Last Poem

Last Poem come and enjoy baby

24/04/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Nil Papri, Gazi Gazi, দুষ্টু বয়, Gobinda Mondal, Mst Sammi

18/04/2024
বুঝা 😴
16/04/2024

বুঝা 😴

লাগা🙃
15/04/2024

লাগা🙃

14/04/2024

তোর মনের ঘায়ে যে মলম লাগায়
সে তোর আপন-জন।
আমার ঘায়ে যে মলম লাগায়
সে আমার পর।
By র-লস্কর

শাহবাগী had two face 🤡-Saikat Ahmed Shohan
13/04/2024

শাহবাগী had two face 🤡

-Saikat Ahmed Shohan

11/04/2024

আপনি কি অন্যকারো গার্লফ্রেন্ড বা বউ নিয়ে ঘুরতে চান ?
তাইলে আজই রিকশা কিনুন 😕😕😕

11/04/2024

ঈদ মোবারক বন্ধুরা

09/04/2024

আজকের দিনটা আমার জন্য আনন্দের। ‘আমি যদি সৃষ্টিকর্তা হলে এই দিনটা, বিশেষ করে এই মুহূর্তটা, বারবার বাঁচতাম।’,’ হাসিমুখে পরিবারের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম। অথচ ওরা কেমন গুম মেরে আছে। এটা কোনো কথা!

‘বাবা, তুমি এভাবে বাংলার পাঁচের মতো মুখ করে আছো?’ বিরক্তি নিয়ে প্রশ্ন করলাম। ‘জানি তুমি আমার লেখালেখি কখনো পছন্দ করোনি, কিন্তু আজকে চুপ থাকতে পারোনা তুমি। শত হলেও ড্যাগার এওয়ার্ড তো যাকে তাকে দেওয়া হয়না। বিদেশের বাঘা বাঘা লেখকের সাথে প্রতিযোগিতা করে এটা পেয়েছি আমি।’

এবার বাবা একটু হাসার চেষ্টা করলেন। মাও নার্ভাস হাসি দিলেন সেটা দেখে। বাবার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করেননি তিনি কখনো।

একটা সিগারেট ধরিয়ে নিলাম। ‘দাঁড়াও,’ টিভির রিমোটটা পাশেই ছিলো। ‘তোমাদেরকে নিউজ ভিডিওটা আবার দেখাই। ইউটিউবেই পাওয়া যাবে।’

‘এবং প্রথম উপমহাদেশীয় ও বাংলাদেশি হিসেবে গোল্ড ড্যাগার এওয়ার্ড জিতে সাহিত্যজগতে নিজেকে অমর করে নিলেন তরুণ লেখক হাসান আল জহির। ক্রাইম রাইটার্স এসোসিয়েশন ১৯৫৫ সাল থেকে এওয়ার্ডটি দিয়ে থাকলেও এই উপমহাদেশের কোনো লেখকই সেটাকে নিজের করে নিতে পারেননি। তাই হাসান আল জহির আর তার উপন্যাস ‘ডাইনিং উইথ দ্যা ডিজেক্টেড মনস্টারস’ বাংলাদেশি কেনো, এশিয়ানদের কাছে হয়ে উঠেছে গর্বের বিষয়। লেখক….’

এতটুকু শুনেই বোনটা আমার তালি দিয়ে উঠলো। আমিও গর্বের সাথে সিগারেটে আরেকটা টান দিলাম। ‘দেখলে, নায়লা থেকে শেখো কিছু। কিভাবে ভাইয়ের অর্জনে খুশি হয়েছে সব রেষারেষি ভুলে গিয়ে।’ বাবা ভ্রুক্ষেপ করলেন না আমার কথায়। তার শক্ত হয়ে বসে থাকা দেখে মাও মুখটা গম্ভীর করে ফেললেন।

একরাশ হতাশা গ্রাস করলো আমাকে। সোফায় হেলান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে থাকলাম সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে। নিমিষেই আমার হতাশা রূপ নিলো ক্রোধে। রিমোটটা ছুঁড়ে মারলাম টিভির দিকে। হিস হিস করে ওদের দিকে তাকালাম। কোনো পরিবর্তন নেই ওদের মধ্যে। থাকার কথাও না।

‘মরার আগে তো একটুও বাহবা দিলিনা। মরার পরে কি একটু এপ্রিসিয়েশন পেতে পারিনা তোদের থেকে!’

মোবাইল স্ট্যান্ডে ঝোলানো মোবাইলটার দিকে তাকিয়ে কান্না করে দিলাম। দর্শকরাও বুঝুক আমার কষ্টটা।

‘ফাস্ট চালাও,’ ইন্সপেক্টর রাফি মোবাইল থেকে চোখ না সরিয়েই বললো ড্রাইভারকে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। তার পছন্দের লেখক এভাবে তার পুরো পরিবারকে মেরে ফেললো! অনেক ইন্টারভিউতেই হাসান আল জহির বলেছেন যে তার পরিবার কখনোই তার কাজে সমর্থন দেয়নি। দুঃখ হতো কথাগুলো শুনে। কিন্তু তাই বলে এভাবে ফেটে পড়তে হবে? ‘ডাইনিং উইথ দ্যা ডিজেক্টেড মনস্টারস’ সে পড়েছে। এক কথায় অসাধারণ! ড্যাগার এওয়ার্ড পাওয়ারই যোগ্য বইটা। দীর্ঘশ্বাস ফেললো রাফি। সবার কাছে সমাদৃত লেখক পরিবার থেকেই বিতাড়িত।

তাদের খুন করার পরই ফেসবুক লাইভে এসেছিলো লেখক। সেটা দেখেই থানা থেকে রওনা দেয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এতোক্ষণ তার উদ্ভট কাজকর্ম দেখছিলো রাফি। বাবার চোয়াল টেনে তাকে হাসানোর চেষ্টা, বোনের হাতগুলো ধরে তালি দেওয়ানো। মারার পরে হলেও তাদের চোখে ভালোবাসা দেখতে চাচ্ছিলো জহির। ‘আচ্ছা, কিভাবে মেরেছে ওদের?’ মাথায় প্রশ্ন এলো ইন্সপেক্টরের। শরীরে কোনো কাটাকুটির চিহ্ন তো নেই। মানে বিষক্রিয়া। তাড়াতাড়ি স্পটে যেতে হবে। ‘স্যার দেখেন দেখেন,’ জিপের পেছন থেকে এক কনস্টেবল বলে উঠলো, ‘পাগলা লেখকের হাতে পিস্তল।’

সামান্য চোখ সরেছিলো স্ক্রিন থেকে। তাকাতেই দেখলো, লেখক তার মাথার কাছে পিস্তলটা নিয়ে এসেছে। ‘‘থ্যাংকউ ফ্যানস, ইট হ্যাজ বিন আ মেমোরেবোল জার্নি।’ শ্বাস আটকে গেলো রাফির।

গুলিটা লেখকের মস্তিষ্ক ফেটে বের হলো পুলিশ জিপটা বাড়ির কাছে এসে পৌছালো তখন!

#গোল্ড_ড্যাগার

#রিয়াদ_চৌধুরী

09/04/2024

ভোর সাড়ে চারটার দিকে একটা ফোন আসলো। রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে ভারি কন্ঠে বললো, আমি জ্বীনের বাদশা বলতেছি। বিগত কয়েক বছর যাবত জ্বীন জাতি অর্থনৈতিক সংকটে আছে। তাদের সংকট কাটানোর জন্য বিশ্ব ব্যাংক বা আইএমএফের লোনের ব্যাবস্থাও নেই, এই কারনে তাদের বাদশা হুজুর নিজের স্ট্যান্ডার্ড বিসর্জন দিয়ে রাত বিরাতে মানুষজনদের ফোন দিয়ে সহয়তা চায়। মানব প্রজাতির ভিতু সম্প্রদায় তাদের ভয়ে তাৎক্ষণিক সহয়তা করে, কিন্তু কোন ভয়ে করে সেটা তারা ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারে না। এমন একজনকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কেনো তিনি জ্বীনের বাদশার ভয়ে টাকা দিচ্ছে? জবাবে ভদ্রলোক বলেছিলেন, " যদি রাতে এসে গলা টিপে ধরে "। যেই জ্বীনকে টাকা চাইতে ফোন দিতে হয় সে কিভাবে রাতের বেলা এসে গলা টিপে ধরবে এই সামান্য বিষয়টা ভদ্রলোকের মাথায় আসেনি৷ আসার কথাও না, ভয়ে মানুষ বেশি চিন্তা করতে পারে না, যেটুকু চিন্তা করে সেটাও ভয় বাড়াতে সাহায্য করে৷

যাই হোক আমি জ্বীনের বাদশাকে ঠান্ডা গলায় একটা সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম - বাদশা হুজুর কেমন আছেন, আপনার বেগম সাহেবা কেমন আছে, এই অধমরে কেনো ইয়াদ করলেন? আমার এমন প্রতিক্রিয়া জ্বীনের বাদশা হয়তো আশা করেননি তিনি কিছুটা আমতা আমতা করতে গিয়েও নিজেকে সামলায়ে নিয়ে বললেন, " জ্বীনেদের বাচ্চাদের জন্য মাদ্রাসা তৈরিতে কিছু দান করতে হবে "৷
- বাহ দারুন উদ্যগ, কিন্তু শুধু মাদ্রাসা কেনো কলেজ ইউনিভার্সিটির ব্যাপারে কিছু ভাবতেছেন না? উচ্চশিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ।
- জ্বী ঠিক বলছেন
ইতিমধ্যে জ্বীনের বাদশার গলায় গমগমে ভাবটা চলে গেছে৷ এখন সেটার জায়গায় মিনমিনে একটা ভাব চলে আসছে।

- আপনার কতো টাকা লাগবে?
- পাঁচ হাজার দেন।
- মাত্র পাঁচে কি হবে? আজকাল জিনিসপত্রের যে দাম । আপনি রাজা বাদশাহ মানুষ এসব তো জানবেন না। আপনার কোনো মন্ত্রী শান্ত্রীরে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন।
- তো আপনি কতো দিবেন?
- পনেরো হাজার দিতে চাই, কিন্তু কিভাবে দিবো?
- বিকাশে দেন
- আপনার বিকাশ আছে? আপনারাও বিকাশ ব্যাবহার করেন।
- জ্বী
- আচ্ছা আপনাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড বাংলাদেশের হয় না জ্বীনেদের দেশ কোহেকাফে হয়?

- ধুর ভাই টেহা দিলে দেন না দিলে ফাউ প্যাচাল পারেন না তো।

জ্বীনের বাদশা রাগ করে ফোন রেখে দিলো, আমি তার নাম্বারে ডায়েল করলাম, তিন বার রিং হওয়ার পর তিনি ফোন ধরে ঝাজলো কন্ঠে বলে উঠলেন, ঐ মিয়া আপনি আমারে ফোন দেন কেন?

- গুস্তাখি মাফ করবেন বাদশা হুজুর, আমি ভেবেছি আপনার ব্যালেন্স শেষ তাই কল ব্যাক করলাম, তা আমাদের আলোচনা কই ছিলো যেনো...?

- আপনার সাথে নো আলোচনা, আপনি মিয়া সব বুঝেন তারপরেও ত্যানা প্যাঁচাইতেছেন, আমার লগে ত্যানা প্যাঁচাতে আসলে পুরা গিট্টু লাগায়ে দিবোনি।

এক নিশ্বাসে কথা বলে আবার ফোন কেটে দিলো।

আমি আবারো রি-ডায়েল করলাম, এবারে এই নাম্বার অফ করেছে। জ্বীনের বাদশাহরা এক সিরিয়ালে অনেকগুলো সীম কিনে রাখে। তাই লাস্টের ডিজিট চেন্জ করে কল দিলাম, একবার রিং হতেই রিসিভ হলো, অপরপ্রান্তের জ্বীনের বাদশাহ মিনমিনে স্বরে বললো, ভাই আপনি কেডা আর আমারে এমন করতেছেন কেনো? এই কন্ঠস্বর বলে দিচ্ছে সে প্রচুর ঘাবরে গেছে। অপরাধীদের ভয়ডর বেশি হয়, খুব সামান্য কিছুতেও ধরা খাওয়ার ভয়ে অস্থির হয়ে যায়। জ্বীনের বাদশাহর এই ভয় আরেকটু বাড়ায়ে দেওয়ার জন্য আমি বললাম, তোমার ফোন এতোক্ষণ ধরে ট্রেস করা হচ্ছিলো। তোমার ফোনের আইএমই নাম্বার এখন আমাদের হাতে। তুমি সীম পাল্টায়েও বাঁচতে পারবা না, কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমার লোকেশনে ফোর্স যাচ্ছে।
কথা শেষ করার আগেই একটা ধপ করে শব্দ হলো, মনে হয় জ্বীনের বাদশাহ তার ফোন ভাঙ্গে ফেলছে ।

আমি ভোরের ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে ভাবতেছি বেচারা জ্বীনের বাদশাহ এই ভোরবেলায় কই পালাবে।

লেখা কুন্তল হোসেন

Avengers ❌বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ✅
09/04/2024

Avengers ❌
বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ✅

আপনারা কেউ দেখেন নাই 🤔🤔
09/04/2024

আপনারা কেউ দেখেন নাই 🤔🤔

09/04/2024

নামাজে যাইতেসি। এক ছোট ভাই দৌড়াচ্ছে। বললাম, কই যাস? বললো, ভাই গাড়ি আনা লাগবে। হাসপাতালে যাবো।

আমিও সাথে সাথে দৌড়াতে লাগলাম। গাড়িতে তুলে জিজ্ঞেস করলাম, কার কি হয়েছে? বললো, তোমার ভাবির পেইন উঠসে। তুমি কাকা হবা। এখন সরো।

ওরা চলে গেলো। আমি মাথা চুলকাতে চুলকাতে হাঁটতে লাগলাম মসজিদের দিকে। আর ভাবতে লাগলাম, ওর তো বড় ভাই নেই, তাহলে কার বউ ঐটা? আর আমারই বা ভাবি হলো কেমনে?

ভাবতে ভাবতে মসজিদে চলে এলাম।

নামাজ পড়ে বের হলাম। এক স্টুডেন্টের সাথে দেখা। সালাম দিলো। উত্তর নিয়ে জিগাইলাম, তোমার বন্ধুকে দেখলাম এক মেয়েকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে! কার বউ?

"স্যার ওটা তো ওরই বউ।"

"হেই না, কি বলো! ওর বাড়ি আমার তিন বাড়ি পরেই। বিয়ে হলে আমি জানবোনা?"

"স্যার, ও বিয়ে করসে প্রায় একবছর আগে। বাচ্চা হবে এখন।"

"বলো কি! এতবড় ঘটনা, অথচ আমি জানিনা। আবার দেখো আমারে কয়, তোমার ভাবি। কি সাহস! এই বয়সে বিয়ে করসে হা!রামজাদা। আমি ওর থেকে পাঁচ বছরের বড়।"

দেখলাম ও হাসছে। আমার সাথে তাল মিলিয়ে নিজেও ব!কা দিচ্ছে। হাঁটতে হাঁটতে আমার স্টুডেন্টের বাপের সাথে দেখা। হাতে এক বোঝা তরকারি।

সালাম দিলাম। উত্তর নিলো। তরকারির বোঝা ওর হাতে দিয়ে বলতেসে, বউমারে বলিস একটু ঝাল বেশি দিতে।

আমি অবাক হয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, আপনার তো ছেলেই এই একটা। কোন ছেলের বউয়ের কথা বলসেন?

তিনি বললেন, "কেন তুমি জানো না, দুইমাস আগে না ঐ ব!দমাইশ বিয়ে করে আনসে।"

পিছনে তাকায়ে দেখি ও দৌড়াচ্ছে।

রম্যঅণু : বিয়ে
লেখা: সাদমান সাকিব

08/04/2024

Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! চোখ চোখ, অভিমানী মন, Prince Mhp, Na Dia

Well, maybe irony korse.
08/04/2024

Well, maybe irony korse.

।।তুরস্কের একটি ফোক কবিতা।।“তুমি বলো, তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো, কিন্তু তার তলে তুমি ছাতা নিয়ে হাঁটো।তুমি বলো, তুমি সূর্য ভাল...
07/04/2024

।।তুরস্কের একটি ফোক কবিতা।।

“তুমি বলো, তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো,
কিন্তু তার তলে তুমি ছাতা নিয়ে হাঁটো।
তুমি বলো, তুমি সূর্য ভালোবাসো,
কিন্তু রোদের দিনে তুমি ছায়া খোঁজো।
তুমি বলো, তুমি বাতাস ভালোবাসো,
কিন্তু যখন সে আসে তুমি জানালা বন্ধ করে দাও।
তাই আমি ভয় পাই
যখন তুমি বলো, তুমি আমাকে ভালোবাসো।”

#ছবি_সংগৃহীত
#বাংলাকবিতা

আপা ঠিক বলেছেন🥰🥰🥰
06/04/2024

আপা ঠিক বলেছেন🥰🥰🥰

06/04/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Sojib Ahmed, শেষ ঠিকানা, Samir Chy, Mst Sumaiya Akter, As As, Shuel Shuel, Mahamud Hasan SK, Abdula Khan, Heron Sheck Tushar Mahmud, Mostan Vay, Sumon Khan, Md Masud Hossen Nil, নাম পরিবর্তন, MD Ali, নিষিদ্ধ নগরী, A***n Ahmed Taskin, Raju Mia, Md. Tufajjol Hosen, Yasin Arfat KAHIN, Kkr Khan, Odut Hashan, Ahmed Nayeem, Md Sayel Ahmed Sayel, Rafsan Ahmed Eyasin, Alor Poth, ভোরের পাখি, Israt Jahan, MD Amin, Md Barek, Liton Sek, Alor Disha, ভুলার জন্য ভালোবাসি নাই, MD Rakib Islam, Siam SiKder, Samiha Akter, Aysha Rahman, Md Hossian, Full Mia, Prince Rafi Khan, মিছ সাথি মিছ সাথি, রবিন মিনা, Prince Pk, Sankar Sarkar, Srabon Hasan, Jahangir Molla, Rafi Islam, বোনের পুটকি চোদা ছেলে, Md Mohsin, Saddam Hossan, Kasful Kasful

06/04/2024

#উনত্রিশ_ফেব্রুয়ারি
#পর্বঃ ০৭.
বিকেল চারটার দিকে রাবেয়ার কাছে কল দেয় সাকিব। দেখা করতে চায়। রাবেয়া বেশ অবাক হয়ে যায় কারণ অনেকদিন ধরে সাকিবের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।
রাবেয়া হঠাৎ সন্দেহ হয় , তাহলে কি সাজু ভাই সাকিবকে বলে দিয়েছে? নাকি সাকিবের কাছে জিজ্ঞেস করার কারণে সাকিব তাকে সন্দেহ করছে।
সাকিব বলে ,
- বেশি সময় নেবো না। মোবাইলেও বলতে পারতাম কিন্তু আমার মনে হয় সামনাসামনি কথা হলে ভালো হবে।
- ঠিক আছে , আমি রাত দশটার পরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে তোমাকে কল করবো।
এতটুকু বলেই তখনকার আলাপ শেষ করে রাবেয়া। কিন্তু তার মনের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করতে শুরু করে। সে যেহেতু পুলিশের কাছে তার উদ্দেশ্য জানিয়ে দিয়েছে। সাকিব স্বাভাবিক ভাবে তার উপর রেগে যেতে পারে। এদিকে সত্যি সত্যি যদি সাকিব কাজটা করিয়ে থাকে তাহলে পরে সেখানে রাবেয়া জড়াতে পারে।
নিজেকে কিছুটা সাহসী রাখার জন্য রাবেয়া তার পরিচিত একটা রেস্টুরেন্টে সাকিবকে আসতে বলে। সাকিব বেশ স্বাভাবিক৷ রাবেয়ার কাছে সাকিব কল করার পরে রাবেয়া একবার মনে মনে ভেবেছিল সাজু ভাইকে বিষয়টা জানানো উচিত। কিন্তু কোন টপিকে কথা বলে সেসব চিন্তা করে আর জানানো হয়নি।
- কেমন আছো তুমি?
- যেমন দেখছো।
- আমি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলার জন্য তোমাকে ডেকেছি। ভালোবাসার কোনো কথা নয়।
- বলো,কিন্তু যা বলার একটু তাড়াতাড়ি বলবে। সারাদিন রেস্টুরেন্টে ছিলাম তাই তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে।
- নুড়ি আর তার ছোটবোন নাকি খুন হয়েছে। তোমাদের বাসার দারোয়ান , তাকেও নাকি খুন করা হয়েছে।
- হ্যাঁ।
- দেখো তুমি হয়তো ভাবতে পারো আমি নুড়িকে খুন করেছি। ভাবতেই পারো কারণ তোমার সাথে একসময় এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু এসব চিন্তা আমি তখনই মাথা থেকে বের করে দিয়েছি।
রাবেয়া কিছু বললো না। তার মনের নব্বইভাগ অংশ জুড়ে বলছিল সাকিবই খুনটা করিয়েছে। কিন্তু সে এখন বলছে এসব সে ভুলে গেছে। সত্যি সত্যি যদি ভুলে যায় তাহলে নুড়ি ভাবিকে খুন করলো কে? আর কেন?
সাকিব আবারও বলতে শুরু করলো ,
- তুমি এসব পুরনো কথা পুলিশের সঙ্গে বলতে যেও না। মা'কে চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া নিয়ে যেতে হবে। এই সময় পুলিশের ঝামেলায় পড়তে চাই না।
কিন্তু আমি অলরেডি তোমার কথা বলে দিয়েছি।
আস্তে করে উত্তর দিল রাবেয়া।
রাবেয়ার মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল সাকিব।
বললো,
- তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? তুমি জানো এখন আমার কতো বিপদ হতে পারে।
- আমি তো তাদের বলিনি যে তুমিই খুন করেছো। আমি বলেছি যে তোমার সাথে তার শত্রুতা ছিল। তার ক্ষতি করার মতো একটা সিদ্ধান্ত তোমার মনের মধ্যে পুষে রাখছো। তারা তো হুট করে তোমাকে গ্রেফতার করবে না। সবকিছু তদন্ত করে প্রমাণ পেলে তখন গ্রেফতার করার প্রসঙ্গ আসবে। তাছাড়া!
- তাছাড়া কি?
- তুমি তো সবসময় নেতাদের সঙ্গে ওঠবস করো। যদি কোনো অপরাধ না করো তবে তোমার চিন্তা কি।
- কিন্তু তুমি আমার কাছে কিছু না জিজ্ঞেস করে এভাবে পুলিশের কাছে সাক্ষী দিয়ে দিলে? অদ্ভুত!
- অদ্ভুতের কিছু নাই, আমি বাসায় গিয়ে সাজু ভাইকে কল দিয়ে বলে দেবো যে তুমি নিজের মুখে স্বীকার করছো তুমি কিছু করো নাই। তারা চাইলে তোমার পিছনে লাগবে আর না চাইলে অন্য কারো পিছনে থাকবে।
–––––––––––––––––
এসআই লিয়াকত আলীর গুপ্তচর সাকিব রাবেয়ার এরূপ কথাবার্তা শুনতে পায়নি। সেরকম কোনো নির্দেশও নেই। নজর রাখার আদেশ আছে তাই নজর রাখছে। মেয়েটার সঙ্গে কথা বলতে দেখে ছবি তুলে পাঠিয়েছে। কিন্তু সাকিব ও রাবেয়ার মধ্যে যেসব কথা হয়েছে সেগুলো যদি সাজু বা লিয়াকত জানতো তাহলে তারা এটা নিয়ে সময় নষ্ট করতো না।
লিয়াকতকে তার গুপ্তচর জানায় ওরা বেশিক্ষণ রেস্টুরেন্টে ছিল না। কিছুক্ষণ কথা বলে দুজন বের হয়ে গেছে। কেউ কিছু খায়নি।
ঘড়িতে তখন রাত বারোটা।
সাজু বললো ,
- আমি বাসায় গিয়ে রাবেয়ার সঙ্গে আবার কথা বলে নেবো৷ অবশ্য রাত অনেক হয়ে গেছে , এতো রাতে কল দিয়ে কথা বলার চেয়ে কালকে নাহয় কথা হবে।
- ডাক্তার সাহেবের এইটা কি করবো? তার অবস্থা তো ভালো না। আমার মনে হচ্ছে আমরা একদম অন্ধকার গুহায় বসে আছি। চারিদিকে বিন্দু পরিমাণ আলো নেই।
সাজু হাসলো। যে হাসির অর্থ- সবাইকে তোর মতো মাথামোটা ভাবিস বন্ধু।
মুখে বললো ,
- আমরা গুহার ভেতর নয়। সামান্য একটু অন্ধকার গলিতে আছি। কিন্তু তোর চোখে কালো সানগ্লাস তাই তুই কিছুই দেখতে পাচ্ছিস না।
লিয়াকত হাসিমুখে বললো ,
- তারমানে তুই দেখতে পাচ্ছিস তো? তাতেই হবে৷ তুই গন্তব্য খুঁজে পেলে আমি তোর লেজ ধরে আমিও সেখানে পৌঁছে যাবো।
- তোকে দুপুরবেলা যতগুলো মেসেজ করেছিলাম সেখানে কিছু কোম্পানির নাম ছিল। সেগুলোর ডিটেইলস বের করেছিস?
- ওটাও আরেকজনের দায়িত্বে ছেড়ে দিছি। তবে আমি নিজেও কিছু তথ্য সংগ্রহ করছি।
লিয়াকতের কাধে হাত রেখে সাজু আস্তে আস্তে বললো ,
- সাইমুন তার কাজের বিষয় খুব সিরিয়াস ছিল। ওই কাজটা থেকে সে যেন সরে যায় এজন্য তাকেও ডাক্তারের মতো মোটা অংকের টাকা অফার করা হয়েছিল। কিন্তু সাইমুন সৎ থাকার কারণে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
- আরে বাপরে, কি বলিস?
- এটুকু সাইমুনের কাছেই শুনেছিলাম আমি। আর সেজন্য তোকে ওসব খোঁজ খবর নিতে বলেছি৷
- তাহলে তো আরেকটু গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে চারিদিকে কতটা কাজ বন্ধু। শহরের মধ্যে তো একটা মামলা নিয়ে পড়ে থাকা যায় না। প্রতিদিন অসংখ্য অপরাধ হচ্ছে। তবুও ওসি স্যার আমাকে বলেছেন আমিই যেন এই মামলাটা তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারি।
- অবশ্যই গুরুত্ব দিবি , ক্ষুদ্র থেকে অতি সাধারণ সবকিছু গুরুত্ব দিয়ে দেখবি তাহলে চোখের সামনে গুহার অন্ধকার মনে হবে না। মিটিমিটি আলো চোখে পড়বে।
সাজু আবারও অন্তরার কাছে এগিয়ে এলো। ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী আপাতত চেয়ারে বসে আছে। সাজু ও লিয়াকত যখন কথা বলছিল তখন এক ডাক্তার এসে অন্তরার সঙ্গে কথা বলে আবার চলে গেছে।
সাজু বললো
- কি বললেন ডাক্তার?
- অবস্থার অবনতি হচ্ছে। আইসিইউতে নিতে হবে।
অন্তরার চোখে পানি , মামার নিদারুণ কষ্টে সে নিজেও খুব ভেঙ্গে পড়ছে।
সাজু বললো৷
- ডাক্তার সাহেবের আর কোনো আত্মীয় স্বজন আসেনি? ওনার তো সন্তান নেই৷ কিন্তু বাকি আর কে কে আছে এখানে?
- অনেকেই আছে, মামার এক বন্ধু আছে এখানে। মামা তো ডাক্তার , সেজন্য কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সময় যদি ফুরিয়ে যায় তাহলে তো হাজার মানুষ দিয়েও কাজ হবে না তাই না সাজু ভাই? এতো টাকাপয়সা সবকিছু তুচ্ছ।
এটা সাজুর চেয়ে বেশি আর কেউ জানে না। সাজুর মা মারা গেল ক্যান্সারে। মায়ের মুখটা তার মনে পড়ে না। কিন্তু মায়ের অনেক আদর করার কথা সাজু মনে করতে পারে। সাজুর বাবা লন্ডনে থাকতো , দাদা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। টাকাপয়সা জমিজমা কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু তার মা'কে কিছুতেই তারা আটকে রাখতে পারলো না। সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় নিয়ম- সময় ফুরিয়ে গেলে চলে যেতেই হবে।
হাসপাতালে আর তেমন কাজ রইল না। ডাক্তার সাহেবের সাথে কথা বলতে পারলে ভালো হতো কিন্তু এখানকার ডাক্তার সেটা এলাউ করবে না। কাজেই এখান থেকে চলে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।
অন্তরার দিকে তাকিয়ে সাজু বললো ,
- আপনি যদি সকালে আমার সঙ্গে মিথ্যা না বলতেন তাহলে আপনার মামার এরকম পরিস্থিতি না-ও হতে পারতো। আমি তার সাথে কথা বলতাম, অনেক কিছু জানতে পারতাম। তিনি কাদের হয়ে কাজটা করলেন। কেন করলেন সবকিছু জানা যেত , আপনার একটা মিথ্যা কথার কারণে এতগুলো বিপদ হয়ে গেল।
- স্যরি সাজু ভাই।
- এরপর থেকে আর বিন্দু পরিমাণ কথা লুকানোর চেষ্টা করবেন না। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের সঙ্গে মিথ্যা বলা বন্ধ করবেন।
লিয়াকত আলীকে নিয়ে সাজু হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেল। চারজন পুলিশ সেখানে পাহারায় রাখা হয়েছে। বলা তো যায় না- কখন আবার কে আক্রমণ করে।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাজু মোবাইল হাতে নিয়ে রাবেয়ার নাম্বারে একটা টেক্সট পাঠালো,
“ যদি জেগে থাকেন তাহলে রিপ্লাই করবেন। খুব জরুরি ”
__________________
সাজু যখন বাসায় ফিরলো তখন হাসান সবেমাত্র ডিনার শেষ করেছে। হাত ধোয়ার আগেই কলিং বেল বেজে ওঠে। তাসনীম গিয়ে দরজা খুলে দিলে সাজু এসে হাসানকে দেখে অনেকটা খুশি হয়ে যায়।
হাসান ভাই বললেন ,
- গোয়েন্দা সাহেব নাকি? এতো রাত পর্যন্ত বাসার বাহিরে থাকলে বউ কিন্তু ঘরে ঢুকতে দেবে না।
- সেজন্যই তো বিয়ে করি না।
- হাহাহা হাহাহা , কথার পিঠে কথা দিয়ে টুং করে আঘাত দিলা।
- একটা বিষয় মাথা থেকে যাচ্ছে না। আপনি জেগে আছেন তাতে ভালোই হলো। নাহলে আমিই এখন আপনাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতাম।
- কেন কি হয়েছে? মামলার কোনো সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না?
- সূত্র পাওয়া গেছে। যতটুকু এগিয়েছি তাতেই প্রকাশ করার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু আরেকটা বিষয়ের গভীরতা না জেনে আসল ঢিল ছুড়তে পারছি না। হাত ফসকে বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
- ঘটনাটা আমি অনেকটাই জানি। আজ একজনের কাছে শুনলাম। তোমার কাকে কাকে সন্দেহ হচ্ছে?
- সন্দেহ নয় , আমি মোটামুটি নিশ্চিত সাইমুনের স্ত্রী নুড়ি ও তার ছোটবোনের হত্যাকাণ্ড পারিবারিক কোনো কারণে হয়নি। এটা অফিসিয়াল কারণে হয়েছে।
- কিরকম?
- প্রথমত নুড়ি নামের যে মেয়েটা মূল টার্গেট ছিল সেই মেয়েটাকে প্রায় দুই মাস ধরে মিথ্যা ব্রেইন ক্যান্সারের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
- আচ্ছা তারপর?
- ক্যান্সারের বিষয়টা সম্পর্কে সফল হতে না পেরে চক্রান্তকারীরা উনত্রিশ ফেব্রুয়ারি নুড়িকে খুন করায়।
- কিসের সফলতা?
- পরিকল্পনার।
- পরিকল্পনাটা কি?
- ভাইয়া একটা বিষয় মনোযোগ দিয়ে ভাবলে আপনি বুঝতে পারবেন। নুড়িকে মিথ্যা ক্যান্সার আক্রান্ত সাজানোর জন্য ডাক্তারকে কয়েক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এমন কারণে কেউ লাখ টাকা কখন খরচ করে?
- যখন সেখানে কোটি কোটি টাকা আয় করার সুযোগ থাকবে।
- এক্সাক্টলি সেটাই হয়েছে। সাইমুন তার অফিসের একটা প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিল। প্রজেক্টটা সফল কোম্পানির প্রায় দ্বিগুণ টাকা লাভ হতো। কিন্তু নুড়ির মৃত্যুর কারণে সাইমুন সবকিছু বাদ দিয়ে ঢাকায় ফিরে আসে। আর কোম্পানির পঞ্চান্ন কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
- এতো টাকা?
- জ্বি ভাই, উনত্রিশ ফেব্রুয়ারি নুড়িতে হত্যা করার প্রধান কারণ এটাই হবে। খুনিরা চাইলেই সাইমুনকে হত্যা করাতে পারতো কিন্তু সেটা করলে সরাসরি সন্দেহ তাদের দিকে যেত। তাই কৌশলে সাইমুনের স্ত্রীকে টার্গেট করেছে কারণ সাইমুন তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসে৷ স্ত্রীর কিছু হলে সাইমুন পৃথিবীর সবকিছু ভুলে যাবে।
- মামলা তো তাহলে প্রায় সমাধান হয়ে গেছে। এবার কোম্পানি গুলো ভালো করে খোঁজ নিলে আসামি খুঁজে বের করা যাবে।
- কাজটা কারা করিয়েছে এতটুকু বের করা যাবে। কিন্তু ওই বাসায় এসে বাহির থেকে কে খুন করে গেল? যদি কোনো কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে কাজটা করানো হয় তাহলে তাকে বের করাই তো সবচেয়ে মুশকিল হয়ে যাবে।
- আরে চিন্তা করো না। মনোযোগ দিয়ে চালিয়ে যাও , যারা মূল ষড়যন্ত্রকারী তাদের বের করো , তারপর বাকিটা পুলিশ বুঝে নেবে৷
- ঠিক আছে ভাই৷ আপনি তাহলে ঘুমিয়ে পড়ুন। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। বিকেল থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত ঘুমিয়েছি। মনে হচ্ছে হিমুর মতো হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে রাস্তায় গিয়ে হাঁটাহাঁটি করি। হাহাহা হাহাহা।
মোবাইল হাতে বেলকনিতে বসে আছে সাজু ভাই। রাস্তায় মাঝে মাঝে দু একটা বাইক আবার প্রাইভেট কার দেখা যাচ্ছে। মামলার বিষয়টা মাথা থেকে বের করে সাজু মোবাইলে ফেসবুকে ঢুকলো। ফুটবল খেলার একটা ভিডিও ক্লিপ দেখে সেটা ওপেন করলো৷ তারপর আনমনে আঙ্গুল একটার পর আরেকটা ভিডিও দেখতে লাগলো।
হঠাৎ একটা ভিডিও দেখে সাজু চমকে উঠল। ভালো করে নজর দিয়ে দেখলো। একটা বাড়ির ছাদে গভীর রাতে শুটিং হচ্ছে। বিয়ে জাতীয় কোনকিছুর জন্য বিশাল সেট সাজানো হয়েছে। নাটকের কিছু পরিচিত মুখ অভিনয়ের জন্য সেখানে প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই দৃশ্যই ধারণ করে ভিডিওতে আপলোড করা হয়েছে। ক্যামেরার পিছনে যিনি ছিলেন তার মুখে শোনা যাচ্ছে৷
“ এইযে আমাদের শুটিং সেট। দেখুন কতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আপনাদের জন্য আবার অসাধারণ একটা নাটক নিয়ে হাজির হবো খুব শীঘ্রই। ”
সাজু বারবার সেই ভিডিওটা দেখলো। তারপর ভিডিওটা সেইভ করে দু-চোখ বন্ধ করে নুড়ি খুন হবার সেই রাত থেকে এখন পর্যন্ত ঘটমান সকল ঘটনা ভাবতে লাগলো।
_______________________
সকাল আটটা।
আসলাম ফরাজির ছয়তলা ভবনের পাশেই যে চার তলা ভবন। সেই ভবনের গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। একজনকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল এটা একটা শুটিং হাউজ। এখানে বিভিন্ন নাটক , সিনেমার শুটিং করা হয়।
উনত্রিশ ফেব্রুয়ারি রাত দশটার দিকে কোনো শুটিং চলছিল কি-না সেটা জিজ্ঞেস করাতেই লোকটা একটু ভেবে বললো ,
- ওইদিন প্রাঙ্ক কিং টিমের নাটকের শুটিং চলছিল।
রাত দশটার দিকে কি ছাদে কোনো কাজ হচ্ছিল? - বিয়ের কোনো অনুষ্ঠান এমন কিছু।
- হ্যাঁ হইছিল তো , কিন্তু কেন ভাই?
- আপনাদের পাশের বিল্ডিংয়ে ওই রাতে তিনটা খুন হয়েছে জানেন নিশ্চয়ই?
- হ্যাঁ শুনেছি।
- আমি সেটার তদন্ত করছি তাই আপনার কাছে এতকিছু জিজ্ঞেস করলাম। আমি কি একটু ছাদে গিয়ে দেখতে পারি?
- হ্যাঁ অবশ্যই।
সাজু ছাদে গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে এদিক ওদিক তাকিয়ে সবকিছু দেখে নিল। ছাদে দাঁড়িয়ে মনে মনে হিসাব করলো।
‘তারা যখন আসলাম ফরাজির বাড়ির ছাদে যায় তখন এই ছাদে কেউ ছিল না। সম্ভবত ততক্ষণে শুটিং শেষ হয়ে গেছে।
ছাদ থেকে নেমে বাইক স্টার্ট দেওয়ার আগে পকেট থেকে মোবাইল বের করে লিয়াকতের কাছে কল দিল। লিয়াকতকে বলে দিল সে যেন এখনই হাসপাতালে উপস্থিত হয়।
সাজু পৌঁছানোর আগেই লিয়াকত পৌঁছে গেল। পাহারারত পুলিশের কাছে কল দিয়ে আগেই জানা গেছে অন্তরা হাসপাতালেই আছে।
সাজু ও লিয়াকত দুজন মিলে অন্তরা ও ডাক্তার সাহেবের বউ যেখানে ছিল সেখানে চলে গেল। কিন্তু সেখানে আরো তিনটা পরিচিত মুখ দেখে অবাক হয়ে গেল।
আসলাম ফরাজি , তার স্ত্রী ও বড় মেয়ে রাবেয়া সবাই সেখানে উপস্থিত। সাজু অন্তরার দিকে তাকিয়ে বললো ,
- কেমন আছেন অন্তরা?
- জ্বি ভালো আছি সাজু ভাই , আপনারা কেমন আছেন?
- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনাকে একটা ভিডিও দেখাতে এতো কষ্ট করে ছুটে এলাম।
- কিসের ভিডিও সাজু ভাই?
সাজু তার পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে গত রাতে ফেসবুকে দেখা ভিডিওটা অন্তরার সামনে প্লে করলো। লিয়াকত কিছুই বুঝতে পারছে না। হঠাৎ দেখলো অন্তরার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যাচ্ছে।
আর অন্তরা সাজুর মোবাইলে দেখতে পাচ্ছে, একটা ছাদের উপর অনেকগুলো মানুষ শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর সেখানে ক্যামেরার সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছে সে নিজেই।
সাজু ভাই বললেন ,
- উনত্রিশ ফেব্রুয়ারি রাত দশটার একটু পরে আসলাম ফরাজির বাড়ির ঠিক পাশের বাড়ির ছাদে আপনি কি করছিলেন?

চলবে…

লেখা-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

🤣🤣
05/04/2024

🤣🤣

05/04/2024

তিলোত্তমা বলি অথবা এলোকেশী,
জানো! তোমার কপালে টিপ পরাতে
যে খুব ভালোবাসি।
সুনয়না কিংবা টোল পড়া ঐ হাসি,
একটাই চাওয়া তোমার দু'টি হাত ধরে
শুধু দূর অজানায় ভাসি।

আচ্ছা! আমার চাওয়াটা কি খুব বেশী?

একটু ব্যস্ততা আর কোলাহল ছেড়ে
বিষণ্ণ এ শহরে অনেকদিন পরে,
দাঁড়ালাম যেন আনমনে চুপটি করে
স্যাঁতস্যাঁতে ছাদের রেলিংটা ধরে।
মিষ্টি দমকা বাতাস কানে কানে গেল বলে,
দেখ চাঁদটাকে বলো, কিছু শুনতে পেলে?

নিষ্পলক চেয়ে রইলাম কিছুক্ষণ তারপর,

খানিক মুচকি হেসে বলে দিলাম
কিছু না বলা কথা,
তুমি শুনে নিও একটু কান পেতে
মুড়ে সময়ের কাঁথা।
না বলা আমার মনের যত চুপকথা,
কল্পনায় রাঙানো হাজারও রূপকথা।

"আলাপন"
©জান্নাতুল ফেরদৌস

Address

55/21 SM Maheh Road, Tanbazar
Narayanganj
1400

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Last Poem posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share