম কিছু ঢালবার আগে গ্লাসে একটি চামুচ রেখে ঢাললে গ্লাস ফাটবে বা।
🍀পাকা টমেটো ঘরে রাখলে নরম হয়ে যায়। নরম টমেটো গুলো শক্ত করতে চাইলে কিছু সময় লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন টমেটো শক্ত হয়ে উঠেছে।
🍀নুডুলস সেদ্ধ করার সময় পানিতে সামান্য রান্নার তেল দিন।এতে নুডুলস ঝরঝরা হবে।
🍀ডালের কৌটায় কয়েকটি শুকনো নিমপাতা বা শুকনো মরিচ রাখলে সহজে পোকা ধরবে না।
🍀আচারের বয়ামে আচার ভরার আগে বয়ামের একদম নিচে এবং আচার ভরার পর আচারের উপরে এক চিমটি করে লবন দিয়ে রাখলে আচারে ফাংগাস পড়বে না।
🍀সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে এক চিমটি চিনি দিন।
🍀ঢেড়স রান্নার সময় এতে এক চামুচ দই দিন।আঠালো ভাব কমে আসবে।
🍀মাছ ভাজার সময় তেল ছিটকে গায়ে পড়ে। এ সময় একটু লবন ছড়িয়ে দিন।তাহলে তেল আর ছিটকাবে না।
🍀কড়াই ফ্রাইপ্যানে খাবার পুড়িয়ে ফেললে দাগ পড়ে যায়। সেই দাগ দূর করতে কুচানো কিছু পেঁয়াজ দিয়ে গরম পানি ঢেলে দিন।পোড়া দাগ চলে যাবে।
🍀কেক পুডিং সমানভাবে কাটতে চাইলে চাকুটি গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
🍀চিনির পাত্রে দু চারটা লবংগ দিয়ে রাখলে পিপড়া ঢুকবে না।
🍀দেশলাই বক্সে কয়েকটি শুকনো চাল রেখে দিলে বষাকালে ও দেশলাই কাঠির বারুদ ভালো থাকবে।
🍀কিসমিশে অনেক সময় ময়লা ছাতা ধরে যায়। ময়দা মাখিয়ে রাখলে তা ধরবে না। অনেক দিন ভালো থাকবে।
🍀মাছ নরম হলে ভাজার সময় একটু ময়দা বা চালের গুড়া মাখিয়ে ভাজুন।মাছ সহজে ভেঙে যাবে না।ও মুচমুচে হবে।
🍀দুধ দিয়ে সেদ্ধ না করে পানি দিয়ে সেদ্ধ করলে গাজরের হালুয়ার রং অনেক সুন্দর হয়।
🍀ভাত রান্নার সময় পানিতে কয়েক ফোটা লেবুর রস অথবা এক চামুচ রান্নার তেল দিয়ে দিন।তাহলে ভাত সুন্দর ঝরঝরা হবে।
🍀মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসা সহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারিতে দিন।
🍀ভাত, পোলাও,বিরিয়ানি,বা চাল জাতীয় কোন খাবার পুড়ে গেলে এর পোড়া গন্ধ দূর করতে প্রথমেই যে হাঁড়িতে পোড়া লেগেছে সেখানে থেকে খাবার সরিয়ে অন্য একটি পাত্রে রাখুন। এবং তার উপর এক টুকরো পাউরুটি রাখুন।পোড়া গন্ধ শুষে নিবে পাউরুটি।
🍀ফ্লাক্সের ভিতর অংশ ভালো ভাবে ধুতে হলে ফ্লাক্সে গরম পানি ভর্তি করুন। তাতে কয়েক টুকরো কাগজ ফেলে দিন।ঘন্টা খানেক পর ভালো ভাবে ঝাকিয়ে পানি ফেলে দিন। ভেতরের যাবতিয় নোংরা পরিস্কার হয়ে যাবে।
🍀ডিম সেদ্ধ করার সময় সামান্য পরিমাণ লবন দিন।এতে খোসা ছাড়ানো সহজ হবে। এবং তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে।
🍀বিস্কুটের পটে সামান্য চিনি দিয়ে রাখলে বিস্কুট মুচমুচে থাকবে। বিস্কুটের পট ফ্রিজে রাখলে ও বিস্কুট মুচমুচে থাকবে।
🍀ভাজার জন্য কেটে রাখা বেগুন বেশ কিছুক্ষণ আগে লবন হলুদ মাখিয়ে রাখলে তেল কম লাগে।
🍀চাল ধোয়া পানিতে স্টিল ও কাঁচের প্লেট গ্লাস কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিলে প্লেট গ্লাস ঝকঝকে হবে।
🍀বেগুনি বানানোর সময় বেগুন কেটে ধুবেন না।ধুয়ে কাটবেন।তাহলে বেগুনের গায়ে ভালো ভাবে বেসন লেগে যাবে।
🍀লেবু কাটার আগে কুসুম গরম পানিতে ঘন্টা খানেক ডুবিয়ে রাখলে লেবুর রস বেশি হয়।
🍀কাঁঠালের বিচির লাল পাতলা খোসা পরিস্কার করতে চাইলে মিনিট দশেক কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পাটায় ঘষে নিন।খুব সহজেই পরিস্কার হয়ে যাবে।
🍀ডিম সেদ্ধ করার পর গরম পানি থেকে উঠিয়ে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রেখে ঠান্ডা করে নিলে খোসা ছাড়াতে সুবিধা হয়।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
ধন্যবাদ।
Jannatul Naem

প্রয়োজনে
আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিন।

বন্ধুরা নিয়মিত লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips



বসন্ত ঋতু। এ সময় শরীরের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। শরীর যদি সুস্থই না থাকে তাহলে বসন্তকে উপভোগ করাটাই মাটি হয়ে যা...
04/03/2024

বসন্ত ঋতু। এ সময় শরীরের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। শরীর যদি সুস্থই না থাকে তাহলে বসন্তকে উপভোগ করাটাই মাটি হয়ে যাবে। আর সেজন্য আপনার খাদ্যাভ্যাসে কী কী থাকতে পারে তার একটি তালিকা দেওয়া হল—

• ঘরে দই বানিয়ে খেতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
• ওটস বা বার্লির মধ্যে রয়েছে বিটা-গ্লুকান ফাইবার। যা শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা, হারপিস, অ্যানথ্রাক্স ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। ক্ষত সারাতে ও অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে ভালো কাজ করে ওটস বা বার্লি।

• রসুনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কথা কার অজানা। প্রতিদিন রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। কোল্যাটারাল ক্যানসার, পাকস্থলী ক্যানসার রুখতেও উপকারী রসুন। তাই রসুন রাখুন পাতে।
• সামুদ্রিক মাছ সবসময়ের জন্যই ভাল। তাই ইলিশ, স্যালমন, ম্যাকরেল, চিংড়ি, কাঁকড়া খেতে পারেন নিয়ম করে। যা ফুসফুসে সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে।
• চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন প্রতি দিন পাঁচ কাপ করে ব্ল্যাক টি টানা দু’সপ্তাহ ধরে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়। ব্ল্যাক টি-র মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এল-থিয়ানিন অ্যামাইনো অ্যাসিড যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
• পরিমিত হারে লাল মাংস খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতিও মেটাবে।
• বসন্তের ডায়েটে রাখুন রাঙা আলু। বিটা ক্যারোটিন যুক্ত এ খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ।

• মাশরুম রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার কাউন্ট বাড়াতে দারুণ উপকারী মাশরুম। চিকিৎসকরা বহুদিন ধরেই মাশরুমের উপকারিতার কথা বলে আসছেন। বসন্তে প্রতিদিনের ডায়েটে মাশরুম যে কোনোভাবে রেসিপি করে খেতে পারেন। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন।

প্রয়োজনে
আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিন।

বন্ধুরা নিয়মিত লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips



Address

Rangamati
4500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রান্নার রেসিপি এন্ড টিপস- Cooking & Tips posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share