I-D Significant Reader’s

I-D Significant Reader’s The path is narrow, there is still a long way to reach the goal of liberation.

03/01/2025

তিনি কি না করেছেন আমাদের জন্য, আর আমরা কি না করছি!

01/01/2025

ছাদের উপর উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিল। দ্বীনি ভাইয়েরা উপরে উঠে যায়। গিয়ে দেখা যায় কেউ মদ্যপ অবস্থায় আবার কেউ আত'শবাজি হাতে। ভাইদেরকে থামিয়ে কিছু কথা বলে, হারামকে হারামের ঘোষণা দিয়ে, তাওবাহ-র পথে ডেকে, তাকবীরের ধ্বনি তুলে, গান কে পরিবর্তন করে তিলাওয়াত ছেড়ে জানান দেওয়া হয়, এ সংস্কৃতি আমাদের নয়। এ সংস্কৃতি কুফ ফা র দের, যা জাহা'ন্নামের পথে নিয়ে যায়!💔

01/01/2025

আপনি যদি গেরিলা যুদ্ধটা আসলে কি তা না বুঝেন, তাহলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে টিটিপি আসলে কি করছে।

চলুন - আজকে একটু বুঝানো যাক।

গেরিলা যুদ্ধকে বলা হয় মশা এবং কুকুরের যুদ্ধ। আপনি মৌমাছি বা ভালুকও বলতে পারেন। মূল কনসেপ্টটা হল মশা বা মৌমাছিগুলো কুকুরগুলোকে এমনভাবে কাঁমড়াতে থাকবে যে, কুকুরটা একসময় বাধ্য হবে পানিতে ডুব দিতে। গেরিলাদের শক্তি হল তারা দূর্বল, কিন্তু খুবই ক্ষিপ্র। তারা খুব কম সাপোর্টে জীবন ধারণ করতে পারবে। তাদের খরচ কম। তাদের খুব ভারী জিনিসও ক্যারি করতে হয় না। তবে তাদের খুব ফিট থাকতে হবে। বেশী কষ্ট করতে হবে। পাহাড়সম ধৈর্য ধরতে হবে। এ যুদ্ধ রাতারাতি জিতে যাওয়ার কোন যুদ্ধ নয়। এবং বেশীরভাগ লোকই এই যুদ্ধ বুঝতে পারে না। বরং আমরা মুসলিমরা গত ২০-৪০ বছরের এই যুদ্ধের ক্ষেত্রে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনার দ্বার উম্মুক্ত করছি।

হিট-রান, এ্যাম্বুশ হচ্ছে গেরিলা যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে। গেরিলারা শুধু হিট এ্যান্ড রান করবে, এ্যাম্বুশ করবে। প্রথমে ছোট-ছোট চেক পোস্টে করবে, তখন যখন বাধ্য হয়ে ক্যান্টমেন্ট থেকে সেনা বের করে চেক পোস্ট বাড়াবে, ক্যান্টনম্যেন্ট দূর্বল হয়ে পড়লে - সেখানে বড় একটা করবে। তারা বুঝতে পারে না যে, ক্যান্টেনমেন্টে বেশী রাখবে নাকি চেকপোস্টে নাকি কি করবে। আবার সেনাদের মুভমেন্ট যখন হবে, ধরুন গাড়িতে বসে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছে, এই সময়টাতে সেনারা ক্লান্ত এবং ভলনারেবল থাকে। তখন গিয়ে এ্যামবুশ করতে হবে। ওখানে বসে থাকা যাবে না - কাহিনী করেই চলে আসতে হবে।

এই কাজ করে লাভ কি? এই কাজের উদ্দেশ্য হল সেনাবাহিনীর খরচ বাড়িয়ে দেয়া। জনবল কমানো। এটা ঠিক যে তাদের রিক্রুটমেন্ট প্রসেস চলতে থাকবে, কিন্তু মারতে থাকলে সেটার খরচ বাড়বে, প্রফিসিয়েন্সি বলুন আর ইফিসিয়েন্সি সবই কমবে। সেনা সদস্যরা মনোবল হারাতে থাকবে। তখন সরকার চেষ্টা করবে যে, খরচ কমিয়ে কিছু অঞ্চলে টহল কমিয়ে দিতে, বলা যায় তারা বাধ্য হবে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে। কারণ সেগুলো ধরে রাখতে গেলে তাদের খরচ খুব বেড়ে যায়, ব্যাপক প্রাণ হানি হয়।

এই পর্যায়ে গেরিলাদের উচিত না সরকারের সাথে কোন রকমের দরকষাকষিতে যাওয়া। সরকার অনেককে অনেক রকম টোপ দিবে, অথচ এই সময়টাতে গেরিলা ফ্রন্ট ফুটে আছে - সরকার ব্যাকফুটে। বরং যে সব এলাকা ছেড়ে দিবে সরকার, সেখানে গেরিলারা স্থানীয়দের সাথে মিলে একটা ছায়া সরকারের মত ব্যবস্থাপনা তৈরী করবে। এই পর্যায়টা যখন শুরু হবে, বুঝতে হবে যে গেরিলারা প্রথম ধাপ থেকে দ্বিতীয় ধাপে পৌছেছে। তবে খুব সাবধানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সম্মুখ সমরে গিয়ে নিজেদের শক্তি ক্ষয় করা যাবে না। এই সময়টাতে গেরিলাদের জায়গা ধরে রাখার জন্য যুদ্ধ করা যাবে না। তাদেরকে জনগণের সাথে মিশে থাকতে হবে।

একটা পর্যায়ে সরকার শক্তি সঞ্চয় করে, ব্যাপক পরিকল্পনা করে হারানো জায়গাগুলো ফেরত নিতে অভিযান চালাবে। তখন কিন্তু ভুলেও গেরিলাদের উচিত হবে না সরকারের সাথে সম্মুখ সমরে জড়ানোর। বরং তাদের ওই জায়গাগুলো ছেড়ে দিতে হবে। দাঈশ এই পদ্ধতি ফলো করতো না। তারা বলতো, আমরা জায়গা ছেড়ে দিলে শরীয়াহ কায়েম করবে কে? কিন্তু তালিবরা এভাবে শহর ছেড়ে দিত, কারণ তারা জানতো যে কিছুদিন পর এই শহর তারা আবারো লাইটেনিং স্পীডে দখল করতে পারবে, এজন্য এত জনবল খরচ করে, এয়ার স্ট্রাইকের সামনে পড়ে, শহর ডিফেন্ড করা গেরিলা যুদ্ধের সাথে যায় না। আপনারা ঘেটে দেখতে পারেন যে, গত ১০ বছর আগ থেকেই তালিবরা বিভিন্ন বড় বড় শহর দখল করছে, এত পার্সেন্ট দখল, এই সেই বলে জনগণকে উজ্জিবীত করছিল, কিন্তু রাজধানীতে আসছিল না। তারা আসলে ইউসড টু করছিল। সোমালিয়াতে শাবাবও এমনটা করছে। বিভিন্ন শহর দখল করে মাঝে মাঝে, আবার ছেড়ে দেয়।

এইটা হচ্ছে গেরিলা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ে। এই সময়টাতে জনগণের হৃদয়গুলো জয় করে নিতে হবে, হৃদয় দখলের যুদ্ধ বললেও ভুল হবে না। মিডিয়া একটিভিটি ফুল স্কেলে চালাতে হবে। এটা ১০ থেকে ২০ বছরও - এমনকি এর বেশীও চলতে পারে। আপনার মনে রাখতে হবে যে, সম্মুখ সমরে যদি আপনি না জিতেন, তাহলে আপনি হারতেসেন। আর গেরিলা যুদ্ধে আপনি যদি না হারেন, যদি টিকে থাকেন - তাহলে আপনি জিততেসেন। এটা হচ্ছে ধৈর্যের খেলা। প্রতিপক্ষ ধৈর্য ধরতে না পেরে অনেক ভুল করবে, সিভিলিয়ানদর উপর এ্যাটাক, ধরপাকড় করবে - এটা আপনার রিক্রুটমেন্ট বাড়িয়ে দিবে এই পর্যায়ে। আবার মিডিয়া দিয়ে অপপ্রচারও চালাবে। গেরিলাদের অবশ্যই নিজেদের কাউন্টার মিডিয়া এবং মেকানিসম থাকতে হবে সেগুলোকে ডিবাংক করার। জনগণকে পাশে রাখতেই হবে। জনগণ হল পানি, আর গেরিলারা হল মাছ। পানি যত পিওর হবে, সাপোর্টিভ হবে গেরিলাররা ততটিকে থাকবে। ঠিক হা_মাস এই সাপোর্টের টিকে আছে। তাদের ন্যাচালার এ্যাডভান্টেজ নেই। যেটা তালিবদের ছিল। তাদের কিছু কৃত্রিম এ্যাডভান্টেজ তৈরী করে নিতে হয়েছে যেমন মাটির নীচের সুড়ঙ্গ।

গেরিলা যুদ্ধকে বলা আনকনভেনশনাল, এ্যাসিমেট্রিক ওয়ারফেয়ার, যেখানে রেগুলার আর্মি যেটা লড়ে সম্মুখ সমরে, সেটা হচ্ছে কনভেনশনাল সিমেট্রিক ওয়ারফেয়ার। এখানে তাই চিরাচরিত অনেক হিসেব নিকেশ মিলে না। অনেকে মনে করে যে গেরিলা যুদ্ধ হল বিশৃঙ্খল ভাবে যুদ্ধ করা। বিষয়টা মোটেও তা নয়। অনেকে বলে এটা কাপুরুষের যুদ্ধ। অনেক মুসলিম স্কলাররা এবং আন্দোলন এই যুদ্ধকে অনুমতি দেয় না। অথচ এই যুদ্ধটা হচ্ছে জাস্ট যুদ্ধে এমন একটা টেকনিক - যেখানে উভয় পক্ষে সক্ষমতায় আকাশ-পাতাল তওফাত থাকে। এটাকে এজন্য দূর্বলের যুদ্ধও বলা হয়ে থাকে। এবং এই যুদ্ধটা হচ্ছে স্টেট বনাম ননস্টেট এ্যাক্টরের যুদ্ধ। এমনকি স্টেট ব্যাকিং থাকলেও সেটা হচ্ছে প্রক্সি যুদ্ধ। মূলত সমরবিদ্যার এবং আধুনিক বিশ্বের আসবাব, প্রকৃতি সম্পর্কে না জানার কারণে অনেকে এই যুদ্ধগুলো হা_রাম, মাফসাদা বলে থাকেন কিছু আক্ষরিক বুঝের উপর ভিত্তি করে, কিংবা সরকারগুলোকে সমর্থন করতে গিয়ে, কিংবা কমফোর্ট জোন জাস্টিফাই করতে। বরং আমরা ইসলাম থেকে এর উদাহরণ পাই যে মক্কা থেকে বের হয়ে আসা আবু বাসির (রা) এবং জান্দাল (রা) এর যে বাহিনী মদীনার বাহিরে সমুদ্র উপকূলে কুরাইশদের উপর এরকম হিট এ্যান্ড রান টেকনিকে তাদের অবস্থা এত খারাপ করে দিয়েছিল যে, কুরাইশরা পরে বাধ্য হয়ে হুদাইবিয়ার সন্ধির শর্তগুলো লঘু করে। যেই শর্তগুলোকে আপাত দৃষ্টিতে ডিসএ্যাডভান্টেজ মনে হচ্ছিল, আবু বাসির আর আবু জান্দালদের গেরিলা যুদ্ধ সেগুলোকে এ্যাডভান্টেজে পরিণত করেছিল। সেটাই ছিল সু্স্পষ্ট বিজয়। আপনারা সীরাহ থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

এমনি আধুনিক গেরিলা যুদ্ধের জনক একজন মুসলিম, মরক্কের মুহাম্মাদ বিন আব্দুল করীম আল-খাত্তাবি। তার ব্যাপারে অনলাইনের ঘাটাঘাটি করুন। যদিও তিনি উত্তর আফ্রিকাকে স্পেন আর ফ্রেঞ্চদের থেকে স্বাধীন করতে পারেন নি, কিন্তু তার দেয়া টেকনিক থেকেই মাও সে তুং এই আধুনিক গেরিলা যুদ্ধকে আরো পরিণত শাস্ত্রের দিকে নিয়ে গিয়েছে, যা সে নিজেই স্বীকার করেছে। পরবর্তিতে কমিউনিস্টারা এটার ব্যাপক প্রয়োগ করেছে বিভিন্ন দেশে নিজেদের বিপ্লবী সরকার গঠন করার জন্য।

এরকম শহর দখল, অঞ্চল দখল - ছেড়ে দেয়া দ্বিতীয় ধাপে চলতে থাকবে। তখন গেরিলারা ধীরে ধীরে ওপেন হওয়া শুরু করবে। একটা মিলিশিয়া বাহিনীর মত এ্যাক্ট করবে। ছায়া সরকার চালাবে। নিজেদের কোর্ট চালাবে। তালিবরা আগে থেকেই নিজেদের কোর্ট চালু করে ফেলেছিল। স্থানীয়দের থেকে ম্যানেজার নিয়োগ দিবে। এবং একটা ডিপলোম্যাটিক উইন্ডো খুলে সরকারকে বিভিন্ন চাপ দিবে - দাবী জানাবে। এখন এরকম পরিস্থিতি চলতে চলতে যদি সরকার দূর্বল হয়, গেরিলাদের সাথে সরকার একমত হয়ে যায়, তাহলে তো হলোই। পিসফুল ট্রানজিশন হবে। নতুবা গেরিলা তৃতীয় ধাপে যাবে। যদি কোন ভুল হয়, যেমন তৃতীয় ধাপে ফুল স্কেল ওয়ার শুরু হবে। গেরিলাদের কিছু কিছু ভূমি প্রয়োজনে ছেড়ে দিতে হবে। তারা যদি ডিফেন্ড করতে গিয়ে মরে, তাহলে আবার পুনরায় প্রথম ধাপে ফেরত যাবে। যেমন দাঈশ প্রথম ধাপে চলে গিয়েছে, যদিও তাদের সুযোগ ছিল এটা এড়ানোর। আবার হা_মাস বাধ্য হয়েছে, তাদের আবার প্রথম ধাপে ফেরত যেতে হবে। একিউএপি চুপচাপ আছে, বুঝার চেষ্টা করছে। ওইদিকে শাবাব কিন্তু দ্বিতীয় ধাপ থেকে তৃতীয় ধাপের যাওয়ার চেষ্টা করছে। সিরিয়াতে দ্বিতীয় ধাপই ছিল, কিন্তু আল্লাহ তা'আলা অনেকগুলো সমীকরণ মিলিয়ে দেয়ার কারণে তারা সুইফটলি বিপ্লব করে ফেলেছে।

তৃতীয় ধাপে গিয়ে গেরিলারা ডিরেক্ট রাজধানীর জন্য এ্যাপ্রোচ করবে। তাদের যেন এয়ার স্ট্রাইক করা না হয়, সেই বিষয়ে তারা ডিপ্লোমেসী চালাবে। বিপক্ষ দলের লোকদের গোপণে কেনা শুরু করবে। ভয় বা লোভ দেখিয়ে তাদের যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বলবে। কারণ দীর্ঘ গেরিলা যুদ্ধের কারণে সেনারা খুব ক্লান্ত থাকবে। সরকার ঠিকমত বেতন দিতে পারবে না, কারণ গেরিলারা সরকারের অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলবে। তখন সেনারা যুদ্ধে মনোবোল হারাবে। এই সময়টাতে গেরিলারা সেনাদের মধ্যে নিজেদের লোক ঢুকাবে। স্লিপার সেল থেকবে। অনেককে কিনে নিবে। এর সবগুলাই তালিবরা করেছে এবং সিরিয়াতেও করা হয়েছে। যখন সময় হয়েছে স্লিপার সেল একটিভ হয়ে ভিতর থেকে, আর গেরিলারা বাহির থেকে শহর দখল শুরু করেছে, সরকারি সেনারা জাস্ট অস্ত্র ফেলে দিয়ে পালিয়েছে। তারা পালাতে বাধ্য!

পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সমস্যাটা হল যে, পুরো পাকিস্তানের অর্থনীতি সেনাদের অধীনে। তাদের অফিসারদের অভাব নেই। সৈনিকদেরও খুব সুযোগ সুবিধা আছে। এই সিস্টেমটা ব্রেক করতে হবে। এটা ভেঙে ফেলতে পারলে, সৈনিকরা আর ঠিক মত পারফর্ম করতে পারবে না। কিন্তু পাকিস্তানের জনগণ সেনাদের প্রতি খুব নরম, তারা তাদের হিরো মনে করে, এমনিতে তারা যতই খারাপ হোক না কেন। এছাড়া আলেমদের বড় একটা অংশ সেনাদের পক্ষে ফতওয়া দেয়। জনগণ তাদের সেকুলার না, বরং মু_জাহিদ মনে করে। এই কারণে তালিবদের আইডিওলজিকালি ঝামেলায় পড়তে হয়। আফগানের পুতুল সরকারের সেনাদের তাকফির করা জরুরী ছিল না, কারণ স্পষ্টতই বুঝা যায় তারা দালাল, কারণ তাদের প্রতি জনগণের কোন মোহ ছিল না, তারা আনস্মার্ট - জাস্ট পুতুল। কিন্তু পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই অনেক শক্তিশালী। তাদের আছে বিশ্ব সেনার গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আছে নিউক! সেনাবাহিনী আবার নিজেই ব্যবসা করে। বলা হয় প্রতিটা রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী থাকে, আর এদের ক্ষেত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনীরই একটা রাষ্ট্র আছে। অর্থাৎ যু্দ্ধটা কঠিন হতে যাচ্ছে।

আরেকদিকে টিটিপি এখনে পশতুন বেইসড। অন্যরাও যোগ দিচ্ছে, তবে সীমিত। পাঞ্জাবী, সিন্ধিদের থেকে বড় কোন ইসলামী হারকাত সেভাবে এই ফাইটে নামছে না। দাওয়াহ গ্রুপ গুললোও পলিটিকালি পাকিস্তানী সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করছে না - তাই টিটিপিকে একাই লড়তে হচ্ছে। সাথে ইমারাতের স্টেট সাপোর্ট আছে আর কি। একিউ বলতে গেলে সেখানে খুবই ক্ষুদ্র, তারা মূলত ক্ষুদ্রই থাকে কভার্ট হিসেবে। টিটিপিই মূল। একিউ মূলত কাশ্মীর নিয়ে চিন্তা করছে - এবং বাকি জাতিগুলোর মধ্যে আইডিওলজিকাল দাওয়াতের কাজ করছে।

অনেকে মনে করে যে, যুদ্ধে কোন ডিপ্লোম্যাসি নাই। দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় ধাপের সময় থেকে খুব করে নিজেদের ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল একটিভ করতে হবে গেরিলাদের। বিশ্ব ব্যাপী নিজেদের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ক্যাম্পেইন, মিডিয়া ওয়ার তো আগে থেকেই চালাতে হবে - এসময়টাতে বিভিন্ন পক্ষের সাথে চুক্তিতে যেতে হবে। লিয়াজু করতে হবে। আমরা মুসলিমরা বলি শরীয়াহ সম্মত চুক্তি এবং লিয়াজুর কথা। সরকারকে বার্গনিং টেবিলে টেনে আনতে হবে। যদি সরকার স্বাধীন না হয়, তাহলে তাদের বাপকে টেনে আনতে হবে। যেমন তালিবরা পুতুল সরকারের সাথে না, ডিরেক্ট আমরিকার সাথে ডিল করেছে। সিরিয়াতে বাশশার না, বরং সেখানেও রাশিয়া-আমরিকার সাথেই ডিল হয়েছে যা হওয়ার পছন্দনীয় কিংবা অপছন্দনীয়। অর্থাৎ ভুলেও পুতুলদের সাথে ডিলে বসা যাবে না। একচুয়াল কমান্ড যাদের থেকে আসে, তাদের নামতে বাধ্য করতে হবে। তাদেরকে চুক্তি করতে হবে। আফগানে এমন হয়েছে। সিরিয়াতে হয় নি। এজন্য সিরিয়াতে ছাড় দিতে হচ্ছে, আফগানে দিতে হয় নি তেমন একটা। এখানে একিউর সাথে জুলানী আর তুর্কির মত পার্থক্যটা প্রকটভাবে দেখা যায়।

গেরিলা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে একটা ডিলে আসতেই হবে - যেটা আমরা অনেক সময় মাথায় আনি না। বরং এটাই বাস্তবতা। ডিলের সময় বার্গেনিং টেবিলে মাঠে আপনার পজিশন কত ভালো, আইডিওলজিকালি কত দৃঢ়, এবং কত বেশী ভালো ডিপ্লোম্যাসি করে ডিল করতে পারবেন, সেটার উপর আপনার সাফল্য নির্ভর করে। অনেকে ডিল মানেই মনে করে আপোষ! ডিল মানে আপোষ না, ডিল তো একটা না একটা করতেই হবে। ডিল কি রকমের করছেন, কিভাবে ডিলটাকে প্রয়োগ করছেন সেটার উপর ডিপেন্ড করে আপোষ নাকি না। কারণ এখনকার ডিল আর হাজার বছরের আগেকার ডিল একই রকম রয় নি। এখন ডিল করার পরও, একে অপরের বিরুদ্ধে প্রক্সি ওয়ার চালায়, কভার্ট অপারেশন করে। ন্যারেটিভ যে যার পক্ষে রাখতে পারে, ডিলগুলো সে সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন আমরিকা অনেক ডিল ভাঙে কিন্তু ন্যারেটিভ নিজের পক্ষে রেখে সে সেটাকে কাভার করে। আমরা বলেও কাজ হয় না যে আমরিকা-যায়োরা আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করছে। তাই আমাদেরও আক্ষরিক বুঝ নিয়ে চুক্তিতে যা লেখা আছে তা পালন করতেই হবে, বিষয়টা এমন না। উমার (রা) বলেন, ইসলামের কোন নীতি দিয়ে ইসলামের ক্ষতি করা যাবে না। আমার কূটনৈতিক ডিল করবো, তারা যেভাবে লুপহোল ইউস করে আগ্রাসন চালায়, আমরাও লুপহোল ইউস করে জায়গা মত সাইজ দিবো, বিইযনিল্লাহ।

#তাহরিক পর্ব ৬

প্রথমে শেখানো হলো ১৮ এর আগে বিয়ে করতে নেই। নানারকম শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। স্বামীর সাথে "বোঝাপড়া" ভালো হয় না। (তবে ১৮ ...
27/12/2024

প্রথমে শেখানো হলো ১৮ এর আগে বিয়ে করতে নেই। নানারকম শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। স্বামীর সাথে "বোঝাপড়া" ভালো হয় না।

(তবে ১৮ এর আগে বয়ফ্রেন্ডের সাথে স্কুল পালিয়ে, কলেজ ড্রেসে পার্কের বেঞ্চে বাদাম- ঝালমুড়ির নিষ্পাপ প্রেমে সমস্যা নেই)
১৮ পার হলে বলা হলো গ্র‍্যাজুয়েশান কমপ্লিট করো। তা না হলে তো ইন্টারমেডিয়েট পাশ হয়ে থাকলে।
গ্র‍্যাজুয়েশানের পাশের পর বিয়ে করতে চাইলে বলা হলো আগে মাস্টার্স, তারপর বিয়ে।
মাস্টার্সও শেষ হলো। এখনই তো বিয়ের সময়। ছেলে-টেলে খোঁজা হোক। না! এখন জব খোঁজার সময়। আগে জব, তারপর বিয়ে।
জবও হয়ে গেলো। তাহলে নিশ্চয় এখন বিয়ে? না এখনই না। কারণ, স্যালারি এতই অল্প যে পাত্রের স্যালারির সামনে মান ইজ্জত বলে কিছু থাকে না। তাহলে বিয়ে কবে? স্যালারি আরো বাড়ার পরে। হুমম...
অফিসে খুব ভালো পারফর্ম করে ডাবল প্রমোশনে স্যালারিও প্রায় ডাবল বেড়ে গিয়েছে। এখনই তাহলে বিয়ের সময়। ইয়েস! রাইট হেয়ার, রাইট নাউ। এক্ষুণি। এবার ছেলে খোঁজো। মেয়ের বয়সও ১৮ থেকে ঠেলতে ঠেলতে এখন ৩৫ এর কাছাকাছি।
তা... কেমন ছেলে চাই? প্রতিষ্ঠিত, সুদর্শন, নিজের বাড়ি (ঢাকা বা কোনো বড় শহরে), আর ২০১৮ না হলেও ২০১৫/১৬ মডেলের একটা এলিয়ন বা প্রিমিও থাকলে চলে যাবে।
এখন আবার পাত্র পছন্দ হয় না। কারণ, এই শর্ত মেলাতে গেলে যেসব ছেলে পাওয়া যাচ্ছে তারা প্রায়ই ৪০ এর কাছাকাছি। এদের মধ্যে আবার অনেকের আগের বউ এর সাথে "ছাড়াছাড়ি" হয়ে গিয়েছে।

অনেকের আবার মদসহ অন্যান্য ছাইপাশের অভ্যেস আছে। এতসব মেনে নিয়ে কি আরেকজনের ঘরে বউ হয়ে যাওয়া যাবে? আর যেসব কমবয়েসী ছেলে পাওয়া যাচ্ছে তারা তো "প্রতিষ্ঠিত" নয়।

হাজব্যান্ডের স্যালারি তার ওয়াইফের স্যালারির অর্ধেকেরও কম। এটা তো এই যুগের আধুনিক নারী হয়ে কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। নো ওয়ে! কাম অন, গাইজ!
১৮ এর তরুণী আজ ৩৫ এর মহিলা। আচ্ছা, তখন যেসব এনজিও, স্কুলের ম্যাডাম- সের, সুশীল সেকুলার আংকেল- আন্টি "বাল্যবিবাহ" বলে এই মেয়েটার একের পর এক আসা বিয়ের প্রস্তাবগুলো ভেঙ্গে দিয়েছিলো, পড়াশুনা আর ক্যারিয়ারের অযুহাত দেখিয়ে সুপাত্র পেয়েও মেয়ের বাবাকে তাদের হাতে পাত্রস্থ করতে দেয় নি- সেই মানুষগুলো আজ কোথায়?

কেউ বলবেন না যেনো, তারা ম'রে গিয়েছে। তারা বেঁচে আছে। তারা এখন নতুন ১৮ খুঁজছে। নতুন সুইট সিক্সটিনগুলোকে গ্রুমিং করিয়ে করিয়ে তাদের দল ভারি করছে। এদেরকে "মানুষ শয়*তান" বললে কি খুব পাপ হয়ে যাবে?

Join :- নফসের নিয়ন্ত্রণ

12/12/2024

মুকাদ্দাসের ভূমি আমার, সিরিয়া আমার, কাশ্মীর আমার, আরাকান আমার, উইঘুরে থাকা প্রতিটা জনমানব আমার, পরিশেষে পুরো হিন্দুস্থান আমার, এই ভূখণ্ডগুলো যতদিন না মুক্ত হচ্ছে, যতদিন না এই ভূখন্ডে মুসলমানরা হাত লাগাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তোমরা যত পারো হেসে নাও, আমরা আসছি, আমরা আসবো, আমরাই ভূখণ্ড গুলোতে লৌহের শেকল ছেদ করবো, ইনশা'আল্লাহুল আজিম।

🖋️— মোঃ তানভির ইসলাম মাহিন

10/12/2024

এসো ময়দানে!
ময়দান কখনো কারো অপেক্ষায় থেমে থাকে না!

10/12/2024

সি'রি'য়া বি'জয় হওয়ার পর দুই মু'জা'হিদ ভাইয়ের দীর্ঘ দিনের আবেগময় সা'ক্ষাৎ ও কোলাকুলি আলহামদুলিল্লাহ।

মু'মিনের ভালোবাসার ভিত্তি হলো ঈ'মান, র'ক্তের সম্পর্কের চেয়ে দামী ঈ'মানী সম্পর্ক! 🌻💚

09/12/2024

ইনকিলাব ২.০, এটা মাশা-আল্লাহ অসাধারণ হয়েছে।
কে লিখেছেন,গেয়েছেন জানি না, উভয়কেই জাযাকুমুল্লাহ।

‘‘আওরঙ্গজেব আসছে আবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’’

07/12/2024

বরকতময় শাম (সিরিয়া)
ইমারাতে ইসলামিয়া হিসেবে কবুল হোক...

"শামকে ভালোবাসার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করেছেন- আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী শামিনা- হে আল্লাহ, আমাদের শামে বরকত দান করুন৷ নবীজি সাঃ শামকে যখন বলেন 'আমাদের শাম', তখন একে ভালো না বেসে কি পারা যায়?"

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাম বাসীর বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। শাম হলো সেই স্থান৷ যেখানে ৮০ টি পতাকাবাহী ইমাম  ম...
29/11/2024

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাম বাসীর বরকতের জন্য দোয়া করেছেন।
শাম হলো সেই স্থান৷ যেখানে ৮০ টি পতাকাবাহী ইমাম ম।হ।দীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে৷
এই শামেই ঈসা ইবনে মারঈয়ামের আগমন ঘটবে৷

শাম জেগে উঠেছে মানে। আমরা প্রতীক্ষিত মহাকালের মহা সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হতে যাচ্ছি।

আল্লাহ আমাদের শেষ হায়াত পর্যন্ত ঈমানের তাবুতে থাকার তৌফিক দিক৷
আর এদিকে গা য ও য়া তু ল হি ন্দ এর দামামা বেজে উঠছে।

আমরা এমন এক সময়ে হাজির হয়েছি। যদি নিজেকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করা যায়। আমরা সহজেই শ্রেষ্ঠ শ'হী'দের মর্যাদা পাবো ইনশাআল্লাহ।

উহুদ যু*দ্ধে নারী সাহাবিয়াতদের অংশগ্রহণ ছিল অন্যতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ যু*দ্ধে উম্মে সুলাইম, উম্মে আম্মারা প্রমুখ নারী ...
29/11/2024

উহুদ যু*দ্ধে নারী সাহাবিয়াতদের অংশগ্রহণ ছিল অন্যতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ যু*দ্ধে উম্মে সুলাইম, উম্মে আম্মারা প্রমুখ নারী সাহাবিয়া ছিলেন। বিশেষত নারীরা আহত মুজা*হিদ*দের চিকিৎসা ও সেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

আজ আমরা নারীরা সামান্য তেলাপোকা, টিকটিকি আর কুকুর দেখে ভয় পাই । রক্ত দেখলে অজ্ঞান হয়ে যাই। যেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন -

১.কবুতর, মুরগী, হাঁস নারীরা জবেহ করবেন।

২. বাসায় ইউটিউব দেখে বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম ও প্রতিরক্ষা মূলক কারাতে শিখতে পারেন। এতে মন ও শরীর উভয়ই ভালো থাকবে।

৩. ইউটিউব থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিতে হবে

৪.সাহাবিদের জীবনী পড়বেন/লেকচার শুনবেন।সর্বদা দ্বীনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করার মানসিকতা তৈরি হবে।

৫. বাসায় ভালো মানের খেলনা স্নাইপার, বন্দুক, তীর দিয়ে প্র্যাক্টিস করতে পারেন।

৬. নিজেদের বাচ্চাদের যেন শেখাতে পারি এমন ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া।

শ*ত্রুতের দশজনের যত শক্তি আছে আমাদের একজন পুরুষ অবিভাবকের মধ্যে যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা দেন এমনটা দুআ করা । বর্তমান সময়ে শাম , আফ্রিকার অঞ্চল সমূহের মু*জাহি*দিন দের তথ্য রাখতে পারেন। মোদ্দাকথা যেখানে মাজলুম মুসলিম আছে তাদের নিয়ে ফিকির করলে বুঝবেন কেন আমাদের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।

28/11/2024

আহা কি প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন, এইরকম মানুষ হাজার বছরে কি আর জন্মাবে! প্রজন্ম ২০,২৫ বছর পর যা বুঝতেছে, তিনি কিন্তু ২০,২৫ বছর আগে বুঝেছেন। তিনি আমাদের সতর্ক দিয়েছেন, তবুও আমরা সতর্ক হয়নি। যার খেসারত দিতে হচ্ছে আজকের প্রজন্মকে 💔

27/11/2024

জাতির উদ্দেশ্য খোলা চিঠি :

প্রিয় মুসলিম জাতি,আমরা এমন এক সময়ে আজ দাঁড়িয়ে রয়েছি যখন, আমাদের দিকে ভ|র°_তের ট্যাংক গুলো তাক করা রয়েছে, আমাদের দিকে আ*ম্রি°কার ও চীনের নজর পড়েছে। আজ আমরা চতুর্মুখী সংক°টের মুখে রয়েছি।

অ*খ*ণ্ড ভ|র__ত প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠারারা উঠেপড়ে লেগেছে।

আমরা আপনাদের বহু আগ থেকেই হেদু*দের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছি, প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে আসছি,কিন্তু আপনাদের গাফেলতির ঘুম ভাঙ্গেনি। আগে পাশের দেশে মসজিদ-মাদ্রাসায় ভা*ঙ্গ*চুর হত, মুসলিম নারীদের ধ--র্ষ-ণ করা হত,মুসলিমদের জ--ব|ই করা হত,এসব ঘটনাই যথেষ্ট ছিল আমাদের জাগার জন্য কিন্তু আমরা জেগে উঠিনি, আজ তাই কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশেও চরম মাত্রায় পোঁছে গিয়েছে মাঠা*রাদের জু*লু*ম।

সিলেটের ওসমানী নগরের ইমাম হ/ত্যা আপনারা দেখেছেন, ফরিদপুরে দুজন ভাইকে শ *হি দ এবং গতকাল একজন কে শ *হি দ আপনারা দেখেছেন, চট্রগ্রামে কিছুদিন আগে এতিমখানা ও দুদিন আগে মসজিদে ভা*ঙ্গচু*র আপনারা দেখেছেন।
আর কত উদাহারণ দিব, এরকম বহু ঘটনা রয়েছে, লেখা এমনিতেই লম্বা হয়ে যাচ্ছে।

হেদুরা স*শ*স্ত্র ও সংঘবদ্ধ।
ম*ন্দিরগুলো ওদের একেকটা অ*স্রে*র গোদাম,
কিন্তু আমাদের মসজিদে অ*স্ত্র থাকবে, মুসলিমরা স*শ*স্ত্র হবে তো দূর কী বাত, মসজিদের মোহরাব যে অ*স্ত্র রাখার স্থান এটাই মুসলিমরা জানে না।

হে আমার মুসলিম জাতি!
হে হাইয়া আলাস সালাহ এর ডাকে সাড়া দানকারীরা,
আমরা আপনাদেরকে চূ*ড়ান্ত ভাবে সতর্ক করছি,
আপনারা যদি ভয়াল ঝড়ের পূর্বাভাস দেখেও গাফেলতির ঘুম ভেঙ্গে জাগ্রত না হন,
আপনারা যদি হাইয়া আলাল ইদাদের ডাকে সাড়া না দেন, আপনারা যদি হাইয়া আলাল জি হ |দে র ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বের না হন, তাহলে শীঘ্রই ভয়া*বহ আযাব আপনাদের উপর নেমে আসবে।

আপনারা ভাবিয়েন না নামাজ-রোজা করে, মসজিদ-মাদ্রাসা নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবেন,
জেনে রাখুম আপনারারা যদি হাইয়া আলাল
জি হ| দে র ডাকে সাড়া না দিন,
তাহলে আপনাদের মসজিদ-মাদ্রাসা গুলো গু*ড়ি*য়ে দেওয়া হবে।

বায়তুল মোকাররম থাকবে না,লালখান থাকবে না, হাটহাজারী মাদ্রাসা থাকবে না,বাবুনগর মাদ্রাসা থাকবে না,যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা থাকবে না,পটিয়া থাকবে না,কিচ্ছু থাকবে না ওরা সবকিছু মাটির সঙ্গে গুঁ*ড়ি*য়ে দিবে।

স্মরণ করুন, — আমাদের প্রতিবেশী দেশ আরা*কানের কথা সেখানেও ছিল এক সময় বিশাল বড় বড় মসজিদ,মাদ্রাসা কিন্তু তারা সময়মতো প্রস্তুতি না নেওয়ায়, জি হ| দে র ডাকে সাড়া না দেওয়াই আজ সেখানে কিছুই নেই।

আপনারা আরা*কান ও আফ*গান;দের থেকে শিক্ষা নিন, আ*রাকা*নদেরকে যদি অনুসরণ করেন তাহলে আপনারা নিজেরাই ইতিহাস হয়ে যাবেন,
আর যদি আ-ফ*গানদেরকে অনুসরণ করেন তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় আপনারা নিজেরাই ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।

মনে রাখবেন...

আমরা যতই সুশীল সাঁজতে চাই, যতউ ম*ন্দির পাহারা দিই, যতই শান্তিবাদী সাঁজতে চাই, শান্তিতে ওরা থাকতে দিবে না। আমরা না চাইলেও দা*ঙ্গা আজ নয়তো কাল বাঁধবেই। কুফর ও শিরকের সংঘাত অনিবার্য এই সত্য মেনে নিন। নিঃসন্দেহে গাজ*ওয়া*তুল হিন্দ সত্য।

সর্বশেষ হি/ন্দের যু;দ্ধ নিয়ে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোবারক দু'টি হাদিসের মাধ্যমে শেষ করছি :

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হি/ন্দুস্তা/নের যু/দ্ধে/র আলোচনার প্রাক্কালে বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হি/ন্দুস্থা/নের সাথে যু/দ্ধ করবে। আল্লাহ সেই দলের যো/দ্ধাদের সফলতা দান করবেন এবং তারা হি/ন্দু/স্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদের শি*কল/বেড়ি দিয়ে টে*নে আনবে। আল্লাহ তাআলা সেই দলের যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর মুসলিমরা যু/দ্ধ থেকে ফিরে এসে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-কে সিরিয়ায় পেয়ে যাবে। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. বলেন,
আমি যদি গাজ/ওয়া/তুল হি?ন্দে অংশগ্রহণের সু্যোগ পাই তাহলে আমি আমার নতুন পুরাতন সব সম্পদ বিক্রি করে দেবো এবং এতে অংশগ্রহণ করব। এরপর যখন আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজয় দান করবেন এবং আমরা যু/দ্ধ থেকে ফিরে আসব তখন আমি হব (জাহান্নামের আ/গু/ন হতে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা, যে সিরিয়ায় গিয়ে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সাথে মিলিত হবে। হে আল্লাহর রাসুল, আমার খুব আকাঙ্ক্ষা যে, আমি ইসা আ.-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে বলব যে, আমি আপনার সংশ্রবপ্রাপ্ত একজন সাহাবি। তিনি বলেন, এতে রাসুলুল্লাহ সা. মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন এবং বললেন, সে (যু/দ্ধ) তো অনেক দেরি! অনেক দেরি!!

সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৬, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-

হজরত সাওবান রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে হতে দুটি দলকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। একটি দল, যারা হিন্দুস্তানের যু/দ্ধে শরিক হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি দল, যারা ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সঙ্গে মিলে
যু/দ্ধ করবে।
১. মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
২. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র.

উপমহাদেশের বুকে হে-দু*দের আ/স্ফা/লন মূলত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যত বাণীকে বাস্তবায়নের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।
গাজ/ওয়া/তুল হি/ন্দের চূড়ান্ত লড়া/ই মূলত এক
দীর্ঘমেয়াদি ল/ড়াই।
বিচ্ছিন্ন কোনকিছু ঘটিয়ে এ ল*ড়াইে বিজয় অর্জন করা সম্ভব নয়।

বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা, দাওয়াহ, এদাদ, শক্তি অর্জন করার মাধ্যমে সামনে বাড়তে হবে।
এখন আমাদের করণীয় হচ্ছে, ইলমি, মানসিক, শারীরিক ও আর্থিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া।
অফলাইন ও অনলাইনে দাওয়াহ’র ময়দানে কার্যক্রম বৃদ্ধি করা, জাতিকে সতর্ক ও জাগ্রত করা, ঐক্যবদ্ধ করা।

পরবর্তীতে প্রস্তু-তি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআ'লা আমাদের কে হি/ন্দের মোবারক
র/ণা/ঙ্গনে কবুল করুক, আমিন।

© হামজা আল গালিব

Address

Patenga

Telephone

+8801586130910

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when I-D Significant Reader’s posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to I-D Significant Reader’s:

Videos

Share