হিন্দু-কথা

হিন্দু-কথা Its hindu religion page

21/12/2023
হরে কৃষ্ণ
21/12/2023

হরে কৃষ্ণ

আমাদের সকলেরই উচিত সময় থাকতে কৃষ্ণ নাম করার। কৃষ্ণ নামই আমাদের  উদ্ধার করবে 🙏🙏🙏আসুন সকলে কৃষ্ণ নাম করি 🙏🙏🌿হরে কৃষ্ণ হরে ...
21/12/2023

আমাদের সকলেরই উচিত সময় থাকতে কৃষ্ণ নাম করার। কৃষ্ণ নামই আমাদের উদ্ধার করবে 🙏🙏🙏
আসুন সকলে কৃষ্ণ নাম করি 🙏🙏
🌿হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 🌿

ন বেদযজ্ঞাধ্যয়নৈর্ন দানৈ-র্ন চ ক্রিয়াভির্ন তপোভিরুগ্রৈঃ।এবংরূপঃ শক্য অহং নৃলোকেদ্রষ্টুং ত্বদন্যেন কুরুপ্রবীর।।৪৮।।অনুবাদ...
28/11/2023

ন বেদযজ্ঞাধ্যয়নৈর্ন দানৈ-
র্ন চ ক্রিয়াভির্ন তপোভিরুগ্রৈঃ।
এবংরূপঃ শক্য অহং নৃলোকে
দ্রষ্টুং ত্বদন্যেন কুরুপ্রবীর।।৪৮।।

অনুবাদঃ হে কুরুশ্রেষ্ঠ! বেদ অধ্যয়ন, যজ্ঞ, দান, পুণ্যকর্ম ও কঠোর তপস্যার দ্বারা এই জড় জগতে তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার এই বিশ্ব রূপ দর্শন করতে সমর্থ নয়।

জয় রাধে শ্যাম

02/11/2023

😊দূর্গা গেলো লক্ষী গেলো😊
আসছে মা কালী🥰🥰
🙏আগে থেকেই জানিয়ে দিলাম 🤗
🪔🪔🪔শুভ দিপাবলি🪔🪔😍
🎇🎆🎇

30/10/2023

গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্য??

০১) গঙ্গা - এর অর্থ হল, গঙ্গায় ডুব দিলে কোন ব্যাক্তি তার সকল পাপ নাশ করতে পারে ।তাই সবার প্রথমে গঙ্গার নাম নেয়া হয়।

০২) গীতা -যে ব্যাক্তি গীতাপাঠ করেন সেই মুহুর্তেই তার সকল পাপ নাশ হয় । তাই এখানে গীতার কথা বলা হয়েছে।

০৩) সাবিত্রী -তিনি এতটাই স্বতী ছিল যে, সে তার মৃত স্বামীর প্রান ফিরিয়ে এনেছিল। তাই এখানে সাবিত্রীর কথা বলা হয়েছে।

০৪) সীতা -ভগবান রামের স্ত্রী ,মাতা সীতা এতটাই পবিত্র ছিল যে, রাবণ শত চেষ্টার পরেও তা নষ্ট করতে পারেনি। তাই সীতা নাম মহাপবিত্র বলা হয় ।

০৫) সত্ব্যা -সত্ব্যা বলতে আমাদের আত্মার কথা বলা হয়েছে।আত্মা যেমন আমর গীতাও তেমনি অমর।

০৬) পতিব্রতা -পতিব্রতা বলতে ভগবানের প্রতি আনুগত্য থাকা।কারন একমাত্র ভগবান সকলের পতি আর আমরা সকলেই তার পত্নী।

০৭) ব্রহ্মাবলী -ব্রহ্মশক্তী থেকে নির্গত শক্তীকে বলাহয় ব্রহ্মাবলী।যে শক্তীর বিনাশ নেই।

০৮) ব্রহ্মবিদ্যা-ব্রহ্মবিদ্যাকে আমরা ব্রহ্মাবলীর অনুরুপ বলতে পারি।

০৯) ত্রিসন্ধ্যা - ত্রিসন্ধ্যা মানে হল তিন কালের সমষ্ঠী যথা,ইহকাল, বর্তমান কাল ও পরকাল।

১০) মুক্তিগ্রিহীনি-গীতাপাঠ করলেই মুক্তি পওয়া সম্ভব।তাই এই নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

১১) অর্ধম্ত্রা -গীতায় ভগবান বলেছেন গীতা তার অর্ধক তাই এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।

১২) চিরানন্দা- চিৎ জগতের যে আনন্দ তাই চিরানন্দা।

১৩) ভবগ্নী-(ভব+অগ্নি) অগ্নি যেমন সোনা পুরে খাঁটি সোনায় পরিবর্তন করে। ঠিক তেমনি গীতাই পারে আমাদের ভবপুরছর সকল পাপ দুর করতে।

১৪) ভ্রান্তি নাশিনী- আমরা আমাদের চারপাশের জিনিস দেখে বিভ্রান্ত হই। আর একমাত্র গীতাই পারে আমাদের এই ভ্রান্তি নাশ করতে।

১৫) বেদত্রয়ী- ত্রিবেদের সমান্যয়ে গঠীত শক্তিই হলো বেদত্রই।
১৬) পরানন্দা - অপরের দোষ না দেখে তার ভাল দিক দেখার মধ্যে যে আনন্দ।গীতায় তার কথাই বলা হয়েছে।

১৭-১৮) তথাস্তু জ্ঞানমঞ্জুরী - গীতা পৃথিবীর সকল জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের আধার।তাই একে জ্ঞানমঞ্জুরী বলা হয়েছে।

জয় গীতা।।
হরে কৃষ্ণ।🙏❤️🥀

29/10/2023

নিজের পাপের ফল থেকে
গঙ্গা পুএ ভীষ্ম পর্যন্ত পার পাইনি,
আর মানুষ ভাবছে কেবল গঙ্গাস্নান
করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যাবে
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏🙏

২০২৩ সালে  বাংলাদেশের দূর্গা পূজা মন্ডপের সংখ্যা 33698 টা 🕉️সারা বাংলাদেশের কোন জেলায় কতো পূজা মন্ডপ। এক নজরে দেখে নিন।০...
06/10/2023

২০২৩ সালে বাংলাদেশের দূর্গা পূজা মন্ডপের সংখ্যা 33698 টা 🕉️

সারা বাংলাদেশের কোন জেলায় কতো পূজা মন্ডপ। এক নজরে দেখে নিন।

০১, ঢাকা -- ৯৯৮ পূজা মন্ডপ
০২, চট্টগ্রাম -- ২৩৮২ পূজা মন্ডপ
০৩, সিলেট -- ৬৪৮ পূজা মন্ডপ
০৪, বরিশাল -- ৬৪৯ পূজা মন্ডপ
০৫, খুলনা -- ৯৯৫ পূজা মন্ডপ
০৬, রাজশাহী -- ৪৭১ পূজা মন্ডপ
০৭, রংপুর -- ৯৮৫ পূজা মন্ডপ
০৮, কুমিল্লা -- ৮৪১ পূজা মন্ডপ
০৯, গাজীপুর -- ৪৫১ পূজা মন্ডপ
১০, ময়মনসিংহ -- ৮১৭ পূজা মন্ডপ
১১, ফরিদপুর -- ৮২৯ পূজা মন্ডপ
১২, শরীয়তপুর -- ৯৯ পূজা মন্ডপ
১৩, মাদারীপুর -- ৪৫৪ পূজা মন্ডপ
১৪, কিশোরগঞ্জ -- ৪৩২ পূজা মন্ডপ
১৫, নেত্রকোনা -- ৫২৯ পূজা মন্ডপ
১৬, টাংগাইল -- ১৩২২ পূজা মন্ডপ
১৭, নরসিংদী -- ৩৬৩ পূজা মন্ডপ
১৮, মানিকগঞ্জ -- ৫৪৮ পূজা মন্ডপ
১৯, মুন্সিগঞ্জ -- ৩৩৪ পূজা মন্ডপ
২০, নারায়ণগঞ্জ -- ২২৮ পূজা মন্ডপ
২১, গোপালগঞ্জ -- ১২৩৮ পূজা মন্ডপ
২২, জামালপুর -- ২২৪ পূজা মন্ডপ
২৩, রাজবাড়ী -- ৪৬১ পূজা মন্ডপ
২৪, শেরপুর --১৬০ পূজা মন্ডপ
২৫, কক্সবাজার -- ৩০৬ পূজা মন্ডপ
২৬, রাঙ্গামাটি -- ৪৩ পূজা মন্ডপ
২৭, খাগড়াছড়ি -- ৬০ পূজা মন্ডপ
২৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -- ৬১৩ পূজামন্ডপ
২৯, চাঁদপুর -- ২১৯ পূজা মন্ডপ
৩০, নোয়াখালী -- ১৭৮ পূজা মন্ডপ
৩১, ফেনী -- ১৪২ পূজা মন্ডপ
৩২, লক্ষ্মীপুর -- ৭৬ পূজা মন্ডপ
৩৩, বান্দরবান -- ২৯ পূজা মন্ডপ
৩৪, হবিগঞ্জ -- ৭০২ পূজা মন্ডপ
৩৫, সুনামগঞ্জ -- ৪১১ পূজা মন্ডপ
৩৬, মৌলভীবাজার -- ৯১৪ পূজা মন্ডপ
৩৭, পটুয়াখালী -- ১৯৫ পূজা মন্ডপ
৩৮, পিরোজপুর -- ৫৭৮ পূজা মন্ডপ
৩৯, ভোলা -- ১১৯ পূজা মন্ডপ
৪০, বরগুনা -- ১৬১পূজা মন্ডপ
৪১, ঝালকাঠি -- ১৭৩ পূজা মন্ডপ
৪২, বাগেরহাট -- ৬৬৩ পূজা মন্ডপ
৪৩, যশোর -- ৭২৯ পূজা মন্ডপ
৪৪, কুষ্টিয়া -- ২৫৬ পূজা মন্ডপ
৪৫, সাতক্ষীরা -- ৫৯৮ পূজা মন্ডপ
৪৬, ঝিনাইদহ -- ৪৬৮ পূজা মন্ডপ
৪৭, মাগুরা -- ৭৪১ পূজা মন্ডপ
৪৮, নড়াইল -- ৫৮২ পূজা মন্ডপ
৪৯, মেহেরপুর -- ৪৩ পূজা মন্ডপ
৫০, চুয়াডাঙ্গা -- ১২৬ পূজা মন্ডপ
৫১, নওগাঁ -- ৮৪০ পূজা মন্ডপ
৫২, পাবনা -- ৩৬৭ পূজা মন্ডপ
৫৩, সিরাজগঞ্জ -- ৫২০ পূজা মন্ডপ
৫৪, বগুড়া -- ৭১৬ পূজা মন্ডপ
৫৫, নাটোর -- ৩৮৩ পূজা মন্ডপ
৫৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ -- ১৪২ পূজা মন্ডপ
৫৭, জয়পুরহাট -- ৩১২ পূজা মন্ডপ
৫৮, দিনাজপুর -- ১৩৩৮ পূজা মন্ডপ
৫৯, কুড়িগ্রাম -- ৫৮৯ পূজা মন্ডপ
৬০, ঠাকুরগাঁও -- ৪৬৮ পূজা মন্ডপ
৬১, পঞ্চগড় - ২৯৩ পূজ

💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜
05/10/2023

💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜💜

তুমি স্বর্গ খুঁজিও না, তুমি পৃথিবীতে এমন কাজ করো যেন স্বর্গ তোমাকে খোঁজে😊🌺🥀🥀🥰🥰 বলোনা,,রাধে রাধে ❤️❤️🌺🙏🙏
03/10/2023

তুমি স্বর্গ খুঁজিও না, তুমি পৃথিবীতে এমন কাজ করো যেন স্বর্গ তোমাকে খোঁজে😊🌺🥀🥀

🥰🥰 বলোনা,,রাধে রাধে ❤️❤️🌺🙏🙏

শ্রী শ্রী সিদ্ধিদাতা  #গণেশের পরিচয় ওঁ গণনাং ত্বা গণপতি হাবামহে, প্রিয়াণাং ত্বা প্রিয়পতি হবামহে নিধিনাং ত্বা নিধিপতি হা...
01/10/2023

শ্রী শ্রী সিদ্ধিদাতা #গণেশের পরিচয়

ওঁ গণনাং ত্বা গণপতি হাবামহে, প্রিয়াণাং ত্বা প্রিয়পতি হবামহে নিধিনাং ত্বা নিধিপতি হাবামহে, বসো মম।
(যজুর্বেদ, ২৩/১৯)

অনুবাদঃ— হে পরমেশ্বর, গণগণের মধ্যে গণপতি তোমাকে আহবান করি প্রিয়গণের মধ্যে প্রিয়পতি তোমাকে আহবান করি, নিধিগণের মধ্যে নিধিপতি তোমাকে আহবান করি। হে বসুরুপ পরমেশ্বর,তুমি আমার পলক হও।

ওঁ নমঃ সিদ্ধিদাতা গণেশায় নমঃ

ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম্।
বিঘ্ননাশককরং দেবং হেরম্বং প্রণামম্যইম্।।

#গণেশের_পরিচয়
গণেশকে বিভিন্ন উপাধি ও বিশেষণে ভূষিত করা হয়। এগুলির মধ্যে ‘গণপতি’ ও ‘বিঘ্নেশ্বর’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হিন্দুধর্মের সম্মানসূচক ‘শ্রী’ উপাধিটিও প্রায়শই গণেশের নামের আগে যুক্ত করা হয়।

#শ্রী_গণেশ_নামটি_একটি_সংস্কৃত_শব্দবন্ধ
‘গণ’ ও ‘ঈশ’ শব্দদুটির সন্ধির মাধ্যমে এই শব্দটির উৎপত্তি। ‘গণ’ শব্দের অর্থ একটি গোষ্ঠী, সমষ্টি বা বিষয়শ্রেণি এবং ‘ঈশ’ শব্দের অর্থ ঈশ্বর বা প্রভু। গণেশের নামের পরিপ্রেক্ষিতে ‘গণ’ শব্দটির মাধ্যমে বিশেষভাবে একই নামের একপ্রকার উপদেবতার গোষ্ঠীকে বোঝায়। এঁরা গণেশের পিতা শিবের অনুচরবর্গ। সাধারণভাবে ‘গণ’ বলতে বোঝায় একটি বিষয়শ্রেণি, শ্রেণি, গোষ্টী, সংঘ বা জনসমষ্টি।
‘গণেশ’ নামের অর্থ ‘গোষ্ঠীর ঈশ্বর’ বা পঞ্চভূত ইত্যাদি ‘সৃষ্ট বিষয়সমূহের ঈশ্বর’।

#গণপতি
(गणपति; gaṇapati) নামটি গণেশ নামের সমার্থক। এটিও একটি সংস্কৃত শব্দবন্ধ। ‘গণ’ ও ‘পতি’ শব্দদুটির মিলনের মাধ্যমে এই শব্দটির উৎপত্তি। এখানে ‘গণ’ শব্দের অর্থ গোষ্ঠী এবং ‘পতি’ শব্দের অর্থ শাসক বা প্রভু। গণপতি শব্দটির উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায় ঋগ্বেদ গ্রন্থের ২য় মণ্ডলের ২৩ সূক্তের ১ম মন্ত্রে তবে বৈদিক ‘গণপতি’ শব্দটির মাধ্যমে বিশেষভাবে গণেশকে নির্দেশ করা হয়েছে। গণেশ সহস্রাব্দে রচিত রয়েছে।

প্রাচীন সংস্কৃত অভিধান অমরকোষ গ্রন্থে ‘গণেশ’ নামের আটটি সমার্থক শব্দ পাওয়া যায়।
এগুলো হলঃ— ‘বিনায়ক’, ‘বিঘ্নরাজ’ (যা ‘বিঘ্নেশ’ নামেরও সমার্থক), ‘দ্বৈমাতুর’ (যাঁর দুইজন মাতা), ‘গণাধিপ’ (যা ‘গণপতি’ ও ‘গণেশ’ নামেরও সমার্থক), ‘একদন্ত’ (যাঁর একটি দাঁত, এখানে গণেশের হস্তীমুণ্ডের বাইরের দাঁতের কথা বলা হয়েছে), ‘হেরম্ব’, ‘লম্বোদর’ (যাঁর স্ফীত উদর) ও ‘গজানন’ (যাঁর হাতির মতো মাথা)।

#বিনায়ক
(विनायक; vināyaka) নামটি গণেশের একটি বহুল-পরিচিত নাম। এই নামটি পুরাণ ও বৌদ্ধ তন্ত্রগুলিতে বহু বার উল্লিখিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের আটটি বিখ্যাত গণেশ মন্দিরের নামকরণের ক্ষেত্রেও এই নামটির প্রতিফলন লক্ষিত হয়। এই আটটি মন্দিরকে ‘অষ্টবিনায়ক’ (মারাঠি: अष्टविनायक, aṣṭavināyaka) মন্দির বলা হয়। ‘বিঘ্নেশ’ (विघ्नेश; vighneśa) ও ‘বিঘ্নেশ্বর’ (विघ्नेश्वर; vighneśvara) (বিঘ্নের ঈশ্বর) নাম দুটি থেকে বোঝা যায় যে, হিন্দুধর্মে তার প্রধান কাজ বিঘ্নের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন ও বিঘ্ন অপসারণ।

হিন্দু ধর্মে, গণেশের পুজো এবং আরতি না করে কোনও পুজো বা শুভ কাজ শুরু হয় না। প্রথম দেবতাদে মধ্যে শ্রী গণেশকে পূজা করা হয়। এবং প্রতিটি শুভ কাজে তাঁকে প্রথমে স্মরণ করা হয়। তাই শ্রী গণেশকে বলা হয় বিঘ্নহরতা। যিনি সমস্ত দুঃখ ও সমস্যাকে পরাস্ত করেন। তিনি ভক্তদের সমস্ত বাধা, রোগ, শত্রু এবং দারিদ্র্য দূর করেন।

#শ্রী_গণেশের_জন্ম_কাহিনী
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, নন্দী দেবী পার্বতীর সমস্ত আদেশ মেনে চলেন। একবার তিনি ভেবেছিলেন যে মাকে কিছু তৈরি করে দেওয়া উচিত, যা কেবল মা-এর আদেশ পালন করবে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি একটি শিশুর আকার তৈরি করেছিলেন এবং তাঁতে জীবন দান করেছিলেন।

কথিত আছে যে, মাতা পার্বতী যখন স্নান করছিলেন, তখন তিনি শিশুটিকে বাইরে থেকে দ্বার রক্ষা করতে বললেন। মাতা পার্বতী শিশুটিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত কেউ যেন ভিতরে প্রবেশ না করে। এমন সময় ভগবান শিব পার্বতীর সঙ্গে দেখা করতে এলে গণেশ তাঁকে ভিতরে যেতে বাধা দেয়। এতে ভগবান শিব ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি অজান্তেই সেই শিশুটির মাথা দেহ থেকে আলাদা করেন। মাতা পার্বতী যখন বাইরে এলেন, সমস্ত কিছু দেখে তিনি রেগে গেলেন। তিনি তাঁর বাচ্চাকে বাঁচতে আদেশ দেন মহাদেব-কে। এর পরেই মানুষের বদলে হস্তির মাথা দান করে পুনরায় জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুটির দেহে। এরপর থেকেই গজানন নামে পরিচিতি পান তিনি। দেবাদিদেব মহাদেবের আশির্বাদে তিনি প্রথম দেবতা রূপে স্বীকৃতি পান। এই সময় যে সমস্ত দেবতারা গণেশ-কে অনেক বর দিয়েছিলেন। সেই সমস্ত গণের অধিপতি হওয়ার কারণে গণেশকে গণপতি বলা হয়।

#গণপতি_সিদ্ধিদাতা_গণেশ

যম্মাদৃতে ন সিধ্যতি যজ্ঞো বিপশ্চিতশ্চন।
স ধীনাং যোগমিম্বতি॥
(ঋগ্বেদ, ১/১৮/৭)
অনুবাদ—যিনি ছাড়া বড় বড় বুদ্ধিমানের শুভকর্মও সফল হয় না সেই প্রভুকে বুদ্ধি যোগেই লাভ করা যায়।

সিদ্ধিদাতা গণেশ শুভকাজে, নববর্ষে, ব্যবসা বাণিজ্য সফল হওয়ার জন্য গণেশকে স্মরণ করা হয়। পূজা করা হয়। ঈশ্বর গণেশ রূপে মানুষের সর্বকর্মসিদ্ধিতে সহায়তা দান করেন। গণেশের অনেক নাম। যেমন গজানন, গণপতি, হেরম্ব, বিনায়ক ইত্যাদি।

#গণপতি_বাপ্পা
গণেশ সিদ্ধিদাতা তার নাম স্মরণে যাত্রা শুভ হয়, কার্যসিদ্ধি ঘটে, অঘটন রোধ সম্ভব হয়৷ কিন্তু জ্যোতিষ ও বাস্তুচিন্তকদের মধ্যে সব গণেশ মূর্তিই সমান ফলদায়ী নয়। গণপতি মূর্তির উপাদান, তার গঠন বৈচিত্র্য ইত্যাদির সঙ্গে তার গুণাগুণও যুক্ত থাকে। বাস্তু ও তন্ত্র মতে, বামাবর্ত শুঁড় বিশিষ্ট গণপতিই সবথেকে শুভ মূর্তি। এই মূর্তি বাড়িতে রাখলে সব কাজে সাফল্য আসে।

#কী_এই_মূর্তির_রহস্য?
পুরাণ অনুসারে, গণেশের জন্ম হয়েছিল মা পার্বতীর নিজস্ব ইচ্ছায়। তাঁর জন্মে শিবের কোনও ভূমিকা ছিল না। বরং পার্বতীর স্নানকক্ষে প্রবেশের পথে বাধা পেয়ে শিব দ্বাররক্ষী গণেশের সঙ্গে যুদ্ধ করেন এবং তাঁর মস্তকছেদন করেন। পরে তার মস্তকে হস্তিমুণ্ড স্থাপন করে পার্বতীর রোষ থেকে মুক্ত হন শিব। এই দিক থেকে দেখলে গণেশের দেহ তাঁর মায়ের এবং মস্তক তথা চেতনা তাঁর পিতার দান। পুরাণ অনুযায়ী, পার্বতী অন্নপূর্ণা আর শিব সংসারে উদাসীন এক পুরুষ। গণেশের মধ্যে এই দুই গুণের সমাহার ঘটেছে বলে মনে করা হয়।

#মূর্তি_তত্ত্ব_অনুসারে,
পার্বতীর স্থান শিবের বাম দিকে। তিনি তাই 'বামিনী' নামেও পরিচিত। গণেশের স্থান শিব ও পার্বতীর ঠিক মধ্যস্থলে। এই অবস্থায় তাঁর শুঁড় যদি ডান দিকে কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে, তবে ধরতে হবে, সেই মূর্তির মধ্যে সংসার-ঔদাসীন্য বর্তমান। তিনি সিদ্ধিবিনায়ক হলেও তাঁর কাজ মোক্ষ প্রদান। জাগতিক শুভাশুভের ঊর্ধ্বে তিনি। কিন্তু তাঁর শুঁড় যদি বাম দিকে কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে, তবে তিনি মা পার্বতীর গুণাবলির দিকে ধাবিত। অর্থাৎ, তিনি গৃহ সুখের সন্ধান দিতে সমর্থ। তাঁর কৃপায় গৃহে শান্তি-সমৃদ্ধি স্থায়ী হয়। গৃহে তাই বামাবর্ত শুঁড়বিশিষ্ট গণেশ মূর্তি রাখাই শ্রেয় বলে মনে করা হয়।

#শ্রী_গণেশের_রূপ
গণেশের দেহ মানুষের দেহের অনুরূপ, কিন্তু মাথা হাতির মাথার মতো। তাতে লম্বা শুঁড়। শুঁড়ের পাশে বেরিয়ে থাকা একটি লম্বা দাঁত। দেহের বর্ণ গাঢ় লাল। চার হাত, তিন চোখ, উদর স্ফীত, দেহ একট বেঁটে। চার হাতে থাকে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম। গলায় থাকে উপবীত। গণেশের বাহন ইদুঁর। গণেশের পূজা দুর্গা পূজার সময় গণেশের পূজা হয়। ভদ্র ও মা মাসের শুক্ল পক্ষের চতুর্থ তিথিতে গণেশের পূজা হয়। ভদ্রমাসের শুক্লা চতুর্থীর নাম গণেশ চতুর্থী দক্ষিণ ভারতে গণেশের সাড়ম্বর পূজা প্রচলিত আছে। গণেশ পূজায় তুলসীপত্র উৎসর্গ করা নিষেধ। গণেশের উপাসকদের গাণপত্য বলা হয়।

#গণেশ_চতুর্থী_উদযাপনের_মাহাত্ম্য
সকল কাজে সাফল্য বা সিদ্ধিদানই এই দেবতার মূল কাজ গণেশ পূজার মাধ্যমে মানুষ সিদ্ধি ও বিত্ত-বৈভবের জন্য প্রার্থনা করে। সিদ্ধিদাতা গণেশ তুষ্ট হলে মানুষ সর্বকাজে সফলকাম হয়।

ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি!

শ্রী বাবলু মালাকার
সনাতন ধর্মের প্রচারক, বাংলাদেশ।

জয় শ্রীরাম
হর হর মহাদেব
গণপতি বাপ্পা মোরিয়া
সবাইকে শুভ গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা 🥰

একটি শিশু ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করল," সবাই বলছে যে, তুমি আমাকে আগামীকাল পৃথিবীতে পাঠাচ্ছো। কিন্তু আমি এতো ছোট এবং অসহায় হয়ে কী...
30/09/2023

একটি শিশু ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করল," সবাই বলছে যে, তুমি আমাকে আগামীকাল পৃথিবীতে পাঠাচ্ছো। কিন্তু আমি এতো ছোট এবং অসহায় হয়ে কীভাবে বাঁচব?"

ঈশ্বর বললেন, " তোমার দেবদূত তোমার জন্য অপেক্ষা করবে এবং তোমার যত্ন নেবে। "

তখন শিশুটি আবার জিজ্ঞাসা করল," তবে আমাকে বলুন, এখানে স্বর্গে আমি এতো খুশি আছি, সারাক্ষণ গান হাসি..... কতো আনন্দ..."

ঈশ্বর বললেন, " তোমার দেবদূত তোমার জন্য গান করবেন এবং তোমার জন্য হাসবেন। "

বাচ্চাটি বলল, " কিন্তু ভাষা না জানলে সবাই আমার সাথে কথা বলবে কীভাবে? আর আমিই বা তাদের ভাষা কীভাবে বুঝতে সক্ষম হব?"

ঈশ্বর বললেন," তোমার দেবদূত তোমাকে সবচেয়ে সুন্দর এবং মধুর শব্দগুলি শোনাবে যা তুমি শুনবে এবং খুব ধৈর্য্য এবং যত্ন সহকারে তোমার দেবদূত তোমাকে কীভাবে কথা বলতে হয় তা শিখিয়ে দেবে। "

" এবং আমি যখন আপনার সাথে কথা বলতে চাইব তখন কী করব?" -- বাচ্চাটি জিজ্ঞাসা করল ঈশ্বরকে।

ঈশ্বর বললেন," তোমার দেবদূত তোমার হাত একসাথে রাখবেন এবং তোমাকে কীভাবে প্রার্থনা করতে হয় তা শিখিয়ে দেবেন। "

বাচ্চাটি জিজ্ঞেস করল," কে আমাকে রক্ষা করবে? "

ঈশ্বর বললেন," তোমার দেবদূত তোমাকে রক্ষা করবেন। দরকার পড়লে সে তার নিজের জীবন দিয়ে তোমাকে রক্ষা করবেন। "

বাচ্চাটি আবারও জিজ্ঞাসা করল," প্রভু আমি এতো ছোট, ঠিকমতো খেতে পাব তো?"

ঈশ্বর বললেন," আমি যাকে জন্ম দিই তার খাবারের ব‍্যবস্থা করেই রাখি। কিন্তু মনে রাখবে, আমি খাবারের ব‍্যবস্থা করি কিন্তু নিজের শরীরের রক্ত খাওয়াই না। কিন্তু তোমার দেবদূত নিজের শরীরের রক্ত পর্যন্ত তোমাকে খাওয়াতে প্রস্তুত। ভবিষ্যতেও দরকার পড়লে সে নিজে না খেয়ে তোমাকে খাওয়াবে। "

" কিন্তু তাও আমি সর্বদা দুঃখিত থাকব কারণ আপনাকে আর দেখতে পাব না। " বাচ্চাটি বলল।

ঈশ্বর বললেন," তোমার দেবদূত সর্বদা তোমার সাথে আমার সম্পর্কে কথা বলবেন এবং আমার কাছে ফিরে আসার উপায় তোমাকে শিখিয়ে দেবেন। যদিও আমি সর্বদাই তোমার পাশে থাকব "

সেই মুহুর্তে স্বর্গে অনেক শান্তি ছিল কিন্তু পৃথিবী থেকে ডাক শোনা গেল এবং শিশুটি তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করল, " ঈশ্বর, আমি যদি এখনই চলে যাই দয়া করে আমার দেবদূতের নাম তো বলুন। "

ঈশ্বর বললেন, একজন নয় - দুজন। তুমি তাদের শুধু " মা " আর " বাবা "বলে ডাকবে। 🙏🙏

(সংগৃহীত)

ছোট্ট মেয়েটির নিজের হাতে বানানো -- হৃদয়ে সিদ্ধিদাতা গনেশ। কেমন হয়েছে বন্ধুরা ? ❤🙏 "মানুষ নির্মাণ করে প্রয়োজনে-- সৃষ্ট...
09/09/2023

ছোট্ট মেয়েটির নিজের হাতে বানানো --
হৃদয়ে সিদ্ধিদাতা গনেশ। কেমন হয়েছে বন্ধুরা ? ❤🙏

"মানুষ নির্মাণ করে প্রয়োজনে--
সৃষ্টি করে আনন্দে ।"

🏵️রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 🏵️

08/09/2023

Hare Krishna

Shuvo Ratri

👉কৃপা করে পোস্ট টি পড়ুন এবং সকল বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।..............................👉মহাভারতে বর্ণিত হয়েছে, মহর্ষি ব...
08/09/2023

👉কৃপা করে পোস্ট টি পড়ুন এবং সকল বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।..............................
👉মহাভারতে বর্ণিত হয়েছে, মহর্ষি বেদব্যাস হিমালয়ের এক পবিত্র গুহায় তপস্যা করবার পর মহাভারতের সম্পূর্ণ ঘটনাটি স্মরণ করেন এবং মনে মনেই এর রচনা করেন। ব্যাসদেব চাইলেন এই মহান কাহিনী সিদ্ধিদাতা গণেশের দ্বারা লিপিবদ্ধ হোক। গণেশ লিখতে সম্মত হলেন, কিন্তু তিনি শর্ত করলেন যে, তিনি একবার লেখা শুরু করলে তার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাসদেবের আবৃত্তি একটিবারও থামতে পারবে না। তখন ব্যাসদেব বুদ্ধুমতো পাল্টা একটি শর্ত উপস্থাপনা করলেন – ‘গণেশ যে শ্লোকটি লিখবেন, তার মর্মার্থ না বুঝে লিখতে পারবেন না’। গণেশ এই প্রস্তাব স্বীকার করলেন। এইভাবে ব্যাসদেব মাঝে মাঝে কিছু কঠিন শ্লোক রচনা করে ফেলতেন, যার ফলে গণেশকে শ্লোকটির অর্থ বুঝতে সময় লাগত এবং সেই অবসরে ব্যাসদেব তাঁর পরবর্তী নতুন শ্লোকগুলি ভেবে নিতে পারতেন। এইরূপে সম্পূর্ণ মহাভারত রচনা করতে প্রায় ৩ বৎসর লেগে যায়। ব্যাসদেব প্রথমে অধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মের জয় সূচক উপাখ্যান যুক্ত ১০০০০০ শ্লোক সমন্বিত আদ্য জয় গ্রন্থ রচনা করেন। সর্বশেষে তিনি ষাট লক্ষ শ্লোক সমন্বিত অপর একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যে গ্রন্থের ৩০ লক্ষ শ্লোক দেবলোকে, ১৫ লক্ষ শ্লোক পিতৃলোকে, ১৪ লক্ষ রক্ষোযক্ষ লোকে স্থান পেয়েছে এবং অবশিষ্ট মাত্র ১ লক্ষ শ্লোক এই মনুষ্যলোকে ‘মহাভারত’ নামে সমাদৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে মহাভারতেই বর্ণিত হয়েছে :............................।-----------------------------------।.....................................
👉সকলের সাথে শেয়ার করুন এবং নতুন নতুন পোস্ট পেতে পেজটিকে লাইক দিয়ে রাখুন।
👉সকলে পেজটিকে লাইক দিন > হিন্হিন্দু-কথা

শ্রী শ্রী গৌর-আরতি---🌼🌿🌼---🌼🌿🌼---🌼🌿🌼---🌼🌿🌼--জয় জয় গোরাচাঁদের আরতিকো শোভা। জাহ্নবী-তটবনে জগমনোলোভা।।১।।দক্ষিণে নিতাইচাঁদ,...
08/09/2023

শ্রী শ্রী গৌর-আরতি
---🌼🌿🌼---🌼🌿🌼---🌼🌿🌼---🌼🌿🌼--
জয় জয় গোরাচাঁদের আরতিকো শোভা।
জাহ্নবী-তটবনে জগমনোলোভা।।১।।
দক্ষিণে নিতাইচাঁদ, বামে গদাধর।
নিকটে অদ্বৈত, শ্রীনিবাস ছত্রধর।।২।।
বসিয়াছে গোরাচাঁদ রত্নসিংহাসনে।
আরতি করেন ব্রহ্মা-আদি দেবগণে।।৩।।
নরহরি-আদি করি’চামর ঢুলায়।
সঞ্জয়-মুকুন্দ-বাসুঘোষ-আদি গায়।।৪।।
শঙ্খ বাজে, ঘণ্টা বাজে, বাজে করতাল।
মধুর মৃদঙ্গ বাজে পরম রসাল।।৫।।
বহুকোটি চন্দ্র জিনি’বদন উজ্জ্বল।
গলদেশে বনমালা করে ঝলমল।।৬।।
শিব-শুক-নারদ প্রেমে গদগদ।
ভকতিবিনোদ দেখে গোরার সম্পদ।।৭।।

--🌿🌼🌿-----🌿🌼🌿----🌿🌼🌿----🌿🌼🌿

সকল সনাতনী বন্ধুকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাএবং প্রণাম।
সেই সঙ্গে সকলের কাছে অনুরোধ পোষ্ট ভালো লাগলে আমার পেজে একটা ফলো দেবেন 🙏🙏

প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে উদযাপিত হয় জন্মাষ্টমী । কৃষ্ণভক্তরা ওই দিন আরাধ্যের জন্মদিন ধুমধাম করে উদযাপন...
07/09/2023

প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে উদযাপিত হয় জন্মাষ্টমী । কৃষ্ণভক্তরা ওই দিন আরাধ্যের জন্মদিন ধুমধাম করে উদযাপন করেন এবার জন্মাষ্টমী পড়েছে ৭ই সেপ্টেম্বর, রোজ বৃহস্পতিবার । রোহিণী নক্ষত্রে অষ্টমীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ । এ বার জন্মাষ্টমীতে বৃদ্ধি যোগ তৈরি হচ্ছে । তা অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক বলে মত জ্য়োতিষ বিশেষজ্ঞদের । জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপের পুজো করেন ভক্তরা ।

শুধু মথুরা, বৃন্দাবন বা দ্বারকায় নয় জন্মাষ্টমীর উৎসব সারাদেশে ধুমধাম করে উদযাপিত হয় । পশ্চিমবঙ্গে বহু বাড়িতে গোপালকে পুজো করেন গৃহকর্ত্রীরা । ঘরে ঘরে দোলনায় দোল খান গোপাল ।

ধর্মপ্রচারে
সনাতন ধর্মাবলম্বী সারা বিশ্বের হিন্দু সমাজ

জয় গোপাল - রাধা গোবিন্দ
07/09/2023

জয় গোপাল - রাধা গোবিন্দ

07/09/2023

সুখ দুঃখের ভরা জীবনের তুমি মোর সহায়,,, মৃত্যুর পরে ভগবান তোমার চরণে পাই যেন গো ঠাঁই ,,,
আজ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি তাই সবাই একবার হলেও বলি হরে কৃষ্ণ,,,জয় গোপাল 🙏 🙏

07/09/2023

জন্মাষ্টমী উপবাস আছেন যারা
তাদের মুখ থেকে জয় গোপাল শুনতে চাই

🥀জয় গোপাল 🥀

-যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর অপেক্ষায় ছিলেন..!!তাদের থেকে"জয় শ্রী কৃষ্ণ" নামের ধ্বনি শুনতে চাইছি ফিরিয়ে দিয়েন ...
07/09/2023

-যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর অপেক্ষায় ছিলেন..!!
তাদের থেকে"জয় শ্রী কৃষ্ণ" নামের ধ্বনি শুনতে চাইছি ফিরিয়ে দিয়েন না..!!

❤️❤️জয় শ্রী কৃষ্ণ👏👏👏

সূর্যদয়ের ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট পূর্বে সময় কে বলে ব্রহ্মমুহূর্ত। ব্রহ্মমুহূর্তে যে তিথি থাকে, সে তিথি অনুসারে সে দিবসের তিথি ...
07/09/2023

সূর্যদয়ের ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট পূর্বে সময় কে বলে ব্রহ্মমুহূর্ত। ব্রহ্মমুহূর্তে যে তিথি থাকে, সে তিথি অনুসারে সে দিবসের তিথি নির্ধারিত হয়।
৬ তারিখ ব্রহ্মমুহূর্তে সপ্তমী তিথি থাকবে, ৮ষ্টমী তিথি রাতে লাগবে। তাই ব্রহ্মমুহূর্তে সপ্তমী তিথি থাকায় সেদিনটি সপ্তমী বিদ্ধা, অর্থাৎ সে অষ্টমী তিথি সপ্তমী দ্বারা দূষিত। সেদিনটি সপ্তমী হিসেবেই পরিগণিত হবে।

৭ তারিখ ব্রহ্মমুহূর্ত কালে অষ্টমী তিথি থাকবে। এ অষ্টমী তিথি সূর্যকিরণ দ্বারা শুদ্ধ। এবং এদিন অষ্টমী তিথি রোহিণী নক্ষত্র যুক্তা। রোহিনী নক্ষত্র যুক্তা অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। তাই ৭ তারিখই জন্মাষ্টমী ব্রত উপবাস পালন করা কর্তব্য।

 #যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্৷৷ #অর্থ: হে ভারত, যখনই ধর্মের অধঃপতন হয় এ...
07/09/2023

#যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্৷৷

#অর্থ: হে ভারত, যখনই ধর্মের অধঃপতন হয় এবং অধর্মের অভ্যূত্থান হয় তখনই আমি নিজেকে প্রকাশ করে অবতীর্ণ হই।
#পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্৷
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভাবামি যুগে যুগে৷৷

#অর্থ: সাধুদের পরিত্রাণ করার জন্য ও
দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।

------------- বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ

❤️❤️❤️❤️শুভ জন্মাষ্টমী-২০২৩❤️❤️❤️❤️

04/09/2023

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অমৃতবাণী :—১) রণে-বনে, জলে-জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি। আমিই রক্ষা করবো।২) আমার চর...
03/09/2023

বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অমৃতবাণী :—

১) রণে-বনে, জলে-জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি। আমিই রক্ষা করবো।

২) আমার চরণ ধরিস না, আমার আচরণ ধর।

৩) ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে, ভগবান তার মঙ্গল করেন।

৪) ছোট শিশুকে দেখিছ না, কি সহজ সরল ভাব। মায়ের উপর কি স্বাভাবিক সমর্পণের ভাব। সেখানে ছলচাতুরী বা বিদ্যা বুদ্ধির অহংকার নেই। শুধু সহজ সরল আবদার তাতেই মা খুশী। তোকেও তেমনি সহজ সরল হয়ে তাঁর উপর নির্ভরশীল হতে হবে।

৫) যে কাজ তোমার মনে তাপের সৃষ্টি করে, তাকেই পাপ বলে জানিবে। কর্মের মধ্যে দিয়ে আত্ননচেতন শান্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তুলে, তাই পূণ্য এবং স্বর্গতুল্য।

৬) ধার্মিক হতে চাইলে প্রতি রাতে শয়নকালে প্রতিদিনের কাজের হিসাব- নিকাশ করবি। অর্থাৎ ভাল কাজ কি করেছিস এবং খারাপ কাজ কি করেছিস, তার চিন্তা করে মন্দ কাজ আর না করতে হয়, তার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবি।

৭) মন যা বলে শোন, কিন্তুু আত্নবিচার ছেড়ো না। কারণ মনের মত প্রতারক আর কেউ নেই। মহাপুরুষদদের বাক্য, শাস্ত্র বাক্যে শ্রদ্ধ্যাবান না হলে প্রকৃত আত্নবিচার সম্ভব নয়।

৮) সূর্য উঠলে যেমন আঁধার পালিয়ে যায়। গৃহস্থের ঘুম ভেঙে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বার-বার বিচার করলে খারাপ কাজ করবার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাবে।

৯) বাক্য বাণ, বন্ধুবিচ্ছেদ বাণ, বিত্তবিচ্ছেদ বাণ - এই তিনটি বাণ সহ্য করতে পারলে মৃত্যুকে জয় করা যায়।

১০) আমার বিনাশ নেই, শ্রাদ্ধও নেই, আমি নিত্য পদার্থ। অর্থাৎ এই ‘আমি’ হলাম গীতায় বর্ণিত ‘পরমাত্মা’।

১১) গীতা শুধুমাত্র একটি পাঠ্যপুস্তক নয়, যে তুই নিয়মিত পাঠ করবি, কণ্ঠস্থ করবি, সব সংস্কৃত শ্লোক। গীতা হবার সাধনা কর।

১২) তাকে ভালবাসতে গেলে আগে ঘর থেকে শুরু কর। মা- বাবা, স্ত্রী, পুত্র, সবার মধ্যেই তিনি। সবাইকে যে আপন করতে পারে না, নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য যার প্রাণ কাঁদে না, সে আবার বিরাটকে ভালবাসবে কি করে।

১৩) তবে তোরা জাগতিক চাওয়া নিয়েই ভুলে থকিস না, সত্য লাভ করার জন্য চেষ্টা কর, আমার কৃপা তোদের সাধন পথকে সুগম করে তুলবে।

১৪) দেখ-অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা, আর তা ব্যয় করবার সময় বিষয় দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্যে চিন্তা করে কোন লাভই হয় না।

১৫) ক্রোধ ভাল কিন্তুু ক্রোধান্ধ হওয়া ভাল নয়।

১৬) কাম, ক্রোধ সব রিপু

"হে গোবিন্দ"আমার এই পোস্টটি যার চোঁখে পড়বে,তাকে তুমিএকবার হলেও তোমার নাম জপ করার শক্তি দাও প্রভু!🌼❥◎⃝Hare krishna!༊!!-❥...
02/09/2023

"হে গোবিন্দ"
আমার এই পোস্টটি যার চোঁখে পড়বে,তাকে তুমি
একবার হলেও তোমার নাম জপ করার শক্তি দাও প্রভু!
🌼❥◎⃝Hare krishna!༊!!-❥🌼

হিন্দুদের মধ্যে একটা প্রবণতা বেড়ে গেছে সরকারি চাকুরী জীবি ছেলে, মেয়ে খোঁজা।চাকরি কে বিয়ে না করে একজন খাঁটি মানুষ বিয়ে কর...
01/09/2023

হিন্দুদের মধ্যে একটা প্রবণতা বেড়ে গেছে সরকারি চাকুরী জীবি ছেলে, মেয়ে খোঁজা।
চাকরি কে বিয়ে না করে একজন খাঁটি মানুষ বিয়ে করুন।
সঠিক সময়ে বিয়ে করুন এবং অধিক সন্তান নিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বজায় রাখুন।
Mithun Mallick Surjo দাদা🥀

যদি তোমার ভালোবাসা না পাও,তবে যারা তোমাকে ভালোবাসে,তাদের অবশ্যই ভালোবাসা দাও।Lord Sri Krishna🌷
29/08/2023

যদি তোমার ভালোবাসা না পাও,
তবে যারা তোমাকে ভালোবাসে,
তাদের অবশ্যই ভালোবাসা দাও।

Lord Sri Krishna🌷

**🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳****💐🦜ঝুলনযাত্রা লীলামৃত🦜💐****🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳**শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃসকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্ত...
29/08/2023

**🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳**

**💐🦜ঝুলনযাত্রা লীলামৃত🦜💐**

**🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳**

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I **হরে কৃষ্ণ, শ্রীশ্রী - রাধাগোবিন্দের ঝুলন যাত্রারম্ভ উপলক্ষ্যে সবাইকে জানাই কৃষ্ণপ্রীতি শুভেচ্ছা ।**

শাস্ত্রে কথিত হয়েছে,-

‘’অনুগ্রহায় ভূতানাং মানুষং দেহমাশ্রিতঃ ।

ভজতে তাদৃশীঃ ক্রীড়াঃ যাঃ শ্রুত্বা তৎপরো ভবেৎ ।।'' (ভা ১০/২৪/২৭ )

অর্থাৎ,- ''ভগবান ভক্ত-অভক্ত নির্বিশেষে সকলকে অনুগ্রহ করবার জন্য গোলকধাম থেকে ভূলোকে এসে লীলা করেন।''

শ্রীপাদ বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী ঠাকুর ''কৃষ্ণভাবনামৃত'' গ্রন্থে রাধাকৃষ্ণের আনন্দঘন ঝুলন যাত্রা লীলা লিপিবদ্ব করেন। এই গ্রন্থে অনেক সুন্দরভাবে দোলন উৎসবের বৰ্ণনা করা হয়েছে। কৃষ্ণলীলায় রাধাকুণ্ডের তীরে ঝুলন উৎসবটি লীলায়িত হয়েছিল। একদা ব্রজের সব গোপীরা এক এক জন নিজঘর থেকে সুন্দরভাবে সেজে রাধাকুণ্ডের পাশে কুঞ্জবনে এল। এখানেই তাদের প্রাণের যুগলমুর্ত্তি নবকিশোর রাধা-কৃষ্ণকে ঝুলনে বসিয়ে দোল দিবে বলে একত্রিত হয়েছিল। কিন্তু রসরাজ শ্রীকৃষ্ণ এই দোলন উৎসবের সুযোগে এক অদ্ভুত লীলা গোপীদের সাথে করেছিলেন। তুলসি মহারানী বৃন্দাদেবী এই লীলাকে আরও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ষড়ঋতুকে আহ্বান করে বলেছিলেন যেন তারা তাদের ষড়ঋতুর প্রভাব এখানে বিস্তার করে।

ষড়ঋতুগণ মুর্ত্তিমান রুপ ধারণ করে যেন এখানে তারা একই সময়ে গ্রীষ্মকালের ঝলমল রৌদ্রে বর্ষার পুষ্পম বৃষ্টির কণায় নির্মল শরতের নীল আকাশে কাল মেঘের আনাগোনা, গাছে গাছে পাতায় পাতায় শিহরন সঞ্জিবতায় কদম কেয়া শিউলি ফুলের মৃদগন্ধ তীরে তীরে কাশফুলের ছড়াছড়ি বৃষ্টি আলোর মধ্যে মেঘের লুকোচুরিI শ্বেতশুভ্র পুঞ্জ মেঘের নীচে হেমন্তের রিক্ততাহীন ধুসরতায় ভেসে আসা চাষীদের ফসল কাটার গানসহ কুয়াশার চাদর মোড়ান শিশির সিক্তকে কাছে ডেকে অশোক পলাশ কৃষ্ণচুড়া আর শিমুলের আগুন লাগা ফাগুনের বসন্তে কোকিলের মত সব গোপীরা গোপীগীত করে যুগলমুর্ত্তি রাধা-কৃষ্ণকে আজ দোলনে দোল দিতে পারে। নিকুঞ্জ বনের কুঞ্জে আজ রাধাকৃষ্ণে একত্র হয়ে তারা বিশ্রাম ছেড়ে ললিতা বিশাখার ডাকের অপেক্ষায় আছে কখন তারা দোলনায় দোল খেতে আসবে।

আজ এক অদ্ভুত মাধুর্য্য লীলা করার জন্য কৃষ্ণের ইচ্ছে হল, রাধাকে আজ তার ইচ্ছামত সাঁজাবে বলে রাধাকে রাজী করল। কৃষ্ণ মনের মাধুরী দিয়ে রাধাকে সাঁজাতে লাগল। নানারকম রং দিয়ে কৃষ্ণের পোশাকের মত পোশাক পড়িয়ে চুল কোকড়া করে মাথায় পাগড়ি বেঁধে মুল্যবান বেশভূষা ও অলংকারে কুমকুম রেনু ছড়িয়ে কৃষ্ণের মত হাতে চুড়ি-বালা পরে মুখে তাম্বুলের রক্তিম অধরে সেঁজে রাধাকে সত্যিকারে কৃষ্ণ সাঁজিয়ে দুই যুগল কিশোরমূর্ত্তি হাতে বংশী ধরে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে কখন সখীরা আসে।

যখন সব সখীরা রাধাকুণ্ডে একত্রিত হল তখন ললিতা বিশাখা বলল, চল আমরা নিকুঞ্জ কুঞ্জে গিয়ে রাধাকৃষ্ণকে দর্শন করে তাদেরকেও নিয়ে আসি। তারা কুঞ্জের ভিতরে ঢুকে ত সবাই অবাক। তারা দেখল সেখানে রাধারাণী নেই। সেখানে দুই কৃষ্ণ বাঁশী হাতে বসে আছে। রাধা কোথা গেল সবাই হায় হায় করতে লাগল। সর্বনাশ হল। আর দুই কৃষ্ণ উপড়ে তাকিয়ে মধুর সুরে বাঁশী বাজাচ্ছে। সখীরা বুজতে পারল এরা দুই কৃষ্ণ নয়। এদের মধ্যে একজন আমাদের রাধা। কিন্তু কোন কৃষ্ণ রাধা তারা বিচার করতে লাগল। কিন্তু কিছুতেই কোনটি রাধা তারা চিনতেই পারছিল না। ললিতা এক কৃষ্ণকে অর্থাৎ সত্যিকারের কৃষ্ণকে ধরে বলতে লাগল, হে রাধে, তোমাকে কে এমন করে কৃষ্ণ সাঁজিয়েছে?

কপট কৃষ্ণ আরও বাকপটু করে রাধারাণীর গলার স্বর নকল করে বলছে, ''ললিতা এই দুষ্ট কৃষ্ণ আমাকে এমন করে সাঁজিয়েছে''। আর আসল রাধা উপরে তাকিয়ে সেইমত বাঁশী বাজিয়ে চলছে। সব সখীরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আস্বস্ত হল! সখীরা বলল, হে রাধে বল বল কিভাবে তুমি এমন হলে। তখন ললিতা কৃষ্ণকে কুঞ্জের বাহিরে নিয়ে এল। সব সখীরা কৃষ্ণকে রাধা মনে করে কাঁধে হাত রেখে গায়ে গায়ে ঘেসে ঐ দোলনার সামনে যেতে লাগল। আবার রাধারাণী যেমন সখীদের সাথে আচরণ করে কৃষ্ণও ঐরুপ করতে লাগল। যেন কেউ বুঝতে না পারে। সবাই বলছে, হে রাধে তোমার শরীর কেন পুরুষেরে মত শক্ত শক্ত লাগছে। কৃষ্ণ বলছে, ''সেই কপট কৃষ্ণ তার মন্ত্রপুতঃ জল আমার গায়ে ছিটিয়ে দিয়েছে তাই আমার অঙ্গ কৃষ্ণের অঙ্গের মত হয়ে গেছে''।

তখন বিশাখা বলছে, ''হে সখী, তোমার গলার স্বর কেন পরিবর্ত্তন হয়নি''। কৃষ্ণ বলল, ''যখন জল দিচ্ছিল তখন আমি মুখ বন্ধ করে ছিলাম। তাই কন্ঠ পরিবর্তন হয়নি''। সব সখীরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আস্বস্ত হল। সব সখীরা বলল, হে রাধে আর সব পরিবর্তন কিভাবে এমন হলে। বল রাধে। তখন কপট কৃষ্ণ বলছে, হায় হায় সেকথা আমি সবাইকে বলতে পারব না। আমার লজ্জা করছে। তোরা যদি শুনতে চাস তবে একজন একজন করে গোপনে আড়ালে গিয়ে কানে কানে বলতে পারি। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অখিলরসামৃত। তিনি চেয়েছেন যে, সকল গোপীকে চিন্ময় জ্ঞান দান করে তাদের গত জন্মের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা রক্ষা করা। যা তারা অনেক জন্ম জন্ম ধরে তপশ্চর্যা করে লাভ করেছিল।

একইভাবে কৃষ্ণ আরও চেয়েছেন শ্রীমতি রাধারাণীকে যে ভাবে প্রেম ভালবাসা ও আনন্দবিধান করেন আজকে তাদেরকেও সেই আনন্দ দান করবেন, যা আনন্দ লাভ করলে এই বিশ্বব্রম্মাণ্ডে আর কিছুর বাকী থাকে না। যদিও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সমস্ত স্ত্রীলোকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়, সকলের আরাধ্য, সমস্ত ঐশ্বর্য্যের অধিকারী, সকলের মাননীয়, পরম নিয়ন্তা ও আত্মারাম, তবুও তিনি গোপসখীদের সাথে নিজের স্বত্ত্বতা প্রকাশ করেন যে, তিনি আর রাধা একই তত্ত্ব।
‘’রাধা পূর্ণশক্তি, কৃষ্ণ পূর্ণশক্তিমান,
দুই বস্তু ভেদ নাহি, শাস্ত্র- প্রমান'' ।। চৈতন্যচরিতামৃত

ললিতা তখন সব সখীদের বলল,- 'তোরা সবাই এখানে থাক, আমি রাধারাণীর কি গুহ্যতম কথা তা শুনে আসি''। এই বলে ললিতা কপট কৃষ্ণের সাথে একটু আড়ালে গেলেন। সেখানে গিয়ে কৃষ্ণ তাকে দেখালেন যে তিনি রাধা নন স্বয়ং কৃষ্ণ। কৃষ্ণ ও রাধারাণী যে একই তত্ত্ব তার প্রমান সহ রাসলীলা দেখালেন এবং ফিরে এসে ললিতা চুপ। তারপর বিশাখা গেলেন। তিনিও ফিরে এসে চুপ। একে একে সব সখীদের কৃষ্ণ রাধারাণীর সাথে তার অনন্ত সম্পর্কের কথা প্রকাশ করলেন।কিন্তু কৃষ্ণ আবার যোগমায়া বলে আবার সবাইকে তা ভুলিয়ে দিলেন। এবার সব সখীরা তবুও কৃষ্ণকে বলছে, হে সখী, অনেক ছলনা হল, হে রাধে, এবার তোমার স্বরুপে আস। দোলনার সময় গড়িয়ে যাচ্ছে।

কৃষ্ণও চুপ করে রইল। তখন কিছু সখীরা কুঞ্জে গিয়ে রাধাকে কৃষ্ণ ভেবে অনুনয় করতে লাগল যে, তাদের সখীকে আবার রাধা করে দিতে। সেই সময় রাধারাণীর হুস হল বলল, কেন রে সখীরা আমি ত রাধা, আমি কি করে কৃষ্ণকে রাধা বানাব। তখন সবাই কৃষ্ণের ছলনা বুঝতে পারল। সব সখীরা ও কৃষ্ণ হাসি তামাসা করে আনন্দের সীমা রইল না। সব সখীরা রাধাকৃষ্ণকে ঘিরে নৃত্যগীত করতে লাগল। বৃন্দাদেবী আগেই ঝুলন তৈরী করে রেখেছিল। রাধা-কৃষ্ণসহ সব সখীরা সেই ঝুলনের কাছে গেলেন। যে ঝুলনটি ছিল সোনার ও মনিমুক্তা দিয়ে গাঁথা, রুপর দড়ি বিভিন্ন ফুল ফল লতা গুল্ম দিয়ে আচ্ছাদিত আর ষড়ঋতুর কারনে এক আনন্দ মোনহর পরিবেশ ছিল এক গাছ আরেক গাছকে আলিঙ্গন করছে। পাখীরা কুঞ্জন ও ময়ুর সকল নৃত্য করতে ছিল।

সব সখীরা সেই স্বর্নখচিত ঝুলনটিতে রাধাকৃষ্ণকে বসালেন, কেউ গান গাইতে লাগল, কেউ বাদ্য বাজাতে লাগল, অন্যরা দোল দিতে লাগলেন, রাধা দোলনার অপর প্রান্তে একটু দুরে সরে দড়ি ধরে আছে দেখে কৃষ্ণ সবাইকে আরও জোরে দোল দিতে উৎসাহ দিতে লাগলেন,- ঝুলন একপাশে আস্তে আস্তে অনেক উপরে উঠতে লাগলো, আবার ওপাশেও অনেক উপরে উঠতে লাগলো, কৃষ্ণ গোপীদের আরও আরও জোরে দোল দিতে উৎসাহ দিতে লাগল। এবার রাধা ভয় পেতে লাগল এবং দড়ি ছেড়ে কৃষ্ণকে জড়িয়ে ধরল, ''এ হল পূর্ণ শরণাগতি''। তবুও কৃষ্ণ গোপীদের জোরে দোল দেওয়ার জন্য বলতে লাগল।

সেদিন গীত বাদ্য সখীদের হাস্য তামাশা প্রকৃতি রাধারাণীর চিৎকার কৃষ্ণের হাস্য কথা সব মিলিয়ে রাসলীলার আনন্দকেও ম্লান করেছিল। সবশেষে সকল সখীদের অংশগ্রহনে ললিতা ও বিশাখা তাদের প্রিয় যুগল কিশোর রাধাকৃষ্ণকে আনন্দ বিধান করেছিল। ধন্য তারা। আসুন আমরাও রাধাকৃষ্ণকে ঝুলনে বসিয়ে দোল দিয়ে তাদের প্রেমময়ী সেবায় যুক্ত হই।

🌷ঝুলন যাত্রার দিনে এই বিশেষ কাজগুলি করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়🌷

১) ঝুলন যাত্রার দিন ভোর বেলায় গঙ্গার স্নান করা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ।

২) এই বিশেষ দিনে রাধাকৃষ্ণের যুগল ছবি পুজো করলে বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকার পাওয়া যায়।

৩) এই দিনে শ্রীকৃষ্ণের মন্দিরে মুকুটে সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন।

৪) ঝুলন যাত্রার দিনে গীতা পাঠ করলে মন আনন্দে ভরপুর থাকে এবং নানা প্রকার দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫) জল খুবই একটি পবিত্র জিনিস। এই দিনে তৃষ্ণার্তকে জল পান করালে পূণ্য লাভ হয়।

৬) ঝুলন যাত্রার দিনে ময়ূর পালক কিনে ঠাকুরের আসনে রাখলে তা অত্যন্ত মঙ্গলজনক।

৭) এই দিনে শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পড়ানো খুবই ভালো, কারণ তার আরেক নাম পীতাম্বরধারী।

৮) এই দিনে হলুদ মিষ্টি কিংবা হলুদ রঙের ফল দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করলে শুভদায়ক হয়।

৯) ঝুলন যাত্রার দিনে বাড়িতে বীণা কিনে আনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

১০) এই দিনে ঠাকুরের আসনে একটা চন্দন কাঠ রাখলে বাড়ির সমস্ত অশুভ শক্তি দূর হয়ে শুভশক্তি প্রবেশ করে।

**🍁জয় শ্রীরাধাকৃষ্ণের জয়🍁জয় শ্রীঝুলনযাত্রার জয়🍁**

Today,s Best photo ❤❤❤❤❤🤎🤎🤎🤎🤎 🙏🙏🙏🙏🙏
29/08/2023

Today,s Best photo
❤❤❤❤❤🤎🤎🤎🤎🤎
🙏🙏🙏🙏🙏





























যশোদার সঙ্গে সম্বন্ধিত শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন বাল্যলীলার কথা জানা যায়, যার ভিতর শ্রীকৃষ্ণের মাতা যশোদাকে বিশ্বরূপের দর্শন ...
29/08/2023

যশোদার সঙ্গে সম্বন্ধিত শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন বাল্যলীলার কথা জানা যায়, যার ভিতর শ্রীকৃষ্ণের মাতা যশোদাকে বিশ্বরূপের দর্শন করানোও অন্যতম। বেদব্যাসের মহাভারত-এ, মহাঋষি নারদ কর্তৃক বৃন্দাবন-এ শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করতে কথা লিখিত আছে।

একটি লীলায়, মাটি খাওয়ার জন্য মাতা যশোদা কৃষ্ণকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। এই ঘটনা দেখে নারদমুনি বলে উঠেছিলেন, "এন্না ঠাবাম্ সাইঢানাই, য়াশোডা", যার অর্থ তামিল ভাষায় "যশোদা, আপনি কি তপস্যা করেছিলেন, যে আপনি স্বয়ং নারায়ণকে দণ্ড দেওয়ার, আদর করার, পালন করার শক্তি লাভ করলেন"। কৃষ্ণ যশোদাকে মুখ খুলে দেখাতেই যশোদা সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের সাথে লক্ষ্মীসেবিত বিষ্ণুকে দর্শন করলেন। যশোদা মূর্ছিত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে তাঁকে নারদ শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সব সত্য তুলে ধরে।[১] অন্যান্য লীলার মধ্যে, কৃষ্ণের মাখন চুরি করে খাওয়া, কালীয় নাগ দমন করা, উদুখলে বন্ধনাবস্থায় যমলার্জুন উদ্ধার ইত্যাদি ঘটনায় যশোদার কৃষ্ণের প্রতি বাৎসল্য রসের মহিমা প্রকাশ পেয়েছে।[২]

🌺–:- শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির মাহাত্ম্য কী ? –:-🌺**কথিত আছে, কৃষ্ণের মুখে সর্বদা বাঁশিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে গোপীরা বাঁশির উপর...
29/08/2023

🌺–:- শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির মাহাত্ম্য কী ? –:-🌺

**কথিত আছে, কৃষ্ণের মুখে সর্বদা বাঁশিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে গোপীরা বাঁশির উপরে ভীষণ রুষ্ট হন । কারণ, ও বাঁশির জন্যই তো কৃষ্ণ তাঁদের দিকে মন দেন না! সেজন্য সকলে মিলে একদিন মনস্থির করলেন, বাঁশিটিকে কোনও ভাবে চুরি করতে হবে এবং সেটিকে ভেঙে ফেলতে হবে যাতে কৃষ্ণ আর কোনদিন বাঁশিটি ব্যবহার করতে না পারেন। কিন্তু চুরি করবেন কি ভাবে? কৃষ্ণ যে সব সময় বাঁশিটিকে তাঁর সঙ্গেই রাখেন!🙏

**শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের মনের ইচ্ছা বুঝতে পেরে বাঁশিটিকে নিজের থেকে দূরে রেখে অন্যদিকে মনোনিবেশ করলেন। তাঁরা ভাবল কৃষ্ণ বুঝি অসতর্ক, বাঁশির প্রতি কোনও ধ্যানই নেই! সেই সুযোগে চুপি চুপি বাঁশিটিকে তাঁরা চুরি করলেন। গোপীদের মনের উৎফুল্লতা দেখে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়ে আনন্দের সঞ্চার করল, তার বহিঃপ্রকাশ ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠল। ভগবান এমনই করুনাময়! এমনই ভক্তপ্রেমী! ভক্তের আনন্দে যেমন প্রসন্ন হন, ভক্তের কষ্টে উদ্বেলিত হন! ভক্তের মনবাঞ্ছা ঠিক পূরণ করেন।🙏

**গোপীরা আনন্দে গদগদ হরে বলাবলি করতে লাগল প্রথম কাজটি সফল হয়েছে, দ্বিতীয় কাজটি এক্ষুনি সেরে ফেলতে হবে! যেই না বাঁশিটিকে ভাঙতে যাবে বাঁশি আর্তনাদ করে উঠল : “এভাবে আমাকে আপনারা কৃষ্ণের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত করলেন কেন ?”

গোপীরা হতবাক হয়ে বললেন : “তুমিই আমাদের কষ্টের কারন, তুমিই আমাদের হতাশার কারন। তোমার এমন কি গুণ আছে যে, তুমি সর্বদা কৃষ্ণের হাতে হাতে ফের আর তাঁর অধর স্পর্শ, তাঁর সান্নিধ্য উপভোগ করে থাকো?”🙏

**বাঁশি গোপীদের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে মৃদু হেসে বলল : “গুণের কথা ছেড়ে দিন, আমার তো কোন অস্তিত্ব নেই । কারণ , আমার ভেতরে যে শাঁস ছিল তা বের করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমার নিজস্ব কোন সত্তাই এখন আর নেই। আমার গোটা শরীরটাই ফোঁপরা- ফাঁপা । সুতরাং আমার আমিত্ব বলে আর কিছু নেই । আমার যা- কিছু সব তাঁর । আমার নিজের কোন সুরও নেই, তানও নেই । কৃষ্ণের সুর, কৃষ্ণের তানই আমার সুর…আমার তান। তিনি যে ভাবে আমাকে বাজান, আমি সে ভাবেই বাজি। শরণাগতকে তিনি কখনো পরিত্যাগ করেন না । আমার সর্বস্ব তাঁকে অর্পণ করে আমি তাঁর আশ্রয় নিয়েছি। তাই তিনি আমাকে তাঁর অধরে রাখেন। আমি শুধু তাঁর হাতের যন্ত্র মাত্র। আমি যে অহংশূন্য।”🙏

**গোপীরা বুঝলেন বাঁশির মাহাত্ম্য, যখন ‌কেউ বাঁশির মতো নিজের সর্বস্ব ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সমর্পন করে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে অহংশূন্য

Address

Rajshahi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হিন্দু-কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to হিন্দু-কথা:

Videos

Share


Other Digital creator in Rajshahi

Show All

You may also like