গীতা অনুরাগী জ্ঞান নিকেতন

গীতা অনুরাগী জ্ঞান  নিকেতন Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from গীতা অনুরাগী জ্ঞান নিকেতন, Media, Narsingdi.

21/03/2024

গীতা পাঠ

18/03/2024

পঞ্চতত্ত্ব মন্ত্র 🙏

24/02/2024
শুভ নিত্যানন্দ ত্রোয়দশী  পতিতপাবন তুমি দোষদৃষ্টিশূণ্য। তোমারে সে জানে যার আছে বহুপুণ্য ॥ সর্বযজ্ঞময় এই বিগ্রহ তোমার। অব...
22/02/2024

শুভ নিত্যানন্দ ত্রোয়দশী

পতিতপাবন তুমি দোষদৃষ্টিশূণ্য। তোমারে সে জানে যার আছে বহুপুণ্য ॥ সর্বযজ্ঞময় এই বিগ্রহ তোমার। অবিদ্যাবন্ধন খণ্ডে স্মরণে যাহার ॥ যদি তুমি প্রকাশ না কর আপনারে। তবে কার শক্তি আছে জার্নিতে তোমারে ॥ মূর্খ, নীচ, অধম, পর্তিত উদ্ধারিতে। তুমি অবতীর্ণ হইয়াছ পৃথিবীতে ॥

-শ্রীল অদ্বৈত আচার্য শ্রীচৈতন্যভাগবত আদিখন্ড, পঞ্চম অধ্যায়

27/09/2023

শ্রী রাধা অষ্টমীর ইতিহাস♥️♥️♥️♥️

পদ্ম পুরানে রাধাষ্টমীর পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, বহু বহু কাল আগে সূর্যদেব পৃথিবী ভ্রমণ করতে এসে পৃথিবীর রূপ, সৌন্দর্য এবং অনাবিল আনন্দ দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং মন্দার পর্বতের গুহায় গভীর তপস্যায় মগ্ন হন। এইভাবে অনেকদিন চলে যায়, সূর্যের অনুপস্থিতিতে পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পৃথিবীবাসী হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ।
সূর্যের আলো ছাড়া পৃথিবী কোনো ভাবেই বাঁচতে পারে না। তখন বাধ্য হয়ে ভীত – সন্ত্রস্ত স্বর্গের দেবতারা শ্রী হরির শরণাপন্ন হন সাহায্যের জন্য। শ্রী হরি অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণু তাদের সকলকে আশা দিয়ে ফিরে যেতে বলেন। তারপর মন্দার পর্বতের গুহায় তপস্যারত সূর্যের সামনে গিয়ে তিনি উপস্থিত হন।
সূর্যদেব খুবই আনন্দিত হয়ে বলেন যে, শ্রী হরির দর্শন পেয়ে তার এতদিনের তপস্যা সার্থক হয়েছে। সূর্যদেবের সাধনায় তুষ্ট হয়ে শ্রী হরি তাকে বর দিতে চাইলে সূর্যদেব বলেন যে, আমাকে এমন একটি গুণবতী কন্যার বর প্রদান করুন, যার কাছে আপনি চিরকাল বশীভূত থাকবেন।
শ্রী হরি সূর্যদেবকে সেই বর প্রদান করেছিলেন এবং বলেছিলেন পৃথিবীর ভার কমানোর জন্য আমি বৃন্দাবনের নন্দালয়ে কৃষ্ণ রূপে জন্মগ্রহণ করব। তুমি সেখানে বৃষ ভানু রাজা হয়ে জন্মাবে। আর তোমার কন্যা রুপে জন্মগ্রহণ করবে রাধা।

এই ত্রিলোকে আমি একমাত্র শ্রীরাধিকারই বশীভূত থাকবো। রাধা এবং কৃষ্ণের মধ্যে কোন প্রভেদ থাকবে না। সকলকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা আমার আছে, কিন্তু এই জগত সংসারে একমাত্র রাধিকাই আমাকে আকর্ষণ করতে পারবে। সেইমতো প্রতিশ্রুতি অনুসারে মর্ত্যের নন্দালয়ে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণ। সূর্যদেব বৈশ্য কুলে জন্মগ্রহণ করেন বৃষভানু রাজা হয়ে।

তারপর সময় মতো ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষে অষ্টমী তিথিতে পৃথিবীর বুক পবিত্র করে রাধা রাণী আবির্ভাব গ্রহণ করেন। শ্রীরাধার এই আবির্ভাব তিথিকেই রাধা অষ্টমী বলা হয়। যেটা তার জন্মদিন হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে।

একদিন রাজা বৃষ ভানু নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্নানের জন্য জলে নামতেই আশ্চর্য হয়ে গেলেন যে, শত সহস্র সূর্যের আলোকের মতো জ্যোতির্ময় একটি স্বর্ণপদ্ম ঠিক যেন যমুনা নদীর মাঝখানে ফুটে আছে। এরপর রাজা বৃষভানু লক্ষ্য করলেন যে সেই স্বর্ণপদ্মের মধ্যে একটি শিশু কন্যাও রয়েছে।

তিনি অবাক হয়ে গেলেন, ঠিক তখনই ভগবান ব্রহ্মা এসে রাজাকে জানালেন যে, রাজা বৃষভানু ও তার পত্নী কীর্তিদা পূ

26/08/2023

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা🙏 একটাই কিন্তু ব্যবহার অনেক।
আমি যদি মনে করি "গীতা"আমি পড়াশোনার সাথে পাঠ করবো তাহলে আমার শিক্ষা জীবন সুন্দর হবে, আমি যদি মনে করি অফিসে বসে পাঠ করবো তাহলে আমার কর্ম জীবন সুন্দর হবে, আমি যদি মনে করি আমার পূজোর স্থানে রেখে পাঠ করবো তাহলে আমার ধর্ম কি আমি জানতে পারবো।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শুধু একটা গ্ৰন্থ নই আমাদের বন্ধু, আমাদের শিক্ষা গুরু, আমাদের ধর্ম, আমাদের ভালোবাসা।
আপনি ঠিক যে মনোভাব নিয়ে পাঠ করবেন
গীতা ঠিক সেই মনোভাবে আপনার জীবনে কাজ করবে ।
ঠিক যেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভালো বন্ধু, ভালো পুত্র, ভালো রাজা, ভালো পথ প্রদর্শক, ভালো প্রেমিক সব কিছু।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে
🙏জয় গীতা 🙏

🔰🌸⚛সনাতন বৈজ্ঞানিক দর্শন🕉🌺🙏🍀এক মা নিজের পূজা-পাঠ সেরে,বিদেশে থাকা নিজের ছেলেকে "ভিডিও কল" করে,কথার ফাঁকে জিজ্ঞাসা করে বস...
18/08/2023

🔰🌸⚛সনাতন বৈজ্ঞানিক দর্শন🕉🌺🙏

🍀এক মা নিজের পূজা-পাঠ সেরে,বিদেশে থাকা নিজের ছেলেকে "ভিডিও কল" করে,কথার ফাঁকে জিজ্ঞাসা করে বসলেন-
" অর্থ রোজগারের পাশাপাশি পূজাপাঠও করছো তো?
ছেলের দাম্ভিক উত্তর-
মা তুমি জানো,আমি এক জীববৈজ্ঞানিক। আমি এখন আমেরিকায়,মানব বিবর্তনের উপর কাজ করছি।
এই বিবর্তনের সিদ্ধান্ত কি?
চার্লস ডারউইন...
মা,তুমি জানো তার সম্পর্কে?
তার মা মৃদু হাসলেন,এবং উত্তর দিলেন-
হ্যাঁ,আমি জানি ডারউইন সম্পর্কে। তবে তিনি যা-ই ব্যাখ্যা দিয়েছেন,তা সকলই সনাতন শাস্ত্রগ্রন্থের বহু পুরানো অধ্যায়।
ছেলে ব্যাঙ্গ করে বলল-হতে পারে মা?
তার মা সেই ব্যাঙ্গের প্রতিবাদ করে বললেন- যদি তুমি প্রকৃতই নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবো...
আচ্ছা,তুমি কি দশাবতার সম্পর্কে শুনেছ?
হ্যাঁ শুনেছি। কিন্তু আমার পরীক্ষা-নীরিক্ষার সঙ্গে দশাবতারের কি সম্পর্ক?
সম্পর্ক অবশ্যই আছে বেটা। শোনো,আমি তোমাকে বোঝাচ্ছি- তুমি এবং ডারউইন এখনও কোন বিষয়গুলি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ আছো।
দশ অবতারের প্রথম অবতার ছিল-মৎস্য অর্থাৎ মাছ।
এটা সকলকে বোঝাতে যে,জীবন জল থেকেই প্রথম শুরু হয়েছে।
ঠিক কি না?
এবার পুত্র মনোযোগ সহকারে শুনতে লাগল।
এরপর দ্বিতীয় অবতার হলো-কুর্ম অর্থাৎ কচ্ছপ।
অর্থাৎ জীবন এবার জল থেকে ভূমির দিকে আসা শুরু করল।
প্রথম অবস্থায় উভচররূপে ( Amphibian) রইল। এই কচ্ছপই-
বিবর্তনকে সমুদ্র থেকে ভূমির দিকে নির্দেশ করছে।
তৃতীয় হলো-বরাহ অবতার। যার দ্বারা জঙ্গলের জন্তুদের বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ জীব তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জঙ্গলে ধাবিত হলো। তাদের বুদ্ধি তখনও তেমন উন্নত নয়। বিজ্ঞানের ভাষায় তোমরা যাদের "ডাইনোসর" বলো।
অর্থাৎ সরীসৃপ ও পক্ষীর মধ্যবর্তী অবস্থা।
ছেলে এবার বড় বড় চোখ করে শুনতে লাগল,এবং "হ্যাঁ" বলে সহমতিও জানাল।
চতুর্থ অবতার হলো নৃসিংহ-অর্ধেক মানব,অর্ধেক পশু।
যা ধীরে ধীরে জংলী জীব থেকে,উন্নত বুদ্ধিমান জীবের বিবর্তনকে নির্দেশ করছে।।
পঞ্চম অবতারে এল-বামন অবতার। "বামন" -
যে লম্বায় অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারত।
তুমি কি জানো,সেই সময় দুই প্রকারের মানুষ ছিল- হোমোইরেক্টস (নরবানর) ও হোমোসেপিয়েন্স (মানব)। আর এই হোমোসেপিয়েন্সই বিবরতনের লড়াইয়ে জয়লাভ করে।
এই ব্যাখ্যাই তো দিয়েছেন "যোগ্যতমের উদবর্তন" রূপে- তোমার ডারউইন?
ছেলে তো দশাবতারের ব্যাখ্যার বিস্তার শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল।
মা আবার বললেন-
"পরশুরাম" এলেন ষষ্ঠ অবতারে। যার মধ্যে ছিল শস্ত্র

সনাতনী শাস্ত্রে পাঁঠা বলির কোনো উল্লেখ নেই❌ উল্লেখ রয়েছে ছাগ বলির কথা। “ছাগ” মানে ছাগল বা পাঁঠা নয়। “ছাগ” শব্দের অর্থ ষড়...
17/08/2023

সনাতনী শাস্ত্রে পাঁঠা বলির কোনো উল্লেখ নেই❌ উল্লেখ রয়েছে ছাগ বলির কথা। “ছাগ” মানে ছাগল বা পাঁঠা নয়। “ছাগ” শব্দের অর্থ ষড়রিপু। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য – এই ষড়রিপুকে এক কথায় ছাগ বলে। প্রকৃত অর্থে এই ষড়রিপুকেই বলি দিতে হয়। মায়ের কাছে নিরীহ প্রাণী বলি দিয়ে আমরা নিজেরাই পাপের ভাগিদার হচ্ছি।
সংস্কৃততে একটি শব্দেরই অনেক অর্থ থাকতে পারে। যেমন “জীঘ্রং” শব্দের একটি অর্থ হত্যা করা এবং আরেকটি অর্থ দান করা। তদ্রুপ “ছাগ” শব্দের একটি অর্থ ছাগল, আরেকটি অর্থ ষড়রিপু।
একটি শ্লোকের প্রসঙ্গ তুলে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।
“যুধিষ্ঠিরস্য য়া কন্যা নকুলেন বিবাহিতা…”
এই শ্লোকটি যদি কোনো সাধারণ মানুষকে শোনানো হয়, তাহলে তিনি এর অর্থ করবেন, যুধিষ্ঠিরের মেয়েকে চতুর্থ পান্ডব নকুল বিয়ে করেছে।
কিন্তু না, তা একদমই নয়। আমাদের ভারতীয় সনাতনী সংস্কৃতি এইরূপ নোংরা নয়।
তাহলে এই শ্লোকটির প্রকৃত অর্থ কী? চলুন, তা জানার চেষ্টা করি।
যিনি সর্বদাই স্থির, তিনিই যুধিষ্ঠির। এখানে “যুধিষ্ঠির” মানে হিমালয় পর্বতকে বোঝানো হয়েছে আর হিমালয়ের কন্যা হচ্ছেন পার্বতী। পার্বতীর সাথে নকুলের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
ন কুল = অকুল; এখানে নঞ-তৎপুরুষ সমাস, যাঁর কোনো কুল নেই, তিনিই হচ্ছেন নকুল অর্থাৎ মহাদেব শিব। তাহলে এখানে “নকুল” মানে চতুর্থ পান্ডব নয়।
অর্থাৎ শ্লোকটির যথাযোগ্য অর্থ হচ্ছে, হিমালয়ের কন্যা পার্বতীর সহিত মহাদেব শিবের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
এইভাবেই সংস্কৃত শব্দের ভুল অর্থ সাজিয়ে, বেদের ভুল অনুবাদ করে বেদের মধ্যে “গোমাংস ভক্ষণ”-এর প্রসঙ্গ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে অনেকে ! এটি তো শুধুমাত্র একটি-দুটি উদাহরণ। এরকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে। সনাতনী সংস্কৃতিকে বিকৃত করার জন্য অন্য ধর্মের মানুষ সংস্কৃত শব্দের ভুল অর্থ বের করে এবং আমরা, সনাতনীরাও সংস্কৃত না জানার দরুন সেই ফাঁদে পা দিই।
সংস্কৃত না বোঝার কারণে আমাদের সনাতনী সমাজে আরও অনেক কুসংস্কার তৈরি হয়েছে। যেমনঃ-
১. শিব লিঙ্গ-এর অর্থ শিবের প্রতীক, মহাদেব শিবের লিঙ্গ নয়।
২. তেত্রিশ কোটি দেবতা মানে তেত্রিশ প্রকার দেবতা, সংখ্যায় ৩৩ কোটি দেবতা নয়।

অতএব দয়া করে কোনো হিন্দু উৎসবে পশুহত্যা করবেন না বা এই কাজকে সমর্থনও করবেন না।

বাল্মীকি রামায়নে উল্লেখ আছে রামচন্দ্র Nonveg খেতেন ❤❤❤❤❤❤❤যেমন সংস্কৃতে লিঙ্গম্ কথার অর্থ প্রতীক।(শিবলিঙ্গ-শিবের প্রতীক)...
03/08/2023

বাল্মীকি রামায়নে উল্লেখ আছে রামচন্দ্র Nonveg খেতেন
❤❤❤❤❤❤❤
যেমন সংস্কৃতে লিঙ্গম্ কথার অর্থ প্রতীক।(শিবলিঙ্গ-শিবের প্রতীক)
কোটি কথার অর্থ প্রকার।তোত্রিশ কোটি দেব দেবী।তেত্রিশ প্রকার দেবদেবী।
ঠিক তেমন,সংস্কৃতে মাম্ স /Mamsa কথার অর্থ ফলের ত্বক যা আমরা ভক্ষন করি এবং গাছের শিকড়।
দক্ষিন ভারতের মন্দিরে যখন ভগবানকে আম অর্পন করা হয় তখন বলা হয়,"ইতি আম্র মাংস খন্ড সমর্পয়ামি।"অর্থাৎ আমের মাংস বা ত্বক অর্পন করা হলো।
পুরাকালে অনেক ফল /সব্জী আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া হতো।
তাই ভুল বঙ্গানুবাদ পড়ে কিছু মানুষ ভাবতে শুরু করলো রামচন্দ্র বনের পশু মেরে পুড়িয়ে খেতেন।
বাল্মীকি রামায়নের যখন বঙ্গানুবাদ শুরু হয় মানুষ তা না বুঝে বিকৃত ভাবে লিখতে থাকে।যথার্থ বঙ্গানুবাদ তারা করতে পারেন নি বা অনেকে চান নি।যাতে সনাতনীরা ধর্ম থেকে দূরে চলে যায়।
বাল্মিকী রামায়নের,
২-৯৬-২, ২-২০-২৯, ২-৫০-৪৪, ২-৫৪-১৬
৫-৩৬-৪১ শ্লোক গুলি ভালো করে পড়লে বোঝা যায় শ্রীরাম কোনোদিন প্রানী পুড়িয়ে খান নি।তিনি ধর্মাত্মা ছিলেন।অধার্মিক ছাড়া কাউকে তিনি বধ করেন নি।
তাই তো তিনি পুরুষোত্তম শ্রীরাম🙏
(অনেকে মনে করেন যে বাল্মীকি রামায়নেই তো আছে রামচন্দ্র মাংস খেতেন-তার উত্তর দিলাম।)
সনাতন ধর্মকে জানি বুঝি তারপর সমালোচনা করি।

22/05/2023

✨🌿 কৃষ্ণ কালো কেন ? কৃষ্ণ কি আসলে কালো ?
উত্তরঃ না, কৃষ্ণ কালো না। তিনি এতটাই উজ্জ্বল যে, তাকে আমরা আমাদের এই জড় চক্ষু দিয়ে কালো দর্শন করি। কিন্তু কেন ?
উদাহরণঃ- সূর্য এত উজ্জ্বল যে আমরা এই জড়চক্ষু দিয়ে সূর্যের দিকে ১/মিনিট তাকিয়ে থাকলে তারপর যেদিকে তাকাই চারিদিক অন্ধকার কালো দেখতে পাই।
তাহলে বুঝুন সূর্যের এত আলো থাকা সত্ত্বেও তার দিকে তাকালে চারিদিক অন্ধকার কালো লাগে।
ঠিক তেমনই কৃষ্ণ কোটি কোটি সূর্যের আলোর ন্যায় আলোকিত তার এই সচিদানন্দ রূপ, তাই আমাদের এই জড়চক্ষু দিয়ে ভগবানের চিন্ময় কোটি কন্দর্পকমনীয় তার সচ্চিদানন্দ রূপকে দর্শন করতে পারবো না।
তিনি এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত জ্যোতির্ময় আলোয় আলোকিত তাই আমরা মানুষ তাকে কালো রূপে দর্শন করি।
আকাশের রং নীল কেন ? আকাশের গভীরতার জন্য তার রং নীল। সমুদ্রে জল নীল কেন ? সমুদ্রের গভীরতার জন্য সমুদ্রের জল নীল।
প্রভু শ্রীকৃষ্ণ গভীরের গভীরতম সৃষ্টি, আলো প্রকৃতি, বীজদাতা ও বীজসরুপ, তিনি নিত্য, তিনি সৃষ্টি, আদি, মধ্য ও অনন্ত।
তার রূপের গুনমহিমা এই জগতে কেউ বলতে পারবে না, একমাত্র ভগবানের শুদ্ধ ভক্তরা ছাড়া। কারণ ভক্তের হৃদয়ে গোবিন্দ সর্বদা বিরাজমান।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে...
জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏

21/05/2023

🌺🌺🌺একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় গল্প🌺🌺🌺
একজন লোকের মৃত্যু হয়ে গেল । যখন তার জ্ঞান ফিরলো তখন সে দেখলো স্বয়ং ভগবান হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে তার কাছে আসছেন ।
এসেই ভগবান বলছেন - " পুত্র , চলো
এখন সময় হয়ে গেছে ।
আশ্চর্যজনক হয়ে লোকটি বললো -" এখন !
এত তাড়াতাড়ি ?
এখনো তো আমাকে অনেক কর্ম করতে হবে, আমি ক্ষমা চাইছি ভগবান , এখনও আমার যাওয়ার সময় হয় নি ,
তবে আপনার এই ব্যাগে কি আছে ?"
ভগবান বললেন - " তোমার জিনিষ । "
লোকটি বললো - " আমার জিনিষ !! তারমানে আমার বস্তু, আমার কাপড় , আমার ধন -দৌলত তা ই তো ভগবান ? "
ভগবান বললেন - "এই বস্তুগুলি তোমার নয়, এগুলি তো পৃথিবীর সম্বন্ধীয় জিনিষ। "
লোকটি বললো - " তাহলে এই ব্যাগে কি আমার স্মৃতি আছে ?"
ভগবান বললেন - " এটা তো কখনোই তোমার ছিল না ,
এটা তো শুধুমাত্র সময়েরই ছিল ? "
লোকটি বললো - " তাহলে এতে আমার পরিবার আর বন্ধুদের স্মৃতিই থাকবে ?"
ভগবান বললেন - " ক্ষমা করো পুত্র , এরা তো কখনোই তোমার ছিলনা ।
তারা হলো তোমার জীবনের চলার
রাস্তায় দেখা হওয়া পথিকের মতো । "
লোকটি বললো - " তাহলে তো আমি নিশ্চিত যে এই ব্যাগে আমার শরীরটা ই থাকবে । "
ভগবান বললেন - " এটা তো তোমার হতেই পারেনা , কারন এই শরীর হলো চিতার ভষ্ম মাত্র । "
লোকটি বললো - " ভগবান , তাহলে কি এটাতে আমার আত্মা আছে ?"
ভগবান বললেন - " না , এটা তো আমার।"
এবার লোকটি ভয়ভীত হয়ে ভগবানের হাত থেকে ব্যাগটি নিয়ে নিল এবং খুলে দেখলো সেই ব্যাগটি খালি !
তখন লোকটির চোখে জল এসে গেল এবং বললো -
" হে ভগবান ,
আমার কাছে কি কখনো কিছু ছিল না ?"
তখন ভগবান বললেন -
" হ্যাঁ , এটাই সত্য ,প্রত্যেক মুহূর্ত
যেটা তুমি বেঁচে ছিলে , আজ জীবিত ছিলে , নিজের জীবন নিজের মতো করে বেঁচে ছিলে , জীবনটা হচ্ছে ক্ষনিকের এবং সেই ক্ষন বা মুহূর্তটাই শুধু তোমার ছিল...!
এছাড়া এই জগতে ' তোমার ' বলে কিছু নেই । "
তাই ভগবৎ ভক্তজন , সবসময় হাসি খুশী থেকে প্রভুর নাম জপ ও কীর্তন করবেন , এটাই একমাত্র কথা যেটা খুবই
গুরুত্ব রাখে । ভৌতিক বস্তু আর যেই জিনিষের জন্য আপনি দিন রাত লড়াই করছেন , পরিশ্রম করছেন আপনি এখান থেকে কিছুই নিয়ে যেতে পারবেন না
🌹 এটাই সত্য - এটাই বাস্তব"
🌺🌺🌺হরে কৃষ্ণ🌺🌺🌺
🌿🌿🌿রাধে রাধে🌿🌿

13/05/2023

অর্জুন শ্রীকৃষ্ণ কে জিজ্ঞেস করল, হে কেশব! মৃত্যু যখন সকলের নিশ্চিত।
তাহলে আমরা সৎসঙ্গ, ভজন, কীর্তন কেন করছি?
যারা সংসার ভোগ, কামনা বাসনা পূর্ণ করছে তাদেরও মৃত্যু হবে।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বললেনঃ
হে পার্থ! বিড়াল যখন ইঁদুর ধরে তখন দাঁত দিয়ে কামড়ে তাকে বধ করে ভোজন করে।
কিন্তু সেই দাঁত দিয়ে যখন নিজের বাচ্চাকে কামড়ে ধরে
তখন বধ করে না। কোমল ভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করে।

দাঁত একই, মুখ ও একই কিন্তু পরিনাম পৃথক পৃথক।ঠিক তেমনি মৃত্যু সকলের নিশ্চিত কিন্তু একজন প্রভুর ধামে অপরজন চুরাশি চক্রে।

মৃত্যু সকলেরই অনিবার্য। জন্মিলে মরিতে হবে এটাই বিধির বিধান। দেহে প্রাণবায়ু থাকতে আপনি এই দেহকে কেমন ভাবে পরিচালনা করেছেন তার উপর নির্ভর করেই আপনার প্রাপ্তি ঘটবে।

জড় সুখ ভোগ করে যদি সম্পূর্ণ জীবন অতিবাহিত করেন, কৃষ্ণ সেবায় নিজেকে সমর্পন না করেন। তবে মৃত্যুর পর এই দুঃখালয় নামক জগৎ সংসারে আপনাকে নানা দেহে নানা ভাবে ফিরে এসে কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি এই মনুষ্য জীবন কৃষ্ণ ভজনায় সমর্পন করেন। শুদ্ধ ভক্তি, পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে অনাদির আদি গোবিন্দের ভজনা করেন, সাধু সঙ্গ করেন, তাহলে মৃত্যুর পর ভগবান স্বয়ং আপনার সঙ্গী হবেন। কৃষ্ণভাবনায় জীবন অতিবাহিত করার ফলে হয় তো মৃত্যুর পর আর এই জড় জগতে আসতেই হবে না। স্বয়ং পরমেশ্বরের শ্রীচরণে ঠাই পাবেন।

সুতরাং মনুষ্যের এই দুর্লভ জীবনে জড় জাগতিক কর্মের পাশাপাশি যতটুকু সম্ভব সাধু সঙ্গ করুন। হরি নাম শ্রবন করুন। কৃষ্ণ নাম প্রচার করুন।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

® তিলক ফোটা

06/05/2023

♦️প্রশ্ন: অসৎ ব্যক্তিগণ যখন মূর্তি ভেঙে ফেলে তখন ভগবান নিজের প্রভাব ও চমৎকারিত্ব কেন প্রদর্শন করেন না⁉⁉️
উত্তর : মূর্তির উপর যার কোন ভালবাসা নেই, যার মূর্তিপূজনকারী ব্যক্তিদের উপর হিংসাভাব থাকে, সেই হিংসাভার সহকারে যারা মূর্তি ভেঙ্গে ফেলে থাকে, তাদের জন্য ভগবান তাঁর প্রভাব এবং মহত্ব কেনই বা প্রকাশিত করবেন? ভগবানের মহত্ব শ্রদ্ধাভাবের ক্ষেত্রেই প্রকাশিত হয় । যারা মূর্তিপূজা করেন তাঁদের “মূর্তিতে ভগবান আছেন”, এই বিশ্বাস পূর্ণভাব না থাকার জন্যই অধার্মিক ব্যক্তি মূর্তি ভাঙ্গতে চায় এবং ভগবানও তাঁর প্রভাব তাদের কাছে প্রকাশিত করেন না। আবার যে সব তক “মূর্তিতে ভগবান আছেন” এ কথা দৃঢ়ভাবে শ্রদ্ধা-বিশ্বাস করেন, সেখানে ভগবান নিজ প্রভাব বিস্তার করেন। যেমন, গুজরাটে সুরাটের কাছে এক শিবের মন্দির আছে। তাতে যে শিবলিঙ্গ আছে, তাঁর গাত্রে অসংখ্য ছিদ্র। তার কারণ যখন মুসলমানেরা সেই শিবলিঙ্গটি ভাঙ্গতে এসেছিল তখন, সেই লিঙ্গ থেকে অসংখ্য বড় বড় ভ্রমর বেরিয়েছিল এবং দুর্বৃত্তদের তাড়িয়ে দিয়েছিল ।যে ব্যক্তি পরীক্ষায় পাস করতে চায়, সে-ই পরীক্ষককে সম্মান জানায়, তাঁর অধীনস্থ হয় ; কারণ পরীক্ষক যদি উত্তীর্ণ করান তবে সে উত্তীর্ণ হবে আর যাকে তিনি অযোগ্য মনে করেন সে অনুত্তীর্ণ থেকে যায়। কিন্তু ভগবানের কোন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার দরকার নেই; কারণ তাতে তাঁর মহত্ব কিছু বাড়বে না। আবার উত্তীর্ণ না হলেও তাঁর মহত্ব কিছুমাত্র কমবে না। রাবণ যখন ভগবান রামের পরীক্ষা নেবার জন্য মায়াবী মারীচকে স্বর্ণমৃগ করে পাঠিয়েছিলেন এবং ভগবান রাম স্বর্ণমৃগের পিছনে দৌড়েছিলেন ; অর্থাৎ রাবণের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন, তাতে দুষ্ট রাবণের পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হয়ে ভগবানের কোন অভিজ্ঞান পত্রের প্রয়োজন ছিল কি? সেই ভাবেই অসৎ লোকেরা ভগবানের পরীক্ষা নেয়ার জন্য মন্দির ভাঙ্গেন এবং ভগবান তাদের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন, তাঁদের সামনে নিজ প্রভাব প্রকাশিত করেন না; কারণ অসৎ লোকেরা এই অসৎ ভাব দ্বারা তাঁর সম্মুখীন হয়ে থাকে।একটিকে বস্তুগুণ এবং অপরটিকে ভাবগুণ বলা হয়। এই দুটি গুণ পৃথক পৃথক। যেমন স্ত্রী, মা এবং বোন এদের তিন জনের শরীর একই প্রকার ; অর্থাৎ স্ত্রীর শরীর যেমন, মায়েরও তেমন এবং বোনেরও সেই একই রকম ভাবে গঠিত। অতএব এই তিনেতেই বস্তুগুণ একই প্রকার। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে এক ভাব, মায়ের সঙ্গে আরেক ভাব এবং বোনের সঙ্গে অন্যপ্রকার ভাব থাকে। সুতরাং বস্তুগুণ একপ্রকার হলেও ভাবগুণ পৃথক পৃথক । জগতে বিভিন্ন স্বভাবের ব্যক্তি, বস্তু ইত্যাদি আছে, অতএব তাদের বস্তুগুণ পৃথক পৃথক ভাবে থাকলেও যেহেতু সবার মধ্যেই ভগবান পূর্ণরূপে আছেন তাই ভাবগুণে সব এক। এইরূপে মূর্তিতে যার শ্রদ্ধা আছে তিনি, “মূর্তিতে ভগবান বিরাজ করেন, “এই ভাবগুণ সম্পন্ন হন । মূর্তিতে যাঁর শ্রদ্ধা নেই, তিনি, “মূর্তি পাথর, পিতল, রূপা ইত্যাদির তৈরি"-- এই বস্তুগুণ সম্পন্ন হন। এর বিশেষত্ব এই যে, পূজকের যদি মূর্তিতে ভগবদ্ভাব থাকে তাহলে তাঁর জন্য মূর্তি সাক্ষাৎ ভগবানই স্বয়ং। যদি পূজকের ভাব এই হয় যে, মূর্তি পিতলের, পাথরের বা রূপার তাহলে তার জন্য সেই মূর্তি কেবলমাত্র পাথর বা পিতল ইত্যাদির হয়েই প্রতিভাত হয়। কারণ ভগবান ভাবেই বিরাজিত-
“ন কাষ্ঠে বিদ্যতে দেবো ন শিলায়াং ন মৃত্যু চ । ভাবে হী বিদ্যতে দেবস্তস্মাদ্ ভাবং সমাচরেৎ ॥
(গরুড়ঃ উত্তরঃ ৩/১)
অনুবাদ:দেবতা কাঠেও থাকেন না বা পাথর এবং মাটিতেও না, ভাবেই দেবতার বাস, সেই জন্য ভাবকেই প্রধানরূপে মানা উচিত ।
এক বৈরাগী বাৰাজী ছিলেন। তাঁর কাছে দুটি স্বর্ণ নির্মিত মূর্তি ছিল। একটি গণেশের অপরটি ইঁদুরের। দুটিই সম ওজনের ছিল। বাবাজী রামেশ্বর যাওয়া স্থির করলেন। সেই জন্য তিনি এক স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে বললেন, “ভাই। এই মূর্তি দুটির বদলে কত টাকা দেবে?” স্বর্ণকার সে দুটি ওজন করে দুটিরই পাঁচ পাঁচশত টাকা করে দাম ; অর্থাৎ দুটিই সমমূল্যের বলে জানালেন। বাবাজী বললেন, “আরে! তুমি দেখতে পাচ্ছ না, একজন প্রভু, অপর জন তাঁর সওয়ারী? যা দাম গণেশের সেই একই দাম ইঁদুরের? তা কেমন করে হয়?” স্বর্ণকার উত্তর দিলেন, “বাবা, আমি গণেশজী আর তাঁর ইঁদুরের দাম বলিনি, আমিতো সোনার দাম বলেছি।” এর বিশেষত্ব হল যে বাবার দৃষ্টি ছিল গণেশ এবং ইঁদুরের উপর আর স্বর্ণকারের দৃষ্টি ছিল সোনার উপর ; অর্থাৎ বাবাজী ভাবগুণ দেখছেন, আর স্বর্ণকার বস্তুগুণ বিচার করছেন। তেমনি যাঁরা মূর্তি ভাঙ্গে তারা বস্তুগুণ দেখে ; অর্থাৎ সেটি পাথরের না পিতলের তাই বিচার করে। ভগবানও তাদের ধারণা অনুযায়ী পাথর ইত্যাদি হয়েই থাকেন।বাস্তবে দেখতে গেলে স্থাবর-জঙ্গম ইত্যাদি সবকিছু ভগবৎস্বরূপই। যাঁর মধ্যে ভারগুণ অর্থাৎ ভগবানের ভাবনা আছে তিনি সব কিছুতে ভগবৎ স্বরূপ দেখতে পান। কিন্তু যাতে বক্তৃগুণ ; অর্থাৎ সংসারের ভাবনা-চিন্তা থাকে, তিনি স্থাবর-জঙ্গম ইত্যাদি সবকিছুকে পৃথক পৃথক ভাবে দেখেন । এই কথাই মূর্তির বিষয়েও বুঝে নিতে হবে।মানুষ শ্রদ্ধাভাব দ্বারা মূর্তির পূজা করে, স্তুতি ও প্রার্থনা করে। কারণ সে মূর্তির মধ্যে বিশেষ ভাব দেখতে পায়। যে ব্যক্তি মূর্তি ভাঙ্গে, সেও মূর্তির মধ্যে বিশেষরূপ অবলোকন করে। যদি বিশেষরূপ না দেখবে, তবে সে মূর্তিগুলো ভাঙ্গবেই বা কেন? অন্য পাথর ইত্যাদি ভাঙ্গে না কেন? সুতরাং সেই ব্যক্তিও মূর্তিতে বিশেষরূপ আছে বলেই মানে। শুধু মূর্তিতে যাঁরা শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস রাখেন তাঁদের উপর ঈর্ষাবশতঃ, তাঁদের দুঃখ দেবার জন্য এরা মূর্তি ভাঙ্গে ।যে সব ব্যক্তি শাস্ত্র মর্যাদা অনুসারে নির্মিত মন্দির এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে স্থাপিত মূর্তিগুলো ভগ্ন করে তারা নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধি করার জন্য, হিন্দুদের মর্যাদা ভঙ্গ করার জন্য, নিজ অহঙ্কার ও নাম স্থায়ী করার জন্য এবং মূর্তিগুলোর ভগ্নাবশেষ দেখে হিন্দুদের পীড়িত হৃদয়কে দণ্ড করার জন্য হিংসাবশতঃ মূর্তিগুলো ভগ্ন করে, তারা ঘোর নরকে পতিত হয় ; কেন না তাদের নীতিই হচ্ছে অন্যকে দুঃখ দেয়া, অন্যকে নাশ করা। খারাপ উদ্দেশ্যের ফলও খারাপই হয়।

12/02/2023

মনুষ্য জনম পাইয়া রাধাকৃষ্ণ না ভজিয়া
জানিয়া শুনিয়া বিষ খাইনু
চৌরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমন করার পর আমরা এই দুর্লভ মনুষ্য জন্ম লাভ করেছি।পরমেশ্বর ভগবান আমাদের এই মনুষ্য শরীর দান করেছেন এই ভব সাগর পার হওয়ার জন্য।তাই, এই মনুষ্য দেহকে একটি নৌকার সাথে তুলনা করা হয়।আমরা এই মনুষ্য দেহ দিয়ে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে এই দুঃখময় জগৎ থেকে পরম আনন্দময় চিৎ জগতে চলে যেথে পারি।কিন্তু,আমরা এই মনুষ্য জন্মের গুরুত্ব না বুঝে এই দুর্লভ মনুষ্য জন্মকে বিফলে কাঠিয়ে দেই।মিছে মায়ার বশে আমরা পুত্র পরিবার বন্ধু-বান্ধবকেই ভালবাসি।কৃষ্ণকে ভুলে যাই।কিন্তু,অন্তিমে বন্ধু-বান্ধব-পুত্র-পরিবার কেউ আমাদের সঙ্গী হয় না।তাই,যারা প্রকৃতই বুদ্ধিমান তারা মায়া মোহ ত্যাগ করে শ্রীকৃষ্ণকে পরম আশ্রয় মনেকরে তার ভজনা করেন।সেই বুদ্ধিমান ব্যাক্তি শ্রীকৃষ্ণকে ভজনা করার ফলে সে অনন্ত আনন্দ লাভ করেন এবং অন্তিমে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে এজগৎ থেকে তার পরমানন্দময় ধামে নিয়ে যান।

08/02/2023

*সিঁদুরের সৃষ্টি কিভাবে হল। ময়ূরের পাখা কৃষ্ণ কেন ধারন করেন? মহাদেবের মাথায় সর্প কেন, কার্তিকের ময়ূর বাহন কেন? সকল উত্তর এখানে:-
- - - - - - -
*গোলোক বৃন্দাবন লীলায় কৃষ্ণ ভক্ত বিরজা ছিলেন খুব কৃষ্ণ অনুরাগী। সে একবার কাঁদতে শুরু করলে কৃষ্ণকে গিয়ে থামাতে হত। তা না হলে কান্না শেষ হত না। সে একদিন কৃষ্ণকে কাছে পেতে চাইল। কান্না করতেই কৃষ্ণ তার কুঞ্জে উপস্থিত হলেন।
এক সখি গিয়ে রাধাকে এ খবর দিতে রাধা রাগে বিরোজার কুঞ্জে আসলেন দরজা বন্ধ দেখে রাগে রাধা বিরজার কুঞ্জে আগুন লাগিয়ে দিল। তখন বিরজার কুঞ্জ দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগলো।
এমন সময় সেখানে যোগমায়া উপস্থিত হলেন। কৃষ্ণ বললেন" মা যোগমাতা তুমি বিরজাকে নদী বানিয়ে দেও; আর আমাকে সর্প বানিয়ে দেও; যাতে আমি নদীর বুকথেকে সর্প হয়ে পালিয়ে যেতে পারি।
যোগমায়া তাই করলেন। নদীর উপর দিয়ে কৃষ্ণ যখন সর্প রুপে ফনা তুলে চলে যায়। রাধা যোগমায়াকে দেখতে পেয়ে সব বুঝতে পেরে বললেন "মা তুমি বিরজাকে নদী, কৃষ্ণকে সর্প, বানালে এবার আমাকে ময়ূর রুপে সাজিয়ে দেও। যোগমায়া তাই করলেন; " ময়ূর গিয়ে তার ঠোঁট দিয়ে সর্পকে শক্ত করে ধরলেন। আর যেই সর্পকে ধরে ময়ূর উপরে তুললেন সেই সর্প থেকে রক্ত পড়তে থাকে।
তখন গোবিন্দ তার আসল রুপ ধারন করলো কিন্তু ময়ূর রুপি রাধা ময়ূর রুপে থাকলেন। কৃষ্ণ ছুটে গিয়ে ময়ূরের একটি পালক নিয়ে তার মাথার বাম দিকে গুজে রাখলেন। রাধে তুমি আমার ধ‍্যান, জ্ঞান সবার উপরে তোমার স্থান।
তখন ভোলানাথ এই লীলায় ছুটে এসে বলেন" প্রভু তুমি সর্প রুপী অনন্ত নাগ হয়ে থাক আমার মাথার উপরে। আর কার্তিক এসে ময়ূরটা তার বাহন হিসেবে নিয়ে নিল।
তখন সর্প থেকে রাধা রুপে ফিরে এসে রাধা *ঐ রক্ত মাথায় তুলে নিল সিঁথিতে তখন থেকে সিঁদুরের সৃষ্টি হল। সেই সত‍্য যুগ থেকে গোলকে সৃষ্টি হল এই সিঁদুরের।।
বৃহৎ সারাবলী গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা।।
।।সবাই ভাল থাকেন।।

08/02/2023

লাড্ডুর দোকানে গোপাল !! আমার ইষ্ট দেবতা কিন্তু, কালো সুবোধ বালক!!
অনেক বৎসর আগে বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দিরে এক পূজারী প্রত্যেক দিন পূজা দিয়ে রাত্রিবেলা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগে এক দোকান থেকে প্রতি রাতে চারটি করে লাড্ডু এনে গোপাল ঠাকুরের পাশে রেখে দিতেন এই ভেবে, যদি রাতে গোপালের ক্ষুধা পায়।
একদিন পূজারী ভুল বশত লাড্ডু না দিয়ে চলে গেলেন। গোপাল ঠাকুর সেই রাতে নিজেই গিয়ে ওই দোকানের সামনে এক বালক সেজে উপস্থিত হলেন। দোকানদারও অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন যে, পূজারী আসবে এবং লাড্ডু নিয়ে যাবে। কিন্তু পূজারী আর এলেন না। তাই দরজা বন্ধ করে বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। এমন সময় দোকানদার দেখলেন- ছোট্ট একটি শিশু তার কাছে দোকান খোলার জন্য বায়না ধরল, বাধ্য হয়ে দোকানদার দরজা খুলল, তারপর সেই শিশুটি চারটি লাড্ডু নিল। দোকানদার বললেন- "পয়সা তোমার বাবার কাছ থেকে কাল নিয়ে নেব।" তখন বালকটি বলল- "না, আমার হাতের একটা কঙ্কন খুলে দিচ্ছি, এটা নিন।" দোকানদার নিতে না চাওয়ায় জোর করে দিয়ে আসল।
পরদিন সকালে পূজারী এসে দেখেন- গোপালের হাতের একটি কঙ্কন নেই, বিছানায় লাড্ডু পড়ে আছে। অন্য সকল গয়নাও আছে। তখন পূজারীর চেঁচামেচিতে সবাই আসল, ওই দোকানদারও আসল এবং রাতের ঘটনা খুলে বললো সবাইকে এবং কঙ্কনটাও ফিরিয়ে দিল। তখন পূজারীর মনে হল যে, তিনি রাতে গোপালকে লাড্ডু দিয়ে যাননি।
আসলে, মন দিয়ে ভগবানের সেবা করলে তা যদি কোন একদিন ভুল হয়েও যায়, তাহলে ভগবানই তা করে নেন ভক্তকে ভালোবেসে।
️ জয় শ্রী গোপাল কি জয়🙏🙏🙏🙏❤❤

08/12/2022

ওঁ শব্দের অর্থ কী?
ওঁ শব্দের অর্থ হলো, ব্রহ্মা, বিষ্ণু,শিব।
পঞ্চতত্ত্ব কথাটির অর্থ কী?
পঞ্চতত্ত্ব কথাটির অর্থঃ পঞ্চ অর্থ পাঁচ।অর্থাৎ পাঁচ জন। তত্ত্ব অর্থ সত্যতা। সুতরাং পরম সত্যের পাঁচটি বিষয়।
পঞ্চ তত্ত্বের নাম গুলো কী কী?
চৈতন্য মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত আচার্য,গদাধর পন্ডিত, শ্রীবাস ঠাকুর।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা কার মুখনিঃসৃত বানী?
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বানী।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা কে রচনা করেন?
মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস।
১৬ নাম ৩২ অক্ষর কে কি মন্ত্র বলা হয়?
মহামন্ত্র বলা হয়, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে রাম।
এই মহামন্ত্রটি আমরা কোন গ্রন্থ থেকে পেয়েছি?
কলিসন্তরন উপনিষদ থেকে।
পঞ্চতত্ত্ব মন্ত্র কে কি মন্ত্র বলা হয়?
পঞ্চ তত্ত্বের মন্ত্রকে করুণাময় মন্ত্র বলা হয়।
শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক সংখ্যা কয়টি?
শ্রীমদ্ভগবদগীতার শ্লোক সংখ্যা সাতশটি।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
শ্রীমদ্ভগবদগীতা মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের ২৫ থেকে ৪২ তম অধ্যায়ের অন্তর্গত।
সনাতন কথাটির অর্থ কী?
সনাতন কথাটির অর্থ হলো চিরন্তন, চিরস্থায়ী, নিত্য। যা অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে।
যুগ কয়টি ও কি কি?
চারটি। যথাঃ সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ ও কলিযুগ।
পঞ্চতত্ত্ব পূর্বে কে ছিলেন?
চৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন স্বয়ং ভগবান, নিত্যানন্দ ছিলেন বলরামের অবতার, অদ্বৈত আচার্য ছিলেন বিষ্ণু ও শিবের যৌথ অবতার, গদাধর ছিলেন রাধা ঠাকুরানীর এবং অনন্য সখীগন, শ্রীবাস ছিলেন নারদ মনি।

08/12/2022

সর্বপ্রথম গিরীশ চন্দ্র সেন,
মুসলিমদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরান অনুবাদ করেন।
তিনি মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হননি।
তবে,
সর্বপ্রথম শ্রীমদ্ভগবদগীতাকে উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন মোহাম্মদ মেহেরউল্লাহ।
পরবর্তীতে তিনি ধর্মান্তর হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন।
সর্বপ্রথম গীতাকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন একজন প্যালেস্টাইনী যার নাম এল ফাতে কমানন্ডো।
যিনি পরবর্তীতে জার্মানীতে ইসকনের সাথে যোগ দিয়ে হিন্দু হয়ে যান।
সর্বপ্রথম ইংরেজী ভাষায় গীতাকে অনুবাদ করেন চার্লস উইলিকনস্।
যিনি পরবর্তীতে বলেন সব ধর্ম ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু সনাতন (হিন্দু) ধর্মই একমাত্র টিকে থাকবে।
সর্বপ্রথম ইসরাইলের হিব্রু ভাষায় গীতাকে অনুবাদ করেন, বেজাশিটায়ন ল ফহ্ন।
পরবর্তীতে তিনি ভারতে এসে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন।
সর্বপ্রথম রুশ ভাষায় গীতাকে অনুবাদ করেন নভিকভ।
যিনি পরবর্তীতে কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে যান ।
এছাড়া এ পর্যন্ত ২৯৩ জন মনীষী শ্রীমদ্ভগবদ গীতাকে অনুবাদ করেন।
এদের মধ্যে বাংলায় ৫৮, ইংরেজি ৮৮, জার্মান ১২, রুশ ৮, ফরাসী ৮, স্পেনিশ ১৩, আরবি ৫, উর্দু ৩ ইত্যাদি আরো বেশ কয়েকটি ভাষায় শ্রীমদ্ভগবদ গীতাকে অনুবাদ করেন।
নিজ ধর্ম কে সঠিক করে জানলে আজ কেউই ধর্মান্তরিত হতো না 🙂🙂 কিন্তু আমারা বাঙালি না বুঝে গুজবে বিশ্বাসি।।
জয় শ্রী গীতা 🙏
জয় সনাতন 🙏🔱

10/11/2022

গীতা অনুরাগী জ্ঞান নিকেতন (গীতা জ্ঞান), প্রধান কার্যালয়ঃ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার মন্দির, হাজিপুর, নরসিংদী।

★কম বয়সে থেকে ভগবানের ভক্তি করা উচিৎ কেন❓ #কারনঃ-১) শৈশবের ভক্তি: ঘিয়ের প্রদীপের মতো!২) যৌবনের ভক্তি হলো: "তৈলের প্রদীপে...
04/11/2022

★কম বয়সে থেকে ভগবানের ভক্তি করা উচিৎ কেন❓
#কারনঃ-
১) শৈশবের ভক্তি: ঘিয়ের প্রদীপের মতো!
২) যৌবনের ভক্তি হলো: "তৈলের প্রদীপের মতো"!
৩) বৃদ্ধ বয়সে ভক্তি হলো: "জলের প্রদীপের মতো"!
কেউ যদি ভাবে এখন কি ভক্তি করার সময় বয়স হলে তখন ভক্তি করব!
কতদিন বাঁচব কেউ বলতে পারি????
(কারন আমরা, "ভগবানের ঘরের 'ভাড়াটে"!!!
এই ঘর মালিকের কোনো চুক্তি পত্র(Notice Period) থাকে না!
মাঝ রাতে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারে!)
তাই আর সময় নেই!
"স্মরণ নিতে হবে তাঁর!"
(অর্থাৎ, যে সবচেয়ে আপন/ প্রিয়।)
শৈশবের ভক্তি হল:
" ঘিয়ের প্রদীপের মতো"।
যেমন : ভক্তধ্রুব' , 'ছয় বছরে' গেলে 'ছয় মাসের তপস্যাতে', "ভগবানের দর্শন পেলেন"।...
★"জন্মথেকে" ভজন করছেন কে? ...
"ভক্তপ্রহ্লাদ"!
" কয়াধু মাতারগর্ভে" , নারদ মুনির আশ্রমে,
"হরি নাম করছেন"।
★যৌবনে ভজন করছেন কে?
"রাজা অম্বরীশ" তীব্র ভক্তি। তাঁর ভক্তিতে,
" নারায়ণের সুদর্শন তাঁর সঙ্গে থাকে"।
যৌবনের যে ভক্তি, তা হলো:
" তৈলেরপ্রদীপের মতো।
★বৃদ্ধহয়ে, ভজন করেছেন "অজামিল"।
মৃত্যু হবে সেসময় হরিনাম স্মরণে, বিষ্ণুদুতকে আসতে দেখে বিবেক আসল তাঁর। তখন করলেন ভজন ।
পেলেন ভগবান কৃপা!
তবে বৃদ্ধ বয়সে ভজন হয় না। যদি হয় তবে তাহা,
" পূর্ব জন্মের বহুসুকৃতি"আর "ভগবত কৃপাতে"।
কারণ, বৃদ্ধ বয়সে ভজন মন যে আসে না। বার্ধক্যের কারণে অঙ্গ জরজড়িত, চোখে দেখা যায় না গ্রন্থ সঙ্গ হয়, মন শুধু বিশ্রাম খোঁজে। মন শুধু আরাম চাই।
কারণ, সে সময় অপেক্ষা করে যারা যৌবনে ভজন করছেন না তাদের ভাবতে হবে।।
"বৃদ্ধ অবস্থা হলো":"জলের প্রদীপ"।
"জলে কি প্রদীপ জলে"?
"তবে হয় ভজন বৃদ্ধ বয়সে। যদি ভগবত কৃপা হয়"। "ভগবতকৃপা যে সুদুর্লভ" ।
যারা যৌবনে ভজন করছে তাদের দেখে অনেকে আছে বলে -
"এখন কি ভগবানকে ডাকার সময়"! "এখন তো আনন্দ ফুর্তি করবে"!
তারা ভুলে যায় বৃদ্ধ বয়সে ভগবানকে ডাকলে যে পুজাটা হলো- "শুকানো ফুলের পুজা"। শুকানো ফুলে কি পুজা হয়?
ভগবানের সঙ্গে যুক্ত মন অধঃগতিতে কখনো যাবে না এটা মনে করে যে কোন বয়সে মনকে ভগবানের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
তবে ছোটবেলা থেকে যদি ভগবানের গুন মহিমা কীর্তন করার অভ্যাস করা যায় তাহলে বৃদ্ধ বয়সে আপনাআপনি ভগবানের নাম স্মরণে আসবে ।
তখন আর ভগবানের কৃপা লাভ করতে অসুবিধা হবে না ।
এখন আপনি স্বয়ং বিচার করুন।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে

30/10/2022

"প্রতিদিন গীতা পাঠ করলে কি হয়?
প্রতিদিন গীতা পাঠ করুন মন পবিত্র রাখুন। ব্রহ্মা কহিলেন,
১. প্রথম অধ্যায় পাঠ করিলে লোকের মন পবিত্র হয়।
২. দ্বিতীয় অধ্যায় পাঠে নির্মলতা লাভ করে।
৩. তৃতীয় অধ্যায় পাঠে সর্বপাপ দূর হয়।
৪. চতুর্থ অধ্যায় পাঠ করিলে ব্রহ্মহত্যা ও স্ত্রীহত্যাজনিত পাপ তৎক্ষণাৎ দূর হইয়া থাকে।
৫. পঞ্চম অধ্যায় পাঠ করিলে চৌর্যমহাপাপ দূর হয়।
৬. ষষ্ঠ অধ্যায় পাঠে মন্দ ভাগ্য নাশ হয়।
৭. সপ্তম অধ্যায় পাঠে বুদ্ধি নির্মলতা লাভ করে।
৮. অষ্টম অধ্যায় পাঠে অখাদ্য ও অপেয়জাত সকল প্রকার পাপ দূর হয়।
৯. নবম অধ্যায় পাঠে পৃথিবী দানের মত সম্পুর্ন লাভ হয়।
১০. দশম অধ্যায় পাঠে সর্বপাপ বিনষ্ট হইয়া শ্রেষ্ঠ জ্ঞান জন্মে।
১১. একাদশ অধ্যায় পাঠে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হয়ে মুক্তি লাভ হয়।
১২. দ্বাদশ অধ্যায় পাঠে ভগবান বিশুদ্ধ ভক্তি জন্মে।
১৩. ত্রয়োদশ অধ্যায় পাঠে জ্ঞানচক্ষু বিকাশ তাহার শক্তি লাভ হয়।
১৪. চতুর্দশ অধ্যায় পাঠে অশ্বমেদি যজ্ঞের যে মহাফল তা লাভ হয়।
১৫. পঞ্চদশ অধ্যায় পাঠে নির্মল জ্ঞান লাভ করিয়া যোগী হওয়া যায়।
১৬. ষোড়শ অধ্যায় পাঠে মানব সংসার বন্ধন হইতে মুক্তি লাভ করে।
১৭. সপ্তদশ অধ্যায় পাঠে ভক্তজনের রাজপেয় নামক যজ্ঞের ফল লাভ করে।
১৮. অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠে জ্ঞানরূপ অগ্নি দ্বারা পাপ দূর হয়।
জয় গীতা ।
হরে কৃষ্ণ 🙏🏼
#শ্রীমদ্ভগবদগীতা
#শ্রীমদ্ভগবদগীতা

নমস্কার🙏🙏সকল সনাতনী দাদা-দিদি, ভাই বোনদের আসুন এবার দূর্গাপুজা ধর্মীয়মতে করি....আমরা টাকা খরচ করে ডিজে বা হিন্দি গান না ...
14/09/2022

নমস্কার🙏🙏
সকল সনাতনী দাদা-দিদি, ভাই বোনদের
আসুন এবার দূর্গাপুজা ধর্মীয়মতে করি....
আমরা টাকা খরচ করে ডিজে বা হিন্দি গান না বাজিয়ে....কিছু নতুন (যদিও পুরান).....
০১. ধর্মীয় সংগীত প্রতিযোগীতা করা হোক।
০২. উলুধ্বনির প্রতিযোগীতা করা হোক।
০৩. ঢাক বাজানোর প্রতিযোগীতা করা হোক।
০৪. ঢাকের তালে আরতীর প্রতিযোগীতা করা হোক।
০৫. গীতা পাঠের প্রতিযোগীতা করা হোক।
০৬. ধর্মীয় শাস্ত্রীয় জ্ঞানের উপর কুইজ প্রতিযোগীতা করা হোক।
মাদককে না বলি,শাস্ত্র মতে ধর্ম পালন করি।

🌹🌿🙏★★★★★ হরে কৃষ্ণ ★★★★★🙏🌿🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🌹🌼🌹🌼🌹🌼 আমরা যখন মাতৃ গর্ভে ছিলাম তখন ভগবানকে অনেক ডেকেছিলাম, ভগবান ও আমাদের ড...
20/11/2021

🌹🌿🙏★★★★★ হরে কৃষ্ণ ★★★★★🙏🌿🌹
🌼🌹🌼🌹🌼🌹🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🌹🌼🌹🌼🌹🌼
আমরা যখন মাতৃ গর্ভে ছিলাম তখন ভগবানকে অনেক ডেকেছিলাম, ভগবান ও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দেখা দিয়েছিলেন। আমরা তখন ভগবানকে কথা দিয়ে এসেছি হে ভগবান তুমি আমায় এই মাতৃগর্ভ থেকে মুক্ত করে দাও। আমি পৃথিবীতে গিয়ে সর্বদা তোমার নাম কীর্ত্তন করব।
কিছু খেলে তোমাকে নিবেদন করে তবেই খাব।
কিন্তু আমরা ভুমিষ্ট হবার পর থেকেই ভগবানকে দেওয়া একটা কথাও রাখি নাই।
মত্ত রয়েছি মিছে মায়ার বাঁধনে,
সব কিছুতেই আমার ঘর আমার সংসার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। যেদিন পরপারের ডাক আসবে সেদিন কিন্তু এসব কিছু সঙ্গে যাবে না। সঙ্গে যাবে আমরা কে কতটুকু ভগবানকে দিয়ে রেখেছি? কে কতটুকু ভগবানের দিব্যনাম জপ করেছি? কারন সেদিনের পারের কড়ি কিন্তু হবে এই কৃষ্ণ নামের তরি।
এই নাম ছাড়া আর কোন গতি নাই....
তাই আসুন আমরা সবাই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র নাম নিই এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপা দৃষ্টি লাভ করি....
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।

একটি শিক্ষামূলক গল্প🌼 একটি ছোট জলাশয়ে দুটি মাগুরমাছ থাকত । একটি মাছ ধার্মিক এবং আরেকটি অধার্মিক । ধার্মিক মাছটি সবসময় ভগ...
15/11/2021

একটি শিক্ষামূলক গল্প

🌼 একটি ছোট জলাশয়ে দুটি মাগুরমাছ থাকত । একটি মাছ ধার্মিক এবং আরেকটি অধার্মিক । ধার্মিক মাছটি সবসময় ভগবানের নাম সংকীর্তন করতো , আর অধার্মিক মাছটি কে বলতো -- ওরে ভগবানকে স্মরণ কর , পরম মঙ্গলের অধিকারী হবি । অধার্মিক মাছটি বলত -- তুই ওসব কর গিয়ে , আমার ভালো লাগে না , আমার এই জীবন টা কে আমি উপভোগ করতে চাই । ধার্মিক মাছটি তবুও সবসময় অধার্মিক মাছটি কে বোঝাতো ।
🌼 একদিন কিছুটা অনিচ্ছা স্বত্বেও অধার্মিক মাছটি বললো -- ঠিক আছে তুই যখন এত করে বলছিস কাল থেকে আমিও তোর সাথে নাম করবো । বেশ কিছুদিন পর গ্রামের জেলেরা ওই জলাশয়ে মাছ ধরতে আসলো । ওই দুটো মাগুরমাছও ধরা পড়লো জালে । অধার্মিক মাগুরমাছটি কাঁদতে কাঁদতে ধার্মিক মাগুর মাছটিকে বললো -- এর আগেও কতবার জেলেরা মাছ ধরতে এসেছে কিন্তু আমরা কোনদিন ধরা পড়িনি । আর , আজ আমরা দুজনেই একসাথে ধরা পড়লাম । কি হলো তোর ভগবানের নাম-জপ করে ! বরং মৃত্যু মুখে পতিত হলাম । ধর্ম করে লাভ নেই , ওতে কিচ্ছু হয় না ।

🌼 ধার্মিক মাছটি কিন্তু অবিচল , সে শান্তভাবে অত্যন্ত জোড়ের সাথে অধার্মিক মাছটি কে বললো -- ওরে , তিনি যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন , ভরসা রাখ আর তাঁর নাম কর , তিনি দয়াময় , অদ্ভুত তাঁর লীলা , অনন্ত তাঁর দয়া । আমরা ক্ষুদ্র হতে পারি কিন্তু তুচ্ছ নই তাঁর কাছে । ধার্মিক মাছটির কথা শুনে অধার্মিক মাছটি কিছুটা আশ্বস্ত হলো ।

🌼 এদিকে জেলেরা মাছ নিয়ে যে যার ঘরে ফিরে গেল । এক জেলে তার বউকে ডেকে বললো -- এই দেখ বউ , আজ দুটো মাগুরমাছ ধরেছি , এ দুটোকে ভালো করে রান্না কর , আমি বাজার থেকে ঘুরে আসি । এই কথা শুনে অধার্মিক মাছটি তো উচ্চস্বরে কাঁদতে লাগলো , ধার্মিক মাছটি কে তিরস্কার করতে লাগলো , তোর কথা শুনে আজ আমার এই দুর্গতি । কেন যে ভগবানের নাম করতে গেলাম ! দিব্যি হেসে খেলে জীবন কাটছিলো , আর ওই ভগবানের নাম করে আজ প্রাণ সংশয় । কিচ্ছু নেই ওই নামে ৷

🌼 এদিকে জেলে বউ বঁটি নিয়ে বসে সবার প্রথম ওই অধার্মিক মাছটিকেই খপ করে ধরে ভালো করে ছাই মাখাতে লাগলো । আর অধার্মিক মাছটি কেঁদে কেঁদে বলতে লাগল - তুই আমার এত সর্বনাশ করলি ! ধার্মিক মাছটি বললো -- ওরে মরতে তো হবেই , একদিন আগে আর পরে । তুই কান্না কাটি বন্ধ করে তাঁকে ডাক , তাঁর নাম কর । তাঁর দয়ার অন্ত নেই । মৃত্যতো দোর গোড়ায় , না হয় নাম করতে করতেই মর ।

🌼 তখন অধার্মিক মাছটি উচ্চস্বরে আকুল হয়ে ভগবানকে ডাকতে লাগলো । জেলে বউ মাছটি কাটতে যাবে এমন সময় জেলে হন্তদন্ত হয়ে এসে বউকে বললো -- ও বউ মাছ দুটো কি কেটে ফেলেছিস ? জেলে বউ বললো - এখনো কাটিনি , এই ছাই মাখাচ্ছিলাম কাটবো বলে । তুমি এমন হাঁপাতে হাঁপাতে এলে কেন, কি হয়েছে ?

🌼 তখন জেলে বললো -- আরে , হাটে গিয়ে শুনলাম এই রাজ্যের রাজা পুকুর কেটেছেন , কাল তার উদ্বোধন হবে । একজোড়া মাগুরমাছ চাই , রাজা পুকুরে ছাড়বেন । আর যে দুটো মাগুরমাছ নিয়ে দিতে পারবে রাজা তাকে অনেক পুরস্কার দেবেন । তুই তাড়াতাড়ি মাছ দুটো কে পরিষ্কার করে দে , আমি রাজার কাছে দিয়ে আসি ।

🌼 এদিকে অধার্মিক মাছটির প্রাণে শান্তি এলো । ধার্মিক মাছটি বললো -- দেখেছিস আমার প্রভুর কত দয়া । অধার্মিক মাছটি কথা বলতে পারলো না , কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ন হয়ে গেল তার অন্তঃকরণ । মনে মনে ভাবলো -- ওগো , আমার মতো তুচ্ছাতি তুচ্ছ জীবের প্রতিও তোমার এত্ত দয়া !

🌼 পরেরদিন প্রতিষ্ঠিত হল পুকুর । তেল , সিঁদুর মাখিয়ে স্বর্ণ অলংকার পরিয়ে মাছ দুটি কে ছাড়া হলো পুকুরে । রাজা হুকুম দিলেন - এই মাছ দুটির যেন ঠিক মতো পরিচর্যা হয় , আর এদের যেন কখনও ধরা না হয় । মাছ দুটি পরম সুখে সেই পুকুরে জীবন অতিবাহিত করতে লাগলো । আর দ্বন্দ্ব রইলো না অধার্মিক মাছটির মনেও । ভগবানের দয়ার কথা আর অস্বীকার করতে পারলো না সে!

Address

Narsingdi
1600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গীতা অনুরাগী জ্ঞান নিকেতন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category


Other Media in Narsingdi

Show All

You may also like