16/02/2025
পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ।
--------------------------------------------------------
নিজস্ব সংবাদদাতা।। পাবনা সদর উপজেলার হিমায়েতপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও জামায়াত সমর্থক কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাতজনকে অভিযুক্ত করে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেনসহ সাতজন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা অসংখ্য অভিযুক্ত রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫-৩০ জনের একদল লোক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকায় স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা একটি মুদিখানা দোকান ও একটি অটোরিকশার গ্যারেজও ভাঙচুর করে। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এরপর তারা স্থানীয় বাসিন্দা পাবনা পৌর জামায়াতের ইঞ্জিনিয়ার ফোরামের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ করিমের বাড়ীসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিম জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এর বেশি কিছু নয়।’
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ‘জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে একটি ঝামেলা চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’