19/11/2023
রিলেশনশিপ করে বিয়ে করে। ১.৫ বছরের মাথায় ইন্টারেস্ট চলে যায়। কেনো যায় ইন্টারেস্ট? কারণ তার কাছে বিয়ে টক্সিক মনে হয়।
বউ এর প্যাক প্যাকানি টক্সিক মনে হয়। তাই তিনি ভোকাল হয়ে যায় বিয়ের ১.৫ বছরেই এবং একাধিক সম্পর্কে জড়ানো শুরু করেন। আর দাবি করছেন এটা নরমাল।
।
আবার কিছু খুব ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড এর মানুষজন এটাকে বাহ বাহ করছেন।
।
বাপরে বাপ কত ফাস্ট মানুষজন আজকাল।
এই যে এতো আপডেট চিন্তাভাবনা নিয়ে যে আপনারা আছেন, বুকে হাত দিয়ে বলেন তো আপনাদের বাপ মা কি ঝগড়া ঝামেলা করে নাই সারাজীবন?
বাবা মা কি একজন আরেকজনের সাথে কম্প্রোমাইজ করে থাকেন নাই আপনাদের?
।
আমার মা প্রচুর চিল্লায় বাসায়। উনি ঘর ঝাড়ু দিয়ে মুছলে, তখন আব্বু বা আমরা ওখানে হাটলে আম্মুর গালির আর চিল্লানির ঝর বয়ে যায়। তখন আমরা আব্বুকে দেখতাম সুন্দর ফোনে ওয়াজ ছেড়ে রুমে শুয়ে থাকতে।
কারণ আমরা বুঝতাম আম্মু সারাদিন কষ্ট করসে মাথা গরম থাকা নরমাল।
।
একটা সময় আমিও ভাবতাম এগুলো হয়তো টক্সিক।
কিন্তু আম্মুর এপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন এর সময় আমি আমার আব্বাকে কান্না করতে দেখসি। উনি কাউকে চোখের পানি দেখাতে চায় নাই। হাসপাতালের কোনায় চুপ করে বসে ছিলো। কিন্তু চুরি করে চোখ ঠিকি মুছতেসিলো।
।
আমার মা যখন স্কয়ারে মৃত্যুর সাথে কয়েক বছর আগে লড়াই করতেসিলো আব্বু তখন পাগল হই গেসিলো।
বাসায় এসে উনি থাকতো না। হাসপাতালে চলে যেত। বাসায় এসে আব্বা বলতো- এতো শান্তি ভালো লাগতাসে না। তোর মা থাকলে ঘরটা গরম থাকে। উনি আম্মার ওই ত্যাড়া ত্যাড়া কথায় ভালোবাসা খুজে নিয়েছে যা বুঝলাম।
।
।
আব্বু যখন হার্ট এটাক করে। আম্মু হাসপাতাল চিনে না কিভাবে আসবে। আমি ছিলাম আব্বার সাথে স্কয়ারে। আর কেউ না।
আম্মুকে পাগলের মতো বাড়িওয়ালার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসে। আমার মা খুব আস্তে হাটে। কারণ উনার হাড়ে সমস্যা।
কিন্তু ওইদিন আম্মাকে দেখেছি দৌড়াতে। আম্মা পাগলের মতো দৌড়াচ্ছিলো।
এঞ্জিওগ্রাম রুমের সামনে পাইচারি করতেসিলো আর কান্না করতেসিলো। আর বলতেসিলো আল্লাহ যেন এই যাত্রায় রক্ষা করেন।
।
।
তো এগুলো কিভাবে টক্সিক হয় বলেন।
আপনারা অনেক শিক্ষিত হয়ে গেছেন। অনেক ইংলিশ শব্দ শিখেছেন "টক্সিক" নামক। আপনাদের পার্টনাররা আপনাদের একটু কিছু বললেই খুব গায়ে লাগে। অপমানবোধ করেন আপনারা। কারণ খুব বেশি উচ্চ মানের শিক্ষিত তো আপনারা।
তাই চিটিং নামক জিনিসকেও আপনারা নরমাল ভাবেন।
।
ভালোবাসা যেখানে আছে, সেখানে বিশ্বাস যতই থাকুক। প্রিয় মানুষকে অন্যের সাথে দেখলে খারাপ টা লাগবেই। সেটা থেকে যদি সন্দেহ বা চিল্লাফাল্লা হয় এটা খুবই নরমাল।
।
যদি সেই পার্টনারকে বুঝানো বা আগলাই রাখার ক্ষমতা না রাখেন, প্লিজ বিয়ে কইরেন না। বিয়ে মানে হালাল রুম ডেট না। বিয়ে মানে বাচ্চা পয়দা করা না।
বিয়ে মানে একটা মানুষকে নিয়ে বাচা। সারাজীবন বাচা। এটা এতো সহজ না ভাউ।
।
।
এখন দুইজন ই যদি নিম্ন চরিত্রের হয় তখন ঠিকি সন্দেহ কাজ করবে না। কারণ দুইজন ই একি পথের পথিক। কে কাকে সন্দেহ করবে। তখন ওটাকে আপনারা শিক্ষিত সমাজ পারসোনাল স্পেস নামে চালাই দেন
।
।
ভালোবাসা, সম্পর্ক যদি এতোটাই ঠুনকো হতো, বিয়ে যদি খেলা হতো আজকে আপনারা সবাই বাবা-মা হীনতায় থাকতেন।
।
আপনাদের কাছে বউ অনেক প্যারা, জামাই অনেক প্যারা, সন্তান অনেক প্যারা।
তো কোনটা প্যারা না? ওপেন রিলেশনশিপ, ফ্রি মিক্সিং করতে দিলেই আপনার পার্টনার খুব ভালো?
বাপরে বাপ... জেনারেশন।