Qalander Baba Jahangir BD

Qalander Baba Jahangir BD চেরাগে জান শরিফ বিনয়ের সম্রাট ডা. কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা-ইমান আল সুরেশ্বরী ❤️

বাবা হযরত কালা শাহ্-এঁর মাজার শরীফ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। ১০ মহররম, ১৪৪৬ হিজরি।Sanai Ahmed
17/07/2024

বাবা হযরত কালা শাহ্-এঁর মাজার শরীফ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। ১০ মহররম, ১৪৪৬ হিজরি।
Sanai Ahmed

"ধৈর্য ও সহনশীলতা মানব চরিত্রকে সুসজ্জিত করে।-লোভ এবং অধিক প্রাপ্তির আশা শুধু খারাপই নয় বরং তা মানুষকে ধ্বংস করে।"- ইমাম...
17/07/2024

"ধৈর্য ও সহনশীলতা মানব চরিত্রকে সুসজ্জিত করে।
-লোভ এবং অধিক প্রাপ্তির আশা শুধু খারাপই নয় বরং তা মানুষকে ধ্বংস করে।"

- ইমাম মাওলা হোসাইন (আঃ)

🔴 ইমাম হোসেন (আ.)-এর শেষ ভাষণ প্রসঙ্গেকারবালার মাঠে একে একে যখন সবাই শাহাদাত বরণ করেছেন এবং হজরত ইমাম হোসেন যখন কেবল একা...
13/07/2024

🔴 ইমাম হোসেন (আ.)-এর শেষ ভাষণ প্রসঙ্গে

কারবালার মাঠে একে একে যখন সবাই শাহাদাত বরণ করেছেন এবং হজরত ইমাম হোসেন যখন কেবল একা দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন তাঁর শেষ কয়টি কথার কিছু অংশ অনুবাদ করলাম:
'কেন আমাকে হত্যা করতে চাও? আমি কি কোনো পাপ অথবা অপরাধ করেছি?' এজিদের সৈন্যবাহিনী বোবার মত দাঁড়িয়ে রইলো। পুনরায় ইমাম হোসেন বললেন, "আমাকে হত্যা করলে আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবে? কী জবাব দেবে বিচার দিবসে মহানবীর কাছে?"
এজিদের সৈন্যবাহিনী পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে। আবার ইমাম হোসেন বলেন, 'হাল মিন নাসরিন ইয়ানসুরুনা?' 'আমাদের সাহায্য করার মত কি তোমাদের মধ্যে একজনও নেই?'
তারপরের আহ্হ্বানটি সাংঘাতিক মারাত্মক। ঐতিহাসিকদের মতে এটাই ইমাম হোসেনের শেষ আহ্বান।
'আলাম তাসমাও? আলাইসা ফিকুম মুসলিমু?'
'আমার কথা কি শুনতে পাও না? তোমাদের মাঝে কি মাত্র একটি মুসলমানও নেই?'
ইমাম হোসেনের এই শেষ ভাষণটি মাত্র একটি ছোট্ট বাক্য। অথচ এর ব্যাখ্যা যদি কাঁচ ভাঙার মত টুকরো টুকরো করে দেখাতে চাই তাহলে সেই বাক্যটি হবে খুবই বেদনাদায়ক। তাই বেশি কথা না বলে শেষ বাক্যটির সামান্য ব্যাখ্যা দিয়েই শেষ করতে চাই। খাজা বাবা যেমন বলেছেন, 'ইমাম হোসেন আসল এবং নকলের ভাগটি পরিষ্কার করে দেখিয়ে গেলেন', সে রকমই অর্থ বহন করছে ইমাম হোসেনের শেষ ভাষণটিতে। কারণ, এজিদের সৈন্যবাহিনীতে একজন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অথবা অন্য কোনো ধর্মের কেউ ছিল না। সবাই ছিল মুসলমান। অথচ কী সাংঘাতিক এবং ভয়ঙ্কর ভাষণ- 'তোমাদের মাঝে কি একটি মুসলমানও নেই?' এজিদের সৈন্যবাহিনীর সবাই মুসলমান, এটা অধম লেখকের কথা নয় বরং যে কোন বিজ্ঞ আলেমকে প্রশ্ন করে দেখুন। অথচ ইমাম হোসেন এ কী তাক লাগানো কথা বলছেন, 'তোমাদের মাঝে কি মাত্র একটি মুসলমানও নেই?' না, একটিও সত্যিকার আসল মুসলমান ছিল না বলেই ইমাম হোসেন এই আহ্হ্বান জানিয়ে পৃথিবীকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, যারা দাঁড়িয়ে আছে তারা সবাই নকল মুসলমান। বাজারের চালু আসল মালকে যেমন হুবহু নকল করে জনতাকে ধোঁকা দেয় সে রকম এরা নকল মুসলমান হয়ে সরল জনতাকে ধোঁকা দিয়ে যায় এবং এই ধোঁকার ফাঁদে অনেক বিজ্ঞাজনও মনের অজান্তে পা-খানা বাড়িয়ে দেন। বাজারে গিয়ে অনেক বিজ্ঞজনও নকল মাল কেনার ফাঁদে পড়ে যান, সে রকম অবস্থার শিকারও বলতে পারেন। আসল আর নকল চেনবার বিদ্যা রপ্ত করতে হয়, যদিও বিদ্যার প্রশ্নে তা সামান্য। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সবচাইতে বড় অধ্যাপককে জায়গাজমি কেনার দলিল লিখতে বললে অক্ষমতা প্রকাশ করবেন, অথচ সেই দলিল লিখছে নবম কিংবা তার নিচের শ্রেণীতে পাঠ করা দলিল লেখক। তাই আসল আর নকলকে চিনতে হলে একটা বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় অনেক ক্ষেত্রে। তবে সবার জন্য অবশ্যই নয়।

এখন মূল বিষয়টির দিকে আমরা ফিরে আসছি। সেই মূল বিষয়টি হল, হজরত ওয়ায়েস করনি কিন্তু মহানবীকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা তো দূরে থাক জীবনে একবার জাহেরি চোখে দেখার ভাগ্যও হয়নি। তাই তাঁকে সাহাবার খেতাব হতে বাদ দেওয়া হয়, অথচ কোন কারণ নেই, কোন যুক্তি নেই, কোন প্রশ্ন আর সংশয়ের দোলা নেই, কেবলমাত্র মহানবীর প্রতি ভালবাসার দরুন তিনি একে একে সব কটি দাঁত পাথরের আঘাতে ভেঙে ফেললেন। কেন ভাঙলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বৃথা। কারণ যুক্তির ব্যাখ্যা দেওয়া যায়, কিন্তু ভালোবাসা আর বিশ্বাসের ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না এবং এর ব্যাখ্যা নেই। হজরত ওয়ায়েস করনির মনপ্রাণ জুড়ে মহানবীর প্রতি কতটুকু ভালবাসা থাকলে দাঁত ভেঙে রক্ত ঝরাতে পারেন। হয়তো যুক্তিতর্কের মানদন্ডে এই ভালবাসার মূল্যায়ন কতটুকু তা বলতে পারবো না তবে এটুকু অন্তত বলতে চাই যে, ভালবাসাকে ভালবাসা দিয়েই মাপতে হয়। অনেকে হয়তো বলতে চাইবেন যে, এ রকম দাঁত ভেঙে ফেলার ভালবাসার কী মূল্য থাকতে পারে? এর উত্তর দিতে চাই না এ জন্যই যে, এ রকম প্রশ্ন তোলার কিছু মানুষ না থাকলে ভালবাসার রূপটি একঘেয়েমিতে পরিণত হয়। বিচিত্রতার ঝাঁকুনি থাকে না। তাই মহানবী তাঁর নিজের জুব্বা মোবারক দিয়ে এই ভালবাসার মূল্যায়ন করেছেন। এখন আর একটি বিরাট প্রশ্ন তুলতে চাই যে, মহানবী যে ইমাম হোসেনকে কতটুকু ভালবাসতেন তার সামান্য নমুনা আগেই তুলে ধরেছি। তবু একটি কথা আবার মনে করিয়ে দিতে চাই যে, মহানবী বলেছেন যে, বেহেস্তের দুইজন সরদার হলেন হাসান এবং হোসায়েন এবং তিনি অন্য আর একটি হাদিসে বলেছেন যে, হোসায়েনকে যারা ভালবাসে তারা হোসায়েনের সঙ্গে থাকবে তথা বেহেস্তে থাকবে। এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে তা হল, ইমাম হোসেনের কারবালার মাঠে সবচেয়ে বেদনাদায়ক শাহাদাত বরণের শোকে ইমাম হোসেনের জন্য শোকের মাতম তুলে, বুক চাপড়িয়ে, ছোট ছোট চাকুর ছড়া দিয়ে পিঠে আঘাত করে 'হায় হোসেন', 'হায় হোসেন' বলে রক্ত ঝরায়, তাহলে ইমাম হোসেন এই ভালবাসার জন্য কি কিছুই দেবেন না? কারণ নিরেট ভালবাসা এবং এই ভালবাসার ব্যাখ্যা ও যুক্তি উভয়ই সম্পূর্ণরূপে বেকার। ইমাম হোসেনের ভালবাসায় কেউ মাতম না করলেও বলার কিছু থাকে না। কারণ এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা ছাড়া ভালবাসা তৈরি করা যায় না। আর যারা ইমাম হোসেনের ভালবাসায় মাতম করে, রক্ত ঝরায় তাদেরকেও বলার কিছুই থাকে না। কারণ, যুক্তি ও ব্যাখ্যার যেখানে কবর বা শেষ, ভালবাসা সেখান থেকেই আরম্ভ হয়। এটা হৃদয় দিয়ে বুঝতে হয় মাথা দিয়ে নয়। যুগে যুগে সব সময়ে এই মর্ত্যে একশ্রেণীর মানুষ বুঝে মাথা দিয়ে, আর একশ্রেণী বুঝে হৃদয় দিয়ে। কাউকেই তুচ্ছ করা যায় না। কারণ এই দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতেই সব কিছুর রহস্য লুকিয়ে আছে। কেউ বুঝে, কেউ বুঝে না। তাই কাউকেই দোষারোপ না করে এটা যার যার তকদিরের লিখন বললেই সুন্দর মানায়।

📚গ্রন্থ: আলে বায়েত এবং কারবালার করুণ দৃশ্য (পৃষ্ঠা: ১৫-১৭)
✍🏻চেরাগে জান শরিফ বিনয়ের সম্রাট ডা. কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী 🥀

13/07/2024
12/07/2024

ভয়ংকরভাবে তথ্য দিলেন বাবা জাহাঙ্গীর | ‘জীবন্ত দেহেই চলছে কবরের ভয়ংকর আজাব!’
কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরী

10/07/2024

দাড়ি মোছ পোশাক আশাক দিয়ে #জ্ঞানের বিচার করো না‼️

09/07/2024

আমরা অবাক হই। আমরা থতমত খাই। আমরা অজানা প্রশ্নের ধারালো তরবারী দিয়ে ছিন্নভিন্ন হই। আমরা আত্মবিরোধের হাঁ করে থাকা ফাটলে পড়ে গিয়েও পড়ছি না। আমরা বিশ্ববিখ্যাত অলীদের মুরশিদের যারা মহামুরশিদ তাদের উপর বিষপ্রয়োগ আর উদ্ধত কৃপানের কালো থাবা একের পর একটি করে নেমে আসছে আর সর্বশক্তিমান আল্লাহর মহান ইচ্ছার কাছে হাসিমুখে মৃত্যুবিষকে কণ্ঠে ধারণ করে নীলকণ্ঠের নীল আলো ছড়িয়ে দিয়ে আমাদেরকে কাঁদিয়ে তুলছে। আমাদের চোখের জলগুলো কি প্রজন্মের পর প্রজন্ম উপহার দিয়ে যাবে? আমাদের সাগরের উত্তাল উর্মির আছাড় খাওয়া শব্দের বিলাপগুলো পাবার জন্যই কি এই মহানবীর মহাপবিত্র মহানূরের মহাপুত্ররা একে একে জেনে শুনে বিষপান করে গেলেন? ধারালো তরবারীর অহংকারী আঘাতের নিচে মাথা পেতে দিয়ে কেন কারবালা তৈরি করা হল? যুগে যুগে রক্তের মাতম চাইবার বাসনায় এই কারবালার ঘটনাটি তৈরি করা? যে নবীবংশের আওলাদদের বুকে ধারণ করলে ভুল পথে পা বাড়াতে হবে না বলে মহানবীর পবিত্র বাণীটির পাশে তরবারী আর বিষ নামক মৃত্যু কলংক দাঁড়িয়ে থাকবে-এটা বুঝতে পারি না? তাইতো মহানবীর প্রেমিকেরা জানে যে, মহানবীকে ভালোবাসলে তাঁর আওলাদেরকেও অবশ্যই ভালোবাসতে হবে। আপনার পুত্রদের হত্যা করে আপনার ভালোবাসা পাওয়া যেমন অসম্ভব এবং অচিন্তনীয় সে রকম মহানবীকে ভালোবেসে মহানবীর আওলাদেরকে শহীদ করে কি ভালোবাসার দাবী করাটা ভন্ডামী নয়? কপটতা নয়? প্রতারণা নয়? মুনাফেকী নয়? আল্লাহর আইন ছাড়া আর কোন আইন মানিনা বলার মতো জঘন্য কথাটি প্রতারণা কি নয়? কারণ কোরান স্পষ্ট বলছে, যে আল্লাহকে ভালোবাসতে চায় সে যেন মহানবীকে ভালোবাসে। সরাসরি যারা কোরানের এই অমূল্য নির্দেশ অমান্য করেও কারবালা তৈরি করে, ইমামদেরকে বিষপ্রয়োগ করে শহীদ করে, কারবালার মাঠে মহানবীর একুশ হাজার সাহাবা ইমাম হোসায়েন-এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে, যারা মহানবীর আওলাদের উপর অভিশাপ দিতো প্রতিটি মসজিদে জুম্মা নামাজের খুতবায় সেই সমস্ত মুসলমানদের ভাগ্য কি এই দুনিয়াতে উঁচু মর্যাদায় দেখার আশা করেন? ছাপ্পান্নটি মুসলিম দেশের অবস্থানটি দেখলে কি কিছু বুঝার বাকী থাকে। কারবালার মাঠে ইমাম হোসায়েন এবং আরো কয়েকজন ইমাম শাহাদাত বরণ করেছেন, কিন্তু ছয় কি দশ মাসের শিশু ইমাম আলী আসগরকে পানি চেয়ে বালিতে শোয়ায়ে দিয়ে এলেন ইমাম হোসায়েন। এবং বললেন, যদিও তোমরা আমাকে সততার প্রতিমূর্তি বলে সাক্ষ্য দিলে তবুও এইক্ষণে হয়ত মনে করতে পারো যে, শিশু ইমাম আলী আসগরের নাম করে সেই পানি আমি পান করতে পারি, তাই তোমরাই এই মাসুম ইমামকে পানি পান করিয়ে দাও। হায়। তার পরের দৃশ্যটির বর্ণনা দিতে গেলে ভাষার লালিত্য হারিয়ে যায়, শব্দ গাঁথুনির শৈলী শৈথিল্য প্রদর্শন করতে চায়, বাক্য গড়তে ভুল ব্যাকরণের ছন্দটি কেঁদে উঠে। বানরপ্রিয় ইবনে জিয়াদের নির্দেশে হুরমুলার তীরের আঘাতে শিশু ইমাম আলী আসগরের কণ্ঠনালী ভেদ করে সূক্ষ্ম দেহ মোবারক হতে সামান্য পবিত্র রক্ত বেরিয়েছিলো। মহানবীর দেওয়া এতো দিনের শিক্ষাগুলো ক্ষমতার মোহ কতখানি অন্ধ করে দিয়েছিলো সাহাবা (?) হুরমুলা আর সাহাবা (?) বানরপ্রিয় ইবনে জিয়াদকে। মহানবীর আপন আওলাদ শিশু ইমাম আলী আসগরের প্রতিও সামান্যতম মানবতা দেখাবার প্রয়োজন মনে করেনি। আশেকে রসূলেরা চোখের জলে বিলাপের ভাষা তৈরি করে দু'ঠোঁট কেঁপে কেঁপে কাঁন্নার ধমক আর ধিক্কার দেওয়া হা হুতাশ তৈরি করে। কারণ শিশু ইমাম আলী আসগরকে শহীদ হবার পর এজিদের দলে দাড়িয়ে থাকা কিছু সৈন্য চোখের জল আর ঠোঁট কাঁপানো কাঁন্না ছাপিয়ে রাখতে পারেনি।
হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন, তোমার মাশুক মহানবীর মাসুম শিশু ইমাম আলী আসগরের পবিত্র রক্ত ঝরানোর করুণ দৃশ্যটির কেন অবতারণা করলে? কি এমন গোপন রহস্য তৈরি করতে চেয়েছিলে? যার দরুন মুসলমানেরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই করুণ ইতিহাস পড়ে ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদবে? এই চিরন্তন কাঁন্নার জন্যই কি এ রকম করুণ ঘটনার দৃশ্যগুলো কারবালার মাঠে তৈরি করেছ? রূমী, সামসেতাব্রীজ, হাফেজ, সানাই, জামী, ফেরদৌসী, শেখ সাদী হতে নেমে এসে আমীর খসরুর মতো সূফী সাধকেরা এবং বাংলার মাটিতে সহজ সরল বয়াতীর কণ্ঠেও আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসায়েনের নামগুলোই কেবলমাত্র বার বার উচ্চারিত হয়েছে এবং হচ্ছে ও হবে। কেন? কেন সূফীরা কেবল এই আলে বায়াতের এবং পাকপাঞ্জাতনকে কেন্দ্র করে মরমী গানে জানায় পরম ও চরম ভক্তি? কেন এই পাকপাঞ্জাতনের কাছেই মারেফতের জ্ঞান অর্জনের কাতর মিনতি? আর হাত পেতে ভিক্ষা চেয়ে চেয়ে কেঁদেছে এবং আজও কাঁদছে? একটি সূফী গানের মাঝেও কেন এতো বড় বড় সাহাবা যেমন হযরত আবু বকর (রাঃ) হযরত উমর (রাঃ), হযরত উসমান (রাঃ), হযরত তালহা (রাঃ), হযরত জুবায়ের (রাঃ), হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ), হযরত আবু হোরাইরা (রাঃ) এবং হযরত আনাস (রাঃ) এর নামটি পর্যন্ত নেওয়া হয় না। কেন এই মহান সাহাবাদের নামে একটি সূফী গানও রচনা করা হয় না। এবং আগেও কেউ রচনা করেনি? কি এমন গোপন রহস্য এর মাঝে লুকিয়ে আছে? পাঠক ভাই, আমার কথাগুলো একটু ভেবে দেখবেন যে, এর মাঝে লিখকের কথার কতটুকু সত্যতা বহন করছে। গবেষণা করুন, নিরপেক্ষ মন দিয়ে আন্তরিকতায় গবেষণা চালিয়ে যান, দেখতে পাবেন এই কথাগুলোর মাঝে কি অপূর্ব সমাধানের উলঙ্গ সত্য লুকিয়ে আছে। কারবালার বেদনাদায়ক ঘটনাটির একটি ঐতিহাসিক এবং নৈতিক মূল্যবোধের উপর নিরপেক্ষ গবেষণা করলে আমরা অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারি। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি মুসলিম সমাজের বিবেককে এমন প্রচন্ড আঘাত করেছে যে, প্রতিটি বছর মহরম মাসটির আগমনের বার্তায় সমগ্র মুসলিম সমাজে একটি বেদনার ছবি কমবেশী ফুটে উঠে। অবশ্য যারা পাকপাঞ্জাতন বিরোধী তাদের জন্য একটি খাসা হাদিস (?) পূর্বেই সুচতুর আব্বাসীয়রা তৈরি করে রেখেছেন। রাবী তথা নির্ভুল (?) সনদসহ এমন একখানি বিখ্যাত (?) হাদিস তৈরি করে রেখেছে যা এখন মুসলিম সমাজের অনেক গবেষক কমবেশী ধরতে পেরেছে। সেই মিথ্যা বানোয়াট হাদিসটি বিশদভাবে তুলে ধরলেই পাঠক পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। উমাইয়া রাজবংশের বেতনখোর আলেম উলামারা এবং আব্বাসীয় রাজবংশের বেতনখোর আলেম উলামারা যে কত জঘন্য প্রকৃতির আলেম উলামা ছিল তার জ্বলন্ত প্রমাণ পাই হাদীস সংগ্রহকারীদের উপর গবেষণা করলে। তারা লক্ষ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করার পর মাত্র কয়েক হাজার হাদিস রেখে দিয়ে বাকিগুলো কেন ফেলে দিলেন? কারা এসব মিথ্যা হাদিস তৈরি করেছিলো? মূর্খ এবং সহজ সরল মানুষের পক্ষে এরকম অপকর্ম করাটি মোটেই সম্ভবপর ছিল না। বেতনখোর আলেম উলামারা দিন রাত খেটে মিথ্যা হাদিস তৈরি করে গেছে। ঐতিহাসিকরা এর অনেক প্রমাণ করে গেছেন। সময় ও সুযোগ মতো এসব অপকর্মের বয়ান করতে চাই।

📚গ্রন্থ: আলে বায়েত এবং কারবালার করুণ দৃশ্য (পৃষ্ঠা: ২৯-৩২)
✍🏻চেরাগে জান শরিফ বিনয়ের সম্রাট ডা. কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী 🥀

08/07/2024

কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর প্রতিষ্ঠিত সুফি ধ্যান-সাধনালয়ে আয়োজিত ২১ জুন, ২০২৪ ইং তারিখের উরশের স্মৃতি।

মানুষ বুঝতেই পারে না যে, সে শয়তানের গোলামি করছে❗আমরা পদে-পদে ভুল করি। বুঝতে চেষ্টা করেও অদৃশ্য কারণে বুঝতে পারি না। কার...
07/07/2024

মানুষ বুঝতেই পারে না যে, সে শয়তানের গোলামি করছে❗

আমরা পদে-পদে ভুল করি। বুঝতে চেষ্টা করেও অদৃশ্য কারণে বুঝতে পারি না। কারণ খান্নাসরূপী শয়তানটি যতক্ষণ পর্যন্ত পবিত্র নসের সঙ্গে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভুল করাটা স্বাভাবিক। তাই এই শয়তানটিকে তাড়িয়ে দেবার আহ্বান করছে কোরান। বান্দাকে পরীক্ষা করার জন্যই এই শয়তানটিকে প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র পরীক্ষা করার জন্য। তাই বড়-বড় ওলিদের প্রশ্ন করতে গেলে তারা বলেন যে, এই শয়তানটিকে মুসলমান বানাতে গিয়ে বারো বছর, পনের বছর ধ্যান-সাধনা করতে হয়েছে তথা মোরাকাবা-মোশাহেদা করতে হয়েছে। তাই ওলিরা বলেন যে, মনে হবে কত রকম পরীক্ষা দিতে হবে, কিন্তু আল্লাহর পরীক্ষা মাত্র একটি পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষাটি হলো, নিজের পবিত্র নফসের সঙ্গে যে, শয়তানটি খান্নাসরূপে বিরাজ করছে সেই শয়তানটিকে মুসলমান বানিয়ে ফেলা। কারণ এই শয়তানের চাওয়া আর পাওয়ার কোনো শেষ নাই। যত পাবে ততই চাইবে। অথচ এই শয়তানের একমাত্র বাসস্থানটি হলো প্রতিটি মানুষের অন্তর (জিনদের কথাটি ইচ্ছা করেই বলা হলো না)। মানুষের হাত-পা, চোখ-কান তথা এক কথায় সমস্ত দেহটি মুসলমান, কিন্তু অন্তরটি মুসলমান নয়। কারণ অন্তরের মাঝেই আর একজন বাস করছে আর তারই নাম শয়তান। (অবশ্য রুহও বাস করে তবে এখানে বুঝাবার জন্য বলা হলো না)। এই শয়তানটি অন্তরে বাস করে মানুষকে যে কত রকম নাজেহাল করে, কত রকম যে মিথ্যা বলতে হয়, কত রকম যে ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা করতে হয়, কত রকম যে দাতা সাজতে হয়, কত রকম যে কৃপণ হতে হয়, কত রকম যে স্বার্থ হাসিলের জঘন্য চালাকি করতে হয়, কত রকম যে হিংসা-বিদ্বেষ করতে হয় তা বলে এবং বুঝিয়ে শেষ করা যাবে না। হাকিকতে প্রতিটি মানুষ শয়তানের গোলামি করছে, কিন্তু মেজাজিতে মনেই হবে না যে শয়তানের গোলামি করছে। তাই আল্লাহর ওলিরা দুনিয়ার এই চাকচিক্যের মাঝেও নির্জনে ধ্যান-সাধনাটি করে যায়। মেজাজি ইবাদতের অনুসারীরা বুঝতেই পারে না যে শয়তানটি বহাল তবিয়তে আপন-আপন অন্তরে বাস করছে। অন্তর হতে শয়তানটি পরিষ্কার করতে পারে নি, অথচ চলনে-বলনে-লেবাসে তাদেরকেই খাঁটি মনে করে ভুল করছি। হায় রে আল্লাহ্র পরীক্ষা! সব কিছু বুঝেও শয়তান কিছুই বুঝতে দেয় না। কারণ শয়তান শিখিয়ে দেয় যে, বাহিরে খুঁজে দেখ শয়তান কোথায় আছে। শয়তান বাহিরে থাকে না। থাকবার বিধানটি কোরান-এ দেওয়া হয় নাই। অথচ মানুষ বাহিরে শয়তান খোঁজে। আপন অন্তরে শয়তান বাস করছে, অথচ খুঁজতে যায় বাহিরে। মানুষ জানে যে, আসমান-জমিন আল্লাহ্র তসবিহ পাঠ করছে, আসমান-জমিন আল্লাহ্র তৌহিদে বাস করছে, তবুও এত বড় মহাসত্যটি জানবার পরও মানুষ ভুলে যায় যে, তার আপন ঘরেই শয়তান বাস করছে, শয়তান মিটিমিটি হাসছে। এই আপন হৃদয়ঘরে বাস করা শয়তান মানুষকে শয়তানের গোলাম বানিয়ে রেখেছে, মানুষকে শয়তানের কেনা গোলাম বানিয়ে রেখেছে। আপন হৃদয়ঘরে শয়তান বাস করে কত প্রকার শোষণ, নির্যাতন, জুলুম-অত্যাচার, ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা, খুন-খারাপি, দুর্নীতি আর ঘুষ-চুরি-ডাকাতি শিখিয়ে দিচ্ছে তার ইয়াত্তা নাই। আরও চাই আরও চাই করেও চাওয়ার শেষ নাই। ঠুনকো সম্মানের মূল্য নাকের উপর ঝুলিয়ে শয়তান মানুষকে দিয়ে গাধার মতো ঘুরাচ্ছে অথচ মানুষ বুঝতেই পারে না যে, সে শয়তানের গোলামি করছে। গাবতলি বাজারের গরু-ছাগলের হাট হতে কিনে আনা গরুর মতো শয়তানের গোলামি করছে এটা মানুষ বুঝতেই পারে না। যখন বুঝতে পারে তখন নস মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে ফেলেছে। মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার পর সবকিছুই দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তখন আর বুঝেও লাভ নাই।

গ্রন্থ: মারেফতের গোপন দর্শন: অনেকেরই অজানা (পৃষ্ঠা: ১৬৯-১৭১)
চেরাগে জান শরিফ বিনয়ের সম্রাট ডা. কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা-ইমান আল সুরেশ্বরী।

02/07/2024
29/06/2024

কিছু কিছু শিষ্যমারা গুরু নামক কলঙ্কদের চরিত্রের নমুনা।

হিংসা মানুষের মানবীয় গুণগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে।- কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর 🥀
29/06/2024

হিংসা মানুষের মানবীয় গুণগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে।

- কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর 🥀

26/06/2024

" من كنت مولاه فهذا على مولاه "

"আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা "🙏❣️

সকলকে ইদে গাদির বা গাদিরে খুমের শুভেচ্ছা ❣️🥀

Address

Sufi Meditation Centre/সুফি ধ্যান সাধনার স্কুল
Narsingdi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Qalander Baba Jahangir BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category