30/10/2023
বইয়ের নামঃ লাভ ক্যান্ডি
লেখকঃ জাফর বিপি
আমার পড়া সবচেয়ে বিরক্তিকর বইয়ের মধ্যে "লাভ ক্যান্ডি" নামক এই বইটি। বিরক্তিকর বলার পেছনে অবশ্য অনেকগুলো কারন আছে।
১. এই বইতে বিয়ে নিয়ে অতিমাত্রায় কিছু ফেইক ফ্যান্টাসি আর বানানো রোমাঞ্চকর, রোমান্টিকতার কথা ছাড়া শেখার কিছুই নেই।
২. সাহিত্য চর্চার চেষ্টায় অসংখ্য বেমানান শব্দ, বাক্য যেখানে সেখানে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।
৩. বইটি পড়তে গিয়ে আমি প্রকৃতই সাহিত্যের এক নতুন স্বাদ পেয়েছি! এখানে ডাক্তার, বন্ধু-বান্ধব, হাজবেন্ড-ওয়াইফ সবাই সাহিত্য চর্চা করতে চায়, আর প্রত্যেকে ডাহা ফেইল মারে, একশোতে শূন্য।
৪. বইটিতে সাহিত্যের নামে নিকৃষ্টতম অখাদ্য পাঠককে সার্ভ করা হয়েছে। বইটির উপকারী যে ইনফোগুলো, সেগুলো ম্যাক্সিমাম ত্রিশ পৃষ্ঠায় তুলে ধরা যেতো, বাদবাকি সব ফালতু কথাবার্তা।
৫. প্রাপ্তবয়স্ক হাজবেন্ড ওয়াইফ যতই আহ্লাদ করুক, এত ন্যাকামি ক্লাস ফাইভের নিব্বা-নিব্বিরাও করে না। এগুলো বাস্তবসম্মত না।
প্রতিটি চরিত্রের ডায়লগ দেখে মনে হচ্ছিলো স্কুলের সব ‘ড্যাডি’স প্রিন্সেসরা একসাথে জড়ো হয়ে কথা বলছে, আদিখ্যেতা গলে গলে ডুবে যাচ্ছে বইয়ের পাতায়। বইটি পড়ে আপনি দুইটা শব্দ শিখে যাবেন, পাগলটা আর পাগলীটা। কিছু হলেই বলছে পাগলটা, পাগলীটা!
বইটি পড়তে পড়তে বারবার বিরক্তিতে পড়া বন্ধ করে দিয়েছি। পাতায় পাতায় ক্লাসলেস বাক্য আর বর্ণনা দিয়ে ভরা! একবার নাম পুরুষ, একবার উত্তম পুরুষে বর্ণনা, কোন উল্লেখ না করেই হুট করে নতুন গল্প শুরু, বিরক্তির নানা উপাদান বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়ানো।
শেষমেশ এক বাক্যে যদি বইটির বর্ণনা দিই, তাহলে বলবো––ক্রিঞ্জ। আমার জীবনে সাহিত্যের এতো বাজে, ক্লাসলেস ক্রিঞ্জ বই পড়িনি, ইসলামী বা সেকুলার কোন ফিল্ডেই নয়। এতো বাজে বর্ণনা, আর এতো অবাস্তব ফ্যান্টাসি, এতো পুতুপুতু, সাহিত্যকে রীতিমত কুরবানি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বইয়ের পাতায় পাতায়।
[তবে সবকিছুতেই ভালো খারাপের সংমিশ্রণ থাকবেই! বইটিতে পারিবারিক অনেক শিক্ষণীয় বিষয় আছে, যেগুলো আমাদের বাস্তব জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে! আমি শুধু আমার অপছন্দনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরলাম। হতে পারে যেটা আমার ভালো লাগেনি সেটা হয়তো অন্যকারো ভালো লাগতে পারে। এক্ষেত্রে যদি কারো আঘাত লাগে তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি, আশা করি ভুল বুঝে কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলবেন না।]