Venareble Indachariye

07/02/2023

My new video 🥰🥰🥰

13/05/2022

শুভ জন্মদিন - বা ভ্যাং প্যাগোডায় 2022 সালের বুদ্ধের জন্মদিনে বহুজাতিক পোশাকে 40,000 জনেরও বেশি লোক সমাগম হয়েছে।
---
বিশ্বের বিভিন্ন জাতি ও দেশের রঙিন পোশাকে সজ্জিত, সারা বিশ্ব থেকে 40,000-এরও বেশি মানুষ এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বা ভাং প্যাগোডায় বুদ্ধের জন্মদিন 2022-এ সাগ্রহে যোগ দেয়।

ভিয়েতনামী আও দাই, থাই, মং, ডাও, মুওং এর ঐতিহ্যবাহী পোশাক.... জাপানের কিমোনো পোশাক, কোরিয়ার হ্যানবোক, ভারত থেকে শাড়ি এবং থাইল্যান্ড, রাশিয়া, লাওস-এর মতো অন্যান্য দেশ থেকে... একটি পূর্ণ স্থান তৈরি করেছে। রং, বিশ্বের লক্ষ লক্ষ বৌদ্ধদের বুদ্ধের জন্মদিন উদযাপনের চেতনাকে উজ্জ্বল করে।

পরিচালনা পরিষদ আপনাকে এবং আপনার বন্ধুদের নীচের ছবিতে এই সুন্দর পোশাকগুলি দেখতে আমন্ত্রণ জানাতে চাই!

20/03/2022

❤️❤️❤️ শুভ সকাল ❤️❤️❤️
কাপ্তাই লেক

23/02/2022

Bowling the happyness

27/06/2020

জানা ও দেখা
T
মূল পাতা
searchখোঁজ সাহায্য
format_sizeফন্ট সাইজ
bookmark_borderবুকমার্ক
noteনোট সমগ্র
styleথিম নির্ধারণ
help_outlineসাহায্য নিন
personআমাদের সম্পর্কে
সূচিপত্র
দেশনা ১
কীভাবে আনাপানস্মৃতিকে অর্পণা ধ্যানে উন্নীত করা যায়
ভূমিকা
কেন ভাবনা করবেন?
ভাবনা কী?
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ
সমাধি কীভাবে বাড়ানো যায়
আনাপানস্মৃতি
কীভাবে আপনি পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের মাঝে সমতা আনয়ন করবেন
কীভাবে আপনি সপ্ত বোধ্যঙ্গকে সমতায় আনবেন
কীভাবে আপনি ধ্যান লাভ করবেন
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ১
দেশনা ২
অন্যান্য বিষয় নিয়ে ধ্যান
দেহের বত্রিশটি অংশ
নির্বাণের তিন প্রবেশপথ
কঙ্কাল
ধ্যানের পাঁচটি অঙ্গ
দশবিধ কৃৎস্ন
বর্ণ কৃৎস্ন
সাদা কৃৎস্ন
পৃথিবী কৃৎস্ন
পানি কৃৎস্ন
আগুন কৃৎস্ন
বাতাস কৃৎস্ন
আলো কৃৎস্ন
আকাশ কৃৎস্ন
চার অরূপ ধ্যান
অসীম আকাশ ভূমি (আকাশ-অনন্ত-আয়তন)
অসীম চেতনাভূমি (বিজ্ঞান-অনন্ত-আয়তন)
শূন্যভূমি (আকিঞ্চনায়তন)
সংজ্ঞা-অসংজ্ঞাহীন ভূমি (নৈবসংজ্ঞা-নাসংজ্ঞায়তন)
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ২
দেশনা ৩
ব্রহ্মবিহার ভাবনা ও আরক্ষা ভাবনা
মৈত্রী-ভাবনা
আপনার পছন্দের এবং সম্মানিত ব্যক্তির প্রতি মৈত্রীভাব
ভেদাভেদের সীমা ভেঙে ফেলা (সীমাসম্ভেদ)
বাইশটি শ্রেণি
অনির্দিষ্ট এবং নির্দিষ্ট শ্রেণি
দশ দিকনির্দেশক শ্রেণি
করুণা ভাবনা
মুদিতা-ভাবনা
উপেক্ষা-ভাবনা
চারিটি আরক্ষা ভাবনা
বিরূপতা ভাবনা (অসুভ)
মৃত্যু-ভাবনা (মরণানুস্মৃতি)
সারমর্ম
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ৩
দেশনা ৪
কীভাবে রূপকে দেখবেন
চার ধাতু ভাবনা
রূপকলাপ বিশ্লেষণ
স্বচ্ছ ধাতুরূপের বিশ্লেষণ
চোখের মধ্যে চুয়াল্লিশ প্রকার রূপ
চিত্ত দ্বারা উৎপন্ন রূপ (চিত্তজ-রূপ)
ঋতু দ্বারা উৎপন্ন রূপ (ঋতুজ-রূপ)
আহার দ্বারা উৎপন্ন রূপ (আহারজ-রূপ)
সারাংশ
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ৪
দেশনা ৫
কীভাবে আপনি নামকে দেখবেন
ধ্যান-চিত্তবীথি
কামাবচর-বীথি
যোনিশ এবং অযোনিশ মনস্কার
মনোদ্বার-চিত্তবীথি
পঞ্চদ্বার-চিত্তবীথি
বাহ্যিক নামকে দেখা
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ৫
দেশনা ৬
প্রতীত্যসমুৎপাদ-নীতি
প্রতীত্যসমুৎপাদ-নীতির তিন বৃত্ত (ত্রিবর্ত)
অতীতকে দেখা
মরণাসন্ন-জবনের বিষয়বস্তু তিন ধরনের হতে পারে :
বাস্তব উদাহরণ
ভবিষ্যৎকে দেখা
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ৬
দেশনা ৭
বিদর্শন জ্ঞান ও নির্বাণ
সংমর্শন জ্ঞান (বুঝার বা উপলব্ধির জ্ঞান)
অনিত্যতার দশ প্রকার অনুদর্শন :
দুঃখের পঁচিশ প্রকার অনুদর্শন :
অনাত্মের পাঁচটি অনুদর্শন :
সপ্ত রূপ-পদ্ধতি
সপ্ত অরূপ-পদ্ধতি (অরূপ-সত্তক)
উদয়-ব্যয় জ্ঞান
সংক্ষিপ্ত উপায়
বিস্তারিত উপায়
উৎপত্তি স্বভাবকে দেখা (সমুদয়ধম্মানুপস্সি)
বিলয় স্বভাবকে দেখা (বয়ধম্মানুপস্সি)
উৎপত্তি-বিলয় স্বভাবকে দেখা (সমুদয়বয়ধম্মানুপস্সি)
দশ উপক্লেশ (বিদর্শনের দশটি অপূর্ণতা)
ভঙ্গ জ্ঞান (বিলুপ্তি জ্ঞান)
অবশিষ্ট জ্ঞানগুলো
প্রশ্নোত্তর পর্ব - ৭
জানা ও দেখা
[Knowing and Seeing]
[শমথ ও বিদর্শন ভাবনার পূর্ণাঙ্গ গাইড]
মূল লেখক : পা-অক সেয়াদ
অনুবাদক : জ্ঞানশান্ত ভিক্ষু
দেশনা ১
কীভাবে আনাপানস্মৃতিকে অর্পণা ধ্যানে উন্নীত করা যায়
ভূমিকা
কিছু তাইওয়ানিজ ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীর আমন্ত্রণে তাইওয়ানে আসতে পেরে আমরা অতীব খুশি হয়েছি, যারা ইতিপূর্বে মায়ানমারের মায়লামানের সন্নিকটে অবস্থিত পা-অক মেডিটেশন সেন্টারে অবস্থান করেছিল। তাইওয়ানে অবস্থানকালে আমরা আপনাদের পা-অক মেডিটেশন সেন্টারে চর্চিত ভাবনা-পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা শিখিয়ে দিতে চাই, আর তা সম্পূর্ণ মূল ত্রিপিটক ও আচার্য বুদ্ধঘোষ বিরচিত বিখ্যাত বিসুদ্ধিমগ্গ গ্রন্থে বিধৃত দিকনির্দেশনার আলোকে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মূল পালি ত্রিপিটকে যে ভাবনা-পদ্ধতি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তা বুদ্ধ তথাগত নিজেই অনুশীলন করেছেন এবং তাঁর জীবদ্দশায় তিনি নিজেই তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
কেন ভাবনা করবেন?
প্রথমেই আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত : ‘বুদ্ধ কেন ভাবনা শিক্ষা দিয়েছিলেন?’ অথবা ‘ভাবনার উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যই কী?’
বৌদ্ধ ভাবনার মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যই হচ্ছে নির্বাণ লাভ করা। ‘নির্বাণ’ হচ্ছে নাম (মন) এবং রূপ (জৈবিক দেহ) এই দুয়ের সম্পূর্ণ নিরোধ বা নিবৃত্তি। অতএব নির্বাণে পৌঁছুতে হলে আমাদের অতি অবশ্যই কুশল ও অকুশল এই উভয় মানসিক অবস্থাকে সমূলে ক্ষয় করতে হবে; যথা : হিতকর কুশলমূল—অলোভ, অদ্বেষ ও অমোহ এবং অহিতকর অকুশলমূল—লোভ, দ্বেষ ও মোহ। এগুলোই আমাদের জন্মজন্মান্তরে জন্ম, জরা, ব্যাধি ও মৃত্যুর মুখোমুখি করায়। আমরা যদি এগুলোকে মার্গজ্ঞান (অরিযমগ্গ) দিয়ে পুরোপুরি ক্ষয় করতে পারি, তবেই নির্বাণে পৌঁছুতে সক্ষম হবো। অন্যভাবে বলতে গেলে, নির্বাণ হচ্ছে সমস্ত সংসারদুঃখের কবল হতে মুক্ত হওয়া এবং জন্ম, জরা, ব্যাধি ও মৃত্যুর অনবশেষ ক্ষয়সাধন। আমরা সবাই জন্মদুঃখ, জরাদুঃখ, ব্যাধিদুঃখ ও মরণদুঃখের অধীন। অতএব আমরা নিজেদের সেসব দুঃখ হতে চিরমুক্ত করতে চাইলে অবশ্যই ভাবনা করতে হবে। আমরা যেহেতু সকল প্রকার দুঃখ হতে মুক্ত হতে চাই, অতএব আমাদের অবশ্যই কীভাবে ক্রমান্বয়ে নির্বাণ লাভ করা যায় তা শিক্ষা করতে হবে।
ভাবনা কী?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভাবনা আসলে কী? ভাবনা দু ধরনের; যথা : শমথ-ভাবনা ও বিদর্শন-ভাবনা। এই দু ধরনের ভাবনা আবার কায়িক ও বাচনিক সদাচারের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। অন্য কথায়, ভাবনা হচ্ছে আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের সম্যক গঠন, অনুশীলন ও পরম পরাকাষ্ঠা।
সেই আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ হচ্ছে : সম্যক দৃষ্টি, সম্যক সংকল্প, সম্যক বাক্য, সম্যক কর্ম, সম্যক জীবিকা, সম্যক প্রচেষ্টা, সম্যক স্মৃতি ও সম্যক সমাধি। তন্মধ্যে সম্যক দৃষ্টি ও সম্যক সংকল্পকে একত্রে বলা হয় ‘প্রজ্ঞাশিক্ষা’। বুদ্ধ আবার সম্যক দৃষ্টিকে দু-ভাগে ভাগ করেছেন, বিদর্শন সম্যক দৃষ্টি (বিপস্সনা-সম্মাদিট্ঠি) ও মার্গ-সম্যক দৃষ্টি (মগ্গ-সম্মাদিট্ঠি)।
সম্যক বাক্য, সম্যক কর্ম ও সম্যক জীবিকাকে একত্রে বলা হয় ‘শীলশিক্ষা’। আর সম্যক প্রচেষ্টা, সম্যক স্মৃতি ও সম্যক সমাধিকে একত্রে বলা হয় ‘সমাধিশিক্ষা’। এই সমাধিশিক্ষাই হচ্ছে মূলত শমথ-ভাবনা।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ
এখন আমি আপনাদের সামনে আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গে যে আটটি অঙ্গের কথা বলা হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে সামান্য একটু বিশ্লেষণ করতে চাই।
তন্মধ্যে প্রথম অঙ্গ হচ্ছে সম্যক দৃষ্টি। সম্যক দৃষ্টি কী? সম্যক দৃষ্টি হচ্ছে মূলত চারি প্রকার জ্ঞান। তন্মধ্যে প্রথম হচ্ছে, দুঃখ আর্যসত্য তথা পঞ্চ-উপাদান-স্কন্ধ বিষয়ে ভাবনাময় জ্ঞান। দ্বিতীয় হচ্ছে, দুঃখ-সমুদয় আর্যসত্য তথা পঞ্চ-উপাদান-স্কন্ধ উৎপত্তির মূল কারণ বিষয়ে ভাবনাময় জ্ঞান। অন্য কথায়, ইহা হচ্ছে প্রতীত্যসমুৎপাদ-নীতি বিষয়ে ভাবনাময় জ্ঞান। তৃতীয় হচ্ছে, দুঃখনিরোধ আর্যসত্য তথা নির্বাণ উপলব্ধি বা প্রত্যক্ষকরণ বিষয়ে জ্ঞান, যা মূলত পঞ্চ-উপাদান-স্কন্ধের পুরোপুরি নিবৃত্তি। আর চতুর্থ হচ্ছে, আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ বিষয়ে গভীর জ্ঞান, যা মূলত নির্বাণ যাবার একমাত্র পথও বটে।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের দ্বিতীয় অঙ্গ হচ্ছে সম্যক সংকল্প। আর সম্যক সংকল্প হচ্ছে মূলত দুঃখ আর্যসত্য তথা পঞ্চ-উপাদান-স্কন্ধ বিষয়ে পরিশীলিত চিন্তা, দুঃখসমুদয় আর্যসত্য বিষয়ে পরিশীলিত চিন্তা, দুঃখনিরোধ আর্যসত্য বিষয়ে পরিশীলিত চিন্তা এবং পরিশেষে দুঃখনিরোধগামিনী প্রতিপদা তথা আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ বিষয়ে পরিশীলিত চিন্তা।
সম্যক সংকল্প তথা পরিশীলিত চিন্তা মনকে দুঃখ আর্যসত্য তথা পঞ্চ-উপাদান-স্কন্ধ বিষয়ে যথাযথ মনোনিবেশ করায় এবং সম্যক দৃষ্টি তখন পঞ্চ-উপাদান-স্কন্ধকে যথাযথভাবে বুঝে, উপলব্ধি করে। এই দুটি বিষয় মনকে চতুরার্যসত্যে গভীরভাবে মনোনিবেশ করাতে ও তাদের বুঝতে একত্রে কাজ করে। তারা যেহেতু একত্রে এই পদ্ধতিতে কাজ করে, তাই তাদের একত্রে বলা হয় প্রজ্ঞাশিক্ষা (পঞ্ঞাসিক্খা)।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের তৃতীয় অঙ্গ হচ্ছে সম্যক বাক্য। আর সম্যক বাক্য হচ্ছে মিথ্যা, ভেদ, কর্কশ ও বাজে আলাপ থেকে সম্পূর্ণ বিরতি।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের চতুর্থ অঙ্গ হচ্ছে সম্যক কর্ম। আর সম্যক কর্ম হচ্ছে প্রাণিহত্যা, চুরি ও ব্যভিচার হতে সম্পূর্ণ বিরতি।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের পঞ্চম অঙ্গ হচ্ছে সম্যক জীবিকা। সম্যক জীবিকা মানে হচ্ছে, প্রাণিহত্যা, চুরি বা মিথ্যাবাক্যের মতো খারাপ কথা ও খারাপ কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করা থেকে বিরত থাকা। গৃহী উপাসক-উপাসিকাদের জন্যে নিম্নোক্ত পাঁচটি বাণিজ্য নিষিদ্ধ; যথা : অস্ত্রবাণিজ্য, প্রাণিবাণিজ্য, মাংসবাণিজ্য, নেশাবাণিজ্য ও বিষবাণিজ্য।
সম্যক বাক্য, সম্যক কর্ম ও সম্যক জীবিকা এই তিনটি অঙ্গকে একত্রে বলা হয় ‘শীলশিক্ষা’ (সীলসিক্খা)।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের ষষ্ঠ অঙ্গ হচ্ছে সম্যক প্রচেষ্টা। সম্যক প্রচেষ্টা চার প্রকার; যথা : অনুৎপন্ন অকুশল অনুৎপত্তির চেষ্টা, উৎপন্ন অকুশল ধ্বংসের চেষ্টা, অনুৎপন্ন কুশল উৎপত্তির চেষ্টা এবং উৎপন্ন কুশল বৃদ্ধির চেষ্টা। এভাবে ক্রমান্বয়ে এই চারি সম্যক প্রচেষ্টাকে বাড়াতে হলে আমাদের অবশ্যই শীলশিক্ষা, সমাধিশিক্ষা ও প্রজ্ঞাশিক্ষাকে বর্ধিত করতে হবে এবং অনুশীলনে পরিপুষ্ট করতে হবে।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের সপ্তম অঙ্গ হচ্ছে সম্যক স্মৃতি। সম্যক স্মৃতি চার প্রকার; যথা : কায়ানুদর্শন, বেদনানুদর্শন, চিত্তানুদর্শন ও ধর্মানুদর্শন। এখানে ‘ধর্ম’ বলতে বেদনা চৈতসিক বাদে বাকি একান্নটি চৈতসিককে বুঝানো হয়েছে। অথবা অন্যভাবে বলতে গেলে, পঞ্চ-উপাদান-স্কন্ধ, দ্বাদশ আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক আয়তন, অষ্টাদশ ধাতু, সপ্ত বোধ্যঙ্গ, চতুরার্যসত্য প্রভৃতি। কিন্তু উপর্যুক্ত চার প্রকার অনুদর্শনকে আমরা মাত্র দুভাগে ভাগ করতে পারি; যথা : রূপানুদর্শন ও নামানুদর্শন।
আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের অষ্টম অঙ্গ হচ্ছে সম্যক সমাধি। আর সম্যক সমাধি মানে হচ্ছে : প্রথম ধ্যান, দ্বিতীয় ধ্যান, তৃতীয় ধ্যান ও চতুর্থ ধ্যান। বুদ্ধের ভাবনা-বিষয়ক বিখ্যাত সূত্র, সতিপট্ঠানসুত্ত অনুসারে এই সমস্ত ধ্যানগুলোকেই সম্যক সমাধি বলা হয়। তবে আচার্য বুদ্ধঘোষ-বিরচিত বিসুদ্ধিমগ্গ গ্রন্থে সম্যক সমাধিকে আরও বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে; যেমন : চার প্রকার রূপধ্যান, চার প্রকার অরূপধ্যান ও উপচার সমাধি।
কিছু মানুষের অসম্ভব রকম পুণ্যপারমী আছে, তারা কেবল ধর্মদেশনা শুনেই নির্বাণ লাভ করতে পারে, তা সংক্ষিপ্ত হোক আর বিস্তৃত হোক। তবে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের সে-রকম অমিত পুণ্যপারমী নেই। তাই তাদের অবশ্যই ক্রমান্বয়ে আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের সম্যক অনুশীলন করতে হয়। তাদের বলা হয় ‘নেয়্য-পুদ্গল’ (নেয়্য-পুগ্গল)। তাদের ধাপে ধাপে আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুশীলন করতে হয় এবং ক্রমান্বয়ে শীলশিক্ষা, সমাধিশিক্ষা ও প্রজ্ঞাশিক্ষা পরিপূরণ করতে হয়। প্রথমে শীলকে পরিশুদ্ধ করার পর তাদের অবশ্যই সমাধির চর্চা করতে হবে এবং সমাধি চর্চার মধ্য দিয়ে মনকে স্বচ্ছ ও নির্মল করার পর তাদের অবশ্যই প্রজ্ঞা শিক্ষা করতে হবে।

27/05/2020

মৃত্যুতে পুনর্জন্ম
T
মূল পাতা
searchখোঁজ সাহায্য
format_sizeফন্ট সাইজ
bookmark_borderবুকমার্ক
noteনোট সমগ্র
styleথিম নির্ধারণ
help_outlineসাহায্য নিন
personআমাদের সম্পর্কে
সূচিপত্র
সূচনা
পুনর্জন্ম অনিশ্চিত
ক্রমিক অনিশ্চয়তা
প্রথম অধ্যায়
অভিধর্মের কিছু মৌলিক নিয়ম
মনোজগৎ
কর্ম ও চেতনার দরজা
জানার প্রক্রিয়া (চিত্তবীথি)
বস্তুজগৎ
দ্বিতীয় অধ্যায়
চার প্রকার কর্ম
কর্মের প্রকৃতি
কর্মের বিভিন্ন দিক
এক নজরে চার ধরনের কর্ম
১. কাজ অনুসারে
২. পরিপক্ব হওয়ার ক্রম অনুসারে
৩. পরিপক্ব হওয়ার সময় অনুসারে
৪. পরিপক্ব হওয়ার জায়গা অনুসারে
অকুশল কর্মপথ
অকুশল কর্মপথের ব্যাখ্যা
দশ কুশল কর্মপথ
কুশল কর্মের ভিত্তি
তৃতীয় অধ্যায়
মৃত্যু এবং পুনর্জন্মের প্রক্রিয়া
মৃত্যুর কারণ
মরণকালের নিমিত্ত
মরণ এবং পুনর্জন্ম
চতুর্থ অধ্যায়
পুনর্জন্ম প্রদানকারী কর্মের পরিপক্বতার কাল
গুরুকর্ম
মরণাসন্ন কর্ম
এক প্রাক্তন শিকারীর মৃত্যু
এক জল্লাদের কাহিনী
যে ভিক্ষুটি ছারপোকা হিসেবে জন্মেছিল
রাণী মল্লিকার খারাপ কাজ
এরকপত্র নাগরাজা
অভ্যাসগত কর্ম
যে ভিক্ষুটি দেবতা হিসেবে জন্ম নিয়েছিল
চুন্দ কসাইয়ের কাহিনী
ধম্মিক উপাসকের কাহিনী
এক কর্তব্যপরায়ণ ও স্নেহময়ী মায়ের মৃত্যু
সংরক্ষিত কর্ম
ছারপোকা যেভাবে তুষিত স্বর্গে গেল
রাণী মল্লিকার কাহিনী
এক বাটি চাল
পঞ্চম অধ্যায়
সারসংক্ষেপ এবং উপসংহার
সুন্দর মৃত্যুর জন্য কিছু প্রস্তাবনা
একটি দারুণ উদাহরণ
উপসংহার
পরিশিষ্ট
লক্ষণীয়
মৃত্যুতে পুনর্জন্ম
সুন্দরভাবে মৃত্যুবরণ ও পুনর্জন্ম লাভের জন্য বোকাদের গাইড
মূল লেখক : অগ্গচিত্ত ভিক্ষু
অনুবাদ : জ্ঞানশান্ত ভিক্ষু
সূচনা
পুনর্জন্ম অনিশ্চিত
কোনো একজন কীভাবে মারা যায় তা-ই তার ভবিষ্যৎ নিয়তি নির্ধারণ করে দেয়। আমরা বলতে পারি যে সাধারণত কোনো একজন কীভাবে মারা যায়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সে কীভাবে জীবন কাটিয়েছে তার উপরই নির্ভর করে। তা সত্ত্বেও একজন সাধারণ লোক, যে একটি ধার্মিক ও সুশীল জীবন যাপনের চেষ্টা করেছে, সে সুগতি ভূমিতে পুনর্জন্ম লাভ করবে অথবা কোনো খুনী দুর্গতি ভূমিতে পুনর্জন্ম লাভ করবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ধর্মনিষ্ঠ সম্রাট অশোক বুদ্ধধর্মের জন্য যা করেছিলেন তা ইতিহাসে নজিরবিহীন, কিন্তু মৃত্যুর পরে তার জন্ম হলো সাপ হিসেবে। কাশ্যপ বুদ্ধের আমলে এক ভিক্ষু প্রায় ২০,০০০ বছর যাবত জঙ্গলে একাকী ধ্যান করেছিল। তার এত সুদীর্ঘ সাধনা সত্ত্বেও সে নির্বাণ লাভ করতে পারে নি, সে পুনর্জন্ম লাভ করেছিল এরকপত্ত নাগ নামে এক ড্রাগন হিসেবে আর বেঁচেছিল সুদীর্ঘকাল ধরে। একজন জল্লাদ পঞ্চান্ন বছর ধরে জল্লাদগিরি করে অবসর নেওয়ার দিনে সারিপুত্র ভন্তেকে পিণ্ডদান দিয়ে এবং তার কাছ থেকে ধর্মদেশনা শুনে এর পরপরই ঘটনাক্রমে নিহত হলো। তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে বুদ্ধ বললেন যে, সে তুষিত স্বর্গে জন্ম নিয়েছে।
উপরোক্ত উদাহরণগুলো থেকে আপনি দেখবেন যে মৃত্যু এবং পুনর্জন্মে কর্মের ভূমিকা এমন অচিন্ত্যনীয় যে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলার চাইতে সম্ভাবনা হিসেবে বলাই উপযুক্ত। আমরা বলতে পারি যে সাধারণ একজন লোক, যে একটি ধার্মিক ও সুশীল জীবন যাপনের চেষ্টা করেছে, তার সুগতি ভূমিতে পুনর্জন্ম লাভের সম্ভাবনা বেশি, কিন্তু সে যে এখনো দুর্গতি ভূমিতে পুনর্জন্ম লাভ করতে পারে, তার সম্ভাবনাটাও আমরা উড়িয়ে দিতে পারি না। একইভাবে আমরা বলতে পারি যে কোনো এক ডাকাতের দুর্গতি ভূমিতে পুনর্জন্ম লাভের সম্ভাবনা খুব বেশি, কিন্তু তার দেবলোকে জন্মলাভের সম্ভাবনাটাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

27/05/2020

পাতা
ঠিক এই মুহূর্তে আমরা একটি শান্ত নিরিবিলি জঙ্গলে বসে আছি। এখানে যদি বাতাস না বয় তাহলে গাছের একটি পাতাও নড়ে না। যখনই বাতাস বয় তখন পাতাগুলো নড়তে শুরু করে আর পটপট শব্দ করে।
মনও ঠিক সেই পাতার মতো। মনে যখন কোনো অনুভূতির স্পর্শ লাগে তখন মনও মনে-জাগা-অনুভূতিগুলোর স্বভাব অনুসারে নড়ে ওঠে এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আমরা ধর্ম সম্পর্কে যত কম জানবো মন তত বেশি নিরবিচ্ছিন্নভাবে মনে-জাগা-অনুভূতিগুলোর পিছু ছাড়বে না। সুখের অনুভূতি সুখের বশীভূত হবে, আর দুঃখের অনুভূতি দুঃখের বশীভূত হবে। এগুলো ক্রমাগত স্পন্দন ও বিক্ষুব্ধ হওয়ার মধ্যেই থাকবে।

20/05/2020

Our benevolence The great benevolence spread the teachings without interruption for a period of 45. The world will know, knowing to stop the story up to 3 months in advance, saying, "Three more disciples must have their quarters. Therefore, the nuns and laymen There is a doubt in the Dharma. Come, come, order, order, and religion, please those who have merit to enlightenment so that they are proclaimed. The monk instead said, "Once we have left you, you will have to categorize the Dharma that we teach well ..."

19/05/2020

07/02/2020

সবাইত এক না..........!