MD Abdul Awwal Molla

MD Abdul Awwal Molla اَللّٰهمّ ارنَا الْحقَّ حقًّا وَارْزقْنا اتِّباعَه، وَارنا البَاطل باطلًا وَّارْزقنَا اجْتنابه

16/03/2024

৩শ্রেণীর ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম,তারা কারা????
মুফতি আনিসুর রহমান আশরাফি হাফি:

11/03/2024

রোযার প্রতিদান আল্লাহ নিজে দেবেন

আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দার রোযা অত্যন্ত প্রিয়। এর প্রতিদান আল্লাহ নিজে দেবেন। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ، الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعمِائَة ضِعْفٍ، قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: إِلَّا الصَّوْمَ، فَإِنَّه ٗ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهٖ، يَدَعُ شَهْوَتَه ٗ وَطَعَامَه ٗ مِنْ أَجْلِي.

মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোযা আলাদা; কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পানাহার থেকে বিরত থাকে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৭১৪

আলহামদুলিল্লাহ 🥰❤️মুক্ত বাতাসে মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবী।
05/03/2024

আলহামদুলিল্লাহ 🥰❤️
মুক্ত বাতাসে মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবী।

02/03/2024

২০ রাকাত তারাবির নামাজের পক্ষে ১৩টা সহীহ হাদিস। সবগুলো হাদিসের সনদ সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে ।

🌹(١)حدثنا علي أنا ابن ابي ذئب ،عن يزيد بنخصيفه ،اغاني عن السائب بن يزيد( رضي الله عنه) قال: كانوا يقومون على عهد عمر في شهر رمضان بعشرين ركعة -
(মুসনাদে ইবনে জাদ হাদিস নং ২৮২৫ )

🌹(٢) عبد الرزاق،عن اﻷسلامي، عنالحارث بن عبد الرحمن بن أبي ذباب،عن السائب بن يزيد(رضي الله عنه) قال: كنا ننصرف من القيام على عهدعمر(رضي الله عنه )و قد دنا فروع الفخر،وكان القيام على عهد عمر (رضي الله عنه)ثلاثه و عشرين ركعة -
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং ৭৭৩৩ )

🌹(٣)عبد الرزاق ،عن داود ابن قيس، وغيره،عن محمد بن يوسف،عن السائب بن يزيد، ان عمر جمع الناس في رمضان على ابي بن كعب،وعلى تعميم الدري على إحدى وعشرين ركعة -
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং (৭৭৩০)

🌹(٤)حدثنا أبو بكر قال، ثنا وكيع,عن سفيان، عن أبي إسحاق، عن عبد الله بن قيس، عن شتير بن شكل: أنه كان يصلي في رمضان عشرين ركعة و الوتر-
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ হাদিস নং ৭৬৮০)

🌹(٥)حدثنا إسحاق بن إبراهيم،عن عبد الرزاق،عن الثوري،عن اﻷعمش، عن زيد بن وهب، قال: كان عبد الله بن مسعود يصلي بنا في شهر رمضان فننصرف بليل قال اﻷعمش:كان يصلي عشرين ركعة و يوتر بثلاث -
(তাবারানি মুজামুল কবির হাদিস নং ৯৫৮৮)

🌹(٦)حدثنا ابن النمير،عن عبد الملك، عن عطاء،قال: ادركت الناس وهم يصلون ثلاثاو عشرين ركعة بالوتر -
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ হাদিস নং ৭৬৮৮)

(٧)🌹حدثنا وكيع ،عن نافع بن عمر، قال: كان ابن أبي مليكة يصلي بنا في رمضان عشرين ركعة -
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ ২য় খন্ড ২৮৫ পৃষ্ঠা )

(٩)🌹حدثنا الفضل بن دكين، عن سعيد بن عبيد، أن علي بن ربيعةكان يصلي بهم في رمضان خمس ترويحتات و يوتر بثلاث -
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস নং ৭৬৯০ )

(١٠)🌹مالك عن يزيد بن رومان أنه قال: كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب (رضي الله عنه) في رمضان بثلاث وعشرين ركعة -
(ফাতহুল বারী শরহে বুখারী ৪র্থ খন্ড ৩১৬ পৃষ্ঠা )

(١١)🌹حدثنا وكيع ،عن مالك بن أنس ،عن يحيى بن سعيد،ان عمر بن الخطاب (رضي الله عنه)امر رجلا يصلي بهم عشرين ركعة -
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ ২য় খন্ড ২৮৫ পৃষ্ঠা )

(١٢)🌹حدثنا حميد بن عبد الرحمن، عن حسن،عن عبد العزيز بن رفيع قال: كان أبي بن كعب يصلي بالناس في رمضان بالمدينة عشرين ركعة ويوتر بثلاث -
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২য় খন্ড 285 পৃষ্ঠা)
🌹(١٣) عن أبيه عن أبي حنيفة، عن حماد، عن إبراهيم،ان الناس كانوا يصلون خمس ترويحات في رمضان -
(কিতাবুল আছার হাদিস নং ২১১)

02/03/2024

গোমরাহী সবার ক্ষেত্রেই বিপদজনক। কিন্তু, সাধারন মানুষের চেয়ে একজন আলেমের গোমরাহী হাজার গুনে বেশি বিপদজনক।
ফ্যাক্ট: সাহাবী বিদ্বেষ।

02/03/2024

أطيعوا এটা verb এটা ক্রিয়া, রসুল আর আল্লাহ বাদে যত মানুষ দুনিয়াতে আছে তাদের নামের আগে কিন্তু নেই,,,,,, বলতে বলতে এবার বিদায় হজ্জের ভাষন।

তিনি কি বলতে পারতেন না যে আবু বকর কে রেখে গেলাম, এই যে ওমরকে রেখে গেলাম,আমার বিদায়ের পর এদেরকে মেনে নিলেই তোমরা জান্নাত পেয়ে যাবা, কই তা তো বলেন নি?! তিনি বলেছিলেন কোরআন (কুরআন)আর সুন্নাহ রাখলাম, আপনার মাথায় কি গোবর ভরা একটু বুঝেন না এই কথাগুলো! শুধু উল্টাপাল্টা দোষ দিয়ে যান। আরো আছে...... এই কথা বলেন না কেন ❓!
সামনে বসা লোকগুলো ঠি-----ক বলে উঠল।

উপরের কথাগুলো একজন সম্মানিত আলোচক তার আলোচনায় বলেছেন, আল্লাহ তার হায়াতে বরকত দান করেন, তার আগামীর জীবন অনেক সুন্দর হোক দূ'আ করি।

প্রশ্ন-১
রসুল আর আল্লাহ বাদে যত মানুষ দুনিয়াতে আছে তাদের নামের আগে কি أطيعوا(আনুগত্য কর) নাই?

উত্তরঃ
মুহতারাম বিদায় হজ্জের ভাষনেই أطيعوا এর কথা আছে।
سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ ‏ "‏ اتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ وَصَلُّوا خَمْسَكُمْ وَصُومُوا شَهْرَكُمْ وَأَدُّوا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ وَأَطِيعُوا ذَا أَمْرِكُمْ تَدْخُلُوا جَنَّةَ رَبِّكُمْ

আবু উমামা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিদায় হাজের ভাষণে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর, তোমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর। তোমাদের রামাযান মাসের রোযা রাখ, তোমাদের ধন-দৌলতের যাকাত আদায় কর এবং তোমাদের আমীরের অনুসরণ কর, তবেই তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

তিরমিজি- ৬১৬

প্রশ্ন-২
আবু বকর ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার ব্যপারে কি নবিজী কিছু বলে যেতে পারতেন না?

উত্তরঃ
আমার জানা নেই, আর কত দিন আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকব। সুতরাং তোমরা আমার পরের দু'জন লোকের অনুসরণ কর এবং তিনি আবূ বাকর ও উমার (রাযিঃ)-এর দিকে ইশারা করেন।

عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ إِنِّي لاَ أَدْرِي مَا قَدْرُ بَقَائِي فِيكُمْ فَاقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي وَأَشَارَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَاهْتَدُوا بِهَدْىِ عَمَّارٍ وَمَا حَدَّثَكُمُ ابْنُ مَسْعُودٍ فَصَدِّقُوهُ ‏"‏ ‏
হুযইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আমরা বসা ছিলাম। তিনি বললেনঃ আমার জানা নেই, আর কত দিন আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকব। সুতরাং তোমরা আমার পরের দু'জন লোকের অনুসরণ কর এবং তিনি আবূ বাকর ও উমার (রাযিঃ)-এর দিকে ইশারা করেন। আর তোমরা আম্মারের অনুসৃত পন্থা অনুসরণ কর এবং যে হাদীস ইবনু মাসউদ তোমাদের কাছে রিওয়ায়াত করে তা বিশ্বাস কর।
তিরমিজি- ৩৭৯৯

প্রশ্ন-৩
তিনি বলেছিলেন কোরআন (কুরআন)আর সুন্নাহ রাখলাম।
আর কিছু বলেননি?
উত্তরঃ

قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فِينَا خَطِيبًا بِمَاءٍ يُدْعَى خُمًّا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَوَعَظَ وَذَكَّرَ ثُمَّ قَالَ ‏

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন মাক্কাহ ও মাদীনার মাঝামাঝি খুম্ম’ নামক স্থানে দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে বক্তৃতা দিলেন। আল্লাহর প্রশংসা ও সানা বর্ণনা শেষে ওয়ায-নাসীহাত করলেন। অতঃরপর বললেন,

‏ أَمَّا بَعْدُ أَلاَ أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَ وَأَنَا تَارِكٌ فِيكُمْ ثَقَلَيْنِ أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَخُذُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَاسْتَمْسِكُوا بِهِ ‏
হুঁশিয়ার, হে লোক সকল! আমি একজন মানুষ, অতি সত্বরই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতা আসবে, আর আমিও তার আহানে সাড়া দিব। আমি তোমাদের নিকট ভারী দুটাে জিনিস রেখে যাচ্ছি। এর প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব। এতে হিদায়াত এবং আলোকবর্তিকা আছে। অতএব তোমরা আল্লাহর কিতাবকে অনুসরণ করো, একে শক্ত করে আঁকড়ে রাখো। তারপর তিনি কুরআনের প্রতি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিলেন।

فَحَثَّ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَرَغَّبَ فِيهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ وَأَهْلُ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي ‏"‏ ‏
এরপর বলেন, আর দ্বিতীয়টি হলো আমার আহলে বায়ত। আর আমি আহলে বায়তের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি। আহলে বায়তের ব্যাপারে তোমাদের আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আহলে বায়তের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।

সহিহ মুসলিম-২৪০৮
মাদ্রাসা পাঠ্যপুস্তক অনুসারে মোট হাদীস-৩০৩৩
আন্তর্জাতিক নম্বর।

যাযাকুমুল্লাহ।

আরিফ বিন হাবিব হাফিজাহুল্লাহ

28/02/2024

♾️♾️সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত ♾️♾️

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا الحُسَيْنُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي بُشَيْرُ بْنُ كَعْبٍ العَدَوِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي شَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَيِّدُ الِاسْتِغْفَارِ أَنْ تَقُولَ: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ " قَالَ: «وَمَنْ قَالَهَا مِنَ النَّهَارِ مُوقِنًا بِهَا، فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ، وَمَنْ قَالَهَا مِنَ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا، فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ»

৫৮৬৭। আবু মা’মার (রাহঃ) ......... শাদ্দাদ ইবনে আউস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার হলো বান্দার এ দুআ পড়া— ″হে আল্লাহ, তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিআমত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।
যে ব্যক্তি দিনের (সকাল) বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ ইস্তিগফার পড়বে, আর সন্ধ্যা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতের (প্রথম) বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ দুআ পড়ে নেবে আর সে ভোর হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে।

—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৬৭ (আন্তর্জাতিক নং ৬৩০৬)

মাওঃ মোঃ আঃ আউয়াল মোল্লা
সময়ঃ সকাল ৭ টা

মুক্তাদির দোয়ায়ে কুনুত পূর্ণ হওয়ার আগে ইমাম রুকুতে চলে গেলে করণীয়প্রশ্নঃ৫৪৬৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রমজান ...
27/02/2024

মুক্তাদির দোয়ায়ে কুনুত পূর্ণ হওয়ার আগে ইমাম রুকুতে চলে গেলে করণীয়

প্রশ্নঃ
৫৪৬৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রমজান মাসে ইমামের সাথে বিতির নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার আগেই যদি ইমাম রকুতে চলে যায়। তাহলে মুক্তাদির কি করনীয়?

উত্তরঃ
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

জামাতের সাথে বিতির আদায়কালে যদি
মুকতাদিগণের দোয়ায়ে কুনুত পূর্ণ হওয়ার আগেই ইমাম সাহেব রুকুতে চলে যায়, তাহলে মুক্তাদিগণ দোয়ায়ে কুনুত পূর্ণ করার জন্য দাঁড়িয়ে না থেকে ইমামের সাথে রুকুতে শরিক হয়ে যাবে। কারণ দোয়ায়ে কুনুতের ওয়াজিব যে কোনো দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আদায় হয়ে যায়। অনুরূপ প্রশিদ্ধ দোয়াটির অংশ বিশেষ পাঠ করার মাধ্যমেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। কুনুতের প্রশিদ্ধ দোয়াটি পূর্ণ পড়া সুন্নাত। ইমামের অনুসরণ করা যেহেতু ওয়াজিব তাই সুন্নাত আদায়ের জন্য ওয়াজিব লঙ্ঘনের অবকাশ নেই।

وقراءة قنوت الوتر، وهو مطلق الدعاء. قال ابن عابدين قوله: وهو مطلق الدعاء أي القنوت الواجب يحصل بأي دعاء كان..... وأما خصوص اللهم إنا نستعينك فسنة فقط، حتى لو أتى بغيره جاز إجماعا. (الدر المختار مع رد المحتار ٢ : ١/٢٠٠: ٤٦٨)

لأن المراد بالقنوت هنا الدعاء الصادق على القليل والكثير، وما أتى به كاف لسقوط الواجب، وتكميله مندوب، والمتابعة واجبة فيترك المندوب للواجب. (رد المحتار ٢ : ٢/٥٤٠ : ١٠)

والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে… মুফতি জাওয়াদ তাহের
মুহাদ্দিস, জামিয়া বাবুস সালাম, বিমানবন্দর ঢাকা

27/02/2024

স্ত্রীর সঙ্গে খোশগল্প করা সুন্নত

স্ত্রীর সঙ্গে খোশগল্প করা, রসিকতা করা, কৌতুক করা প্রিয় নবী
(সা.)-এর সুন্নত। সময় সময়ে আমাদের নবীজি তাঁর সম্মানিতা স্ত্রীর সঙ্গে খোশগল্প ও
হাসি-তামাশা করতেন।
নবীজি (সা.) এ ক্ষেত্রে ছিলেন অত্যন্ত সহজ সরল। তিনি স্বয়ং নিজেই রসিকতা ও বৈধ বিনোদনের
সুযোগ দিতেন এবং স্ত্রীর সঙ্গে নিজেও তাতে অংশ নিতেন।

নিজেও
স্ত্রীকে মজার গল্প শোনাতেন এবং স্ত্রীর কাছ থেকেও মনোযোগ দিয়ে তা শুনতেন।

আমাদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যাঁরা অত্যন্ত নাম-দামের সঙ্গে সমাজে
দাপিয়ে বেড়ান।
তাঁদের অনেক প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে মানুষের মধ্যে। সেসব ব্যক্তি তাঁদের সেই
প্রভাব-প্রতিপত্তি আর ভাবগাম্ভীর্য তাঁদের স্ত্রীর সঙ্গেও জাহির করতে চান।

নিজেদের
শৌর্য রক্ষার্থে তাঁরা পরিবারের কাছে গম্ভীরভাবে থাকতে পছন্দ করেন এবং
এটাতেই নিজেদের বীরত্ব মনে করেন। অথচ আমাদের প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
সালামের আদর্শ আদৌ এমন ছিল না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নম্র স্বভাবের।

জাবের (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন নমনীয়
স্বভাবের। (তাঁর স্ত্রীরা) যখনই কোনো কিছুর আবদার
ধরতেন, তিনি
সে আবদার রক্ষা করতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৮২৯)



দুই স্ত্রী মিলে নবীজি (সা.)-কে চমক
দিলেন

একবার প্রিয় নবীজি (সা.)-এর দুই স্ত্রী মিলে তাঁকে চমকে
দেওয়ার জন্য নবীজির সঙ্গে একটু মজা করলেন। সফর অবস্থায় সেই ঘটনার বর্ণনা এসেছে
হাদিসের কিতাবে। আয়েশা
(রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, যখনই মহানবী (সা.) সফরে
যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখনই বিবিদের মধ্যে লটারি করতেন। এক
সফরের সময় আয়েশা (রা.) এবং হাফসা (রা.)-এর নাম লটারিতে ওঠে।

মহানবী
(সা.)-এর অভ্যাস ছিল, যখন রাত হতো তখন আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে এক সওয়ারিতে
আরোহণ করতেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতে পথ চলতেন। এক রাতে
হাফসা (রা.) আয়েশা (রা.)-কে বললেন,
আজ রাতে তুমি কি আমার উটে আরোহণ করবে এবং
আমি তোমার উটে, যাতে করে আমি তোমাকে এবং তুমি আমাকে এক নতুন অবস্থায় দেখতে
পাবে? [এটি
ছিল, নবীজি
(সা.)-কে কাছে পাওয়ার জন্য হাফসা (রা.)-এর পক্ষ থেকে একটি কৌশল] আয়েশা (রা.) জবাব
দিলেন, হ্যাঁ,
আমি রাজি আছি। সে
হিসাবে আয়েশা (রা.) হাফসা (রা.)-এর উটে
এবং হাফসা (রা.) আয়েশা (রা.)-এর উটে সওয়ার হলেন। মহানবী (সা.) আয়েশা (রা.)-এর
নির্ধারিত উটের কাছে এলেন, যার ওপর হাফসা (রা.) বসা ছিলেন। তিনি সালাম
করলেন এবং তাঁর পার্শ্বে বসে সফর করলেন। পথিমধ্যে এক স্থানে সবাই অবতরণ
করলেন। (আর এদিকে এ কারণে) আয়েশা (রা.) মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য থেকে (কিছুক্ষণের জন্য)
বঞ্চিত হলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৮৩৫)



স্ত্রীর মুখে গল্প শোনা

নবীজি নিজেও গল্প বলতেন এবং স্ত্রীদের থেকেও মজার কথা
শুনতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! মনে করুন, আপনি এমন একটি ময়দানে গিয়ে পৌঁছলেন, যেখানে একটি গাছের কিছু অংশ খাওয়া হয়ে
গেছে। আর এমন
একটি গাছ পেলেন, যার
কিছুই খাওয়া হয়নি। এর মধ্যে কোন গাছের পাতা আপনার উটকে খাওয়াবেন। মহানবী (সা.) জবাবে
বললেন, যে গাছ থেকে কিছুই খাওয়া
হয়নি। এ কথার
দ্বারা আয়েশা (রা.)-এর উদ্দেশ্য ছিল মহানবী (সা.) তাঁকে ছাড়া অন্য কোনো কুমারীকে শাদি করেননি।
(এর মাধ্যমে আয়েশা (রা.) অন্য স্ত্রীদের
চেয়ে নিজের
শ্রেষ্ঠত্ব কৌশলে বলে দিলেন, আর নবীজি (সা.) এর পক্ষে সমর্থন জানালেন) (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৭১০)



অসুস্থতার সময়ও স্ত্রীকে আনন্দদান

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল বাকি
থেকে ফিরে
এসে আমাকে মাথায় যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় পান। আর আমি বলছিলাম, হে আমার মাথা! তিনি বলেন, হে আয়েশা! আমিও মাথা ব্যথায় ভুগছি, হে আমার মাথা! তারপর তিনি (রাসুল) বললেন, তুমি যদি আমার আগে ইন্তিকাল করতে, তাহলে তোমার কোনো ক্ষতি হতো না। কেননা, আমি তোমাকে গোসল করাতাম, কাফন পরাতাম, তোমার জানাজার নামাজ আদায় করতাম এবং তোমাকে দাফন
করতাম। তখন আমি বললাম, আল্লাহর
শপথ! আমার মনে হয়, যদি এমনই করতেন তাহলে অবশ্যই আমার ঘরে
ফিরে এখানেই অন্য কোনো স্ত্রীর সঙ্গে রাত যাপন করতেন। আয়েশা (রা.)-এর এ কথা শুনে
নবীজি (সা.) মুচকি
হাসলেন। (ইবনে মাজা, হাদিস : ১৪৬৫)



দৌড় প্রতিযোগিতা

স্ত্রীর মনোরঞ্জনের জন্য সফরে নবীজি (সা.) দৌড় প্রতিযোগিতা
করেছেন। রাসুল (সা.) উম্মতের ফিকর, আরো দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীদের
বিনোদনের প্রতি যত্নবান ছিলেন। কারণ এটাও তাঁদের অধিকার, তাঁদের প্রাপ্য। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি একসময় নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে
সফরে ছিলেন। তিনি বলেন, তখন আমি তাঁর সঙ্গে দৌড়
প্রতিযোগিতায় তাঁর আগে বেড়ে গেলাম (অর্থাৎ জিতে গেলাম), তারপর যখন আমি মোটা স্থূলকায় হয়ে
গেলাম, তখন আবার তাঁর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ
হলাম। তখন তিনি আমার আগে বেড়ে (জিতে) গেলেন। তখন তিনি বললেন, এটা তোমার প্রথমবারে জেতার বদলা। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭০)


মাওঃ আব্দুল আউয়াল মোল্লা
সময়ঃ ভোর ৬ টা ৪৮ মিনিট

26/02/2024

কিরে নোমান জলে নাকি জলে.........?

24/02/2024

প্রতিটি কথা অমুল্য বানী || আপনার জীবন পাল্টে যাবে একবার শুনুন মাত্র | মুফতী আনিসুর রহমান আশ্রাফী।

বড় ভাই ও ভাতিজা ও ভাতিজীরা,ছেলে
24/02/2024

বড় ভাই ও ভাতিজা ও ভাতিজীরা,ছেলে

21/02/2024

সবাই কাছে দোয়া প্রার্থী 💝💝💝

21/02/2024

শবে বরাত : কিছু ভ্রান্তি নিরসন:

আলকাউসারের শাবান ১৪২৬ হি. (সেপ্টেম্বর ’০৫ ঈ.) সংখ্যায় ‘বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শাবান ও শবে বরাত’ শিরোনামে, শাবান ১৪২৭ হি. (সেপ্টেম্বর ’০৬ ঈ.) সংখ্যায় ‘উলামায়ে সালাফের উক্তির আলোকে শাবান শবে বরাত’ শিরোনামে এবং রজব ১৪২৮ হি. (আগষ্ট ’০৭ ঈ.) সংখ্যায় ‘অজ্ঞতা ও রসম-রেওয়াজের কবলে শাবান-শবে বরাত : নববী নিদের্শনাই মুক্তির উপায়’ শিরোনামে শাবান ও শবে বরাত সম্পর্কে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় কথা পাঠকের সামনে এসে গেছে। ওয়াল হামদু লিল্লাহি তাআলা আলা যালিকা হামদান কাছীরা।

এ সংখ্যায় শুধু কিছু ভুল ধারণা চিহ্নিত করে দিতে চাই। কেননা এগুলো সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন এসে থাকে।

প্রশ্ন ১ : আমি এক কিতাবে পড়েছি যে, শবে বরাত বিষয়ক সকল হাদীস ‘মওযু’। ইবনে দিহয়ার উদ্ধৃতিতে কথাটা ওই কিতাবে লেখা হয়েছে।

উত্তর : এটা একটা ভুল কথা। ইবনে দিহয়া কখনো এমন কথা বলতে পারেন না। যিনি তার উদ্ধৃতিতে এ কথা লিখেছেন তিনি ভুল লিখেছেন। ইবনে দিহয়া শুধু এটুকু বলেছেন যে, শবে বরাতে বিশেষ নিয়মের নামায এবং সে নামাযের বিশেষ ফযীলতের যে কথাগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত, তা মওযু। তাঁর মূল আরবী বক্তব্য তুলে দিচ্ছি :

أحاديث صلاة البراءة موضوعة

‘শবে বরাতের বিশেষ নামায সংক্রান্ত বর্ণনাগুলো মওজু।’

(তাযকিরাতুল মওজুআত, মুহাম্মাদ তাহের পাটনী পৃ. ৪৫)

আল্লামা লাখনৌবী রাহ. ‘আল আছারুল মারফুআ ফিল আখবারিল মওজুআ’ (পৃ. ৮০-৮৫)তে পরিষ্কার লিখেছেন যে, ‘শবে বরাতে রাত্রি জেগে ইবাদত করা এবং যেকোনো নফল আমল যাতে আগ্রহ বোধ হয় তা আদায় করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। এ রাতে মানুষ যত রাকাআত ইচ্ছা নামায পড়তে পারে, তবে এ ধারণা ভুল যে, এ রাতের বিশেষ নামায রয়েছে এবং তার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। যেসব বর্ণনায় এ ধরনের কথা পাওয়া যায় সেগুলো ‘মওযু।’ তবে এ রাত একটি ফযীলতপূর্ণ রজনী এবং এ রজনীতে ইবাদত-বন্দেগী করা মুস্তাহাব-এ বিষয়টি সহীহ হাদীস থেকেও প্রমাণিত। মোটকথা, এ রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করা যেমন ভুল তদ্রূপ মনগড়া কথাবার্তায় বিশ্বাসী হওয়াও ভুল।’

আল্লামা শাওকানীও ‘আল ফাওয়াইদুল মাজমূআ’ পৃ. ৫১)তে এই ভুল ধারণা সংশোধন করেছেন।

প্রশ্ন ২ : একজন আলিমের কাছে শুনেছি যে, শবে বরাতে কবরস্থানে যাওয়া ‘মাসনূন’ নয়। আর আজকাল যেভাবে এ রাতে কবরস্থানে মেলা বসানো হয় এবং মহিলারাও বেপর্দা হয়ে সেখানে গিয়ে ভিড় করে, তা তো একেবারেই নাজায়েয।

প্রশ্ন এই যে, যতটুকু নাজায়েয তা তো অবশ্যই নাজায়েয, কিন্তু যদি মহিলারা বেপর্দা না হয় এবং কোনো গুনাহর কাজও সেখানে না হয় তবুও কি এ রাতে কবর যিয়ারত মাসনূন বলা যাবে না? হাকীমুল উম্মত ‘ইসলাহুর রুছূম’ কিতাবে একে ‘মাসনূন’ লিখেছেন।

উত্তর : মহিলাদের জন্য যিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে যাওয়া এমনিতেও নিষেধ। এরপর যদি পর্দাহীনতা ও অন্যান্য আপত্তিকর বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত হয় তবে তা আরো কঠিন হয়ে যায়। আর কবরস্থান যদি নিকটবর্তী হয় এবং মাযার না হয় আর সেখানে শরীয়তের দৃষ্টিতে আপত্তিকর কাজকর্ম না হয় তাহলে পুরুষের জন্য এ রাতে সেখানে গিয়ে যিয়ারত করার বিধান কী? হাকীমুল উম্মত রাহ. প্রথমে একে মাসনূন লিখেছিলেন। পরে আরো চিন্তা-ভাবনা ও উলামায়ে কেরামের সঙ্গে মত বিনিময় করার পর ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন এবং লেখেন যে, আমি কবরস্থানে যাওয়া থেকে বারণ করাকেই অধিক সতর্কতার বিষয় মনে করি। (ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/২৮) শরীয়তের নীতিমালার আলোকে হযরত থানভী রাহ-এর দ্বিতীয় মতই অগ্রগণ্য।

প্রশ্ন ৩ : সুনানে ইবনে মাজাহ-তে (হাদীস নং : ১৩৮৮) পনেরো শা‘বান রাত সম্পর্কে এই হাদীসটি উল্লেখিত হয়েছে :

قوموا ليلها وصوموا نهارها

এই রাত জেগে ইবাদত কর এবং দিনে (অর্থাৎ পনেরো শা’বান) রোযা রাখ।

এই হাদীসটি থানভী রাহ. ‘খুতবাতুল আহকাম’-এ উল্লেখ করেছেন এবং ‘ইসলাহুর রুসূম’-এ পনেরো শাবান-এর রোযাকে মাসনূন বলেছেন। কিন্তু এক ব্যক্তি আমাকে বলেছেন যে, শায়খ আলবানী এই হাদীসটিকে মওযু বলেছেন। এরপর হযরত মাওলানা মুহাম্মদ তকী উছমানী ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম-এর ‘ইসলাহী খুতবাত’-এ দেখলাম যে, সেখানে এই হাদীসটিকে ‘জয়ীফ’ লেখা হয়েছে এবং এই রোযাকে ‘সুন্নত’ মনে করা ভুল বলা হয়েছে। প্রকৃত বিষয়টি বুঝে আসছে না। আশা করি সাহায্য করবেন।

উত্তর : ইবনে মাজাহর উপরোক্ত হাদীসটি ‘মওজু’ তো কখনোই নয়। তবে সনদের দিক থেকে ‘জয়ীফ’। যেহেতু ফাযাইলের ক্ষেত্রে ‘জয়ীফ’ গ্রহণযোগ্য তাই আলিমগণ শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে এ হাদীস বয়ান করে থাকেন।



শায়খ আলবানী ‘সিলসিলাতুয যয়ীফা’ (৫/১৫৪) তে এই বর্ণনাকে ‘মওজূউস সনদ’ লিখেছেন। অর্থাৎ এর ‘সনদ’ মওজূ। যেহেতু অন্যান্য ‘সহীহ’ বর্ণনা উপরোক্ত বর্ণনার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্ভবত এজন্যই শায়খ আলবানী সরাসরি ‘মওজূ’ না বলে ‘মওজূউস সনদ’ বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। তথাপি শায়খ আলবানীর এই ধারণা ঠিক নয়। সঠিক কথা এই যে, এই বর্ণনা ‘মওজূ’ নয়, শুধু ‘জয়ীফ’। ইবনে রজব রাহ. প্রমুখ বিশেষজ্ঞদের এই মতই আলবানী সাহেব নিজেও বর্ণনা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আলবানী সাহেব যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তা এই যে, এ বর্ণনার সনদে ‘ইবনে আবী ছাবুরা’ নামক একজন রাবী রয়েছেন। তার সম্পর্কে হাদীস জাল করার অভিযোগ রয়েছে। অতএব এই বর্ণনা ‘মওজু’ হওয়া উচিত। তবে এই ধারণা এ জন্য সঠিক নয় যে, ইবনে আবী সাবুরাহ সম্পর্কে উপরোক্ত অভিযোগ ঠিক নয়। তার সম্পর্কে খুব বেশি হলে এটুকু বলা যায় যে, জয়ীফ রাবীদের মতো তার স্মৃতিশক্তিতে দুর্বলতা ছিল। রিজাল শাস্ত্রের ইমাম আল্লামা যাহাবী রাহ. পরিষ্কার লিখেছেন যে, ‘স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণেই তাকে জয়ীফ বলা হয়েছে।’ দেখুন সিয়ারু আলামিন নুবালা ৭/২৫০

সারকথা এই যে, উপরোক্ত বর্ণনা মওজু নয়, শুধু জয়ীফ।

পনেরো শাবানের রোযা সম্পর্কে থানভী রাহ. যে ‘মাসনূন’ বলেছেন তার অর্থ হল মুস্তাহাব। আর ইসলাহী খুতবাতের আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়া হলে দেখা যায় যে, তা এ কথার বিপরীত নয়। ওই আলোচনায় ‘জয়ীফ’ হাদীসের ওপর আমল করার পন্থা বিষয়ে একটি ইলমী আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে। হযরত মাওলানা পনেরো তারিখের রোযা রাখতে নিষেধ করেননি। তিনি শুধু এটুকু বলেছেন যে, একে শবে বরাতের রোযা বলবে না। গোটা শাবান মাসেই শুধু শেষের দুই দিন ছাড়া, রোযা রাখা মুস্তাহাব। তাছাড়া প্রতিমাসের ‘আয়্যামে বীজ’ (চাঁদের ১৩,১৪,১৫ তারিখ) রোযা রাখা মুস্তাহাব। এ দৃষ্টিকোণ থেকে এ দিনের রোযা রাখা হলে ইনশাআল্লাহ ছওয়াব পাওয়া যাবে।



প্রশ্ন ৪ : আমি একটি পুস্তিকায় পড়েছি যে, শবে বরাত সম্পর্কে যেসব রেওয়ায়েত পাওয়া যায় তন্মধ্যে সনদের বিবেচনায় সবচেয়ে উত্তম রেওয়ায়েতটিই হল ‘জয়ীফ।’ তাহলে অন্যগুলোর অবস্থা খুব সহজেই অনুমেয়। এ কথা কি সঠিক?

উত্তর : এ কথাটা একেবারেই ভুল। শবে বরাত সম্পর্কে বেশ কয়েকটি হাদীস এসেছে। তার মধ্যে একটি হাদীস ‘সহীহ’, কিছু হাদীস ‘হাসান’ আর কিছু ‘জয়ীফ’। এ জন্য শবে বরাতের ফযীলত বিষয়ক সকল হাদীস জয়ীফ-একথা ঠিক নয়। সনদের বিচারে সবচেয়ে উত্তম বর্ণনা সেটা যা ইবনে হিববান ‘কিতাবুস সহীহ’ তে (হাদীস ৫৬৬৫) বর্ণনা করেছেন।

عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن.

হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। অতপর শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া তার সমগ্র সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।’

আরো একাধিক হাদীসে এ বিষয়টি এসেছে। যেগুলোর সনদ ‘হাসান লিযাতিহী বা হাসান লিগায়রিহী।’ যথা মুসনাদে আহমদ এর ৬৬৪২ নং হাদীস, এবং মুসনাদুল বাযযার (২০৪৫)-এ আবু বকর সিদ্দীক রা. থেকে বর্ণিত হাদীস।

এছাড়া এ রাতের আমল সম্পর্কে ‘শুআবুল ঈমান’ বায়হাকীর নিম্নোক্ত হাদীসটি লক্ষণীয়।

হযরত আলা ইবনুল হারিছ রাহ. থেকে বর্ণিত, হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হল তিনি হয়তো মৃত্যু বরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা, অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ইরশাদ করলেন-

هذه ليلة النصف من شعبان، إن الله عز وجل يطلع على عباده في ليلة النصف من شعبان، فيغفر للمستغفرين ويرحم المسترحمين ويؤخر أهل الحقد كما هم.

‘এটা হল অর্ধ-শাবানের রাত। (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত।) আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।’ -শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩৮২-৩৮৩



ইমাম বাইহাকী রাহ. এই হাদীসটি বর্ণনার পর এর সনদের ব্যাপারে বলেছেন-

هذا مرسل جيد

এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এ রাতে দীর্ঘ নফল নামায পড়া, যাতে সেজদাও দীর্ঘ হবে, শরীয়তের দৃষ্টিতে কাম্য।

এধরনের বেশ কয়েকটি সহীহ ও হাসান হাদীস বিদ্যমান থাকা অবস্থায় কি এ কথা বলা উচিত যে, এ বিষয়ে সর্বোত্তম হাদীসটি সনদের বিচারে জয়ীফ? ভালোভাবে না জেনে কথা বলা থেকে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নিরাপদ রাখুন।

প্রশ্ন ৫ : লোকেরা বলে, এ রাতের ফযীলত শবে কদরের সমান। কুরআন মজীদে ‘লায়লাতিন মুবারাকা’ বলে শবে বরাত বোঝানো হয়েছে। এ কথাটা কি সঠিক?

উত্তর : দুটো কথাই ভুল। শবে বরাতকে শবে কদরের সমান মনে করা ভুল। কুরআন-হাদীসে শবে কদরের যত ফযীলত এসেছে শবে বরাত সম্পর্কে আসেনি। বিশেষত কুরআন মজীদ নাযিল হওয়ার মতো বরকতময় ঘটনা শবে কদরেই সংঘটিত হয়েছে। এই ফযীলত অন্য কোনো রজনীতে নেই।

‘লায়লাতিন মুবারাকা’ বলে শবে কদরকেই বোঝানো হয়েছে, যা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সূরা কদরে। এজন্য এখানে শবে বরাত উদ্দেশ্য হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সব ধরনের প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত হয়ে সঠিক অবস্থানে দৃঢ়পদ থাকার তাওফীক দান করুন। ইমাম ইবনে রজব রাহ. এর ভাষায় : ‘মুমিনের কর্তব্য এই যে, এ রাতে খালেস দিলে তওবা করে যিকির, দুআ ও ইস্তেগফারের জন্য প্রস্ত্তত হয়ে যাবে। যত্নের সঙ্গে নফল নামায পড়বে। কেননা কখন মৃত্যু এসে যায় বলা যায় না। তাই কল্যানের মওসুম শেষ হওয়ার আগেই তার মূল্য দেওয়া কর্তব্য। আল্লাহ তাআলার নিকট থেকে ছওয়াব লাভের আশা নিয়ে পনেরো তারিখের রোযাও রাখবে। তবে অত্যন্ত জরুরি বিষয় হল, ওইসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, যেগুলো এ রাতের সাধারণ ক্ষমা ও দুআ কবুল হওয়া থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে দেয়। যথা : শিরক, হত্যা, হিংসা-বিদ্বেষ। এগুলো সবগুলোই কবীরা গুনাহ। আর হিংসা-বিদ্বেষ তো এতই গর্হিত বিষয় যে, এটা অধিকাংশ সময়ই মানুষকে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

যেকোনো মুসলমান সম্পর্কেই বিদ্বেষ পোষণ করা অত্যন্ত মন্দ প্রবণতা। তবে সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে সালেহীন সম্পর্কে অন্তরে হিংসা ও বিদ্বেষ বিদ্যমান থাকা অত্যন্ত ভয়াবহ ও গর্হিত অপরাধ। এজন্য মুসলমানদের কর্তব্য হল সর্বদা অন্তরকে পরিষ্কার রাখা এবং হিংসা-বিদ্বেষ থেকে পাক-পবিত্র রাখা। বিশেষত উম্মাহর পূর্বসূরী ব্যক্তিদের সম্পর্কে অন্তর পুরোপুরি পরিষ্কার থাকা অপরিহার্য, যাতে রহমত ও মাগফিরাতের সাধারণ সময়গুলোতে বঞ্চিত না হতে হয়।’ -লাতাইফুল মাআরিফ পৃ. ১৫৫-১৫৬ #

(লিখেছেন: প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা আব্দুল মালেক দামাত বারাকাতুহুম)

19/02/2024

আদর্শিক ভ্রান্তির আলোচনা না হলে সঠিক দল অটোমেটিক গোমরাহীতে রুপান্তরিত হয়ে যায়।
ফলশ্রুতিতে পৃথিবীতে নতুন এক স্বঘোষিত সঠিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

অবশেষে হিংসা শব্দ নিয়ে তুমুল ব্যখ্যা বিশ্লেষণ চলতে থাকে, আর যেখানে সেখানে হিংসা শব্দের প্রয়োগের অব্যর্থ প্র্যাকটিস চলতে থাকে।

এক,
আপনি নবীদের ব্যাপারে উল্টাপাল্টা বললেন এটা আপনার অন্ধ ভক্তদের কাছে সঠিক।
কিন্তু যারা আপনার কথার প্রতিবাদ করল ভক্তগন তাকে হিংসুক বলে দিল।

ফলাফলঃ
নবীদের সমালোচনা কারি ইনসাফ ওয়ালা!
সমালোচকদের প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

দুই,
আপনি সাহাবাদের ব্যাপারে আজাইরা সমালোচনা করলেন,
ভক্তদের কাছে এটা সঠিক; প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

ফলাফলঃ
সাহাবা সমালোচক ইনসাফ ওয়ালা!
সমালোচকের প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

তিন,
আপনি খুব ভাবসাব নিয়ে ভক্তদের চাহিদা মোতাবেক একটা আজাইরা ফতোয়া ডেলিভারি করলেন,
ভক্তরা খুব খুশি, কিন্তু প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

ফলাফলঃ
উল্টাপাল্টা ফতোয়া সঠিক!
প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

চার,
একজন মানুষ গত ৫০ বছর একটা সহিহ সুন্নাহ পালন করছে হঠাৎ আপনি বলে দিলেন যে এটা পৃথিবীর কোন কিতাবে পান নি,
ভক্তরা মহাখুশি, কিন্তু প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

ফলাফলঃ
প্রথম জনের জ্ঞানের সল্পতাটাই সঠিক!
প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

পাঁচ,
নিজের মতামত প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বুখারী শরীফের বর্ণনা কারিকেও কেউ জাল বলে দিলেন,
ভক্তরা মহাখুশি, কিন্তু প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

ফলাফলঃ
একজন সত্যবাদী কে মিথ্যাবাদী বানানো সঠিক!
প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

ছয়,
নিজের ভুলের উপর অটল থাকার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে পর্যন্ত বেদআতি বলে দিলেন, এতে আপনার ভক্তরা কষ্ট পেল না।
কিন্তু আপনার এই ভুলের প্রতিবাদ করায় ভক্তরা কষ্ট পেল, প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

ফলাফলঃ
সাহাবাদের কে বেদআতি বলা সঠিক, আমার গুরুর ভুল হতেই পারে না।
প্রতিবাদ কারি হিংসুক!

সাত,
বয়ানের মঞ্চে যে যার মতো বলবে,প্রতিবাদ করলে হিংসুক হয়ে যাবেন।

আট.
এই লেখার কারনে আমাকেও অনেকে বলে দিবে হিংসুক!!!

سَآءَ مَا یَحۡکُمُوۡنَ
কতইনা নিকৃষ্ট, যা তারা ফয়সালা করে!
আনকাবুত-৪

ফলাফল,
নবী, সাহাবা, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীনদের কে ইচ্ছামতো সমালোচনা করতেই থাকবেন, তাদের বিরুধিতা করা ইনসাফ!
কিন্তু আপনার ভুলের বিরুধিতা করা হিংসা।

আহ!
হিংসা আজ কত সস্তা।

এখন নিম্মোক্ত লেখাগুলো ও হিংসার সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হবে।
তাদের ফিতনা তাদের ভাষায় তাদের থেকেই জেনে নিন।
১. ‘ফিতনায়ে(.......)এক লামহায়ে ফিকরিয়্যাহ’, শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রাহ.।

২. আসরে হাযের মে দ্বীন কি তাফহীম ওয়া তাশরীহ (ইসলামের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ), মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.।

৩. আল উসতায(,,,,,,,,)মাওলানা ইউসুফ বানুরী রাহ.।

৪. তানক্বীদ আওর হক্বে তানক্বীদ, মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানভী রাহ.।

৫. হযরত মুআবিয়া আওর তারীখি হাক্বায়িক মাওলানা মুফতী তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম।

৬. ( )আকাবিরে দেওবন্দ কী নজর মে, মাওলানা হাকীম মুহা্ম্মাদ আখতার ।

৭. মাওলানা(.....)কে সাথ মেরী রেফাকত কী সারগুযাশত আওর আব মেরা মাওকাফ (মাওলানা(.......)সাথে আমার সাহচর্যের ইতিবৃত্ত), মাওলানা মানযুর নুমানী রাহ.।

৮. তা’বীর কী গলতী, মাওলানা ওয়াহিদুদ্দীন খান।

Arif Bin Habib

দারুল উলূম দেওবন্দ ও হক্বানী উলামায়ে কেরামের মতে, যে সমস্ত কারণে মাওলানা সাদ সাহেব বিতর্কিত এবং তাকে মানা হারাম --------...
02/02/2024

দারুল উলূম দেওবন্দ ও হক্বানী উলামায়ে কেরামের মতে, যে সমস্ত কারণে মাওলানা সাদ সাহেব বিতর্কিত এবং তাকে মানা হারাম
------------------- কারণগুলি নিম্নরূপ- ------------------------

১. ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম। কারো পকেটে ক্যামেরা বিশিষ্ট মোবাইল রেখে নামায পড়লে তার নামায শুদ্ধ হবে না।

২. যেই উলামায়ে কেরাম ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখেন, তাঁরা উলামায়ে ছূ। বারবার কসম করে বলেন, তাঁরা হলেন উলামায়ে ছূ। এমন আলেমরা হল গাধা।

৩. মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা, প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো। পেসাবদানী ছে পানি পিনা হাঁয়'।

৪. কুরআন শরীফ শিখিয়ে যাঁরা বেতন গ্রহণ করেন, তাঁদের বেতন বেস্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ। যেই ইমাম এবং শিক্ষকরা বেতন গ্রহণ করেন, তাদের আগে বেস্যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন।

৫. মাদরাসা গুলোতে যাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। সারা আলমের মাদরাসা গুলো যাকাত নিয়ে হারাম কাজ করতেছে।

৬. রাসূল স. এর বাই'আতের পর কেবল তিন জনের বাই'আত পূর্ণতা পেয়েছে, আর সবার বাই'আত অপূর্ণ। তিনজন হলেন, (ক) শাহ ইসমাঈল শহীদ রহ. (খ) মাও. মুহা. ইলিয়াছ রহ. (গ) মাও. মুহা. ইউসূফ রহ.।

৭. মাও. সা'আদ বিভিন্ন ইজতিমায় একাধিকবার সুন্নাতকে তিন প্রকার বলে বয়ানে বলে থাকেন, ইবাদাতের সুন্নাত, দাওয়াতের সুন্নাত এবং আচার-আচরণের সুন্নাত।

৮. দাওয়াতের পথ নবীর পথ, তাছাউফের পথ নবীর পথ নয়।

৯. আযান হল-তাশকীল, নামায হল-তারগীব আর নামাযের পরে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া হল-তারতীব।

১০. রাসূল স. দাওয়াত ইলাল্লাহ'র কারণে ইশারের নামায দেরীতে পড়ছেন। অর্থাৎ নামাযের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি।

১১. হযরত ইউসূফ আ. 'উযকুরনী ইনদা রাব্বিক' বলে গাইরুল্লাহ'র দিকে নযর দেয়ার কারণে অতিরিক্ত সাত বছর জেলখানায় থাকতে হয়েছে।

১২. হযরত মুসা আ. দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে কিতাব আনতে চলে গেছেন। দাওয়াত ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে পাঁচলক্ষ সাতত্তর হাজার লোক মুরতাদ হয়েগেছেন।

১৩. হযরত যাকারিয়া আ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে গাছের কাছে আশ্রয় চাইলেন ফলে শাস্তি ভোগ করতে হল।

১৪. হযরত মূসা আ. থেকে এক বড় ভুল হয়েগেছে (এই ইবারতাটা হুবাহু মওদুদী সাহবের ইবারত)। এবং তিনি অপরাধ করে বসছেন। এই জন্য তিনি ক্বওমকে ছেড়ে আল্লাহর সান্বিধ্য লাভের জন্য নির্জনতা গ্রহণ করলেন।

১৫. আমাদের কাজের (তাবলিগী) সাথে লেগে থাকা এবং মাওলানা ইলিয়াছ ও মাওলানা ইউসূফ সাহেবের কিতাব পড়বে, অন্য কোন কিতাব পড়বে না।

১৬. হযরত মূসা আ. কর্তৃক হযরত হারুন আ. কে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানো উচিত হয় নি।

১৭. সকাল সকাল কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা এবং নফল নামায পড়ার একটা অর্থ বুঝে আসে কিন্তু আল্লাহ আল্লাহ জিকির কী অর্জন হয়? কিছুই হয় না।

১৮. এ-তাবলীগী কাজ, এছাড়া দীনের যত কাজ আছে-দীনি ইলম শিখানো, দীনি ইলম শিখা, আত্মশুদ্ধি, কিতাবাদি রচনা করা; কোনটাই নবুওয়াতী কাজ না।

১৯. মাদরাসার শিক্ষকগণ মাদরাসায় খিদমাত করার কারণে দুনিয়াবী ধ্যান্দায় জড়িয়ে পড়ছে, এই জন্য তাদের দীনের মেহনতে সময় দেয়া দরকার।

২০. কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা বান্দাকে জিজ্ঞাস করবেন, তা’লীমে বসছিলে কি না, গাস্ত করছিলে কি না?

২১. প্রত্যেক সাহাবী অপর সাহাবীর ‍বিরুদ্ধাচরণ করছেন।

২২. হিদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহর হাতে হতো, তাহলে নবী পাঠাতেন না।

২৩. আপনাদের কাছে সবচাইতে বড় গোনাহ চুরি-যেনা, এর চাইতে বড় গোনাহ হল, খুরুজ না হওয়া। তাই হযরত কা’ব ইবনে মালেকের সাথে পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত কথা-বার্তা বন্ধ রাখা হয়।

২৪. কুরআন শরীফ বুঝে-শুনে তেলাওয়াত করা ওয়াজিব। না বোঝে তেলাওয়াত করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

সুত্র...... সা'দ সাহেবের আসল রূপ

-------------------------------------------
শতবছর আগে দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াতি কাজকে তরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াস (রাহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন।
মাওলানা ইলিয়াস (রাহ.)-এর ছেলে মাওলানা ইউসুফ(রাহ.), তাহার ছেলে মাওলানা হারুন (রাহ.), তারই ছেলে হলেন বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্ধলভী।

দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বী সাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।

তিনি তার এ সব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যগুলো ‘সা’আদ সাহেবের আসল রূপ’ নামে একটি ছোট্ট বই আকারে প্রকাশ করেছেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস, তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বী এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে ভারত সফরকারী ৫ সদস্যের অন্যতম মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।

তাঁর লিখিত ‘মাওলানা সাদ সাহেবের আপত্তিকর’ কুরআন-হাদিস বিরোধী বক্তব্যগুলো তুলে ধরা হলো-

> ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা
>> ভোটের সময় চিহ্ন হিসাবে (আঙুলে) যে রং লাগানো হয়, তার কারণে নামাজ হয় না। তাই ভোট না দেয়া উচিত।

> কুরআন শরীফের ভুল ব্যাখ্যা
>> বিভিন্ন আয়াতে তিনি বলেন, মুফাসসিরিন এই আয়াতের কোনো এক তাফসির করেছেন, ওলামা কোনো এক তাফসির করে থাকেন, কিন্তু আমি এই তাফসির করে থাকি। এটা শুনো। এটাই সঠিক তাফসির!

> ইসলাম ও ওলামাদের বিরোধীতা
>> ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম এবং পকেটে ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রেখে নামাজ হয় না। যে আলেমগণ ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখাকে ‘জায়েজ’ বলেন, তারা ‘ওলামায়ে ছু’। বার বার কসম খেয়ে তিনি বলেন, তারা হলো ‘ওলামায়ে ছু’। এমন আলেমরা হলো গাধা! গাধা! গাধা!

> জাহেলি ফতোয়া
>> মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা; প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো! (নাউজুবিল্লাহ)

> মাদরাসা মসজিদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ
>> কুরআন শরিফ শিখিয়ে বেতন গ্রহণ করেন, তাদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়েও খারাপ। যে ইমাম এবং শিক্ষক বেতন গ্রহণ করেন, বেশ্যারা তাদের আগে জান্নাতে যাবে!

> কাওমি মাদরাসা বন্ধ করার অপচেষ্টা
>> মাদরাসাগুলোতে জাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় জাকাত দিলে জাকাত আদায় হবে না।

> আওলিয়াদের সঙ্গে শত্রুতা
>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর কেবল তিনজ লোকের ‘বাইআত’ পূর্ণতা পেয়েছে। আর বাকি সবার বাইআত অপূর্ণ। সেই ৩ জন হলেন- শাহ ইসমাঈল শহীদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস এবং মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ।

> সুন্নাত সম্পর্কে জাহেলি মন্তব্য
>> মাওলানা সাদ সাহেব আযমগড়ের ইজতেমায় এবং অন্যান্য ইজতেমায় একাধিকবার সুন্নাতকে ‘৩ প্রকার’ বলে বর্ণনা করেছেন- ইবাদতের সুন্নাত, দাওয়াতের সুন্নাত এবং আচার-অভ্যাসের সুন্নাত।

> নবিওয়ালা কাজের বিরোধীতা
>> ‘দাওয়াতের পথ’ হলো নবির পথ, ‘তাসাউফের পথ’ নবির পথ না।

> ভ্রান্ত আকিদা
>> আজান হলো ‘তাশকিল’ (প্ল্যান-পরিকল্পনা)। নামাজ হলো ‘তারগীব’ (পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ)। আর নামাজের পর আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া হলো ‘তারতীব’ (পরিকল্পনার মূল বাস্তবায়ন)।

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাওয়াত ইলাল্লাহর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইশার নামাজকে পর্যন্ত বিলম্ব করে পড়েছেন। অর্থাৎ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি।

>> হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম ‘তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বল’ বলে গাইরুল্লাহর দিকে দৃষ্টি দেয়ার কারণে তাকে অতিরিক্ত ৭ বছর জেলখানায় থাকতে হয়েছে।

>> হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহকে ছেড়ে গাছের কাছে আশ্রয় চাইলেন। ফলে শাস্তি ভোগ করতে হলো।

>> মুজিজার সম্পর্ক কেবল দাওয়াতের সঙ্গে। নবুয়াতের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।

>> হজরত মুসা আলাইহিস সালাম থেকে বড় এক ভুল হয়ে গেছে এবং তিনি এক অপরাধ করে ফেলেছেন- জামাআত এবং কাওমকে ছেড়ে তিনি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য ‘নির্জনতা’ অবলম্বন করেছেন।

>> হজরত মুসা আলাইহিস সালাম কর্তৃক হজরত হারুন আলাইহিস সালামকে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানোও অনুচিৎ কাজ হয়েছে।

>> হেদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহর হাতে হতো; তাহলে তিনি নবি পাঠাতেন না।

>> কুরআন শরীফ বুঝে-শুনে তেলাওয়াত করা ওয়াজিব। তরজমা না জেনে তেলাওয়াত করলে তরকে ওয়াজিবের গোনাহ হবে।

>> আপনাদের কাছে সবচাইতে বড় গোনাহ- চুরি, যিনা। ঠিকই এটা বড় গোনাহ; তবে তার চাইতে বড় গোনাহ হলো খুরুজ না হওয়া। তাই হজরত কা’ব ইবনে মালেকের সঙ্গে ৫০ দিন পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ রাখা হয়।

>> জিকিরের অর্থ আল্লাহ আল্লাহ বা অন্যান্য তাসবিহ পড়া নয়; জিকিরের আসল অর্থ আল্লাহর আলোচনা করা।

> আল্লাহ তাআলার হুকুমের সমালোচনা
>> হজরত মুসা আলাইহিস সালাম দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে (আল্লাহর হুকুমে) কিতাব আনতে চলে গেছেন। দাওয়াত ছেড়ে (কিতাব আনতে) চলে যাওয়ার কারণে ৫ লাখ ৭৭ হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেল।

> তাবলিগের নতুন ধারা
>> আমাদের কাজের সঙ্গে লেগে থাকা সাথীরাই কেবল মাওলানা ইলিয়াস এবং মাওলানা ইউসুফ সাহেবের মালফুজাতই পড়বে। এগুলো ছাড়া (ফাজায়েলে আমল ও ফাজায়েলে সাদাকাতসহ) অন্য কিতাবাদি পড়বে না।

> জিকিরের অস্বীকার
>> সকাল-সকাল কুরআন তেলাওয়াত করা এবং নফল নামাজ পড়ার তো একটা অর্থ বুঝে আসে। কিন্তু আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করে কী অর্জন হয়? কিছুই অর্জন হয় না!

>> এই এক তাবলিগই নবুয়তের কাজ। এ ছাড়া দ্বীনের যত কাজ আছে- দ্বীনি ইলম শিখানো, দ্বীনি ইলম শেখা, আত্মশুদ্ধি, কিতাবাদি রচনা করা কোনোটাই নবুয়তের কাজ না।

>> মাদরাসার উস্তাদরা বেতন নেয়ার কারণে দুনিয়াবি ধান্দায় জড়িয়ে আছে। এ কারণে দ্বীনের খেদমতের জন্যও তাদের কিছু সময় দেয়া উচিৎ।

> আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ
>> কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জিজ্ঞাসা করবেন, তা’লিমে বসেছিলে কি না? গাশ্‌ত করেছিলে কি না?

> সাহাবায়ে কেরামের ওপর মিথ্যা অপবাদ
>> প্রত্যেক সাহাবী অপর সাহাবীর বিরুদ্ধাচরণই করেছেন।

উল্লেখিত কুরআন-হাদিস বহির্ভূত আলোচনার জন্য ওলামায়ে দেওবন্দসহ বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম আলেমগণ তাঁকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাওবার আহ্বান জানান।

এসব গোমরাহী কথা-বার্তার অডিও রেকর্ড দারুল উলুম দেওবন্দে সংরক্ষিত আছে।

সুতরাং, এ কারণে উনাকে মানা হারাম।
কপি পোস্ট।

Address

Puran Bogra

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD Abdul Awwal Molla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category