বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে মৌলিক বৌদ্ধধর্ম পুনর্জাগরণে অগ্রদূত, জগদ্দূর্লভ অর্হৎ শ্রাবকবুদ্ধ পরমপূজ্য শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভন্তে)। তিনি ১৯৪৯ সালে প্রব্রজ্যিত হন এবং ১৯৬১ সালে উপসম্পদা লাভ করেন। ১৯৭০ সালে “স্থবির” হলে প্রব্রজ্যা প্রদান করতে শুরু করেন এবং তাঁর শিষ্য শ্রামণদেরকে উপসম্পদা দেওয়ারও শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁর শিষ্যসংঘ অভিবৃদ্ধি লাভ করার ফলে বিশেষত ঊনবিংশ শতাব্দির শে
ষান্তে এসে বিশাল ভিক্ষুসংঘ সৃষ্টি হয় । তিনি ৩০ জানুয়ারী ২০১২ সালে পরিনির্বাণ লাভ করেন। থেরবাদ বিনয় অনুসারে তাঁর উত্তরসূরী শিষ্যসংঘের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির মহোদয়কে “শিষ্যসংঘের প্রধান” তথা রাজবন বিহার আবাসিক প্রধান হিসাবে অধিষ্ঠিত করা হয়।
বলাবাহুল্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে নিঃসন্দেহ একটি অঘোষিত বিশাল বৌদ্ধ-ভিক্ষু সংগঠন (অরাজনৈতিক)। তাই তথাগত ভগবান বুদ্ধের বিনয়-আদর্শ ও পরমপূজ্য বনভন্তের অনুশাসিত ভিত্তিক গত ১১ জুলাই ২০১৬ইং তারিখে “বনভন্তের শিষ্যসংঘ বাংলাদেশ” নামে একটি অরাজনৈতিক বৌদ্ধভিক্ষু সংগঠনরূপে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি আত্মপ্রকাশ করা হল।