Sathi's Kitchen & Vlog

Sathi's Kitchen & Vlog hello Everyone! Thanks for visit here

একটা বয়স পেরিয়ে মানুষ বুঝে যায়...কারও সাথে অকারণ তর্কে যাওয়াটা বোকামি। কেউ যদি বলে "পৃথিবী গোল নয় লম্বা", তাতেই সায...
24/12/2024

একটা বয়স পেরিয়ে মানুষ বুঝে যায়...
কারও সাথে অকারণ তর্কে যাওয়াটা বোকামি। কেউ যদি বলে "পৃথিবী গোল নয় লম্বা", তাতেই সায় দিয়ে হেসে চলে আসাটা বরং বেশি দরকারি। একটা বয়সের পর আপনি বুঝে যাবেন,কেউ কারও ভাবনা-চিন্তা বা মতামত আসলে বদলায় না, অন্তত তর্ক করে আপনি তা বদলাতে পারবেন না। তাই চুপ করে হাসিমুখে নিজের কাজ করে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। একটা বয়সের পেরিয়ে আপনি বুঝে যাবেন, বাইরের লোক তো ছেড়েই দিলাম, আপনার খুব কাছের মানুষজনও আসলে আপনার মনের মতো হবে না। আপনি যেমন করে তাদের ভালোবাসা চান, তারা তেমন করে আপনাকে কখনোই ভালোবাসবে না, আপনাকে তেমন করে গুরুত্ব দেবে না। আসলে সব মানুষই নিজের ইচ্ছে, বিবেচনা, ভাবনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলে, আর এটাই বাস্তব। প্রত্যেকটা মানুষের বিচার, বিবেক আর বিবেচনাবোধ আলাদা— এটাই কঠিন সত্যি। আপনার মতামত, আপনার চিন্তা- ভাবনা, আপনার জীবনবোধ, আপনার অনুভব একান্তই আপনার নিজস্ব, আর কারো তা নিয়ে ভাববার বা বোঝবার দায় নেই। একথা যত সহজে বুঝবেন, তত আঘাত কম পাবেন। একটা বয়সের পর মানুষ বুঝে যায়, মানুষের কাছে বেশি ভালো হওয়ার চেষ্টা করে,কারো প্রতি বেশি আপনতা দেখিয়ে, বেশি কর্তব্য করে বা কাউকে বেশি ভালোবেসে সবসময় নিজেকে কারো কাছের মানুষ, কারো নিজের মানুষ,কারো ভরসার মানুষ তৈরি করা যায় না। মানুষ আপনাকে ঠিক ততটুকুই ভালোবাসবে, ততটুকুই গুরুত্ব দেবে, ততটুকুই সম্মান বা অগ্রাধিকার দেবে— যতটা তার নিজের জীবনে আপনার প্রয়োজন,গুরুত্ব বা স্বার্থ থাকবে। তার বেশি একচুলও নয়। তাই একটা বয়সের পর আপনি বুঝবেন—কারো জন্য কোনো কিছুই বেশি করে বা আগ বাড়িয়ে বেশি ভালোমানুষি দেখিয়ে আসলে কোনো লাভ হয় না। তাই তখন আপনি ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করতে শিখে যাবেন। একটা বয়সের পর আর কারো উপর কিছু চাপিয়ে দিতে ইচ্ছে করবে না,নিজেকেও সবরকম চাপমুক্ত,ভারমুক্ত রাখতে ইচ্ছে করবে। কারো কাছে কোনোকিছু আশা করে কোনো লাভ হয় না— একটা বয়স তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়ে যায়। তখন নিজের হাতে,নিজের ক্ষমতার মধ্যে যেটুকু আছে শুধু সেটুকু করে মানুষকে ভালো থাকার চেষ্টা করে যেতে হয় অবিরাম,আর বাকিটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে হয়। একটা বয়সের পর কে আপনার সম্পর্কে কী ভাবলো,আপনাকে নিয়ে কী মন্তব্য করল,আপনাকে কে কী বলল না বলল —কিছুই আর তেমন যায় আসে না। একটা বয়সের পর আপনি বুঝে যাবেন প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের জীবনের গন্ডী,নিজের মনোভাব,নিজের স্বভাব,দৃষ্টিভঙ্গি বা শিক্ষা অনুযায়ী চিন্তা-ভাবনা করে। কারো চিন্তা-ভাবনা আপনাকে নয়,বরং সেই লোকটিকে চেনায়। তাই একটা বয়সের পর আপনি নিজে এবং যাদের আপনার ব্যক্তিগত জীবনে গুরুত্ব আছে তারা ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে তা অর্থহীন হয়ে যায়। একটা বয়সের পর মানুষ আর সকলের সঙ্গে একটা বিরাট দূরত্ব তৈরি করে নেয়। এমনকি অনেক লোকজনের মধ্যে থাকলেও আসলে তাদের সকলের আর তার নিজের মধ্যে এমন এক বিরাট বড় খাদ,বিরাট এক শূন্যতা তৈরি হয়ে যায় যা আর পার করা যায় না। চারপাশের মানুষের প্রতি গভীর নিরাশা আর বহুকালের জমা ক্ষোভ, অভিমান এই বিরাট দুর্ভেদ্য গহ্বর টা তৈরি করে। একটা বয়সের পর মানুষ বুঝে যায়— পৃথিবীর কারো কাছে তার আর চাওয়া- পাওয়ার কিছু বাকি নেই। একটা সময় পর রাগ, ক্ষোভ, বিরক্তি, অভিমানও হারিয়ে যায়। একটা বয়স ধীরে ধীরে মানুষকে নির্বিকার তৈরি করে,শান্ত হতে শেখায়, নিরুত্তাপ হতে শেখায়। কারো সাথে দেখা করার তাগিদ,কথা বলার তেমন উৎসাহ আর থাকে না। তখন তার একমাত্র প্রিয় বন্ধু,তার একমাত্র কাছের মানুষ সে নিজে। সে নিজেকে ভালোবাসতে শেখে,নিজেকে সময় দিতে শেখে,নিজের গভীরে ডুব দিতে শেখে। অন্য কোনোকিছুই আর তাকে তেমন আনন্দ দেয়না তখন,উৎসাহ দেয় না। কিছুই আর যেন তেমন টানে না তাকে। তখন শুধু নিজের মতো করে ভালো থাকতে পারা,নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো আর মনের অপরিসীম শান্তি ছাড়া তার বোধহয় আর চাওয়ার কিছুই থাকে না।
©️

True 💔💔বয়ঃসন্ধির মতো ৩০ এর পরের জীবনেরও একটা নাম থাকা উচিত।  বুড়িও না, আবার ছুঁড়িও না, অদ্ভুত একটা বয়স। বেশিরভাগ ক্ষেত্র...
15/12/2024

True 💔💔
বয়ঃসন্ধির মতো ৩০ এর পরের জীবনেরও একটা নাম থাকা উচিত। বুড়িও না, আবার ছুঁড়িও না, অদ্ভুত একটা বয়স। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা সংসারী 15/20 বছর ধরে।

এক/দুই সন্তানের মা হলেও মনের ভেতরকার কিশোরীটা কোথাও যেন রয়ে যায়। সেই মনের কিশোরীটাকে অবদমনের ক্লান্তিকর প্রচেষ্টা সবসময়। কারন, পরিবেশ পরিস্থিতির কাছে ছুঁড়ি হয়ে থাকাটা নিছক হাস্যকর।

যা পাওয়ার ছিল, আর যা পাওয়া হয় নি, মনটা সেই হিসেব করতে বসে যায়, মন না চাইতেও। কতই বা আর ব্যস্ত থাকা যায়, সংসার, রান্নাবান্না, কিংবা অফিস নিয়ে? দিনের শেষে না পাওয়াগুলো কেমন যেন খোঁচাতে থাকে, দিনের শেষে মনে হয় কেউ তো থাকুক, কেউ তো শুনুক, মনের সব কথা, কোন জাজমেন্ট ছাড়া।

এদিকে সংসার, বাচ্চাকাচ্চা মানুষ করতে করতে জীবনটা বন্ধুহীন হয়ে যায়, সবাই যার যার জীবনে ব্যস্ত।

৩০ পেরোনো মেয়েরা একটা কঠিন রোগে ভোগে। নস্টালজিয়া! কারণে অকারণে শুধু পুরনো কথা মনে পড়ে। পুরোনো ক্ষতগুলো দগদগে হয়ে ওঠে! আবার মনে পড়ে ফেলে আসা শৈশব, তারুন্যের চঞ্চল মন, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির সোনালি দিনগুলো, তার সঙ্গে প্রথম দেখার ক্ষণটি, কখনো বা না ফুরানো কতো গল্প, বৃষ্টিবিলাস!!
যে কিছু সময়ের জন্য নিজের হয়েছিল, যে কষ্ট দিয়েছিল, কিংবা না চাইতেও যাকে কষ্ট দিতে হয়েছিল, সব মনে পড়ে যায় সময়ে অসময়ে।

রাতেরবেলা সব কাজ সেরে আয়নার সামনে দাঁড়ালে বড় অসুন্দর মনে হয় নিজেকে। চুল পড়ে অর্ধেক, মুখে বলিরেখারা সবে আঁকিবুকি শুরু করেছে, এক সময়ের মেদহীন শরীরটা স্বপ্নের মত লাগে, পেটে স্ট্রেচ মার্কের দাগ, সব মিলিয়ে ভীষণ অনাকর্ষণীয় লাগে নিজেকে। সেই বিষণ্ণতা ঢাকতেই হয়তো শাড়ি-গয়নায় মেতে থাকতে চায় মেয়েদের মন।

জীবনের অর্ধেকটা পার করে এসে ৩০ পেরোনো মেয়েদের দুর্নিবার প্রেমের ইচ্ছা জাগে। নাহ, প্রেম করার জন্য প্রেম না। মনে হয় কেউ থাকুক, কেউ শুনুক সব কথা, আবার কারো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে মন চায়। মনটা আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চায়।

মন নতুন কাউকে চায়না, পুরাতন মানুষটাকেই আবার নতুন করে চায়। আবার তার চোখের তারা হয়ে থাকার বড় সাধ হয়। সংসার, বাস্তবতা সব অস্বীকার করতে চায় মনটা মাঝে মাঝেই।

৩০ পেরোনো মেয়ের বাবা-মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। সেই জীবনটা খুব মনে পড়ে প্রতিনিয়ত। যা করতে ইচ্ছা করে তাঁদের জন্য, কিন্তু চাইলেই করা যায় না। শুধু মেয়ের বাবা-মা বলে অধিকারবোধ সীমিত করে রাখতে হবে এই ব্যাপারটাই খুব ভাবায়।

13/12/2024

মৃতেরা কিভাবে বুঝতে পারে যে তারা মারা গেছে⁉️
"ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!!!"

মৃত ব্যক্তি বুঝতে পারে না যে সে শুরুতেই মারা গেছে। মৃত্যু পরবর্তী

----আত্মীয় স্বজনের কান্নাকাটি, গোসল, কাফনের কাপড় পরানো এমন কি তাকে কবরস্থ করা পর্যন্ত নিজেকে সে মনে করে মৃত্যুর স্বপ্ন দেখছে। তার মনে সবসময় স্বপ্ন দেখার ছাপ থাকে। তখন সে চিৎকার করে কিন্তু কেউ তার চিৎকার শুনতে পায় না।

পরবর্তীতে, যখন সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মাটির নিচে একা থাকে, আল্লাহ তার আত্মাকে পুনরুদ্ধার করেন। সে তার চোখ খোলে এবং তার "খারাপ স্বপ্ন" থেকে জেগে ওঠে। প্রথমে তিনি খুশি এবং কৃতজ্ঞ যে তিনি যা দেখেছিলেন তা কেবল একটি দুঃস্বপ্ন ছিল এবং এখন সে তার ঘুম থেকে জেগে উঠেছে।

তারপর সে তার শরীরকে স্পর্শ করতে শুরু করে, যা সবেমাত্র একটি কাপড়ে মোড়ানো হয়েছে, অবাক হয়ে প্রশ্ন করে;

"আমার জামা কোথায়, আমার অন্তর্বাস কোথায়?"
তারপর তিনি বলতে থাকেন: " আমি কোথায়, এই জায়গাটি কোথায়, কেনো সর্বত্র ময়লা-কাদার গন্ধ, আমি এখানে কী করছি? তারপর সে বুঝতে শুরু করে যে সে আন্ডারগ্রাউন্ড, এবং সে যা অনুভব করছে তা স্বপ্ন নয়! হ্যাঁ, তিনি সত্যিই মারা গেছেন।
তিনি যতটা সম্ভব জোরে চিৎকার করেন, ডাকেন: তার আত্মীয়রা যারা তাকে বাঁচাতে পারে:

"রাজ্জাক..!!!"
"আব্দুল্লাহ..!!!"
"খাদিজা....!!!!"
"আয়েশা....!!!!"
কেউ তার উত্তর দেয় না। তখন তার মনে পড়ে যে এই মুহূর্তে আল্লাহই একমাত্র ভরসা। তখন তিনি কাঁদেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন-------
"ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর ইয়া আল্লাহ...!!!

সে এমন এক অবিশ্বাস্য ভয়ে চিৎকার করে যা সে তার জীবদ্দশায় আগে কখনো অনুভব করেনি।
যদি সে একজন নেক মানুষ হয়,তবে হাস্যোজ্জ্বল মুখের দুইজন ফেরেশতা তাকে সান্ত্বনা দিতে বসবে, তারপর তার সর্বোত্তম সেবা করবে।

যদি সে খারাপ লোক হয় তবে দুইজন ফেরেশতা তার ভয় বাড়িয়ে দেবে এবং তার কুৎসিত কাজ অনুযায়ী তাকে নির্যাতন শুরু করবে।
হে আল্লাহ, আমাদের গুনাহ ক্ষমা করুন, নেক কাজের তৌফিক এবং ঈমান নিয়ে পরকালে পাড়ি দেওয়া নসিব দান করুন। আমিন।

সংগৃহীত & পরিমার্জিত

চল্লিশের পরই বোধহয় আসল জীবন শুরু হয়। ততদিনে আপনি মোটামুটি মানুষ চিনতে শিখে গেছেন। চুপ থেকে বিতর্ক থেকে সরে আসার কৌশল বুঝ...
13/12/2024

চল্লিশের পরই বোধহয় আসল জীবন শুরু হয়।
ততদিনে আপনি মোটামুটি মানুষ চিনতে শিখে গেছেন।

চুপ থেকে বিতর্ক থেকে সরে আসার কৌশল বুঝে গেছেন।

যে বা যারা আপনাকে পছন্দ করেনা, " ধুর তোর নিকুচি করি " গোছের মনোভাব নিয়ে তাদের থেকে মুখ ফেরাতে পেরে গেছেন।

সন্তান মোটামুটি একটু বোঝার মতো বয়সে পৌঁছে গেছে ফলে নিজের জন্য একটু আধটু সময় বার করে নিতে পারেন।

বর বা বউ সঙ্গ না দিলেও, " বাঁচা গেছে, যত কম কথা তত কম ঝগড়া " মনোভাব আসতে শুরু করেছে।

রূপচর্চার দিকে আপনার একটু বেশি ঝোঁক বাড়ছে কারণ চুল, ত্বক আপনাকে জানান দিচ্ছে "যত্ন না নিলে বুঝবি ঠেলা "।

প্রথম জীবনে আর্থিক টানাপোড়েন এতদিনে অনেকটাই সেটলড ম্যাটার।
ব্যাংক ব্যালান্স বলছে," বছরে একটা বড়ো আর একটা ছোটো ট্যুর করতেই পারিস। " ই এম আই এর বোঝা অনেকটাই কমে আসছে।

একটা চার চাকা আপনার মনের দরজায় হর্ন বাজিয়ে চলেছে।

রাজনৈতিক ব্যাপারে আপনি বাইরে লিস্ট ইন্টারেসটেড হাবভাব দেখালেও, বাড়ি এসে টিভির সামনে বসে যেকোনো রকম রাজনৈতিক ইস্যুতে গালাগালি করে মন হালকা করেন।

মোটের ওপর চল্লিশ আপনাকে একটা পরিণত মনস্ক মানুষে রূপান্তরিত করে তোলে। অনেক ঠকে, ধাক্কা খেয়ে, পড়ে, উঠে অবশেষে নিজের কাজ আর নিজের সুখে আপনি মনোনিবেশ করতে শিখে গেলেন এই চল্লিশে এসেই।
আঠারোর পর চল্লিশটাই মনে হয় জীবনের অন্যতম একটা মাইলস্টোন।
যদিও চল্লিশ এ পা দেইনি তবুও এভাবে চলায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি কেনো জানি ☺️☺️☺️ফলো Sathi's Kitchen & Vlog

জীবনে তোর গান শুনতে শুনতে জীবনডা ত্যানা ত্যানা হইয়া গেছে!এইবার তোরে পাইছি মনের মতো গান শুনামু!     #সংগৃহীত
13/12/2024

জীবনে তোর গান শুনতে শুনতে জীবনডা ত্যানা ত্যানা হইয়া গেছে!
এইবার তোরে পাইছি মনের মতো গান শুনামু! #সংগৃহীত

তোমার বিপদের সময় কেউ পাশে এসে না দাড়ালে, সাহায্য না করলে রাগ করো না। কারণ, কেউ-ই তোমার সাহায্যের জন্য দায়িত্ব নিয়ে রাখে ...
07/12/2024

তোমার বিপদের সময় কেউ পাশে এসে না দাড়ালে, সাহায্য না করলে রাগ করো না। কারণ, কেউ-ই তোমার সাহায্যের জন্য দায়িত্ব নিয়ে রাখে নাই।

তোমার কঠিন পরিস্থিতির সময় যখন কেউ বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকে, তাদের দোষ দিও না। কারণ, কেউ-ই তোমাকে বুঝার জন্য মানুষ হয়ে জন্মায়নি!

তুমি আলাদা, বন্ধুত্ব করা যায় না বলে হিংসা করো না। তোমার জীবনের পথে "ভাল পরিবার, ভাল বন্ধু, সহকর্মী" থাকতেও পারে আর নাও থাকতে পারে। মাঝপথে ছেড়ে যেতেও পারে, মূল বিষয় হচ্ছে নিজের গন্তব্য পর্যন্ত নিজেকে পৌঁছানো।

যত্ন নেয়ার মানুষ পেলে তাদের যত্ন গ্রহণ করো। কেউ-ই কি নেই? তাহলে নিজেকে নিজে যত্ন নাও। ভালবাসার মানুষ থাকলে তার ভালবাসা গ্রহণ করো। ভালবাসে না? তাহলে ক্ষমা করে দাও।

একজনের হৃদয়ের অন্দরমহলে কখন জায়গা করে নেবে সেটা তুমিও বলতে পারবে না। একপক্ষ যতটুকু থাকতে দেবে ততটুকু তোমাকে থাকতে হবে। সন্তুষ্ট অসন্তুষ্ট হওয়া তোমার বিষয়/কাজ! কেউ-ই তোমার অনুভূতিকে জিজ্ঞেস করতে আসবে না!

এসব স্বাভাবিকভাবে ঘটা ঘটনা, অস্বাভাবিকভাবে ক্লিষ্ট মনে থেকো না। নিজেকে নিজে মানসিক প্রশান্তি দিয়ে না রাখলে কেউ-ই তোমাকে মানসিক শান্তি দিতে পারবে না!

[এই লেখাটি সম্ভবত চাইনিজ হতে বার্মিজ অনুবাদ, এটা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে ফেসবুকে বার্মিজ ভার্সনে পড়েছিলাম, এবং ভাল লাগার কারণে সেভ করে রেখেছিলাম। তাই, আজ আমার ফেসবুকের সতীর্থদের জন্য অনুবাদ করে তাদেরও পড়ার, জানার পথকে উন্মুক্ত করে দিলাম] 💖💖

#সংগৃহীত

জীবনের এই তিনটি ধাপে দুঃখ করবেন না:(১) প্রথম ক্যাম্প: ৫৮ থেকে ৬৫ বছরকর্মক্ষেত্র থেকে আপনি দূরে সরে যান।আপনার ক্যারিয়ারে...
24/11/2024

জীবনের এই তিনটি ধাপে দুঃখ করবেন না:

(১) প্রথম ক্যাম্প: ৫৮ থেকে ৬৫ বছর

কর্মক্ষেত্র থেকে আপনি দূরে সরে যান।
আপনার ক্যারিয়ারে যত সফল বা ক্ষমতাবানই হোন না কেন, এই সময় আপনাকে একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবেই দেখা হবে।
তাই পুরোনো চাকরি বা ব্যবসার মানসিকতা এবং শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতি আঁকড়ে ধরে রাখবেন না।

(২) দ্বিতীয় ক্যাম্প: ৬৫ থেকে ৭২ বছর

এই সময় সমাজ ধীরে ধীরে আপনাকে দূরে সরিয়ে দেয়।
বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের সংখ্যা কমতে শুরু করবে। আগের কর্মস্থলে হয়তো খুব কম মানুষই আপনাকে চিনবে।
"আমি আগে ছিলাম..." বা "আমার এক সময় ছিল..." এই কথাগুলি বলার প্রয়োজন নেই, কারণ তরুণ প্রজন্ম আপনাকে চেনার প্রয়োজন মনে করবে না। এতে দুঃখ করবেন না।

(৩) তৃতীয় ক্যাম্প: ৭২ থেকে ৭৭ বছর

এই পর্যায়ে, পরিবারও আপনাকে ধীরে ধীরে দূরে সরিয়ে দেয়।
আপনার সন্তান-সন্ততি বা নাতি-নাতনি যতই থাকুক, বেশিরভাগ সময় আপনি হয়তো সঙ্গীর সাথে বা একাই থাকবেন।
যখন তারা মাঝে মাঝে দেখা করতে আসে, সেটিকে স্নেহের প্রকাশ হিসেবে দেখুন।
তারা কম দেখা করার জন্য তাদের দোষারোপ করবেন না, কারণ তারা তাদের জীবনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

এবং ৭৭-এর পর থেকে,
পৃথিবী আপনাকে ধ্বংস করতে চায়।
এই সময়ে মন খারাপ বা দুঃখ করবেন না, কারণ এটি জীবনের শেষ ধাপ, এবং সবাই একদিন এই পথেই যাবে।

তাই যতদিন শরীর সুস্থ থাকে, জীবনটাকে আনন্দে পূর্ণ করে তুলুন।

আপনার যা ভালো লাগে তা খান,
পান করুন, খেলুন, এবং যা ইচ্ছে তাই করুন।

সুখে থাকুন, আনন্দে জীবন কাটান।

প্রিয় প্রবীণ নাগরিক বন্ধু ও বোনেরা,

উপরের লেখা লেখক অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিখেছেন।
লেখকের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।

৫৮-এর পর বন্ধুদের একটি গ্রুপ তৈরি করুন এবং মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে মিলিত হন। টেলিফোনের মাধ্যমে সংযোগ বজায় রাখুন। পুরোনো জীবনের স্মৃতি শেয়ার করুন এবং একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগ করুন।

সবসময় সুখে থাকুন। 🙏

সংসারের টুকিটাকি কিছু টিপস জেনে নিন 👇১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুড়া সাবানের সঙ্গে ১ চা চামচ সাদা সিরকা/ভিনেগার মিশিয়ে নিন।...
23/11/2024

সংসারের টুকিটাকি কিছু টিপস জেনে নিন 👇

১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুড়া সাবানের সঙ্গে ১ চা চামচ সাদা সিরকা/ভিনেগার মিশিয়ে নিন।এতে মোজা যেমন সাদা হবে তেমনি মোলায়েম থাকবে।

২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন।এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।

৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোন দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন।১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।

৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন।তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন।দাগ চলে যাবে।

৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন।তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।

৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন।৫ মিনিট পর মুছুন।দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।

৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন।তারপর ধুয়ে নিন।পোড়া দাগ চলে যাবে।

৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন।দেখবেন দাগ চলে যাবে।

৯। মশা মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন।উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।

১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন।এতে মেঝে চকচক করবে।

১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন।সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন।সব দাগ চলে যাবে।

১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান।শুকান অবধি জ্বাল করুন।

১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন।তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন।এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।

১৪। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।

১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।

১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে।

১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।

১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।

২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।

২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন,দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।

২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো।আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।

২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়,যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবন দিল।তাহলে আর তেল ছিটবেনা।

২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়।দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন।ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন,দুধ ফাটবে না।

২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন।খাবারের স্বাদ বাড়বে।

২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন।বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে।নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।

২৯। ওল,কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন।তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।

৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়,তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।

৩১। অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করতে গিয়ে তা পাতলা হয়ে যায়।তখন দুটো আলু সেদ্ধ করে স্যুপে মিশিয়ে ফোটালে স্যুপ ঘন হবে।

৩২। আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন।দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।

লেখা এবং ছবি সংগৃহীত

ধরুন আপনার বাড়িতে আজ  আত্মীয় আসবে। নানা পদের মজার মজার খাবার রান্না হবে। সেদিন আপনার কিচেনের অবস্থাটা দেখবেন। এতোগুলো ...
21/11/2024

ধরুন আপনার বাড়িতে আজ আত্মীয় আসবে। নানা পদের মজার মজার খাবার রান্না হবে। সেদিন আপনার কিচেনের অবস্থাটা দেখবেন। এতোগুলো হাঁড়ি-পাতিল-কড়াই-ডেকচি, কিচেনে পা রাখার অবস্থা নেই। রান্নার সময় এখানে একটু তেল পড়েছে, বাড়াবাড়ির সময় ওখানে একটু ঝোল পড়েছে। হাঁড়ির তলাটা কালো হয়েছে, মশলার দাগ দেখা যায় কোথাও কোথাও, হয়তো হাতে একটু তেল ছিটকে এসে লেগেছে। কেমন অবিন্যস্ত, এলোমেলো, অনাকর্ষণীয়, মেসি সবকিছু।

আজ রাতে আপনার খুব আলসেমি পেয়েছে। পাউরুটি আছে বাসায়, শুধু একটা ডিম সেদ্ধ করবেন ভাবছেন। সেদিন দেখবেন খাওয়াদাওয়ার পরেও কিচেনটা এতো সুন্দর, এতো সাজানো--মন চাইবে আজ রাতে কিচেনেই ঘুমিয়ে পড়ি।

স্কুল জীবনের কথা মনে করুন। গণিত বইটি এতো বেশি ব্যবহৃত হয়ে এমন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়েছে যে দুচারটা পৃষ্ঠা হারিয়ে যাবার জোগাড় ছমাস না পেরুতেই। অন্যদিকে কৃষিশিক্ষা বইটি ঝা তকতকে বছরশেষেও।

মানুষও তো ঠিক তেমনই। যে মানুষ যতো পরিশ্রম, যতো সাধনা, যতো চ্যালেঞ্জ, যতো গভীর চিন্তা, যতো দহন, যতো ঝামেলার মধ্য দিয়ে গিয়েছে তার জীবনেও এখানে-সেখানে তেল-ঝোল লেগে আছে, ততো বেশি ক্ষয়ে গেছে সে, ততো বেশি ক্লান্তির ছাপ তার মুখাবয়বে, ততোটা অবিন্যস্ত-এলোমেলো সে।

যার জীবন অতোটা চর্চিত হয়নি, বিকশিত হয়নি, চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি--সে যেন শুধু ডিম সেদ্ধ করা রান্নাঘর, সে যেন স্কুলজীবনের কৃষিশিক্ষা বই।

আপনার জীবনের তেল-ঝোলকে ঘৃণা করবেন না। ঐ ছেঁড়া পৃষ্ঠা প্রমাণ করে আপনি একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন। জীবনের ওজন কি কম, বলুন?

আমার স্ত্রী দেখতে অসুন্দর নয়। তবু কেনো জানি তাকে এখন আর ভালো লাগে না। আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো। তিন বছর বয়সী একটা ...
13/11/2024

আমার স্ত্রী দেখতে অসুন্দর নয়। তবু কেনো জানি তাকে এখন আর ভালো লাগে না। আমাদের বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হলো। তিন বছর বয়সী একটা ছেলে সন্তান রয়েছে।

অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যাই। ফিরি রাত করে। কারণ বাসায় যেতে ইচ্ছে করে না। অথচ বিয়ের শুরুর দিকে শুধুমাত্র স্ত্রীর টানে অফিস থেকে বেরিয়ে ছুটতাম বাসার দিকে। অফিস না থাকলে সারাদিন বাসায় থাকতাম। ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম। কী যে ভালো লাগতো স্ত্রীকে তখন!

আর এখন ওর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না। কথা বলতে ইচ্ছে করে না। ও আশেপাশে থাকলে বিরক্ত লাগে।

বাইরে থাকা অবস্থায় ওর ফোন এলে ধরি না। মেসেজ পাঠালে দেখি না। আর বাসায় থাকা অবস্থায় ও কিছু বললে অনাগ্রহের সাথে হু হা করে চুপ করে থাকি।

আর রাতে যদি ও কাছে আসতে চায় আমি রূঢ় ভাষায় বলি, "জ্বালাতন করো না। সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে আছি। ঘুমাতে দাও।"

আসলে ক্লান্তি ট্লান্তি কিছু না। স্ত্রীকে ভালো লাগে না এটাই মূল কথা।

কেনো এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এই সমস্যা যে একা আমার হচ্ছে তা নয়। আমি আরো অনেক পুরুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখেছি। তাদের কেউ কেউ স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে পরকীয়া করছে। আমি নিজে এখনো পরকীয়া করি নি। তবে করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

কেনো পুরুষেরা একটা সময় স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এটা জানার জন্য আমি যতো পুরুষের সাথে কথা বলেছি তাদের সবার উত্তর ছিলো এরকম, "এটাই তো স্বাভাবিক। এক জিনিস কী আর বেশিদিন ভালো লাগে?"

তাদের উত্তরটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় নি। কারণ এক জিনিস বেশিদিন ভালো না লাগা যদি স্বাভাবিক হতো তাহলে স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও সেটা হতো। কিন্তু তা তো হচ্ছে না।

স্ত্রীরা বিয়ের যতো বছর পরই হোক তারা ঠিকই আগ্রহ নিয়ে স্বামীর সাথে কথা বলতে চায়। ঘুরতে যেতে চায়। মিলিত হতে চায়।

একটা সময় আমার মনে হলো এটা কি পুরুষের কোনো মানসিক সমস্যা? ডাক্তার দেখালে কি ভালো হয়ে যাবে?

আমি দ্বিধান্বিত মনে একদিন গোপনে এক মানসিক ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার আমার সমস্যার কথা শোনার পর বললেন, "আপনি কি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন?"

বললাম, "জী করি।"

"আল্লাহর একটা নির্দেশের কথা আপনাকে বলবো। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনার এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোনো ওষুধপত্র লাগবে না। গ্যারান্টি দিচ্ছি।"

"কী সেটা?"

"সুরা আন নূরে আল্লাহ বলেছেন, 'হে নবী, পুরুষদের বলে দাও, তারা যেনো নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য বেশি পবিত্র পদ্ধতি'।"

এরপর ডাক্তার দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, "আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি এক মাস পালন করুন। তারপর নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।"

সন্দেহ নিয়ে বললাম, "এটাতেই কাজ হয়ে যাবে?"

ডাক্তার হেসে বললেন, "অবশ্যই হবে। তবে আমাকে কথা দিতে হবে আল্লাহর এই নির্দেশ আপনি নিখুঁত ভাবে পালন করবেন। কোনো ফাঁকি দেবেন না।"

"কথা দিলাম। ফাঁকি দেবো না। নিখুঁত ভাবে পালন করবো।"

শেষে ডাক্তার বললেন, "এক মাস পর আমার কাছে আসবেন।"

আসবো কথা দিয়ে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরুলাম। চেম্বার থেকে বেরুনোর সময় দেখলাম একটা যুবতী রূপবতী মেয়ে একজন বৃদ্ধাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকছে।

মেয়েটার দেহ দুর্দান্ত আকর্ষণীয়। আমি লোলুপ দৃষ্টিতে মেয়েটার পুরো অঙ্গের দিকে তাকাতে গেলে আচমকা মনে পড়ে গেলো আল্লাহর নির্দেশের কথা। আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিলাম। এবং মাথা নিচু করে হেঁটে চলে গেলাম।

এরপর পথে ঘাটে যদি কোনো মেয়ের দিকে চোখ পড়তো তবে চোখ সরিয়ে নিতাম। দৃষ্টি নত করে হাঁটতাম।

এভাবে দুদিন যাওয়ার পর অনুভব করলাম নারী শরীর দেখার জন্য ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তখনো স্ত্রীর প্রতি টান বোধ করি নি। অস্থিরতা দূর করার জন্য মোবাইল হাতে নিলাম। এবং পর্ণ দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর হস্তমৈথুন করে নিজেকে শীতল করবো।

গুগলে পর্ণ ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করার মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশের কথা মনে পড়ে গেলো। সাথে সাথে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। এবং মোবাইল রেখে দিলাম।

এর পরদিনের কথা বলি। আপনাদের বলেছিলাম, আমি পরকীয়া না করলেও পরকীয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ঘটনা হলো, আমার এক বন্ধুর পরিচিত এক মেয়ের সাথে গোপন এক সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করেছে।

মেয়েটি প্রবল যৌন আকর্ষণীয়। ঠিক করেছিলাম মেয়েটিকে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবো। আমি যে বিবাহিত এটা মেয়েটিকে বলি নি।

সেই মেয়েটি ঐদিন সন্ধ্যায় ফোন দিলো। আমি তখন অফিস থেকে বেরিয়েছি। ওর ফোন দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। কিন্তু ফোনটা ধরার সময় মনে পড়লো আল্লাহর নির্দেশের কথা।

তৎক্ষণাৎ মনকে শক্ত করলাম। এবং ফোনটা ধরলাম না। মেয়েটা যতোবারই ফোন দিলো ধরলাম না।

এভাবে দৃষ্টি সংযত রেখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে পনেরো দিন কাটানোর পর লক্ষ্য করলাম আমার মাথায় স্ত্রীর ভাবনা ছাড়া আর কিছু কাজ করছে না।

সেদিন অফিস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের আড্ডায় না গিয়ে উন্মাদের মতো ছুটলাম বাসার দিকে।

বাসায় ঢুকেই ব্যাকুল হয়ে ডাকলাম, "এষা, কোথায় তুমি?"

স্ত্রী তখন রান্নাঘরে ছিলো। আমার চিৎকার শুনে দৌড়ে এলো। কারণ স্ত্রীর নাম ধরে বহুদিন ডাকি নি।

ও আশ্চর্য হয়ে বললো, "কী হয়েছে তোমার? ডাকছো কেনো?"

সে কথার জবাব না দিয়ে কাঁধ থেকে অফিসের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে ঝট করে পাঁজা কোলে তুলে নিলাম। বিয়ের শুরুর দিকে যেমন করতাম।

সে ততোক্ষণে আমার উদ্দেশ্য বুঝে গেছে।

সে লজ্জায় লাল হয়ে বললো, "ছেলেটা ঘুমাচ্ছে। ও জেগে যাবে। কী করো, কী করো?"

স্ত্রীকে পাঁজা কোলে করে রুমে যেতে যেতে আচ্ছন্ন স্বরে বলতে লাগলাম, "ভালোবাসি এষা। ভালোবাসি।"

পরদিন ডাক্তারের কাছে গেলাম।

ডাক্তার বললেন, "এখনো তো এক মাস পার হয় নি।"

হেসে বললাম, "সমস্যা দূর হয়ে গেছে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি কেনো পুরুষেরা স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে? অতীতের ভুল আর কখনো করবো না।"

ডাক্তার বললেন, "স্বাগতম আপনাকে। আপনার সংসারের জন্য আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।"

ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে খুশিয়াল গলায় বললাম, "ধন্যবাদ আল্লাহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।"

___কিছু মানুষের জীবন তাসের ঘরের মতো..! ভাঙ্গা স্বপ্ন, ভাঙ্গা মন আর ভেতরে ভেতরে ভেঙেচুরে গুঁড়ো গুঁড়ো হওয়া উপরে এক আস্ত...
13/11/2024

___কিছু মানুষের জীবন তাসের ঘরের মতো..! ভাঙ্গা স্বপ্ন, ভাঙ্গা মন আর ভেতরে ভেতরে ভেঙেচুরে গুঁড়ো গুঁড়ো হওয়া উপরে এক আস্ত মানুষ..!

রংহীন, স্বপ্নহীন, মায়াহীন জীবন টা বয়ে বয়ে ক্লান্ত হয়ে নেতিয়ে গিয়ে আবার শক্ত হয়ে সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ানো যার প্রতিদিনের রুটিন..! বিশুদ্ধ বাংলায় আমরা তাদের বলি খাঁটি সুখী মানুষ.!

এই মানুষ গুলোর জীবনে ঋতু তো বদলায় কিন্তু বসন্ত আসে না। দিন তো হয় কিন্তু সূর্য ওঠে না। রোজ নিয়ম করে সকাল তো হয় কিন্তু সেই সকালে শিউলি ফোটে না। সোনা রোদে মনের উঠোন ঝলমল করে চমকে ওঠে না..! চৌকাঠে সুখ এসে বাসা বাঁধে না।

এই মানুষ গুলো রাস্তার পাশে অযত্নে বেড়ে ওঠা নয়নতারা বা অন্য ফুলগুলোর মত.! অযত্নে ধূলো জমে গেলেও বেড়ে ওঠে নিজের নিয়মে.! যত্ন না পেলেও সৌন্দর্য বিলাতে ভোলে না.!

রেল লাইনের পাশে যুগের পর যুগ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বকুল , কৃষ্ণচূড়া বা শিমুল গাছের মত..! ঝড় ঝাপটা যতই হোক - নিজে ভেঙে গিয়েও অন্যকে ছায়া দিয়ে ভোলে না.!

এই মানুষ গুলো কখনও আকাশের মত দূর থেকে সঙ্গ দেয়, কখনও পাহাড়ের মত ঢাল হয়ে দাঁড়ায়, আবার বৃষ্টি হয়ে শীতল করে যায় মনমরা দিন গুলোতে..! কারণে অকারণে এই মানুষগুলো রোদের মত হাসতে জানে.! তুমি ওদের দুঃখ টের পাবে না..!

তবে আঘাত পেলে বা দরকার হলে এরাই আবার বিধ্বংসী হতে জানে.! তুফান হয় তোলপাড় করে দিতে জানে.! আগলে রাখা থেকে পিষে ফেলতে জানে.! এরা যতটা ভালবাসতে জানে ততটা ঘৃণা করতে জানে.! কাছে টানতে জানলে তাকে নিমিষে দূরে ঠেলতে জানে.!

এরা আঘাত সহ্য করতে জানে তবে বেইমানি না.! ভুল ক্ষমা করলেও বিশ্বাস ঘাতকের ক্ষমা নেই এদের কাছে.! এদের জীবনে বেঈমানের না থাকে কোনো জায়গা আর না তো কোনো অস্তিত্ব.! এই মানুষ গুলোর ঘৃণা আর ভালোবাসা দুটোই অদ্ভুত রকমের ভয়ংকর সুন্দর...... 😊❤

©️

রোজ রাতেই আমি টের পাই আমার বড় মেয়ে রাতে পুনুর পুনুর করে ফোনে কথা বলে।আমি ওর রুমে গেলেই একেবারে চুপ হয়ে ঘুমের ভান ধরে ব্য...
07/11/2024

রোজ রাতেই আমি টের পাই আমার বড় মেয়ে রাতে পুনুর পুনুর করে ফোনে কথা বলে।আমি ওর রুমে গেলেই একেবারে চুপ হয়ে ঘুমের ভান ধরে ব্যাঙ্গের মতন পরে থাকে। আমি ওর মা আমিও এমন করে ওর বাপের সাথে প্রেম করতাম।তখন ফোন ছিলনা,রাতে চিঠি আদান প্রদান করতাম।আব্বারে দেখলে আমিও ব্যাং মরার মতন পরে থাকতাম।

ভাবলাম আমার কিছু একটা করতে হবে।আমার আব্বা কলেজ যাওয়া অফ করে দিছিল তাই আমি পালিয়ে এসেছিলাম।কিন্তু আমি ডিজিটাল মা,আমার এসব করা চলবেনা।

টেকনিক করে, মেয়ে যখন ওয়াশ রুমে গেল আর ওর ফোনখানা নিয়ে দেখি রিসিভ কল ভর্তি হয়ে আছে একটি নম্বর।আর তা জান নামে সেভ করা।সুন্দরভাবে ওই নম্বর টুকে নিলাম।

ব্যাস!রান্না ঘরে গিয়ে ওই নম্বরে মেসেজ দিলাম,জান আমি লিমু,এটা আমার নিউ নম্বর।আগের নম্বরে ভুলেও কল দিবানা।ওটা মায়ের কাছে।ওই নম্বর ব্লাক লিস্ট এ দেও।এখন থেকে মেসেজিং করবো। মা টের পেয়েছে সব।তাই কিছুদিন কথা বলা যাবেনা।

ওপাশ থেকে টুং করে ফিরতি মেসেজ,আচ্ছা জান।কি করছো সোনা?

মনে মনে ভাবি,তরে একবার হাতের নাগালে পাই সোনা পুড়ে তামা বানামু।

আমি মেসেজ দিলাম,কিছুনা জান।মন খারাপ।

এভাবেই আমাদের মেসেজিং চলতেই রইল,চলতেই রইল,৫দিনের মাথায় আমি ভোর রাতেও বারান্দায় গিয়ে মেসেজিং করি।আমার বর মহাশয় ইদানীং আমার দিকে কেমন সন্দেহর দৃষ্টিতে তাকায়।তাতে কিছুই আসে যায়না। আমার মেয়ের লাইফ আগে।আমি অনেকদিন মেসেজিং করলে আমার মেয়ে ওদিক থেকে ওই ছেলেকে ভুলে যাবে।

ইদানীং আমার মেয়েকেও মন মরা দেখি।নম্বর ব্লক লিস্ট এ দিয়েছে কিনা।

যাক, অবশেষে আমি ভাবলাম আমি সেই ছেলের সাথে দেখা করি।ওকে গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসবো।তাহলেই সাকসেস।

সাজুগুজু করছি,মন বেশ ফুরফুরা লাগছে আজ সেই বেয়াদপ কে চরম ধোলাই দিব।

আমার বর মশাই পেপার পড়া বাদ দিয়ে আমায় আড়চোখে দেখছে আর জিজ্ঞেস করছে কি!কই যাও?

ওকে বললে ও বেপার টা নিয়ে হাইপার হবে।তাই বললাম বাজারে কিছু কেনার আছে

-এই বিকেলবেলা?

তো?মধু নাই বাসায়।তুমি তো জানো সকালে খালি পেটে আমি মধু খাই।ডায়েটে আছি তো।

বাসা থেকে নেমে পার্ক এ গিয়ে দাড়িয়ে আছি।
অল্প বয়সী কাউকেই দেখছিনা।কিন্তু আমার বরের চেয়েও বয়স্ক লোক আমার পাশে ঘুরঘুর করছে।

ফোনটা হাতে নিয়ে আবার মেসেজ দিলাম কই তুমি?

ওপাশ থেকে মেসেজ না দিয়েই কল দিল।আমি রিসিভ করে চুপ করে আছি।কি অদ্ভুত আমার পাশে দাড়ানো লোকটির কানেও ফোন আর আমার দিকে শকুনের মতন তাকিয়ে আছে।আমি কেটে দিয়ে আবার কল দিলাম,আমি আরো শিহরিত হলাম,ফোন বাজছে ওই লোকের হাতের টা ই।

রেগে গিয়ে বললাম,আপনি ই সেই মানুষ! ছিঃ মেয়ের বয়সী একজন এর সাথে প্রেম করতে লজ্জা লাগেনা।আবার তারে জান,সোনা ডাকেন!

লোকটি তীব্র দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলে,বেত্তমিস মহিলা,তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকছে আর এখন বাচ্চার বয়সী ছেলেকে বিরক্ত করেন!

ঝগড়ার এক পর্যায় জানতে পারলাম,আমার মেয়ে এই লোকের ছেলের সাথে প্রেম করে।তিনি তার ছেলের ফোন নিয়ে গেছিল।আর আমি এতদিন তার ছেলে ভেবে তার সাথেই প্রেমালাপ করেছিলাম।

দুজন ই এক পর্যায় হাসতে হাসতে মরার উপক্রম হয়েছে।দুই ব্যর্থ গোয়েন্দাই এক পর্যায় কফি শপ এ বসলাম।নিজের কর্মকান্ডর জন্য স্যরিও বললাম।তিনিও বললেন।ভাবলাম বেয়াই হিসেবে ছেলের বাবা মন্দ না।হেসে হেসে বললাম ছেলের ফোনটা বাসায় গিয়ে ছেলেকে দিয়ে দিয়েন,আমার মেয়ে খুব ই মন মরা হয়ে আছে।

সে উঠে বললো,হুম আগে মেসেজিং গুলি মুছে নেই।এমন প্রেমালাপ দেখলে মামলা খেয়ে যাব হা হা হা।

আমি হেসে কুটিকুটি হয়ে কফির মগে চুমুর দিব তখন ই দেখছি আমার দিকে রাক্ষসের মতন তাকিয়ে আছে লিমুর বাবা।
এ কি তুমি এখানে?

-বাহ!আরজু বাহ!না আসলে তো এমন রঙ্গ দেখতেই পেতাম না

এই কি বলো?ভুল ভাবছো তুমি আমায়।

-ভুল!ছিঃ এত নিচ তুমি?এখন তো আমি তিতা হয়ে গেছি?আর এই বেটা মধু?তাই তো ভ্রমর মধু খেতে এসেছে।খাও মধু।
এই বলে লিমুর বাবা চলে গেল।

আমি পিছন পিছন ছুটছি।বেয়াই মশাই উঠে বললো,ঘাবড়াবেন না সোনা থুক্কা আপা।আমি আছি অলয়েজ পাশে।

রেগে বললাম,চুপ কর টাকলা ব্যাটা।মেয়ের প্রেম ভাংতে গিয়া আমার সংসার ই ভাঙার উপক্রম হইছে।

ও লিমুর আব্বা...খারাও..তুমি ভুল ভাবতেছো,দুনিয়ার সব মধুই ভেজাল,তুমি ই আসল।

ও লিমুর আব্বা খারাও কইলাম.....

05/11/2024

গ্রীর ইনভার্টারের রিমোটের সব কয়টি বাটনের কাজ।

Mode button- মোড বাটনে ক্লিক করলে প্রথমে আসবে অটো মোড, রুমের টেম্পারেচার দেখে এসি কুল, ফ্যান, ড্রাই মোডে চলবে। এই মোডে এসি চালানোর দরকার নাই। বিল বেশি আসবে।

Cool mode-এই মোড হচ্ছে এসির ডিফল্ট মোড, কুল মোডে সেট টেম্পারেচার ২৬ রাখবেন।

Dry mode- এটি বর্ষাকালের মোড, রুম যখন স্যাতস্যাতে হবে, ভেজা ভেজা ভাব থাকবে রুমে তখন এই মোড চালু করতে হয়। কম্প্রোসার তখন কম ওয়াটে চালু হবে, ইনডোর ফ্যান লো স্পিডে থাকবে তখন।

Fan mode- এই মোডে শুধু ইনডোরের ফ্যান চলবে। এসি ঠান্ডা বা গরম কিছুই দিবে না এই মোডে।

Heat mode- যাদের এসিতে Heat ফিচার আছে তারা এই মোডে শীতের সময় গরম বাতাস পাবেন এই মোডে। এই মোড কিন্তু সব রিমোটেই আছে, কিন্তু সব এসিতে হিট ফিচার নাই।

Fan button-ফ্যানের স্পিড কমানো, বাড়ানোর কাজ করে এই বাটন।
যত বেশি দাগ ততবেশি স্পিড, Auto লেখা উঠলে তখন ফ্যানও অটো করবে। মানে কুলিংয়ের সময় ফ্যানের স্পিড কমবে, বাড়বে।

On/off button-এসিকে অন/অফ করা এই বাটনের কাজ।

left/right swing button-এসির বাতাসকে ডানে/বামে করতে এই বাটনে ক্লিক করতে হয়।

Up/Down swing button-এসির বাতাসকে উপর নিচে করতে এই বাটন ব্যবহার হয়।

Turbo button - রুম টেম্পারেচার বেশি হলে, রুম দ্রুত/বেশি ঠান্ডা করতে চাইলে এই বাটন অন করতে হয়। এই বাটন সবসময় অন করা ঠিক না।

Up Arrow button- সেট টেম্পারেচার বাড়াতে এই বাটন ব্যবহার করা হয়।

Down Arrow button- সেট টেম্পারেচার কমাতে এই বাটন ক্লিক করতে হয়।

Sleep button-এই বাটনে ক্লিক করলে এসির সেট করা টেম্পারেচার প্রতি ঘন্টায় ১ ডিগ্রি করে বাড়বে। মানে, ইউজার সেট টেম্পারেচার ১৮ রেখে Sleep button অন করে রিমোট রেখে দিলো, তাহলে এসিটি ১ ঘন্টা পর সেট টেম্পারেচার ১৯ করবে। ২ ঘন্টা পর ২০, এভাবে ২৫ পর্যন্ত যাবে।
যারা সেট টেম্পারেচার ২৫-২৬ রাখেন, এই মোড তাদের জন্য না।

I feel button- ইউজারের সেট করা টেম্পারেচার থেকে এসিটি যদি কম/বেশি ঠান্ডা দেয়, তখন এই বাটন চালু করে রিমোটকে এসির দিকে রেখে, ইউজারের কাছাকাছি রাখলে, ইউজার তার সেট করা কমফোর্টেবল কুলিং পাবে। এই সেটিংয়ে এসি তার মেইন সেন্সরকে না পড়ে, রিমোটে থাকা সেন্সরের চাহিদামতো কুলিং কম/বেশি করে। রুমে কমফোর্টেবল কুলিং থাকলে এই ফিচার অফ রাখা উচিত।

Timer On- এই বাটন অন করে রাখলে সেট করা টাইমে এসি অন হবে।

Timer Off-সেট করা টাইমে এসি অফ হবে।

Clock Button-এই বাটন দিয়ে অন/অফ টাইম সেট করা হয়।

Health button-গাছ হচ্ছে হেল্থ ফিচার, এই ফিচার অন করলে এসি আয়ন উৎপাদন করে রুমের বাতাসে হিউমিডিটির ভারসাম্য ঠিক রাখে, এবং রুমে থাকা জীবাণুকে ধব্বংস করে।

হেল্থ মোডে আরেকটি ফিচার আছে, যেটির নাম হচ্ছে স্ক্যাভিগিনিং ফিচার।
রুম থেকে বেড স্মেল ধূর করা করা এই ফিচারের কাজ।

Quiet button- এই বাটনে ফ্যান স্পিড লোতে থাকবে, এসির ইনডোরে সাউন্ড কমবে, তবে এই বাটনে বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে।

Wifi Button-এই বাটন দিয়ে এসিকে মোবাইল দিয়েও অপারেট করা যাবে।
এজন্য ঘরে ওয়াইফাই থাকতে হবে, মোবাইলে gree+ অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে।

Temp- এই বাটনে ক্লিক করলে সেট টেম্পারেচার, রুম টেম্পারেচার এবং আউটডোরের টেম্পারেচার দেখা যায়।

Light button- এই বাটনে ক্লিক করে এসির ডিসপ্লের লাইটকে অন/অফ করা যায়।

X fan feature- ফ্যান বাটনকে ৩ সেকেন্ড প্রেস করে রাখলে, রিমোটের সেট টেম্পারেচারের বামপাশে যে ফ্যানটি দেখা যায়, ঐটিই x fan feature.

এসিকে কুল মোডে চালু করার পর, এসির কুলিং চালু হলে, এসির ইনডোরের কয়েল ভিজে যায়, এবং পানি উৎপন্ন হয়, এই পানি পুরোপুরি ড্রেন লাইন দিয়ে বের হয় না, কিছু পানি এসিতে থাকে। পানির সাথে ধুলোও থাকে। x fan চালু রাখলে, রিমোট দিয়ে এসি বন্ধ করার পরও, ৩ মিনিট ইনডোর ফ্যান চালু থাকে, এবং এই পানি/ভেজা কয়েলকে শুকিয়ে ফেলে।
এতে করে এসিতে ব্যাড স্মেল হয় না।
আর ভেজা কয়েলে রাশ পড়ে না, তাতে ইনডোর কয়েলে লিকেজ হওয়ার সম্ভাবনা ও কমে।

Self clean/Frost Clean- এসিকে রিমোট দিয়ে বন্ধ করে নিবেন, এরপর ফ্যান বাটন আর মোড বাটনকে একসাথে ৫ সেকেন্ড প্রেস করে রাখবেন। এসির ডিসপ্লেতে cl লেখা উঠবে। এরপর রিমোট রেখে দিন, এসি নিজে থেকে সেল্ফ ক্লিন হয়ে আগের মোডে চলে যাবে। সেল্ফ ক্লিনের আগে ফিল্টার পরিষ্কার করে নিবেন, সেল্ফ ক্লিনের সময় আওয়াজ হবে, ভয়ের কিছু নাই।

Se Mode- ইউজার যদি মনে করে তার এসিটি কম বিদ্যুৎ নিয়ে চালু থাকুক, ঠান্ডা কম দিলেও সমস্যা নাই। তাহলে Se mode অন করে নিবেন।
বেশি গরমে se মোড না।

temp+clock বাটন একসাথে চেপে ধরলে/প্রেস করলে Se mode আসবে।

F/C মোড-রিমোটে যদি সেলসিয়াসের পরিবর্তে ফারেনহাইট সেট হয়ে যায়, তাহলে Mode button আর Up arrow button কে একসাথে ক্লিক করতে হবে।

Child lock- এসির রিমোটকে যদি লক করে রাখতে হয়, তাহলে Up arrow button+Down arrow buttonকে একসাথে প্রেস করলে/ চেপে ধরলে রিমোট লক/আনলক হবে।

আরও কিছু বাকি থাকলে কমেন্টে বলা যাবে।
কালেক্ট ফ্রম 👉 GREE AC USER OF BANGLADESH
গ্রী এসি নিয়ে আর ও অনেক কিছু জানতে গ্রুপ টাতে জয়েন করার অনুরোধ রইল।

Address

Dhaka
Narsingdi
1600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sathi's Kitchen & Vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sathi's Kitchen & Vlog:

Videos

Share

Category