Rup- Sanatan Dhar

Rup- Sanatan Dhar iskcon

19/12/2023
আজ শ্রীশ্রীমৎ ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী মহারাজের শুভ আবির্ভাব তিথি। মহারাজের চরণে দণ্ডবৎ প্রণাম নিবেদন করে মহারাজের কৃপা ...
10/06/2023

আজ শ্রীশ্রীমৎ ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী মহারাজের শুভ আবির্ভাব তিথি। মহারাজের চরণে দণ্ডবৎ প্রণাম নিবেদন করে মহারাজের কৃপা আশীর্বাদ ও করুনা প্রার্থনা করছি। পূজ্যপাদ মহারাজ শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজের অত্যন্ত প্রিয় শিষ্য। তিনি শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থ বিতরণ সেবায় সর্বদা নিযুক্ত হয়ে প্রভুপাদের বিশেষ কৃপার অধিকারী। এছাড়া সারা পৃথিবী জুড়ে গৌরাঙ্গের বাণী প্রচার করে চলেছেন এবং শ্রীধাম মায়াপুরের অনেক প্রচার সেবায় যুক্ত আছেন ।সারা পৃথিবীর মানুষকে ভাগবত রসমাধুরীর মধুরতায় সিক্ত করছেন। গুরু মহারাজের দেওয়া নাম স্বার্থক ভাগবত মহারাজ।।

মহাপবিত্র “পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী” ব্রত অবশ্যই পালন করবেন ❓
30/05/2023

মহাপবিত্র “পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী” ব্রত অবশ্যই পালন করবেন ❓

মহাপবিত্র পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী ব্রত (অবশ্যই পালনীয়)🍏🍎🫐🍓🍇🍉🍌🍋🥥🥭🍑৩১মে ২০২৩খ্রি; বুধবার🙏আপনি নিজে পালন করুণ ও অন্যকে উৎসাহ...
24/05/2023

মহাপবিত্র পাণ্ডবা নির্জলা একাদশী ব্রত (অবশ্যই পালনীয়)
🍏🍎🫐🍓🍇🍉🍌🍋🥥🥭🍑
৩১মে ২০২৩খ্রি; বুধবার
🙏আপনি নিজে পালন করুণ ও অন্যকে উৎসাহিত করুন।

Radha MadanMohan GourSundar last day Chandan Jatra Mahotsav
13/05/2023

Radha MadanMohan GourSundar last day Chandan Jatra Mahotsav

💝💝 নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য 💞১০০০ টা ব্রত পালন করলে যে পূণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতুর্দশী কেউ ভক্তি সহাকারে পালন করলে...
03/05/2023

💝💝 নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত মাহাত্ম্য 💞
১০০০ টা ব্রত পালন করলে যে পূণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতুর্দশী কেউ ভক্তি সহাকারে পালন করলে তার সেই পূণ্য হয়।
💮 হিরণ্যকশিপু কঠোর তপস্যা করেন এবং ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দর্শন দেয় ও তখন সে ব্রহ্মার কাছে বর চাইলেন,অমরত্ব বর। কিন্তু ব্রহ্মা বললেন- হে হিরণ্যকশিপু! তুমি যে বর চেয়েছো, সেটা আমি দিতে পারবো না। কারণ আমি নিজেই অমর না, তাই তুমি এমন বর চাও যা আমি দিতে পারবো। তখন হিরণ্যকশিপু চিন্তা করলো আমি কি এমন বর চাইবো যাতে আমাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, তখন হিরণ্যকশিপু বর চাইতে লাগলেন যে, হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা! আপনি যদি আমার অভীষ্ট বরই দান করতে চান, তবে এই বর দেন যাতে আপনার সৃষ্টির কোনো প্রাণী বা পথে, ঘাটে, দিনের বেলা, রাতের বেলা, ঘরে, বাইরে, জল, ভূমি, বা আকাশে, কোনও পশু বা কোনো অস্ত্রের দ্বারা, এসবের দ্বারা আমাকে বধ করতে না পারে বা ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই। ব্রহ্মা বললেন, তথাস্তু! তারপর শুরু হলো হিরণ্যকশিপুর অত্যাচার দেবতাদের ওপর। তখন ভগবানের লীলা শুরু হল তাঁর শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে #প্রহ্লাদ মহারাজ। তাই ভগবানের ভক্ত আবির্ভূত হয়ে প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবানের আরাধনা করছিল, তখন তাঁর পিতা তাঁকে বলত লাগলো,"তোমার ভগবান, কে???" সে বলতেন,আমার ভগবান বিষ্ণু , তখন হিরণ্যকশিপু ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে লাগলো যে, আমি তোমার জন্মদাতা পিতা তাই আমি তোমার ভগবান! কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বললো- না! তুমি আমার ভগবান না, আমার ভগবান বিষ্ণু।তিনি জগতপালক শ্রীহরি। তিনি জগতের পিতা ও বিধাতা। তুমি তো কেবল আমার এই জড় জগতের পিতা কিন্তু ভগবান আমার নিত্য পিতা। তখন হিরণ্যকশিপু তার ছেলেকে পাহাড় থেকে ফেলে দেয়, হাতির পায়ের নিচে দেয়, জলন্ত অগ্নিতে নিহ্মেপ করে, আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু তার প্রভু ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করতে থাকে। কথায় আছে না, "মারে কৃষ্ণ রাখে কে, রাখে কৃষ্ণ মারে কে" - ভগবান যদি চায় তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে হত্যা করতে পারবে না। তাই যখন কোন কিছুর দ্বারা সম্ভব হলোনা তখন প্রহ্লাদ মহারাজ কে কারাগারে নিহ্মেপ করল, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলো আর মারতে লাগলো আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু শ্রীহরিকে ডাকতে লাগলো। তখন হিরণ্যকশিপু এসে বললো- আজ তোকে কে বাঁচায় দেখি তোর ভগবান কোথায়? তখন বৈকুণ্ঠধামে মা লক্ষ্মীদেবী বললো- হে প্রভু! এখন কি হবে প্রহ্লাদ মহারাজকে কে রক্ষা করবে? হিরণ্যকশিপু তো অমরত্বের মতো বর লাভ করেছে, তাকে কে হত্যা করবে? তোমার ভক্তকে রক্ষা করবে কে? তখন ভগবান বলেন যে অমরত্বের মত বর পেয়েছে কিন্তু অমর না আর প্রহল্লাদকে রক্ষা করবে তাঁর ভক্তি। তাঁর ভক্তিই তাঁকে হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে রক্ষা করবে। তখন হিরণ্যকশিপুর বললো- তোর ভগবান কি এখানে আছে?
প্রহ্লাদ বললো- হ্যাঁ! আমার প্রভু সর্বত্রই বিরাজমান এখানেও আছে, এই বলে হিরণ্যকশিপুর সে ঘরের চৌকাঠের স্তম্ভ আঘাত করতে লাগে। তখন হঠাৎ সে স্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে ভক্তের ভগবান নৃসিংহদেব । হিরণ্যকশিপুর বর অনুসারে, তাকে বধ করতে লাগলেন, সে ঘরেও না, বাইরেও না, ঘরের চৌকাঠেও না, কোন নর না, পশুও না, কোন অস্ত্রের দ্বারা না, সকালে না রাতেও না, জলেও না, মাটিতেও না, আকাশেও না, অর্ধেক পশু ও মানুষ নরসিংহ রূপে
গোধূলি লগ্নে (অর্ধেক দিন ও রাত মানে সন্ধ্যায়) নখের দ্বারা বধ করা হয়েছে। ভক্তের ডাকে ভগবান তাঁর ভক্তকে যেকোন উপায়ে রক্ষা করে। এমন কি ভগবানের এই রুপ দেখে দেবতারা ও ব্রহ্মাণ্ডও কেপে ওঠে। এ কি রুপ হঠাৎ এই রুপের আবির্ভাব কেউ বুঝতে পারেনি।

ভগবানের এই রুপকে দেবতারাও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেনি। তখন দেবতারা বললো - একমাত্র একজন পারে সে হল,তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদ তখন প্রহ্লাদ প্রভুর কাছে স্তব, প্রার্থনা করতে লাগে। তখন ভগবান ভক্তের প্রার্থনাই শান্ত হয় ও তাকে কোলে তুলে নেয় ও ভগবান বলে হে ভক্ত প্রহল্লাদ! আমি তোমাকে দর্শন দিয়েছি এখন তুমি কি বর চাও প্রার্থনা করো আমার কাছে। আমি তোমাকে বর দেবো। তখন ভক্তের কি আর কিছু চাওয়ার আছে, যে জগতের প্রভু তার সামনে তবুও ভগবান বললো তুমি একটা বর চাও যেহেতু আমি তোমার সামনে প্রকট হয়েছি। তখন ভক্ত প্রহ্লাদ বলতে লাগলো- প্রভু! তুমি আমার পিতাকে মুক্তি দাও যেহেতু তিনি আমার জড়জগতে পিতা। তখন ভগবান বললো- হে ভক্ত প্রহ্লাদ তথাস্তু! কিন্তু তোমার শুধু এই পিতাই
মুক্তি লাভ করবে না, যে গৃহে তোমার মত শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্ত আছে, তার ২১কূল উদ্ধার হবে, পিতৃকূলের ১০ কূল,মাতৃকূলের ১০কূল ও নিজের এক কূল মুক্তি লাভ করবে। এই নৃসিংহ ব্ৰত যে পালন করবে, তারা জন্ম-মৃত্যুময় সংসারে থেকে রক্ষা পাবে।

💮 আর যিনি ব্রতদিন ব্রত লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন নরক যাতনা ভোগ করবে।
🌸 এই ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্তপুত্র লাভ করে,
🌷দরিদ্র ধনশালী হয়,
🌼তেজস্কামী তেজঃলাভ করে,
🌻রাজ্যকামী রাজ্য পায়,
🌺 আয়ুষ্কামী দীর্ঘায়ু পায়।

আগামী ০৪/০৫/২০২৩ খ্রি: রোজ বৃহস্পতিবার বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভক্তবৃন্দ অবশ্যই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার শ্রীনৃসিংহ দেবের পবিত্র আবির্ভাব দিবসে গোধূলীলগ্ন পর্যন্ত উপবাস ব্রত ভক্তিভরে পালন করুন
👉👉👉 বিশ্বের সমস্ত দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের উদ্দেশ্যে পরমেশ্বর ভগবান নৃসিংদেবের নিকট আকুলভাবে প্রার্থনা করুন।
🙏🙏🥰🥰🙏🙏

শুভ চন্দন যাত্রা,,,,,
23/04/2023

শুভ চন্দন যাত্রা,,,,,

আপনার জন্য হয় তো বিশেষ সুযোগ,,,,কারন এর পরের বছর আপনি না ও থাকতে পারেন,,,এখনি প্রস্তুতি নিন,,,হরে কৃষ্ণ
21/04/2023

আপনার জন্য হয় তো বিশেষ সুযোগ,,,,কারন এর পরের বছর আপনি না ও থাকতে পারেন,,,এখনি প্রস্তুতি নিন,,,হরে কৃষ্ণ

গতকাল আমি 8 বছর বয়সী জয়ন্তী রাধিকা দাসীকে মুম্বাইয়ের ভক্তিবেদান্ত হাসপাতালে তার মা এবং বেশ কয়েকজন ডাক্তারের সাথে দেখ...
16/04/2023

গতকাল আমি 8 বছর বয়সী জয়ন্তী রাধিকা দাসীকে মুম্বাইয়ের ভক্তিবেদান্ত হাসপাতালে তার মা এবং বেশ কয়েকজন ডাক্তারের সাথে দেখতে গিয়েছিলাম। গত মাসে মায়াপুরে স্কুটার দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হন জয়ন্তী। তার শরীরের 60 শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তিনি সবে বেঁচে থাকতে পারলেও আপাতত তাৎক্ষণিক বিপদের বাইরে। চিকিত্সকরা বলছেন যে তার সুস্থ হওয়ার দীর্ঘ পথ রয়েছে। দয়া করে এই ছোট্ট বৈষ্ণবীর জন্য একটি বা দুটি প্রার্থনা বলুন যাতে সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। তার ইচ্ছা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মায়াপুর ধামে তার বন্ধুদের সাথে ফিরে আসবে।

শ্রীমৎ ইন্দ্রদুম্ন স্বামী মহারাজ

আপনারদের আশীর্বাদ আর অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন করে পোস্ট শুরু করছি,,কারো কোনো উপদেশ থাকলে বলেন,,,হরে কৃষ্ণ
14/04/2023

আপনারদের আশীর্বাদ আর অনুপ্রেরণা নিয়ে নতুন করে পোস্ট শুরু করছি,,কারো কোনো উপদেশ থাকলে বলেন,,,হরে কৃষ্ণ

রুপের বংশটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারতের কর্ণাটক রাজ্য এবং নৈহাটি পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়।...
11/04/2023

রুপের বংশটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারতের কর্ণাটক রাজ্য এবং নৈহাটি পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়। ভক্তি-রত্নাকর অনুসারে রূপ গোস্বামীর প্রজন্মের প্রজন্ম: সর্বজ্ঞ জগৎগুরু ছিলেন বিখ্যাত ব্রাহ্মণ, সমস্ত বেদে এক বিরাট পণ্ডিত এবং দক্ষিণ ভারতে কর্ণাটকের রাজা, অন্যান্য সমস্ত সমসাময়িক রাজা দ্বারা উপাসিত। সর্বজ্ঞের পুত্র অনিরুদ্ধ ছিলেন প্রফুল্ল, বেদের একজন দক্ষ পণ্ডিত এবং তৎকালীন রাজাদের পছন্দের। অনিরুদ্ধের ছেলেরা রূপেশ্বর (জ্যেষ্ঠ) এবং হরিহর তাদের গুণাবলীর কারণে বেশ সম্মানিত হয়েছিল। রূপেশ্বর ধর্মগ্রন্থের পণ্ডিত হিসাবে খ্যাতি পেয়েছিলেন, এবং হরিহর অস্ত্রশস্ত্র ও শিল্পবিদ্যায় দক্ষ ছিলেন। উভয় ভাই তাদের পিতার মৃত্যুর পরে রাজ্য প্রশাসনের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হন, কিন্তু হরিহর শীঘ্রই সমস্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে যায়, ফলে রূপেশ্বর এবং তাঁর স্ত্রীকে পলাস্ত-দেশায় ভ্রমণ করতে বাধ্য করা হয়, সেখানে শিখরেশ্বর তাঁর বন্ধুত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং তাকে বসতি স্থাপনের জন্য রাজি করেছিলেন সেখানে। রুপেশ্বরের পুত্র পদ্মনাভ একজন বুদ্ধিমান ছিলেন এবং তিনি চারটি বেদকে সহজেই শিখেছিলেন যা তাঁকে বিখ্যাত করে তোলে। তাঁর অনবদ্য চরিত্র ছিল এবং তিনি সত্যই ভগবান জগন্নাথের প্রেমে মগ্ন ছিলেন। তিনি শিখরভূমি ত্যাগ করেন এবং নবহট্ট গ্রামে (বর্তমানে নৈহাটি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) গঙ্গার তীরে স্থায়ী হন, যেখানে তাঁর আঠারো মেয়ে এবং পাঁচ পুত্র ছিল। তাঁর পাঁচ পুত্র ছিলেন পুরুষোত্তমা (জ্যৈষ্ঠ), জগন্নাথ, নারায়ণ, মুরারি, এবং মুকুন্দ (কনিষ্ঠ), যেখানে পুরুষোসত্মা এবং মুকুন্দ ছিলেন অভিজ্ঞতা ও চরিত্রে সেরা। মুকুন্ডার পুত্র কুমার ছিলেন এক মহান ব্রাহ্মণ এবং অত্যন্ত পুণ্যবান। তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রবিধান এবং পরিশোধিত তপস্যাতে নিযুক্ত হন।পারিবারিক অসুবিধায় খুব অস্থির হয়ে তিনি তাঁর জন্মস্থান নবহট্ট (বর্তমান নৈহাটি, পশ্চিমবঙ্গ) ছেড়ে তাঁর অনুসারীদের নিয়ে পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) বাকলা চন্দ্রদ্বীপা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তিনি যশোরের ফতেয়াবাদ গ্রামে ভক্ত ও বৈষ্ণবদের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। কুমারার অনেক ছেলের মধ্যে সনাতনা (জ্যৈষ্ঠ), রূপা (মধ্য) এবং বল্লভা (কনিষ্ঠ) ছিলেন বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এবং মহান ভক্তদের জীবন, তিনজনই তাদের একাডেমিক প্রতিভা এবং ভক্তির জন্য সুপরিচিত হয়েছিলেন এবং তারা গ্রামে বাস করতেনগৌড়ের রামকেলি (বর্তমান মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ)।বিকল্পভাবে বলা হয় যে রূপ গোস্বামীর পূর্বপুরুষরা কর্ণাটক থেকে গৌড়ায় (বর্তমান মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ) চলে এসেছিলেন এবং প্রজন্ম ধরে গৌড়ের নিকটবর্তী রামকেলি গ্রামে বাস করেছিলেন।

জন্ম

তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দে। রুপ গোস্বামীর জন্মস্থান নিয়ে জীবনীবিদদের মধ্যে কিছুটা বিতর্ক আছে বলে মনে হয়।কারও কারও মতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের নাইহাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং অন্যরা বিশ্বাস করেন যে তিনি জন্মে পূর্ববাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) বাকলা চন্দ্রদ্বীপে বা ফতেয়াবাদ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ৫] কিছু জীবনীবিদ মনে করেন যে তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার রামকেলিতে।

জীবনের প্রথমার্ধ

ভক্তি-রত্নাকার অনুসারে, মুকুন্ডের পুত্র কুমারদেব তাঁর জন্মস্থান নৈহাটি থেকে যশোরে চলে এসেছেন। তাঁর পুত্ররা হলেন রূপা, সনাতনা এবং বল্লভ (অনুপমা)। রূপা ও সনাতনার আগের নাম জানা যায়নি। তারা ভট্ট বংশের তেলেঙ্গ দেশ থেকে তেলেগুভাষী ব্রাহ্মণ ছিল। কেউ কেউ বলেছেন যে তাদের আসল নাম যথাক্রমে সন্তোষ ভট্ট এবং আমারা ভট্ট।কুমারদেবের মৃত্যুর পরে, তিন পুত্র গৌড়দেশের রাজধানী (বর্তমান মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ) এর নিকটবর্তী সাকুর্মায় চলে আসেন যেখানে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যান। তারা তাদের সারা জীবন তাদের নতুন সন্ন্যাসীর নাম নিয়ে বেঁচে ছিল এবং তাদের জন্মের নাম ত্যাগ করেছিল। তিন ভাই বিখ্যাত যুক্তিবিদ সর্বভূম ভট্টাচার্য এবং তাঁর ভাই মধুসূদন বিদ্যাভাসস্পতির কাছ থেকে নিয়ামাস্ত্র (ন্যায়বিচারের গ্রন্থ) অধ্যয়ন করেছিলেন। তারা সংস্কৃত, আরবী এবং ফারসি ভাষাও অধ্যয়ন করত। তাদের মহৎ চরিত্র এবং একাডেমিক দক্ষতার কারণে, রূপা এবং তাঁর বড় ভাই সনাতনাকে পরবর্তীকালে বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ (সি.ই. ১৪৪৩) দ্বারা সরকারি চাকরিতে বাধ্য করা হয়েছিল যার ফলে হিন্দু সমাজ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিলগৌড়ের গোঁড়া জাতের ব্রাহ্মণগণ দ্বারা।রূপা সুলতানের মুখ্য সচিব হন (দবির খাস), এবং সানাটানা রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী হন (সাকারা মল্লিক)।

চৈতন্য মহাপ্রভুর সাথে প্রথম সাক্ষাত

রূপা এবং তাঁর ভাইয়েরা রামকেলির বাসিন্দা (বর্তমান মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ) এবং এখানেই, 1515 খ্রিস্টাব্দে, তারা প্রথম চৈতন্য মহাপ্রভুর সাথে দেখা করেছিলেন। সভা তাদের জীবন বদলে দেয়। তাদের সাথে দেখা করার পরে, চৈতন্য তাদেরকে রূপ, সনাতন এবং অনুপমা নাম দিয়েছিলেন। সনাতন মহাপ্রভুকে উপদেশ দিলেন।প্রিয় প্রভু, আপনি কয়েক লক্ষ ও হাজারো লোকের বৃত্তি নিয়ে বৃন্দাবনে যাচ্ছেন, এবং এটি কোনও তীর্থযাত্রায় যাওয়ার উপযুক্ত উপায় নয়। (চৈতন্য চরিতামৃত ২.১.২২৪)

চৈতন্য মহাপ্রভুর সাথে দ্বিতীয় সাক্ষাত

বৃন্দাবন পরিদর্শন করার পরে, চৈতন্য পবিত্র নগরী প্রয়াগা (ভারতের উত্তর প্রদেশের আধুনিক প্রয়াগরাজ) এ থামেন। এখানেই রূপা এবং অনুপমা তাঁর সাথে দ্বিতীয়বার দেখা করলেন। দাসস্বমেধ ঘাটে (গঙ্গা নদীর তীরে বিখ্যাত স্নানের অঞ্চল), চৈতন্য রূপা গোস্বামীকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের মতবাদের সমস্ত জটিলতা ব্যাখ্যা করেছিলেন। রূপ গোস্বামীকে দুটি কাজ সম্পাদনের জন্য চৈতন্য মহাপ্রভুর বিশেষভাবে আদেশ করেছিলেন: বৃন্দাবনের হারিয়ে যাওয়া পবিত্র স্থানগুলি পুনরায় সন্ধান এবং সংরক্ষণ এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্ব রচনা ও প্রচার করার জন্য। এরপরে তিনি এই নির্দেশাবলী পালন করার জন্য বৃন্দাবনে রূপা গোস্বামীকে প্রেরণ করেছিলেন। নমো মহাভাদন্যায় শ্লোবার্ষিক রথযাত্রা উত্সবের সময়, রূপা গোস্বামী একটি রহস্যময় শ্লোক রচনা করেছিলেন যা চৈতন্য মহাপ্রভু তাকে তাঁর সবচেয়ে অন্তরঙ্গ সহকর্মীদের কাছে পড়ার অনুরোধ করেছিলেন। এই শ্লোকটি শুনে, একত্রিত সমস্ত বৈষ্ণব নাথের প্রতি গভীর ভক্তিতে ভরা তাঁর অসামান্য রচনাটির জন্য রূপ গোস্বামীর প্রশংসা করেছিলেন। এ কারণেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে রূপা গোস্বামীই চৈতন্যের মহাপ্রভুর রস সম্পর্কিত ঈশ্বরিক শিক্ষার (মেলো) খুব মূর্ত প্রতীক। এই কারণেই, গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের দ্বারা রূপা গোস্বামীকে চৈতন্য মহাপ্রভুর অগ্রণী অনুসারী হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং যারা তাঁর নিয়ম অনুসারে কঠোরভাবে অনুসরণ করেন তারা রূপানুগ (রূপের অনুসারী) নামে পরিচিত।

বৃন্দাবন

রূপা এবং সনাতনা তাঁদের বাকী জীবন বৃন্দাবনেই থেকে গেলেন। তাদের ত্যাগ ও নিষ্ঠার মেজাজ অনুকরণীয় ছিল। ।রূপা কৃষ্ণের অনুষ্টানের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন পবিত্র স্থানের সন্ধান করেছিলেন এবং গোবিন্দদেবের বিখ্যাত দেবতা আবিষ্কার করেছিলেন, যা মূলত কৃষ্ণর নাতি মহারাজা বজ্রনাভ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পূজা করেছিলেন। রূপা এবং সনাতন বৃন্দাবনে অন্যান্য বৈষ্ণব সাধুদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন যেমন লোকানাথ গোস্বামী, ভুগর্ভ গোস্বামী, গোপাল ভট্ট গোস্বামী, রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী এবং রঘুনাথ দাস গোস্বামী। এর খুব শীঘ্রই, তারা তাদের ভাগ্নী জীব গোস্বামীর সাথেও যোগ দিলেন যাকে রূপ দ্বারা দীক্ষা দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁর দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনে প্রশিক্ষিত হয়েছিল। রূপা গোস্বামী খ্রিস্টীয় ১৫১৪ সালে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এবং তাঁর সমাধি (সমাধি) বৃন্দাবনের রাধা-দামোদর মন্দিরের উঠানে অবস্থিত। গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্ব অনুসারে, রূপা গোস্বামী ললিতার পরিচালনায় রাধা-কৃষ্ণকে চিরকালীনভাবে পরিবেশনকারী সর্বাগ্রে কনিষ্ঠ গোষ্ঠী বালিকা রূপা মনজুরীর অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

26/01/2022

Shripad Tamal Shyam Das Brahmachari

Address

Noapara

Telephone

+8801756051228

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rup- Sanatan Dhar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rup- Sanatan Dhar:

Videos

Share


Other News & Media Websites in Noapara

Show All

You may also like