Toxic track

Toxic track Beauty of Nature.

ফুলের উপর ঘুমিয়ে আছে, ফুলের মধু খেয়ে।।
14/08/2023

ফুলের উপর ঘুমিয়ে আছে, ফুলের মধু খেয়ে।।

07/08/2023

সবাই আমার পেজকে Follow করো। আমিও সবাইকে Follow বেক করব। আসুন একে অপরকে সাপোর্ট করি।


22/07/2023

একজন মেয়ে মানুষকে কিয়ামতের দিন দুইটা প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হল। মেয়েটি প্রশ্ন করছে...
১.প্রশ্ন : আল্লাহ আমার বান্ধবীরা কি জান্নাতে আছে নাকি জাহান্নামে?
আল্লাহ : জাহান্নামে।
২.প্রশ্ন : তারা কি পার্টি করতেছে?

22/07/2023

07/07/2023

শুধুমাত্র উন্নয়নমূলক, গঠনমূলক, এবং নার্সিসিস্টিক পোস্ট করা যাবে এখানে।
আমি কি যে সুন্দর!
আমার কত কি আছে!
আমার দেশটা কত অসাধারণ উন্নতি করছে।
আহা!
সব জিনিষের দাম এত্ত কম! আহা!
জীবন এখানে কি নিরাপদ! আহা!
বাচ্চা কাচ্চা মানুষ করতে ইউরোপিয়্ রা এখন এদেশেই পাঠানোর ধান্দা করছে।
তারা তাদের সন্তানদের আধুনিক মাদ্রাসায় পড়ানোর জন্যে লাইন ঘাট বানাচ্ছে।
সব নেতারা এখানে খুবই সৎ।
নেতারা দেশকে ট্রাকে ট্রাকে, জাহাজে জাহাজে রেমিটেন্স এনে দেয়।
পুলিশ তো এ'দেশে প্রায় আউলিয়া।
শুধু নেতা, সন্ত্রাসি আর মৌলবাদিরা দেশে সেবা করতে করতে হয়ে যাচ্ছে দেউলিয়া।
দেশের আই-টি ডিভিশান অসম্ভব ক্ষুরধার।
মাননীয় মন্ত্রি সাব তো প্রোডিজি।

সবাই এড়িয়ে যায়।
বোবা হয়ে যায়।
আর যাদের জ্বলে তাড়া তেড়ে আসে।

যা হোক
এই বোবাদের নিয়েই পাগলা হয়ে বেচে থাকতে হবে।
এই মারদাংগা ক্ষমতায় অন্ধ লোকেদের হাত থেকে বেচেই চলতে হবে।
এই দেশে আর কোন জাতের লেখক, জাতের সাংবাদিক, জাতের শিল্পি জন্মাবে না।
মেনে নিতে হবে।
দ্রুতই, মানুষ জন্মানো বন্ধ হয়ে যাবে দ্রুতই।
ঠিক যেভাবে পঞ্চাশের দশক শেষে আফগানিস্তান।

সবাই চুপই করে থাকবে চুতিয়া রা।

শিয়াল কুত্তা রা একে অপরকে
ছিড়বে, চাটবে,দালালি ...দাবে।

এই হবে এই সোনার দেশে
এটা খাড়া হয়েই থাকবে।
সটান।
আর প্রিয় বন্ধু ক্ষমতাসীন এর অনুসরনে, আজন্ম দম্ভে প্রাইভেট গ্রুপে এভাবেই উষ্কাবে

"বিচি থাকলে এই সব বালের ঝাল জায়গা মত ঝাড় দেখি, হোগা কাইরা উপ্তা কইরা যখন হোগার ছেদায় গরম আলকাতরা ভইরা দিবো তখন বুঝবা। এটলিস্ট এইসব বয়ানবাজি নিজের ওয়ালে পোষ্টানোর বিচিও তো নাই। আছে? জায়গামত সোনা খাড়ায় না তোমাগো। মাল খায়া চুতিয়াপা সব এইহানেই ঢালতারবা"। (কালেক্টেড)

30/06/2023

🤍🤍🤍

25/06/2023

24/06/2023

Happy birthday the Greatest Football player of all time.
Leo Messi

মেসির চরিত্রের যে বিষয়টা আমরা খেয়াল করি কিন্তু বলি না, সেটা হলো মেসির স্ট্রং পারসোনালিটি।  মেসি একজন এমপ্যাথেটিক লিডার। ...
06/01/2023

মেসির চরিত্রের যে বিষয়টা আমরা খেয়াল করি কিন্তু বলি না, সেটা হলো মেসির স্ট্রং পারসোনালিটি। মেসি একজন এমপ্যাথেটিক লিডার। যে কাওকে বলবে না যে সকাল ৭ টায় উঠে তুমি ট্রেনিং করো না কেনো, তুমি লাইফে কিছু করতে পারবা না৷ কিন্তু ঠিকই মেসির জন্য পুরা টীম সবকিছু করবে৷
মেসির পি এস জিতে যাওয়ার বড় কারণ বন্ধু নেইমার। .. সুয়েরাজ, নেইমার ল্যাটিন আমেরিকান রাইভাল হয়েও যেভাবে মেসির কোপা জয় ও বিশ্বকাপ জয় সেলিব্রেট করেছে, কোন লেভেলের পার্সোনালিটি একজন মানুষের হলে এটা হয়৷ ... মেসি শত্রুরও মন জয় করে আসলে। আগুয়েরোর জন্য খারাপ লাগতো। সে মেসির জন্যই প্রায় বার্সাতে আসছিলো শেষ বয়সে এক সাথে খেলবে দেখে। মেসি অসাধারণ ফূটবলার, এমপ্যাথেটিক লিডার ও স্ট্রং পারসোনালিটির একজন মানুষ৷
মেসি ফুটবলের প্রতি প্রচন্ড ওনেস্ট৷ ও পড়ে যায় ওদের বাজে ট্যাকলে, আবার উঠে সে বলের পিছনে দৌড়ায়। ডাইভ দেওয়া বা অসততার আশ্রয় নেয় না মেসি। যারা খেলা দেখে, সবাই জানে৷
মেসি দেয়ালে পিঠ ঠেকার আগ পর্যন্ত রেগে যায় না। বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে নানা কারণে মেসি উত্তপ্ত ছিলো। এবং কয়েক জেনারেশনের হয়ে যেনো কাপ্তান প্রতিশোধ নিয়েছে৷ রিকুয়েমের প্রতি আর্জেন্টাইন ফ্যানরা যে কতটা দূর্বল, ও কতটা শ্রদ্ধা করে তাকে.. তার হয়ে সেলিব্রেশন করাটা অদ্ভুত সুন্দর ছিলো।
মেসিকে ম্যারাডোনা অনেকবার আঘাত করে কথা বলেছে। ম্যারাডোনা হাই ড্রাগে থাকতো ও উনি এমপ্যাথেটিক লিডারশিপ বুঝতো না। মেসি তা মাথা পেতে নিয়েছে।
রোনালদো তো ফ্যাক্টোস, মেসি ব্যালন জিতলে খেলা ছেড়ে দিবো, আমি মেসির চেয়ে অনেক ভালো এটা প্রমাণিত, নিজের দেশে কোপা জিতে না- হোয়াট আ্য সেম , ইত্যাদি ইত্যাদি বলেছে।
মেসি কখনো জবাব দেয় নি। বরং রোনালদোকে অনেক শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সেটা রোনালদোও পরে বলেছে। " মেসিকে আমার ভালো লাগে, কারণ মেসি আমার ব্যাপারে ভালো কথা বলে। "
মেসির স্ট্রং পারসোনালিটির একটা বিষয় দেখলাম যে কেও যদি মেসিকে নিয়ে কিছু বলে, সে সেটা উড়িয়ে দিয়ে নিজের খেলা খেলে শুধু৷ ফুটবল সৌন্দর্য্যকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়৷
কিন্তু নিজের দেশের কাওকে নিয়ে কিছু করলে মেসি প্রতিবাদ জানায়। যেটা ভান গালের প্রতি করেছে। রিকুয়েমে, ডি মারিয়ার হয়ে জবাব দিয়েছে।
সার্জিও রামোসের মতো প্রবল রাইভাল যে কিনা মেসিকে লিটারেলি খুন করে ফেলতো এল ক্লাসিকোতে। রাগে মেসির হাতের উপর পা দিয়ে ঘষা দেওয়ার কথা মনে আছে? সেও আজকে মেসির প্রবল ফ্যান।
২০১৪ তে বিশ্বকাপ জিতা জার্মানি টিমের প্রায় সবাই মেসির জন্য সেলিব্রেশন করেছে। মারিও গোতযে তো লাইভ সেলিব্রেশন ভিডিও আপলোড দিছে যেনো সে মেসির সবচেয়ে বড় ফ্যান।
লুকা মদ্রিচ? কখনো রোনালদো নিয়ে কিছু বলে না টিম ছেড়ে যাওয়ার পর। এখন দেখি রাইভাল প্লেয়ার মেসিকে নিয়ে তার প্রবল মুগ্ধতা৷
আমি মেসির থেকে এই ডাউন টু দ্যা আর্থ পারসোনালিটি ও এমপ্যাথেটিক লিডারশিপ শিখতে চাই।
মেসি অসাধারণ ও অসম্ভব সুন্দর।


ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে চানঃ ভিসা ছাড়াই শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্টের জোরে আপনি ৫০টির মত দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। আর্থিক খ...
27/12/2022

ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে চানঃ

ভিসা ছাড়াই শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্টের জোরে আপনি ৫০টির মত দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। আর্থিক খাতের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আরটন ক্যাপিটাল প্রভাবশালী পাসপোর্টের তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭তম।

উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের কোনো ভিসাই লাগবে না এমন দেশগুলো হলো :

১. বাহামাস (চার সপ্তাহ পর্যন্ত)
২. বার্বাডোস (ছয় মাস)
৩. ডোমিনিকা (ছয় মাস)
৪. ফিজি (চার মাস)
৫. গাম্বিয়া (তিন মাস)
৬. গ্রানাডা (তিন মাস)
৭. হাইতি (তিন মাস)
৮. জ্যামাইকা
৯. লেসোথো (তিন মাস)
১০. মালাওয়ি (তিন মাস)
১১. মাইক্রোনেশিয়া (এক মাস)
১২. সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
১৩. সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রানাডিনস (এক মাস)
১৪. ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো
১৫. ভানুয়াতু (এক মাস)
১৬. মন্টসেরাত (তিন মাস)
১৭. টার্ক অ্যান্ড সিসেরো আইল্যান্ড (এক মাস)
১৮. ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড (এক মাস)
১৯. মাক্রোনেশিয়া (এক মাস)
২০. নিউয়ি (এক মাস)

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন, তবে সেখানে পৌঁছে ভিসা (অন অ্যারাইভাল) করতে হবে এমন দেশগুলো হলো:

১. ভুটান
২. বলিভিয়া (তিন মাসের ভিসা)
৩. কেপ ভার্দে
৪. কমোরোস
৫. গিনি বিসাউ (তিন মাস)
৬. মাদাগাস্কার (তিন মাস)
৭. মালদ্বীপ (এক মাস)
৮. মাওরিতানিয়া
৯. মোজাম্বিক (এক মাস)
১০. নেপাল (এক মাস)
১১. নিকারাগুয়া (তিন মাস)
১২. তিমরলেস্টে (এক মাস)
১৩. টোগো (সাত দিন)
১৪. তুভালু (এক মাস)
১৫. উগান্ডা
১৬. বুরুন্ডি
১৭. জিবুতি (এক মাস)
১৮. আজারবাইজান (এক মাস)
১৯. ম্যাকাউ (এক মাস)

বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলে ভিসা লাগবে না তবে বিশেষ অনুমোদন লাগবে এমন দেশগুলো হলো :

১. কিউবা (টুরিস্ট কার্ড জোগাড় করতে হবে, মেয়াদ তিন মাস)
২. সামোয়া (ঢোকার অনুমতিপত্র থাকলেই হলো, মেয়াদ দুই মাস)
৩. সেচেলেস (ভ্রমণের অনুমতিপত্র থাকতে হবে, মেয়াদ এক মাস)
৪. সোমালিয়া (ওই দেশে থাকা কেউ স্পন্সর করলে ভিসা পৌঁছেও করা যাবে, যার মেয়াদ হবে এক মাস। তবে সোমালিয়া পৌঁছানোর দুদিন আগে সেখানকার বিমানবন্দরে বিষয়টি জানিয়ে রাখতে হবে)
৫. শ্রীলংকা (ভ্রমণের জন্য ইলেকট্রনিক অনুমোদনপত্র, মেয়াদ এক মাস)

24/12/2022

যেভাবে অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থানঃ

এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত ছিলো বিশাল অটোমান বা ওসমানীয় সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্যের সীমানা ছিলো উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়া থেকে ইউরোপের হাঙ্গেরী, রাশিয়ার ক্রিমিয়া থেকে পূর্বে জর্জিয়া এবং আরবের ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বিশাল সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব ছিলো দীর্ঘ ৬শ বছর।

অটোমান সাম্রাজ্যে সূচনা

অটোমান সাম্রাজ্যের অভ্যুদয় ১২৯৯ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শুরু করে ১৪৫৩ সালে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল জয় পর্যন্ত এ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতকাল বলে ধরে নেয়া যায়। এ সময়েই পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সুলতানের শাসনামলে বিকশিত হতে থাকে অটোম্যান সাম্রাজ্য। শুরুতে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাজ্যের মতো অটোমান সাম্রাজ্যও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মূলত স্থানীয় নানা সেনাপতি ও সামন্ত রাজ্যের শাসনের উপর নির্ভরশীল ছিলো। ধীরে ধীরে সময় যেতে থাকে, পরিবর্তিত হতে থাকে অটোমান সাম্রাজ্যের অবস্থাও। সামরিক-অর্থনৈতিক উন্নতি তাদের রাজ্য বিস্তারের পক্ষে আরো সহায়ক ভূমিকা পালন করতে থাকে।

এ সময়ে অটোমানদের সফলতার পেছনে কারো একক অবদান নয়, বরং এর একাধিক শাসকরা এই রাজবংশকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে গেছেন। একই সঙ্গে ঐতিহাসিকরা মনে করেন, পরিবর্তিত নানা পরিবেশের সাথে দ্রুত নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারাই ছিলো ওসমানীয় সাম্রাজ্যের সফলতার মূল কারণ।

প্রতিষ্ঠাতা প্রথম ওসমান

এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম ওসমান গাজী। তিনি প্রথম ওসমান নামেই সমাধিক পরিচিত ছিলেন। তার নামেই অটোমান বা ওসমানীয় সাম্রাজ্যের নামকরণ হয়েছে। ১২৯৯ সালে তুর্কি বংশোদ্ভূত প্রথম উসমান সেলযুক সাম্রাজ্য কর্তৃক উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ার দ্বায়িত্ব পান। প্রথম দিকে সেলযুক সাম্রাজ্যের প্রতি অনুগত থাকলেও সেলজুক সাম্রাজ্যের শেষ সময়ে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ধীরে ধীরে একটি অটোমান সামাজ্যের গোড়াপত্তন করেন। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন এবং তার মা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে। তিনি সেলজুক রাজবংশের জামাতাও ছিলেন। এবং প্রথম উসমানের মাতা হালিমে সুলতান ছিলেন সেলজুক শাহজাদা নুমান এর মেয়ে।

১২৯৯ সালে ওসমান যখন মোঙ্গল সাম্রাজ্যে বার্ষিক কর পাঠালেন না, তখনই আসলে প্রতীকী অর্থে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৩০০ সাল থেকেই একে একে বিভিন্ন অঞ্চল জয় করতে শুরু করে ওসমানের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। সাকারয়া নদীর পশ্চিমাঞ্চল, এস্কিসেহিরের দক্ষিণ ভাগ, অলিম্পাস পর্বত ও মারমারা সাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল তার সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এস্কিসেহির, বিলেজিক, ইনোনু থেকে শুরু করে ইয়েনিশেহিরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দূর্গ ও নগর নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় ওসমান বাহিনী। নবগঠিত অটোমান রাজ্যের রাজধানী হিসেবে বেছে নেয়া হয় ইয়েনিশেহিরকে। তখনো বার্সা, নিকাইয়া কিংবা নিকোমিডিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সুরক্ষিত নগরগুলো দখল করার মতো শক্তি অবশ্য তখনো অর্জন করতে পারে নি তার বাহিনী।

১৩২১- ১৩২৬ সাল পর্যন্ত ওসমানের বাহিনী মুদান্‌য়া বন্দর ও বার্সার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নেয়। বার্সা জয় ছিলো অটোমান সাম্রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কেননা এতদিন নানা যুদ্ধে ওসমান গাজী কেবল বর্বর জাতিদেরর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিলেন। এবারই প্রথম এমন এক শহরের দখল নিলেন যা ছিলো তখনকার যুগে এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এ জয়ের ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব ইউরোপে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মানচিত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠলো অটোমানরা।

এরপর বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়েন ওসমান। তখন তার অসামাপ্ত কাজ সম্পাদনের ভার পরে বড় ছেলে ওরহান গাজীর হাতে। তিনি ছিলেন তৎকালে উসমানীয় বেয়লিক নামে পরিচিত উদীয়মান উসমানীয় সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় বে।

অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ওসমান

তিনি ১২৮১ সালে সোগুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম উসমান ও তার স্ত্রী মালহুন খাতুনের পুত্র। ক্ষমতা হাতে পেয়েই সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোযোগী হন তিনি এবং আনাতোলিয়ায় বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। প্রথমে ১৩২১ সালে তিনি মার্মা‌রা সাগরে বুরসার বন্দর মুদানিয়া অধিকার করেন। এরপর তিনি কোনুর আল্পের অধীনে পশ্চিমের কৃষ্ণসাগরের উপকূল এবং আকুয়েদার অধীনে ইজমিত জয়ের জন্য সেনাদল প্রেরণ করেন। শেষে মার্মা‌রা সাগরের দক্ষিণপূর্ব উপকূল অধিকার করেন। এরপর কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তিনি বুরসা অধিকার করে। বুরসা শহর জয়ের পর ওরহান বসফরাসের দিকে সেনাদল প্রেরণ করে মার্মা‌রা সাগর উপকূলের বাইজেন্টাইন শহরগুলো অধিকার করেন।

বাইজেন্টাইন সম্রাট তৃতীয় এন্ড্রোনিকাসের সেনাবাহিনী অগ্রসর হয়ে বর্তমান দারিজা শহরের ওরহানের বাহিনীর মুখোমুখি হয়। যুদ্ধে বাইজেন্টাইনরা পরাজিত হয়। এভাবে ১৩২৯ সালের পেলেকেনোনের যুদ্ধের পর বাইজেন্টাইনরা কোচাইলির অঞ্চল পুনরুদ্ধারের ধারণা পরিত্যাগ করে।

নাইসিয়া শহর ১৩৩১ সালে আত্মসমর্পণ করে। ১৩৩৭ সালে ইজমিত বা নিকোমেডিয়া অধিকার করা হয়। ওরহান তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সুলাইমান পাশাকে শহরের নিয়ন্ত্রণভার প্রদান করেন। ইতিপূর্বে সুলাইমান শহর অবরোধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৩৩৮ সালে উসকুদার জয়ের মাধ্যমে অধিকাংশ উত্তর আনাতোলিয়া উসমানীয়দের হাতে আসে।

১৩৪৫ সালে ওরহান পার্শ্ববর্তী তুর্কি রাজ্য কারেসি (বর্তমান বালিকেসির ও পার্শ্ববর্তী এলাকা) জয় করেন। কারেসির আমির মারা যাওয়ার পর সিংহাসন নিয়ে তার দুই পুত্রের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে লড়াই শুরু হয়। ওরহান এসময় কারেসি আক্রমণ করে তা অধিকার করে নেন।

কারেসি জয়ের ফলে প্রায় সমগ্র উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়া উসমানীয় বেয়লিকের আওতায় চলে আসে। বুরসা, ইজমিত, ইজনিক ও বেরগামা শহরগুলো উসমানীয়দের শক্তিশালী ঘাটি হয়ে উঠে। এরপর ১৩৬২ সালে নিজের জয় করা বুশরায় দেহত্যাগ করেন ওরহান।

এরপর একে একে ক্ষমতায় আসেন প্রথম মুরাদ (১৩৬১-১৩৮৯), প্রথম বায়েজিদ (১৩৮৯-১৪০২), প্রথম মুহাম্মদ (১৪১৩-১৪২১), দ্বিতীয় মুরাদ (১৪২১-১৪৪৪) দ্বিতীয় মুহাম্মদ (১৪৪৪-১৪৪৬) ও দ্বিতীয় মুরাদ (১৪৪৬-১৪৫১)। তবে অটোমান সাম্রাজ্যের প্রথমদিককার সুলতানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ওসমান গাজী, ওরহান গাজী, প্রথম মুরাদ ও প্রথম বায়েজিদ।

প্রসঙ্গত, ১৪৫৩ সালে ওসমানের বংশধর সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের কনস্টান্টিনোপল জয় করার মাধ্যমে অটোমানরা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করে। ১৫২৬ সালে হাঙ্গেরি জয়ের পর ইউরোপের বলকান অঞ্চল সমূহ নিয়ে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাদের গোড়াপত্তনের ওপর ভিত্তি করেই দীর্ঘ ৬শ বছর ধরে টিকেছিলো এই রাজবংশটি।

সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ও সর্বোচ্চ পর্যায়

দ্বিতীয় মুরাদের ছেলে দ্বিতীয় মুহাম্মদ রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন করেন। ১৪৫৩ সালের ২৯ মে দ্বিতীয় মুহাম্মদ কনস্টন্টিনোপল জয় করেন। উসমানীয়দের প্রতি আনুগত্যের বিনিময়ে ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চকে তার কার্যক্রম চালু রাখার অনুমতি দেয়া হয়। পশ্চিম ইউরোপের রাজ্যগুলোর সাথে বাইজেন্টাইনদের সম্পর্ক খারাপ ছিল বিধায় অধিকাংশ অর্থোডক্স জনগণ ভেনেসিয়ানদের পরিবর্তে উসমানীয়দের অধীনে থাকাকে সুবিধাজনক মনে করে। ইতালীয় উপদ্বীপে বাইজেন্টাইনদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল আলবেনিয়ানদের প্রতিরোধ।

১৫শ ও ১৬শ শতাব্দীতে উসমানীয় সাম্রাজ্য বিস্তৃতির যুগে প্রবেশ করে। নিবেদিত ও দক্ষ সুলতানদের শাসনের ধারাবাহিকতায় সাম্রাজ্য সমৃদ্ধি লাভ করে। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য রুটের বিস্তৃত অংশ নিয়ন্ত্রণ করার কারণে সাম্রাজ্য অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করে।

সুলতান প্রথম সেলিম পারস্যের সাফাভি সম্রাট প্রথম ইসমাইলকে পরাজিত করে দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সাম্রাজ্যের সীমানা বিস্তৃত করেন। তিনি মিশরে উসমানীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও লোহিত সাগরে নৌবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন। উসমানীয়দের এই সম্প্রসারণের পর পর্তুগিজ সাম্রাজ্য ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে এই অঞ্চলের প্রধান পক্ষ হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

সুলতান প্রথম সুলাইমান ১৫২১ সালে বেলগ্রেড জয় করেন এবং উসমানীয়-হাঙ্গেরিয়ান যুদ্ধের এক পর্যায়ে হাঙ্গেরি রাজ্যের দক্ষিণ ও মধ্য অংশ জয় করে নেয়া হয়। মোহাচের যুদ্ধে জয়ের পর তিনি বর্তমান হাঙ্গেরির পশ্চিম অংশ ও মধ্য ইউরোপীয় অঞ্চল ছাড়া বাকি অংশে তুর্কি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৫২৯ সালে তিনি ভিয়েনা অবরোধ করেন তবে শহর জয় করতে ব্যর্থ হন। ১৫৩২ সালে তিনি পুনরায় ভিয়েনা আক্রমণ করেন তবে গুনসের অবরোধের পর তিনি ফের ব্যর্থ হন। ট্রান্সিলভানিয়া, ওয়ালাচিয়া ও মলডোভিয়া উসমানীয়দের করদ রাজ্যে পরিণত হয়।। পূর্বে দিকে উসমানীয়রা পারস্যের কাছ থেকে বাগদাদ দখল করে নেয়। ফলে মেসোপটেমিয়া ও পারস্য উপসাগরে নৌ চলাচলের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আসে।

উসমানীয় সাম্রাজ্য ও ফ্রান্স হাবসবার্গ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং শক্তিশালী মিত্রে পরিণত হয়। ফরাসি ও উসমানীয়রা যৌথ প্রচেষ্টায় ১৫৪৩ সালে নাইস ও ১৫৫৩ সালে করসিকা জয় করে নেয়। নাইস অবরোধের এক মাস আগে এজতেরুগুম জয়ের সময় ফ্রান্স উসমানীয়দেরকে গোলন্দাজ ইউনিট দিয়ে সহায়তা করেছিল। উসমানীয়রা আরো সামনে অগ্রসর হওয়ার পর হাবসবার্গ শাসক ফার্ডিনেন্ড ১৫৪৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উসমানীয়দের বশ্যতা স্বীকার করে নেন।

১৫৫৯ সালে প্রথম আজুরাম পর্তুগিজ যুদ্ধের পর উসমানীয় সাম্রাজ্য দুর্বল আদাল সালতানাতকে সাম্রাজ্যের অংশ করে নেয়। এই সম্প্রসারণ সোমালিয়া ও হর্ন অব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পর্তুগিজদের সাথে প্রতিযোগীতার জন্য ভারত মহাসাগরে প্রভাব বাড়ানো হয়।

অটোমান শাসক প্রথম সুলাইমানের শাসনের সমাপ্ত হওয়ার সময় সাম্রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫,০০০,০০০ এবং তিন মহাদেশব্যপী সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। উপরন্তু সাম্রাজ্য একটি শক্তিশালী নৌ শক্তি হয়ে উঠে। ভূমধ্যসাগরের অধিকাংশ এলাকা উসমানীয়রা নিয়ন্ত্রণ করত। এই সময় নাগাদ উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপের রাজনৈতিক পরিমন্ডলের বৃহৎ অংশ হয়ে উঠে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব রোমান সাম্রাজ্যের সাথে তুলনা করা হয়।

১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান প্রথম সুলাইমানের সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চলসহবিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল। ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের অংশ করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।

উসমানীয় সাম্রাজ্য সুদীর্ঘ ছয়শত বছরেরও বেশী ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। তবে ইউরোপীয়দের তুলনায় ধীরে ধীরে তারা সামরিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে থাকে। যার ধারাবাহিক অবনতির ফলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায়। অটোমান সাম্রাজ্যের পতন নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে।

15/12/2022

আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।
___ জীবনানন্দ দাশ

12/12/2022

তুমি এমন কাওকে পাল্টাতে পারবে না
যে তার আচরনে ভুলগুলো দেখতে পারে না।

কাজি নজরুল ইসলাম

12/12/2022
08/12/2022

নিজেকে নিয়েই আছি ।
বাতাসে বসন্তের কুসুমিত সৌরভ
ছড়ালে অথবা কোনো গাঢ় নিসর্গে যদি
তার নরোম হাত রাখে; তবু উদাসিন থাকি
নিজেকে নিয়েই থাকি ।
— রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

Address

Narsingdi
1620

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Toxic track posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Digital creator in Narsingdi

Show All