15/12/2022
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশের ৫২ তম বিজয় দিবস। অর্ধশতাধিক বয়স পেরিয়ে বাংলাদেশের উন্নতি কতটুকু সাধিত হলো তা আমাদের লক্ষণীয় বিষয়। পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ কতটুকু জাগ্রত হল তা আমাদের দেখার বিষয়।
যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লাখো ভাইয়েরা তাদের প্রাণ বিলিয়ে দিতে এতোটুকু কার্পণ্য করেনি সেই চেতনা কতটুকু লালন করতে পারলাম তা দেখার বিষয়। আজকে থাকছে ১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর
সময়টা ১৯৭১ কিংবা তারও পূর্বে। খেটে খাওয়া বাঙালিরা সারাদিন মাঠে-ঘাটে দিনমজুরের মত খেটে উৎপাদন করত শস্য আর তা ভোগদখল করত পশ্চিম পাকিস্তানিরা। পদে পদে পূর্ব পাকিস্তানের হতে থাকলো নিপীড়িত, নির্যাতিত। যেন সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করতে হবে, বুঝেও না বোঝার ভান করতে হবে। এক পর্যায়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের অত্যাচারের সীমা যখন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেল তখন বাঙ্গালীদের পক্ষে আঙ্গুল তুললেন একজন। ডাক দিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। পূর্ব পাকিস্তানিদের নেতৃত্বদানকারী সেই মহান ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে নিরীহ বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ল মহান মুক্তিযুদ্ধে। ছিনিয়ে আনলো বাংলার অমূল্য বিজয়। বিজয়গাথা রচিত হলো ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিনের প্রথম ভাগে। নিরীহ বাঙালি পেল নিজেদের অধিকার আদায়ের স্বাধীনতা।
যে মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। প্রদর্শন করি সর্বোচ্চ সম্মান।
Present by Update NadouR