Porosh's Light House

Porosh's Light House We work for the " Enlightened The World” 🌍
Online BookShop | BookReview | AudioBook 📚 We Work For The Enlightened World
(6)

আপনি কাঁদবেন, আপনাকে কাঁদতেই হবে। না কেঁদে সামনে আগাতে পারবেন না। যদি হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেন।উম্মে মা'বাদ রাসূলুল্লাহকে ...
14/09/2024

আপনি কাঁদবেন, আপনাকে কাঁদতেই হবে। না কেঁদে সামনে আগাতে পারবেন না। যদি হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেন।

উম্মে মা'বাদ রাসূলুল্লাহকে [সাঃ] একবার মাত্র দেখেছিলেন। কিন্তু যে বর্ননা তিনি দিয়েছেন তা এখন পর্যন্ত রাসূলুল্লাহর [সাঃ] সম্পর্কে দেওয়া শ্রেষ্ঠ বর্ননা।

'আমি তাকে দেখিছি, উজ্জ্বলদীপ্ত চেহারা, সুন্দর তাঁর গড়ন, সুদর্শন তাঁর মুখশ্রী, ছিপছিপে তাঁর শরীর। মাথাটা খুব ছোট নয়, বরং দেখতে তিনি অভিজাত এবং সুপুরুষ। চোখদুটো তাঁর ঘনকালো, পাঁপড়িগুলো টানাটানা।
বুদ্ধিদীপ্ত তাঁর চেহারা, ভরাট তাঁর কন্ঠস্বর। ভ্রু-যুগল উঁচু আর ধনুকের মতো বাকাঁনো, চুলগুলো পরিপাটি। তাঁর গ্রীবা বিস্তৃত এবং দাড়ি বেশ ঘন। তাঁর গাম্ভীর্য তাঁর আত্নমর্যাদা প্রকাশ করে, তাঁর কথা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে। তাঁর কথাগুলো মনোমুগ্ধকর আর দৃঢ়, চটুল কিংবা ফেলনা নয়।

তাঁর প্রতিটি শব্দ যেন সুতোয় বাঁধা মুক্তোর মতো মসৃণ। দূর থেকে তাকে দেখতে যেমন উজ্জ্বল আর আকর্ষণীয়, কাছ থেকে দেখলেও তাঁকেই সবচেয়ে সুদর্শন লাগে। উচ্চতায় তিনি মাঝারি। খুব লম্বাও নন আবার খাটোও নন। বাকি তিনজনের মাঝে তিনিই সবচেয়ে সুন্দর। তিনি ছিলেন তাঁর সঙ্গীদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি যখন কথা বলতেন, তারা মন দিয়ে শুনতো, তিনি যখন কিছু আদেশ দিতেন তা পালন করতে তারা ছুটে যেতো।
তিনি কখনো মুখ গোমড়া করেননি। আর কেউ একবারও তাঁর কথার বিরোধিতা করেনি।
~যাদুল মা'আদ, ২য় খন্ড।
_______

রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ [সাঃ] হচ্ছেন এমন একজন, চৌদ্দশ বছর পরেও যাকে নিয়ে মুগ্ধতা এতটুকু কমেনি। যারা তাকে জেনেছে, তারা তাঁকে ভালোবেসেছে ; যত বেশি জেনেছে তত বেশি ভালোবেসেছে। যারা তাঁকে জানেনি, তাঁরা ভালোবাসার নদী দেখলেও মহাসমুদ্র দেখেনি। না- দেখেও যাকে পৃথিবীর মানুষ সবচাইতে বেশি ভালোবেসেছে, তিনি হলেন রাসূলুল্লাহ [সাঃ]।

গল্পের নায়কদের কথা মানুষ খানিক বাদেই মানুষ ভুলে যায়, ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের প্রভাব টিকে থাকে বড়জোর কয়েকটা বছর, কিন্তু রাসূলুল্লাহ [সাঃ] এমন একজন যাকে এতো বছর পরেও লোকেরা ভালোবাসে, তাঁর অনুসরণ করে, তাঁর সম্মানে নিজের জীবন দিয়ে দেয়। জীবদ্দশায় আবু জাহেলরা তাঁকে ভয় করতো, মৃত্যুর পরে আবু জাহেলের উত্তরসূরিরা তাঁর অনুসারীদের ভয় করতো।

কিন্তু দুর্ভাগ্য, যে জাতির কাছে ‘মুহাম্মাদ' [সাঃ] আছে, সে জাতিকে আজ টং এর মামা থেকে শুরু করে বারাক ওবামা - প্রত্যেকেই দিকনির্দেশনা দিতে ব্যতিব্যস্ত। মুসলমানদের আজকে অমুসলিমরা ইসলাম শেখায়, উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির সবক দেয়। বিষয়টা লজ্জা আর গ্লানির।
__________

আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃ] কে চিনলেও তাঁকে আমরা জানি না। জানিনা বলেই তিনি কারো কাছে নিছক একজন ‘ভালো মানুষ’, আর দশজন মনিষীর মতো, যারা কিনা কিছু দার্শনিক তত্ত্ব আর নীতিকথা বলে খালাস! কিংবা কারো কাছে তিনি একজন ‘ধর্মপ্রচারক', কিছু ভালো ভালো কাজ করেছেন, এই যা!

কিন্তু তাঁর আসল পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন রাসূল। তিনি একটা গ্লোবাল মিশন নিয়ে এসেছিলেন এবং আমরা সেই মিশনের অংশ। আল্লাহ এই সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটিকে পাঠিয়েছেন আমাদের জীবনের প্রতিটি বিষয়ে পথ দেখানোর জন্য। তিনি মানুষকে সেই পথ দেখিয়ে গেছেন, যে পথ খুঁজে পেতে আমাদের বুদ্ধিজীবী-দার্শনিক - বিজ্ঞানী - আমলারা মাথা কুটে মরে, কিন্তু সমাধান খুঁজে পায় না।

এই সমস্যার সমাধান একটিই। তা হলো রাসূলুল্লাহকে [সাঃ] জানা। আর জানার জন্যই তাঁর সীরাহ পড়া। রাসূলুল্লাহর [সাঃ] সীরাহ হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিত্ব, তাঁর জীবন, তাঁর নবুওয়াত, তাঁর নেতৃত্ব এবং তাঁর চারপাশের মানুষগুলো নিয়ে একটি চমৎকার কাহিনীপ্রবাহ।

সীরাহ পড়লে ইনশা আল্লাহ, ইসলাম সম্পর্কে আমাদের সংকীর্ণ ধারনার দেওয়াল গুলো ভেঙে যাবে। রাসূলুল্লাহর [সাঃ] জীবন সম্পর্কে জানলে, ইসলামবিদ্বেষীদের প্রপাগাণ্ডা শুনে আমাদের মনে যে ‘খচনচ' হয় সেটা দূর হয়ে যাবে যাবে, বিইযনিল্লাহ। আমরা জানব রাসূলুল্লাহ [সাঃ] কত চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন।

তিনি কারো মন জয় করতেন, কাউকে রুখে দিতেন, আর কাউকে মোকাবিলা করতেন। নিজের ঘর থেকে শুরু করে যুদ্ধের ময়দান — প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্ব।
_

যারা তাঁকে ভালোবেসেছে, তাদের জীবন আমূল বদলে গেছে, যে জাতি তাঁর অনুসরণ করেছে, তাদের ভাগ্য বদলে গেছে। এমন একজন মানুষ সম্বন্ধে যদি আমরা না জানি, না মানি, তাহলে তো আমরাই ‘মিস' করলাম!

সীরাহ!

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ❤

Asif Adnan - আসিফ আদনান কে? উনার পরিচয় কি?- আসিফ আদনান ভাই একজন ইসলামী লেখক, গবেষক, এক্টিভিস্ট। তিনি দ্বীনে আসেন ২০১৩ তে...
25/08/2024

Asif Adnan - আসিফ আদনান কে? উনার পরিচয় কি?

- আসিফ আদনান ভাই একজন ইসলামী লেখক, গবেষক, এক্টিভিস্ট। তিনি দ্বীনে আসেন ২০১৩ তে। শাপলার আন্দোলন উনার চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি সেন্ট জোসেফ স্কুল, নটরডেম কলেজে পড়েছেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স করেন। এরপর মালেশিয়ার IIUM এ তিনি আরেকটি মাস্টার্স করে সেখানেই পিএইচডি করছেন।

বাংলাদেশের ইসলামপন্থায় আসিফ আদনানের ভালো কিছু ভূমিকা আছে। ২০১৩ এর সময় যারা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে কলম ধরেছে তার মধ্যে তিনি অন্যতম। সেসময়ের প্রকাশিত বিখ্যাত কয়েকটা বইয়ের সম্পাদক তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশে সাড়া জাগানো বই চিন্তাপরাধ এর লেখক তিনি। ড্যানিয়েল হাক্বিকাতজুর বই তিনি অনুবাদ করেছেন সংশয়বাদি নামে। তার সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত অনুবাদ বই হলো সাইয়েদ কুতুবের ইসলামী জীবনব্যবস্থার মূলনীতি।

আসিফ আদনানের লেখালেখির মূল টপিক হলো মডার্নিটির ক্রিটিক ও ইসলামের সমাধান তুলে ধরা। অনলাইনে এসব টপিক নিয়ে তার আলোচনা ছড়িয়ে আছে। এছাড়াও বাংলাদেশের মুসলমানদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে ও সমাজের ইসলামাইজেশন হবে তা নিয়ে তার অসাধারণ কাজ হলো What is to be done সিরিজ। রিসেন্ট পাস্টে বাংলাদেশজুড়ে বেশ কিছু ক্যাম্পেইনে তার এ সিরিজের ভূমিকা ছিলো দেখার মত। ভ্যালেন্টাইনস ডে সহ নানা কিছুতে উনার ক্যাম্পেইন আইডিয়া নিয়েই কাজ হয়েছে।

শাতি()-মে রাসূল বিরোধী আন্দোলনেও বারবার এসেছে উনার ঠিক করে দেওয়া স্লোগান। অনলাইনে তিনি একাধিক কোর্সও করান। আল্লাহ উনাকে হিফাজত করুন।


লেখাটি ইরফান সাদিক ভাই থেকে নেওয়া।

http://poroshslighthouse.blogspot.com/2024/08/blog-post.html
21/08/2024

http://poroshslighthouse.blogspot.com/2024/08/blog-post.html

দ্রুত বিয়ে হওয়া ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল সম্পর্কে বলবেন কী? . আমাদের জীবনে সেটাই ঘটবে যা আল্লাহ তাআলা আমাদের ভ.....

বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ বইটি কিনতেনিচে লিংকে ভিজিট করুন :✅ https://rkmri.co/E2NNeMy0oTey/
19/08/2024

বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ বইটি কিনতে
নিচে লিংকে ভিজিট করুন :

https://rkmri.co/E2NNeMy0oTey/

28/06/2024

অডিওবুক এর জন্য বুক কালেকশন | Unboxing 68 Books

পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ লাইব্রেরি হলো "The British Library"যেখানে আপনি হারিয়ে যাবেন বইয়ের দুনিয়ায়। লাইব্রেরিতে ধারণকৃত বইয়ের...
07/06/2024

পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ লাইব্রেরি হলো "The British Library"

যেখানে আপনি হারিয়ে যাবেন বইয়ের দুনিয়ায়। লাইব্রেরিতে ধারণকৃত বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মিলিয়ন। বিল্ডিং এর নিম্নস্তর থেকে বুকশেলফের উচ্চতা ২৪.৫ মিটার বা ৮ তলা বিল্ডিং এর সমান। আপনি যদি প্রতিদিন ৫টি করেও বই পড়েন তাহলে লাইব্রেরির সম্পূর্ণ বই শেষ করতে আপনার ৮০ হাজার বছর লেগে যাবে। লাইব্রেরির সবচেয়ে পুরনো বইটি বয়স ৩ হাজার বছর। এটি লন্ডন শহরে অবস্থিত।

31/05/2024

বই নিয়ে ১০ টি উক্তি।।।।।।

১. বই কিনে কেউ কোনোদিন দেউলিয়া হয় না।
- সৈয়দ মুজতবা আলী
২. বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সঙ্গে কোনদিন ঝগড়া হয় না, কোনদিন মনোমালিন্য হয় না।
- প্রতিভা বসু
৩. জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই
- টলস্টয়
৪. বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫. বই পড়াকে যথার্থ হিসেবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে,তার জীবনের দুঃখ কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৬. আমরা যখন বই সংগ্রহ করি, তখন আমরা আনন্দকেই সংগ্রহ করি।
- ভিনসেন্ট স্টারেট
৭. ভালো বই পড়া যেনো গত শতকের মহৎ লোকের সাথে আলাপ করার মতো।
- দেকার্তে
৮. বই পড়ার অভ্যাস নেই আর পড়তে জানে না এমন লোকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
- মার্ক টোয়েইন
৯. গৃহের কোনো আসবাবপত্র বইয়ের মতো সুন্দর নয়।
- সিডনি স্মিথ
১০. নগ্নতা দুই প্রকার, কাপড় না পরা এবং বই না পড়া।
-শতাব্দী ভব
১১.বই হল সংস্কৃতির রক্ষা কবচ। মস্তিষ্ক ও হৃদয় সতেজ রাখার মন্ত্রও বটে।---সক্রেটিস

অনেকদিন পর রিভিউ লিখছি। বইটা নিয়ে কথা বলা দরকার বলে মনে হয়েছে। বিজ্ঞানের সঠিক ইতিহাস নিয়ে আমাদের ধারণা খুবই ঠুনকো। যতটুক...
26/05/2024

অনেকদিন পর রিভিউ লিখছি। বইটা নিয়ে কথা বলা দরকার বলে মনে হয়েছে।

বিজ্ঞানের সঠিক ইতিহাস নিয়ে আমাদের ধারণা খুবই ঠুনকো। যতটুকু জানি, তার মধ্যেও থেকে যায় ভুলের ছড়াছড়ি; অবাঞ্ছিত কিংবা অতিরঞ্জিত তথ্যে ভরপুর।

কথায় আছে-ইতিহাস আমাদের শেখায়, কিন্তু আমরা ইতিহাস থেকে কিছুই শিখি না। তবে সমস্যা হচ্ছে- আমরা ইতিহাস জানিই না অথবা জানার সময় আমাদের টোটালি নেই। বর্তমান সময়ে আমরা তরুণরা ‘বিজ্ঞানী’ বলতে কেবল কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও, নিউটন, আইনস্টাইনকে বুঝি। আগেও যে দুনিয়া ছিল, তাদের আগেও যে ইতিহাস রয়েছে-সেটা কখনো আমাদের বিবেকে বাজে না।

আধুনিক মুসলিম সমাজ সামগ্রিকভাবে তার নিজ জাতির উৎপত্তি; উন্নতি আর অর্জনের ব্যাপারে দুঃখজনকভাবে অজ্ঞ। কোনো শিক্ষিত পরিবেশে আমরা নিজেদের মুসলিম পরিচিতি দিতেই হিমশিম খাই। কারো প্রশ্নে আটকা পড়লে সেরা চারজন পদার্থবিদের নাম বলতে গেলে গ্যালিলিও, নিউটন, আইন্সটাইন, হকিং ছাড়া কেউ মুখে বোম মারলেও মুখ দিয়ে আর কিছুই বের হয়না। আমাদের ব্যক্তিত্বের অভাব। মুসলিম ব্যক্তিত্বের অভাব। আমাদের নিজেদের পূর্ব স্মৃতিকে স্মরণ করতেই হবে। নতুবা বাস্তবতা সম্পর্কে ছিটেফোঁটাও ধারণা মিলবে না।

সালাহ উদ্দিন জাজাইরি বলেছিলেন— কিছু সৎ নন-মুসলিম স্কলার যদি না থাকতেন, তাহলে আজ আমরা আমাদের জাতির ব্যাপারে প্রায় কিছুই জানতাম না। ইতিহাসে তথ্য থাকতো শূন্য। শুধু বিজ্ঞান না; প্রায় সমগ্র মুসলিম জাতির সংস্কৃতির সকল দিক ইউরোপের উপর প্রভাব নিয়ে আমরা অজ্ঞ থেকেই যেতাম।

আচ্ছা, বাংলাদেশে ইসলামের প্রভাব কীরকম?

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে তো পড়েছি— মুসলিম শাসনামল ছিলো বাংলার স্বর্ণযুগ। আমাদের দেশের জন্য তো তারা ছিল You're-a-pee-in!

ইসলামি স্বর্ণযুগের পতন হলো কিভাবে?

পপুলার কালচারে আমরা ‘অন্ধকার যুগ' কথাটার সাথে অনেক পরিচিত। যুগটিকে বলা হয় সায়েন্স, টেকনোলজি, ফিলোসফির জন্য ইতিহাসে এক কালো গহবর। অন্যদিকে বিভিন্ন মুসলিম দাওয়াহ সংগঠনকে প্রচার করতে শুনি— এটা ইউরোপিয়ানদের জন্য অন্ধকার সময়কাল, কিন্তু মুসলিম বিশ্বে তো চলছিলো এক স্বর্ণযুগ। আর এখন অনেক পপুলার মাধ্যমে এই কথা টাও প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে।
ইসলামি স্বর্ণযুগ ধরা হতো অষ্টম হতে ১৩শ শতাব্দী পর্যন্ত। ২১ শতাব্দীতে এসে আধুনিক স্কলাররা একে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত বাড়ান।

ডেভিড কিং এর তথ্য অনুসারে, শুধু ইরানের দুই লাখের বেশি ম্যান্যুস্ক্রিপ্ট পড়ে আছে— যেগুলো ঘাটা হয়নি। মুসলিমদের লেখা মোট ৫০ লাখ ম্যান্যুস্ক্রিপ্ট বর্তমানে পাওয়া যায়।

ছোটোখাটো কিছু পয়েন্ট আলোচনা করি।

এক. মোঙ্গল আক্রমণ, ক্রুসেড, স্পেন হারানো, মুসলিমদের অম্ভ্যন্তরীণ কোন্দল — মোটকথা যুদ্ধের পরিবেশে বিজ্ঞান হয়না।
দুই. প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগ। মুসলিম বিশ্বে বিভিন্ন সময় অসংখ্য মানুষ মারা যায়।
তিন. ভাষার পরিবর্তন। বিজ্ঞানের ভাষা ছিলো আরবি। কিন্তু পরে তা পালটে যায়। মুসলিমরা আপডেটেড কাজ পড়ে ব্যাক করতে পারেনি।
চার. ইসলাম প্র‍্যাকটিস ছেড়ে দেওয়া। ইত্যাদি।

প্রতিবেদন আছে, ১৫ শতকে স্পেনে ১০ লাখ ৫ হাজার বই পোড়ানো হয়। ইউরোপের প্রথম অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অবজার্ভেটরি স্প্যানিশ মুসলিমদের তৈরি করা। প্রতিষ্ঠান গুলো উজ্জ্বল ছিলো মুসলিমদের শাসনামলে, মরে যায় যখন মুসলিমরা চলে যায়; আর ৪০০ বছরের আলো ও শিক্ষার পর আন্দালুসিয়া আবার পতিত হয় সেই খ্রিস্টান শাসনের তলে, অজ্ঞতা ও বর্বরতার একটি অবস্থার মধ্যে। ১৭ শতাব্দীর পর এই সময় সব মাটিতে মিশে যায়। [রেফারেন্স বই থেকে ]
_

আহা এখন শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলছি। আমরা মুসলিমরা নিজেরাই নিজেদের ট্র‍্যাডিশনাল কেন্দ্রীভূত জ্ঞ্যানব্যবস্থাকে খন্ড-বিখন্ড করে ভেঙে ফেলে কলোনিরয়াল সিস্টেম থেকে আসা সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা ও চিন্তা-চেতনার বিজয়ের দ্বার খুলে দিলাম।

মন খারাপ হচ্ছে। খুবই মন খারাপ হচ্ছে। সাথে রাগ ও হচ্ছে।

নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্য বা ইন্টেলেকচুয়াল ট্র‍্যাডিশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকাটা বিশাল সমস্যা। ১৪শ বছরে মুসলিমদের ইন্টেলেকচুয়াল ডেভেলপমেন্টের সামগ্রিক ধারণা রাখা প্রয়োজন। সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের ইতিহাসও আরো স্টাডি প্রয়োজন।

মুসলিম বিজ্ঞানীদের ইতিহাস স্টাডি গুরুত্ব মেইনলি দুই দিক থেকে। আমাদের ইতিহাসে আমরা কী করেছি সেটা নিজেদের জাতির জন্য তো গুরুত্বপূর্ণই, এর ফলে ইউরোসেন্ট্রিস্ম রিফিউট হবে। আরেকটি হলো — বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের সম্পর্ক কেমন ছিলো সেটাও যাচাই এর গুরুত্ব। ক্লাসিকাল মুসলিম বিশ্বের চিন্তা-কাঠামো বোঝাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
___

লেখক কথার ফাঁকে ফাঁকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মপন্থাগত মূলনীতি তুলে ধরেছেন। কেউ হয়তো এতো এতো আবিস্কারের নাম কিছুদিন পরই ভুলে যাবে, কিন্তু এই স্ট্র‍্যাটেটিক রুলস গুলো আয়ত্ব করতে পারলে, তা সারাজীবন পড়াশোনা ও গবেষণার পথেয় হতে পারে।

বিবেকের এই তাড়না থেকেই যাতে নিদেনপক্ষে কিছু ধারণা অর্জন করা যায়, আমরা তরুণরা যাতে এই বিষয়ে একেবারে অজ্ঞ না হই, সেই চিন্তা থেকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। মধ্যযুগীয় মুসলিম বিশ্বে বিজ্ঞান, দর্শন নিয়ে পাঠকদের একটা স্বাদ দিতে এই বই!

অন্ধকার যুগ ন্যারেটিভের বাস্তবতা কতটুকু? স্বর্ণযুগ ন্যারেটিভও- বা কতটুকু সত্য?

বইটির গল্পগুলোর মধ্য দিয়ে সেসবেই আলো ফেলার প্রচেষ্টা করেছেন প্রিয় লেখক সাহেব!!

• মুসলিম মস্তিষ্ক (বিজ্ঞানের অনবদ্য গল্প)

©রাহাত রাফি

বই - এসো তাওবার পথে লেখক - শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিমঅনুবাদক - হাসান মাসরুর প্রকাশনী - রুহামা পাবলিকেশন পৃষ্ঠা - ৯৬ দাম ...
25/05/2024

বই - এসো তাওবার পথে
লেখক - শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম
অনুবাদক - হাসান মাসরুর
প্রকাশনী - রুহামা পাবলিকেশন
পৃষ্ঠা - ৯৬
দাম - ৮৪ টাকা (৩০% ছাড়ে)

আর কতকাল কেটে যাবে জীবন এভাবেই ? তুমি কি নিশ্চিত আগামীকাল আবার আসবে তোমার জীবনে ? তুমি কি মনে করেছো যে এখন ইচ্ছামত জীবনকে উপভোগ করে নেই তারপর একবারে সবকিছুর জন্য তাওবা করে বিশুদ্ধ হয়ে যাবো ? দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন হে মানব, আর কত পাপাচারে ডুবে থাকবে ? আর কতকাল গুনাহ-অপরাধে বুঁদ হয়ে কাটাবে ? তুমি কি দেখো না, তোমার মতো কত স্বপ্নচারী আর দুনিয়াবিলাসীর শরীর এখন মাটির গহ্বরে। তবে তুমি কীভাবে এতটা নির্ভার-নিশ্চিন্ত হয়ে গেলে। ভুলে গেলে পরম সত্য মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদনের কথা। তুমি কি চাও, তোমার জীবনপ্রদীপ নিভে যাক পাপাচারে মত্ত থাকার কোনো মন্দ সময়ে ? গানবাজনা শোনা বা পর্নো ছবি দেখার মাঝে কিংবা মদের বোতলে চুমুক অবস্থায় বা পরনারীর সাথে একান্ত অভিসারে! নাহ, এমন মন্দ বিদায় তো কেউই চায় না।

এভাবে একের পর এক গুনাহ করতে করতে একসময় মানুষ নিজের ওপরই আস্থা হারিয়ে ফেলে। সে ভাবে, আর বুঝি ভালো পথে ফিরে আসার সুযোগ নেই। আমার মতো এত পাপিষ্ঠ ব্যক্তির ডাকে কি আল্লাহ সাড়া দেবেন ? তিনি কি আমাকে ক্ষমা করে তাঁর অনুগত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করবেন ? আসলে এমন ভাবনা দয়াময় রবের ব্যাপারে বান্দার অজ্ঞতার পরিচয়। সে জানে না, তার মহান প্রতিপালক তাঁর পথে ফিরে আসা বান্দাদের কতটা ভালোবাসেন। তাকে কতটা আপন করে নেন। বস্তুত, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,

‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। [৩৯:৫৩]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আরও বলেন,

'নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন। [০২:২২২]

এই আহবানের পরও কি তুমি ফিরে আসবে না ? ফিরে আসবে না তাওবার পথে ?

হিজরত। এই শব্দটার সাথে আমার সবাই কমবেশি পরিচিত। যখন দ্বীন মানতে কষ্ট হয় তখন দ্বীনের স্বার্থে অন্য কোন স্থানে, যেখানে দ্ব...
22/04/2024

হিজরত। এই শব্দটার সাথে আমার সবাই কমবেশি পরিচিত। যখন দ্বীন মানতে কষ্ট হয় তখন দ্বীনের স্বার্থে অন্য কোন স্থানে, যেখানে দ্বীন মেনে চলতে সুবিধা হয় এরকম জায়গায় চলে যাওয়াকে সাধারণত আমরা হিজরত বলতে বুঝি। আর যারা হিজরত করে তাদের বলা হয় মুহাজির। দ্বীনের স্বার্থে যারা হিজরত করে তাদের মর্যাদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছে অনেক। তবে বর্তমানে আমাদের এই ধরনের হিজরত করা বিভিন্ন কারণে তুলনামূলক কঠিন। তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য আরেকটি হিজরতের কথা আমাদের বলেছেন যা আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে করতে পারি।

রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'মুহাজির তো সে, যে আল্লাহর নিষেধকৃত বিষয়াদি থেকে বিরত থাকে'। [ সহিহুল বুখারী, ৬৪৮৪ ]

রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীগুলো সর্বদার জন্য প্রযোজ্য। সর্বদা এগুলোতে রয়েছে উপকার। রয়েছে মিষ্ট সুফল। যা কখনো শেষও হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না। আর আমাদের পালাও থাকবে এতে। আমরা এ বাগানে উপস্থিত হব। তার ফলগুলো গ্রহণ করবো। তার সুবাস-সুগন্ধ গায়ে মাখব।

হে যুবক, শয়তান তোমাকে ধীরে ধীরে ভুল পথে নিয়ে আসার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে। পাপের গর্তে নিক্ষেপ করার জন্য পদে পদে ওত পেতে অপেক্ষা করছে। তাহলে বলো তো, তুমি কি সেই ভুলের পথে এখনো চলতেই থাকবে? না বিপদচিহ্ন দেখার পর পেছনে ফিরে আসবে? ক্ষতিগ্রস্ত হবার এই বিপদসংকুল পথে কি তোমার সফর এখনো অব্যাহত রাখবে? না হোঁচট খাওয়ার পর দ্রুত সে পথ থেকে ফিরে আসবে, সঠিক পথের সন্ধানে উদাসীনতার চাদর ছুড়ে ফেলে দেবে, ঘটে যাওয়া ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেবে এবং শয়তানের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে? ভেবে দেখো, কী করবে তুমি?...

বই - মুহাজির
লেখক - ড. খালিদ আবু শাদি
অনুবাদক - আব্দুল্লাহ ইউসুফ
প্রকাশনী - রুহামা পাবলিকেশন
পৃষ্ঠা - ১১২
দাম - ১০৩ টাকা(৩০% ছাড়ে)

বই - দ্বীনে ফেরার পর হারিয়ে যেয়ো নালেখক - ডা. শামসুল আরেফীন, আবদুল্লাহ আল মাসউদ, আম্মারুল হক, মো. শরীফ আবু হায়াতপ্রকাশনী...
18/04/2024

বই - দ্বীনে ফেরার পর হারিয়ে যেয়ো না
লেখক - ডা. শামসুল আরেফীন, আবদুল্লাহ আল মাসউদ,
আম্মারুল হক, মো. শরীফ আবু হায়াত
প্রকাশনী - চেতনা প্রকাশন
পৃষ্ঠা - ১২৮
দাম - ১৪০ টাকা (৩০% ছাড়ে)

হেদায়াত আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আমাদের ওপর অনেক বড় নেয়ামত। কেউ চাইলেই এই নেয়ামত হাসিল করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা যাকে পছন্দ করেন। তাকেই কেবল এই নেয়ামত দান করেন।

তবে সবাই হেদায়াতের ওপর অবিচল থাকতে পারে না। ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে না। হেদায়াত লাভ করা যেমন কঠিন, এই ফেতনার যুগে হেদায়াতের ওপর অবিচল থাকা আরও কঠিন।

অনেক ভাই দ্বীনে ফিরেন। শরিয়ত মোতাবেক চলেন। অনেক আপু দ্বীনে ফিরেন। নামাজ, রোজা, হিজাব পরেন। শয়তানের ধোঁকায় আবার ভুল পথে হারিয়ে যান। আমরা তো হেদায়াতের পথে আসি। কিন্তু কীভাবে চললে দ্বীনে অটল থাকা যাবে। ঈমানের সাথে চলা যাবে। সেসব বিষয় শিখি না।

মানুষ হেদায়াত প্রাপ্তির পরে কী কী কারণে পথচ্যুত হয়। সেসব কারণ উদ্ঘাটন করে তার সমাধান এই বইতে দেওয়া হয়েছে। দ্বীনের ওপর অবিচল থাকার জন্য এই বই গাইড হিসেবে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।

দ্বীনের পথে চলমান প্রত্যেকের জন্য এখানে রয়েছে কিছু আত্মার খোরাক। মাস্টরিড একটা বই।

জাজাকাল্লাহু খাইরান। 💚

বিয়ের আগে ছেলেদের এই বইগুলো পড়া খুব জরুরি : ★ দ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড ★ মুহসিনীন★ বিয়ের আগে ফ্যান্টাসি নয়, চাই বাস্তব প্র...
02/03/2024

বিয়ের আগে ছেলেদের এই বইগুলো পড়া খুব জরুরি :

★ দ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড
★ মুহসিনীন
★ বিয়ের আগে ফ্যান্টাসি নয়, চাই বাস্তব প্রস্তুতি
★ এখন যৌবন যার
★ বিয়ের এপিঠ ওপিঠ

আর মেয়েদের জন্য :

- দ্য কেয়ারিং ওয়াইফ
- মুহস্বানাত
- বিয়ের আগে ফ্যান্টাসি নয়, চাই বাস্তব প্রস্তুতি
- বিবাহ পাঠ
- বিয়ের এপিঠ ওপিঠ

অর্ডার করতে ইনবক্স করুন!

জীবনে সফলতার জন্য প্রয়োজন মনের শক্তি। কিন্তুু আপনি হয়তো ডিপ্রেশনে কষ্ট পাচ্ছেন। নিজের  ইমোশনকে ম্যানেজ করতে পারছেন না। আ...
07/01/2024

জীবনে সফলতার জন্য প্রয়োজন মনের শক্তি। কিন্তুু আপনি হয়তো ডিপ্রেশনে কষ্ট পাচ্ছেন। নিজের ইমোশনকে ম্যানেজ করতে পারছেন না। আপনি হয়তো জানেন না জীবনে কী চান? আপনারা যারা নিজের শুদ্ধ স্বপ্ন অনুযায়ী জীবনযাপন করতে চান তাদের এজ্যই এই "জীবনে সফলতার জন্য মনের শক্তি" বইটি।
এই বই আপনাকে আপনার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। আপনার মনের শক্তি বাড়িয়ে আপনাকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলবে ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াওঃ-
১. যারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, তাদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করবে।
২. আপনার জীবনের ৬টি মৌলিক চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারবেন। যে ৬টি চাহিদা পূরণ না হলে মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে।
৩. মনের ভয় দূর করে, মনের শক্তি বাড়ানোর জন্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী কৌশল।
৪. পড়া মুখস্ত না করে মনে রাখা এবং যারা কোনো কিছু সহজে ভুলে যান তাদের জন্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী কৌশল, যার মাধ্যমে কোনো কিছু মুখস্ত না করে পিকচার তৈরির মাধ্যমে মনে রাখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
বইটি এখনই অর্ডার করুন :- CALL or SMS NOW ( 01601868095 - WhatsApp)
Or জীবনে সফলতার জন্য মনের শক্তি
Order Link :
https://rkmri.co/NMA3N2AITeep/

একজন মুমিনের জন্য নামাজ পড়া যেমন ফরজ, তেমনই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাও ফরজ। কিন্তু সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আজকাল গু...
02/01/2024

একজন মুমিনের জন্য নামাজ পড়া যেমন ফরজ, তেমনই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাও ফরজ। কিন্তু সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আজকাল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চিন্তা অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই নেই। অনেকে তো জিকির, আযকার, তাসবিহ-তাহলিল, দুআ-দরূদ করার পাশাপাশিও গুনাহতে লিপ্ত থাকছে। অথচ গুনাহ মানুষকে ধ্বং/ স করে দেয়। আর গুনাহের মধ্যে অন্যতম হলো কুদৃষ্টি।
বক্ষ্যমাণ বইটি আমাদের দৃষ্টি সংযত রাখতে সহায়তা করবে, ইনশাআল্লাহ। বইটিতে মোট চারটি অধ্যায় রয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায়ের আলোচনা শাইখুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি দামাত বারাকাতুহুমের তিনটি বয়ানের অনুবাদ। যেখানে দৃষ্টিশক্তির নেয়ামত সহ চোখের যেনা, শয়তানের
আ/ক্রমণ, কুদৃষ্টির মহামারী, পাশ্চাত্য সভ্যতা, সীমালংঘনকারীর পরিমাণ, নজর হেফাজত, নবী ইউসুফের আদর্শ অবলম্বন পন্থা, দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে দুআ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা এসেছে। আর প্রথম অধ্যায়টি মুহাম্মাদ ইমদাদুল্লাহ সংকলন করে সংযোজন করেছেন। এই অধ্যায়ে পাঁচটি পরিচ্ছেদে কুরআনের আয়াত, হাদিসের বর্ণনা, সালাফের বক্তব্য, জালিম পাপীচারীদের দিকে তাকানো এবং কুদৃষ্টির বিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বইয়ের কাভার নজর কাড়া। পেপার কোয়ালিটি উন্নত মানের। বাঁধাইও খুব ভালো৷ সময়োপযোগী এই গুরুত্বপূর্ণ বইটি সকলের পড়া উচিত।

✅📚 01601868095

বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটাই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কোথাও কোনো খাঁদ নেই। নেই লৌকিকতা কিংবা স...
02/01/2024

বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটাই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কোথাও কোনো খাঁদ নেই। নেই লৌকিকতা কিংবা স্বার্থপরতার ছোঁয়া। স্নেহ-মমতা, আদর-যত্ন ও নিখাঁদ ভালোবাসার এক অদ্ভুত মায়াবী চক্রে আবর্তিত এই সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্ত।

আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠায়, শৈশব-কৈশোরের গল্পে, আমাদের যুবক হয়ে ওঠার চিত্রপটে তারাই থাকেন মূল ভূমিকায়।যারা নিজেদের সবটুকু দিয়ে সন্তানদের মানুষ করেন, সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য উৎসর্গ করেন নিজেদের বর্তমান। অথচ এই সন্তানদের কাছেই একটা সময়ে বাবা-মা’রা হয়ে যান অতিরিক্ত বোঝা ও অযাচিত জঞ্জাল। দুনিয়ার লোভ আর রূপের মোহে পড়ে যারা ভুলে যায় বাবা-মা’দের, ভুলে যায় তাদের অবদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা, কেমন হয় তাদের শেষ পরিণতি?

আর যেসব সন্তান জীবনভর বাবা-মা’কে আগলে রাখেন, ভালোবাসেন। সন্তান হিসেবে তাদের হক আদায়ের প্রতি থাকেন যত্নশীল। সেসব সৌভাগ্যবান সন্তানের শুভ পরিণতির গল্পগুলোই বা কেমন? এমন আনন্দ-বেদনার গল্পের সমাহার নিয়ে রচিত ‘মা, মা, মা এবং বাবা’ সিরিজ।

বহুল আলোচিত 'মা, মা, মা এবং বাবা' বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ড বইটি প্রি-অর্ডারে পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডট কমে!

৫০% ডিসকাউন্টে মাত্র ১২৯৳ মূল্যে সবার আগে প্রি-অর্ডার করতে ইনবক্স করুন ✅

আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে অপেক্ষার অবসান।‘জীবনের জাগরণ’ সিরিজ অত্যন্ত সমাদৃত, পাঠকপ্রিয় একটা সিরিজ। আমাদের নৈমিত্তিক ভুল আর...
02/01/2024

আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে অপেক্ষার অবসান।

‘জীবনের জাগরণ’ সিরিজ অত্যন্ত সমাদৃত, পাঠকপ্রিয় একটা সিরিজ। আমাদের নৈমিত্তিক ভুল আর ভ্রান্তিগুলোর তালিকা তৈরি করে, গল্প, আড্ডা আর স্মৃতিচারণ করতে করতে এই সিরিজের মাধ্যমে খুঁজে আনা হয় সেই ভুল আর ভ্রান্তির সমাধান।

যাপিত জীবনে জড়িয়ে থাকা সাধারণ ঘটনা, আপাতদৃষ্টিতে যেগুলোকে সামান্য আর ক্ষুদ্র বলে মনে হয়, সেগুলো থেকেও বের করে আনা হয় চিন্তার রসদ। ‘বেলা ফুরাবার আগে’, ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বই দুটো ছিলো এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি। এই সিরিজের তৃতীয় কিস্তি হিশেবে, পাঠকদের কাছে দ্রুতই হাজির হচ্ছি ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটিকে নিয়ে, ইন শা আল্লাহ।

হায়াতের দিন ফুরিয়ে গেলে নিভে যাবে জীবনের প্রদীপ। সেই অবধারিত, অনিবার্য ক্ষণটা চলে আসার আগে, আমরা আরেকবার জীবনের পেছনে তাকাতে পারি। নতুনভাবে করতে পারি অনেক হিশেব-নিকেষ। সেই হিশেব-নিকেষের ঘটনায়, ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’ বইটা আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে, ইন শা আল্লাহ।

বইমেলা ২০২৪। ‘হায়াতের দিন ফুরোলে’। ইন শা আল্লাহ, প্রকাশিত হবে সত্যায়ন প্রকাশন থেকে।

সকলের নিরন্তর দুয়াপ্রার্থী 💚

প্রি-অর্ডার করতে পারেন ১টাকা অগ্রিম পেমেন্ট ছাড়াই

এই বই আপনাকে শিখাবে, জীবনে সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে হয়। বই | স্বপ্নকে সময় দিন |লেখক | জাবিদুল ইসলাম |(অর্ডার লিংক ১ম কমেন্...
30/12/2023

এই বই আপনাকে শিখাবে, জীবনে সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে হয়।
বই | স্বপ্নকে সময় দিন |
লেখক | জাবিদুল ইসলাম |
(অর্ডার লিংক ১ম কমেন্টে)

ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে যায়, ঘোর অমানিশাও তাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়। ইসলাম তো এ...
29/12/2023

ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত আঁধার বিলীন হয়ে যায়, ঘোর অমানিশাও তাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়। ইসলাম তো এমন এক জ্যোতিষ্ক, যা উৎসারিত হয়েছে আরশে আজিমের মহিমান্বিত রওশন থেকে। জাহেলিয়াত পরাজয় কবুল করেছিল ইসলামের বুকে আশ্রয় পেয়ে। এই পবিত্র দ্বীন আত্মাকে করেছে প্রশান্ত, চরিত্রকে করেছে নিষ্কলুষ, জীবনকে করেছে সার্থক, মানবতাকে দিয়েছে মুক্তি। এর আলোকচ্ছটা যে জমিনে পড়েছে, সেখানে অঙ্কুরিত হয়েছে শান্তির সবুজ তরু। এই রওশনের ঝলক যে হৃদয় ধারণ করেছে, সে হৃদয় হয়েছে দারাজ দিল। যে যুগ ধারণ করেছে, তা হয়েছে খইরুল কুরুন বা সর্বোত্তম যুগ।
কিন্তু হায়! অজ্ঞতা ও অবহেলার কালো মেঘে সেই সূর্য আজ মেঘ লুপ্ত। আলোহীন এ ধরায় উঠে না প্রাণের জোয়ার। তোলে না কেউ আর মানবতার জয়োধ্বনি। অধিকার হারিয়ে মুমূর্ষুপ্রায় মানবতা। নব্য জাহেলিয়াতের এই গাঢ়-কালো মেঘপুঞ্জ চুর্ণ করতে দরকার একটি নির্ভেজাল ঈমানি দমকা হাওয়া; যে হাওয়ায় জ্ঞানের সৌরভ মিশে মোহিত করবে প্রতিটি হৃদয়। সেই মোহনীয় দক্ষিণা হাওয়ার গুঞ্জন তুলতেই আমাদের আয়োজন-‘ম্যাসেজ’।©️
🖍️বই:ম্যাসেজ
🖍️লেখক:ড.মিজানুর রহমান আজহারি
🖍️পৃষ্ঠা:২৯৬
🖍️প্রকাশনী:গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
🖍️মূল্য:৩০০

বইটি অর্ডার করতে ইনবক্স করুন ✅

ইসলামের ইতিহাস যাঁদের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে শায়খ আবদুল কাদির জিলানি রাহ. তাঁদের অন্যতম। শায়খ জিলানি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আ...
29/12/2023

ইসলামের ইতিহাস যাঁদের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে শায়খ আবদুল কাদির জিলানি রাহ. তাঁদের অন্যতম। শায়খ জিলানি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন ইসলামের প্রতি আহ্বান, সমাজ থেকে শিরক-বিদআত দূরীকরণ, দীনি শিক্ষার প্রসার ও উম্মাহকে জিহাদের প্রতি উদ্‌বুদ্ধকরণে তাঁর আকর্ষণীয় পদ্ধতির কারণে। তাঁর কথায় হাজারো মানুষ পাপকাজ থেকে তাওবা করত; ইসলাম পালন ও টিকিয়ে রাখার জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ত। আব্বাসি খিলাফতের সেই সময়টায় তাঁর এই কর্মযজ্ঞ বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। অনেকেই তাঁকে অনুসরণ করে দীনি দাওয়াত ও ব্যক্তিপরিশুদ্ধির কাজ করতে থাকে। তাঁর কাজ ও পদ্ধতির অনুসরণই একটা সময় ‘কাদিরিয়া তরিকা’ নামে প্রসিদ্ধি পায়।

ভারত উপমহাদেশে যাঁরা ইসলাম প্রচারে কাজ করেছেন তাঁদের অনেকেই শায়খ জিলানির পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। ফলে উপমহাদেশে তিনি ‘বড়পির’ নামে সুপরিচিতি। এদিকে তাঁর প্রতি অতি ভক্তি থেকে মানুষের মুখে মুখে জন্ম নিয়েছে বানোয়াট নানা কল্পকাহিনি।
বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি বিষয়টি লক্ষ করে রচনা করেছেন তাঁর বিশুদ্ধ জীবনচরিত। তথ্য ও বিশুদ্ধ বর্ণনার আলোকে তুলে ধরেছেন একজন সত্যিকার দায়ির কর্ম ও জীবনের উদ্দেশ্য।

বইটি অর্ডার করতে ইনবক্স করুন ✅

08/12/2023

পর্ব ২ | নবি জীবনের গল্প অডিওবুক | আরিফ আজাদ

আমি একবার আমার শাইখকে অভিযোগ করলাম-শাইখ! আমি বই পড়ি। কিন্তু শেষ করার পর আমার কিছুই মনে থাকে না।শাইখ আমার দিকে একটি খেজুর...
27/11/2023

আমি একবার আমার শাইখকে অভিযোগ করলাম-
শাইখ!
আমি বই পড়ি।
কিন্তু শেষ করার পর আমার কিছুই মনে থাকে না।

শাইখ আমার দিকে একটি খেজুর বাড়িয়ে দিয়ে বললেন-
এটা চিবিয়ে খাও। আমি তাই করলাম।

শাইখ: এখন শারিরীক কোন বৃদ্ধি টের পাচ্ছো?
আমি: না তো!

শাইখ: তুমি অনুভব না করলেও খেজুরটি
(এর সারাংশটুকু)
কিন্তু আলাদা আলাদা হয়ে তোমার রক্ত, মাংস, হাড্ডি, চামড়া, চুল ও নখে পরিনত হয়েছে।
ঠিক এমনিভাবে আমরা যখন কোন বই পড়ি তখন তা আমাদের অগোচরেই আমাদের ভাষাকে শক্তিশালী করে,
জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে,
চরিত্রকে শুদ্ধ করে,লেখনী ও বাচনভঙ্গি উন্নত করে।

-শাইখ সালমান আল আওদাহ (হাফি.)
©

03/10/2023

পর্ব: ২৯ | কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ অডিওবুক | ভীষণ একলা দিনে | আরিফ আজাদ | ইসলামিক অডিওবুক বাংলা

30/09/2023

পর্ব: ২৮ | কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ | আরিফ আজাদ | তারা কভু পথ ভুলে যায় না | ইসলামিক অডিওবুক বাংলা

🔗https://youtu.be/xBk3Ede7j8U

28/09/2023

পর্ব: ২৭ | কুরআন থেকে নেয়া জীবনের পাঠ অডিওবুক | সে মহান পরাজয়ে | আরিফ আজাদ | ইসলামিক অডিওবুক বাংলা

Address

Rajshahi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Porosh's Light House posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Porosh's Light House:

Videos

Share

Category

BEST YOUTUBE CHANNEL

For The Enlightened World