POEM VEIN

POEM VEIN International Online POETRY Magazine (Coming Soon)

ফরহাদ মজহারের সাক্ষাৎকার‘উপর থেকে ‘কমিশন’ বসিয়ে কোনো সংবিধান লেখা যায় না’সাক্ষাৎকার গ্রহণ:গিরীশ গৈরিককামরুল আহসান
31/10/2024

ফরহাদ মজহারের সাক্ষাৎকার
‘উপর থেকে ‘কমিশন’ বসিয়ে কোনো সংবিধান লেখা যায় না’

সাক্ষাৎকার গ্রহণ:
গিরীশ গৈরিক
কামরুল আহসান

নোবেল বিজয়ী জেমস রবিনসনের সাক্ষাৎকার‘তুমি নোবেল পুরস্কার পেয়েছো, উঠো তাড়াতাড়ি’নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব...
20/10/2024

নোবেল বিজয়ী
জেমস রবিনসনের সাক্ষাৎকার

‘তুমি নোবেল পুরস্কার পেয়েছো, উঠো তাড়াতাড়ি’

নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নোবেল কমিটি থেকে ফোন করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রথম প্রতিক্রিয়া। নোবেল কমিটির ওয়েব সাইট থেকে এই সাক্ষাৎকারগুলো বাংলা ভাষান্তরসহ প্রকাশিত হচ্ছে ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর পাঠকদের জন্য। ২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেলে পেয়েছেন তিন অধ্যাপক। পুরস্কার বিজয়ী তিনজন হলেন তুর্কি-আমেরিকান ড্যারন আসেমোগ্লু, ব্রিটিশ-আমেরিকান সাইমন জনসন ও জেমস এ রবিনসন। আজ প্রকাশিত হলো জেমস রবিনসনের প্রথম প্রতিক্রিয়া।

নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নোবেল কমিটি থেকে ফোন করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক...
19/10/2024

নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নোবেল কমিটি থেকে ফোন করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রথম প্রতিক্রিয়া। নোবেল কমিটির ওয়েবসাইট থেকে ২০২৪ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজয়ীদের সাক্ষাৎকারগুলো বাংলা ভাষান্তরসহ প্রকাশিত হচ্ছে ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর পাঠকদের উদ্দেশে।
২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত হান ক্যাং সিউলের বাসায় মাত্র রাতের খাবার সেরেছেন, এমন সময় খবর এলো তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নোবেল লরিয়েট হিসেবে তিনি এই সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন। লেখককরা কীভাবে তাকে প্রভাবিত করেছেন, সেসব কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের সমস্ত চেষ্টা আর শক্তিই তার অনুপ্রেরণা। তার ‘ভেজিটারিয়ান’ উপন্যাসটি অন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত। সেটি কীভাবে লিখেছেন, তা নিয়েও কথা বলেছেন। কথা বলেছেন তার নতুন উপন্যাস ‘উই ডু নট পার্ট ফর এনিওয়ান’ নিয়েও।

লিঙ্ক: কমেন্ট বক্সে

TED
19/10/2024

TED

The talk describes the story of youths. Mr.Paudyal is an Assistant Professor at the Central Department of English, Tribhuvan University. Also known as a crit...

নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নোবেল কমিটি থেকে ফোন করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক...
17/10/2024

নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নোবেল কমিটি থেকে ফোন করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রথম প্রতিক্রিয়া। নোবেল কমিটির ওয়েব সাইট থেকে এই সাক্ষাৎকারগুলো বাংলায় ভাষান্তরসহ প্রকাশিত হচ্ছে ‘ভিউজ বাংলাদেশ’-এর পাঠকদের জন্য। ২০২৪ সালে রসায়নে নোবেলে পেয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার। আজ প্রকাশিত হলো ভেভিড বেকার এর প্রথম প্রতিক্রিয়া।
-
লিঙ্ক কমেন্টবক্সে

নৈতিকতার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।  কারণ যেসব দেশে ধার্মিকের সংখ্যা যত বেশি সেসব দেশে  নৈতিকতার স্খলন তত বেশি। উদাহ...
09/07/2024

নৈতিকতার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ যেসব দেশে ধার্মিকের সংখ্যা যত বেশি সেসব দেশে নৈতিকতার স্খলন তত বেশি। উদাহরণ হিসেবে আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের নাম নিতে পারি। আর যেসব দেশে ধর্ম নিয়ে কোনো বালাই নেই, সেসব দেশে নৈতিকতায়পূর্ণ মানুষের সংখ্যা বেশি। উদাহরণ হিসেবে আমরা জাপান ও নেদারল্যান্ডের নাম নিতে পারি।

ছবি ১: বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসকারি আবেদ আলী
ছবি ২: ধর্ষক গুরমিত রাম রহিম সিং

কীভাবে কবিতা লিখতেন বিনয় মজুমদার? সদ‍্য হাতে পাওয়া ১৯৬২ সালের একটা ডায়েরিতে দেখছি অনেক সময়ই অঙ্ক করতে করতে কবিতা লিখছেন।...
16/06/2024

কীভাবে কবিতা লিখতেন বিনয় মজুমদার? সদ‍্য হাতে পাওয়া ১৯৬২ সালের একটা ডায়েরিতে দেখছি অনেক সময়ই অঙ্ক করতে করতে কবিতা লিখছেন। ১৯৬২ সালে বিনয় দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট প্রজেক্টে কাজ করছেন। সেই সময়ের অঙ্ক নিশ্চয়ই প্রজেক্ট সংক্রান্তই হবে। কিন্তু বেশিরভাগ অঙ্কের সঙ্গেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষ যোগ নেই। তাহলে কি আপন মনে কোনো অন্য কিছুর সমাধান খুঁজতেন? প্রতি কবিতার নীচে তারিখ দেওয়া ছিল বিনয়ের অভ‍্যেস। থাকত অজস্র কাটাকাটি।তারপর সেগুলো আবার কপি করতেন অন্য কোন ডায়েরিতে। কোন পত্রিকায় দিচছেন সেটাও লিখে রাখতেন। ডায়েরির পাতা থেকে বিনয়ের একটা বিখ‍্যাত কবিতার খসরা দিলাম। কখনো এগুলো নিয়ে বড় লেখা লিখব।সঙ্গের ছবিটি কোনো প্রিন্ট মিডিয়ায় ব‍্যবহারের আগে আমার লিখিত অনুমতি প্রয়োজন

Post: Poet Prabal Kumar Basu

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বংশধর লিয়েন্ডার পেজ।
15/06/2024

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বংশধর লিয়েন্ডার পেজ।

05/03/2024
আমার কলকাতার কবিবন্ধু দম্পতির বই একুশের বইমেলায়-সৈকত ঘোষ ও প্রত্যূষা সরকার একঘরে যাপন করেন কবিজীবন। দুজনই ওপার বাংলার ম...
29/02/2024

আমার কলকাতার কবিবন্ধু দম্পতির বই একুশের বইমেলায়
-
সৈকত ঘোষ ও প্রত্যূষা সরকার একঘরে যাপন করেন কবিজীবন। দুজনই ওপার বাংলার মানুষ; কিন্তু দুজনের দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশের বইমেলায়। সৈকত ঘোষের কবিতার বই ‘রাংতায় মোড়া উৎসব’ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ এবং প্রত্যূষা সরকারের কবিতার বই ‘আজকাল সহবত শিখছি’ প্রকাশ করেছে ‘ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ’।

কবি হলেও প্রত্যুষা সরকার একটি গল্পগ্রন্থ ও একটি উপন্যাসও লিখেছেন। তার কবিতার বই ৫টি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে জন্ম তার। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে বাস করছেন নৈহাটিতে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং ব্যাচেলর অব এডুকেশন ডিগ্রি নিয়ে ছবি আঁকা, আবৃত্তি জগতে তার বিচরণ। যদিও তিনি বলেন, হঠাৎ করেই তার লেখালেখিতে আসা; কিন্তু তার লেখালেখির অনুপ্রেরণা তার বাবা। লেখালেখি, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, ঘুরে বেড়ানো, শখের রান্নাবান্না, প্রিয়জনের সঙ্গে আড্ডা সব মিলিয়ে তিনি সব সময় এক শৈল্পিক জীবনযাপন করেন।

‘আজকাল সহবত শিখছি’ কবিতাগ্রন্থে কবিতা আছে ৫৬টি। গদ্য ঢঙে লেখা কবিতাগুলোর বচনের মতোই প্রত্যূষার বচন হয়ে উঠেছে।
সৈকত ঘোষ পুরোদস্তর কবি। তার প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে। তারপর থেকে প্রতি বছরই তার একটি করে কবিতার বই বেরিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও আগাগোড়া কবি। বর্তমানে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। সিনেমার চিত্রনাট্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন। গীতিকার হিসেবেও তিনি পরিচিত। নেশা- বইপড়া, সিনেমা দেখা, ফিল্ম মেকিং। প্রেম- সমুদ্র, কালো কফি আর প্রত্যূষা।

আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে, ‘রাংতায় মোড়া উৎসব’ কবিতা বইয়েও কবিতা আছে ৫৬টি। হয়তো স্বামী-স্ত্রী মিলে পরিকল্পনা করেই এটা করেছেন। উভয়ের কবিতার বইয়ে সমানসংখ্যক কবিতা। সৈকত ঘোষের কবিতাগুলোও গদ্যরূপে। জীবনযাপনের নানা অনুষঙ্গ, স্বপ্ন, বাস্তবতা, কুহক, আলো, আয়না, শূন্য ইত্যাদি ভাব-উপলব্ধি তিনি তুলে এনেছেন কবিতায়।

কবি নির্মলেন্দু গুণ এর ভাষ্যে ‘ফেসবুকে দেখি চাঁদ’-ফেসবুকে দেখি চাঁদ। কবিতার বই। এই কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কবি রাশেদ মেহেদী...
20/02/2024

কবি নির্মলেন্দু গুণ এর ভাষ্যে ‘ফেসবুকে দেখি চাঁদ’
-
ফেসবুকে দেখি চাঁদ। কবিতার বই। এই কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কবি রাশেদ মেহেদী। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ফেসবুকের বাংলা করেছি আমি মুখপঞ্জি। মোবাইল ফোনের বাংলা করেছিলাম মুঠোফোন। ইন্টারনেটের বাংলা করেছিলাম অন্তর্জাল। মুঠোফোন এবং অন্তর্জাল পরিচিতি লাভ করলেও মুখপঞ্জি নামটা ফেসবুকের বাংলা হিসেবে গৃহীত হয়নি।

ফেসবুক কথাটা বাংলায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। চেয়ার-টেবিলের মতোই ফেসবুক শব্দটাও বাংলা অভিধানে স্থান করে নেবে বলেই মনে হয়। কবি রাশেদ মেহেদী তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফেসবুক শব্দটিকে ব্যবহার করে, আমি মনে করি ভালোই করেছেন।

প্রযুক্তিবান্ধব কবি হিসেবে আমার কিছু সুখ্যাতি আছে। আমি গত দুই দশক ধরে ফেসবুকেই আমার সব লেখাই লিখি। পড়িও। দেখিও; কিন্তু আমি ফেসবুকে খুব বিশেষ করে চাঁদ দেখিনি কখনো। কবি রাশেদ মেহেদীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ফেসবুকে চাঁদকে বিশেষভাবে দেখার জন্য।

ফেসবুকে দেখা চাঁদ, আর আকাশে দেখা চাঁদ যে এক নয়, রাশেদ মেহেদী আমাদের সেকথা বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়ে একই সঙ্গে ফেসবুক এবং চাঁদের একটা আলাদা জগৎ নির্মাণ করেছেন। অনিবার্যভাবেই সেই নবজগৎ প্রেমের জগৎকেই উদ্ভাসিত করে। কাব্যের শিল্পবোধকে করে প্রজ্বলিত। কবিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। বিশ্বাস করি, কবির এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা লাভ করবে।

নিত্য শুভার্থী
নির্মলেন্দু গুণ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আমন্ত্রণে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে কবিতা পাঠ করছি...চৈ-চৈনিঝুম নদ...
14/12/2023

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আমন্ত্রণে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে কবিতা পাঠ করছি...
চৈ-চৈ
নিঝুম নদীতীরের সাথে ঢেউ-এর অভিমান বেজেই চলে
তীর প্রায়ই বলে : ঢেউ-তুমি আমাকে অভিমানে স্পর্শ করো না।
আমরা সেই শান্ত নদীতে হাঁসের মতো ভেসে চলি-ধীরে ধীরে।
আমাদের ভেসে যেতে হয় তের টানে-ভাটির পানে ফেরার ক্ষমতা নাই।
তবুও সন্ধ্যা হলেই নিঝুম দ্বীপের শ্মশান থেকে শব্দ আসে
চৈ-চৈ-চৈ-চৈ।

আর আমরা সেই শব্দে প্যাঁক-প্যাঁক-প্যাঁক-প্যাঁক করে ডেকে উঠি।
আমরা ডাকতে ডাকতে দূরে বহুদূরে ভেসে যাই
যেখান থেকে চৈ-চৈ ধ্বনি আর শোনা যায় না।

চতুর্দিকে অবারিত রক্তমেঘ আর ধূ-ধূ জলরাশি
আমরা এই জলরাশির গভীরে কেন অনন্ত নিঃসঙ্গতায় ডুবতে পারি না!
আমরা কেন নবলব্ধ আকাশে মানুষের মতো উড়তে পারি না!
তাই আমার এই হাঁস জনমের বেদনা- ফাঁস করে গেলাম কবিতায়
যে কবিতা পাঠ করলেই শুনতে পাবেন-
চৈ-চৈ-চৈ-চৈ।

‘‘মানুষেরা মানুষের প্রিয়তর না হ’য়ে শুধু দূরতর হয়;হৃদয় মলিন হয়ে যেতে থাকে;’’— জীবনানন্দ দাশ
07/12/2023

‘‘মানুষেরা মানুষের প্রিয়তর না হ’য়ে শুধু দূরতর হয়;
হৃদয় মলিন হয়ে যেতে থাকে;’’
— জীবনানন্দ দাশ

আমার বাবা রবীন্দ্রনাথ || রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিখ্যাত বাবাদের নিয়ে সন্তানদের স্মৃতিকথা দুলর্ভ নয়। কিন্তু রবীন্দ্রপুত্র রথীন...
22/11/2023

আমার বাবা রবীন্দ্রনাথ || রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
বিখ্যাত বাবাদের নিয়ে সন্তানদের স্মৃতিকথা দুলর্ভ নয়। কিন্তু রবীন্দ্রপুত্র রথীন্দ্রনাথ যত দীর্ঘকালব্যাপী পিতাকে কাছ থেকে দেখেছেন, এমনটি আর কোনো সন্তানের ক্ষেত্রে ঘটেনি। পিতাকে কাছ থেকে দেখার টুকরো-টাকরো স্মৃতিস্মারক তাঁর ‘On the edges of time’ গ্রন্থটি। যার বাঙলায়ন কবির চান্দ করেছেন ‘আমার বাবা রবীন্দ্রনাথ’। সেখান থেকে দু'টো অধ্যায় তুলে ধরা হলো।

বাবার লেখালেখি
শিলাইদহের বছরগুলোতে বাবা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি লিখেছেন। কবিতা, গান, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, বক্তৃতা নানাদিকে সমান তালে তাঁর কলম চলেছে। সারাদিন ধরে তো লিখছেনই, কখনও কখনও লেখা চলেছে গভীর রাত পর্যন্ত। তিনি যখন পরিশ্রম করতেন তখন খুব কম খেতেন। মা বিরক্ত হতেন, তবে এটাও জানতেন যে বাবা কোনো বিষয়ে মনস্থির করলে অন্যদের কারও কিছু করার ছিল না। পিসতুতো বোন সরলা দেবী তখন ভারতী পত্রিকা সম্পাদনা করছেন। পত্রিকাটি বড় জ্যাঠামশাই দ্বিজেন্দ্রনাথ শুরু করেছিলেন। পরেও সম্পাদনার ভার আমাদের পরিবারেই থেকে যায়। এক সময় বাবাও এ দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতীর জন্য ছোট নাটক লিখে দিতে সরলা দেবী বাবাকে অনুরোধ করেছিলেন। নাটক লেখার তাড়না পাচ্ছিলেন না বলে তিনি এতে গা করেননি। বিষয়টি বুঝতে পেরে সরলা দেবী পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে দিলেন যে পরবর্তী সংখ্যায় রবি ঠাকুরের নাটক ছাপা হবে। কয়েকদিন পর তিনি বাবাকে চিঠি দিয়ে জানালেন যে পত্রিকার কাটতি বাড়াতে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন, এখন বাবা যেন পাঠকদের হতাশ না করেন। বাবা প্রথমে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন। পরদিন মাকে ডেকে বলেন যে তিনি একটা লেখা ধরবেন, তাঁকে যেন কেউ বিরক্ত না করে। এমনকি খাবারের জন্যও নয়। মাঝে মাঝে দুধ জাতীয় কিছু দিলেই খাওয়ার কাজ চলে যাবে। এ কথা বলে তিনি নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করলেন। লেখা চলল টানা তিনদিন, কোনো রকম বিরতি ছাড়া। এ তিনদিন বাবা কিছু খানওনি। তৃতীয় দিনের শেষ নাগাদ লেখা শেষ হল হাসির নাটক চিরকুমার সভা। পাণ্ডুলিপি ডাকে পাঠাতে তিনি ভরসা পেলেন না, নিজেই কোলকাতা নিয়ে গেলেন। মা জানতেন যে ভারতীতে সময়মত পাঠানোই বাবার তাড়াহুড়োর একমাত্র কারণ ছিল না। তিনি যখনই কোনো লেখা শেষ করতেন, বন্ধু-বান্ধবকে তা পড়ে শোনানোর জন্য অস্থির হয়ে উঠতেন। সে সময় বন্ধুদের কেউই শিলাইদহে ছিলেন না। তাই তিনি কোলকাতায়ই চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ কয়দিনের অনাহারে ও লেখার চাপে এতই দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন যে, জোড়াসাঁকোর বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে অজ্ঞান হয়ে যান। মা তখন বাবাকে স্বাভাবিক খাবার খেতে রাজি করাতে পেরেছিলেন।

নাটকীয় সেই ঘটনাটি
শিলাইদহের একটি ঘটনা আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমরা তখন গড়াই নদীতে একপক্ষকাল ধরে হাউজবোটে আছি। উনবিংশ শতকের নব্বই দশকের মাঝামাঝি কোনো এক অক্টোবরের ঘটনা এটা। আমি সবে নয় বছরে পা দিয়েছি। বাবা আমাকে তাঁর সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। শুকনো মৌসুম তখনও শুরু হয়নি। যুৎসই বালুচরের খোঁজে আমাদের নৌকা এখানে-সেখানে ঘুরছিল। বাবা তখন সাধনা নামের মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করছিলেন। পত্রিকাটির অধিকাংশ স্থান তাঁর নিজের লেখা দিয়েই ভরাট করতে হতো। প্রত্যেক সংখ্যায়ই তাঁর একটি গল্প থাকত। পরবর্তীতে এগুলো গল্পগুচ্ছে স্থান পায়। এ সময়ের বেশির ভাগ গল্পেই গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষদের দৈনন্দিন জীবনের বিস্তারিত ও অন্তরঙ্গ বর্ণনা স্থান পেয়েছে। শিলাইদহ গ্রামটির অবশ্যই একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। কেননা, এখানেই বাবা মাটির সন্তানদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের কথা ভালোভাবে জানতে পেরেছিলেন।

তিনি প্রায় সারাদিনই হাউজবোটের সামনের দিকের কেবিনে লেখালেখি করে কাটিয়ে দিতেন। আমি থাকতাম পাশের কেবিনে। ঘোর লাগা চোখে নিয়ত পরিবর্তনশীল নদী-জীবনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। সূর্যাস্তের পর বাবা আমাকে ডেক-এ নিয়ে যেতেন এবং যতটা সম্ভব আনন্দ দেবার চেষ্টা করতেন। এক সন্ধ্যায় আমরা রেলিংয়ের খুব কাছে পাশাপাশি চেয়ারে বসে ছিলাম। হঠাৎ বাবার চটি নদীতে পড়ে গেল। তৎক্ষনাৎ তিনি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। প্রবল স্রোতের মধ্যে বেশ খানিকটা সাঁতার কেটে তিনি ওগুলো তুলে নিয়ে আসলেন। রাতের বাকি সময়টুকু চটিজুতা আর ব্যবহার না করা গেলেও তা উদ্ধার করে আনতে পেরে তিনি খুব তৃপ্তি পেয়েছিলেন।

কিন্তু দীর্ঘদিন এরকম সুখে কাটানো আমাদের ভাগ্যে ছিল না। হঠাৎ এক সকালে আকাশ কালো করে মেঘ জমল। ক্রমে সেটা রূপ নিল ঘুর্ণিঝড়ে। আমাদের নৌকাকে নিরাপদে ভিড়ানোর প্রয়োজন হল। নদীর খাঁজে খাঁজে অনেক সময় ছোট জলাশয় তৈরি হতো। জেলেরা এগুলোকে বলত দহ। এগুলোর ভেতরটা প্রশস্ত হলেও ঢোকার মুখটা হতো সরু। ফলে স্রোত বা ঢেউ প্রবেশ করতে পারত না। আমরা এ রকম একটি দহে ঢুকে গেলাম। এখানে আরও শ’খানেক নৌকা আশ্রয় নিয়েছিল। প্রায় তিনদিন ধরে ঝড় বইল। চোখের সামনে নদী আর তার সংলগ্ন গ্রামগুলোতে ঘূর্ণি হাওয়ার প্রলয় চলল। নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আমরা দেখতে পেলাম ডুবন্ত নৌকা, উপড়ানো গাছপালা আর উড়ে যাওয়া ঘরের চালের এক অন্তহীন মিছিল যেন স্রোতের টানে ভাটায় বয়ে যাচ্ছে। নৌকার ভিতরে বসে থেকে থেকে খিল ধরে যাওয়া হাত-পা ছড়াতে আর চারপাশটা ভালো করে দেখতে তৃতীয় দিন বিকেলে আমরা ছাদে উঠলাম। ঝড়ের বেগ কিছুটা কমে এলেও নদীতে তখনও বড় বড় ঢেউ। হঠাৎ বাবা চিৎকার করে বললেন যে নদীর মাঝখানে একজন মানুষ দেখা যাচ্ছে। তিনি যেদিকে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছিলেন সেদিকে সবাই খুব ভালো করে তাকাল। মনে হচ্ছিল ঢেউয়ের ওঠা-নামার সঙ্গে একরাশ কালো চুল ভাসছে। এর বেশি কিছু বোঝা যাচ্ছিল না।

বাবা তৎক্ষণাৎ লাইফবোট বের করে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে আদেশ দিলেন। কিন্তু মাঝিরা বলল যে ঝড়ের মধ্যে যাওয়া ঠিক হবে না। বাবা বিরক্ত হলেন এবং নিজেই লাইফবোটে চড়ে বসলেন। তখনও তারা দোনোমনো করছিল। আমাদের একজন পুরনো মুসলমান বাবুর্চি ছিল। সে তখন তাদেরকে কাপুরুষ বলে বকাবকি করতে শুরু করল এবং বাবাকে সাহায্য করতে নেমে গেল। তারা তখন লজ্জা পেয়ে তার পিছু পিছু নৌকায় উঠল এবং নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধার করতে বাবাকে হাউজবোটে ফেরত আসতে বাধ্য করল। তাদের ছোট নৌকাটি বিশাল বিশাল ঢেউ ভেঙে এগিয়ে গেল। বাবুর্চির নেতৃত্বে তারা প্রাণপণ চেষ্টা করে চলল।

ডুবন্ত মানুষটি তখন স্রোতের টানে বহুদূর ভেসে গিয়েছে। মাঝিরা যখন তাকে তুলে নিয়ে এল তখন চারদিকে আঁধার নেমে এসেছে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিটি যুবতী গৃহবধূ। বাবুর্চি বাবাকে বলল যে তারা মেয়েটিকে নৌকায় টেনে তোলার চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। তাকে ছেড়ে দিতে কাকুতি-মিনতি করে। তার বোধহয় আত্মহত্যা করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু দক্ষ সাঁতারু হবার ফলে জলে ডুবে প্রাণ বিসর্জন দেয়া সম্ভব ছিল না। মেয়েটি আমাদের জমিদারির এক প্রজার স্ত্রী। মেয়েটি ছিল সুন্দরী। এত অল্প বয়সেই জীবনের প্রতি তার বিতৃষ্ণা এসে যাবার জোরালো কোনো কারণ ছিল না।

স্বামীটিকে ডেকে পাঠানো হল। বাবা তার সঙ্গে কথা বললেন। সে বউকে সঙ্গে নিয়ে গেল। শোনা যায় এর পর স্বামী তাকে এত আদর-যত্ন করত যে সে আর কখনও অসুখী হয়নি।

শুভ জন্মদিন কবি মাসুদ পথিক ❤️কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিকের জন্ম ২০ নভেম্বর, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার কড়ইতলা...
20/11/2023

শুভ জন্মদিন
কবি মাসুদ পথিক
❤️
কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিকের জন্ম ২০ নভেম্বর, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার কড়ইতলা গ্রামে। পিতা হযরত আলি প্রধান, মা তাহমিনা খন্দকার। মাসুদ পথিক স্বনির্মিত কবিসত্তা।

সমকালিন ও চিরায়ত বোধ মনীষা রয়েছে তার কবিতায়। মা মাটি চাষা ভুষা মানুষ হচ্ছে তার কবিতার উপজীব্য। বাঙালি জীবনের সুখ দুঃখ হাসি কান্না প্রেম বিরহ ও স্বপ্নাকাঙ্খার প্রতিফলন রয়েছে অধিকাংশ কাব্যগ্রন্থে। কবিতার কর্ষণ ভূমিতে ঋতু বৈচিত্রের আবেগ অণুভূতির সঙ্গে বিচিত্র অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে প্রকৃত কবিসত্তা।

প্রাকৃত স্বভাবের ব্যবহারিক অনুরণন রয়েছে তার কবিতায়। সত্য সুন্দর আনন্দের উৎস সন্ধান করেছেন সচেতনভাবে। মানবতা সমতা মৈত্রীর বন্ধনের প্রচেষ্টা রয়েছে চেতন ও অবচেতনে। নিরাবেগ সৌন্দর্যের অভ্যন্তরে খুঁজে যায় অপার আবিষ্কার। তার কবিতার ভাষা নতুন ও অভিনব।

ভাব প্রবণতা, আবেগ ময়তা, হৃদয়স্পর্শী শব্দমালা দিয়ে কবি আনন্দ বাগান গড়ার স্বপ্নে বিভোর। জীবনবাদী মরমী কবি সত্তার কবি মাসুদ পথিক বাস্তবতার শিকড় সন্ধান, লোক উপাদান, ভূমি ও কৃষি সংস্কৃতি গীতিময়তার সরল শিহরণকে কবিতায় বলতে চেয়েছেন সহজ উপযোগী করে। কবি সত্য সুন্দর আনন্দকে বপন করেছেন কবিতার শরীরে। ধ্যানমগ্নতা রয়েছে তার কবিতায় চেতন অবচেতনে।

কবি মাসুদ পথিক তার কবিতায় মাটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন ব্যাপকভাবে। মা মাটি মানুষ এ-ত্রিমাত্রিকতা তাকে দিয়েছে প্রকৃত প্রাণশক্তি। স্বদেশ স্বজাতির প্রতি গভীর অনুরাগ রয়েছে তার কবিতায়। লৌকিক অলৌকিক পরম সত্তার বর্ণনা করেন স্বপ্নালোকে। অসীমতা ও বৈশ্বিক তথা উত্তর উপনিবেশিক বোধ তার কবিতাকে নিয়ে যায় গণমানুষের কাছে।

কবি চিন্তার ব্যাপকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির অসীমতাকে রূপ দেন বহুমাত্রিকতায়। ভাববাদ ও বস্তুবাদের দ্বদ্বযুক্ত স্বতঃস্ফ‚র্ততা তার কবিতায় ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয় বিজ্ঞান। মানবিক প্রেমের প্রতি বিশ্বাস, কঠিন ও নির্মমতার বিপক্ষে সত্যের সন্ধান করেন মাটির মমতায়। কবি মাসুদ পথিক কবিতার বাইরে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের একজন শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি লাভ করেন। কবি কবিতার অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেও সফলতা লাভ করেন। তিনি সাহিত্য পুরস্কার হিসেবে কালি ও কলম এইচএসবিসি ব্যাংক পুরস্কার ২০১৩, কবি শামসুর রহমান স্মৃতি পুরস্কার, রায়পুরা ২০১৫, শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ২০১৫, সুসং দুর্গাপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ২০১৬, ঋত্বিক ঘটক পুরস্কার, কলকাতা ২০১৬, দক্ষিণারঞ্জন ধর স্মৃতি স্রোত সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মাননা, ত্রিপুরা ২০১৭, সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদ অ্যাওয়ার্ড, ঢাকা ২০১৭।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ২০১৬, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ২০১৬ সহ সর্বোচ্চ ৬টি ক্যাটাগরির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন; অফিসিয়াল সিলেকশন, সার্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, শ্রীলঙ্কা ২০১৬; শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা ২০১৬ লাভ করেন।

২০ নভেম্বর কবি মাসুদ পথিকের শুভ জন্মদিন। কবিতাচর্চা কবি ও কবিতার কাগজ তাকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

প্রেম আসলে কোনও কাঁটাতারের চোখ রাঙানি মানে না বা ভয় পায় না, প্রেম স্বয়ং মুক্ত ও স্বাধীন, প্রেম চিরহরিৎ এক বৃক্ষের নাম,যা...
12/11/2023

প্রেম আসলে কোনও কাঁটাতারের চোখ রাঙানি মানে না বা ভয় পায় না, প্রেম স্বয়ং মুক্ত ও স্বাধীন, প্রেম চিরহরিৎ এক বৃক্ষের নাম,যার ছায়ায় আমরা অহর্নিশ প্রাণিত ও বোধিত হই।

একজন মানুষ ফিলিস্তিনের আর একজন মানুষী ইজরাইলের।চিরশত্রু দুই দেশের নাগরিক।মানুষটি মাহমুদ দারবিশ,ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি আর নারীটি তামা বেন আমি।কিন্তু তাঁর প্রিয়তম রমণীটিকে কবি তো আর সবার ডাকা নামে ডাকবেন না,বড়ো সাধ ও যত্নে নাম রেখেছিলেন রিটা।

দু'বছরের উথালপাতাল প্রেম তাঁদের।কিন্তু সূর্যের আলোর মতো প্রেমও একসময় নিভে যায়।যায় নাকি? কবি জানতে পারলেন তাঁর আদরের রিটা আসলে একজন গুপ্তচর।ব্যথিত হলেন,ভগ্ন হৃদয় তাঁর।একসময় এই কবিই তো লিখেছিলেন :

'আমি আমার জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আমার শহর আর পরাধীনতার সবটুকু বেদনা ভুলে গিয়ে হলেও তোমাকে আমি ভালোবাসি।'

বড়ো বেদনায় সেই কবিই আজ লিখলেন:

'তোমার কাছে যে প্রেমের কখনোই অস্তিত্ব ছিলো না,
আমার কাছে সেই প্রেমই আমার সবকিছু ছিলো!'

আসলে কোনও প্রেমরই মৃত্যু হয় না।আজ অবধি কোনও প্রেমেরই মৃত্যু হয়নি।।শুধু রূপান্তর হয়, মেটামরফোসিস হয়, কবিতা হয় গান হয় ছবি হয়।

দারবিশ রিটাকে উদ্দেশ্য করে কবিতা লিখলেন।বড়ো বেদনাবিধুর সেই কবিতা।আমি আমার মতো করে কবিতাটি অনুবাদ করা থেকে নিজেকে নিরত রাখতে পারলাম না।

রিটা ও রাইফেল

রিটা ও আমার চোখের মাঝখানে
একটা রাইফেল
এবং যারাই রিটাকে চেনে
নতজানু হয়ে প্রার্থনা করে
ওই দু'টি চোখের মধু-রঙা দিব্যতার কাছে।

এবং আমি রিটাকে চুমু খেয়েছিলাম
যখন সে কমবয়সি ছিল
এবং আমার মনে আছে কেমন করে সে এগিয়ে আসত
এবং কীভাবে আমার বাহু তার সুদৃশ্য খোঁপায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল।

এবং আমি স্মরণ করি রিটাকে
যেভাবে একটি চড়ুই মনে রাখে তার নিজস্ব জলাধারকে।

আহ্, রিটা
আমাদের মাঝখানের লক্ষ লক্ষ চড়ুই
এবং দৃশ্যকল্প
এবং নির্দিষ্ট মিলনস্থল
সব ছাই হয়ে গেল রাইফেলের আগুনে।

রিটার নাম আমার কাছে উৎসবের আবহ তৈরি করত
রিতার শরীর আমার রক্তে বাসর রাতের অনুভূতি নিয়ে আসত
এবং দু'টো বছর আমি রিটাতে হারিয়ে যাই
এবং দু'টো বছর সে আমার বাহুপাশে ঘুমিয়ে ছিল
এবং উৎকৃষ্ট পেয়ালায় ঠোঁট রেখে
আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম
এবং আমরা আমাদের ঠোঁটের মদিরায় পুড়ে যাব
এবং আমরা আবার জন্ম নেব।

আহ্, রিটা!
এই রাইফেলের আগে কে পেরেছে তোমার চোখ থেকে আমার চোখ সরাতে
সামান্য দিবানিদ্রা ও মধু-বর্ণ মেঘ ছাড়া?

কোনও এক সময়
ওহ,গোধূলির নৈঃশব্দ্য
একদিন সকালে আমার চাঁদ বহু দূরে ভিটেছাড়া হল
ওই মধু-রঙা চোখের টানে
এবং শহর ভাসিয়ে নিয়ে গেল সমস্ত গায়কদের
এবং রিটা।

রিটা ও আমার চোখের মাঝখানে
একটা রাইফেল

*লেখাটির জন্য জান্নাতুন নাঈম প্রীতির কাছে কৃতজ্ঞ। কিছু উদ্বৃতি প্রীতির লেখা থেকে ব্যবহার করেছি।আসলে প্রীতির একটি লেখা পড়েই এই অনুবাদটির ভাবনা মাথায় আসে।

Jannatun Nayeem Prity

লেখা : গৌতম মিত্র

কাঁচা বাতাবির মত সবুজ ঘাস— তেমনই সুঘ্রাণ— হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছেআমারও ইচ্ছা করে এই ঘাসের এই ঘ্রাণ হরিৎ মদের মত...
30/10/2023

কাঁচা বাতাবির মত সবুজ ঘাস— তেমনই সুঘ্রাণ— হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে
আমারও ইচ্ছা করে এই ঘাসের এই ঘ্রাণ হরিৎ মদের মত গেলাসে-গেলাসে পান করি
— জীবনানন্দ দাশ

Address

Ramna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when POEM VEIN posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share