19/10/2024
যুবদল নেতা সেলিম ও ছাত্র সমাজ নেতা রাসেলের নেতৃত্বে
ছাত্রদল নেতা আকাশসহ তিনজনকে
কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ আহমেদ বাছিরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে যুবদল ও ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা। এসময় তাঁর সঙ্গে থাকা দুইকর্মীকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
পূর্ব শক্রতার জেরে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মিরকুন্ডী করবস্থানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় আকাশ আহমেদ বাছির সহ তিনজনকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, পরে অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
আহত আকাশ আহমেদ বাছির বন্দর উপজেলার মুকফুলদী এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে, মিরকুন্ডী এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রুবেল ও সুজন মিয়ার ছেলে সাজিস।
স্থানীয়রা জানান, মুকফুলদী স্কুলের সামনে মাদকবিরোধী মানববন্ধনে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, ভূমিদ্যসুদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মীরকুন্ডি কবরস্থান এলাকায় যুবদল নেতা সেলিম ও তার ভাগ্নে বন্দর উপজেলা ছাত্র সমাজের সহ-সভাপতি রাসেল কথা বলার জন্য ছাত্রদল নেতা আকাশ আহমেদ বাছিরকে ডেকে নিয়ে যায়। সেই সাথে ড্রেজার নিয়ে কথা বললে তাদের সঙ্গে ড্রেজার ব্যবসায় জড়াবেন বলে চলে আসতে চাইলে এক পর্যায়ে আকাশকে এলোপাথারি কোপানো হয়। এসময় আকাশের সাথে থাকা কয়েকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কোপানো হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মহানগর যুবদল নেতা সোজেফ গ্রুপের নেতা বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে মিরকুন্ডী কবরস্থানের সামনে ড্রেজার বসায় যুবদল নেতা সেলিম ও তার ভাগ্নে বন্দর উপজেলা ছাত্র সমাজের সহ-সভাপতি রাসেল। তাদের সাথে আকাশ আহমেদ বাছিরের পূর্ব শক্রুতা ছিল। এই শত্রুতার জেরে শুক্রবার রাতে মহানগর যুবদল নেতা জোসেফ ও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমিরের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা আকাশ আহমেদ বাছির সহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সেলিম, তার ভাগ্নে রাসেল, আনোয়ার, সাইদুল, সম্রাট হোসেন সুজন, সৈকত, সোহেল, খোকন মেম্বার, সাইফুল, সেলিম, আমির, রাহাতসহ অন্তত ৭-৮জন। হাতে, পায়ে, মাথায় সহ অসংখ্য কোপের চিহৃ রয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেছেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
হত্যার চেষ্টার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান আহতের পরিবার।