Recycle Bin

Recycle Bin নতুন বা পুরাতন পণ্য বেচা কেনার নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফ্রম 🛍

গল্পটা মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।-খালা ভাত খাবেন?-হ বাবা। অল্প কয়ডা ভাত খাইতাম।-বসেন চেহারে।-ভাত খাওনের কী কী আছে বাবা ?-...
28/12/2024

গল্পটা মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

-খালা ভাত খাবেন?
-হ বাবা। অল্প কয়ডা ভাত খাইতাম।
-বসেন চেহারে।
-ভাত খাওনের কী কী আছে বাবা ?
-ইলিশ মাছ, পাঙ্গাশ মাছ, রূপসা মাছ, মুরগী আর ভাজি। কী দেবো আপনাকে।
-পাতলা ডাইল নাই বাবা। আমার খালি ডাইল হইলেই হইবে।
-আছে। শুধু ডাল দিয়া খাবেন কীভাবে।সাথে ভাজি দেই?
-না বাবা। আমার কাছে টাহা নাই অত।আমারে পলিথিনে দুগ্গা ভাত আর এক চামচ ডাইল দেও। আমি খাইতে পারমু।ডাইল না দেলেও পানি দিয়া গিল্লা খাইতে পারি আমি। খালি দুগ্গা ভাত দেও আমারে বাবা।
-আপনার কাছে তো টাকা নেই।
ভাতের দাম দিবেন কিভাবে?
-এক মুঠ ভাতেরও দাম দেওয়া লাগবে বাবা?

একথা শুনে শান্ত ভিতরে গেলো ভাত আনতে।
ভাতের পাশে একটু ভাজি আর এক টুকরা মাংস এবং ঝোল নিয়ে প্লেটটা এগিয়ে দিলো।

-ও বাবা এয়া কি দেছো আমারে।
আমার কাছে তো টাহা নাই।
খালি ভাত দুগ্গা দেও আমারে।
আমি পানি দিয়া খাইতে পারমু।
-আপনি খেয়ে নিন। দাম দিতে হবে না।

বাহিরে প্রচন্ড রোদ। চৈত্র মাসের রোদ।সেদিকে তাকিয়ে শান্ত কিছু একটা ভাবতে লাগলো।
শান্তদের ভাতের হোটেলে সব ধরনের লোকই ভাত খেতে আসে।
তবে হাজেরা খাতুনের মত লোক আজ প্রথম এসেছে।
হাজেরা খাতুনের খাওয়া হয়ে গেছে।সে সামনে আসতেই শান্ত তাকে একটা টিসু পেপার এগিয়ে দিলো হাত মোছার জন্য।কিন্তু সে সেটা না নিয়ে তার কাপড়ের আঁচল দিয়েই হাত মুখ মুছে নিলো।

শান্ত খেয়াল করলো তার চোখ লাল।সে ভাবলো হয়তো তার ঝাল লেগেছে।কিন্তু তা নয়।তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল।
সে জল হয়তো শান্তকে কিছু বলতে চাচ্ছে।

-আপনি কান্না করছেন কেনো ?
-কান্দি না রে বাপ। আজইগো অনেক দিন পরে এমন কইরা দুগ্গা ভাত খাইলাম।ঝোলের স্বাধ কেমন হয় তা অনেকদিন পর আমি বুঝতে পারছি।
-কেন আপনি বাসায় ভাত খান না।
-খাই বাবা কোনোভাবে চাউল সেদ্ধ দিয়া খাই। ফেনভাত। আইজ চাউল নাই।
শরীর ভালোনা তাই দেরি কইরা খয়রাতে বাইর হইছি। কেউ চাউল দেয় নায়।
বাবা তুমি যা খাওয়াইছো এতে আমার ২দিন না খাইলেও হইবে।
-আপনার স্বামী ছেলে-মেয়ে নাই?
-স্বামী মরছে ক্যান্সারে। পোলা আছিলো একটা। কিছু দিতে পারতাম না। আমারে মারধোর কইরা চইলা গেছে হেয়াও প্রায় দশ বছর হইলো।
-আপনি থাকেন কোথায়? আর আপনার নাম কী?
-পলাশপুর বস্তিতে থাহি।
নাম আমার হাজেরা খাতুন।

হাজেরা খাতুনের পড়নের জীর্ণ শীর্ণ শাড়ি এবং তাতে ময়লা মাখা।
তাকে হোটেলের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে দু'জন নাক চেপে কোনোরকমে হাজেরা খাতুনের পাশ দিয়ে ভিতরে গিয়ে বসলো।

-বাবা আল্লায় তোমারে তৌফিক দিক।
দোয়া করি ভালো খাইকো সবসময়।
আমি যাই বাবা।

এ কথা বলেই হাজের খাতুন চলে গেলেন এবং শান্ত কিছুক্ষণ তার চলে যাওয়া দেখলো।
এরপর সে হাজেরা খাতুনের টেবিল পরিষ্কার করতে গিয়ে অবাক হয়ে গেলো।

টেবিলের আশেপাশে ভাত ছড়ানো নেই।একজন ভদ্রলোক যেভাবে পরিপাটি এবং গুছিয়ে খাবার খায় হাজেরা খাতুন ঠিক সেই ভাবেই গুছিয়ে খাবার খেয়েছে।সবথেকে অবাক করা ব্যাপার হলো গ্লাসের নিচে পাঁচ টাকার একটি নোট চাপা দেওয়া ছিলো।

-কিরে দুই দিন ধরে তোর মুখটা এমন ফ্যাকাসে লাগছে কেনো।
কিছু হইছে তোর?
'রুদ্র শান্তর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো।
-হুম। একটা বিষয় নিয়ে ভাবতেছি।
-কী বিষয় বল তো।

শান্ত হাজের খাতুনের কথা সব রুদ্রকে খুলে বললো।
শান্ত চায় হাজেরা খাতুনের সেই পাঁচ টাকা ফেরত দিতে এবং সাথে কিছু চাল, ডাল আরো কিছু খাবার নিয়ে যাবে।

-চল তাহলে।কালকেই চল।কালকে সোমবার আমাদের দোকান বন্ধ ফ্রি আছি।বিকেলের দিকে চল।
রুদ্র বললো,
-ঠিকাছে।চল কাল বিকেলেই যাবো।

সোমবার বিকেলেই তারা পলাশপুর রওনা হলো।সাথে চাল ২৫ কেজি।
ডাল ৫ কেজি। আলু ৫ কেজি। এছারাও পিয়াজ, রোসুন, সাবান, চানাচুর, ভালো মানের বিস্কিট এবং সেই পাঁচ টাকা।

পলাশপুর যেতে যেতে প্রায় বিকেল পাঁচটা বেজে গেলো।
বিশাল বড় বস্তি, তার ভেতর একজনকে খুজে বের করা খুব সোজা কাজ নয়।

শান্ত এবং রুদ্র লোকজনের কাছে খোজ করতে লাগলো।
কিন্তু কেউ হাজেরা খাতুনের খোজ দিতে পারলো না।
প্রায় সন্ধ্যার দিকে একজন মহিলা পাওয়া গেলো যে কিনা হাজেরা খাতুনকে চেনে।

-আমিতো হাজেরা বুর লগে মাঝে মাঝে খয়রাত করতে যাইতাম।
মানুষডা অনেক ভালো আছিলো।
-আমরা তার কাছে যেতে চাই তার ঘড়টা আমাদের একটু দেখিয়ে দিন। শান্ত বললো।
-সে তো মইরা গেছে।
ঘড়ে যাইয়া কী করবা তোমরা।
-মরে গেছে মানে?
গত শুক্রবার আমাদের দোকান থেকে সে ভাত খেয়ে এসেছিলো।
-শনিবার রাইতে আমি তার লগে দেখা করতে যাই।
দড়জা টাহাইছি অনেকবার ডাকছিও কিন্তু হে দড়জা খোলে নায়।
হেরপর কয়েকজন বেডারে ডাক দিয়া দড়জা খোলাইছি।
দেহি তার দেহডা মাডিতে পইরা আছে।হাতের ধারে পানির গ্লাস পইরা আছে।
মনে হয় পানি খাইতে যাইয়াও খাইতে পারে নায়।
-তারপর কী করলেন?
-কী আর করমু। হের তো পোলা মাইয়া স্বামী কিছুই নাই। এইহানের লোকজনই তারে মাডি দেছে গোরোস্তানে।
-আমি একটু সেখানে যেতে চাই।ভাড়ি কন্ঠে শান্ত বললো।
-চলো।কাছেই তো।

শান্ত হাজেরা খাতুনের কবরের সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
কিছুক্ষণ তাকিয়েই রইলো কবরের দিকে।
তারপর পকেট থেকে সেই পাঁচ টাকার নোট বের করে একটা ইট দিয়ে চাপা দিয়ে রেখে দিলো তার কবরের পাশে।
আর বললো এক মুঠো ভাতের দাম আমি রাখতে পারবো না খালা।

বিঃ দ্রঃ কখনো যদি কাউকে সাহায্য করার সুযোগ আসে সেই সুযোগটা মিস করবেন না টাকা সবাই কামাতে পারে।
কিন্তু সাহায্য সবাই করতে পারেনা।
#সংগৃহীত













Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!Sazzadur Rahman Shazib, Maliha Miraj
25/12/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!

Sazzadur Rahman Shazib, Maliha Miraj

কথা সত্য😢
24/12/2024

কথা সত্য😢

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সফলতা আসে না।  জোর করে নিয়ে আসতে হয় শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খ...
21/12/2024

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সফলতা আসে না। জোর করে নিয়ে আসতে হয়

শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি। কিন্তু দিন শেষে আজ শচীনকে ক্রিকেট নক্ষত্র হিসাবেই জানে.

মার্ক জুকারবার্গকে তার গার্লফ্রেন্ড যখন সকল সোশ্যাল সাইট থেকে ব্লক করে দেয়, তখন সে জেদ করে সবচেয়ে বড় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক বানিয়ে ফেলে, যার মাধ্যমে সে ওয়ার্ল্ড এর টপ ফাইভ রিচম্যানদের একজন। আর আপনি হলে কি করতেন? শেভ করা ছেড়ে দিয়ে সিগারেট টানতেন আর বলতেন- বেঁচে থেকে লাভ কি বল তোকে ছাড়া আর...

টমাস আলভা এডিসন একটা বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করতে গিয়ে যতবার ব্যর্থ হয়েছেন এই পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ তত বছর বাঁচেওনি। ৯৯৯ বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আর আপনি? সফল হওয়ার আগে প্রশ্ন করুন নিজেকে কতবার চেষ্টাটা করতে পারবেন?

সাইকেল গ্যারেজে কাজ করা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্ল্যান করে যতবার চেষ্টা করে করে বিমান উড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন, আপনি ততবার প্ল্যান করে পাখির উড়াও দেখেননি। তবু তিনি বিমান টা আবিষ্কার করেই ছাড়লেন।

সৃষ্টিকর্তাকে একবার জানান দেন সাকসেস আসার আগ পর্যন্ত আপনি থামবেন না, হেরে গেলেও না, বারবার ব্যর্থ হলেও না...
ছোট বেলায় যেভাবে হাঁটতে না পারলে আবার চেষ্টা করতেন, পড়ে গিয়ে বেথা পেয়ে কান্না করতে করতে আবার দেয়াল ধরে হাঁটতে চাইতেন, এখন সময় এসেছে আবার দাতে দাত চেপে নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকার।

যে যাই বলুক, যে যা করুক আপনি শুধু লেগে থাকুন, বাকিটা সিস্টেম্যাটিক্যালি স্রষ্টা আপনাকে দিয়ে দিবেন।
#সংগৃহীত





সিদ্ধান্ত নিয়েছি ,আরেকবার ভীষণ রকম প্রেমে পড়ব। ঠিক করেছি, আরেকবার কাউকে খুব করে ভালোবাসবো। তবে এবার একশো ভাগ সত্যিকারের ...
20/12/2024

সিদ্ধান্ত নিয়েছি ,
আরেকবার ভীষণ রকম প্রেমে পড়ব।
ঠিক করেছি, আরেকবার কাউকে খুব করে ভালোবাসবো।

তবে এবার একশো ভাগ সত্যিকারের প্রেম চাই এবার আমার
হোক সেটা কৈশোরের প্রথম প্রেমের মত সরল, সাদা সিধে
সামান্য চোখের দেখা, হাতে হাত ছোঁয়ায় জীবন ধন্য হওয়া প্রেম,
অথবা যৌবনের নেশা জাগানো মাতাল করা প্রেম।

আমি চাই এবার আমার একটা গভীর প্রেমের গল্প হোক।

রবি ঠাকুর এর অমিত লাবন্য, শরৎচন্দ্রের দেবদাস পার্বতী,
সমরেষ এর মাধবী অনিমেষ এর প্রেম কেও ছাপিয়ে যাক,
আমার প্রেম কালজয়ী সব প্রেমের উপন্যাসকেও হার মানাক

আমার প্রেমের গভীরতা,
এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাক
যোগ্য প্রেমিক পেলে,
এবার আমি আলেকজান্দ্রিয়ার ক্লিওপেট্রা হব, স্পারটার হেলেন হব।

প্রেমিক হিসেবে শামস ই তাবরিজ এর মত পাগল কাউকে পেলে
আমিও এবার জগত সংসার ছেঁড়ে জালালুদ্দিন রুমি হব।

মুখে ভালোবাসি বলা প্রেম অনেক হয়েছে
আমি একটা সত্যিকারের প্রেম চাই......!

আজকাল একটা একশ ভাগ বিশুদ্ধ প্রেমের জন্য খুব তৃষ্ণা জাগে।
আজকাল তথাকথিত প্রেমিকদের আবেগমাখা প্রেমের কথাও বিষ লাগে

কবি উপন্যাসের নিতাই মত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে ইচ্ছে করে
ভালবেসে মিটলো না আশ, কুলালো না এ জীবনে।
হায়! জীবন এত ছোট ক্যানে,এ ভুবনে?’

মরে যাবার আগে একবার আমি সত্যিই,
একটা সত্যিকারের প্রেম চাই...।

#সংগৃীত




🖤টক্সিক মানুষ চিনেন? আপনার খুব ক্লোজ কেউ আছে, যাকে দেখে মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তিনি আপনাকে ধ্বংস করে দ...
20/12/2024

🖤টক্সিক মানুষ চিনেন?

আপনার খুব ক্লোজ কেউ আছে, যাকে দেখে মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তিনি আপনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

টক্সিক মানুষের উপস্থিতি ধীরে ধীরে আপনার জীবনে বিষের মতো কাজ করে। প্রথমে হয়তো টের পাবেন না, কিন্তু একটা সময় মনে হবে—আপনার চারপাশটা ভারী, মনটা ক্লান্ত।

হঠাৎ একটা দিন বুঝবেন, এই ভারটা আসলে মানুষেরই তৈরি।

কিন্তু কীভাবে বুঝবেন যে কেউ টক্সিক?

এমন কিছু আচরণ আছে, যেগুলো যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার জীবনের মানুষটি আসলে আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকারক। চলুন, টক্সিক মানুষের আচরণগুলো একটু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করি।

১. সবকিছুতে খুঁত ধরার অভ্যাস

টক্সিক মানুষ এমনভাবে সমালোচনা করে, যেন আপনি কিছুই জানেন না, পারেন না। আপনার ভালো কাজেও তারা ভুল খুঁজে পায়। মজার ব্যাপার হলো, এই সমালোচনা মোটেও গঠনমূলক নয়। বরং, তারা আপনাকে ছোট করার জন্যই এটা করে।

২. কথা দিয়ে আপনাকে বেঁধে ফেলে

তারা এমনভাবে কথা বলে বা কাজ করে যে আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাতে শুরু করেন। তারা আপনাকে দোষারোপ করে নিজের সুবিধামতো পরিস্থিতি গড়ে তোলে। সবসময় মনে হবে আপনি তাদের ইচ্ছার ক্রীড়নক হয়ে গেছেন।

৩. আপনাকে সবসময় ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা

তারা আপনার সিদ্ধান্ত বা কাজ নিয়ে সবসময় সন্দেহ প্রকাশ করে। হয়তো আপনি নিশ্চিত ছিলেন একটা বিষয়ে, কিন্তু তাদের কথায় সেটা ভুল বলে মনে হতে শুরু করবে।

৪. তাদের সমস্যার জন্য আপনি দায়ী!

তারা সবসময় ভিকটিম। সব সমস্যার দায় তাদের না, বরং পৃথিবীর! তারা কখনো নিজের দোষ স্বীকার করবে না, বরং আপনাকেই দায়ী করবে। আপনি সবসময় অপরাধবোধে ভুগবেন।

৫. কথায় কথায় অভিযোগ

তাদের চারপাশে সবকিছুই যেন খারাপ। সবকিছুতে তারা অভিযোগ করে। এই নেতিবাচক মানসিকতা ধীরে ধীরে আপনার জীবনেও ছাপ ফেলে।

৬. আপনার অনুভূতি নিয়ে খেলা

তারা কখনোই আপনার সুখ বা দুঃখ নিয়ে ভাবে না। আপনার কষ্ট, আপনার সুখ—কিছুতেই তাদের কিছু যায় আসে না। এমনকি যখন তারা আপনাকে আঘাত করে, তখনও তাদের মনের কোণায় বিন্দুমাত্র মায়া জন্মায় না।

৭. আপনার ভালো দেখলে অস্বস্তি বোধ করা

আপনার সফলতা দেখলে তারা কখনোই আনন্দিত হয় না। বরং ঈর্ষান্বিত হয়। আপনার অর্জনকে হালকা করে দেখা, ঠাট্টা করা বা আপনাকে নিচু করার চেষ্টা তারা চালিয়ে যায়।

৮. আচরণে একধরনের দ্বিচারিতা

একদিন তারা খুব মিষ্টি, আবার পরের দিন হুট করেই দুর্ব্যবহার। এই অস্থিরতা আপনাকে সবসময় একটা মানসিক চাপের মধ্যে রাখে। আপনি বুঝতেই পারবেন না, কখন কীভাবে তাদের সঙ্গে মিশতে হবে।

৯. শুধু নেওয়ার অভ্যাস, কিছুই না দেওয়া

টক্সিক মানুষের কাছে সম্পর্ক মানে শুধু নেওয়া। তারা আপনাকে ব্যবহার করবে, আপনাকে থেকে সুবিধা নেবে, কিন্তু বিনিময়ে কিছু দেবে না।

১০. আপনার ‘না’কে গুরুত্ব না দেওয়া

তারা আপনার ব্যক্তিগত সীমানাকে রেসপেক্ট করে না। আপনার সময়, মতামত বা আরামের কোনো মূল্যই তাদের কাছে নেই।

টক্সিক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা সহজ নয়, কিন্তু এটা অত্যন্ত জরুরি।

জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই মূল্যবান। এমন মানুষের সঙ্গে সময় নষ্ট করার চেয়ে নিজের মানসিক শান্তি এবং সুখকেই প্রাধান্য দিন।

মনে রাখবেন,

যারা আপনাকে ভালোবাসে, তারা কখনো আপনাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলবে না।

✅✅

©️ NH Nur Hossain

#সংগৃীত

19/12/2024

Good night everyone😴

তিনটি ঘটনা আমাকে সংসারবিমুখ করেছিল, স্থায়ীভাবে।(কবি হেলাল হাফিজের  জীবন থেকে.....)এই দীর্ঘ জীবনের পেছনে ফিরে তাকালে তিনট...
17/12/2024

তিনটি ঘটনা আমাকে সংসারবিমুখ করেছিল, স্থায়ীভাবে।

(কবি হেলাল হাফিজের জীবন থেকে.....)

এই দীর্ঘ জীবনের পেছনে ফিরে তাকালে তিনটি ঘটনার কথা মনে পড়ে। তিনটি ঘটনাই আমার জীবনকে ওলটপালট করে দিয়েছে। আমি সফল নাকি ব্যর্থ, হিসাব কষতে বসলেও ওই তিনটি ঘটনা অবধারিতভাবে সামনে চলে আসে। আজ আমার যতটুকু সফলতা, সেই তিনটি ঘটনা তার পেছনে দায়ী। আবার আমার যতটা ব্যর্থতা, তার পেছনেও আছে ওই তিন ঘটনা।

প্রথম ঘটনা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) থাকি। ওই দিন সন্ধ্যায় নিউমার্কেটের দিকে আড্ডা দিয়ে রাতে হলে ফিরেছি। ক্যানটিন বন্ধ। খেতে গেলাম মেডিকেল গেটের কাছে পপুলার নামের একটা রেস্টুরেন্টে। খাওয়া শেষে মনে হলো, ফজলুল হক হলে বন্ধু হাবিবুল্লাহ থাকে, ওর সঙ্গে একটু দেখা করে আসি। গেলাম ফজলুল হক হলে। হাবিবুল্লাহর কক্ষে গিয়ে আমি আড্ডা শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পর, রাত তখন পৌনে ১০টা হবে, হঠাৎ গোলাগুলির বিকট আওয়াজ। আমরা হলের ছাদে উঠে দেখলাম, নীলক্ষেত, নিউমার্কেটের দিকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।

২৭ মার্চ সকালে ইকবাল হলে গিয়ে দেখি, মাঠের মাঝখানে, এখানে-ওখানে শুধু লাশ আর লাশ। নিজের কক্ষে গিয়ে স্যুটকেস গুছিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম। এখান থেকে পালাতে হবে, না হলে বাঁচা সম্ভব নয়। হলের গেটে এসে দেখি নির্মলেন্দু গুণ দাঁড়িয়ে আছে। সে বলল, ‘আমি ভেবেছি তুমি মারা গেছো, তোমার লাশ নিতে এসেছি।’ বলেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। আমিও সজোরে কাঁদতে লাগলাম। তারপর সেখান থেকে আমার বড় ভাইয়ের বাসায় গিয়ে উঠলাম।

এই ঘটনা আমার হৃদয়ে ব্যাপকভাবে ছাপ ফেলল। আমার তখন কেবলই মনে হতো, ওই রাতে যদি আমি ফজলুল হক হলে না গিয়ে নিজের হলে ফিরতাম, তাহলে তো বাঁচতাম না। একটা বোনাস জীবন পেয়েছি—এই উপলব্ধি আমার ভেতর বিরাট বৈরাগ্য এনে দিল। এক ধরনের সন্ন্যাস জীবনযাপন শুরু করলাম আমি।

এর পরের ঘটনা ’৭৩ সালের জুনের। ১৯ জুন আমার পিতার মৃত্যু হলো। তিন বছর বয়সে মা মারা যাওয়ার পর আব্বাই ছিলেন আমার সবকিছু। তাঁর মৃত্যু প্রবলভাবে ধাক্কা দিল আমাকে। মনে হলো, জগৎসংসার তুচ্ছ। সব অর্থহীন। আমার বৈরাগ্য আরও প্রগাঢ় হলো।

আব্বার মৃত্যুর মাসখানেক পরই ঘটল তৃতীয় ঘটনা। ঘটনা ঘটাল হেলেন, আমার প্রেমিকা। হেলেন হঠাৎ ডেকে বলল, ‘কবি, তোমার সঙ্গে আমার জরুরি কথা আছে।’ আমরা গিয়ে বসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে। সে বলল, ‘আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। বাবা-মা আমার বিয়ে ঠিক করেছে।’

ছোটবেলা থেকে আমি খুব সহনশীল ছিলাম। প্রচণ্ড সহ্যশক্তি আমার। তাই ভেতরের ঝড় বুঝতে দিলাম না হেলেনকে। ওখান থেকে উঠে রিকশা নিয়ে সোজা হলে চলে গেলাম। ওটাই হেলেনের সঙ্গে আমার শেষ দেখা ও শেষ কথা।
এই তিনটি ঘটনা আমাকে চিরস্থায়ীভাবে সংসারবিমুখ করে ফেলল। আমার আর ঘর হলো না, সংসার হলো না, অর্থকড়ি হলো না, প্রতিষ্ঠা হলো না।
----

তৃতীয় ঘটনার এক যুগেরও বেশি সময় পর, ১৯৮৬ সালে, তিনি লিখলেন এক কবিতার বই; নাম 'যে জলে আগুন জ্বলে'। কথিত আছে এই কবিতার বই হেলেনের স্বামী কিনে দিয়েছিলেন হেলেনকে। পুরা বই জুড়ে তাকে না পাওয়ার জন্য কবির হাহাকার দেখে হেলেন মানসিকভাবে প্রচন্ড আঘাত পান এবং এক পর্যায়ে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়ার পর তিনি নেত্রকোনায় বাবার বাড়িতে চলে যান, সেখানে তাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখতে হতো।
হেলেনকে না ভুলতে পেরে কবিও আর বিয়ে করেননি, সংসার করেননি, ঘর ছিলো না; থাকতেন হোটেলে হোটেলে।

(প্রথম দুটো তথ্য কবির মুখ থেকে শুনলেও শেষের তথ্যের রেফারেন্স জানা সম্ভব হয়নি- রবিউল আলম লুইপা)

17/12/2024

আসসালামু আলাইকুম শুভদুপূর সবাইকে🌸

'ভাবী মেয়েটা একদম আমার মায়ের মত'হেলাল হাফিজ শান্তি পায়নি জীবনে। হেলেন কি পেয়েছিল?স্কুল জীবনে হেলেনের প্রেমে পড়ে হেলাল হা...
16/12/2024

'ভাবী মেয়েটা একদম আমার মায়ের মত'

হেলাল হাফিজ শান্তি পায়নি জীবনে। হেলেন কি পেয়েছিল?

স্কুল জীবনে হেলেনের প্রেমে পড়ে হেলাল হাফিজ। দুজনে চুটিয়ে প্রেম করে । কিন্তু বিয়ে হয়নি। দারোগা পিতা হেলেনের ক্ষুদ্র স্কুল শিক্ষকের ছেলের সাথে বিবাহ দিতে রাজী হয়নি। হেলেনের বিয়ে হয় এক বিখ্যাত সিনেমা হলের মালিকের সাথে।

রাগে অভিমানে হেলাল হাফিজ ২ সপ্তাহ খায়নি কিছু। কারও সাথে কথা বলেনি। হেলেন তার জীবনে এত প্রভাব ফেলে যে হেলেনকে নিয়ে গোটাশুদ্ধ বই লিখেন।

কিন্তু হেলেনের কী হয়?

না, হেলেন স্বার্থপরের মত ভালোভাবে বাচতে পারেনি। বেচারি। হেলেনের জামাই অনেক বইয়ের সাথে বইমেলা থেকে যে জলে আগুন জ্বলেও কিনে নেয়। হেলেন বইটা পড়ে দেখে গোটা বইয়ে শুধু সে।

হেলেন নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যায় হেলালের অভিশাপে। হেলাল হাফিজ কি চেয়েছিল সেটা?

নাহ, শেষ বয়সে আসার পরও হেলেনের নাম শুনলে হেলাল হাফিজ বাচ্চা শিশুর মত নাকি কাদতেন। এমনটাই উঠে এসেছেন আখতারুজ্জামান আজাদের সাক্ষাতকারে।

কাওকে হয়ত এতটা ভালোবাসতে নেই যে দ্রোহে নিজের ভালোবাসার মানুষটাই পাগল হয়ে যায়।

প্রেমের আগুনে হেলাল হাফিজ পুড়েছেন। নি:সংগ জীবন কাটিয়েছেন। উনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হতো , আপনি বিয়ে করছেন না কেন?

উনি নাকি হালকা হেসে বলতেন, কেউ আমাকে বিয়ে করেনি।

উনার পরিবার থেকে কারও প্রস্তাব আসলে উনি নাকি বলতেন, মেয়েটা আমার মায়ের মত।

অবশেষে পরিবারের চাপ কমাতে থাকা শুরু করেন মেসে। ভিন্ন নামে। ভিন্ন পরিচয়ে। কাওকে হেলেনের জায়গা দিতে পারেনি হেলাল হাফিজ। নিজেও সুখের দেখা পায়নি। হেলেনের ও সুখ হয়নি।

শাহবাগের সুপার হোস্টেলের একটা ঘরে একা থাকতেন কবি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওয়াশরুমের দরজা খুলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা ভেঙে খোলা হয়। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন রক্তাক্ত।

এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জীবনে যেটা পাওয়ার কথা সেটা পায়নি কবি। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা পরপাড়ে উনাকে সেটা দিক।

© এম. জে. বাবু

মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে♥️🌹         🇧🇩♥️🫡
16/12/2024

মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
সবাইকে♥️🌹









🇧🇩♥️🫡

কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরী সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন!দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষক...
14/12/2024

কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরী সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন!
দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সাথে ঢাকায়। হেলাল হাফিজও চলেন আসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।
তার এক মাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম "যে জ্বলে আগুন জ্বলে!"হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেন কে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বই জুড়ে কবির আকুতি। তাকে না পাওয়ার।
হেলেন সে কবিতার বই পড়ার পর মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়। নেত্রকোনায় বাবার বাড়ি ফিরে যান হেলেন। তাকে শেকল দিয়ে ঘরে বেধে রাখতে হয়।
হেলাল হাফিজ নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারেননি। কিংবা সে প্রেম থেকে বের হতে পারেননি। তাই আর কখনো বিয়ে করেননি। খুব গুছিয়ে থাকতেন। গোছালো মানুষ ছিলেন। তাকে দেখে বোঝা যেতো না, ভেতরে ভেতরে তার ভেতর এতোটা ভাঙ্গন।

''যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো
জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুন তাপস এই নে চারু শীতল কলস।
লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম ।
ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে যেমন করে বিপদ পেরোয়
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।
কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি।"

প্রেম ও দ্রোহের কবি চলে গেলেন, একাকিত্বের অবসান ঘটলো অবশেষে!
আমাদের বন্ধুমহলে কথা ফুরিয়ে গেলে আমরা হেলাল হাফিজকে কথোপকথনে যোগ করতাম। তিনি এতটাই প্রাসঙ্গিক ছিলেন আমাদের মাঝে। আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো কিন্তু তিনি থেকে গিয়েছিলেন যার যার কাছে আলাদা ভাবে। আজ ব্যক্তি হেলাল হাফিজ ও চলে গেলেন। অমৃতলোকে ভালো থাকুক প্রিয় কবি ॥

সাংবাদিক মুন্নী সাহা এখন কই আছেন আমার জানা নেই। তবে তিনি অতি অবশ্যই আমার এই লেখা পড়বেন। এর মাঝে নিশ্চয় আপনারা জেনে গিয়েছ...
13/12/2024

সাংবাদিক মুন্নী সাহা এখন কই আছেন আমার জানা নেই। তবে তিনি অতি অবশ্যই আমার এই লেখা পড়বেন। এর মাঝে নিশ্চয় আপনারা জেনে গিয়েছেন, মুন্নী সাহার ব্যাংক একাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এর বেশিরভাগ টাকাই তিনি তুলে নিয়েছেন। এখন মনে হয় আছে ১৪/১৫ কোটি টাকা।

২০০৮ সালে সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এশিয়ান স্টাডিজে মাস্টার্স শেষ করে এক মুহূর্তও আর দেরি করি নি। সোজা বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছে- সাংবাদিকতা করবো। কিংবা খবর পাঠ করবো। সে অনুযায়ী আবেদন করতে শুরু করলাম।

এর মাঝে ঢাকার নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হসাবে জয়েন করেছি। কিন্তু আমার তো ইচ্ছে- সংবাদ মাধ্যমে কাজ করার। তাই আবেদন করে যাচ্ছিলাম। এক সময় এনটিভি থেকে ডাক আসলো। দুইটা ইন্টার্ভিউ দেয়ার পর ফাইনাল ইন্টার্ভিউ দিতে গেলাম তখনকার এনটিভির মালিকের রুমে। তিনি আমাকে বললেন

- আপনার যে যোগ্যতা। আপনি কি আদৌ এ কাজ করবেন?

আমি হেসে বললাম

- করবো বলেই তো আবেদন করেছি।

তিনি এবার হেসে বললেন

- আপনি অনেক ভালো জায়গায় পড়াচ্ছেন। বরং সেখানেই থাকুন।

আমি এবার হেসে বললাম

- এর মানে আমার চাকরিটা হচ্ছে না; তাই তো?
- না না। আপনি চমৎকার করে কথা বলেন। আপনি চাইলে জয়েন করতে পারেন। কিন্তু আমার ধারণা আপনি যেখানে আছেন, সেখানে থাকাই ভালো।

এরপর আমাকে অফার দেয়া হয়েছিলো সংবাদ পড়তে। কিন্তু আমার মা যেতে দিলেন না। এত কিছু লেখার কারন হচ্ছে- আজ যখন দেখতে পেলাম মুন্নী সাহার ব্যাংক একাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা! তখন সোজা গিয়ে খানিক গুগল করলাম। যদিও আমি উনাকে চিনি। এরপরও ভালো করে জানার জন্য।

তিনি ইডেন কলেজ থেকে বিএসসি (ডিগ্রী) পাশ করেছেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রিলিমিনারী মাস্টার্স করেছেন। এছাড়া ভোরের কাগজ এবং এটিএন নিউজে সাংবাদিকতা করেছেন। এই হচ্ছে উনার যোগ্যতা। মানে সাংবাদিকতা করতে এসে উনার ভাগ্য খুলে গিয়েছিলো।

ঢাকায় গুলশান লিঙ্ক রোডের পাশে ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে। ব্যাংকে শত শত কোটি টাকা! তাহলে বুঝতে পারছেন তো- কারা সাংবাদিকতা করতো? আর আমরা কেমন সংবাদ পেতাম!

আমি শুধু চিন্তা করছিলাম- আমাদের পক্ষে কি এক জীবনে এত টাকা ইনকাম করা সম্ভব? পড়াশুনা পেছনেই প্রায় ৩০ বছর কাটিয়ে দিয়েছি। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স-মাস্টার্স করেছি। এরপর সুইডেনে আরেকটা মাস্টার্স। ইংল্যান্ডে পিএইচডি করে এখন এস্তনিয়ায় ছোট একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। ইউরোপে থাকছি ২০ বছর হতে চলেছে।

পৈতৃক সূত্রেই আমি মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারে মানুষ। বাবার ঢাকায় একটা অতি সাধারণ বাড়ি আছে। গ্রামে কিছু সম্পত্তি। এই টাইপ আরকি। সেই আমার পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না পুরনো বাড়িটা ভেঙে একটা নতুন বাড়ি বানানো। মানে জায়গা আছে। কিন্তু বাড়ি বানানোর টাকা নেই। আশপাশের লোকজন এসে প্রায়ই বলে- ভেঙে পড়বে না-তো!

অথচ দেখেন মুন্নী সাহারা শত কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছেন। কারন উনারা দিনে-রাতে বিকিয়েছেন। লিখতে গেলে অনেক কিছু লেখা যায়। কারন আমি উনাকে কিছুটা হলেও চিনি এবং জানি। শুধু এত টুকু বলি- ওই আমলে অনেক মানুষকে বলতে শুনেছি- মুন্নী সাহার মত হতে চাই।

আমি এসব শুনে ভাবতাম- একটা মানুষ, যে কিনা সকাল-বিকাল বিকোচ্ছে। ছেলে-মেয়েগুলো কিনা এর মত হতে চায়! কোন দিন শুনেছেন- কেউ এই আমাদের মত হতে চায়? যে জীর্ণ বাসায় থাকে, রিকশায় কিংবা সিএনজিতে করে এখানে-ওখানে যায়।

মুন্নী সাহাররা এমনি এমনি তৈরি হয় না। এদের তৈরি করা হয়। যাদের দেখে পুরো সমাজ এদের মত হতে চায়। শাসক গোষ্ঠী এভাবেই কিছু চকচকে মানুষ তৈরি করে রাখে। আর পুরো সমাজ ওই চকচকের পেছনেই ছুটে বেড়ায়।

লেখক-আমিনুল ইসলাম
#সংগৃীত
#পোস্ট

সত্যিই মজার বিষয় একবার ভাবুন তো😂🤗আমরা 90's এর কিড যারা, তারা কপাল করে বাপ মা পাইছিলাম মা শা আল্লাহ। যারা কিনা পোলাপানের ...
10/12/2024

সত্যিই মজার বিষয় একবার ভাবুন
তো😂🤗
আমরা 90's এর কিড যারা, তারা কপাল করে বাপ মা পাইছিলাম মা শা আল্লাহ।

যারা কিনা পোলাপানের লাইফের থেকেও তরকারি পুড়ে যাওয়াকে বেশি ইম্পর্ট্যান্ট মনে করতো 🥱

ছেলে মেয়ের মুড সুইং এর একমাত্র সমাধান ছিল তাদের কাছে বিছানা ঝারা শলা বারি 🙄

আর "মাই লাইফ, মাই রুলস" এর প্রতিউত্তরে তারা বলতো- "তোর গাল, আমার জুতা" 🤦‍♀️

তাদের কাছে একমাত্র সার্বক্ষণিক কোমল অস্ত্র বলতে থাকতো গাল মুচড়ানি। যেটা তারা যেখানে সেখানে, যত্রতত্র ভাবে প্রয়োগ করতো 😷

যাদের কাছে পোলাপানের এক্সাম, রেজাল্ট, মার্কশীট, ক্লাস এটেন্ডেন্স এসব নিয়া কোন টেনশন ছিল না, শুধুই টেনশন ছিল চিল্লায় পড়লে রান্নাঘর থেকে পড়া শোনা যাবে কিনা 🤷‍♀️

তারা এতোটাই সহজ সরল ছিল যে, তাদের পোলাপান বাহিরে গিয়ে কারো হাতে মাইর খেয়ে আসলে তারা আবার মাইর দিতো। যেন নেক্সট টাইম ওখানে আর না যাই 😄

তাদের ছেলে মেয়ের নামে কেউ বিচার দিলে তারা আগে একচোট মাইর দিয়ে তারপর জিজ্ঞেস করতো ঘটনা সত্য কিনা। যদি ঘটনা মিথ্যা হইতো তাহলে কান্না থামানোর জন্য আবার একচোট মাইর দিতো 😂

আমরা 90's কিড, আমাদের টিফিনের টাকা জমায় আবেগ কেনার সুযোগ থাকত না, কারন আমাদেরকে টিফিন বাবদ রুটি-আলু ভাজি ব্যাগের ভিতর দিয়ে দেয়া হইতো 🫣

এখন যেমন বাচ্চারা ভ্যাকেশনে কক্সবাজার, সিলেট বা দেশের বাহিরে যায়, আমরাও যাইতাম। বাট ডেস্টিনেশন সবসময়ই সেম, মামার বাড়ি দাদার বাড়ি 🥱

আমরা ডিপ্রেশন, ফ্রাস্ট্রেশন এসব শব্দ জানতামই না স্যান্ডেলের বারির ভয়ে।

আমরা মুখে যতোই বলতাম আমরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই, আসলে আমরা ওসব কিছুই হতে চাইতাম না। আমরা শুধু বড় হইতে চাইতাম, আব্বা আম্মার সমান বড়। ঠিক যতোটা বড় হলে আর কারো মাইর না খাওয়া লাগে।
#সংগৃীত
#পোস্ট
#কালেক্টেড


কি নাম তোমার?আমার নাম মোহাম্মদ হাসান।তোমার একটা ছবি তুলি?আমনে কি ইউটিউবার?না, আমি খুব সামান্য একজন মানুষ, চাকরি করি।তাইল...
10/12/2024

কি নাম তোমার?
আমার নাম মোহাম্মদ হাসান।
তোমার একটা ছবি তুলি?
আমনে কি ইউটিউবার?
না, আমি খুব সামান্য একজন মানুষ, চাকরি করি।
তাইলে আমার ছবি তুলবেন কিল্লেগ্গা?
তোমাকে আমার পছন্দ হইছে।
এই পরথম কেউ কইলো আমারে তার পছন্দ অইছে!
সবাই আমারে অপছন্দ করে, বকা দেয় আর মারে।
খালি আমার মায় আমারে আদর করতো, ভালো পাইতো।
আর কেউ আমারে পছন্দ করে না।
তুলবো ছবি?
তোলেন, কমলাপুর যাইবেন? আপনার অফিস কি ওই দিকে?
আমার অফিস মতিঝিল।
তাইলে আমার কাছে আইসা বসেন।
এহন একটা লোকাল টেরেন আইবো,
ঐটার পরে ভালো টেরেন আইবো, ঐটাতে যাইয়েন।
একটু আমার লগে গল্প করেন।
এটা কি বানাইতাছো?
পাহাড় বানাইতাছি। মাঝে মাঝে হয়, আর বেশিরবাগ টাইমে বাইঙ্গা যায়, জীবনের লাহান!
(একটু অবাক হলাম, রেললাইনে বসা ছিন্নমূল একটা কিশোরের কাছে জীবন নিয়ে এমন ফিলোসফি আশা করিনি)!!
লোকাল ট্রেনেই কমলাপুর যাবো ভেবেছিলাম। তার কথাটা শুনে আগ্রহ নিয়েই তার পাশে বসলাম। লোকাল চলে গেলো। আন্তনগর ট্রেনের অপেক্ষা।
তবে ট্রেনের চাইতে ছেলেটার কিছু কথা শুনতেই আমার আগ্রহ বেশি হচ্ছিলো।
মানুষের জীবনে আবার পাহাড় হয় নাকি?
অয়না? এই যে মায়ে আদর দিয়া বালোবাসার পাহাড় বানায়া দিছিলো।
এক বছর আগে মায়ে মইরা গেছে। বাপে আবার বিয়া করছে। সৎ মায়ে আমারে বাসা থেইক্কা বাইর কইরা দিছে। আমার জীবনের পাহাড় বাইঙ্গা দিলো।
(চোখের কোন নিজের অজান্তেই পানি চলে এসেছিলো, নিজেকে সামলালাম)
এখানে কোথায় থাকো?
আশকোনা টোকাইগো লিগ্গা একটা আশ্রয়কেন্দ্র আছে, ঐহানে থাহি।
ঠিকমতন খেতে দেয়?
হ, খাইতে দেয় আবার রাইতে পড়তে বহায়।
তুমি পড়ো?
হ, খালি আমিই পড়ি, আরডি কেউ পড়ে না। সব কয়ডায় ডান্ডি খায়।
তুমি খাও না?
না। আমি এডি কিছু খাই না। কিডনি মিডনি জইল্লা জাইবোগা।
(চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, চোখটা খুব স্বচ্ছ আর মায়ায় ভরা। সাধারণত যারা নেশা করে তাদের চোখ হয় ঘোলাটে আর থাকে ঘুমঘুম ভাব। পায়ের কাছে পোড়া দাগ দেখে জিজ্ঞেস করলাম)
পাও পুড়ছে কেমনে?
জাউরা গুলি আমি ডান্ডি খাইনা দেইখ্যা রাইতের বেলায় গুমের মইদ্দে আমার পায়ে কেরাসিন ঢাইল্লা আগুন ধরায়া দিছিলো। আমারে চুরি করতে কয়। আমি তো চুরি করতাম না। সকাল বেলা জীবনের পাহাড় বানাই, তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত বোতল টোকাই। সকালে আর রাইতে হেরা (পুনর্বাসন কেন্দ্র) খাইতে দেয়। চুরি করমু কিল্লেইগ্গা?
আপ্নে কিয়ে চাকরি করেন?
ব্যাংকে চাকরি করি।
ব্যাংকে চাকরি লইতে কি পাশ অয়ন লাগে?
বিএ পাশ।
আইচ্ছা।
তুমি ব্যাংকে চাকরি করতে চাও?
একটা বালা চাকরি ওইলেই অয়।
চাকরি কইরা পরে কি করবা?
বাড়িত যামু, যাইয়া বাপেরে কমু, আমারে বাড়ি থেইক্কা খেদায়া দিয়া তোমার জীবনের পাহাড় বাইঙ্গা গেছেগা। তয় আমার জীবনের পাহাড় কিন্তু বাঙ্গে নাই। দেহো, আমি পাহাড় অইয়া আইছি।
ট্রেন চইলা আইছে, আপ্নে অফিসে যাইতেননা?
ছেলেটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ট্রেনে উঠলাম। তার কাছে কোনো মোবাইল নেই তাই যোগাযোগের জন্য কোনো নাম্বার নিয়ে আসতে পারিনি। আসার আগে কিছু টাকা হাতে দিয়ে আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মনে হলো এই ছেলে আমার কাছ থেকে টাকা নেবে না। জীবনের পাহাড় বানাচ্ছে যে ছোট্ট ছেলেটা, সে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার পাহাড় ভাঙবে না।
#সংগৃীত
#পোস্ট
#কালেক্টেড


https://www.youtube.com/live/MS6N8PA6vO8?si=VSL62v9NO5GrCrhOএই চ্যানেলটা সবাই একটু সাপোর্ট করে আসুন অনুরোধ রইলো সকলের প্...
09/12/2024

https://www.youtube.com/live/MS6N8PA6vO8?si=VSL62v9NO5GrCrhO
এই চ্যানেলটা সবাই একটু সাপোর্ট করে আসুন অনুরোধ রইলো সকলের প্রতি🙏

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন ? আজ রান্না করতে ইচ্ছে করছেনা কেউ দাওয়াত দিবেন ?

ভাইয়া যেদিন বিয়ে করে তার পরেরদিন ভাবী আর আম্মুকে একসাথে বলে"তোমাদের মধ্যে কোনো মনমালিন্য হলে নিজেরা সমাধান করে নিবে। দুজ...
08/12/2024

ভাইয়া যেদিন বিয়ে করে তার পরেরদিন ভাবী আর আম্মুকে একসাথে বলে

"তোমাদের মধ্যে কোনো মনমালিন্য হলে নিজেরা সমাধান করে নিবে। দুজনই যথেষ্ট প্রাপ্তবয়স্ক। যদি সমাধান করা সম্ভব না হয় তবে আমি ব্যাপারটা দেখবো কিন্তু কেউ কখনো একে অপরের সাথে সাপে নেউলে যুদ্ধে লাগবে না। নিজেদের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না হলে আমায় জানাবে কিন্তু সময় সুযোগ বুঝে। আমিও রক্তে মাংসে গড়া মানুষ।"

তারপর ভাবীকে উদ্দেশ্য করে বলে, "তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছো৷ তোমার সংসারের সমস্যার সমাধান নিজে করবে। নিজে সমাধান করতে না পারলে আমি আছি তবে আমার সংসারে যেন বাহিরের কেউ হস্তক্ষেপ না করে।"

"আর মা তুমি, তুমি এই পরিবারের গুরুজন। আমার স্ত্রী কোনো ভুল করলে গুরুজন হিসেবে তোমার দায়িত্ব সেটা তাকে বুঝিয়ে শুধরে দেয়া নাকি তার নামে সালিশ বসানো। যদি তোমার পক্ষে সম্ভব না হয় তবে আমাকে বলবে আমার স্ত্রীর ত্রুটি আমি দেখবো তবে কেউ যেন কখনো আমার স্ত্রীর আত্মসম্মানে হানি না আনে সেটা খেয়াল রাখবে।"

এরপর থেকে আজ অব্দি কখনো ভাবী আর আম্মুর মধ্যে মনমালিন্য হতে খুব কম দেখেছি।

যেদিন আমার বিয়ে হয় তার আগেরদিন ভাইয়া আমাকে বলে, "যথেষ্ট বড় হয়েছিস। নিজের সংসার নিজে দেখে রাখবি। আমরা কখনো তোর সংসারে হস্তক্ষেপ করবো না আর না তো তুই তোর সংসারের ঝামেলা নিয়ে এখানে আসবি। তার মানে আবার এই না যে তোর পরিবার বলতে কেউ নেই। সেখানে যে মানুষটার ভরসায় থাকবি সে মানুষটা যদি ন্যায়ের পক্ষে থাকে তবে কখনো ঝামেলা করবি না। যদি কখনো শুনি তবে ভুলে যাবি তোর কোনো ভাই ছিল। যদি সেই মানুষটা মেরুদণ্ডহীন পুরুষ হয় তবে তোর পরিবারকে তোর পাশে পাবি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারবো।"
বিয়ের রাতে জানতে পেরেছিলাম ভাইয়া বিয়ে ঠিক হওয়ার পর উনাকে একদিন ডেকে পাঠিয়েছিল।

উনাকে বলেছেন, "সাংসারিক রাজনীতি সম্পর্কে জানো? এই সাংসারিক রাজনীতির আরম্ভ আর সমাপ্তি কিন্তু সেই সংসারের পুরুষের উপর নির্ভর করে। পুরুষ যদি মেরুদণ্ডহীন হয় তবে ধরে নাও সাংসারিক রাজনীতি শুরু আর পুরুষ যদি পুরুষের মতো হয় তবে এই সাংসারিক রাজনীতি কখনো এগোতে পারে না। আমার বোন যে কোনো ভুল করে না ব্যাপারটা এমন না। ভুল করলে তুমি তাকে বুঝাবে। তোমার পরিবারের কেউ ভুল করলে তাদেরকে বুঝাবে, তাদের ভুলের কারণে যেন আমার বোনকে বলির পাঠা হতে না হয়। স্ত্রীর সামনে কখনো মা বোনকে শাসন করবে না আর না তো মা বোনের সামনে স্ত্রীকে শাসন করবে। তবে সব দায়িত্ব তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি বলে এটা ভেবো না তার কেউ নেই। যেদিন জানতে পারবো তোমার মেরুদণ্ডহীনতার কারণে আমার বোন কষ্টে আছে সেদিন ভুলে যাবো তুমি আমার বোনের জামাই।"

আজ প্রায় দশ বছর হয়ে গেছে আমাদের সংসারের। এই দশ বছরে কখনো সাংসারিক রাজনীতির সম্মুখীন হতে হয় নি আমায়। শ্বাশুড়ি হয়তো নিজের মেয়ের মতো ভাবেন না তবে ছেলের বউয়ের মর্যাদা ঠিকই দিয়েছেন।
#কালেক্টেড
#অনুগল্প
#সাংসারিক_রাজনীতি
#সংগৃীত
#পোস্ট

Address

Ramna

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Recycle Bin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share